মুজিবনগরে বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পের প্রায় ২ কোটি টাকা আত্মসাৎ, পিপু সদস্য ও কর্মচারীদের প্রতিনিয়ত প্রকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা সহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ এনে ইউনিয়ন পরিষদকে দুর্নীতিমুক্ত এবং একটি স্বচ্ছ ইউনিয়ন পরিষদ গড়তে চেয়ারম্যানের অপসারণ চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ৩ নং বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের ১০ ইউপি সদস্য।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ৩৯ ধারামোতাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এক নম্বর প্যানেল চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ড সদস্য সোহরাব হোসেন সদস্যদের পক্ষ হতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

বক্তব্যে বলা হয়েছে, আমরা নিম্ন স্বাক্ষরকারীগণ মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলাধীন ০৩ নং বগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সদস্যবৃন্দ। গত ১১ ই নভেম্বর ২০২১ খ্রিঃ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার গত ২২ শে ডিসেম্বর ২০২১ খ্রিঃ শপথ গ্রহণ করি। শপথ গ্রহণ করিয়া দায়িত্ব গ্রহণ করার পর হইতে পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব আয়ুব হোসেন বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করিয়া আসিতেছে। তাকে কোন কিছুর বিষয়ে প্রশ্ন করতে গেলে সে ওয়ার্ড সদস্য সহ ইউনিয়ন পরিষদের সকল কর্মচারী এবং সেবা নিতে আসা মানুষদের সাথে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজহ দুর্ব্যবহার করেন।

আমরা নিম্ন স্বাক্ষরকারী সদস্যগণ তার এরুপ কার্যকলাপে বাধা প্রদান করিলে তিনি কোনরুপ কর্ণপাত না করিয়া তাহার লোকজন দ্বারা বিভিন্ন অপমানজনক কথাবার্তা সহ হাত পা ভাঙ্গা এবং মারধরের হুমকি প্রদান করে। পরিষদের সদষ্যদের কোনরুপ মতামত গ্রহণ না করিয়া চেয়ারম্যান স্বেচ্ছাচারিতামূলক বিভিন্ন কার্যকলাপ নিজের খেয়াল খুশি মত বিভিন্ন মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যকলাপের সাথে যুক্ত আছে।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্যরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে চেয়ারম্যানের দুর্নীতির তদন্তপূর্বক তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন এবং তাকে অপসারণের দাবি জানান।
এ বিষয়ে গত বুধবার মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ১০ জন ইউপি সদস্যের স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিয়েছি।
এসময় বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের প্রাক্তন ওয়ার্ড সদস্যবৃন্দ তাদের সাথে একা একাত্মতা প্রকাশ করেন। বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের প্রাক্তন ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন,  এই চেয়ারম্যান আমাদের সাথেও দুর্ব্যবহার করত। এই চেয়ারম্যানের কাছে আমরা আমাদের ৩২ মাসের সম্মানী ভাতা পাওয়া আছে। তিনি আমাদের বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়ে এই সম্মানী ভাতার টাকা আত্মসাৎ করেছে। আমরা সেই সম্মানের ভাতার টাকা এখন ফেরত চাই।

বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের আরেক সাবেক সদস্য জাকির হোসেন বলেন আমরা চেয়ারম্যানের দুর্ব্যবহারের শিকার হয়েছি আমরা বিএনপির মেম্বার ছিলাম তাই আমাদের ৩২ মাসের সম্মানে ভাতার টাকা বিভিন্ন মামলা হামলার ভয় দেখিয়ে সে আত্মসাৎ করেছে। একই ভাবে এই পরিষদের ১২ জন প্রাক্তন ওয়ার্ড সদস্যের সন্মানি ভাতার টাকা সে আত্মসাৎ করেছে। আমরা তার কাছে এই টাকা ফেরত চাই। এবং এই ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তার অপসারণ চাই এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আমরা একটি অভিযোগ পত্র দিয়েছি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন,১ নং ওয়ার্ড সদস্য রফিকুল ইসলাম,, ২ নং ওয়ার্ড সদস্য সিবাস্তিন মল্লিক, ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য রমজান আলী, ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য বাবুল মল্লিক, ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য ওমর ফারুক, ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য রিপন আলী,১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য আফরোজা রোজ, ৪,৫,ও ৬ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য মাবিয়া খাতুন, সাবেক সদস্য নজরুল ইসলাম,শংকর বিশ্বাস,দিলিপ মল্লিক,লক্ষি মন্ডল,কোমরউদ্দীন সেলিম,বগা মোল্লা,আনারুল ইসলামসহ ১২ জন সাবেক সদস্য।

সংবাদ সম্মেলন শেষে বর্তমান ইউপি সদস্য ও সাবেক ইউপি সদস্যরা মিলে চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন।




জনবল নেবে সেভ দ্য চিলড্রেন

জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন। প্রতিষ্ঠানটি স্টার্ট ফান্ড বাংলাদেশ বিভাগ প্রজেক্ট অফিসার পদে একাধিক জনবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত প্রার্থীরা মাসিক বেতন ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী আরও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: সেভ দ্য চিলড্রেন

পদের নাম: প্রজেক্ট অফিসার

বিভাগ: স্টার্ট ফান্ড বাংলাদেশ

পদসংখ্যা: ০১টি

শিক্ষাগত যোগ্যতা: ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ/দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা/সামাজিক বিজ্ঞান/ভূগোল এবং পরিবেশে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি

অন্যান্য যোগ্যতা: ডাটা ম্যানেজমেন্টে অভিজ্ঞতা। ইংরেজিতে ভালো লিখিত এবং মৌখিক যোগাযোগ দক্ষতা।

অভিজ্ঞতা: কমপক্ষে ২ বছর

চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক

কর্মক্ষেত্র: অফিসে

প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ (উভয়)

বয়সসীমা: উল্লেখ নেই

কর্মস্থল: ঢাকা

বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে

অন্যান্য সুবিধা: প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী

আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

আবেদনের শেষ সময়: ৩১ আগস্ট ২০২৪




নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব হচ্ছেন শেখ আব্দুর রশীদ

নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব হচ্ছেন ড. শেখ আব্দুর রশীদ। তিনি বর্তমানে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে সিনিয়র সচিব হিসেবে কাজ করছেন।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের চুক্তি বাতিল করে আব্দুর রশীদকে মন্ত্রিপরিষদের সচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। দুএক দিনের মধ্যে তাকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এর আগে ড. শেখ আব্দুর রশীদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।

তারও আগে গত ১৩ আগস্ট পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান পদ থেকে ড. এম খায়রুল হোসেন পদত্যাগ করায় নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন ড. শেখ আব্দুর রশীদ।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে অতিরিক্ত সচিব থেকে অবসরে যান তিনি। অতিরিক্ত সচিবের দায়িত্বে থেকে অবসরে যাওয়া এই কর্মকর্তা বিসিএস ৮২ ব্যাচের কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি তার ব্যাচে ফার্স্ট হয়েছিলেন।

সূত্র: কালবেলা




ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপে হামলার প্রতিবাদে মেহেরপুরে প্রতিবাদ

কালের কণ্ঠসহ ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া কমপ্লেক্সের সকল মিডিয়া কার্যালয়ে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ ও জড়িতদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবিতে মেহেরপুরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ  বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে থেকে ঘন্টা ব্যাপী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের চত্ত্বওে এ প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেন কালের কণ্ঠ পত্রিকার মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি ইয়াদুল মোমিন।

নিউজ ২৪ টেলিভিশনের মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি ডালিম সানোয়ারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তোজাম্মেল আযম, বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিনিধি মাহবুবুল হক পোলেন, বাংলানিউজের জেলা প্রতিনিধি জুলফিকার আলী কানন, বাসস প্রতিনিধি দিলরুবা খাতুন, গাংনী উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আমিরুল ইসলাম অল্ডাম, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী সাদ আহমেদ, সাংবাদিক এস আই বাবু, সাজিজুল ইসলাম রাশেদুজ্জামান প্রমুখ। প্রতিবাদ সমাবেশে মেহেরপুরের কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিককেরা অংশ নেন।

বক্তারা ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়ায় হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, কালের কণ্ঠসহ ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের হামলাকারীরা ইতোমধ্যে চিহিৃত হয়েছে। তাদেও গ্রেফতার কওে আইনের আওতায় এনে বিচার কার্যক্রম শুরু করতে হবে।

অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে বক্তারা আরও বলেন, সমাজের সকল অসঙ্গতি, সমস্যা ও সম্ভাবনা তুলে ধরা গণমাধ্যমের কাজ। সরকারকে গণমাধ্যমের পথচলা যাতে বাঁধাগ্রস্থ না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া হাউজের সাতটি প্রতিষ্ঠানে ন্যক্কারজনক হামলায় দেশের স্বাধীন গণমাধ্যম হতবাক। হামলাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে বিচার করার দায়িত্ব বর্তমান সরকারসহ ছাত্র-জনতার কাছে দাবি জানিয়েছেন।

বক্তারা আরও বলেন, স্বাধীন দেশে দিনে-দুপুরে মিডিয়ার ওপরে এই নগ্ন হামলা দুর্বৃত্তায়নের জানান দেয়। অচিরেই এই দূর্বৃত্তায়নের চর্চা বন্ধ করতে হবে।




সন্তানের একমাত্র আয়নায় অভিভাবকরা

প্রত্যেকটা সন্তানের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও মানসিক বিকাশ কেমন হবে তা পুরোটাই নির্ভর করে পরিবারের ওপর এবং সেই পরিবারের অন্যতম দায়িত্ব পালন করে সেই সন্তানের অভিভাবক। অভিভাবকের থেকে যা শিক্ষাই পাবে সে বড় হয়ে সেই রূপ শিক্ষাই তার জীবনে প্রকাশ করবে।

একজন শিশু তার বাবাকে তার মায়ের সঙ্গে যেমন আচরণ করতে দেখবে কিংবা তার বাবাকে তার দাদি’র সঙ্গে যেমন আচরণ করতে দেখবে সেই ধরনের আচরণগুলো তার মস্তিষ্কে একধরনের প্রভাব ফেলবে এবং সেই প্রভাবগুলো তার প্রতিদিনের বিকাশে কোনো না কোনো জায়গায় থেকে যাবে।

তাই মায়ের প্রতি বাবার এবং বাবার প্রতি মায়ের কিংবা একজন স্বামীর প্রতি একজন স্ত্রী বা স্ত্রী’র প্রতি একজন স্বামীর আচরণ সন্তানের জীবনে অনেক বড় ভূমিকা রাখে।

সন্তানের অভিভাবক শুধু যে মা-বাবাই হবে তা নয়। তার জীবনে অভিভাবক হিসেবে আয়নার দায়িত্ব ঘরের গুরুজনরাও করতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রেই মা-বাবা দুজনেই কর্মজীবনে ব্যস্ত থাকেন। সেক্ষেত্রে তাদের সন্তানদের বেড়ে ওঠাটাও একটু ভিন্ন হয়। তবে এই প্রভাবটা যেন সন্তানের বড় হওয়াতে কোনো ব্যাঘাত না ঘটায় সেই দিকটাও বিচার-বিবেচনা করতে হবে অভিভাবকদেরই।

প্রতিটা সন্তানের জীবনে তার দাদা-দাদি কিংবা নানা-নানির ভূমিকাও যে ব্যাপক তা নিয়ে একটা গবেষণা আছে। সেই গবেষণাটাই বলা যাক শিশুকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম দলে তারা ছিল, যারা বেড়ে ওঠার সময় অন্তত একজন গ্রান্ডপ্যারেন্টকে (দাদা-দাদি বা নানা-নানি এই চারজনের যেকোনো একজন) পাশে পেয়েছে।

দ্বিতীয় দলে ছিল তারা, যারা কাউকেই পায়নি। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শিশু তাদের নানা বা নানি, দাদা বা দাদির সঙ্গে বড় হয়েছে, তাদের মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটেছে তুলনামূলক ইতিবাচকভাবে। তাদের সমস্যা সমাধানের ক্ষমতাও অপর দলভুক্ত শিশুদের চেয়ে ভালো। এমনকি তাদের অসুখে ভোগার হারও ছিল কম। এসব শিশু বড় হয়ে হতাশায়ও ভুগেছে কম। এদের পারিবারিক বন্ধনও হয়েছে মজবুত। দেখা গেছে, বয়স ১৮ হয়ে যাওয়ার পরও তারা খুব কমই পরিবার ছেড়ে গেছে।

গবেষণায় বলা হয়েছে, যেসব শিশু তাদের গ্রান্ডপ্যারেন্টের সঙ্গে থেকেছে, তাদের ওপর ‘টক্সিক প্যারেন্টিং’ ও মা-বাবার নেতিবাচক সম্পর্কের প্রভাব কম। সেসব তাদের মানসিক বিকাশে খুব কমই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অভিভাবকের শাসন আদর সন্তানদেরকে লালন-পালন করা কেমন হবে তা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে অভিভাবকের মানসিক চিন্তা-ভাবনার ওপর। একজন সন্তানকে শান্তিপূর্ণভাবে বাড়িয়ে তুলতে হলে তার সাথে সেরূপ আচরণ করতে হবে এবং একজন সন্তানের ভবিষ্যৎ সুন্দর হওয়ার জন্য তার মা-বাবার শান্তিপূর্ণ আচরণই যথেষ্ট। একটা সুন্দর পরিবার, একজন অভিভাবকই পারেন সন্তানের জীবনে একটি স্বচ্ছ আয়নার ভূমিকা পালন করতে।

সূত্র: ইত্তেফাক




মুজিবনগরে মানসম্মত শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় সভা

মুজিবনগর বাংলাদেশ গুডনেইবারর্স বাংলাদেশ মেহেরপুর সিডিপি এর আয়োজনে, মানসম্মত শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ টার সময় মুজিবনগর উপজেলা অডিটরিয়ামে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

গুডনেইবারর্স মেহেরপুর সিডিপির ম্যানেজার সুব্রত টুডু এর সভাপতিত্বে এবং গুডনেইবারর্স মেহেরপুর সিডিপি সিনিয়র অফিসার (প্রোগ্রাম) রিফাত আল মাহমুদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাইরুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মামুন উদ্দীন আল আজাদ, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আলাউদ্দীন, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার হাসনাইন জাহিদ, গুডনেইবারর্স মেহেরপুর সিডিপি হেলথ অফিসার আহসানুল হক।

জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমতাভিত্তিক গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং জীবনব্যাপী শিক্ষালাভের সুযোগ সৃষ্টি। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট সকলের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমতাভিত্তিক গুনগত শিক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং জীবনব্যাপী শিক্ষালাভের সুযোগ সৃষ্টি। ২০৩০ সালের মধ্যে সকল ছেলে ও মেয়ে যাতে প্রাসঙ্গিক, কার্যকর ও ফলপ্রসূ অবৈতনিক, সমতাভিত্তিক ও গুনগত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করতে পারে তা নিশ্চিত করা

২০৩০ সালের মধ্যে সকল ছেলে ও মেয়ে যাতে প্রাথমিক শিক্ষার প্রস্তুতি হিসেবে প্রাক্-প্রাথমিক শিক্ষাসহ শৈশবের একেবারে গোড়া থেকে মানসম্মত বিকাশ ও পরিচর্যার মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠে তার নিশ্চয়তা বিধান করা।

কর্মসম্পাদন পরিমাপকল্পে প্রস্তাবিত বৈশ্বিক সূচক শিশু ও যুবসমাজের অনুপাত: (ক) ২য়/৩য় শ্রেণীতে; (খ) প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে; এবং (গ) নিম্নমাধ্যমিক শেষে, লিঙ্গ ভেদে (১) পঠন ও (২) গণিতে অন্ততপক্ষে একটি ন্যূনতম দক্ষতামান অর্জন।লিঙ্গ অনুযায়ী স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও মানসিক পরিপুষ্টতায় উন্নতির ধারায় রয়েছে এমন অনূর্ধ্ব ৫-বছর বয়সী শিশুদের অনুপাত।

লিঙ্গভেদে সংগঠিত শিক্ষায় অংশগ্রহণের হার (প্রাথমিক শিক্ষায় প্রবেশের বয়সসীমার এক বছর আগে)। লিঙ্গ ভেদে পূর্ববর্তী ১২ মাসে আনুষ্ঠানিক ও উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে যুব সম্প্রদায় ও বয়স্কদের অংশগ্রহণের হার।দক্ষতার ধরন অনুযায়ী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি)-তে দক্ষ যুবক ও বয়স্কদের অনুপাত।বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষালাভের সুযোগসহ সাশ্রয়ী ও মানসম্মত কারিগরি, বৃত্তিমূলক ও উচ্চ শিক্ষায় সকল নারী ও পুরুষের জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে সমান প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা।চাকুরি ও শোভন কর্মে সুযোগলাভ এবং উদ্যোক্তা হবার জন্য প্রয়োজনীয় কারিগরি ও বৃত্তিমূলক দক্ষতাসহ অন্যান্য প্রাসঙ্গিক 2024/08/29 তাসম্পন্ন যুবক ও প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠির সংখ্যা ২০৩০ সালের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়ানো।

অরক্ষিত (সংকটাপন্ন) জনগোষ্ঠীসহ প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠী, নৃ-জনগোষ্ঠী ও অরক্ষিত পরিস্থিতির মধ্যে বসবাসকারী শিশুদের জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে শিক্ষা ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের সকল পর্যায়ে সমান প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা এবং শিক্ষায় নারী পুরুষ বৈষম্যের অবসান ঘটানো নারী পুরুষ নির্বিশেষে যুবসমাজের সবাই এবং বয়স্ক জনগোষ্ঠীর একটি উল্লেখযোগ্য অংশ যাতে ২০৩০ সালের মধ্যে সাক্ষরতা ও গণন-দক্ষতা অর্জনে সফলকাম হয় তা নিশ্চিত করা।

অপরাপর বিষয়ের পাশাশাশি, টেকসই উন্নয়ন ও টেকসই জীবনধারার জন্য শিক্ষা, মানবাধিকার, নারী পুরুষ সমতা, শান্তি ও অহিংসামূলক সংস্কৃতির বিকাশ, বৈশ্বিক নাগরিকত্ব এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও টেকসই উন্নয়নে সংস্কৃতির অবদান সম্পর্কিত উপলব্ধি অর্জনের মাধ্যমে সকল শিক্ষার্থী যাতে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করতে পারে তা নিশ্চিত করা।শিশু, প্রতিবন্ধিতা ও জেন্ডার সংবেদনশীল শিক্ষা সুবিধার নির্মাণ ও মনোন্নয়ন এবং সকলের জন্য নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও কার্যকর শিক্ষা পরিবেশ প্রদান করা।উন্নত দেশ ও অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, কারিগরি, প্রকৌশল ও বিজ্ঞান সংশ্লিষ্ট।এই তালিকার যে সূচকগুলো বিভাজিত হতে পারে এমন সকল শিক্ষা সূচকগুলোর জন্য সমতা সূচক (নারী/পুরুষ, গ্রামীণ/শহুরে, ধনসম্পদ অনুযায়ী শীর্ষ/নিম্ন পঞ্চমাংশে অবস্থানকারী শ্রেণী ও অন্যান্য, যেমন প্রতিবন্ধিতাগত অবস্থা, নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীসমূহ ও সংঘাত-সংকুল জনগোষ্ঠী সংক্রান্ত উপাত্ত যখন পাওয়া যায়)লিঙ্গভেদে ব্যবহারিক (ক) স্বাক্ষরতা ও (খ) গণন-দক্ষতায় ন্যূনতম নির্ধারিত মানের নৈপুণ্য অর্জনকারী একটি নির্দিষ্ট বয়স শ্রেণিভুক্ত জনগোষ্ঠী অনুপাত।

(ক) জাতীয় শিক্ষানীতি, (খ) পাঠক্রম, (গ) শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও (ঘ) শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের সকল পর্যায়ে প্রতিফলিত (১) বৈশ্বিক নাগরিকত্ব শিক্ষা এবং (২) জেন্ডার সমতা ও মানবাধিকারসহ টেকসই উন্নয়নের জন্য শিক্ষার ব্যাপ্তি নিরূপণ।(ক) বিদ্যুৎ, (খ) শিক্ষাদানের জন্য ইন্টারনেট, (গ) শিক্ষাদান কাজে কম্পিউটার, (ঘ) প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য অভিযোজিত অবকাঠামো ও উপকরণাদি, (ঙ) নিরাপদ খাবার পানি, (চ) পৃথক স্যানিটেশন সুবিধা, (ছ) হাত ধোয়ার (হাত ধোয়া সংক্রান্ত নির্দেশকের সংজ্ঞা অনুযায়ী) সুবিধাযুক্ত স্কুলের অনুপাত।খাত ও অধ্যয়নের প্রকৃতি অনুযায়ী বৃত্তির জন্য সরকারিভাবে উন্নয়ন সহায়তা প্রবাহের পরিমাণ।

বিভিন্ন কর্মসূচি সহ উচ্চ শিক্ষায় ভর্তির জন্য উন্নয়নশীল দেশ, বিশেষ করে স্বল্পোন্নত দেশ, উন্নয়নশীল ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্র ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে প্রদেয় বৃত্তির সংখ্যা বৈশ্বিকভাবে ২০২০ সালের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়ানো।

শিক্ষক প্রশিক্ষণে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে, বিশেষ করে স্বল্পোন্নত দেশ ও উন্নয়নশীল ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্রগুলোতে যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি করা।

(ক) প্রাক্-প্রাথমিক, (খ) প্রাথমিক, (গ) নিম্নমাধ্যমিক ও (ঘ) উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের মাঝে যারা নিজ নিজ দেশে সংশ্লিষ্ট পর্যায়ে শিক্ষকতার জন্য প্রয়োজনীয় প্রাক্-চাকুরি বা চাকুরিকালীন ন্যূনতম শিক্ষক প্রশিক্ষণ (অর্থাৎ শিক্ষাদান সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণ) লাভ করেছেন, এমন শিক্ষকদের অনুপাত বৃদ্ধি করা। উপরিক্ত বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।

অনুষ্ঠানের শেষে মানসম্মত শিক্ষায় অবদান রাখায় উপজেলার সেরা ৬ টি বিদ্যালয়কে সন্মান সূচক ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়।নির্বাচিত বিদ্যালয় গুলো হল মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যায়ে নির্বাচিত হয়েছে-গোপালনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়। মুজিবনগর সরকারী মাধ্যমিক বিদালয় এবং-আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিবপুর এবং সেরা প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্বাচিত হয়েছে। ভবানিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়-মুজিবনগর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও-আনন্দবাস সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।

মানসম্মত শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় সভায় ২১ জন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। ১০ জন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং ২ জন কলেজ শিক্ষক অংশগ্রহন করেন।




নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চুর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও চলচ্চিত্র পরিচালক নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চুর বিরুদ্ধে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনের মামলা করা হয়েছে।

রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা একটি মামলায় আসামি করা হয়েছে তাকে। সোমবার (২৭ আগস্ট) যাত্রাবাড়ী থানায় বাদী হয়ে মামলাটি করেন মো. ইউসুফ নামের এক ব্যক্তি।

মামলার এজাহারে গত ১৯ জুলাই যাত্রাবাড়ী থানাধীন উত্তর কুতুবখালি বউবাজার এলাকার মাদরাসার সামনে প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থী-জনতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিস্ফোরক দ্রব্যের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ হুকুমে খুন এবং সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়েছে।

যাত্রাবাড়ী থানায় করা এ মামলায় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি হিসেবে পরিচালক নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুকে ৩৬ নম্বর আসামি করা হয়েছে।

এদিকে মামলায় এক নম্বর আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে। এতে আরও আসামি করা হয়েছে ওবায়দুল কাদের, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, মোহাম্মদ এ আরাফাত, আনিসুল হক, শ ম রেজাউল করিম ছাড়াও আওয়ামী লীগ ও দলটির সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী ও পুলিশ সদস্যসহ ২৩৩ জনকে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা হিসেবে আরও ২৫০/৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

সূত্র: ইত্তেফাক




কোপায় গ্যালারিতে মারামারি, শাস্তি পেলেন ১১ ফুটবলার

গত জুলাইয়ে কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে কলম্বিয়ার বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল উরুগুয়ে। সেই ম্যাচে কিলম্বিয়ার কাছে ১-০ গোলে হেরেছিল উরুগুয়ে। ম্যাচ শেষে গ্যালারিতে কলম্বিয়ার সমর্থকদের সঙ্গে মারামারিতে জড়িয়েছিলেন উরুগুয়ের কয়েকজন ফুটবলার।

এ ঘটনায় উরুগুয়ের ফরোয়ার্ড দারউইন নুনিয়েজকে ৫ ম্যাচ নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি ২০ হাজার ডলার জরিমানাও করেছে দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবল। এছাড়া অন্য চার খেলোয়াড়কেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তদন্তের পর সব মিলিয়ে উরুগুয়ের ১১ খেলোয়াড়কে শাস্তি দিয়েছে কনমেবল।

উরুগুয়ের মিডফিল্ডার রদ্রিগো বেন্টাঙ্কুর নিষিদ্ধ হয়েছেন ৪ ম্যাচ। ৩ ম্যাচ করে নিষিদ্ধ হয়েছেন তিন ডিফেন্ডার ম্যাথিয়াস অলিভেরা, রোনাল্ড আরাউহো ও হোসে মারিয়া হিমিনেজ। চারজনকে জরিমানা করা হয়েছে ১২ থেকে ১৬ হাজার ডলারের মধ্যে। বেন্টাঙ্কুরকে দিতে হচ্ছে ১৬ হাজার ডলার শুধু জরিমানা করা হয়েছে অন্য ছয় খেলোয়াড়কে।

শাস্তি দেওয়া হয়েছে উরুগুয়ে ফুটবল ফেডারেশনকেও। তাদের ২০ হাজার ডলার জরিমানা করা হয়েছে। এই অর্থ প্রাইজমানি ও রাজস্ব থেকে কেটে নেওয়া হবে। কনমেবলের এই শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ রয়েছে। তবে দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি বিবৃতিতে জানায়নি, এই শাস্তি কবে থেকে কার্যকর হবে। কনমেবল আয়োজিত ম্যাচ এই শাস্তির আওতাভুক্ত থাকবে।

সূত্র: ইত্তেফাক




গাংনীতে সাপের কামড়ে স্কুল ছাত্রের মৃত্যু

পিতা মাতার অসচেতনতা ও অবহেলায় প্রাণ গেলো স্কুল ছাত্র কিরন হোসেনের (১১)। সাপের দংশনকে পিঁপড়ায় কামড়িয়েছে মন্তব্য করে চিকিৎসা না দিয়ে ঘুম পাড়ান তারা। অবশেষে মারা গেলো শিশুটি।

কিরণ হোসেন গাংনী উপজেলার সীমান্তবর্তী কাজীপুর গ্রামের বর্ডারপাড়া এলাকার রহিদুল ইসলামের ছেলে ও কাজীপুর আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র।

আজ বৃহস্পতিবার (২৯ আগষ্ট) ভোররাতের দিকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি।
আর আগে বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টার দিকে নিজ ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় তাঁকে সাপে কাটে।

পারিবারিক সূত্রের বরাত দিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিজুল হক জানান, কিরন রাতে ঘরে ঘুমিয়েছিল । রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে শিশুটির পায়ে সাপে কামড় দেয়। সে ঘুম থেকে জেগে বিষয়টি পরিবারের লোকজনকে জানান। এটি পিঁপড়ের কামড় বলে ছেলেকে ঘুমাতে বলেন। শেষরাতের দিকে কিরনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন পরিবারের লোকজন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা কিরনের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন।




কোটচাঁদপুরে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কাবিল উদ্দিন বিশ্বাসের মৃত্যু

না ফেরার দেশে চলে গেলেন কোটচাঁদপুরের দোড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান কাবিল উদ্দিন বিশ্বাস( ৭৫)। গতকাল মঙ্গলবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় যশোর হাসপাতালে মারা যান তিনি। তাঁর মৃত্যুতে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনাা জানিয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য এ্যাডঃ শফিকুল আজম খান চঞ্চল।

পারিবারিক সুত্রে জানা যায়,কাবিল উদ্দিন বিশ্বাস( ৭৫)। তিনি কোটচাঁদপুরের দয়ারামপুর গ্রামের মৃত মঈনুদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে। কাবিল উদ্দিন দীর্ঘদিন কিটনী,ডায়াবেটিক রোগে রোগাক্রান্ত ছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) তারিখে তিনি অসুস্থ্য বোধ করেন। এ সময় তাঁর স্বজনরা তাকে প্রথমে কোটচাঁদপুর হাঁসপাতালে নিয়ে যান।

জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কাবিল উদ্দিন বিশ্বাসকে দেখে যশোর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। স্বজনরা তাকে যশোর হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করান। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে তিনি চলে যান না ফেরার দেশে। মৃত্যুর সময় তিনি স্ত্রী ৪ পুত্র ২ কন্যাসহ অসংখ্য গুনাগ্রাহী রেখে গেছেন।

আজ বুধবার দুপুর ১ টার সময় জানাযা শেষে পারিবারিক কবর স্থানে মরহুমের দাফন সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
তিনি কোটচাঁদপুর দোড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। এ ছাড়া তিনি ওই ইউনিয়নের ২ বারের চেয়ারম্যান ও ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছেন পরিবার ও দলীয় নেতা- কর্মীদের মধ্যে।

এদিকে মৃত্যুর খবর পেয়ে ফেসবুকে এক আবেগ ঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন,ঝিনাইদহ – ৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ্যাডঃ শফিকুল আজম খান চঞ্চল। তিনি ওই স্ট্যাটাসে বলেছেন, কাবিল উদ্দিন বিশ্বাস ছিলেন,কোটচাঁদপুরের দোড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান।

তাঁর মৃত্যুতে আমরা হারালাম তৃণমূল আওয়ামী লীগের এক বীর সৈনিককে। যিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। দলের এই ক্লান্তিকালে বড্ড প্রয়োজন ছিল আপনার মত দুঃসাহসিক নেতার। এ ছাড়া তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সকল সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছেন ওই স্ট্যাটাসে।