মেহেরপুরে বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের কর্মবিরতি

স্বতন্ত্র সচিবালয় প্রতিষ্ঠা, সমান সুযোগ-সুবিধা প্রদান এবং ন্যায্য পে-স্কেল নিশ্চিতকরণসহ একাধিক দাবিতে সারাদেশের মতো মেহেরপুরেও দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছেন বিচার বিভাগীয় কর্মচারীরা।

সোমবার (৫ মে) সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন, মেহেরপুর জেলা শাখার আয়োজনে এই কর্মসূচি পালিত হয়।

কর্মবিরতি চলাকালে বক্তারা বলেন, ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর ‘মাসদার হোসেন’ মামলার রায়ের প্রেক্ষিতে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথক হলেও আজও বিচার বিভাগের জন্য স্বতন্ত্র সচিবালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়নি। ফলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা পূর্ণরূপে বাস্তবায়িত হয়নি।

তাদের অভিযোগ, শুধুমাত্র বিচারকদের জন্য পৃথক পে-স্কেল, বিচারিক ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হলেও সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে। এছাড়াও, পদোন্নতির সুযোগ সীমিত হওয়ায় অনেকেই দীর্ঘদিন একই পদে থেকে অবসরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।

তারা আরও বলেন, বর্তমানে জেলা ও দায়রা জজ (১ম গ্রেড) জেলা পর্যায়ে সর্বোচ্চ পদমর্যাদার বিচারিক কর্মকর্তা হলেও অধস্তন কর্মচারীদের বেশিরভাগই ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডে চাকরি করছেন। অন্যান্য দপ্তরের তুলনায় তাদের পদোন্নতির সুযোগ কম এবং ব্লক পদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় কর্মজীবনে উন্নতির সুযোগ মেলে না।

কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন, মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি ও চীফ জুডিশিয়াল স্টেনোগ্রাফার শেখ মোহাম্মদ আহসানুল হক।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, জাকির হোসেন, সফিকুল ইসলাম (প্রধান তুলনাকারক, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত), অফিস সহায়ক বেদেনা বাবলী, প্রধান তুলনাকারী সহকারী আমিনুল ইসলাম এবং আব্দুল মুত্তালিবসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।




হরিণাকুণ্ডু প্রতিবন্ধী স্কুলে ফ্রী মেডিক্যাল ক্যাম্পের উদ্বোধন

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে এনজিও পরিচালিত “মেঘলা আকাশ” প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় ও এতিম খানা উন্নয়ন সংস্থায় ফ্রী মেডিক্যাল ক্যাম্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দুই দিন ব্যাপী এই মেডিক্যাল ক্যাম্পের প্রথম দিন (৪ মে) রবিবার সকাল ১০ টায় এর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। হরিণাকুণ্ডুর লোহা পোট্টিতে অবস্থিত এই প্রতিষ্ঠানটি ২০১৭ সালে হাটি হাটি পা-পা করে শুরু হয়ে আজ শতাধিক শিক্ষার্থী ও দশ জন শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়ে সুনামের সহিত মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে আছে।

মেঘলা আকাশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় ও এতিম খানা উন্নয়ন সংস্থার পরিচালক মাজেদা খাতুনের সভাপতিত্বে, ফ্রী মেডিক্যাল ক্যাম্পে সমাপনি দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বি এম তারিক-উজ জামান।

এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মুন্সী ফিরোজা সুলতানা, সমাজ সেবা কর্মকর্তা শিউলী রানী উপস্থিত থাকবেন।

দুই দিন ব্যাপী এই মেডিক্যাল ক্যাম্পে চিকিৎসা দিচ্ছেন ফিজিওথেরাপি কনসালট্যান্ট ডাঃ মোঃ শামিম হোসেন, থেরাপী সহকারী উজ্জ্বল হোসেন।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ঝিনাইদহ প্রতিবন্ধি সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের অডিওমেট্রিশিয়ান ঝংকার আলী। দুই দিনের ফ্রী মেডিক্যাল ক্যাম্পে চিকিৎসায় থাকছে ফিজিওথেরাপি, অকুপেশনাল থেরাপী, স্পিচ এন্ড ল্যাংগুয়েজ থেরাপী, স্টেক প্যারালাইসিস থেরাপী, মেরুদন্ড, কোমর, ঘাড়, হাড়ের ব্যাথার থেরাপী, হাত পা অবস হওয়া, শুকিয়ে যাওয়া, ঝিনঝিন করার থেরাপী।

এছাড়াও জানা গেছে, মেঘলা আকাশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় ও এতিম খানায় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার পক্ষ থেকে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক অবস্থার খোঁজ নিতেই বিশেষ এই আয়োজন করা হয়েছে।




ঝিনাইদহে জ্যোতিষের কার্যালয়ে ভাংচুর ও আগুন

ইসলাম ধর্ম নিয়ে ফেসবুকে অবমাননাকর পোস্ট করাই সাঈদ নামে এক ব্যক্তির কার্যালয়ে ভাংচুর ও আসবাবপত্রে আগুন দিয়েছে মুসল্লিরা।

শনিবার (৩ মে) সন্ধ্যার পরে ঝিনাইদহ শহরের পাগলাকানাই সড়কের সাদাতীয়া মসজিদ সংলগ্ন বিউটি সুপার মার্কেটে “রাশিফল নির্ণয় জ্যোতিষ গণনা কার্যালয়” নামে মোল্লা মোঃ আবু সাঈদ চিশতীর কার্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।

মাগরিবের নামাজ পড়ে বিক্ষুব্ধ মুসল্লিরা একজোট হয়ে এই ঘটনা ঘটায়। এসময় মুসল্লিদের নেতৃত্ব দেন জেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি ডাঃ মোমতাজুল করিম। আগুন দেওয়ার সময় জ্যোতিষ আবু সাঈদ কার্যালয়ে ছিলেন না।

মুসল্লিদের অভিযোগ জ্যোতিষ মোল্লা মোঃ আবু সাঈদ নামাজ নিয়ে অবমাননাকর পোস্ট করেছেন ফেসবুকে। যেকারণে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা মনে আঘাত পেয়েছেন। এই ঘটনায় এশার নামাজ পড়ে সাদাতীয়া মসজিদের ঈমাম মুফতি ইসমাইল হোসেন বেলালীর নেতৃত্বে জ্যোতিষ আবু সাঈদকে গ্রেফতারের দাবিতে মিছিল করা হয়। মোল্লা মোঃ আবু সাঈদ চিশতী বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোলজার্স সোসাইটির সদস্য। তার রেজি নং ১৯৪৫(১২১)৯৮।

অভিযোগের বিষয়ে তার মোবাইল নাম্বারে কল করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

সাদাতীয়া মসজিদের ঈমাম মুফতি ইসমাইল হোসেন বেলালী বলেন, সদর থানার ওসি জ্যোতিষ আবু সাঈদকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করে আইন হেফাজতে নিবেন বলে আশ্বস্থ করেছেন। তিনি বলেন, আমরা কোন ধর্মের বিপক্ষে নই। তবে কেউ ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করলে সহ্য করবো না।




শৈলকুপায় সরকারি গাছ কেটে নিলো বিএনপি নেতা!

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার সারুটিয়া ইউনিয়নে প্রকাশ্যে সরকারি জায়গার গাছ কেটে নিয়েছে স্থানীয় এক বিএনপি নেতা।

গতকাল শনিবার সকালে কাতলাগাড়ী-লাঙ্গলবাধ সড়কে কাতলাগাড়ী বালিকা বিদ্যালয়ের জিচে সেচ খালের পাড়ের মেহগনি গাছ কেটে নিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে শৈলকুপার সারুটিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বাবলু ও তার ভাই পল্টু এবং চাচা শৈলকুপা নাগরিক কমিটির সভাপতি আব্দুল মজিদ মাস্টার গাছটি কেটে নিয়েছে।

সকালে ঘটনার সংবাদ সংগ্রহে গেলে শৈলকুপা প্রেসক্লাবের সদস্য রাজিব মাহমুদকে গালিগালাজ ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়। তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করারও চেষ্টা করে অভিযুক্তরা।

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওই এলাকার দ্বায়িত্বে থাকা কার্যসহকারী রশীদ হোসেন বলেন, “যদি গাছটি তাদের জায়গায় হয়ে থাকে, তাহলে তা কাটতে পারবে। তাছাড়া সরকারি জায়গার গাছ কাটার কোন অধিকার নেই। গাছ কাটলে আমি আমার অফিসকে জানাবো। তারা তাদের মত ব্যবস্থা নিবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাতলাগাড়ী বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, দিনের আলোয় সরকারি জায়গা থেকে গাছ কেটে নেওয়ার মতো ঘটনা ঘটলেও প্রশাসন নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। এই বাবলু এলাকায় এর আগেও এমন কাজ করেছে। সকালে পুলিশ এসেছিলো কিন্তু তারাও গাছ কাটা বন্ধ করতে পারেনি।

এ ব্যাপারে শৈলকুপা থানার ওসি মাসুম খান ও কাতলাগাড়ী পুলিশ ক্যাম্পের এ এস আই রবিউল ইসলামকে একাধিকার ফোন দেওয়া হলেও তারা ফোন রিসিভ করেন নি।

অভিযোগের বিষয়ে বিএনপি নেতা বাবুল বলেন, গাছটি আমাদের লাগানো। আর পানি উন্নয়ন বোর্ড আমাদের গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছে বলেই কেটেছি।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী কাজী মহসীন উদ্দিন বলেন, আমাদের জায়গার গাছ আমরা কি করে কাটার অনুমতি দিব। উনারা আমাদের কাছ থেকে কোন অনুমতি নেয়নি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাছ কেটে নিলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করব।




শৈলকুপায় কৃষকদল নেতাসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় কৃষকদল নেতা ও তার ছেলের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে এক নারীকে ধর্ষণ ও গর্ভপাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী আদালতে কৃষকদলের নেতাসহ চার জনকে বিবাদী করে মামলা দায়ের করেছেন। শুধু ধর্ষণ আর গর্ভপাতই নয়, প্রেম ও বিয়ের অভিনয় করে ওই নারী কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে ৭ লাখ টাকা।

এদিকে শৈলকুপা থানায় নির্যাতিত ওই নারী পৃথক একটি অভিযোগও করেন। সেই অভিযোগ তদন্ত করে পুলিশ সত্যতা পান। এ খবর নিশ্চত করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সম্রাট মন্ডল।

ভুক্তভোগী নারীর মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত দুই বছর ধরে ওই নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন নাজমুল খন্দকার নামের এক যুবক। নাজমুল খন্দকার শৈলকূপা উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব কামরুল ইসলামের ছেলে। ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নাজমুল খন্দকার নিয়মিত শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। তাদের সম্পর্কের বিষয়টি নাজমুলের গোটা পরিবার জানার পরে তারা মেনে নেয়। এরপর ওই নারী নাজমুলের বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত শুরু করেন। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী নারী গর্ভবর্তী হয়ে পড়লে নাজমুল ও তার পরিবার ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তারা কৌশলে ওই নারীকে ঝিনাইদহ শহরের হামদহ এলাকার রয়েল ক্লিনিকে ভর্তি করে গর্ভপাত ঘটায়।

ভুক্তভোগীর নারীর অভিযোগ, চিকিৎসা শেষ হওয়ার আগেই নাজমুল খন্দকার ও তার বাবা-মা তাকে হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে নাজমুল খন্দকার ও তার বাবা-মায়ের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও ওই নারী কোনো সমাধান পাননি। পরে তিনি শৈলকুপা থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে থানা মামলা গ্রহণ করেনি। নাজমুল খন্দকারের বাবা কামরুল ইসলাম রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ওই নারীকে নানা ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

ভুক্তভোগী নারী বলেন, দুই বছর ধরে নাজমুলের সঙ্গে তার সম্পর্ক। তার বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত থাকায় পরিবারের সবাই তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু অবাধ মেলামেশার কারণে গর্ভবতী হয়ে পড়লে ছেলের পরিবার তাকে মারধর করতে থাকেন। এক পর্যায়ে তার গর্ভের সন্তান নষ্ট করে দেয়।

এ বিষয়ে কৃষকদল নেতার ছেলে নাজমুল খন্দকার বলেন, ওই নারীর অভিযোগ সত্য নয়। সে একজন প্রতারক। তার নামে থানায় কোনো মামলা হয়েছে কিনা তিনি এখনো জানেন না।

নাজমুলের পিতা শৈলকুপা কৃষক দলের সদস্য সচিব কামরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগকারী মহিলা সম্পর্কে আমি খুব বেশি কিছু জানি না। তবে সে আমার বাড়িতে আসা যাওয়া করত এটা জানি। গর্ভপাত ও হাসপাতালে ভর্তির বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তিনি নিউজটি এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

শৈলকূপা থানার এসআই সম্রাট মন্ডল জানান, ওই নারির অভিযোগ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। প্রাথমিক ভাবে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। তিনি জানান, এ নিয়ে যদি আদালতের কোন নির্দেশনা আসে তবে সে মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

শৈলকূপা থানার ওসি মাসুম খান গত শুক্রবার রাতে জানান, এ বিষয়ে শৈলকুপা থানায় আদালতের নির্দেশে মামলা নথিভুক্ত হয়েছে, মামলা নং ০৪/২৫। তিনি জানান, ভুক্তভোগী নারি সম্ভবত খুবই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। তাকে প্রলোভনে ফেলে নির্যাতন করা হয়েছে। তিনি বলেন, এ বিষয়ে বিজ্ঞ আদালতের আদেশ হাতে পেয়েছি। আদালত মামলা গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছেন। ফলে থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।




মেহেরপুরের আমঝুপিতে গ্লোবাল অ্যাকশন উইক উদযাপন

গ্লোবাল অ্যাকশন উইক ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে রবিবার সকাল ১০টায় আমঝুপির মানব উন্নয়ন কেন্দ্র (মউক) এর হলরুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মানব উন্নয়ন কেন্দ্র (মউক) ও গণসাক্ষরতা অভিযান যৌথভাবে এই সভার আয়োজন করে।

মউকের নির্বাহী প্রধান আশাদুজ্জামান সেলিমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সহকারী কমিশনার (শিক্ষা ও কল্যাণ শাখা) শেখ তৌহিদুল কবীর। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মনরুল ইসলাম এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. ফারুক উদ্দিন।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ওয়াচ গ্রুপের সভাপতি ইসমাইল হোসেন, হাজী আজগর আলী মাস্টার, সমাজসেবক আব্দুর রহমান এবং ইউপি সদস্য জেসমিন আরা। কী-নোট পেপার পাঠ করেন প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোছা. কাজল রেখা।

আলোচনায় বিদ্যালয় সংকটকালে শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে জীবনব্যাপী শিক্ষার বার্তা জোরদারকরণ, বিদ্যালয়ের সুরক্ষায় শিক্ষকদের সহায়তা ও অ্যাডভোকেসি করা এবং শিক্ষা খাতে সরাসরি শিক্ষার্থীদের শেখার কাজে অর্থ বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।

সভা শুরুর আগে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি আমঝুপির বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন মানবাধিকার কর্মী সাদ আহম্মদ।




মুজিবনগর সীমান্তে শিশুসহ ১০ জনকে ঠেলে দিলো ভারত

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার ভবেরপাড়া সীমান্ত দিয়ে রোববার ভোরে শিশুসহ ১০ জন বাংলাদেশিকে ঠেলে (পুশব্যাক) দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। পরে তাদের অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক করে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)।

আটককৃতরা হলেন যশোর জেলার পুলেরহাট এলাকার সাইফুল হাসান, সাতক্ষিরা জেলার কলারোয়া উপজেলার বাটড়া গ্রামের প্রজেনজিৎ দাশ, মাদারিপুর জেলার রাজৈর থানার হাসেনকান্দা গ্রামের বিল্লাল শেখ, যশোর জেলার সাড়সা থানার কন্যাদা গ্রামের তারিকুল ইসলাম, খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানার মোনাবান্দা গ্রামের সেজুতি রায়, নড়াইল জেলার পাংকোবিলা গ্রামের অর্চনা রানি সরকার, যশোর জেলার নওয়াপাড়া থানার বোদ্দনা গ্রামের দেবদাস বিশ্বাস, রুপা বিশ্বাস ও জয়দেব বিশ্বাস। তাদের মধ্যে একজন শিশু রয়েছে।

স্থানীয় সূত্র ও বিজিবির তথ্য অনুযায়ী, অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের দায়ে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছিল। সাজা ভোগ শেষে ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর কারাগার থেকে তাদের একত্র করে পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার হৃদয়পুর সীমান্ত দিয়ে মুজিবনগরের ভবেরপাড়া সীমান্তে ঠেলে দেয় বিএসএফ। সীমান্ত পার হওয়ার পর বিজিবি তাদের আটক করে তল্লাশি শেষে ক্যাম্পে নিয়ে যায়।

মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, “৯ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও একজন শিশুকে বিএসএফ সীমান্ত পার করে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে। বিজিবি তাদের আটক করে থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।”




মেহেরপুরে তারেক রহমানের ৩১ দফা সংস্কার বিষয়ক মতবিনিময় সভা

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচি নিয়ে মেহেরপুর জেলা সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা জাসাসের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার রাত আটটার সময় মেহেরপুর শহরের কোর্ট মোড় এলাকায় এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় মতবিনিময় সভায় মেহেরপুর জেলা জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস)-এর আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান অশেষের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন’ জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন।

মেহেরপুর জেলা জাসাসের সদস্য সচিব এ বাকাবিল্লাহ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা সভাপতি রবিউল ইসলাম ফারুক, মুজিবনগর উপজেলা সভাপতি জুলফিকার খান হেলাল, গাংনী পৌর সভাপতি সৌরভ হোসেন, মেহেরপুর পৌর জাসাসের সভাপতি তৌফিকুর রহমান রানা, সাধারণ সম্পাদক মুকিদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোকছেদ আলীসহ জাসাসের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বক্তারা তারেক রহমানের সংস্কারমূলক উদ্যোগের গুরুত্ব তুলে ধরে জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।




মেহেরপুরে কাথুলী ব্লাড ফাউন্ডেশনের দুই বছর পূর্তি উৎসব অনুষ্ঠিত

“জীবন বাঁচাই রক্ত দিয়ে, মানবতা যাক এগিয়ে” এই স্লোগানে মেহেরপুরের কাথুলী ব্লাড ফাউন্ডেশনের দুই বছর পূর্তি উৎসব-২০২৫ উদযাপন করা হয়েছে।

আজ শনিবার সকাল ১০ টার সময় মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কাথুলী ব্লাড ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোহাম্মদ বাসারুল ইসলাম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আর এম টি ওয়েলফেয়ার সোসাইটি মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাথুলী ব্লাড ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মোহাম্মদ নাসিব আহমেদ। সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন মফিজুল ইসলাম ও মোছাম্মদ ফারজানা দীপা।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পর্যায়ের স্বেচ্ছাসেবকদের পুরস্কার প্রদান করা হয়।




বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম আহ্বায়ক হলেন মারুফ আহমেদ বিজন

বিএনপি-সমর্থিত ক্রীড়া সংগঠকদের সমন্বয়ে গঠিত নতুন ক্রীড়া সংগঠন ‘বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক অ্যাসোসিয়েশন’-এর অ্যাডহক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক নির্বাচিত হয়েছেন মেহেরপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মারুফ আহমেদ বিজন।

শনিবার (৩ মে) ৪৪ সদস্যবিশিষ্ট অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়। এ উপলক্ষে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অডিটোরিয়ামে অ্যাসোসিয়েশনের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক তারকা ফুটবলার মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক মো. আমিনুল হক।

ক্রীড়া সংগঠক অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় জানানো হয়, দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে বাঁচাতে তারেক রহমানের নির্দেশে বিভিন্ন টুর্নামেন্টের আয়োজন করছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল।

এই উদ্দেশ্যেই জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক অ্যাসোসিয়েশনের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষিত কোচ নিয়োগ এবং সরকারি ব্যবস্থাপনায় ক্রীড়া কর্মসংস্থান গড়ে তোলা হবে।

বার্তায় আরও বলা হয়, আগামী এক মাসের মধ্যে অ্যাসোসিয়েশনের বিভাগীয় কমিটি গঠন করা হবে এবং পর্যায়ক্রমে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি গঠন করে ক্রীড়া উন্নয়নে কাজ করবে সংগঠনটি। সকলে মিলে তারেক রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই এগিয়ে যাবে অ্যাসোসিয়েশন।