ইআরপি ‘ম্যানেজেরিয়াম’ সফটওয়্যার নিয়ে এলো আইবস

দেশের সফটওয়্যার বাজারে উন্মোচন করা হয় আন্তর্জাতিক মানের সফটওয়্যার ‘ম্যানেজেরিয়াম’ ইআরপি সেবা। ইআরপি সেবা ‘ম্যানেজেরিয়াম’ নিয়ে এলো আকিজ রিসোর্সের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান আইবস লিমিটেড। নতুন এই আন্তর্জাতিক মানের সফটওয়্যারে মিলবে সব ধরনের বিসনেস সলিউশন বা ইআরপি সেবা।

সম্প্রতি আকিজ হাউজে আয়োজন করা হয় ‘ম্যানেজেরিয়াম কমিউনিটি লঞ্চ’ অনুষ্ঠানের। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আকিজ রিসোর্সের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও শেখ জসিম উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান এ কে জোয়াদ্দার, আইবস লিমিটেডের সিইও জায়েদ বিন রশিদ। এ সময় বিভিন্ন সিএ ফার্ম এবং কোম্পানির উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ইআরপি সেবা ‘ম্যানেজেরিয়াম’ সফটওয়্যারের মাধ্যমে বিদেশি সফটওয়্যারের ওপর নির্ভরতা কমে আসছে। ফলে সাশ্রয় হচ্ছে বিপুল পরিমাণ অর্থ এবং বৃদ্ধি পাচ্ছে কর্মসংস্থানও। ম্যানেজেরিয়াম ছাড়াও আকিজ আইবস’র অন্যান্য সফটওয়্যারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে পিপলডেস্ক ও প্রাইমভ্যাট।

সূত্র: ইত্তেফাক




দামুড়হুদা কাঁঠালতলায় গরু বোঝায় পাওয়ারট্রলি উল্টে ৪ জন আহত

দামুড়হুদা উপজেলার কাঁঠালতলা নামক স্থানে গরু বোঝায় পাওয়ারট্রলি উল্টে ৪ জন গরু ব্যাবসায়ী মারাত্মক আহত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে অন্ধকারে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এ দূর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, দামুড়হুদা থানাধীন হাউলী ইউনিয়নের দর্শনা টু চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কের জয়রামপুর কাঁঠালতলা নামক স্থানে রাত সাড়ে ৮ টার

দিকে একটি পাওয়ার ট্রলি মেহেরপুর হাটে গরু বেচাকেনা করে দুধপাতিলা নিজ বাড়ির উদ্দেশ্য যাওয়ার সময় কাঁঠালতলা নামক স্থানে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে থাকা মেহগনি গাছের সহিত ধাক্কা লেগে গাড়িতে অবস্থান করা ০৭ জন গরু ব্যবসায়ি আহত হয়। এর মধ্যে জামাল (৫৫) পিতাাঃ মৃত আজিজুল সরদার, লালটু (৩৫) পিতাঃ মোসলেম, শিমুল (১৭) পিতাঃ হাবলু, খটুক (৩০) পিতাঃ কাসেম সর্বসাং উপজেলার দুধপাতিলা। এদের মধ্যে ০৪ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় লোকজন দর্শনা ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। ভিকটিম চারজন বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এদের মধ্যে শিমুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক জনক।




আলমডাঙ্গায় স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন

আলমডাঙ্গায় জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আলিফ উদ্দিন মোড়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শহিদুল কাউনাইন টিলু।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শহিদুল কাউনাইন টিলু বলেন, আমাদের এখানে পুলিশ ছাত্রলীগ, যুবলীগ আওয়ামীলীগ আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। জেল খাটিয়েছে। আমার নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অত্যান্ত অসুস্থ তারপরও তাকে জেলে রেখেছিল। আর তারেক জিয়াকে দেশে আসতে দেয়নি। এজন্য এই সরকারকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা, ছাত্রদল, যুবদল সাধারণ জনগণ শেখ হাসিনাকে এদেশ থেকে বিতাড়িত করেছে। তিনি চোরের মত পালিয়ে গেছে। তার মন্ত্রী-এমপিও চোরের মত পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তোমরা যদি এতোই ভালো কাজ করে থাকো, তাহলে পালাইয়ে গেলে কেনো। কই আমরা বিএনপিরা কেউ তো পালাইনি, আমার নেত্রী তো পলাইনি। আমাদের কোন নেতা পালাইনি। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমঙ্গীর পালাইনি। দুদু ভাই পালাইনি। আমরা জেলে গেছি কিন্তু পালাইনি।

তিনি বলেন, বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে যদি কেউ চাঁদাবাজী করে তাহলে আমাদের বলবেন। আমরা তার ব্যবস্থা নেবো। এই আলমডাঙ্গায় আওয়ামীলীগের যেমন অন্যায় করেছে। আওয়ামী লীগের মত অন্যায় এই আলমডাঙ্গায় হতে দেবো না।

আলমডাঙ্গা পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ন-আহবায়ক মিঠু বিশ্বাস এর সভাপতিত্বে ও আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন-আহবায়ক তৌফিক খানের সঞ্চালনায় এ আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল জাহিদ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ সাইফুল ইসলাম, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেহালা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আসিরুল ইসলাম সেলিম, আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান, বারাদী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদ পারভেজ, চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আজাদ, রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবদল নেতা কায়সুল কাউনাইন রুবেল, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব শফিকুল আজম ডালিম, আলমডাঙ্গা উপজেলা যুবদলের যুগ্ন-আহবায়ক রহিত, আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন-আহবায়ক রানা, রাসেল, আলমডাঙ্গা পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন-আহবায়ক জনি, সোহাগ, আলমডাঙ্গা পৌর যুবদলের আহবায়ক নাজিম মোল্লা, পৌর যুবদলের যুগ্ন-আহবায়ক ফারুক হোসেন, আলমডাঙ্গা কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মুন, উপজেলা যুবদলের নেতা সুলতানুল আরেফিন তাইফু, গাউসুল কাওনাইন সুষম, আব্দুল্লাহ, শামিম রেজা সাগর, সুন্নত, রিপন ডাক্তার, জুয়েল, মুন্নী, সোহাগ, আরিফুল, জনি, মনিহার, রাসেল, রাজু, জিগালা, হাসিব, মানিক, সিরাজুল, আলমডাঙ্গা উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ন-আহবায়ক সামিউল হাসান সানী, পৌর ছাত্রদলের যুগ্ন-আহবায়ক লিখন, সাইড, ছাত্রদল নেতা সিজান, জাহিদ, টনি, রনি, জনি, যুবদলের কালু, সোহাগ, খালেদ, ডুবার, সালাম, সুমন, কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ন-আহবায়ক নাজিব, সুমন।

আরও উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর বিএনপি, সেচ্ছাসেবক দল, যুবদল ও ছাত্রদলের সহস্রাধিক নেতাকর্মী।




মিমিকে ধর্ষণের হুমকি, ক্ষোভ প্রকাশ সৃজিতের

আরজি কর হাসপাতালে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় কলকাতায় চলছে বিক্ষোভ। সকলের মুখেই একটার দাবি, ‘বিচার চাই’। নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে একাধিক দাবিতে যখন উত্তাল রাজপথ তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ্যে ধর্ষণের হুমকি পেলেন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। ইতোমধ্যেই বিষয়টাকে সামনে এনে প্রতিবাদের সুর চড়িয়েছেন অভিনেত্রী নিজে। এবার মিমির পাশে দাড়াঁলেন পরিচালক সৃজিত মুখার্জি।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী তাকে হুমকি দেয়ার একটি স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে ক্ষোভ, হতাশা প্রকাশ করলেন।

হুমকি দেওয়া সেই অ্যাকাউন্ট থেকে লেখা হয়, ‘মিমি শুধু একটা মেয়ে বলে তার জন্য খারাপ ভাষা ব্যবহার করতে পারছি না। আজ যদি এই ঘটনা মিমির সঙ্গে ঘটত তাহলে কী করতিস? মিমির পরিবারকেও ১০ লাখ টাকা দিতিস নাকি? তাহলে মিমিকে আমার ঘরে পাঠিয়ে দিস আমি দিয়ে দেব ১০ লাখ ওর পরিবারকে।’

আর এই পোস্ট শেয়ার করে মিমি লিখেছেন, ‘আর আমরা একজন মহিলার জন্যই ন্যায় বিচার চাইছি, তাই না? এরা অনেকের মধ্যে কিছুজন। এখন ধর্ষণের হুমকিকে নর্মলাইজ করে ফেলেছে এই বিষাক্ত পুরুষ সমাজ। একই সঙ্গে ভিড়ের মধ্যে মিশে গিয়ে বলছে যে তারা নাকি মেয়েদের পাশে আছেন! এটা কোন শিক্ষার পরিচয়?’

এদিকে এরকম একটি কমেন্ট নিজের ফেসবুকে শেয়ার করে সৃজিত মুখোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘সেলেবদের ঘৃণা করুন কিন্তু ভেবেচিন্তে। জেলে ইন্টারনেট নাও পেতে পারেন।’

তবে পরিচালক এই পোস্টের কমেন্ট সেকশন বন্ধই করে রেখেছেন অবাঞ্ছিত মন্তব্যকে এড়িয়ে যেতে। মিমি ও সৃজিত দুজনেই অভয়ার হয়ে বিচার চেয়ে রাস্তায় নেমেছেন। শুধু তাই নয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন।




১২ বছর পর পদত্যাগ করলেন বিসিবি সভাপতি পাপন

১২ বছর পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন নাজমুল হাসান পাপন। ই-মেইলের মাধ্যমে তিনি পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে।

সূত্র জানিয়েছে, আজ বোর্ডের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে পরিচালনা পর্ষদের জরুরি সভা ডাকে বিসিবি। সচিবালয়ে অবস্থিত যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমের এই বৈঠকে অনলাইনে যোগ দিয়ে পদত্যাগ করেন তিনি। সর্বসম্মতিক্রমে তার পদত্যাগ পত্র গৃহীত হয়েছে।

গত ৫ই আগস্ট হাসিনা পালানোর পর সরকার পতন হয়। এরপর থেকেই লাপাত্তা ছিলেন পাপন। এর কিছুদিন পর বিসিবির এক পরিচালককে ফোন করে পদত্যাগের ইচ্ছার কথা জানান তিনি।

এরপর আজ গঠনতন্ত্র অনুসারে সভা ডাকেন পাপন। এরপর সেখানেই পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি।

২০১২ সালে নিয়োগের পর থেকে টানা দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের উল্লেখযোগ্য অর্জনটাও ছিল তার সময়ে। যদিও নিজের মেয়াদের শেষদিকে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের দ্বিতীয়বারের নিয়োগ, ক্রিকেটার এবং বোর্ডের একাধিক ব্যক্তির মধ্যে অন্তঃকলহ পরিবেশ কিছুটা হলেও বিষাক্ত হয়েছিল।

২০১৩ সালের পর ২০১৭ ও ২১ সালে টানা তিনবার নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন পাপন। ২০১৩ সালে নাজমুল হাসান পাপন এনএসসি কোটায় পরিচালক হয়েছিলেন। পরবর্তীতে পরিচালকরা তাকে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করেন। গত দুই নির্বাচনে তিনি ঢাকা আবাহনীর কাউন্সিলর হিসেবে পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন। পরবর্তীতে একই প্রক্রিয়ায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন পাপন।

নাজমুল হাসান পাপনের বর্তমান অবস্থান অজানা। ক্রিকেট বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপে তাকে সভাপতি পদ থেকে নামানো হলে ছিল আইসিসির নিষেধাজ্ঞার শঙ্কা।। তবে পাপন নিজেই এই পদ থেকে পদত্যাগ করায় সেই শঙ্কাই আপাতত দূর হলো।

সূত্র: ইত্তেফাক




গাংনীতে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

দীর্ঘ দেড় যুগ পরে গাংনীতে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩৯ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩৯ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গাংনী উপজেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিনশেষে একই স্থানে এসে শেষ হয়। এর আগে গাংনী উপজেলা ও পৌর বিএনপির কার্যালয়ের সামনে আলােচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন গাংনী পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সাবেক কাউন্সিলর এনামুল হক।

আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ- সভাপতি শিল্পপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন।

সভায় প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন গাংনী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শহিদুল ইসলাম।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল হক, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম নাসির, গাংনী পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও গাংনী পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র ইনসারুল হক ইন্সু,পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন মেঘলা,পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জামাল উদ্দীন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডাম সুমন, বিএনপি নেতা সোহরাব হোসেন প্রমুখ । সভাটি সঞ্চালনা করেন জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কাওছার আলী।

বক্তারা বলেন, সৈরাচারী ফ্যাসিষ্ট হাসিনা নিরীহ ছাত্র জনতার উপর গুলি চালিয়ে গণহত্যা করেছে। খুনি হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচার এই বাংলার মাটিতেই হবে। পরাজিত খুনি হাসিনার দোষররা এখনো দেশে অশান্তি, নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা লিপ্ত আছে।

বক্তারা আরও বলেন, খুনী শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও দেশের মধ্যে গোপন ষড়যন্ত্র চলছে। সৈরাচারী হাসিনা বিগত ১৭ বছর আমাদের পথে নামতে দেয়নি। আমাদের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা নাশকতার মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। মিছিলে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে শত শত নেতা কর্মী অংশগ্রহন করে এবং খুনি হাসিনা বিরোধী নানা শ্লোগান দেয়।




মেহেরপুরে ইমারত নির্মাণ ইউনিয়ন শ্রমিকদের সংবাদ সম্মেলন

মেহেরপুর সদর উপজেলা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং- ১২১৪) এর অবৈধ কমিটি বাতিল ও দ্রুত নির্বাচনের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে সদর উপজেলা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের নিজস্ব কার্যালয় প্রাঙ্গণে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সদর উপজেলা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি সহিদুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফুরকান আলী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলাম, সদস্য মোঃ নুরু বলেন, চলমান কমিটি দলিয় প্রভাব দেখিয়ে জোরপূর্বক ভোট করিয়ে ক্ষমতায় আছে, কোন সাধারণ শ্রমিকদের খাতে হিসেব দিতে পারেনা, বেকার বয়স্ক শ্রমিকদের ১১ মাস বেকার ভাতা দেয় নাই, অফিস কার্যালয়ে ছাত্রদের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের পরে তিনজন অফিস কর্মকর্তা ৩-৬ জন অফিস কর্মকর্তা অফিস পরিচালনা করছে। এমনকি ইউনিয়নের তহবিলের হিসাব পর্যন্ত উক্ত কমিটি দেয়নি। ফলে সাধারন সদস্যদের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তুষ্টির সৃষ্টি হয়েছে।

আমরা অবিলম্বে অবৈধ কমিটি বাতিল করে দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার জোর দাবী জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে এছাড়াও সদর উপজেলা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক ক্রিয়া সম্পাদন মোঃ খলিল, সদস্য সাইফুল ইসলাম, রানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




প্রশাসক হিসাবে দর্শনা পৌরসভায় তাসফিকুর রহমানের যোগদান

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন করে স্বৈরাচারী সরকারকে বিদায় হওয়ার পর গত ১৯ আগষ্ট সারা দেশে স্থানীয় সরকার বিভাগের মেয়র পদ অপসারন করেন। অপসারনের পর দর্শনা পৌরসভার পৌর প্রশাসক হিসাবে যোগদান করেন দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে এইচ তাসফিকুর রহমান।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ পৌর ১ শাখার ১৮ আগস্টে ২০২৪ ইং তাং নিয়োগ প্রাপ্ত হন। গত ১৯ শে আগস্ট দর্শনা পৌরসভার প্রশাসক হিসাবে যোগদান করেন।

গতকাল মঙ্গলবার ১ম কর্ম দিবসে দর্শনা পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে বিকাল ৪ টায় পৌর হলরুমে মত বিনিময় করেন।

দর্শনা পৌরসভার প্রশাসক তাসফিকুর রহমান বলেন মানুষের সেবায় হবে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য, দর্শনা পৌরবাসি সেবা গ্রহণ করতে এসে কেউ যেন হয়রানি শিকার না হয়। আমি শুনেছি পূর্বের মেয়র সাহেব ভালমনের মানুষ ছিলেন। মেয়র সাহেবের কাছে সেবা নিতে এসে খুশি মনে বাড়ি ফিরতেন পৌরবাসি। সেই সেবা আপনাদের মাধ্যমে দিতেন। আমিও চায় আপনাদের সাথে নিয়ে মানুষের সেবা দিতে। একই সাথে আপনাদের কে হুশিয়ারী করে বলতে চায় এখানে কোন দুর্নীতির সুযোগ নাই যে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে সাথে সাথে আইনি ব্যবস্থা নেব। জনগণের চাহিদা থাকে রাস্তাঘাট ড্রেন পরিষ্কার, রোড লাইট সহ জন্ম মৃত্যু সনদ সহজে সহায়তা করা। একই সাথে পৌর কর্মচারীদের বকেয়া বেতনভাতা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন। মত বিনিময় সভায় আরও আলোচনা করেন দর্শনা পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী ভারপ্রাপ্ত সচিব সাজেদুল আলম, পৌর কর নির্ধারক সরোয়ার হোসেন, কর আদায়কারী আরিফিন হোসেন, কার্য সহকারী হারুন অর রশিদ, লাইসেন্স পরিদর্শক মমিনুল ইসলাম, সহকারী কর আদায়কারী জাহিদুল ইসলাম। আরও উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীরা।




মেহেরপুরে পৌর ওয়ার্ড বিএনপির আয়োজনে দোয়া মাহফিল

আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা এবং শহীদ আবু সাঈদ সহ রক্ত দিয়ে নতুন বাংলাদেশ স্বাধীন করা শহীদদে রূহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকেল ৫টার সময় নতুন পাড়া চুলকুনি মোড়ে মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

পৌর বিএনপি নেতা আব্দুল বারীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর উপজেলা সদর বিএনপি সভাপতি অ্যাডভোকেট মারুফ আহমেদ বিজন।

এসময় বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আজমুল হোসেন মোল্লা মিন্টু।

আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক যুবনেতা রেজা, ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির নেতা মশিউল আলম দিপু, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম মুকুল, ৮ নাম্বার ওয়ার্ডে সাধারণ সম্পাদক আব্দুল সাত্তার মুকতা, বিএনপি নেতা রেজাউল করিম রেজা, জেলা যুবদলের নেতা মশিউর আলম দিপু খান, জেলা যা চাস সদস্য সচিব বাকি বিল্লাহ, মো ইসমাইল হোসেন, মাওলানা মোখলেসুর রহমান, রফিকুল ইসলাম, আসাদুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম প্রমুখ।




দামুড়হুদায় চক্রান্তকরে ছেলেকে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

দামুড়হুদায় চক্রান্তকরে হেরোইন দিয়ে ছেলেকে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজি মঙ্গলবার বিকাল ৫ টার সময় দামুড়হুদা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখত বক্তব্যে পাঠ করেন আমিনা খাতুন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখত বক্তব্যে জানাগেছে, দামুড়হুদা উপজেলার বদনপুর গোরস্থানপাড়ার গাফফার আলী’র স্ত্রী মোছাঃ আমিনা খাতুন (৪০) লিখিত বক্তব্যে বলেন, উপজেলার চিৎলা গ্রামের শাহিদুল মালিতার ছেলে মোঃ স্বপন আলী (৩৮) এবং আশাদুল হোসেন এর ছেলে মোঃ তুষার (৩০) এরা এলাকার আওয়ামীলীগের ক্যাডার ও চিন্হিত মাদক ব্যাবসায়ী, এদের সহিত পূর্ব হতে আমার ছেলে মোঃ শাহিন রেজা (১৮) এর বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। সেই সুবাদে উক্ত বিবাদীদ্বয় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গত ইং ৩১/০৭/২০২৪ তারিখ বিকাল অনুমান সাড়ে ৪ টার দিকে দামুড়হুদা থানাধীন বদনপুর গ্রামস্থ আমাদের বাড়ির সামনে আসিয়া আমার ছেলেকে ডাকাডাকি করতে থাকে। ঐ সময়ে আমার ছেলে তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে আমাদের বাড়ির সামনে পাকা রাস্তার উপর গেলে উক্ত বিবাদীদ্বয় আমার ছেলেকে পুলিশের নিকট ধরিয়ে দেয়। তারপর আমার ছেলেকে হেরোইন মামলায় চালান দেয়। বর্তমানে আমার ছেলে চুয়াডাঙ্গা জেল হাজতে আছে। আমার ছেলের নিকট কোন হেরোইন না থাকা সত্ত্বেও উক্ত দুইজনের যোগসাজশে আমার ছেলেকে মিথ্যা দোষারোপ করে আমার ছেলের বিরুদ্ধে হেরোইন এর মামলা দেয়। পরবর্তীতে স্বপন ও তুষার এর নিকট যেয়ে আমার ছেলেকে ষড়যন্ত্রমূলকভবে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা দুজনেই আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ সহ জীবনের মতো শেষ করিয়া দেওয়ার হুমকি প্রদান করিতে থাকে। ইহা ছাড়াও তারা আমাকে সহ আমার পরিবারের লোকজনকে খুন-জখমের ও প্রাণ নাশের হুমকি ধামকী প্রদান করিয়া বলে যে, তোদেরকে কুপিয়ে এইখানেই মাটি চাপা দিয়ে দেবো। তারা আরোও বলে যে, ঘটনার বিষয়ে যদি থানা-পুলিশ করিস তাহলে তোকে ও তোর পরিবারের লোকজনকে রাতের আধারে খুন করে তোদের লাশ পুড়িয়ে ফেলবো মর্মে হুমকি প্রদান করে আসতেছে। বিবাদীর এমন অত্যাচারের কারনে আমি ও আমার পরিবারের লোকজন খুবই আশংকাজনক ভাবে জীবন-যাপন করছি।
ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় লোকজন অবগত আছেন। আমার ধারনা তারা দুজন আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনকে যে কোন সময়ে খুন-জখম সহ বড় ধরণের ক্ষতি-স্বাধন করতে পারে। উক্ত বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধান করিতে ব্যর্থ হওয়ায় পরিবারের সহিত আলাপ আলোচনা করে আপনাদের কার্যালয়ে আসিয়া সংবাদ সম্মেলন করিতে কিছুটা বিলম্ব হইল।