“স্বৈরাচারী হাসিনার পতনে দেশের গণতন্ত্র মুক্তি পেয়েছে”-আসাদুজ্জামান বাবলু

তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ৭৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গাংনীতে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল করেছে উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠন।

আজ শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকালে গাংনী উপজেলার সাহারবাটি ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে সাহারবাটি ইয়ূথ ক্লাব চত্ত্বরে এই মিলাদ মাহফিল ও দোয়ার আয়োজন করা হয়।

সাহারবাটি গ্রাম বিএনপি আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাহারবাটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবলু।

সাহারবাটি গ্রাম বিএনপির সভাপতি জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাহারবাটি কৃষকদলের সভাপতি জাহিদুল হক রাজুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, গাংনী পৌর বিএনপির সাংগাঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা ডাকু, বিএনপি নেতা শাজাহান সেলিম, আশাদুল ইসলাম আশা, সাহারবাটি ইউনিয়ন বিএনপির ৯ ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি গোলাম রহমান, সাহারবাটি ইউনিয়ন কৃষকদলের সাধারন সস্পাদ আবুল কালাম, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাজমুল হুসাইন, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মনিরুজ্জামান মনি, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম সস্পাদক এম রাশেদুল ইসলাম রাশেদ, গাংনী সরকারি ডিগ্রী কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি জুনায়েদ আহমেদ, সাবেক ছাত্রনেতা শাহিবুল ইসলাম। এসময় বিএনপি ও অঙ্গ সংঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিল।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু বলেন, হাজারো ছাত্র তাদের বুকের তাজা রক্ত দিয়ে এই দেশকে দ্বিতীয় দফায় স্বাধীন করেছে। ছাত্রদের বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের সেই স্বাধীনতা ধরে রাখতে হবে। এখন প্রতিশোধ নয়, সবাইকে নিয়ে দেশ গড়তে হবে।
তিনি আরো বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতনে দেশের গণতন্ত্র মুক্তি পেয়েছে।

খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে আবারও ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় গিয়ে দেশ পরিচালনা করবেন। তারেক রহমান দেশে ফিরে গণমানুষের কাণ্ডারি হবেন।

এসময় শহিদ ছাত্রদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এছাড়া মাহফিল থেকে দেশ-জাতির মঙ্গল ও খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়।




সরকারি ঔষধ পাচারের অভিযোগ স্টোর কিপার পলির বিরুদ্ধে

সরকারি ঔষধ বাহিরে পাচার করা, স্টক লেজার মেইনটেইন ও সার্ভে কমিটির কাছে রিপোর্ট না দেওয়াসহ নানা অভিযোগ উঠেছে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের স্টোর কিপারর নাসিমা পলির বিরুদ্ধে। এসকল অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে কারণ দর্শাণোর নোটিশ দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। নাসিমা পলি মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের এলএমএসএস গোলাম রহমানের খানের মেয়ে।

কয়েক দফায় কারণ দর্শাণোর নোটিশ দিলেও তিনি জবাব দেননি এবং সার্ভে কমিটির কাছে কোন রিপোর্ট পেশ করেননি। জবাব না পেয়ে গত ৭ আগষ্ট স্টোর কিপার নাসিমা পলিকে একদিনের মধ্যে সন্তোষজনক ব্যাখ্যা প্রদানের নোটিশ প্রদান করেন এবং না দিলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানানোর কথা উল্লেখ করা হয়।

পরবর্তিতে গত ১৩ আগষ্ট তাকে তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শিয়ে আরও একটি নোটিশ প্রদান করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সে নোটিশে বলা হয়েছে, আপনি (স্টোর কিপার) হাসপাতালের সরকারি ওষুধ বাহিরে পাচার করেন। এছাড়া স্টক লেজার মেইনটেইন না করা ও সার্ভে কমিটির নিকট রিপোর্ট প্রদান না করার প্রমান আছে। এ অভিযোগের ভিত্তিতে তিন দিনের মধ্যে উপর্যুক্ত কারণ দর্শাণোর নোটিশ দেওয়া হয়।

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের স্টোর কিপার নাসিমা সুলতানা চাকরিতে যোগদান করেন ১৯৮৮ সালে। নাসিমা পলি যোগদানের পর ডেপুটেশনে মেহেরপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কয়েকবছর। পরে আবার স্বপদে ফেরেন মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে। সেই থেকে প্রায় দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে চাকরি করছেন একই কর্মস্থলে। কিন্তু সরকারি চাকরিতে একই কর্মস্থলে তিন বছরের বেশি থাকার বিধান নেই। রাজনৈতিক ক্ষমতায় তিনি একই কর্মস্থলে থাকছেন যুগের পর যুগ। নাসিমা পলির আপন ভাই আব্দুর রহমান মন্টু একজন কুয়াক দন্ত চিকিৎসক। তার ওই ভাই ও হাসপাতালের কিছু দালালের মাধ্যমে সরকারি ওষুধ বাহিরে পাচার করার অভিযোগ রয়েছেন নাসিমা পলির বিরুদ্ধে। মেহেরপুরের বিভিন্ন ওষূধের দোকানে পুলিশের অভিযানে সরকারি ওষুধ পাওয়ার খবর পাওয়া গেছে এবং যেগুলো বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।

হাসপাতাল এলাকার কয়েকজন ওষুধ দোকানদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, স্টোর কিপার নাসিমা পলি সরকারি ইনসুলিন, এন্টিবায়েটিকসহ বিভিন্ন সরকারি ওষুধ তার পছন্দের কিছু দোকানে বিক্রি করেন। হাসপাতালের হিসাবরক্ষক মীর হাবিবুর রহমানের যোগসাজশে তিনি এসকল অপর্কম করেন বলে অভিযোগ করেন তারা।

মেহেরপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হাসিব মো. জমির সাত্তার বলেন, স্টোর কিপার নাসিমা পলির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে বিভিন্ন সময় মৌখিক ও লিখিতভাবে সতর্ক করা হয়েছে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে তার বিরুদ্ধে বলেও লাভ হয়নি। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তার অপকর্ম থেকে পার পেয়ে যায়। তার কাছে রিপোর্ট চেয়ে নোটিশ করা হয়েছে। রিপোর্টে গরমিল পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




মেহেরপুরের হরিরামপুর বিল দখল করার অভিযোগ বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে

মেহেরপুর সদর উপজেলার হরিরামপুর বিল দখল করার অভিযোগ উঠেছে স্খানীয় বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে। গত ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দিন বিএনপি নেতা রশিদের নেতৃত্বে স্থানীয় বিএনপির নেতাদের বিলটি দখলে নিয়েছে অভিযোগ করেছেন ইজারাদাররা।

২০১৯ সালের ২০ মে হরিরামপুর বিলপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির কাছে ৬ বছরের জন্য ইজারা দেয় জেলা প্রশাসন। সেই চুক্তি মোতাবেক চলতি ১৪৩০ বাংলা সালের চৈত্র মাস পর্যন্ত ইজারাদাররা বিলটিতে মাছ চাষ করতে পারবেন। কিন্তু সরকার পতনের সাথে সাথে চর দখলের মত বিলটি দখলে নেয় বিএনপি নেতারা। দখলে নেওয়ার পর লিখে নেওয়ার জন্য নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। এ ঘটনায় হরিরামপুর গ্রামে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে গ্রামবাসী।

হরিরামপুর বিলপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সাত্তক আলী অভিযোগ করে বলেন, ৬ বছরের জন্য বিলটি আমরা ইজারা নিয়েছি সরকারি নিয়ম মেনে। আমাদের এখনো ৮ মাস বাকি রয়েছে। কিন্তু সরকার পতনের সাথে সাথে বিএনপির নেতারা বিল থেকে আমাদের লোকজনকে তাড়িয়ে দিয়ে তারা দখল করে নিয়েছে। এখন বিলটি লিখে নেওয়ার জন্য বিভিণ্ণ ভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। চলতি বছরে আমরা প্রায় ৪২ লাখ টাকার পোনা ছেড়েছি। এখন মাছ বিক্রি করলেও প্রায় ৮০ থেকে ৯০ লাখ টাকা হবে। আমরা তাদের বলেছি, আমাদের মেয়াদ শেষ হলে বিলটি ছেড়ে দেব। কিন্তু তারা জোর করে বিলটি দখলে নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে প্রশাসনকে বলেও কোন লাভ হচ্ছে না।

তবে, এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা আব্দুর রশিদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।




বিএনপির খণ্ড খণ্ড মিছিল গাংনী উপজেলা শহর জনসমুদ্রে পরিণত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের দাবিতে মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির তিনটি গ্রুপ পৃথকভাবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। কর্মসূচিকে ঘিরে সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা গাংনী উপজেলা শহরে অবস্থান করেন। পরে একে একে গোটা এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়।

যার কারণে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মিছিল থেকে গণহত্যার দায়ে বিএনপি ও ছাত্র-জনতা শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের ফাঁসি দাবি করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে গাংনী উপজেলা শহরের বড়বাজার এলাকা থেকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে হাসপাতাল বাজার হয়ে শহীদ আবু সাঈদ চত্বরে (অস্থায়ীভাবে স্থাপিত) এসে শেষ হয়।

বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবলুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, গাংনী উপজেলা বিষয় সহসভাপতি আব্দুর রউফ, নাসির উদ্দিন, গাংনী পৌরসভার কমিশনার নাছির উদ্দীন, সাবেক কমিশনার আব্দুল্লাহেল মারুফ পলাশ, বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলাম, গাংনী উপজেলা ছাত্র দলের সাবেক সভাপতি আব্দুল হান্নানসহ বিএনপি, কৃষকদল, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে গাংনী উপজেলা বিএনপির একাংশ ও জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের উদ্যোগে বিশাল বিক্ষাভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিক্ষোভ মিছিলটি উপজেলা বিএনপির রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে হাসপাতাল বাজার ঘুরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে শেষ হয়। পরে আয়োজিত সমাবেশ সভাপতিত্ব কনেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল হক। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি শিল্পপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন।

সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কাউছার আলী, গাংনী উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আব্দুল মালেক চপল বিশ্বাস, জেলা ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বিপ্লব, জেলা মহিলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লাইলা আরজুমান বানু শিলাসহ বিএনপির নেতৃবৃন্দ। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

একই সময় বৃহস্পতিবার দুপুরে গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবলু’র নেতৃত্বে অপর একটি মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গাংনী হাসপাতাল বাজার এলাকায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে বড়বাজার এলাকা ঘুরে একই স্থানে এসে শেষ হয়। পরে আয়োজিত সমাবেশ বক্তব্য রাখেন গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবলু,মেহেরপুর জেলা কৃষকদলের আহবায়ক মাহবুবুর রহমান, গাংনী পৌর বিএনপির ২ নং ওয়ার্ডের সভাপতি সুলেরি আলভী, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাজমুল হােসেনসহ বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ।

পৃথক পৃথক সমাবেশে বক্তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ফ্যাসিবাদী হাসিনাকে পুনর্বাসনের যেকোনো চক্রান্ত বিএনপি ও এদেশের ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়ে হলেও প্রতিহত করবে। বিএনপি ও ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনসহ বিগত ১৫ বছরে দেশে নির্বিচারে গুম, খুনের বিচার করতে হবে।

তারা বলেন, এখনো যারা শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের পক্ষে আছেন তাদের চিহ্নিত করে সাজা নিশ্চিত করতে হবে। জুলুমের বিচার করতে হবে।

নিরীহ ছাত্র-জনতাকে হত্যাকাণ্ডের দায়ে খুনি শেখ হাসিনাসহ তার সহযোগীদের ফাঁসির দাবি জানান তারা।




মেহেরপুরে ছাত্র-জনতার প্রতিরোধ সমাবেশ ও মিছিল

দেশে অশান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টার বিরুদ্ধে মেহেরপুরে ছাত্র-জনতার প্রতিরোধ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩ টার সময় মেহেরপুর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এই আয়োজন করে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর ছাত্র প্লাবণের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি এর সহকারী অধ্যক্ষ খন্দকার মুইজ, এএমআইই এর প্রাক্তন ছাত্র তামীম হাসান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আকিব জাবেদ সেনজির, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, মেহেরপুর পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক তৌফিক এলাহীসহ মেহেরপুর বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।

মিছিলটি মেহেরপুর শহরের ড. শামসুজ্জোহা পার্ক থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশে এখনো অশান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা চলছে। যারাই দেশের বিরুদ্ধে অশান্তির অপচেষ্টা চালাবে তাদেরই প্রতিরোধ করবে এদেশের ছাত্র-জনতা।

মিছিলে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।




মেহেরপুরে জেলা বিএনপির একাংশের অবস্থান কর্মসূচি পালন

শেখ হাসিনা কর্তৃক ছাত্র জনতার ওপর গুলি চালিয়ে গণহত্যা এবং হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচী করেছে মেহেরপুর জেলা বিএনপির একাংশ।

কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের জেনারেল হাসপাতাল রোডের এশিয়া নেট মোড়ে এই কর্মসূচী পালন করা হয়।

মেহেরপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ওমর ফারুক লিটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক ফয়েজ মোহাম্মদ।

জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম দুলালের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন, বিএনপি নেতা ফরিদুল হক, নাড়ু, খাইরুল, জেলা যুবদলের সহসভাপতি আনিসুর রহমান লাবলু, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হক, সাবেক ইউপি সদস্য মুস্তাক রাজা, সদর উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি হাসিবুজ্জান স্বপন, জেলা জিয়া মঞ্চের আহবায়ক অ্যাড. নজরুল ইসলাম, সদস্য সচিব ও জেলা যুবদলের সদস্য মনিরুল ইসলাম মনি,জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নাহিদ মাহবুব সানি। এসময় বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

অবস্থান কর্মসূচির আগে জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নাহিদ মাহবুব সানির নেতৃত্বে একটি মোটরসাইকেল মিছিল বের হয়। মিছিলটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কর্মসূচি স্থানে এসে শেষ হয়।




মুজিবনগরে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি

ছাত্র-জনতার উপর গুলি চালিয়ে হত্যাকারী খুনি হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচারের দাবিতে মুজিবনগর উপজেলা বিএনপি অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।

উপজেলা বিএনপির আয়োজনে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার কেদারগন্জ বাজারে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।

অবস্থান কর্মসূচিতে মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাসের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মেহেরপুর ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জেলা বিএনপির সভাপতি মাসুদ অরুন।

এসময় মাসুদ অরুন বলেন, ছাত্র হত্যার বিচার এই বাংলার মাটিতে হবে। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে বাঁচতে পারবেন না। শেখ হাসিনাকে ও তার দোসরদের দেশে ফিরিয়ে এনে পিলখানা হত্যা, বিএনপি নেতা কর্মীদের গুম খুন সহ জুলাই আগস্ট মাসের ছাত্র জনতা হত্যা সহ সমস্ত নির্যাতনের বিচার এই দেশের মানুষ করে ছাড়বে ইনআশাল্লাহ।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ, সদর উপজেলা বিএনপি সভাপতি এ্যাড: মারুফ আহমেদ বিজন, মেহেরপুর জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আহসান হাবিব সোনা, জেলা যুবদলের সভাপতি জাহিদুল হক জাহিদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম সাবু,উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আবুল হাসান,সদস্য সচিব আনোয়ারুল ইসলাম,জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আকিব জাভেদ সেনজির,সহ মুজিবনগর উপজেলা বিএনপি, শ্রমিকদল, যুবদল, ছাত্রদলসহ উপজেলা বিভিন্ন গ্রাম থেকে বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যাক নেতা কর্মীরা অংশ নেন।




দামুড়হুদায় বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে হাজারো মানুষের ঢল

ছাত্র-জনতার উপর গুলি চালিয়ে গণহত্যাকারী খুনি হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচারের দাবীতে দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপি ২য় দিনের ন্যায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির আয়োজনে বাসস্ট্যান্ড বাজারের কৃষি ব্যাংকের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান মনিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি ১নং যুগ্ন আহ্বায়ক খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা, প্রধান বক্তা ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল হাসান তনু।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মন্টু মিয়া, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কামরুজ্জামান টুনু, দামুড়হুদা উপজেলা মহিলা দলের আহ্বায়ক সালমা জাহান পারুল, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পলাশ মাহমুদ, তাজ উদ্দিন।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহিম, জুড়ানপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ঈদ্রীস আলী, সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, নাটুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সামসুল আলম, সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনি, নতিপোতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সামসুল আলম, সাধারণ সম্পাদক সাঈদ বিশ্বাস, হাউলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইউসুফ আলী, সাধারণ সম্পাদক নাফিজ আক্তার, উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব লিপু আহমেদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ইকরামুল হক, সদস্য সচিব জাকির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল কাদের, যুগ্ম আহ্বায়ক রকিবুল হাসান তোতা, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান বাচ্চু, সদস্য সচিব মাহফুজুর রহমান মিল্টন, যুগ্ম আহবায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফ, যুগ্ম আহবায়ক সেলিম উদ্দিন, যুবদল নেতা জহিরুল ইসলাম রিপন, ফিরোজ হাসান মন্টু, ইজাজুল হক, শওকত আলী, মাহফুজুর রহমান জনি, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব এম ডি কে সুলতানসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল সহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন তেলোয়াত করেন নাটুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনি। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন দামুড়হুদা উপজেলা ছাত্র দলের সদস্য সচিব এম ডি কে সুলতান। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক আবুল হাশেম।




চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন দেয়াল লিখন কার্যক্রমে শিক্ষার্থীরা

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন অভিযান ও দেয়াল লিখন এবং বিভিন্ন চিত্রের ছবির মাধ্যমে দেওয়ালের সৌন্দর্য ফেরাতে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সকাল দশটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত হাসপাতাল প্রাঙ্গণের ফুলের বাগানসহ বিভিন্ন স্থানে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন অভিযান চালানো হয় এবং নতুন ভবনের নিচের দেয়াল গুলোর সৌন্দর্য বর্ধন ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন ছবির মাধ্যমে রং তুলিতে ফুটিয়ে তোলা হয় দেশের মানচিত্র জাতীয় পতাকা সহ ডাক্তার নার্সদের নিয়ে সুন্দর উক্তি ।

চুয়াডাঙ্গা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রোভার স্কাউট, সেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন বাঁধন, রেড ক্রিসেন্ট , বি এন সি সি ও সংযোগ সহ এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সকল স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ কাজ করেন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন দেয়াল লিখন ও ছবির আর্ট কর্মসূচিতে।

পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন অভিযান দেয়াল লিখন ও ছবি আর্ট এর বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ রোভার স্কাউট গ্রুপের সিনিয়র রোভার মেট সাকিব বিশ্বাস বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের পতন ঘটেছে। তারই ধারাবাহিকতায় দেশের সকল স্থানের প্রশাসনিক কার্যক্রম দুর্বল হয়ে পড়েছে । দেশের এই ক্রান্তিকাল সময়ে যারা ইতিপূর্বে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে এবং মানুষের পাশে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যারা কাজ করছে এমন কয়েকটি সংগঠন মিলে আমরা একসাথে কাজ করছি । আর শুধু যে আমরা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনই কাজ করছি এমন নয় আমাদের সাথে সাধারণ শিক্ষার্থীর সহ সাধারণ মানুষও কাজ করছে। হাসপাতালে সকল প্রকার কর্মকান্ড এবং দুর্নীতি রোধ করতে উপদেষ্টা সহ আমর একটা মনিটরিং টিম গঠন করেছি।সেই মনিটরিং টিমের উপদেষ্টা সেচ্ছাসেবকবৃন্দ প্রতি সপ্তাহে হাসপাতালে মনিটরিং কার্যক্রম গুলো করবে। সাথে হাসপাতালের উন্নয়নের স্বার্থেও তারা কাজ করবে। আমরা যারা ইতিপূর্বে স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করেছি তারা সব সময় প্রস্তুত আছি চমৎকার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল এবং চমৎকার চুয়াডাঙ্গা গড়ার স্বার্থে ।দেশের ট্রাফি সেবা সহ বিভিন্ন সেবাধর্মী কাজ করে চলেছে আমাদের স্বেচ্ছাসেবক ভাই ও বোনেরা।

এ সময় তিনি আরও বলেন, আমরা চাই চুয়াডাঙ্গার অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহ সকল শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ আমাদের পাশে থাকেন এবং আমাদের কাজে সহযোগিতা করেন। চমৎকার চুয়াডাঙ্গা গড়ার প্রত্যয়ে আমরা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি এবং সেগুলো প্রতিনিয়ত বাস্তবায়ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাবো। আমাদের এই সকল কাজ ধারাবাহিকভাবে চলমান থাকবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন শাহরিয়ার সিয়াম, সজীবুল ইসলাম, সাফাতুল ইসলাম, তামান্না, ফিরোজ, সামিউল, সৌরভ, মুসফিকুর, আকাশ, মিকাইল, সাদ, তামান্না, রিজিয়া, মাওয়া, সর্ণা, মাহিন, সাদিয়া, সিনিকদিয়া সহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা ও সেচ্ছাসেবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




কোটচাঁদপুরে বিএনপির শান্তি সমাবেশ

কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে কোটচাঁদপুরের এলাঙ্গী বাজারে শান্তি সমাবেশ করেছেন বিএনপি। বৃহস্পতিবার (১৫ আগষ্ট) বিকেলে এ সমাবেশ করেন দলটি।

সারাদেশের ন্যায় বৃহস্পতিবার (১৫ আগষ্ট) বিকেলে উপজেলার এলাঙ্গী বাজারে শান্তি সমাবেশ করেছেন কোটচাঁদপুর উপজেলা বিএনপি।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, এলাঙ্গী ইউনিয়নের মতিয়ার রহমান গাজী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, এলাঙ্গী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইকরামুল হক।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি সাইফুর রহমান মিন্টু, এলাঙ্গী ইউনিয়ন বিএনপি সহসভাপতি একরামুল হক, এলাঙ্গী ইউনিয়ন বিএনপি সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান খোকা, এলাঙ্গী ইউনিয়ন বিএপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক গান্না কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোঃ আব্দুস, এলাঙ্গী ইউনিয়ন বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মন্টু, এলাঙ্গী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান আসাদ, মিজানুর রহমান মজনু।

এসময় বক্তারা বলেন, ১৭ বছর ধরে এলাকার পাট গাছ সোজা থাকেনি। এখন অনেকে আসছেন দল করতে। তারা বলেন, এখনও আমরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা পায়নি, এ জন্য আমাদের একতা বদ্ধ হয়ে সব কিছু মোকাবিলা করতে হবে। এরপর ক্ষমতায় আসলে আমাদের কাছ থেকে যারা পুলিশ দিয়ে টাকা নিয়েছেন, সেই টাকা গুলো ফেরত নিবো। আপনারা টাকা জড়ো করা শুরু করে দেন।