মেহেরপুরে আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ মিছিল, সাংবাদিক আহত

সরকার পদত্যাগের একদফা দাবিতে ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসেবে মেহেরপুরে সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্র-জনতা।

সকাল ১১টার দিকে মেহেরপুর সরকারি কলেজ মোড়ে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন এবং সরকার পতনের দাবী করে বিভিন্ন শ্লোগান তোলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারীরা শ্লোগান দেন, “এক দফা এক দাবী, শেখ হাসিনা কবে যাবি, আমার ভাই মরলো কেনো শেখ হাসিনা জবাব দে”।

আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ মিছিলে আটকে পড়ে শহরের বিভিন্ন যানবাহন। আটকে দেওয়া হয় মেহেরপুর-কুষ্টিয়া, মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়ক ও মুজিবনগর সড়ক। ফলে ঘন্টাব্যাপী যানজটের সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের ‘একদফা এক দাবি শেখ হাসিনার পদত্যাগ’,  দিয়েছি তো রক্ত, আরও দিবো রক্ত’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার’, ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, – আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরেসহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা গেছে।

আন্দোলনকারীরা বলেন, সোনার বাংলায় বৈষম্যের কোন ঠাই হবে না। আমাদের যৌক্তিক আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের উপর হামলা, গুলি, টিয়ারসেল মারা হয়েছে। আমাদের অসংখ্য ভাই, সাধারণ মানুষ শহীদ হয়েছে। এখন আমরা এক দফা দাবি সরকারের পদত্যাগ চাই। এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। আমাদের আন্দোলন চলবে।

সরেজমিনে দেখা গেছে , মেহেরপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আন্দোলনকারীরা মেহেরপুর সরকারি কলেজ মোড়ে আসতে শুরু করেন। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষও এই কর্মসূচিতে যোগ দেন।

এদিকে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ লাঠি দিয়ে দায়িত্বরত অবস্থায় প্রথম আলোর মেহেরপুর প্রতিনিধি আবু সাঈদকে বেদম মারধর করে। আবু সাঈদকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া স্বেচ্ছাসেবক লীগের মিছিলের ছবি নিতে গেলে যুগান্তরের মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি তোজাম্মেল আযমের মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়া হয়। পরে মোবাইল ফোনটি দিয়ে দেন তারা।

এদিকে মেহেরপুর শহরে যুবলীগ, গাংনীতে মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ডাক্তার এএসএম নাজমুল হক সাগর, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ খালেক ও মুজিবনগরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগের উদ্যোগে সন্ত্রাস বিরোধী মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।




আবারও মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিন চলছে। রাজধানীর শাহবাগসহ কয়েক জায়গায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ অবস্থায় সাত দিনের মাথায় আবারও ফোর-জি নেটওয়ার্ক বন্ধ করা হয়েছে।

রোববার (৪ আগস্ট) বেলা ১২টার পর সরকারি একটি সংস্থার নির্দেশে ফোর-জি সেবা বন্ধ করা হয়। ফোর-জি বন্ধ থাকলে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় না। তখন শুধু টু-জির মাধ্যমে কথা বলা যায়।

মোবাইল অপারেটরদের সরকারি একটি সংস্থা বলেছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ফোর-জি নেটওয়ার্ক বন্ধ থাকবে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ-সংঘাতের জেরে গত ১৭ জুলাই রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট ও ১৮ জুলাই রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

পাঁচ দিন পর গত ২৩ জুলাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সীমিত পরিসরে ফেরে। আর ১০ দিন পর গত ২৮ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট চালু হয়।

সূত্র: ইত্তেফাক




দর্শনায় বঙ্গবন্ধুর ৪৯ তম শাহদত বার্ষিকী পালনে প্রস্তুতিমূলক

বিদেশি দূঃসাশনে লাঞ্ছিত নিপিড়িত ও অবহেলিত বাঙ্গালী জাতিকে মুক্তির পথ দেখিয়ে ছিলেন দূরদম, দূর্জয়, নির্ভিক মহাপ্রাণ, বাংলার শ্রেষ্ট বীর, কিংবদন্তি নেতা, বাঙ্গালী জাতির হৃদয় স্পন্দন, বাংলার মহানায়ক, হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙ্গালী, অসাংবাদিত নেতা, বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমান। বঙ্গবন্ধুর ৪৯ তম শাহদত বার্ষিকী পালনে দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ব্যপক প্রস্তুতি গ্রহন করা হচ্ছে।

গতকাল শনিবার সকাল ১১ টা ও বিকালে দর্শনায় প্রস্তুতিমূলক মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পৃথক এ দুটি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের পরপর ৪ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য, জনপ্রিয়, জননন্দিত জননেতা হাজি আলী আজগার টগর বলেন, স্বাধীননতা মহানায়ক বন্ধুবন্ধু শেখ মজিবর রহমানের ৪৯ তম শাহদত বার্ষিকীতে শোকবকে শক্তিত পরিণত করে, মুজিব চেতনায় জাগ্রত হয়ে শফত নিতে হবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সোনার বাংলাদেশে যারা অহেতুক অরাজকতা সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ স্বিকারের অপচেষ্টা করছে, সেই স্বাধীনতা বিরোধীদের শক্তহাতে প্রতিহত করার। পচাত্তরের ১৫ আগষ্ট যারা জাতীর জনককে স্বপরিবারের হত্যা করেছিলো সে স্বাধীনতা বিরোধী চক্র আবারো মাথাচারা দিয়ে উঠেছে।
পৃথক এ দুটি মতবিনিময়সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু, জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান।

এমপি আলী আজগার টগরের আয়োজনে এ সভায় আরো বক্তব্য দেন, দর্শনা পৌর মেয়র আতিয়ার রহমান হাবু, দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী, সহসভাপতি শফিকুল আলম, যুগ্নসম্পাদক গোলাম ফারুক আরিফ, ইউপি চেয়ারম্যান, কামাল উদ্দিন, শফি উদ্দিন, ইয়ামিন, শফিকুর রহমান রাজু, আ. করিম, শুকুর আলী, হযরত আলী, নিজাম উদ্দিন, মিল্টন মোল্লা, রবি বিশ্বাস, তাহাজ্জত মির্জা, সোহরাব হোসেন খান, আব্দুল হান্নান, মির্জা লিটন, আ্দুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা সেকেন্দার আলী, জাহাঙ্গীর আলম, শুকুর আলী, আ. মালেক মোল্লা, জসিম উদ্দিন, গোলাম রসুল, প্রদীপ বিশ্বাস, মুন্তাজ আলী, বিল্লাল হোসেন, নজির আহমেদ, জিয়াবুল হক, শফিউল কবীর ইউসুফ, জাহিদুল ইসলাম, আবু তালেব, আবু সাঈদ খোকন, খলিলুর রহমান ভুট্রো, আজাদুল ইসলাম, স্বপন, আব্দুল হাকিম, দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল হান্নান ছোট, সহসভাপতি সোলায়মান কবির, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজু আহমেদ রিংকু প্রমুখ।




মেহেরপুরে ফুটবল টুর্নামেন্টের অনিয়মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

মেহেরপুর সদর উপজেলার আশরাফপুর জনকল্যাণ ক্লাব কর্তৃক আয়োজিত মরহুম ছহিউদ্দিন বিশ্বাস স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট কমিটির ভুল সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে এবং অনিয়মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।

কোমরপুর বিজয় নিশান ক্লাবের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন আজ শনিবার রাতে মুজিবনগর উপজেলার মহাজনপুর ইউনিয়নের কোমরপুর বিজয় নিশান ক্লাব এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আশরাফপুর জনকল্যাণ ক্লাব কর্তৃক আয়োজিত “মরহুম ছহিউদ্দিন বিশ্বাস স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট” আমরা, কোমরপুর বিজয় নিশান ক্লাব গত ০৭/০৭/২৪ ইং তারিখ রবিবার প্রথম রাউন্ডের খেলায় অংশগ্রহণ করি এবং পরবর্তীর সকল ম্যাচ জয় লাভ করে গত ২৯ জুলাই সোমবার সেমিফাইনাল ম্যাচে মেহেরপুর বন্ধু একাদশ ক্লাবের বিপক্ষে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করি। উক্ত খেলায় দ্বিতীয়ার্থে কোমরপুর বিজয় নিশান ক্লাব একটি গোল করে। রেফারি গোলের বাঁশি দেওয়ার পরপরি মেহেরপুর বন্ধু একাদশ রেফারি সিদ্ধান্তকে অমান্য করে মাঠে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, যা উক্ত টুর্নামেন্টের টাইয়ের ৮ নম্বর শর্ত কে অমান্য করে।

এরপর নিয়ম না থাকা সত্ত্বেও ভিডিও রিভিউ করা হয়। তারপর রেফারি, সহকারী রেফারি, কমিটি মাইকে ঘোষণা করে গোলের পক্ষে সিদ্ধান্ত দেন। এই প্রক্রিয়ায় আনুমানিক ২০ মিনিট খেলা বন্ধ থাকার পর খেলা মাঠে করায় এবং খেলাটি স্বাভাবিকভাবে চলতে থাকে। তখন স্কোর লাইন হয়, কোমরপুর বিজয় নিশান ক্লাব ১ মেহেরপুর বন্ধু একাদশ ০। এমতাবস্থায় খেলা শেষ বাসি বাজার আগ মুহূর্তে মেহেরপুর বন্ধু একাদশের সমর্থকরা লাইস ম্যানের উপর চড়াও হয় এবং পারমাণবিক শারীরিক নির্যাতন করে আহত করে যা বর্বরতার পরিচয় দেয়। যা উক্ত টাইয়ের ৯ নং শর্ত “খেলা চলাকালীন সময়ে খেলোয়াড় অথবা সমর্থকরা কোন বিশৃঙ্খলা করলে উত্তর টিমকে বাতিল বলে ঘোষণা করা হবে”। যা এই শর্তের সরাসরি লংঘন করে।

এরপর পুরো মাঠ ধরে তীব্র বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। এমতাবস্থায় খেলোয়াড়, রেফারি, সহকারি রেফারি, লাইসম্যান এবং সকল দর্শকের নিরাপত্তার স্বার্থে কমিটি মাইকে ঘোষণা করে আপনারা নিরাপদ স্থানে অবস্থান করুন এরপর আর মাঠে খেলা গড়ানো সম্ভব হয়নি। কমিটির আইন অনুযায়ী মেহেরপুর বন্ধু একাদশ ক্লাব টুর্নামেন্ট থেকে বরখাস্ত হওয়ার কথা এবং কোমরপুর বিজয় নিশান ক্লাব সরাসরি ফাইনালে খেলার যোগ্যতা রাখে।
তা সত্বেও কমিটি কোমরপুর বিজয় নিশান ক্লাবকে পুনরায় মেহেরপুর বন্ধু একাদশ ক্লাবের সাথে ম্যাচ খেলার প্রস্তাব দেয়। যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং হাস্যকর। যা কোমরপুর বিজয় নিশান ক্লাব সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করে। পরবর্তীতে ১/৮/২৪ তারিখ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কমিটি কোমরপুর বিজয় নিশান ক্লাবের কোন প্রতিনিধির উপস্থিত ছাড়াই একতরফা সিদ্ধান্তের মাধ্যমে কোমরপুর বিজয় নিশান ক্লাবকে বহিষ্কার করে, যা ন্যাচারাল জাস্টিসের প্রিন্সিপাল কে লংঘন করে।

এই সম্পূর্ণ ঘটনা আমাদের জনপ্রশাসন মন্ত্রীর পিতা মরহুম ছহিউদ্দিন বিশ্বাসের নামে ঘোষিত টুর্নামেন্টকে কুলুষিত ও কলঙ্কিত করে। যা সমগ্র মেহেরপুরবাসীর জন্য চরম লজ্জারও হতাশার। এমত অবস্থায় আমাদের এবং সমগ্র মেহেরপুরবাসীর অভিভাবক মেহেরপুর ১ আসনের সংসদ সদস্য, ফরহাদ হোসেন স্যারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যেন, যোগ্য দল হিসেবে কোমরপুর বিজয় নিশান ক্লাবকে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা প্রদান করে উক্ত টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচে খেলানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে মহাজনপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মইনুদ্দিন ময়না, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, আব্দুর রশিদ বল্টু, কমিটির সদস্য মাদার আলী, ফেরদৌস আলী, অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম সাহেব, মফিজুর রহমান মফিজ, আরিফুল ইসলাম মিলন, সানোয়ার হোসেন সেন্টু, আনিসুর রহমান টিপু, আব্দুল মাবুদ, সাবেকিউবে সদস্য সানাউল হোসেন, আজিজুল ইসলাম, বিল্লাল হোসেন, তুয়াজ আলী, সোনা গাইন, আরিফুল ইসলাম মিঠু, ইউনুস আলী হাজী মোঃ আতিকুল্লাহ সোহাগ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




ধর্ষককে গ্রেফতারের দাবীতে আলমডাঙ্গা প্রসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন

আলমডাঙ্গা উপজেলার খাস বাগুন্দা গ্রামের রমজান আলীর ছেলে ধর্ষক আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে লিখিত সংবাদ সম্মেলন করেন ধর্ষিতার পক্ষে মানবতা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক এ্যাডঃ মানি খন্দকার।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মানবতা ফাউন্ডেশনের গন সংযোগ কর্মকর্তা হাফিজ উদ্দিন হাবলু,অপারেশন অফিসার এ্যাডঃ জিল্লুর রহমান জালাল,মোটিভেশন অফিসার জাকিয়া সুলতানা ঝুমুর।

বেলা বারোটার দিকে আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে ফাতেমা খাতুনের পক্ষে মানি খন্দকার লিখিত বক্তব্য বলেছেন আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী মোসাম্মৎ ফাতেমা খাতুন (২০) পিতা মৃত খেদের আলী মাতা মোসাম্মৎ মর্জিনা খাতুন শংকরচন্দ্র, থানা চুয়াডাঙ্গা সদর, জেলা চুয়াডাঙ্গা, এপি বাসা নম্বর ২৭৪ ( ছাপাখানা মোড়) থানা মিরপুর মডেল ঢাকা জন্ম নিবন্ধন নম্বর ২০০৪১৮১২৩৭১১২৭২৯৬,মোবাইল নাম্বার ০১৯৯৯৫৬১৪১৪,আমার মা ও ভাবিকে সঙ্গে নিয়ে থানায় আসিয়া আসামি ১। আলাউদ্দিন (৪৩) পিতা মোহাম্মদ রমজান আলী  মাতা সাহিদা বেগম, সাং খাস বাগুন্দা,থানা আলমডাঙ্গা জেলা চুয়াডাঙ্গা জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর ৬৪৫৮২৯৩৬৫৮ এর বিরুদ্ধে এই মর্মে এজাহার দায়ের করিতেছে যে,আমার বাবা মারা যাওয়ার পর সাংসারিক অভাব অনটনের কারণে আমার মা আমাকে আমার চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী মোসাম্মৎ সুলতানা ইভা এর বাসায় রাখেন। আমি প্রায় ১৩ বছর ধরে আমার ভাবি মোছাম্মৎ ইসমাত সুলতানার সাথে তার বাসায় বসবাস করিয়া আসতেছি।চাকরির সুবাদে আমি ভাবির সাথে মিরপুর মডেল থানাধীন (ছাপাখানা মোড়)বাসা নম্বর ২৭৪ তে বসবাস করি। আসামি মোহাম্মদ আলাউদ্দিন ৪৩, আমার ভাবি মোসাম্মৎ কিসমত সুলতানা এর আমেরিকান প্রবাসী আপন শাশুড়ি

মোছাম্মদ নাদিরা বেগমের দ্বিতীয় স্বামী হাওয়াই প্রায়ই উক্ত বাসায় যাওয়া আশা করতে থাকেন। আসামি বাসায় আসিয়া প্রায়ই অবস্থান করিতেন। আমার ভাবি উপজেলা কৃষি অফিস নারায়ণগঞ্জ, ঢাকায় কর্মরত এবং তাহার স্বামী বেসরকারি চাকরির সুবাদে প্রতিনিয়ত আমাকে বাসায় একা রেখে যেতেন। তার স্ত্রী সরকারি চাকরির সুবাদে প্রতিনিয়ত আমাকে বাসায় একা রেখে কর্মস্থলে যাইতেন। প্রতিদিনের ন্যায় ১৫/২/২০২৪ তারিখ সকাল অনুমান ৮ ঘটিকার  সময় ভাবি ও তার স্বামী আমাকে ও তার সৎপিতা আসামিকে ঢাকা মিরপুর থানাধীন ছাপাখানা মোড় বাসা নম্বর ২৭৪(৬তলায়) এর বাসায় রাখিয়া তাদের দুই সন্তানকে দিয়ে অফিসে যান। একই তারিখ বেলা অনুমান ১১ টার সময় আমি বারান্দায় বসে থাকা অবস্থায় আসামি আমাকে কাজের কথা বলিয়া রুমে ডেকে নিয়ে যায়।

একপর্যায়ে স্ত্রী আমেরিকার প্রবাসী হাওয়াই, আসামির স্ত্রী তাহাকে আমেরিকায় নিয়ে যাবে বলে প্রলভন দেই,বলেন আমি বিদেশ চলে গেলে তোমাকে আমেরিকায় নিয়ে যাওয়া সহ আমার নামের সম্পত্তি দিয়া ও আমাকে বিবাহ করবে বলিয়া বিভিন্ন  প্রলোভন  দেখাইয়া আমার পরণে থাকা সালোয়ার কামিজ খুলিয়া ধর্ষণ করেন। এরপর হইতে আসামি বিভিন্ন সময় উক্ত সময় আসিয়া আমাকে বিবাহের প্রলভন দেখাইয় ধর্ষণ করতে থাকেন। আসামি সর্বশেষ গত ৮/ ৫/ ২০২৪ তারিখে বেলা অনুমান ১১ ঘটিকার সময় আমাকে উক্ত বাসার আসামির স্বয়ন কক্ষের মধ্যে ধর্ষণ করে।পরবর্তীতে আমি অন্তঃসত্তা হইলে বিষয়টি আমার ভাবিকে বিস্তারিত জানালে ভাবি ঘটনার বিবরণ শুনিয়া আমার মা ও ভাই সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যের সাথে আলোচনা করেন ঘটনার বিস্তারিত আমার মা ভাই ও পরিবারের সাথে আলোচনা করিয়া তাহাদের সহায়তায় মিরপুর মডেল থানায় আসিয়া এজাহার দাখিল করি।মীরপুর মডেল থানার শিশু নির্যাতন  মামলা নং২৬ তারিখ ৯/৬/২৪।বাদী মোছা ফাতেমা খাতুন।




আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার জন্য আর্জেন্টাইন ফুটবলারের প্রার্থনা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে গত কয়েকদিনে শত শত মানুষের প্রাণ হারানোর শোকে স্তব্দ বাংলাদেশ। এই শোকের ছায়া পড়েছে বিশ্বব্যাপী। এবার ১৭ হাজার ৫০ কিলোমিটার দূরের দেশ আর্জেন্টিনার ফুটবলার এনজো ফার্নান্দেজও আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার পাশে দাঁড়ালেন।

ছাত্র-জনতা গত কয়েকদিন ফেসবুকে কয়েকটি প্রোফাইল পিকচার ব্যবহার করছেন। লাল রঙ ছাড়াও একটি ছবিতে দেখা যায়, লাল রঙের কাপড় দিয়ে চোখ বাঁধা, ব্যাকগ্রাউন্ডে বাংলাদেশের পতাকা। এমনই একটি ছবি ফেসবুকে এমন ছবি প্রকাশ করেছেন এনজো ফার্নান্দেজ।

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আমার সকল বাংলাদেশি ভক্তরা, আমি আপনাদের কথা সুনতে পাচ্ছি এবং আপনাদের জন্য প্রার্থনা করছি।’

মাত্র এক ঘণ্টায় ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষের রিয়্যাক্ট এবং ৪০ হাজার শেয়ার হয়েছে পোস্টটি। কমেন্টস করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন বাংলাদেশিরা।

কমেন্ট বক্সে হাবিবা নাসরিন নামের একজন লিখেছেন, ‘আপনার পা ধোয়া পা‌নি কোথা থে‌কে সংগ্রহ করা যা‌বে ভাই? আমা‌দের কিছু প্লেয়ার‌দের খাওয়াতাম আর কী!’

মিজানুর রহমান নামের একজন লিখেছেন, ‘ভালোবাসা দিলে সেটার প্রতিদান পাওয়া যায়, আপনি তার জ্বলন্ত প্রমাণ।’

শান্ত নামের একজন কমেন্ট বক্সে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের অনুভূতিকে সম্মান করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।’

প্রসঙ্গত, গত বিশ্বকাপের সময়ে পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে আর্জেন্টিনার প্রতি বাংলাদেশিদের আবেগ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্জেন্টিনার খেলা দেখার দৃশ্য নিয়ে মাতামাতি হয় আর্জেন্টিনাজুড়ে। লিওনেল মেসিও এটা নিয়ে কথা বলেন, কৃতজ্ঞতা জানান। আর্জেন্টাইনরা এরপর থেকেই বাংলাদেশকে নিয়ে বাড়তি আবেগ দেখাচ্ছেন।

সূত্র: ইত্তেফাক




ঝিনাইদহে শোকাবহ আগস্টে শোক মিছিল সহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত

শোকাবহ আগস্টে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিন করছে।

মাসব্যাপী এ কর্মসূচিতে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ঝিনাইদহ- হরিণাকুণ্ডু-২ আসনের সংসদ সদস্য নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল এমপির নেতৃত্বে ঝিনাইদহের সদর উপজেলার সব ইউনিয়ন ও পৌর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সহ সকল অংগ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও হাজার হাজার নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের অংশগ্রহণে ঝিনাইদহ সদর এমপি অফিস প্রাঙ্গণ থেকে বিশাল শোক মিছিল বের হয়।

গতকাল বিকালে এই শোকসভা ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পায়রা চত্বরে এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে পায়রা চত্বরে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ঝিনাইদহের পৌর মেয়র কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজলের সভাপতিত্বে শোক সভা সঞ্চালনা করেন জেলা যুবলীগ আহবায়ক আশফাক মাহামুদ জন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন পৌর আওয়াামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জেএম রশিদুল আলম, সদর উপজেলার সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রাশেদুর রহমান রাসেল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব হোসেন, সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারি তবীবুর রহমান লাবু, সাধুহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী নাজির উদ্দীন, পাগলা কানাই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবু সাঈদসহ অন্যান্য ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ ও অংগ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে পৌর মেয়র কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল তার বক্তব্যে বলেন দেশের এ ক্লান্তি লগ্নে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে ও স্বাধীনতা বিরোধী জামাত-শিবির সহ সকল অপশক্তিকে রুখে দিতে আওয়ামী লীগ সহ সকল অংগ সংগঠনের নেতা কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলীয় নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করার আহ্বান জানান।

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, মানব সভ্যতার ইতিহাসে ঘৃণ্য ও নৃশংসতম হত্যাকান্ডের কালিমালিপ্ত বেদনাবিধূর শোকের দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে মানবতার শত্রু প্রতিক্রিয়াশীল ঘাতকচক্রের হাতে বাঙালি জাতির মুক্তি আন্দোলনের মহানায়ক, বিশ্বের লাঞ্ছিত-বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মহান নেতা, বাংলা ও বাঙালি জাতির হাজার বছরের আরাধ্য পুরুষ, স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়।




বিদ্যুৎ বিভাগে চাকরির সুযোগ

সংশোধিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রতিষ্ঠানটি ৫টি পদে ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডে ১৭ জনকে নিয়োগ দেবে।

প্রতিষ্ঠানের নাম : বিদ্যুৎ বিভাগ

মন্ত্রণালয়ের নাম : বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়

পদ ও জনবল : ০৫টি ও ১৭ জন

প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়)

চাকরির ধরন : স্থায়ীপদ

আবেদন শুরুর তারিখ : ২৯ জুলাই, ২০২৪

১. পদের নাম : কম্পিউটার অপারেটর

পদসংখ্যা : ০১টি

বেতন : ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা (গ্রেড-১৩)

শিক্ষাগত যোগ্যতা : বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি

২. পদের নাম : সাঁট-মুদ্রাক্ষরিক কাম-কম্পিউটার অপারেটর

পদের সংখ্যা : ০২টি

বেতন : ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা (গ্রেড-১৩)

শিক্ষাগত যোগ্যতা : স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি

৩. পদের নাম : ক্যাশিয়ার

পদের নাম : ০১টি

বেতন : ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)

শিক্ষাগত যোগ্যতা : বাণিজ্য বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি

৪. পদের নাম : অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক

পদসংখ্যা : ০২টি

বেতন : ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

শিক্ষাগত যোগ্যতা : এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ

৫. পদের নাম : অফিস সহায়ক

পদসংখ্যা : ১১টি

বেতন : ৮,২৫০ -২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)

শিক্ষাগত যোগ্যতা : এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ

আবেদনের বয়সসীমা : ০১ জুলাই ২০২৪ তারিখে প্রার্থীর বয়স ১৮-৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। ‘অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক’ এবং ‘সাঁট-মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর’ পদে বিভাগীয় প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। বিভাগীয় প্রার্থীর ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৪০ বছর পর্যন্ত শিখিলযোগ্য। তবে, বীরমুক্তিযোদ্ধা, শহিদ বীরমুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্খনাদের সন্তান এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রার্থীর ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩২ বছর। বয়স প্রমাণের ক্ষেত্রে এফিডেভিট গ্রহণযোগ্য নয়।

আবেদন ফি : পরীক্ষার ফি বাবদ ১ থেকে ৪ নং পদের জন্য টেলিটক সার্ভিস চার্জসহ ২২৩ টাকা এবং ৫নং পদের জন্য সার্ভিস চার্জসহ ১১২ টাকা জমা দিতে হবে।

বি.দ্র : ইতোমধ্যেই যারা আবেদন করেছেন তাদের নতুন করে আবেদন করার প্রয়োজন নেই।

যেভাবে আবেদন করবেন : আগ্রহীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে  এখানে ক্লিক করুন।

আবেদনের শেষ তারিখ : ২২ আগস্ট, ২০২৪




ঝিনাইদহে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পাশে বিএনপি ও সাধারণ জনতা

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করে আজ শনিবার বেলা ১২টার দিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে ছাত্র জনতার সাথে বিএনপি’র নেতারা রাজপথে নেমে আসে।

এ সময় সরকার বিরোধী মিছিল আর ম্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে শহর। ক্ষনিকের জন্য থেমে যায় সবকিছু, যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় মুজিব চত্বর থেকে পায়রা চত্বর পর্যন্ত। সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিএনপি-যুবদলের নেতা-কর্মীদের শ্লোগানের ঢেও আছড়ে পড়ে রাস্তার দুই পাশে দাড়ানো উৎসুক জনতার মাঝে। তারাও হাত নেড়ে বিক্ষোভকারীদের স্বাগত জানাতে থাকেন।

শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসুচিতে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, পেশাজীবী সংগঠন, আইনজীবী, অভিভাবক এমনকি শিশুরাও অংশ নেয়। বেলা ১২টার দিকে ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর থেকে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রেরণা একাত্তর চত্বর ঘুরে পায়রা চত্বরে এসে শেষ হয়। আন্দোলনকারীরা মিছিলটি আরাপপুরে শেষ করতে চাইলেও বিএনপি-ছাত্রদলের চাপে তারা পায়রা চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচী শেষ করেন।

সেখানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঝিনাইদহ জেলা সমন্বয়ক শারমিন আক্তার, শিক্ষার্থী হৃদয় হোসন, হুসাইন এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী রত্না খাতুন বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশে বক্তারা, ছাত্র হত্যার বিচার ও সারাদেশে গ্রেফতারকৃত শিক্ষার্থীদের দ্রুত নিঃশর্ত মুক্তিসহ তাদের ৯ দফা দাবী পুরনে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। মিছিলের মাঝখানে বিএনপির জেলা, থানা ও পৌরসভা কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তারা সরকার হটাও ১দফা দাবীতে বিভিন্ন শ্লোগান দেন। এছাড়া দাবী মেনে না নেওয়া পর্যন্ত কর্মসূচী চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা। এদিকে আন্দোলনকে ঘিরে সতর্ক অবস্থানে ছিলো পুলিশ। সকাল থেকেই জেলা শহরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ন স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হলেও তারা ছিল যথেষ্ট নমনীয়।




ইকো ফ্রেন্ডলি ফ্যাশন বাঁচাবে পরিবেশ

পুরো পৃথিবী এখন জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে চিন্তিত। রাষ্ট্রীয় নীতিমালা থেকে শুরু করে মানুষের দৈনন্দিন জীবনে এখন ইকো ফ্রেন্ডলি ব্যবস্থাপনার ব্যবহার বাড়ছে। ইকো ফ্রেন্ডলি পোশাকও সম্প্রতি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ইকো ফ্রেন্ডলি এই পোশাককে এখন ফাস্ট ফ্যাশন বলা হয়। এই ফাস্ট ফ্যাশন বিশাল এবং দ্রুত বর্ধনশীল শিল্প হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

আমরা জানি, পোশাক তৈরি নানা পর্যায়ে বর্জ্য তৈরি হয় এবং এই বর্জ্যগুলো বন্যপ্রাণীর ক্ষতি করে। এসব বর্জ্য জমির ক্ষতি করে। পাশাপাশি মাটি ও পানিকে দূষিত করে ফেলে। ফাস্ট ফ্যাশন এখন জলবায়ু সংকটের একটি বড় সমস্যা। বিশ্বব্যাপী কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমনের ১০ শতাংশ এর জন্য দায়ী। পরিবেশকে বাঁচাতে তাই টেকসই বা ইকো ফ্রেন্ডলি ফ্যাশন অনুশীলনের বিকল্প নেই। কিন্তু সেটা কিভাবে করা যায়?

টেকসই উপকরণের ব্যবহার
ফ্যাশনের পরিবেশগত প্রভাব হ্রাস করার সবচেয়ে কার্যকর উপায়গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে টেকসই উপকরণ নির্বাচন করা। ক্ষতিকারক কীটনাশক ছাড়া জন্মানো জৈব তুলা পরিবেশবান্ধব উপকরণ হতে পারে। শণ, বাঁশ, পাটের মতো উপকরণ বেছে নিতে পারেন ফ্যাশন অনুষঙ্গ ও পোশাকের জন্য। পুনর্ব্যবহৃত প্লাস্টিক থেকে তৈরি কাপড় যেমন পলিয়েস্টার এবং নাইলন, বর্জ্য কমাতে সাহায্য করে।

এখন চল বেড়েছে হ্যান্ডলুমের- পোশাকে হ্যান্ডলুমের চাহিদা এখন তুঙ্গে। কারণ খাঁটি দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি হয় এই হ্যান্ডলুমের পোশাক। তাঁতঘরে তৈরি হচ্ছে সুতো। ব্যবহার করা হচ্ছে প্রাকৃতিক রং। সেই সঙ্গে এই ধরণের পোশাক কাচা-ধোওয়া খুব সুবিধাজনক। এমনকি এখান থেকে দূষণ ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকে না। এই সব কাপড় কিন্তু বায়োডিগ্রেডেবল।

অনেক বেশি করে ব্যবহার করা হচ্ছে ভেজিটেবল ডাই-ভেজিটেবল ডাই ইদানিং খুব জনপ্রিয়। কোনও রাসায়নিকের ব্যবহার ছাড়াই প্রাকৃতিক ভাবে রং তৈরি করা হচ্ছে। আর সেই রঙে রাঙানো হচ্ছে পোশাক। এই ভাবে রং তৈরি করলে তা পরিবেশের জন্য ভালো তেমনই কিন্তু পোশাকও দীর্ঘদিন ভালো থাকে। তবে সঠিক ভাবে তার সংরক্ষণ প্রয়োজন।

কমে আসছে সিন্থেটিকের ব্যবহার
সিন্থেটিক কাপড় কিংবা রঙের ব্যবহার আগের থেকে এখন অনেকটাই কমেছে। বরং সুতি, লিনেন, সিল্ক এসব অনেক বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে। খাঁটি লিনেন কাপড় তৈরি হয় তিসি থেকে। আর এই শস্যের ফলনে তেমন রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় না। তাই প্রকৃতিও থাকে নিরাপদে।

মিনিমালিজম ও মননশীল খরচ অনুশীলন
আমরা অনেকেই এক পোশাক একবারের বেশি পরতে চাই না। প্রকৃতির জন্য মারাত্মক হুমকি এই অভ্যাস। অতিরিক্ত খরচ এবং অপচয় এড়াতে এক পোশাক অনেকবার ব্যবহার করুন। কেনার আগে পোশাক বা ফ্যাশন অনুষঙ্গওটি সত্যিই প্রয়োজন কিনা তা বিবেচনা করুন।

মেরামত, পুনরায় ব্যবহার ও আপসাইকেল
মেরামত এবং পুনঃব্যবহারের মাধ্যমে পোশাকের আয়ু বাড়ানো বর্জ্য কমানোর একটি শক্তিশালী উপায়। সেলাইয়ের বোতাম, মেন্ডিং টিয়ার এবং হেমিং এর মতো সহজ মেরামত পোশাকগুলোকে অনেক দিন পর্যন্ত ব্যবহার উপযোগী রাখে। আপসাইক্লিং বা সৃজনশীলভাবে পুরানো জামাকাপড়কে নতুন আইটেমে রূপান্তর করা আরেকটি উদ্ভাবনী পদ্ধতি।

শুধু তাই নয়, পোশাক ধোওয়ার ক্ষেত্রেও কিন্তু সচেতন হতে হবে- জামাকাপড় কাচতে এখন সব বাড়িতেই ভরসা ওয়াশিং মেশিন। পুরনো পোশাক ফেলে না দিয়ে রিমডেলিং করতে হবে। ছেঁড়া থাকলে নিজের মতো সেলাই চালিয়ে কিংবা পেন্ট করে অন্যরকম লুক দেওয়া যেতে পারে। কীভাবে পুরনো পোশাককে একদম অন্যরকম ভাবে লুক পরিবর্তন করা যায় এই সংক্রান্ত অনেক রকম ভিডিও পাওয়া যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়।

জামা কেনায় মিতব্যয়ীতার পরিচয় দিন
জামা কাপড় পরিমাণে কম কিনুন। অধিক কিনে নষ্ট করবেন না। এমন কিছু কিনুন যা দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করা যেতে পারে। আপনার অতিরিক্ত পোশাক কাউকে দিয়ে দেবেন বলে ভাবছেন। কিন্তু আপনার এই অতিরিক্ত পোশাক নেওয়ার মতো লোকজন কিন্তু এখন অনেকটাই কমে গিয়েছে।

ইকো ফ্রেন্ডলি পোশাকের জন্য সবাইকে উৎসাহ দিতে হবে। এব্যাপারে বিভিন্ন ব্র্যান্ড যাতে এগিয়ে আসে সেইদিকে নজর দেওয়া দরকার।

সূত্র: ইত্তেফাক