ঝিনাইদহে জামায়াত কর্মী হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা

ঝিনাইদহে ২০১৩ সালে জামায়াত কর্মী আব্দুস ছালাম হত্যার ঘটনায় ৭২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০০ জনকে আসামী করে থানায় মামলা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার নিহতের শ্বশুর আবু বকর সিদ্দিক বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলাটি দায়ের করে। মামলা নাম্বার ৩০।ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শাহীন উদ্দিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম অপু, তাহজীব আলম সিদ্দিকি সমী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জে এম রশিদুল আলম রশিদ, ডিএসবির সাবেক ওয়াচার মুরাদসহ ৭২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও অজ্ঞাত দেড়’শ দুইশ জনকে আসামী করা হয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ইসলাম বিদ্বেষী ব্লগারের কটুক্তি ও সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে ওলামা মাশায়েখের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে তাদের উপর হামলা করা হয়। হামলা চালিয়ে জামায়াত কর্মী ও মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুস ছালামকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।




মুজিবনগরে আদর্শ বাবা সমাবেশ অনুষ্ঠিত

মুজিবনগরে গুডনেইবারর্স বাংলাদেশ মেহেরপুর সিডিপি এর আয়োজনে, গুড ড্যাডি ক্যাম্পেইন (আদর্শ বাবা সমাবেশ) অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সাকাল সাড়ে ১১টার সময় উপজেলার গোপালনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের হল রুমে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে গুডনেইবারর্স মেহেরপুর সিডিপি এর ম্যানেজার সুব্রত টুডু এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুজিবনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মামুন উদ্দিন আল-আজাদ।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার হাসনাইন জাহিদ ,গোপালনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহুরুল ইসলাম, গুডনেইবারস মেহেরপুর সিডিপির সিনিয়র অফিসার (প্রোগ্রাম) রিফাত আল মাহমুদ।

অনুষ্ঠানে বাবা সমাবেশের উদ্দেশ্য ও তাৎপর্য, আদর্শ বাবার দায়িত্ব ও কর্তব্য, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে গুডনেইবারস বাংলাদেশ এর কম’কান্ড, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সরকারি পদক্ষেপ সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করে আমন্ত্রিত অতিথি বৃন্দ।

শেষে আদর্শ বাবা সমাবেশে আমন্ত্রিত বাবারা শিশু বিবাহ না দেওয়ার নিন্মের শপথ বাক্য পাঠ ও অঙ্গীকার নামায় সাক্ষর করেন। আমি এই মর্মে উপস্থিত সকলের সামনে অঙ্গীকার করছি যে, আমাদের দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে এবং আমার মেয়ের শারীরিক, মানসিক ও সামগ্রিক বৃদ্ধির তথা শিশু অধিকার বিষয় নিশ্চিত করতে আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমার মেয়ের বয়স ১৮ (আঠার) বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আমি তার বিয়ে দিব না তার শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নৈতিক উন্নয়নের জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব। আমি এই অঙ্গীকার রক্ষায় সচেষ্ট থাকব এবং অন্যদের দ্বারা প্ররোচিত না হয়ে আমার মেয়ের সুন্দর ও নিরাপদ ভবিষ্যত গঠনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলাম।

অনুষ্ঠানে নির্বাচিত ৩ জন আদর্শ বাবাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। আদর্শ বাবা সমাবেশে ৫০ জন বাবা ও তাদের মেয়েরা অংশগ্রহণ করে।




বন্যায় খাবার পানি বিশুদ্ধকরণ

ভয়াবহ বন্যাকবলিত এলাকায় বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান, জ্বালানি, ব্যাকটেরিয়ার মত দূষকগুলো বন্যার পানির সঙ্গে খুব বেশি পরিমাণে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে খাবার পানি অনেকদিন পর্যন্ত বন্যার দূষিত পানিতে পূর্ণ থাকে। তাই এই সময়টিতে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় খাবার পানি পরিশোধিত করার বিষয়টি আবশ্যক হয়ে দাঁড়ায়।

এক্ষেত্রে খাবার পানির বিশুদ্ধকরণের কয়েকটি উপায় সম্পর্কে জানিয়েছেন ফার্মাসিস্ট সাদিয়া সিদ্দিকী। চলুন জেনে নেই-

১. পানি ফুটানো-

পানি ফুটালে এতে থাকা ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও পরজীবীসহ রোগ-সৃষ্টিকারী জীবাণু মরে যায়। এই পানি সিদ্ধ করার কাজটি বিভিন্নভাবে করা যেতে পারে।

পানি ফুটতে শুরু করলে, প্রথমে একটি পরিষ্কার কাপড়, কাগজের তোয়ালে বা কফি ফিল্টার দিয়ে ছেকে নিতে হবে এবং ফুটন্ত পানিকে স্থির হতে দিতে হবে। এভাবে পাওয়া পরিষ্কার পানিকে এক মিনিটের জন্য আবার ফুটিয়ে নিতে হবে। ফুটন্ত বিশুদ্ধ পানি ঠান্ডা হওয়ার পর আঁটসাঁট কভারসহ পরিষ্কার স্যানিটাইজড পাত্রে তা সংরক্ষণ করতে হবে।

সিদ্ধ পানির স্বাদ ভালো করার জন্য এটি এক পাত্র থেকে অন্য পাত্রে ঢেলে কয়েক ঘণ্টার জন্য অপেক্ষা করা যেতে পারে। এছাড়া প্রতি লিটার সিদ্ধ পানিতে এক চিমটি লবণ যোগ করেও স্বাদ উন্নত করা যায়।

২. রাসায়নিক জীবাণুনাশক ব্যবহার-

পানি ফুটানো সম্ভব না হলে রাসায়নিক জীবাণুনাশক যেমন গন্ধহীন ক্লোরিন ব্লিচ, আয়োডিন বা ক্লোরিন ডাই অক্সাইড ট্যাবলেট ব্যবহার করে অল্প পরিমাণ পানি পান করার জন্য নিরাপদ করতে পারেন। এগুলো বিভিন্ন আকারে পাওয়া যায় এবং নির্দিষ্ট পরিমাণে পানি চিকিৎসা করার জন্য তৈরি করা হয়ে থাকে।

জীবাণুনাশকগুলো বেশির ভাগ ক্ষতিকারক বা রোগ সৃষ্টিকারী ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে পারে। কিন্তু ক্রিপ্টোস্পোরিডিয়াম ও গিয়ার্ডিয়ার মতো আরও প্রতিরোধী জীবাণু মারার জন্য এই পদ্ধতি কার্যকর নয়। এর জন্য পানি ফুটাতে হবে।

তবে ক্লোরিন ডাই অক্সাইড ট্যাবলেটগুলো ক্রিপ্টোস্পোরিডিয়াম ধ্বংস করতে পারে। কিন্তু এর জন্য ট্যাবলেটের লেবেল বা প্যাকেজে থাকা প্রস্তুতকারকের নির্দেশাবলী সঠিকভাবে অনুসরণ করতে হবে।

পানিতে ক্ষতিকারক রাসায়নিক বা তেজস্ক্রিয় উপাদান থাকলে সেখানে একটি জীবাণুনাশক যোগ করলেই তা পানযোগ্য হবে না। আয়োডিন দিয়ে জীবাণুমুক্ত করা পানি গর্ভবতী নারীদের, থাইরয়েড সমস্যাযুক্ত ব্যক্তিদের বা আয়োডিনের প্রতি অতি সংবেদনশীলদের জন্য ক্ষতিকর। এটি ক্রমাগত ব্যবহারের করাও ঠিক নয়। একবারে সর্বোচ্চ কয়েক সপ্তাহ ব্যবহার করা যেতে পারে।

৩. ব্লিচ ব্যবহার-

ব্লিচের বিভিন্ন ঘনত্বের হয়ে থাকে। ব্লিচ দিয়ে পানি জীবাণুমুক্তকরণ পদ্ধতি শুরুর আগে এর ঘনত্ব জানতে হবে। আর এটি পাওয়া যাবে ব্লিচের লেবেলে। একেক দেশে ঘনত্ব একেক রকম হয়ে থাকে। বাংলাদেশে ব্লিচে সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইটের ঘনত্ব ৫ থেকে ৬ শতাংশ।

ব্লিচ দিয়ে জল জীবাণুমুক্ত করার জন্য প্রথমেই পানি ফুটিয়ে পরিষ্কার পানি আলাদা করে নিতে হবে।

সাধারণত খাবার পানি জীবাণুমুক্ত করার নির্দেশনা ব্লিচের লেবেলেই দেওয়া থাকে। তবে তা না থাকলে, লেবেলে উল্লেখিত ‘সক্রিয় উপাদান’থেকে সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট শতাংশ নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে।

তারপর একদম অতি সামান্য পরিমাণে ব্লিচ চা-চামচে নিয়ে বিশুদ্ধ পানির প্রতি লিটারে যোগ করতে হবে। মিশ্রণটি ভালো করে নাড়াতে হবে। এরপর কমপক্ষে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। জীবাণুমুক্ত পানি পরিষ্কার ও স্যানিটাইজড পাত্রে শক্ত কভারসহ সংরক্ষণ করতে হবে।

৪. ফিল্টার-এর মাধ্যমে পরিশোধন

কিছু পোর্টেবল ওয়াটার ফিল্টার আছে, যা খাবার পানি থেকে রোগ সৃষ্টিকারী পরজীবী যেমন- ক্রিপ্টোস্পোরিডিয়াম ও গিয়ার্ডিয়া দূর করতে পারে।

অধিকাংশ পোর্টেবল ওয়াটার ফিল্টার ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া অপসারণ করে না। তাই ফিল্টার নির্বাচনে বেশ সাবধানী হতে হবে। অধিক প্রতিরোধী পরজীবীগুলোকে অপসারণ করার জন্য ফিল্টারের ছিদ্রের আকার যথেষ্ট ছোট হতে হবে।

আকারে যা প্রায় এক মাইক্রন বা তার থেকে ছোট। পানি ফিল্টারের সময় এর লেবেলে থাকা প্রস্তুতকারকের নির্দেশাবলী সতর্কতার সঙ্গে পড়ে অনুসরণ করতে হবে।

ফিল্টার করার পরে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার ধ্বংস নিশ্চিত করতে ফিল্টার করা পানিতে আয়োডিন, ক্লোরিন বা ক্লোরিন ডাই অক্সাইডের মতো জীবাণুনাশক যোগ করা যেতে পারে।

৫. পাতন প্রক্রিয়া-

পানিতে থাকা অন্যান্য দূষিত এবং রোগ সৃষ্টিকারী উপাদানের তুলনায় পানি অল্প তাপেই ফুটতে শুরু করে।

এ পদ্ধতিতে স্ফুটনাঙ্কে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত পানিতে তাপ দিতে হয়। তারপর এটি বাষ্পীভূত না হওয়া পর্যন্ত ফুটন্ত অবস্থায় রেখে দেওয়া হয়। এই বাষ্প ঠান্ডা করার জন্য একটি কনডেন্সার ব্যবহার করা হয়। শীতল হওয়ার পরে বাষ্প পরিষ্কার এবং নিরাপদ পানযোগ্য পানিতে পরিণত হয়। উচ্চতর স্ফুটনাঙ্কযুক্ত অন্যান্য পদার্থগুলো পাত্রে পলি হিসেবে রেখে দেওয়া হয়।

এই পদ্ধতি ব্যাকটেরিয়া, জীবাণু, লবণ এবং অন্যান্য ভারী ধাতু যেমন সীসা, পারদ এবং আর্সেনিক দূর করতে কার্যকর। পাতন কাঁচা ও অপরিশোধিত পানির জন্য আদর্শ পদ্ধতি। এই পদ্ধতির সুবিধা এবং অসুবিধা উভয়ই রয়েছে। একটি উল্লেখযোগ্য অসুবিধা হল এটি পানি বিশুদ্ধকরণের সব থেকে ধীর প্রক্রিয়া।

তবে এই পরিশোধন কাজটি করার জন্য একটি তাপীয় উৎস প্রয়োজন। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের সস্তা তাপীয় উৎস তৈরি হলেও পাতনের মাধ্যমে পানি বিশুদ্ধ করা এখনো ব্যয়বহুল প্রক্রিয়াই রয়ে গেছে। এটি অল্প পরিমাণে পানি বিশুদ্ধ করার ক্ষেত্রে সাশ্রয়ী। বড় আকারের, বাণিজ্যিক বা শিল্প পর্যায়ে পানি পরিশোধনের জন্য এই পদ্ধতি আদর্শ নয়।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরসহ ২৪ পুলিশ সুপার বদলি

মেহেরপুরের পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হক বিপিএম (বার), পিপিএম কে বদলি করা হয়েছে।

আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের এক আদেশে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। তাকে নৌ পুলিশের পুলিশ সুপার হিসেবে বদলি করা হয়েছে। একই সঙ্গে আরও ২৩ পুলিশ সুপারকে রদবদল করা হয়েছে বলে পরিপত্রে বলা হয়েছে।

তবে এখনও মেহেরপুরে পুলিশ সুপার হিসেবে কে দায়িত্ব পাচ্ছেন তা জানা যায়নি।




চুয়াডাঙ্গার হায়দারপুরে কিশোর সাকিব কে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হায়দারপুর গ্রামের কিশোর সাকিব মিয়া (১৬) কে কুপিয়ে জখম ও হত্যা চেষ্টা করা হয়েছে। গতকাল সোমাবার বিকাল চারটাই চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হায়দার পুর গ্রামের উত্তর পাড়াতে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় মেম্বার আজিবার মালিথার ছেলে ও তার সহপাঠীরা একত্রে হয়ে তাকে হত্যা চেষ্টা এবং হামলার ঘটনা ঘটাই বলে জানিয়েছেন স্থানীয় এবং পরিবারের লোকজন। কিশোর সাকিব মিয়া চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মইনুল ইসলামের ছোট ছেলে। বর্তমানে সে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সীমান্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। সোমবার সাকিব মিয়া গ্রামের মধ্যে যাওয়ার সময় হটাৎ পিছন থেকে তাকে আক্রমণ এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে থাকে। এক পর্যায়ে সেখান থেকে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করা হয় ।

সাকিব মিয়া বলেন কৃষি কাজের জন্য মাঠে যাচ্ছিলো সে হটাৎ তাকে গ্রামের স্থানীয় মেম্বার আজিবার মালিথার ছেলে সহ ১০-১৫ তাকে ধাওয়া করে এলোপাতাড়ি রড লাঠি চা পাতি দিয়ে আঘাত করতে থাকে। এক পর্যায়ে গ্রামের স্থানীয় লোকজন চলে আসলে তারা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা করতে গেলে মামলা নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন পরিবারের লোকজন।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ সেকেন্দার আলী বলেন, এ বিষয় মামলা দায়ের করতে এসেছিলো পরিবারের লোকজন তাদের প্রয়োজনীয় কাগজ আনতে বলা হয়েছে।




দর্শনায় বিভিন্ন থানার ক্লিনিক মালিক সমিতির কমিটি গঠন

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা শাপলা পার্ক এ্যাণ্ড পিকনিক কর্ণারে গতকাল সোমবার বিকাল ৫টায় দর্শনা, দামুড়হুদা ও জীবননগর থানা ক্লিনিক মালিক সমিতির কমিটি গঠন করা হয়েছে। জালাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা শেষে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে এসব কমিটি গঠণ করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ড্যাপের সভাপতি ডাক্তার হাসানুজ্জামান নুপুর।

দর্শনা থানা ক্লিনিক মালিক সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মো. জালাল উদ্দিন, সহসভাপতি ইমতিয়াজ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এনামুল কবির, সহসাধারণ সম্পাদক সোহেল ও সাংগাঠনিক সম্পাদক আলো।

জীবননগরে সভাপতি আ.মান্নান সভাপতি, সহ-সভাপতি শরিফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জাকির আহম্মেদ, সহসাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সাংগাঠনিক সম্পাদক সুজা উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক শরিফুল ইসলাম ও কোষাধক্য হুমায়ুন কবির।

দামুড়হুদায় সভাপতি আ. খালেক, সহ-সভাপতি জহির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মামুন আর রশিদ শান্ত, সহসাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, সাংগাঠনিক সম্পাদক আবুল কাশেম ও কোষাধক্য তাজদ্দিন বিশ্বাস।




ওয়াই-ফাইয়ের পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আজকাল প্রায় সব বাড়িতেই রয়েছে ওয়াই-ফাইয়ের সংযোগ। নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট ব্যবহারে ওয়াই-ফাই ভীষণ জনপ্রিয়। এটি ব্যবহারে প্রয়োজন হয় একটি নিজস্ব পাসওয়ার্ডের।

তবে দীর্ঘদিন ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহারের ফলে পাসওয়ার্ড মনে রাখতে পারেন না অনেকেই। তাই নতুন ডিভাইসে ইন্টারনেট চালু করতে বেশ সমস্যা হয়। এটির কিন্তু ভীষণ সহজ একটি সমাধান রয়েছে। ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত থাকা অ্যান্ড্রয়েড ফোন থেকেই ভুলে যাওয়া পাসওয়ার্ড জানা যায়।

ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের পাসওয়ার্ড জানার জন্য শুরুতে ফোনের সেটিংস অপশনে গিয়ে ‘কানেকশনস’ এ ক্লিক করুন। ওয়াই-ফাই অপশন নির্বাচন করে ফোনটি যে ওয়াই–ফাই নেটওয়ার্কে কানেক্টেড রয়েছে, সেই নেটওয়ার্কের নাম ‘কারেন্ট নেটওয়ার্ক’ অপশনের নিচে দেখা যাবে। এবার নেটওয়ার্কের নামের পাশে থাকা ‘সেটিংস’ আইকন চাপলেই পরের পৃষ্ঠায় পাসওয়ার্ডের নামের অপশন দেখা যাবে। এরপর ডান দিকে থাকা ‘ওয়াচ’ আইকনে চেপে ফোনের পাসওয়ার্ড লিখে নিচে থাকা ‘কনটিনিউ’ বাটন চাপলেই পাসওয়ার্ডের ঘরে ব্যবহৃত ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের পাসওয়ার্ড দেখা যাবে।

সূত্র: ইত্তেফাক




মুক্তি পাচ্ছে ফারুকীর ‘শনিবার বিকেল’

নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘শনিবার বিকেল’ অবশেষে আলোর মুখ দেখবে। দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে নানান বাহানায় সেন্সরে আটকে থাকা এ সিনেমাটির মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই।

আগামী নভেম্বরে ‘শনিবার বিকেল’ সিনেমাটি মুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানান এর প্রযোজক জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজ।

তিনি বলেন, ‘দেশের চলমান পরিস্থিতিতে আমরা এখনই সিনেমাটি মুক্তি দিতে চাই না। সব ঠিক থাকলে আগামী নভেম্বরে দেশের দর্শক সিনেমাটি দেখতে পারবে।’

আবদুল আজিজ, আপিল করার পর এটি সেন্সর পায়। তবে বোর্ড বেশ কিছু সংশোধনী দেয়। তবে দৃশ্যগুলো রাখতে চায় সিনেমাসংশ্লিষ্টরা। সেভাবেই নতুন করে সেন্সরে জমা দেবেন তারা। সেন্সরের চূড়ান্ত নির্দেশনা এলে মুক্তি পেতে আর বাধা থাকবে না। যে কারণে এবার মুক্তির দিনক্ষণ ঠিক করছেন তারা।

‘শনিবার বিকেল’ সিনেমায় বিভিন্ন দেশের শিল্পী অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে আছেন বাংলাদেশের জাহিদ হাসান, নুসরাত ইমরোজ তিশা, মামুনুর রশীদ, ইরেশ যাকের, ইন্তেখাব দিনার, গাউসুল আলম শাওন, নাদের চৌধুরী, ভারতের পরমব্রত চ্যাটার্জি, ফিলিস্তিনের ইয়াদ হুরানিসহ আরও অনেকে।

এর চিত্রগ্রহণের দায়িত্বে ছিলেন কাজাকিস্তানের চিত্রগ্রাহক আজিজ জাম্বাকিয়েভ। যিনি ২০১৩ সালে ‘হারমনি লেসন’ সিনেমার জন্য বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা চিত্রগ্রাহকের পুরস্কার সিলভার বিয়ার জয় করেন।

সূত্র: ইত্তেফাক




দর্শনায় ভারী বর্ষনে ক্ষীতগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখলেন নবাগত দর্শনা পৌর প্রশাসক

টানা কয়েক দিনের ভারীবর্ষনে দর্শনা পৌরসভার বিভিন্ন ওয়াড়রের নিচু এলাকায় পানি জমে বাড়ি ঘর প্লাবিত হয়েছে। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দর্শনা সরকারী খাদ্য গুদাম প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে কর্মকর্তারা পানি বন্দি হয়ে রয়েছে।

গতকাল সোমবার সকাল ১১ টায় দর্শনা পৌর এলাকা পরিদর্শন করেন নব নিযুক্ত পৌর প্রশাসক কে এইচ তাসফিকুর রহমান। কয়েকটি রাস্তা সহ মহল্লায় জলাবদ্ধার দুরকরণে লক্ষে পৌর প্রকৌশলী সাজেদুল আলমকে সাথে নিয়ে ছুটির দিনে বৃষ্টি মধ্যে ভিজে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে দেখেন। সেই সাথে এলাকার মানুষের দুর্ভোগ কিভাবে কোমানো যায় তার নির্দেশনা দেন।

এই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পৌর প্যালন মেয়র রবিউল হক সুমন, কমিশনার আসুরউদ্দীন আশু, কার্যসহকারী হারুন অর রশিদ, তছের আলী, এলাকার সুধীজন।




ওয়েভ ফাউন্ডেশনের পরিচালকসহ ৫ কর্মকতার্র বিরুদ্ধে মেহেরপুর আদালতে মামলা

ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নিবার্হী পরিচালক মহাসিন আলীসহ পাঁচ কর্মকতার্র বিরুদ্ধে মেহেরপুর কোটে মামলা হয়েছে। যার মামলা নং মেহেরপুর কোট দেওয়ানী মামলা নং-১২৩/২০২০। এ মামলার আসামীরা হলেন, নিবার্হী পরিচালক মহসিন আলী, উপ-পরিচালক প্রশাসন ও মানব বিভাগরের উফতেখার হোসেন, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির পরিচালক কফিল উদ্দিন, সমন্বয়কারী অডিট বিভাগের প্রদীপ্ত কুমার মিত্র ও ইউনিট ম্যানেজার আমিরুল ইসলাম।

তবে এ বিষয় আমিরুল ইসলাম জানান আমি শেফালী খাতুনের পক্ষে স্বাক্ষী দেব। এ মামলার বাদী শেফালী খাতুন জানান, এরিয়া সমন্বয়কারী হিসাবে কর্মরত ছিলাম। গত ৩০/০৬/২০২০ তারিখ হঠাৎ করে আমাকে আমার পদ থেকে বরখাস্ত ও জরিমানাকরণ ও বেআইনীভাবে আমাকে বরখাস্ত করে ২০২০ সালের মার্চ, এপ্রিল, মে, জুন ও জুলাই মাসের বেতনভাতাদী বন্ধ করে দেয়। আমাকে গত ২৫/০২/২০২০ তারিখ ওয়েভ ফাউন্ডেশনের মানব সম্পদ বিভাগ কার্যক্রম স্থগিত করে একটি কারণ দর্শনোর নোটিশ প্রদান করে। আমার অপরাধ কি জানতে চাইলে কতৃপক্ষ জানান মেহেরপুর ৭ নং ইউনিটের ম্যানেজার, হিসাব রক্ষক ও একজন সিডিও দ্বারা কিছু অর্থ আত্মসাত হয়েছে।

এ বিষয়ে গঠিত একটি তদন্ত কমিটি কতৃক তদন্তের ভিত্তিতে তৎকালীন ম্যানেজারকে বিভিন্ন ভয় ভিতি দেখিয়ে ভুয়া ঋণ বিতরণ ঋণের মাষ্টাররোল ঋণের প্রস্তাবপত্র সফটওয়ারের সাথে তথ্য যাচাই-বাচাই না করে হিসাব কর্মকতার্র বিরুদ্ধে ২৮ লাখ টাকা অত্মসাত দেখানো হয়। যা একজনের পক্ষে ২৮ লাখ টাকা অত্মসাত করা অসম্ভব বলে মনে করি। এটা সফটওয়ারের কারসাজি বলে আমি মনে করি। তাছাড়া সফটওয়ারের তথ্য সংক্ষণের দায়িত্ব ছিলেন ইউনিট ম্যানেজার ও হিসাব রক্ষক। আমার পক্ষে অর্থ আত্মসাত করা অসম্ভব ব্যাপার। বিধি মোতাবেক আমাকে আত্মপক্ষ সর্মথনের সুযোগ না দিয়ে আমার বিরুদ্ধে চাকুরী হতে বরখাস্তা ও জরিমানা করা হয়। উল্লেখ্য সূত্র নং ওয়েভ ফাউন্ডেশন/প্রসাশন ও মানব সম্পদ/১০৪০/২/২০২০ মোতাবেক ৩০/০৬/২০২০ বরখাস্ত করেন।

ফলে বাদীর অষ্টম অধ্যায়ের ৮ ও ৭ অপরাধের ধরণ দরণে দন্ড ও সহায়তা বর্ণিত বিষয়ের সাথে বাদীর বখাস্তের কারণ ও ধারার কোন মিল নেই। ফলে বাদী ঐ ধারায় বর্ণিত কোন অপরাধী নয় বলে শেফালী খাতুন দাবী করেন। তিনি আরো বলেন যেহেতু আমি দোষী না। ফলে আমার ন্যায্য পাওনা ও আমার মান-সম্মাম ক্ষুন্ন হয়েছে বলে আমি মনে করি। ওয়েভ ফাউন্ডেশন মানুষের ন্যায্য অধিকার ও মানবোধীকার নিয়ে কাজ করে আসছে। সেখানে ওয়েভ ফাউন্ডেশনের শুধু আমি না সকল পযার্য়ের কর্মকতা ও কর্মচারীদের বিভিন্ন ভাবে অধিকার বঞ্চিত করে আসছে বলে আমি মনে করি।