জমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন না হওয়ায় ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের ৬ লেনের কাজে ধীরগতি

জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়ায় ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নীতকরণের কাজে ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে। শুধুমাত্র কয়েকটি স্থানে, পাইলিং, লোডটেস্ট আর কালভার্ট তৈরী করা হলেও জমি বুঝে না পাওয়ায় পুরোদমে কাজ শুরু করতে পারছে না ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।

জানা যায়, ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর একনেক সভায় ওয়েস্টার্ন ইকোনমিক করিডোর (উইকেয়ার) ফেজ-১-এর আওতায় ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়ক ছয় লেন উন্নয়ন প্রকল্পটি (এন-৭) অনুমোদন দেওয়া হয়। সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ২০২৬ সালের জুন মাসে। কিন্তু এখন পর্যন্ত জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

সড়ক ঘুরে দেখা যায়, সদর উপজেলার বিষয়খালী, চুটলিয়া মোড়, ধোপাঘাটা ব্রীজ এলাকায় ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে পাইলিংয়ের কাজ। এছাড়া তৈরী করা হচ্ছে ওভার ব্রীজের জন্য গার্ডার। চুটলিয়া মোড়ে এখন করা হচ্ছে লোড টেস্টের কাজ। কিন্তু সড়কের কোন অংশের জমি এখন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। এতে যেমন বিপাকে রয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান একই সাথে সমস্যায় পড়েছেন জমির মালিকরা।

চুটলিয়া এলাকার কৃষক নাসির উদ্দিন বলেন, আজ কয়েকবছর ধরে শুনছি জমির টাকা দিয়ে দেবে। জমিও নিচ্ছে না আবার টাকা দিচ্ছে না। আমরা তো ঝামেলায় আছি।

একই এলাকার কৃষক নাদের মালিথা বলেন, আমাদের জমির জন্য ৭ ধারার নোটিশ করা হয়েছে। কিন্তু এরপর আর কোন নোটিশ পায়নি। এখন জমি তো ফেলেও রাখতে পারছি না আবার চাষ ও করতে পারছি না। ধান লাগালে তো আমাদের একটু হলেও উপকারে আসত। খুব দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছি।

এ ব্যাপারে উইকেয়ার ফেজ-১’র উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ নিলন আলী বলেন, আমাদের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতি কঠোর নির্দেশনা দেওয়া আছে। মান বজায় রেখে আমরা আমাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে জমি বুঝে পায় তাহলে কাজও পুরোদমে শুরু হবে আর আমরাও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ বুঝে দিতে পারব।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলাম বলেন, অধিগ্রহণকৃত জমির জন্য সড়ক বিভাগ, বনবিভাগসহ কয়েকটি দপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারা তাদের তালিকা দ্রুত দিলে আমরা টাকার জন্য চিঠি পাঠাবো। তারপর অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যেই এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।




মেহেরপুরে রথযাত্রা উৎসব অনুষ্ঠিত

মেহেরপুরে সনাতন ধর্মবিশ্বাসীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শ্রীশ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ রবিবার (৭ জুলাই) বিকাল পাঁচটার দিকে সনাতনী রীতি অনুযায়ী এ রথযাত্রা শুরু হয়। মেহেরপুর শহরের হরিসভা মন্দিরের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে রথযাত্রাটি একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়।

হিন্দু ধর্মের অনুসারীরা এ সময় শ্রী জগন্নাথ দেবের জয় গান করেন। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বয়সের ধর্মানুসারীরা রথযাত্রায় অংশগ্রহণ করে। এর পূর্বে মন্দিরে পূজা-আর্চনা আয়োজন করা হয়।

রথযাত্রা শেষে অনুসারীদের প্রসাদ বিতরণ করা হয়।




বাংলাদেশের জনপ্রিয় তারকাদের সন্তানেরা সিনেমা বিমুখ!

হলিউড-বলিউডসহ প্রায় সব ইন্ডাস্ট্রিতেই জনপ্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সন্তানদের সিনেমায় দেখা যায় হরহামেশাই। কিন্তু বাংলাদেশ তথা ঢালিউডের চিত্র একেবারেই ভিন্ন।

শাবানা, ববিতা, কবরী থেকে শুরু করে জসিম-ফারুক-আলমগীরদের মতো তারকাদের তুমুল জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও এ পথে পা মাড়াননি তাঁদের সন্তানেরা। যা নিয়ে আক্ষেপ ঝরে পড়েছে মৌসুমীর কণ্ঠে।

একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা আলাপ করেছেন নায়িকা। তিনি বলেন, ‘ছেলেসন্তানদের ক্ষেত্রে বাধা না থাকলেও কন্যাসন্তানদের নায়িকা হতে দিতে চাইছেন না শিল্পীরা। সব নায়ক-নায়িকাকে দেখি তাঁদের ছেলেরা যদি সিনেমা করতে চায়, তাদেরকে না করেন না। কিন্তু মেয়ে কখনো যদি নায়িকা হতে চায়, সেটা নিয়ে সবাই একটু অমত পোষণ করেন।’

‘ভাত দে’ সিনেমায় নজর কেড়েছিলেন নায়ক আলমগীরের মেয়ে শিল্পী আঁখি আলমগীর। যদিও পরে গানে নিয়মিত হলেও অভিনয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। এ প্রসঙ্গে মৌসুমী বলেন, ‘আঁখি আলমগীর খুব সম্ভাবনাময় ছিল। তাকে কিন্তু ভাইয়া (আলমগীর) কাজ করতে দেননি। ও খুবই সুন্দর মিষ্টি দেখতে ছিল। সে সময় একঝাঁক নতুন মুখ আসছিল। কিন্তু আঁখিকে দেওয়া হয়নি। তাকে পেলে আমরা খুব ভালো একজন নায়িকা পেতাম। চম্পা আপার মেয়েও কিন্তু অনেক কিউট। চম্পা আপা তাকে কখনো নায়িকা হতে উৎসাহ দেননি। দেখা যায় যে আমাদের অনেকেরই মেয়ে আছে, যাদের আগ্রহ থাকার পরও সিনেমায় আসতে দেওয়া হয়নি। অন্যভাবে বড় করা হয়েছে। কেন যেন আর্টিস্ট হওয়ার ব্যাপারে সবার বাধা।’

মৌসুমী আরও বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ছিলেন দোয়েল আপা, তিনি অনেক সময় দিতেন (প্রার্থনা ফারদিন দীঘি) দীঘিকে। আপা আমাকে বলেছিলেন, আমার খুব ইচ্ছা দীঘিকে নায়িকা হিসেবে তৈরি করার। আমি নিজে যা মেইনটেইন করতে পারিনি। আমি বড় জায়গায় যেতে পারতাম। এত সাপোর্ট পেয়েও আমি আমার জায়গাটা ধরে রাখতে পারিনি। এটা আমি দীঘির মধ্যে দেখতে চাই।

যাই হোক সর্বসাকুল্যে বড় তারকা খ্যাতিসম্পন্ন অভিনেতা ও অভিনেত্রীরা তাদের মেয়েদেরকে সিনেমায় আনতে বিমুখ।




দামুড়হুদায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

দামুড়হুদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট, বালক (অনূর্ধ্ব-১৭) এর শুভ উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের সাংসদ সদস্য হাজী মোঃ আলী আজগার টগর।

গতকাল রবিবার বিকাল সাড়ে ৪টার সময় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলার শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি।

প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে এমপি টগর বলেন, অনূর্ধ্ব ১৭ বয়সের ছেলেদের ফুটবল টুর্নামেন্টের আজকে উদ্বোধনী খেলা, আর এই বয়সেই খেলাধুলা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরী। মাদক থেকে দূরে থাকতে হলে খেলাধুলার সাথে সম্পৃক্ততা থাকতে হবে। খেলাধূলায় মনোযোগী হলে মাদক থেকে দূরে থাকা সম্ভব। খেলায় হার জিত থাকবেই, এটা মেনে নিতে হবে। খেলার মাঠে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবানা। বক্তব্য শেষে এমপি টগর টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী খেলায় দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা’র সভাপতিত্বে এসময় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শফিউল কবির ইউসুফ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তানিয়া খাতুন, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী, কার্পাসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস, হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন, নতিপোতা ইউপি চেয়ারম্যান ইয়ামিন আলী, আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ কামাল উদ্দিন, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও দামুড়হুদা প্রেসক্লাব সভাপতি এম নুরুন্নবী, উপজেলা ছাত্র লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজু আহাম্মেদ রিংকু, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক ও দামুড়হুদা ইউনিয়ন একাদশের কোচ ম্যানেজার শহীদ আজম সদু সহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত আমন্ত্রিত অতিথি বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। খেলার মাঠে ছিলো দর্শকদের উপচে পরা ভীড়, ফুটবল প্রেমীরা সহ উপস্থিত সকলে মনোমুগ্ধকর খেলা উপভোগ করেন।

টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী খেলায় যে দুটি দল অংশগ্রহণ করেন তারা হলো উপজেলার দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন একাদশ বনাম হাউলী ইউনিয়ন একাদশ। খেলার নির্ধারিত সময়ে উভয় দলই দুটি করে গোল করে খেলার সমতা বজায় রাখে। পরে ট্রাইবেকারে ৫টির মধ্যে দামুড়হুদা ইউনিয়ন একাদশ ৩টা গোল করে এবং হাউলী ইউনিয়ন একাদশ ৪টি গোল করে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী খেলায় বিজয়ী হয়।

খেলায় রেফারীর দায়িত্ব পালন করেন একরামুল হাসান নিপুন, সৈয়দ মাসুদুর রহমান, সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস, ইউসুফ আলী। টুর্নামেন্টের ম্যাচ কমিশনার সাবেক জেলা ফুটবলার জাকির হোসেন। খেলায় ধারাভাষ্য দেন মোস্তাফিজুর রহমান।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন দামুড়হুদা মডেল মসজিদের পেশ ঈমান হাফেজ মাও মোঃ মামুনুর রশীদ।




হরিণাকুণ্ডুতে নবাগত সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর যোগদান

ঝিনাইদহ জেলা হরিণাকুণ্ডু উপজেলাতে ঈষিতা আক্তার সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে যোগদান করলেন।

গত মঙ্গলবার হরিণাকুণ্ডু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আক্তার হোসেন ফুলের তোড়া দিয়ে নবাগত সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে বরণ করে নেন। তিনি ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এসে হরিণাকুণ্ডু উপজেলাতে যোগদান করলেন। এর আাগে তিনি খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যোগদান করেন।

নবাগত সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ঈষিতা আক্তার ২০১৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর চাকুরীতে যোগদান করেন। তিনি ভূমি সেবা নিশ্চিতে ও আইনের শ্বাসন প্রতিষ্ঠায় উপজেলাবাসীর ঐকান্তিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।




মুজিবনগরে প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা পুরস্কার বিতরণ

মুজিবনগরে উপজেলা পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৪ ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ রবিবার (৭ জুলাই) বিকালে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা শিক্ষা অফিসের আয়োজনে, মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ মাঠে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা পর্যায়ে ইউনিয়ন ভিত্তিক খেলায় বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টে মহাজনপুর ইউনিয়ন চ্যাম্পিয়ন গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং বাগোয়ান ইউনিয়ন চ্যাম্পিয়ন আনন্দবাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মধ্যে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

ফাইনাল খেলায় আনন্দবাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২ শূন্য গোলে গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কে পরাজিত করে উপজেলা চ্যাম্পিয়ন জেলা পর্যায়ে খেলার গৌরব অর্জন করে।

বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টের খেলায় সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন আনন্দবাস সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাফিউল ইসলাম এবং সর্বোচ্চ গোল দাতা নির্বাচিত হয়েছেন সাদিকুল ইসলাম।

অপরদিকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টে ইউনিয়ন চ্যাম্পিয়ন গৌরি নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মোনাখালী ইউনিয়ন চ্যাম্পিয়ন ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ফাইনাল খেলায় ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১-০ গোলে গৌরিনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়কে পরাজিত করে উপজেলা চ্যাম্পিয়ন জেলা পর্যায়ে খেলার গৌরব অর্জন করে । বঙ্গমাতা খেলায় সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর রিয়া খাতুন এবং সর্বোচ্চ গোলদাতা নির্বাচিত হয়েছেন সুমাইয়া-তাসনিম মারিয়া।

বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টে মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল ইসলাম সভাপতিত্বে, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে খেলাটি উপভোগ ও পুরস্কার বিতরণ করেন।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে খেলাটি উপভোগ করেন, মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ উজ্জল কুমার দত্ত, সহকারী কমিশনার ভুমি নাজমুস সাদাত রত্ন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আলাউদ্দীন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান রাজিব, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তকলিমা খাতুন।

এছাড়াও উপজেলা পরিষদের অফিসারবৃন্দ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, ডাক্তার, সাংবাদিকসহ উৎসুক দর্শক উপস্থিত থেকে বঙ্গবন্ধু বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের খেলা উপভোগ করেন।




কুষ্টিয়ার চারজন লেখকের বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

কুষ্টিয়ার চারজন লেখকের ৫টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে কুষ্টিয়া শহরের আঞ্জুম কিচেনে এক অনুষ্ঠানে এই বইগুলোর মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

বইগুলো হলো নূরুন নাহার ইকবাল এর লেখা উপন্যাস ‘একগুচ্ছ নীলপদ্ম একজন জলপরী এবং গড়াই নদ’ হাসিনা রহমানের জৈবনিক উপন্যাস ‘ফিরে দেখা’ ও ভ্রমণ কাহিনী ‘কাবুলে কুড়ি দিন’, সাফিনা আঞ্জুম জনীর কাব্যগ্রন্থ ‘ধূপকাঠি’ এবং নাজমুন নাহারের কাব্যগ্রন্থ ‘মায়ার তির’।

প্রথিতযশা সাহিত্য চর্চাকেন্দ্র ‘কাব্যকথা পরিষদ’ এর তত্বাবধানে এই বইয়ের প্রকাশনা উৎসবের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ট্রেজারার ড. প্রফেসর সেলিম তোহা।

লেখক ও সংগঠক হাসান টুটুলের সঞ্চালনায় জমকালো এই অনুষ্ঠানে বই, সাহিত্য, ও প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে মূল্যবান ও বিস্তর আলোচনা করেন রাজশাহী সরকারী কলেজের প্রফেসর হেলালুন নাহার, খ্যাতিমান সাংবাদিক দৈনিক বাংলাদেশ বার্তা পত্রিকার সম্পাদক আবদুর রশীদ চৌধুরী, কবি ও আবৃত্তি শিল্পী আলম আরা জুঁই, কুষ্টিয়া মহিলা কলেজের সহযোগি অধ্যাপক অজয় মৈত্র, সহযোগি অধ্যাপক কবি হাশিম কিয়াম, লেখক মুনশী সাঈদ, ছড়াকার আব্দুল্লাহ সাঈদ, কবি, লেখক ও উপস্থাপক কনক চৌধুরী, বিশিষ্ট আইনজীবি সেলিম খান, তরুণ আলোচক সিদ্দিক প্রামানিক।

বই মানুষকে জাগ্রত করে উল্লেখ করে বই মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বই পড়ার নিয়মিত অভ্যাস থাকলে স্মৃতিশক্তি প্রখর হয় এবং মন প্রফুল্ল থাকে। এই অভ্যাস আমাদের মানসিক অবসাদ ও ক্লান্তি দূর করে এবং মন সংযোগ বাড়িয়ে তোলে। বই-ই ব্যক্তি, পরিবার এবং সমাজের সব অশান্তি, অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা দূর করার চাবিকাঠি। কাজেই আমাদের বই পড়ার অভ্যাস ফিরিয়ে আনতেই হবে।

বক্তারা আরও বলেন, সাহিত্য হচ্ছে একটি দেশের দর্পনস্বরুপ। সাহিত্য যারা চর্চা করে তারা দেশের জন্য কাজ করে। সাহিত্যকর্ম ব্যক্তিকে মার্জিত করে তোলে। সৃজনশীল সাহিত্য মননশীল মানুষ ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ার হাতিয়ার। তাই সভ্যতার বিকাশ ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে সৃষ্টিশীল মানুষকে সম্মান করতে হবে এবং তাদের সৃষ্ট সাহিত্যকর্ম মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে।

অনুষ্ঠনকে প্রাণবন্ত করতে প্রফেসর হেলালুন নাহার, সাফিনা আঞ্জুম জনী, সাকিলা দোলা, আছমা আক্তার মিরু, তুলিকা বিশ্বাস, হোসনে আরা জামান, শাম্মী সুলতানা, মহুয়া সাদিয়া ফারজানা কন্ঠে কবিতা আবৃত্তি করা হয়।

মনোমুগ্ধকর সঙ্গীত পরিবেশন করেন সাব্বির কোরাইশি, অরণ্য ইকবাল এবং সিয়াম।




আলমডাঙ্গায় চিকিৎসক সংকটে ৩১ শয্যা হাসপাতালে দ্বিগুণ রোগী

এক সপ্তাহ ধরে ঠান্ডা জ্বরে ভুগছিল দেড় বছর বয়সী আফিয়া সুমাইয়া তাবাচ্ছুম। বাড়িতেই টুকটাক চিকিৎসা চলছিল তার। হঠাৎ অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানান, নিউমোনিয়া হয়েছে। তবে শয্যা না থাকায় হাসপাতালে রাখেননি। বিকেলে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে।

একই দিন পার্শ্ববর্তী উপজেলার মিরপুর থানার বাসিন্দা আরজিনা বেগম নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত দুই মাসের ছেলেকে নিয়ে আসেন হাসপাতালে। শয্যা না থাকায় বেলা সাড়ে ১১টা পেরিয়ে গেলেও ভর্তি করাতে পারেননি। অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে বাসায় ফিরবেন, নাকি জেলার হাসপাতালে যাবেন ভেবে পাচ্ছেন না।

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় তীব্র গরমে জ্বর, ঠান্ডা, কাশি, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। বৃহস্পতিবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, টিকিটের জন্য অপেক্ষা করছে রোগী ও স্বজনরা। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই টিকিট কাউন্টারের সামনে লম্বা লাইন। বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগের সামনেও ভিড়। সব ওয়ার্ডই রোগীতে পূর্ণ। এরই মধ্যে ৩১ শয্যার হাসপাতালটিতে ভর্তি রয়েছে ৭০ জন রোগী। প্রতিদিনই হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ জন। এতে বেড়েই চলছে রোগীর চাপ। দ্বিগুণ রোগী হওয়ায় দেখা দিয়েছে শয্যা সংকট। মেঝে-বারান্দায় চাদর ও পাটি বিছিয়ে বসে ও শুয়ে আছে রোগী ও স্বজনরা। প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা তাদের। বিছানার পাশ দিয়ে মানুষজন হেঁটে যাচ্ছে। পায়ের ধুলাবালু উড়ে বিছানায় ও নাকেমুখে যাচ্ছে। এ অবস্থায় রোগীদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা।

১৯৬২ সালে ৩১ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি স্থাপিত হয়। প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পর ২০১২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি এটিকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী জনবল বাড়ানো হয়নি। এতে এই হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে। বহির্বিভাগ, জরুরি বিভাগসহ প্রতিদিন রোগী দেখা হয়েছে অন্তত ৮০০ জন। এর মধ্যে বহির্বিভাগে এসেছে ৬০০ এবং জরুরি বিভাগে ২০০ জন। গত জুন মাসের তুলনায় জুলাইয়ের শুরু থেকে হাসপাতালে দৈনিক গড়ে ৪০০ রোগী সেবা নিয়েছে। দৈনিক গড়ে ১৫-২০ জন ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে ৩১ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি আছে ৭৮ জন। তাদের মধ্যে শিশু-বৃদ্ধসহ ১৫ জন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। ২৪ ঘণ্টায় বহির্বিভাগে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ১০ জন ও ডায়রিয়ার ২৯ জন চিকিৎসা নিয়েছে। এ ছাড়া জ্বর, ঠান্ডা ও কাশিতে আক্রান্ত রোগীও আছে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বে থাকা (আরএমও) নাজমিন সুলতানা কণা জানান, তাপদাহের পর বৃষ্টি হওয়ায় রোগীর চাপ বেড়েছে। পর্যাপ্ত শয্যা না থাকায় অনেক রোগীকে মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসক সংকট থাকায় প্রত্যেকে ডাবল শিফটে সেবা দিচ্ছেন।




মেকআপের সঠিক নিয়ম জানেন তো?

কমবেশি মেকআপ আজকাল সবাই করেন। তবে মেকআপ ত্বকের অপরিহার্য অংশ হয়ে যাওয়ায় তোলার দিকে অনেকেরই মনোযোগ থাকে না। বাসায় ফিরে ঘুমানোর আগে যদি ভালোভাবে মেকআপ না তোলা হয় তাহলে বাঁধে বিপত্তি। মুখ-ভর্তি ব্রণ, র্যাশ, নিষ্প্রাণ ত্বক, ত্বকের পোর বড় হওয়া নিয়ে নানা জটিল সমস্যা তখনই শুরু হয়ে যায়। তাই শুধু ত্বকে মেকআপ করলেই হবে না। মেকআপ তোলার ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকা জরুরি। সেক্ষেত্রে কিছু বিষয় মনে রাখা জরুরি।

ফেসওয়াশের ব্যবহার
মেকআপ তুলতে যেকোনো ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিলেই মেকআপ ত্বক থেকে ভালোভাবে তোলা হয়ে যায় না। মেকআপ ভালোভাবে তোলার কিছু নিয়ম রয়েছে। সঠিকভাবে মেকআপ তোলার ফলে ত্বক অনেক বয়স পর্যন্ত সতেজ ও স্নিগ্ধ থাকে। ফেসওয়াশ ব্যবহার করাটা প্রথমেই প্রায়োরিটি পাওয়া উচিত নয়।

মেকআপ রিমুভার লোশন
সবার প্রথমে মেকআপ রিমুভার লোশন বা যেকোনো স্কিন ওয়েল মুখে ভালোভাবে ম্যাসাজ করে নিতে হবে। এভাবে মেকআপ খুব সহজে উঠে আসে এবং একই সঙ্গে ত্বকে বেশি ঘষা লাগে না। ত্বকে মাত্রাতিরিক্ত স্ক্রাবিং বা ঘষাঘষি ঠিক না। তা করলে ত্বক সহজেই ঝুলে যায়।

তোয়ালের ব্যবহার
ফেস টিস্যু নিয়ে আলতো করে ঘষে মেকআপ তুলতে হবে। ছোট ফেস তোয়ালেগুলো ব্যবহার করা ভালো যেহেতু এই তোয়ালেগুলো খুব নরম হয়ে থাকে। ত্বকের ধরন অনুযায়ী একটি মেকআপ রিমুভার নিয়ে আরেকবার পুরো ত্বকে ভালো করে অ্যাপ্লাই করে মেকআপ তুলে নিতে হবে।

মেকআপ রিমুভার
অ্যালার্জিপ্রবণ ত্বক বা সেনসিটিভ ত্বকের মেকআপ রিমুভার বাজারে খুব সহজেই কিনতে পাওয়া যাবে। নরমাল বা স্বাভাবিক ত্বক হলে যেকোনো ব্র্যান্ডের মেকআপ রিমুভার ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে ভালো ব্র্যান্ডের রিমুভার ব্যবহার করাই ভালো। এরপরের ধাপে ত্বক অনুযায়ী একটি ভালো মানের ফেসওয়াশ দিয়ে পুরো মুখের ত্বক ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে, যাতে করে মেকআপ ভালোভাবে ওঠে এবং রিমুভার লোশন, তেল কোনোকিছুই ত্বকে অবশিষ্ট না থাকে। ফোম ফেসওয়াশ বা ক্লিনজার ব্যবহার করা ভালো। এভাবে ত্বকের তেল, ধুলো, মেকআপ সবই ভালোভাবে রিমুভ হয়ে যাবে। মেকআপ এই পদ্ধতিতে রিমুভ করাকে বলা হয় ডাবল ক্লিনজিং পদ্ধতি। মেকআপ তুলে অবশ্যই ভালো একটা টোনার, ময়েশ্চারাইজার ও আই ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। অন্যথায় ত্বক দিন দিন নিষ্প্রাণ হতে থাকবে বা বিভিন্ন ধরনের ত্বকের সমস্যা শুরু হবে।

সূত্র: ইত্তেফাক




জিয়ার মৃত্যুতে শোক করেছে আন্তর্জাতিক দাবা ফেডারেশন

দাবা খেলা অবস্থায় আকস্মিকভাবে মারা গেছেন বাংলাদেশের গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে আন্তর্জাতিক দাবা ফেডারেশন-ফিদে। তাদের ওয়েবসাইটে আনুষ্ঠানিক শোক বার্তায় জিয়ার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে সংস্থাটি।

শুক্রবার (৫ জুলাই) বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনে চলছিল জাতীয় দাবা প্রতিযোগিতার ১২তম রাউন্ডের খেলা। এনামুল হোসেন রাজীবের বিপক্ষে খেলছিলেন জিয়া। দুপুর ৩টায় শুরু হওয়া ম্যাচটিতে খেলাকালীন হঠাৎ করেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে শাহবাগের ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা দ্রুতই তার চিকিৎসা শুরু করেন। প্রায় ১৫ মিনিট পর্যন্তও জিয়ার পালস খুঁজে পাননি ডাক্তাররা। অবশেষে তাকে মৃত ঘোষণা করে চিকিৎসকরা।

জিয়াকে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল দাবাড়ু উল্লেখ করে ফিদে জানিয়েছে, ‘জিয়াউর রহমানের আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি। তার পরিবার, বন্ধু ও ভালোবাসার মানুষদের প্রতি জানাচ্ছি সমবেদনা।’

সূত্র: ইত্তেফাক