মুজিবনগরে উপজেলা সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

মুজিবনগরে উপজেলা সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রবিবার সকাল ১১ টার সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাইরুল ইসলামের সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন, মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি নাজমুস সাদাত রত্ন, মুজিবনগর থানা অফিসার ইনচার্জ উজ্জ্বল কুমার দত্ত, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতা, সাধারণ আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আসাদুজ্জামান, উপজেলা প্রকৌশলী খালিদ হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান রাজীব, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তকলিমা খাতুন,সহ উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, এনজিও কর্মী সহ স্কুল কলেজের প্রধান শিক্ষকবৃন্দ।

সভায় দেশের চলমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় এবং জনগণের জানমাল রক্ষা ও সরকারের বিরুদ্ধে ছড়ানো বিভিন্ন গুজব সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করা হয়।

এ সময় বক্তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় যে সমস্ত গুজব ছড়ানো হচ্ছে সেই সমস্ত গুজব থেকে অভিভাবক শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষকে কান না দেওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে তাদেরকে সচেতন করে তোলার জন্য বিভিন্ন প্রচার প্রচারণা চালানোর বিষয়ে একমত পোষণ করা হয়।




বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের ব্যানারে কোটচাঁদপুরে গণমিছিল

১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের ব্যানারে কোটচাঁদপুরে অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে শান্তিপূর্ন গণমিছিলের কর্মসূচী পালিত করেছেন। আজ রবিবার বিকাল ৩ টার দিকে স্থানীয় মেইনবাসস্ট্যান্ড থেকে মিছিলটি বের হয়।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়,পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রবিবার বিকেল ৩ টার সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের ব্যানারে অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে গণমিছিল বের হয়। মিছিলটি মেইনবাসস্ট্যান্ড থেকে বের হয়ে বলুহর স্ট্যান্ডে যায়। এরপর কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে দিয়ে বাজার ঘুরে আবার মেইন বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হয়।

এ মিছিলের সঙ্গে একত্রতা প্রকাশ করেন বিএনপি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দরাও। এ ছাড়া মিছিলে নারীদের অংশ গ্রহনও ছিল চোখে পড়ার মত। মিছিলটিতে ১০ হাজারের উপর নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন বলে একাধিক সুত্রে জানা গেছে।

তবে মিছিলের আগে পরে পুলিশের কোন উপস্থিতি দেখা যায়নি।




প্যারিস অলিম্পিকে উগান্ডার চেপতেগেই রেকর্ড

প্যারিস অলিম্পিকে পুরুষদের ১০ হাজার মিটার দৌড় ইভেন্টে চরম নাটকীয়তা দেখল বিশ্ব। যেখানে রোমাঞ্চ উপহার দিয়ে স্বর্ণ জিতেছেন উগান্ডার ২৭ বছর বয়সী অ্যাথলেট জোশুয়া চেপতেগেই। তার হাত ধরেই এবারের অলিম্পিকে প্রথম পদকের দেখা পেল উগান্ডা। তবে এই পদক জয়ের পেছনে রয়েছে মিশ্র অভিজ্ঞতা।

গত পরশু রাতে লড়াইয়ে নেমেছিলেন ১৩ অ্যাথলেট। সেখানে ইথিওপিয়া থেকে সেলেমন বারেগা, ইয়োমিফ কেজেলচা ও বেরিহু আরেগায়ি ছিলেন। এর মধ্যে বেরিহু আরেগায়ি তিন বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, গেলবারের অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন। তিনিসহ দেশটির আরও দুই অ্যাথলেট দৌড়ানোর সময়ে কৌশল অবলম্বন করেছিলেন। শুরু থেকে বোঝা না গেলেও কিছুক্ষণ পরে সকলের সামনে সেটি পরিষ্কার হয়ে ওঠে। নিজেদের কৌশল নিয়ে আরেগায়ি বলেছেন, ‘আমরা দলগতভাবে একটা কৌশল গ্রহণ করেছিলাম। আমরা নিজেদের জায়গা ধরে রেখে বাকিদের পেছনে ফেলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমি দুঃখিত, আমরা স্বর্ণ জিততে পারলাম না।’

মূলত ইথিওপিয়ার এই তিন অ্যাথলেট চেয়েছিলেন, নিজেদের দেশকে স্বর্ণপদক এনে দিতে। এজন্য শুরু থেকেই ভাগ হয়ে কখনো একসঙ্গে দৌড়ে বাকিদের আলাদা রাখতে চেয়েছেন। যারা এগিয়ে যেতে চেয়েছেন তারা এই তিন জনের বাধার মুখে পড়েছেন। চেপতেগেই শুরু থেকেই সেটি বুঝতে পেরেছিলেন বেশির ভাগ সময় মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। শেষদিকে এসে আসল শক্তি দেখিয়ে দিয়েছেন। শেষের ৪০০ মিটার আগেও উগান্ডার এই দৌড়বিদ ছিলেন পেছনে। সেখান থেকে গতি বাড়িয়ে সবার আগে চলে আসেন। পেছন থেকে আরেগায়ি হাত দিয়ে ধরার চেষ্টা করেও পারেননি।

অন্যদিকে চেপতেগেইয়ের মতো ‘শেষ ভালো’ করে পদক তুলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের গ্রান্ট ফিশার। স্তাদে দে ফ্রান্সে চেপতেগেই ১০ হাজার মিটার দৌড় শেষ করেছেন ২৬ মিনিট ৪৩.১৪ সেকেন্ডে। অলিম্পিকের এই ইভেন্টে এটিই সবচেয়ে কম সময়ে দৌড় শেষ করার রেকর্ড। এর আগে রেকর্ড গড়েছিলেন ইথিওপিয়ার কেনেনিস বেকেলের। ২০০৮ বেইজিং অলিম্পিকে তিনি ২৭ মিনিট ১.১৭ সেকেন্ড সময় নিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন পরে সেই আসন দখল করলেন চেপতেগেই। ২৬ মিনিট ৪৩.৪৪ সেকেন্ড সময় নিয়ে রৌপ্য জিতেছেন আরেগায়ি। তার থেকে মাত্র ০.০২ সেকেন্ড বেশি সময় নিয়ে ব্রোঞ্জ জিতেছেন ফিশার। এ দিকে ছেলেদের অ্যাথলেটিকসে ১০ হাজার মিটার ইভেন্টে বিশ্ব রেকর্ডও চেপতেগেইরই দখলে তিনি ২৬ মিনিট ১১ সেকেন্ড সময় নিয়ে দৌড় শেষ করেছিলেন।

সূত্র: ইত্তেফাক




১২ জেলায় ৩১ জন নিহত

বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিন রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর পর্যন্ত ১১ জেলায় ৩০ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে মুন্সীগঞ্জে দুজন, মাগুরায় পাঁচ জন, পাবনায় তিনজন, রংপুরে তিনজন, সিরাজগঞ্জে তিনজন, বরিশালে একজন, ভোলায় তিনজন নিহত, বগুড়ায় একজন, জয়পুরহাটে একজন, ফেনীতে পাঁচজন, কিশোরঘঞ্জে ৩ জন ও কুমিল্লার দেবিদ্বারে একজন নিহত হয়েছেন।

মুন্সীগঞ্জ : মুন্সীগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। এ সময় ৭ জন গুলিবিদ্ধসহ ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

রোববার (০৪ আগস্ট) মুন্সিগঞ্জ শহরের সুপার মার্কেট ও কৃষি ব্যাংক মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণ, গুলিবর্ষণ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় ওই এলাকা রণক্ষেত্র পরিণত হয়।

গুলিবিদ্ধ হয়ে দুজন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল।

মাগুরা : মাগুরায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাব্বী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। এছাড়া মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলায় ৪ জন নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

রোববার (০৪ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে শহরের পারনানন্দুয়ালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাব্বী নিহতের বিষয়ে জেলা বিএনপির নেতা অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রংপুর : রংপুরে দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। রোববার (০৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রংপুর পায়রা চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, মাসুম, খায়রুল ইসলাম খসরু ও পরশুরাম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রসিকের ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারাধন রায়। এর আগে বেলা ১১টার দিকে শহরজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় দুপক্ষই অবস্থান নেয়।

পাবনা : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে পাবনায় গুলিতে তিনজন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। রোববার (০৪ আগস্ট) দুপুরে শহরের এ হামিদ রোডের ট্রাফিক মোড়ে বিক্ষোভ চলাকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পাবনা সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। নিহতরা হলো, মহিবুল (১৬), জাহিদ (১৯) ও ফাহিম।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আন্দোলনকারীরা শহরের ট্রাফিক মোড়ে অবস্থান নেন। এ সময় তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। তাদের সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে আন্দোলনকারীরা সদর হাসপাতাল সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন।

হাসপাতালের সহকারী পরিচালক সহকারী পরিচালক ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, গুলিবিদ্ধ তিনজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে দুজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।

সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জে শহরের সব রুট দখলে নিয়েছে বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনকারী ছাত্ররা। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে জেলা বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা। এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় শহরের এসএস রোডে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনজন নিহত হয়েছেন। তারা হলেন, যুবদল নেতা রন্জু (৪০), ছাত্রদল নেতা সুমন (৩০) ও যুবদল কর্মী আব্দুল লতিব (৪২)।

রোববার (৪ আগস্ট) সকাল থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে আন্দোলনকারীরা। কয়েক ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় শহরের বাজার স্টেশন, এসএস রোড, মুজিব সড়ক, রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

সংঘর্ষে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে বলে জানা গেছে। তার পরিচয় জানা যায়নি। এ ছাড়া ৭ জন গুলিবিদ্ধসহ ১৪ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

সংঘর্ষের এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা পিছু হটলে পুরো শহর দখল করে নেয় আন্দোলনকারী ছাত্র ও বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা ড. জান্নাত আরা হেনরীর বাসা, জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়, সাবেক এমপি হাবিবে মিল্লাত মুন্নার বাসা, আওয়ামী নেতা বিমল কুমার দাসের বাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

এ ছাড়া জেলা জজ আদালত, এসিল্যান্ড অফিস, মুক্তির সোপান স্মৃতিসৌধ, শিল্পকলা একাডেমিসহ শহরের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

এদিকে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে চয়ন ইসলাম এমপির বাসা ভাঙচুর করা হয়। বেলকুচি ও উল্লাপাড়া আওয়ামী লীগ অফিসে আগুন দেওয়া হয়।

সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট ডা. রতন কুমার জানান, এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ১৪ জন ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ৭ জন গুলিবিদ্ধ।

সিরাজগঞ্জ সদর থানার ওসির সিরাজুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, আমরা তিনজন নিহতের খবর শুনেছি। কিন্তু নিশ্চিত হতে পারিনি।

বরিশাল : বরিশালে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের বাড়িতে হামলার সময় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আন্দোলনকারীদের হামলায় মহানগর ১২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি টুটুল চৌধুরী নিহত হয়েছেন। পরে আন্দোলকারী প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের বাড়ির সামনে ১১টি মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছে।

ভোলা : ভোলার নতুন বাজারে আইনশৃঙ্খলনা রক্ষাকারী বাহিনী গুলিতে তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে জসিম উদ্দিন (৭০) নামে একজন ছাতা শ্রমিকের পরিচয় জানা গেলেও দুইজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তাদের বয়স ২০ থেকে ২২ বছর বলে জানা গেছে। রোববার দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।

এসময় আন্দোলনকারীদের হামলায় দুই পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। পরে আন্দোলনকারীরা আ.লীগ অফিস, শ্রমিক লীগ অফিস ও পৌরসভা ভাঙচুর চালিয়ে দুটি গাড়িতে আগুন দেয়। এ সময় ডিসি অফিসের দুটি গাড়িতেও আগুন দেয় তারা।

বগুড়া : বগুড়ায় অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।

রোববার (০৪ আগস্ট) বগুড়ার সাতমাথায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। এসময় বগুড়া টিএনটি অফিস, আওয়ামী লীগ, ছাত্র ইউনিয়ন ও জাসদ অফিস, টাউন ক্লাব, সদর ভূমি অফিস ও আওয়ামী লীগ নেতার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা।

এদিকে আন্দোলনকারী এবং আওয়ামী লীগ কর্মীদের উপর্যুপরি ককটেল বিস্ফোরণ এবং পুলিশের টিয়ার সেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় শহরের কেন্দ্রস্থল সাতমাথা এলাকা। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ করায় ধোঁয়াচ্ছন্ন হয়ে পরে পুরো শহর।

জয়পুরহাট : জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযাগ আন্দোলনের প্রথম দিনে দফায় দফায় সংঘর্ষে মেহেদী হাসান নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কমপক্ষে ৭০ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। আহতদের জয়পুরহাট ২৫০ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রোববার (৪ আগস্ট) দুপুরে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ মিছিল থেকে গিয়ে জেলা আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় দলীয় কার্যালয়ে থাকা সংসদ সদস্য সামছুল আলম দুদু, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রাজা চৌধুরী, মীর মোয়াজ্জেম, মাহমুদ হোসেন হিমু, অন্তত ১০-১২ জন আহত হয়। তাদেরকে উদ্ধার জয়পুরহাট ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ফেনী : ফেনীতে অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থকদের সঙ্গে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে পাঁচ আন্দোলনকারী নিহত হয়েছেন। রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী মহিপাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম ও পরিচয় জানা যায়নি।

ফেনী ২৫০ শয্যা জেলারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আসিফ ইকবাল কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কিশোরগঞ্জ : কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে জেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম টিটুর বাসার আগুন নেভানোর সময় দুইজন কেয়ারটেকার ও স্ট্রোক করে একজন ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। রোববার দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।

দেবিদ্বার (কুমিল্লা) : কুমিল্লার দেবিদ্বারে দুপক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে গুলিতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর দেড়টায় দেবিদ্বার আজগর আলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ২৪ জন আহত হয়েছেন।

নিহত যুবকের নাম আব্দুর রাজ্জাক রুবেল (৩৩)। তিনি দেবিদ্বার পৌর এলাকার বারেরা গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে।

রুবেলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলী এহসান। তিনি বলেন, রুবেলের মরদেহ শনিবার দেড়টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। আমরা পরীক্ষা করে দেখেছি তার মৃত্যু হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, দেবিদ্বার নিউ মার্কেট স্বাধীনতা চত্বরে অবস্থা নেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী। স্বাধীনতা চত্বর থেকে কিছুটা দূরে অবস্থান নেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এর মধ্যে গুলিবিদ্ধ হন রুবেল।




মেহেরপুরে আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ মিছিল, সাংবাদিক আহত

সরকার পদত্যাগের একদফা দাবিতে ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসেবে মেহেরপুরে সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্র-জনতা।

সকাল ১১টার দিকে মেহেরপুর সরকারি কলেজ মোড়ে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন এবং সরকার পতনের দাবী করে বিভিন্ন শ্লোগান তোলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারীরা শ্লোগান দেন, “এক দফা এক দাবী, শেখ হাসিনা কবে যাবি, আমার ভাই মরলো কেনো শেখ হাসিনা জবাব দে”।

আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ মিছিলে আটকে পড়ে শহরের বিভিন্ন যানবাহন। আটকে দেওয়া হয় মেহেরপুর-কুষ্টিয়া, মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়ক ও মুজিবনগর সড়ক। ফলে ঘন্টাব্যাপী যানজটের সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের ‘একদফা এক দাবি শেখ হাসিনার পদত্যাগ’,  দিয়েছি তো রক্ত, আরও দিবো রক্ত’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার’, ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, – আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরেসহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা গেছে।

আন্দোলনকারীরা বলেন, সোনার বাংলায় বৈষম্যের কোন ঠাই হবে না। আমাদের যৌক্তিক আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের উপর হামলা, গুলি, টিয়ারসেল মারা হয়েছে। আমাদের অসংখ্য ভাই, সাধারণ মানুষ শহীদ হয়েছে। এখন আমরা এক দফা দাবি সরকারের পদত্যাগ চাই। এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। আমাদের আন্দোলন চলবে।

সরেজমিনে দেখা গেছে , মেহেরপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আন্দোলনকারীরা মেহেরপুর সরকারি কলেজ মোড়ে আসতে শুরু করেন। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষও এই কর্মসূচিতে যোগ দেন।

এদিকে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ লাঠি দিয়ে দায়িত্বরত অবস্থায় প্রথম আলোর মেহেরপুর প্রতিনিধি আবু সাঈদকে বেদম মারধর করে। আবু সাঈদকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া স্বেচ্ছাসেবক লীগের মিছিলের ছবি নিতে গেলে যুগান্তরের মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি তোজাম্মেল আযমের মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়া হয়। পরে মোবাইল ফোনটি দিয়ে দেন তারা।

এদিকে মেহেরপুর শহরে যুবলীগ, গাংনীতে মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ডাক্তার এএসএম নাজমুল হক সাগর, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ খালেক ও মুজিবনগরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগের উদ্যোগে সন্ত্রাস বিরোধী মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।




আবারও মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিন চলছে। রাজধানীর শাহবাগসহ কয়েক জায়গায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ অবস্থায় সাত দিনের মাথায় আবারও ফোর-জি নেটওয়ার্ক বন্ধ করা হয়েছে।

রোববার (৪ আগস্ট) বেলা ১২টার পর সরকারি একটি সংস্থার নির্দেশে ফোর-জি সেবা বন্ধ করা হয়। ফোর-জি বন্ধ থাকলে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় না। তখন শুধু টু-জির মাধ্যমে কথা বলা যায়।

মোবাইল অপারেটরদের সরকারি একটি সংস্থা বলেছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ফোর-জি নেটওয়ার্ক বন্ধ থাকবে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ-সংঘাতের জেরে গত ১৭ জুলাই রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট ও ১৮ জুলাই রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

পাঁচ দিন পর গত ২৩ জুলাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সীমিত পরিসরে ফেরে। আর ১০ দিন পর গত ২৮ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট চালু হয়।

সূত্র: ইত্তেফাক




দর্শনায় বঙ্গবন্ধুর ৪৯ তম শাহদত বার্ষিকী পালনে প্রস্তুতিমূলক

বিদেশি দূঃসাশনে লাঞ্ছিত নিপিড়িত ও অবহেলিত বাঙ্গালী জাতিকে মুক্তির পথ দেখিয়ে ছিলেন দূরদম, দূর্জয়, নির্ভিক মহাপ্রাণ, বাংলার শ্রেষ্ট বীর, কিংবদন্তি নেতা, বাঙ্গালী জাতির হৃদয় স্পন্দন, বাংলার মহানায়ক, হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙ্গালী, অসাংবাদিত নেতা, বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমান। বঙ্গবন্ধুর ৪৯ তম শাহদত বার্ষিকী পালনে দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ব্যপক প্রস্তুতি গ্রহন করা হচ্ছে।

গতকাল শনিবার সকাল ১১ টা ও বিকালে দর্শনায় প্রস্তুতিমূলক মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পৃথক এ দুটি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের পরপর ৪ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য, জনপ্রিয়, জননন্দিত জননেতা হাজি আলী আজগার টগর বলেন, স্বাধীননতা মহানায়ক বন্ধুবন্ধু শেখ মজিবর রহমানের ৪৯ তম শাহদত বার্ষিকীতে শোকবকে শক্তিত পরিণত করে, মুজিব চেতনায় জাগ্রত হয়ে শফত নিতে হবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সোনার বাংলাদেশে যারা অহেতুক অরাজকতা সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ স্বিকারের অপচেষ্টা করছে, সেই স্বাধীনতা বিরোধীদের শক্তহাতে প্রতিহত করার। পচাত্তরের ১৫ আগষ্ট যারা জাতীর জনককে স্বপরিবারের হত্যা করেছিলো সে স্বাধীনতা বিরোধী চক্র আবারো মাথাচারা দিয়ে উঠেছে।
পৃথক এ দুটি মতবিনিময়সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু, জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান।

এমপি আলী আজগার টগরের আয়োজনে এ সভায় আরো বক্তব্য দেন, দর্শনা পৌর মেয়র আতিয়ার রহমান হাবু, দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী, সহসভাপতি শফিকুল আলম, যুগ্নসম্পাদক গোলাম ফারুক আরিফ, ইউপি চেয়ারম্যান, কামাল উদ্দিন, শফি উদ্দিন, ইয়ামিন, শফিকুর রহমান রাজু, আ. করিম, শুকুর আলী, হযরত আলী, নিজাম উদ্দিন, মিল্টন মোল্লা, রবি বিশ্বাস, তাহাজ্জত মির্জা, সোহরাব হোসেন খান, আব্দুল হান্নান, মির্জা লিটন, আ্দুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা সেকেন্দার আলী, জাহাঙ্গীর আলম, শুকুর আলী, আ. মালেক মোল্লা, জসিম উদ্দিন, গোলাম রসুল, প্রদীপ বিশ্বাস, মুন্তাজ আলী, বিল্লাল হোসেন, নজির আহমেদ, জিয়াবুল হক, শফিউল কবীর ইউসুফ, জাহিদুল ইসলাম, আবু তালেব, আবু সাঈদ খোকন, খলিলুর রহমান ভুট্রো, আজাদুল ইসলাম, স্বপন, আব্দুল হাকিম, দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল হান্নান ছোট, সহসভাপতি সোলায়মান কবির, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজু আহমেদ রিংকু প্রমুখ।




মেহেরপুরে ফুটবল টুর্নামেন্টের অনিয়মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

মেহেরপুর সদর উপজেলার আশরাফপুর জনকল্যাণ ক্লাব কর্তৃক আয়োজিত মরহুম ছহিউদ্দিন বিশ্বাস স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট কমিটির ভুল সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে এবং অনিয়মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।

কোমরপুর বিজয় নিশান ক্লাবের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন আজ শনিবার রাতে মুজিবনগর উপজেলার মহাজনপুর ইউনিয়নের কোমরপুর বিজয় নিশান ক্লাব এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আশরাফপুর জনকল্যাণ ক্লাব কর্তৃক আয়োজিত “মরহুম ছহিউদ্দিন বিশ্বাস স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট” আমরা, কোমরপুর বিজয় নিশান ক্লাব গত ০৭/০৭/২৪ ইং তারিখ রবিবার প্রথম রাউন্ডের খেলায় অংশগ্রহণ করি এবং পরবর্তীর সকল ম্যাচ জয় লাভ করে গত ২৯ জুলাই সোমবার সেমিফাইনাল ম্যাচে মেহেরপুর বন্ধু একাদশ ক্লাবের বিপক্ষে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করি। উক্ত খেলায় দ্বিতীয়ার্থে কোমরপুর বিজয় নিশান ক্লাব একটি গোল করে। রেফারি গোলের বাঁশি দেওয়ার পরপরি মেহেরপুর বন্ধু একাদশ রেফারি সিদ্ধান্তকে অমান্য করে মাঠে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, যা উক্ত টুর্নামেন্টের টাইয়ের ৮ নম্বর শর্ত কে অমান্য করে।

এরপর নিয়ম না থাকা সত্ত্বেও ভিডিও রিভিউ করা হয়। তারপর রেফারি, সহকারী রেফারি, কমিটি মাইকে ঘোষণা করে গোলের পক্ষে সিদ্ধান্ত দেন। এই প্রক্রিয়ায় আনুমানিক ২০ মিনিট খেলা বন্ধ থাকার পর খেলা মাঠে করায় এবং খেলাটি স্বাভাবিকভাবে চলতে থাকে। তখন স্কোর লাইন হয়, কোমরপুর বিজয় নিশান ক্লাব ১ মেহেরপুর বন্ধু একাদশ ০। এমতাবস্থায় খেলা শেষ বাসি বাজার আগ মুহূর্তে মেহেরপুর বন্ধু একাদশের সমর্থকরা লাইস ম্যানের উপর চড়াও হয় এবং পারমাণবিক শারীরিক নির্যাতন করে আহত করে যা বর্বরতার পরিচয় দেয়। যা উক্ত টাইয়ের ৯ নং শর্ত “খেলা চলাকালীন সময়ে খেলোয়াড় অথবা সমর্থকরা কোন বিশৃঙ্খলা করলে উত্তর টিমকে বাতিল বলে ঘোষণা করা হবে”। যা এই শর্তের সরাসরি লংঘন করে।

এরপর পুরো মাঠ ধরে তীব্র বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। এমতাবস্থায় খেলোয়াড়, রেফারি, সহকারি রেফারি, লাইসম্যান এবং সকল দর্শকের নিরাপত্তার স্বার্থে কমিটি মাইকে ঘোষণা করে আপনারা নিরাপদ স্থানে অবস্থান করুন এরপর আর মাঠে খেলা গড়ানো সম্ভব হয়নি। কমিটির আইন অনুযায়ী মেহেরপুর বন্ধু একাদশ ক্লাব টুর্নামেন্ট থেকে বরখাস্ত হওয়ার কথা এবং কোমরপুর বিজয় নিশান ক্লাব সরাসরি ফাইনালে খেলার যোগ্যতা রাখে।
তা সত্বেও কমিটি কোমরপুর বিজয় নিশান ক্লাবকে পুনরায় মেহেরপুর বন্ধু একাদশ ক্লাবের সাথে ম্যাচ খেলার প্রস্তাব দেয়। যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং হাস্যকর। যা কোমরপুর বিজয় নিশান ক্লাব সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করে। পরবর্তীতে ১/৮/২৪ তারিখ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কমিটি কোমরপুর বিজয় নিশান ক্লাবের কোন প্রতিনিধির উপস্থিত ছাড়াই একতরফা সিদ্ধান্তের মাধ্যমে কোমরপুর বিজয় নিশান ক্লাবকে বহিষ্কার করে, যা ন্যাচারাল জাস্টিসের প্রিন্সিপাল কে লংঘন করে।

এই সম্পূর্ণ ঘটনা আমাদের জনপ্রশাসন মন্ত্রীর পিতা মরহুম ছহিউদ্দিন বিশ্বাসের নামে ঘোষিত টুর্নামেন্টকে কুলুষিত ও কলঙ্কিত করে। যা সমগ্র মেহেরপুরবাসীর জন্য চরম লজ্জারও হতাশার। এমত অবস্থায় আমাদের এবং সমগ্র মেহেরপুরবাসীর অভিভাবক মেহেরপুর ১ আসনের সংসদ সদস্য, ফরহাদ হোসেন স্যারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যেন, যোগ্য দল হিসেবে কোমরপুর বিজয় নিশান ক্লাবকে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা প্রদান করে উক্ত টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচে খেলানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে মহাজনপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মইনুদ্দিন ময়না, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, আব্দুর রশিদ বল্টু, কমিটির সদস্য মাদার আলী, ফেরদৌস আলী, অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম সাহেব, মফিজুর রহমান মফিজ, আরিফুল ইসলাম মিলন, সানোয়ার হোসেন সেন্টু, আনিসুর রহমান টিপু, আব্দুল মাবুদ, সাবেকিউবে সদস্য সানাউল হোসেন, আজিজুল ইসলাম, বিল্লাল হোসেন, তুয়াজ আলী, সোনা গাইন, আরিফুল ইসলাম মিঠু, ইউনুস আলী হাজী মোঃ আতিকুল্লাহ সোহাগ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




ধর্ষককে গ্রেফতারের দাবীতে আলমডাঙ্গা প্রসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন

আলমডাঙ্গা উপজেলার খাস বাগুন্দা গ্রামের রমজান আলীর ছেলে ধর্ষক আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে লিখিত সংবাদ সম্মেলন করেন ধর্ষিতার পক্ষে মানবতা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক এ্যাডঃ মানি খন্দকার।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মানবতা ফাউন্ডেশনের গন সংযোগ কর্মকর্তা হাফিজ উদ্দিন হাবলু,অপারেশন অফিসার এ্যাডঃ জিল্লুর রহমান জালাল,মোটিভেশন অফিসার জাকিয়া সুলতানা ঝুমুর।

বেলা বারোটার দিকে আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে ফাতেমা খাতুনের পক্ষে মানি খন্দকার লিখিত বক্তব্য বলেছেন আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী মোসাম্মৎ ফাতেমা খাতুন (২০) পিতা মৃত খেদের আলী মাতা মোসাম্মৎ মর্জিনা খাতুন শংকরচন্দ্র, থানা চুয়াডাঙ্গা সদর, জেলা চুয়াডাঙ্গা, এপি বাসা নম্বর ২৭৪ ( ছাপাখানা মোড়) থানা মিরপুর মডেল ঢাকা জন্ম নিবন্ধন নম্বর ২০০৪১৮১২৩৭১১২৭২৯৬,মোবাইল নাম্বার ০১৯৯৯৫৬১৪১৪,আমার মা ও ভাবিকে সঙ্গে নিয়ে থানায় আসিয়া আসামি ১। আলাউদ্দিন (৪৩) পিতা মোহাম্মদ রমজান আলী  মাতা সাহিদা বেগম, সাং খাস বাগুন্দা,থানা আলমডাঙ্গা জেলা চুয়াডাঙ্গা জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর ৬৪৫৮২৯৩৬৫৮ এর বিরুদ্ধে এই মর্মে এজাহার দায়ের করিতেছে যে,আমার বাবা মারা যাওয়ার পর সাংসারিক অভাব অনটনের কারণে আমার মা আমাকে আমার চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী মোসাম্মৎ সুলতানা ইভা এর বাসায় রাখেন। আমি প্রায় ১৩ বছর ধরে আমার ভাবি মোছাম্মৎ ইসমাত সুলতানার সাথে তার বাসায় বসবাস করিয়া আসতেছি।চাকরির সুবাদে আমি ভাবির সাথে মিরপুর মডেল থানাধীন (ছাপাখানা মোড়)বাসা নম্বর ২৭৪ তে বসবাস করি। আসামি মোহাম্মদ আলাউদ্দিন ৪৩, আমার ভাবি মোসাম্মৎ কিসমত সুলতানা এর আমেরিকান প্রবাসী আপন শাশুড়ি

মোছাম্মদ নাদিরা বেগমের দ্বিতীয় স্বামী হাওয়াই প্রায়ই উক্ত বাসায় যাওয়া আশা করতে থাকেন। আসামি বাসায় আসিয়া প্রায়ই অবস্থান করিতেন। আমার ভাবি উপজেলা কৃষি অফিস নারায়ণগঞ্জ, ঢাকায় কর্মরত এবং তাহার স্বামী বেসরকারি চাকরির সুবাদে প্রতিনিয়ত আমাকে বাসায় একা রেখে যেতেন। তার স্ত্রী সরকারি চাকরির সুবাদে প্রতিনিয়ত আমাকে বাসায় একা রেখে কর্মস্থলে যাইতেন। প্রতিদিনের ন্যায় ১৫/২/২০২৪ তারিখ সকাল অনুমান ৮ ঘটিকার  সময় ভাবি ও তার স্বামী আমাকে ও তার সৎপিতা আসামিকে ঢাকা মিরপুর থানাধীন ছাপাখানা মোড় বাসা নম্বর ২৭৪(৬তলায়) এর বাসায় রাখিয়া তাদের দুই সন্তানকে দিয়ে অফিসে যান। একই তারিখ বেলা অনুমান ১১ টার সময় আমি বারান্দায় বসে থাকা অবস্থায় আসামি আমাকে কাজের কথা বলিয়া রুমে ডেকে নিয়ে যায়।

একপর্যায়ে স্ত্রী আমেরিকার প্রবাসী হাওয়াই, আসামির স্ত্রী তাহাকে আমেরিকায় নিয়ে যাবে বলে প্রলভন দেই,বলেন আমি বিদেশ চলে গেলে তোমাকে আমেরিকায় নিয়ে যাওয়া সহ আমার নামের সম্পত্তি দিয়া ও আমাকে বিবাহ করবে বলিয়া বিভিন্ন  প্রলোভন  দেখাইয়া আমার পরণে থাকা সালোয়ার কামিজ খুলিয়া ধর্ষণ করেন। এরপর হইতে আসামি বিভিন্ন সময় উক্ত সময় আসিয়া আমাকে বিবাহের প্রলভন দেখাইয় ধর্ষণ করতে থাকেন। আসামি সর্বশেষ গত ৮/ ৫/ ২০২৪ তারিখে বেলা অনুমান ১১ ঘটিকার সময় আমাকে উক্ত বাসার আসামির স্বয়ন কক্ষের মধ্যে ধর্ষণ করে।পরবর্তীতে আমি অন্তঃসত্তা হইলে বিষয়টি আমার ভাবিকে বিস্তারিত জানালে ভাবি ঘটনার বিবরণ শুনিয়া আমার মা ও ভাই সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যের সাথে আলোচনা করেন ঘটনার বিস্তারিত আমার মা ভাই ও পরিবারের সাথে আলোচনা করিয়া তাহাদের সহায়তায় মিরপুর মডেল থানায় আসিয়া এজাহার দাখিল করি।মীরপুর মডেল থানার শিশু নির্যাতন  মামলা নং২৬ তারিখ ৯/৬/২৪।বাদী মোছা ফাতেমা খাতুন।




আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার জন্য আর্জেন্টাইন ফুটবলারের প্রার্থনা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে গত কয়েকদিনে শত শত মানুষের প্রাণ হারানোর শোকে স্তব্দ বাংলাদেশ। এই শোকের ছায়া পড়েছে বিশ্বব্যাপী। এবার ১৭ হাজার ৫০ কিলোমিটার দূরের দেশ আর্জেন্টিনার ফুটবলার এনজো ফার্নান্দেজও আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার পাশে দাঁড়ালেন।

ছাত্র-জনতা গত কয়েকদিন ফেসবুকে কয়েকটি প্রোফাইল পিকচার ব্যবহার করছেন। লাল রঙ ছাড়াও একটি ছবিতে দেখা যায়, লাল রঙের কাপড় দিয়ে চোখ বাঁধা, ব্যাকগ্রাউন্ডে বাংলাদেশের পতাকা। এমনই একটি ছবি ফেসবুকে এমন ছবি প্রকাশ করেছেন এনজো ফার্নান্দেজ।

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আমার সকল বাংলাদেশি ভক্তরা, আমি আপনাদের কথা সুনতে পাচ্ছি এবং আপনাদের জন্য প্রার্থনা করছি।’

মাত্র এক ঘণ্টায় ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষের রিয়্যাক্ট এবং ৪০ হাজার শেয়ার হয়েছে পোস্টটি। কমেন্টস করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন বাংলাদেশিরা।

কমেন্ট বক্সে হাবিবা নাসরিন নামের একজন লিখেছেন, ‘আপনার পা ধোয়া পা‌নি কোথা থে‌কে সংগ্রহ করা যা‌বে ভাই? আমা‌দের কিছু প্লেয়ার‌দের খাওয়াতাম আর কী!’

মিজানুর রহমান নামের একজন লিখেছেন, ‘ভালোবাসা দিলে সেটার প্রতিদান পাওয়া যায়, আপনি তার জ্বলন্ত প্রমাণ।’

শান্ত নামের একজন কমেন্ট বক্সে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের অনুভূতিকে সম্মান করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।’

প্রসঙ্গত, গত বিশ্বকাপের সময়ে পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে আর্জেন্টিনার প্রতি বাংলাদেশিদের আবেগ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্জেন্টিনার খেলা দেখার দৃশ্য নিয়ে মাতামাতি হয় আর্জেন্টিনাজুড়ে। লিওনেল মেসিও এটা নিয়ে কথা বলেন, কৃতজ্ঞতা জানান। আর্জেন্টাইনরা এরপর থেকেই বাংলাদেশকে নিয়ে বাড়তি আবেগ দেখাচ্ছেন।

সূত্র: ইত্তেফাক