মুজিবনগরের মোনাখালী ইউপি প্রশাসকের দায়িত্ব গ্রহণ

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নবনিযুক্ত প্রশাসক মুজিবনগর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রকিব উদ্দিন রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।

মোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান প্রায় ছয় মাস ধরে বিভিন্ন মামলায় কারাগারে আটক থাকায় ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দেয়। এ অবস্থায় স্থানীয় সরকার বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন অনুযায়ী ইউনিয়নে প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজের স্বাক্ষরিত আদেশে মোহাম্মদ রকিব উদ্দিনকে মোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। আদেশে উল্লেখ করা হয়, পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা, নাগরিক সেবা অব্যাহত রাখা এবং আইনানুগ দায়িত্ব পালন নিশ্চিত করতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

রবিবার দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন মোহাম্মদ রকিব উদ্দিন। এ সময় ইউপি সদস্য, গ্রাম পুলিশ, পরিষদের সচিবসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

দায়িত্ব গ্রহণের পর মোহাম্মদ রকিব উদ্দিন বলেন, “প্রশাসন আমার উপর যে আস্থা রেখেছে, সেই আস্থার প্রতিদান দিতে আমি যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করবো। মোনাখালী ইউনিয়নের জনগণের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করার প্রত্যয় নিয়ে দায়িত্ব নিয়েছি। সকলের সহযোগিতায় ইউনিয়নের চলমান কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে চাই।” তিনি ইউনিয়নের সকল সদস্য, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং জনগণের সহযোগিতা কামনা করেন।




চীনের নতুন হাতিয়ার ‘বিরল খনিজ’ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় ধাক্কা!

সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপ করেছন। এর জবাব দিতে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপরও পাল্টা শুল্কারোপ করে চীন। যার ফলে দেশ দুটির মধ্যে বর্তমানে বাণিজ্য যুদ্ধ তীব্র আকার ধারণ করেছে।

তবে শুল্ক আরোপের বাইরেও চীন আমেরিকার ওপর চাপ সৃষ্টি করতে আরেকটি হাতিয়ার বেছে নিয়েছে; আর তা হলো ‘বিরল খনিজ’ রপ্তানিতে সীমাবদ্ধতা আরোপ।

চীনের এই খনিজগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্র অনেক নির্ভরশীল। তাই চীনের নতুন পদক্ষেপ দেশটির জন্য একটি বড় ধাক্কা।

এই পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দেশীয় খনিজ উৎপাদন বাড়াতে ও আমদানির ওপর নির্ভরতা কমাতে বাণিজ্য বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন। তবে তা দেশটির জন্য এতো সহজও নয়।

বিরল খনিজ কী এবং কী কাজে লাগে?

‘বিরল খনিজ’ হলো ১৭টি রাসায়নিক উপাদান, যেগুলো আধুনিক প্রযুক্তি নির্মাণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

যদিও এদের অনেক উপাদান প্রকৃতিতে সহজলভ্য, তবে এগুলো শুদ্ধরূপে পাওয়া কঠিন এবং খনিজগুলোর উত্তোলন ও পরিশোধন প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল ও পরিবেশ দূষণকারী।

নিওডিমিয়াম, ইউরোপিয়াম, ইট্রিয়াম প্রভৃতি নামের এসব খনিজগুলোর সঙ্গে আমরা হয়তো পরিচিত নই। তবে এগুলো দিয়ে বানানো পণ্যের ওপর আমরা অনেক নির্ভরশীল। স্মার্টফোন, টিভি, কম্পিউটার স্ক্রিন, বৈদ্যুতিক গাড়ি, জেট ইঞ্জিন, হার্ডড্রাইভ, স্পিকার ইত্যাদি তৈরিতে এগুলো ব্যবহার করা হয়।

এছাড়াও লেজার চিকিৎসা, এমআরআই এবং সামরিক প্রযুক্তিতেও এই খনিজগুলো অপরিহার্য।

চীন কীভাবে বিরল খনিজ নিয়ন্ত্রণ করছে?

বর্তমান বিশ্বে শুধু চীনের হাতেই এসব দুর্লভ খনিজ উত্তোলন ও পরিশোধনের প্রায় একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থার (আইইএ) মতে, বিশ্বব্যাপী দুর্লভ খনিজ উৎপাদনের ৬১% এবং পরিশোধনের ৯২% চীনের হাতে।

এতে বোঝা যায়, চীন বর্তমানে পুরো সরবরাহ চেইন নিয়ন্ত্রণ করে এবং দেশটি সিদ্ধান্ত নিতে পারে- কোন কোম্পানি এই খনিজ পাবে আর কোনটি পাবে না।

দুর্লভ খনিজ উত্তোলন ও পরিশোধনের উভয় প্রক্রিয়াই ব্যয়বহুল এবং পরিবেশ দূষণকারী। সব দুর্লভ খনিজেই তেজস্ক্রিয় উপাদান থাকে; যার ফলে ইউরোপীয় দেশগুলোসহ অনেক দেশই এগুলো উৎপাদনে অনাগ্রহী।

চীনের এই আধিপত্য হঠাৎ করে হয়নি। দশকের পর দশক ধরে নেওয়া কৌশলগত নীতিমালার ফলে তারা আজকের এই অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।

১৯৯২ সালে চীনের নেতা ডেং জিয়াওপিং বলেছিলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে তেল আছে, আর চীনের আছে দুর্লভ খনিজ।’

চীনের শ্রমবাজার তুলনামূলক সস্তা। পাশাপাশি এসব খনিজ প্রস্তুতকালে তারা পরিবেশগত মানদণ্ড তেমন বজায় রাখেনি। যার কারণে বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় তারা এগিয়ে যায়।

বিরল খনিজকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চীনের নতুন সিদ্ধান্ত

ওয়াশিংটনের শুল্ক আরোপের প্রতিক্রিয়ায় চীন চলতি মাসের শুরুতে সাতটি ‘ভারী’ দুর্লভ খনিজ রপ্তানিতে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে। এই ভারী খনিজগুলো প্রতিরক্ষা খাতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

প্রকৃতিতে এই ভারী খনিজগুলো তুলনামূলকভাবে কম পাওয়া যায় এবং প্রক্রিয়াকরণও কঠিন; ফলে এদের মূল্যও বেশি।

চীন ঘোষণা করেছে, এখন থেকে সব কোম্পানিকে এই খনিজ ও চুম্বক রপ্তানির জন্য বিশেষ অনুমোদন নিতে হবে।

এই খনিজগুলোর একটি বৈশিষ্ট্য হলো, এগুলো ‘দ্বৈত ব্যবহারযোগ্য’; অর্থাৎ বেসরকারি ও সামরিক উভয় খাতে ব্যবহৃত হয়।

চীন পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির সদস্য হওয়ায় এই জাতীয় পণ্যের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের থিংক ট্যাঙ্ক সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের মতে, চীনের বাইরে এই ‘ভারী’ দুর্লভ খনিজ প্রক্রিয়াকরণের কোনো সক্ষমতা যুক্তরাষ্ট্রের নেই, যার ফলে দেশটি বিশেষভাবে ঝুঁকিতে পড়বে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইতোমধ্যে এই বিষয়ে জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকির তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ওপর প্রভাব

২০২০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র তার প্রয়োজনীয় বিরল খনিজের ৭০% আমদানি করেছে চীন থেকে।

এই নিষেধাজ্ঞা সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা শিল্প, প্রযুক্তি উৎপাদন ও অন্যান্য উচ্চমূল্যের খাতে প্রভাব ফেলবে। রাডার, চুম্বক, টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোনসহ এফ-৩৫ এর মতো যুদ্ধবিমান এই খনিজের ওপর নির্ভরশীল।

চীন বর্তমানে তার সামরিক সক্ষমতা দ্রুত বাড়াচ্ছে। আর ঠিক এই মুহূর্তে এসব বিরল খনিজ রপ্তানিতে চীনের সীমাবদ্ধতা আমেরিকার প্রতিরক্ষা খাতে বড় প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়াবে।

এছাড়াও আমেরিকার যেসব কোম্পানি এসব উচ্চ-প্রযুক্তি নিমার্ণ করে তারা কাঁচামালের সংকটে পড়বে এবং উৎপাদনের গতি কমে যাবে। পাশাপাশি মোবাইল, কম্পিউটার, গাড়ি ও সামরিক যন্ত্রপাতির দাম অনেক বেড়ে যাবে।

যদিও যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘমেয়াদে দেশীয় উৎপাদন বাড়াতে পারে; তবে এর জন্য প্রয়োজন সময়, প্রযুক্তি ও বড় বিনিয়োগ।

যুক্তরাষ্ট্র নিজে কেন দুর্লভ খনিজ উৎপাদন করে না?

যুক্তরাষ্ট্রে মাত্র একটি দুর্লভ খনিজ খনি রয়েছে; কিন্তু দেশটি ‘হেভি’ খনিজ আলাদা করতে পারে না এবং সেগুলো প্রক্রিয়াকরণ করতে হয় চীনে। তাই দেশটি বর্তমানে বিরল খনিজের জন্য চীনের ওপরই পুরোপুরি নির্ভরশীল।

১৯৮০’র দশকে যুক্তরাষ্ট্র ছিল বিশ্বের শীর্ষ দুর্লভ খনিজ উৎপাদনকারী দেশ। কিন্তু চীনের সস্তা উৎপাদনের কারণে মার্কিন কোম্পানিগুলো ধীরে ধীরে বাজারে টিকে থাকতে পারেনি।

বর্তমানে চীনের ওপর নির্ভরতা কমাতে ট্রাম্প ইউক্রেনের সঙ্গে খনিজ চুক্তি করতে চাচ্ছে। এছাড়া ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ডের দিকে নজর দিয়েছেন। গ্রিনল্যান্ডের খনিজ মজুদ বিশ্বে অষ্টম বৃহত্তম। তবে এই দেশগুলোর সঙ্গে রাজনৈতিক টানাপোড়েন ও আগ্রাসী কূটনীতি এই প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করছে।

বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের খনিজ গবেষক ড. হার্পার বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র একদিকে চীনের সাথে সম্পর্ক খারাপ করছে, আবার অন্যদিকে বন্ধু দেশগুলোকেও শুল্ক ও রাজনৈতিক চাপ দিয়ে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে।’

এই পরিস্থিতে বিকল্প সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তোলা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে।

চীন দুর্লভ খনিজ রপ্তানিতে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে কৌশলগতভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে চাপে ফেলেছে। এটি শুধু বাণিজ্য খাতে নয়, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রযুক্তি শিল্পের ভবিষ্যতের ওপরও গুরুতর প্রভাব ফেলবে।

সূত্র: যুগান্তর




কোটচাঁদপুরে ছেলেকে ফাঁসানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

চুয়াডাঙ্গায় ইতালি প্রবাসী কাজী আমির মোঃ রিন্টু ওরফে দোদুলকে ষড়যন্ত্র করে নিঃসংশ ভাবে কুপিয়ে হত্যা এবং তাঁর মাদ্রাসার শিক্ষার্থী নাবালক ছেলে রিফাত হোসেনকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহতের ছোট ভাই কামাল উদ্দিন।

রবিবার সকালে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনে করা হয়। সেসময় লিখিত বক্তব্যে মোঃ কামাল উদ্দিন বলেন, “আমার ভাই কাজী আমির মোঃ রিন্টু দীর্ঘ ২০ বছর ইতালিতে অবস্থান করছিলেন।

তিনি তাঁর আয়ের অধিকাংশ টাকা শ্বশুর ও শ্যালকের হাতে পাঠাতেন। শ্বশুর অনিকুল ইসলাম কবির ও শ্যালক রাসেল হোসেন মিলে প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন।”

তিনি আরও বলেন, “দেশে ফেরার পর রিন্টু টাকা-পয়সার হিসাব চাইলে শ্বশুরপক্ষের সাথে তাঁর বিরোধের সৃষ্টি হয়। একই সাথে স্ত্রীর পরকীয়ার সম্পর্কের বিষয় জানতে পারায় পারিবারিক কলহ চরমে ওঠে। পরবর্তীতে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে রিন্টু কুষ্টিয়া শহরে ভাড়া বাসায় অবস্থান করলেও, পুনরায় চুয়াডাঙ্গার নিজ বাড়িতে ফেরার পর তাঁর জীবন হুমকির মুখে পড়ে।”

কামাল উদ্দিন অভিযোগ করেন, গেল ২২ মার্চ রাতে পরিকল্পিতভাবে রিন্টুকে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে তাঁর স্ত্রী রত্না খাতুন, শ্বশুর অনিকুল ইসলাম কবির ও শ্যালক রাসেল হোসেনের হাত রয়েছে। হত্যার আলামত নষ্ট করতে বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুরও করা হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, হত্যার পর ষড়যন্ত্রকারীরা মামলা সাজাতে রিন্টুর মেয়ে জারিন ইয়াসমিন রিতুর মাধ্যমে রিন্টুর ছেলে কেএম রিফাতের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করান। বর্তমানে রিফাত যশোরের শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে আটক রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে কামাল উদ্দিন প্রকৃত হত্যাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান। একই সঙ্গে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে রিফাতের মুক্তির জোর দাবি জানান তিনি। তিনি এ ব্যাপারে যথাযথ তদন্ত করে বিচার নিশ্চিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।




বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে বিশাল নিয়োগ, আবেদন করুন আজই

বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সদস্যভুক্ত বিভিন্ন ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জনবল নিয়োগের বড় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে। এ নিয়োগে ৭ ধরনের পদে মোট ৬০৮ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

ব্যাংক: বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক।

পদের নাম: প্রোগ্রামার।

পদসংখ্যা: ২টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: কম্পিউটার সায়েন্স/ কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং/ ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং/ ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজিতে স্নাতক বা সমমান।

বেতন: ৩৫,৫০০-৬৭,০১০ টাকা।

পদের নাম: সিনিয়র অফিসার (আইটি)।

পদসংখ্যা: ১৬৬টি।

ব্যাংক: সোনালী ব্যাংক।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: কম্পিউটার সায়েন্স/ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি।

বেতন: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা।

পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রামার।

পদসংখ্যা: ৩৫টি।

ব্যাংক: সোনালী ব্যাংকে ৩১টি, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে ২টি, বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনে ১টি ও কর্মসংস্থান ব্যাংকে ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: কম্পিউটার সায়েন্স/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং/ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি।

বেতন: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা।

পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার/অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (আইটি)।

পদসংখ্যা: ৬৯টি।

ব্যাংক: সোনালী ব্যাংকে ৪৭টি, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে ২টি ও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে ২টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: কম্পিউটার সায়েন্স/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং/ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ন্যূনতম স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি।

বেতন: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা।

পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট ডাটাবেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর।

পদসংখ্যা: ২টি।

ব্যাংক: সোনালী ব্যাংক।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: কম্পিউটার সায়েন্স/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং/ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ন্যূনতম স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি।

বেতন: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা।

পদের নাম: অফিসার (আইটি)।

পদসংখ্যা: ৩৩২টি।

ব্যাংক: সোনালী ব্যাংকে ১৮৩টি, জনতা ব্যাংকে ১০০টি, অগ্রণী ব্যাংকে ৪৩টি, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে ৬টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: কম্পিউটার সায়েন্স/ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ন্যূনতম স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি।

পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট নেটওয়ার্ক সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার।

পদসংখ্যা: ২টি।

ব্যাংক: রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: কম্পিউটার সায়েন্স/কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং/ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ন্যূনতম স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি।

বেতন: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা।

আবেদনের পদ্ধতি: আগ্রহী প্রার্থীরা এ লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের ফি: ২০০ টাকা। তবে অনগ্রসর গোষ্ঠীর নাগরিকদের জন্য আবেদনের ফি ৫০ টাকা।

আবেদনের শেষ সময়: আগামী ২১ মে, ২০২৫।

সূত্র: যুগান্তর




মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে বাংলাদেশী যুবক নিহত

ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তের ওপারে ভারতের অভ্যন্তরে ওবাইদুর রহমান নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে বিএসএফ।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সকালে ভারতের চব্বিশ পরগনা জেলার মধুপুর নামক স্থান থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করেছে ভারতের পুলিশ। নিহত ওবাইদুর মহেশপুর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের হানেফ মন্ডলের ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, গেলো রাতে মহেশপুর উপজেলার গোপালপর গ্রামে ৭/৮ জন লোক অবৈধভাবে ভারতে যায়। রাত দেড়টার দিকে তারা বিএসএসএফের সামনে পড়ে। সেসময় বিএসএফ তাদের দিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। তখন তারা পালিয়ে আবারো বাংলাদেশের ভিতরে চলে আসে। কিন্তু ওবাইদুর রহমানসহ দু’জন আসতে পারে না। ওবাইদুর রহমানকে বিএসএফ ধরে ফেলে। বিএসএফ তাকে বস্তায় জড়িয়ে অমানুষিক নির্যাতন করে গুলি করে হত্যা করে।

সকালে ভারতের অভ্যান্তরে মধুপুর নামক স্থানে একজনের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসি। ওই মৃতদেহটি ওবাইদুর রহমানের হতে পারে বলে সুত্র জানিয়েছে। মৃতদেহটি ভারতের বাগদা থানার পুলিশ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে। আরেকজনের খবর এখনো পাওয়া যায়নি। তবে এ বিষয়ে বিজিবির পক্ষ থেকে কিছুই জানানো হয়নি।

মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়াসমিন মনিরা জানান, ভারতের অভ্যন্তরে একজনের লাশ পড়ে আছে বলে আমি বিজিবির মাধ্যমে জানতে পেরেছি।




দীপিকাই আমার সাবেক প্রেমিকা: শাহরুখ খান

বিনোদন জগতের বাদশা শাহরুখ খান কয়েক দশক ধরে বলিউডে রাজত্ব করে চলেছেন। এখনো তার সিনেমা মানেই প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাপ্রেমীদের উপচেপড়া ভিড়। পর্দায় তার ভিন্নরূপ। দর্শকদের মন অনায়াসেই জয় করে নেন তিনি। কখনো মুখ ঢেকে যোদ্ধার বেশে, কখনো দাঁড়ি-চুলে এক অচেনা বেশে, আবার কখনো রাজার মতো হাজির হন বলি বাদশাহ। তবে এবার তিনি ফিরছেন এমন এক চরিত্রে, যাকে ঘিরে জড়িয়ে যাচ্ছে পারিবারিক আবেগ, প্রেম, অতীত আর ভবিষ্যৎ—সব মিলিয়ে যেন এক আধুনিক কাহিনি।

এবার বলিউডে নতুনরূপে আসছেন বাদশাহ শাহরুখ খান। তার নতুন সিনেমা ‘কিং’-এ দেখা যাবে ভিন্ন আমেজে। তবে ‘কিং’—শুধু সিনেমার নাম নয়, শাহরুখের আত্মপরিচয়ও। এই সিনেমায় তার সঙ্গে রয়েছেন মেয়ে সুহানা খানও। আর ঠিক এখানেই বদলাচ্ছে দৃশ্যপট।

আর সেই দৃশ্যপটের লড়াইয়ের ময়দানেই নামছেন জনিপ্রয় অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। ‘কিং’-এ দীপিকাকে দেখা যাবে শাহরুখের সাবেক প্রেমিকা হিসাবে। এবং সুহানার মায়ের ভূমিকায় থাকবেন অভিনেত্রী। যদিও চরিত্রটি ক্যামিও। কিন্তু এই ‘অতিথি’ হাজিরাই নাকি হয়ে উঠবে সিনেমার সবচেয়ে বড় চমক। সেই নিয়েই কিং খান মজার ছলে বলেছিলেন—’দীপিকাই তো আমার সাবেক প্রেমিকা, সুহানার মা।’

এর আগে জানা গেছে, ‘কিং’ সিনেমাটি পরিচালনা করছেন সুজয় ঘোষ। কিন্তু না, ক্যামেরার পেছনে দেখা যাবে পাঠান’খ্যাত পরিচালক সিদ্ধার্থ আনন্দ। আর শুধু পর্দার মধ্যে নয়, পর্দার বাইরেও এক লড়াই চলবে।

পরিচালকের রদবদলের পরও বাদশা তার এই প্রজেক্টের প্রতি এতটাই যত্নবান যে, বাজেট নিয়েও ভেঙে ফেলেছেন পুরোনো রেকর্ড। আগামী মাস থেকেই শুরু হতে চলেছে দীপিকার শুটিং পর্ব। এমনকি সুহানার সঙ্গে একাধিক দৃশ্যের মহড়া ইতোমধ্যে সেরে ফেলেছেন তিনি।

সূত্র: যুগান্তর




মেহেরপুরে শিশু বলাৎকারকারীর শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

শিশু বলাৎকারের ঘৃণ্য ঘটনার প্রতিবাদে এবং অভিযুক্ত গোলাম মোস্তফার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মেহেরপুরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (২৬ এপ্রিল) মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে আমঝুপি ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সমাজের প্রতিটি স্তরকে আরও সচেতন হতে হবে। তারা গোলাম মোস্তফার ন্যক্কারজনক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে দ্রুত বিচার কার্যক্রম শুরু করে কঠোর শাস্তির দাবি জানান। বক্তারা আরও বলেন, এমন অপরাধের সুষ্ঠু বিচার না হলে ভবিষ্যতে আরও বড় সংকট সৃষ্টি হতে পারে।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা হাতে প্ল্যাকার্ড বহন করে “যৌন হেনস্থা বন্ধ হোক”, “ধর্ষক মোস্তফার বিচার চাই” ইত্যাদি স্লোগান দেন।

পরে একটি স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের কাছে প্রদান করা হয়।

এদিকে, পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত গোলাম মোস্তফাকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

সাধারণ মানুষের দাবি, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের অপরাধ করার সাহস না পায়।




গরমে ব্রণ-ঘামাচি ও ত্বকে জ্বালাপোড়া, আমলকীতেই মিলবে সমাধান!

গরমে কেবল যে শারীরিক নানা সমস্যা দেখা দেয় তা নয়, পাশাপাশি গরম পড়তে না পড়তেই অনেকরই ত্বকে নানা রকমের সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। ব্রণ তো আছেই তাছাড়াও জ্বালা ধরানো ঘামাচির। শুধু কি তাই? শরীরে ঘাম জমেও নানা অস্বস্তিকর সমস্যা দেখা দেয়।

অনেকেই বাজার চলতি নানা পাউডার বা সাবান দিয়ে এই থেকে মুক্তি পেতে চান কিন্তু তা সাময়িকভাবে আরাম দিলেও তা দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে না। তাছাড়াও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই সব সাবান পাউডারে রাসায়নিক উপাদানও থাকে যা ত্বকের যথেষ্ট ক্ষতি করে। এক্ষেত্রে আমলকি মুশকিল আসান হতে পারে। ঘামাচির সমস্যায় প্রাকৃতিক সমাধান হিসেবে আমলকীর জুড়ি মেলা ভার।

আমলকী শুধু শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় তা নয়, পাশাপাশি এটা ত্বকের জন্যও দারুণ উপকারী। এতে রয়েছে উচ্চমাত্রার ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। যা ত্বককে ভেতর থেকে সুস্থ রাখে। আমলকি ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়, দাগ কমায় ও সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাব থেকেও সুরক্ষা দেয়। এই গরমে বাড়িতেই আমলকির নানা ধরনের প্যাক ব্যবহার করে ত্বককে ভালো রাখতে পারেন।

কাঁচা আমলকি ও অ্যালোভেরার প্যাক: ২টি কাঁচা আমলকি বেটে নিয়ে তার সঙ্গে ২ চা চামচ অ্যালোভেরা জেল মেশান। মুখ, হাত-সহ শরীরের নানা অংশে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এটির নিয়মিত ব্যবহারে ঘামাচি ও র্যাশের সমস্যা কমবে।

পেঁপে-আমলকির প্যাক

পেঁপে ত্বকের জন্য দারুণ উপকারী। এর সঙ্গে আমলকী মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে সপ্তাহে দু-তিন দিন মুখে ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বক উজ্জ্বল ও দাগহীন হবে।

আমলকী ও দইয়ের প্যাক

২ চা চামচ আমলকী গুঁড়োর সঙ্গে ১ চা চামচ টক দই মিশিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করে নিন। মুখে মেখে ১৫-২০ মিনিট রেখে হালকা গরম জলে ধুয়ে ফেলুন। এটা ত্বককে ঠাণ্ডা রাখে ও ব্রণের দাগ কমায়।

আমলকী ও মুলতানি মাটির প্যাক

১ চা চামচ আমলকি পাউডারের সঙ্গে ১ চা চামচ মুলতানি মাটি মিশিয়ে মিশ্রণটি মুখে লাগান। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের কালচে দাগ ও রোদের পোড়া ভাব, ট্যান দূর হবে।

তবে কেবল প্যাক নয় আমলকী দিয়ে টোনার বানিয়েও এই গরমে ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য এক কাপ জলে ১ চা চামচ আমলকী পাউডার দিয়ে ৫ মিনিট ফুটিয়ে নিন। ঠাণ্ডা হলে কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল মিশিয়ে কাচের বোতলে ভরে রাখুন। রোদে বেরোনোর আগে মুখে স্প্রে করুন। এতে ত্বকের র‌্যাশ কমবে।

সূত্র: যুগান্তর




গাংনীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় তলা থেকে বোমা সদৃশ্য বস্তু উদ্ধার

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রায়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় তলা থেকে বোমা সদৃশ্য দু’টি বস্তু ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রবিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফোজিয়ারা খাতুন জানান, শিক্ষার্থীরা প্রথমে ৩য় তলায় বোমা সদৃশ্য বস্তু দেখতে পেয়ে তাকে অবহিত করে। পরে তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হন এবং তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে খবর দেন।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল জানান, খবর পেয়ে থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে বোমা সদৃশ্য বস্তুগুলো উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।

এদিকে, ঘটনার পর বিদ্যালয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। নিরাপত্তার স্বার্থে এলাকায় অতিরিক্ত নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।




চিকিৎসকের ঘোষণায় মেহেরপুর হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা বন্ধ

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের নারী ও শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসা সেবা বন্ধ রয়েছে। শনিবার সকালে মেডিকেল অফিসার ডা. মাহাবুব রহমান ও রোগীর স্বজনদের মধ্যে কথা কাটাকাটির পর তিনি নারী ও শিশু ওয়ার্ডের রাউন্ড ও চিকিৎসা সেবা বন্ধ ঘোষণা করেন। এতে হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে বহু রোগী বাধ্য হয়ে অন্যত্র চিকিৎসা নিচ্ছেন।

রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, সকালে এইচডিইউ বিভাগে মুমূর্ষু অবস্থায় এক রোগী ভর্তি হন, যিনি কয়েকদিন আগেও একই বিভাগে ভর্তি ছিলেন। রাউন্ডের সময় ডা. মাহাবুব রোগীর পূর্বের ব্যবস্থাপত্র দেখতে চান। স্বজনরা তা দেখাতে না পারলে তিনি চিকিৎসা সেবা বন্ধের কথা বলেন এবং রুঢ় আচরণ করে চলে যান। এরপর রোগীর স্বজনরা এর কারণ জানতে চাইলে কথাকাটাকাটি হয়।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে ডা. মাহাবুব তার হাসপাতালের ২২৪ নম্বর কক্ষে গিয়ে ঘোষণা দেন, নারী ও শিশু বিভাগের সকল চিকিৎসা সেবা বন্ধ থাকবে। পরবর্তীতে নারী ও শিশু বিভাগের রোগীরা চিকিৎসা না পেয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হন। হাসপাতালের নার্সরা শুধুমাত্র রুটিন চেকআপ চালিয়ে যাচ্ছেন।

রোগীর স্বজন মিজানুর রহমান বলেন, আমার স্ত্রী আজ সকালে ভর্তি হয়েছে, কিন্তু দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত কোনো চিকিৎসক চিকিৎসা সেবা দেননি।

আরেক স্বজন সামিমা রহমান জানান, আমার মায়ের অবস্থা খারাপ হয়ে যাওয়ায় সারাদিন চিকিৎসা না পেয়ে হাসপাতাল ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছি। অনেকেই একইভাবে চলে গেছেন। আমরা ডা. মাহাবুবের চিকিৎসা সনদ বাতিলের দাবি জানাই।

এ বিষয়ে ডা. মাহাবুব বলেন, এইচডিইউ বিভাগে রোগীর স্বজনরা খারাপ আচরণ ও হুমকি দিয়েছে। তাই চিকিৎসা সেবা বন্ধ করেছি। আমি বিসিএস ক্যাডার; বাধ্য হয়ে রুগী দেখতে হবে, এমন কোনো নিয়ম নেই।

তত্ত্বাবধায়ক শারমিন জাহান শায়লা আরও বলেন, নারী ও শিশু ওয়ার্ডের দায়িত্বে ছিলেন ডা. মাহাবুব। তাঁর না দেখার কারণে সাময়িক সমস্যা হয়েছে। সব বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের এভাবে নজর দেওয়া ঠিক নয়। এতে কাজ করা কঠিন হয়ে যায়। সব বিষয়ে সাংবাদিকদের আসার দরকার নেই।