মেহেরপুরে যুবককে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ

দীর্ঘদিনের জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মেহেরপুর সদর উপজেলার বারাদি ইউনিয়নের শিংহাটি গ্রামের পূর্বপাড়ায় যুবক হারুনুর রশিদকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে।

আজ মঙ্গলবার (১০ জুন) দুপুর ২ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। আহত হারুনুর রশিদ শিংহাটি গ্রামের এনামুল হকের ছেলে।

হারুনুর রশিদ জানান, “আমাদের বাসার সামনের জমিতে তারা ঘেরা ঘেরি শুরু করে দেয়। আমি বাধা দিতে গেলে আমাকে পিছন থেকে শাবল দিয়ে আঘাত করে। পরে আরো তিন-চার জন মিলে আমাকে এবং আমার দুজন প্রতিবন্ধী ভাইকে মারতে থাকে।”

বর্তমানে হারুনুর রশিদ মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।




করোনা সতর্কতা : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫ নির্দেশনা

প্রতিবেশী ভারতসহ কয়েকটি দেশে করোনার নতুন ধরন ছড়িয়ে পড়ায় বাংলাদেশেও সতর্কতা জোরদার করেছে সরকার। এমন অবস্থায় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মানা নিশ্চিত করতে পাঁচ দফা নির্দেশনা পালনের আহ্বান জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

মাউশির মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক দেওয়া এক পোস্টে বলেন, করোনার নতুন উপধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে হবে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেসব বিষয় মানার কথাও বলা হয়েছে।

সেগুলো হচ্ছে করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়া। এ ছাড়া, জনসমাগম এড়িয়ে চলা এবং বাইরে বের হলে মাস্ক পরা। যদি কোনো আক্রান্ত ব্যক্তি আশপাশে থাকে, তবে তার থেকে অন্তত তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখা। অপরিষ্কার হাত দিয়ে চোখ, মুখ ও নাক স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকা।

হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু অথবা কনুই দিয়ে মুখ ও নাক ঢেকে রাখা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায়ও বলা হয়েছে, দেশের আন্তর্জাতিক প্রবেশপথগুলোতে থার্মাল স্ক্যানার ও ডিজিটাল থার্মোমিটারের মাধ্যমে আগত যাত্রীদের তাপমাত্রা পরীক্ষা করতে হবে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত মাস্ক, গ্লাভস ও পিপিই মজুদ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে করোনার উপসর্গ দেখা দিলে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

গুরুতর হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যেতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে আইইডিসিআরের হটলাইনে (০১৪০১-১৯৬২৯৩) যোগাযোগের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

সূত্র: কালের কন্ঠ




মুজিবনগর সীমান্তে ১২ জনকে পুশ ইন করেছে বিএসএফ

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস সীমান্ত দিয়ে ১২ জন বাংলাদেশি পুশ ইন করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

আজ মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে ৯৭/১ সীমান্ত পিলার এলাকা দিয়ে তাদের পুশ ইন করে বিএসএফ। পরে বিজিবি খবর পেয়ে বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে তাদের আটক করে মুজিবনগর থানা পুলিশকে হস্তান্তর করে।

পুশ ইন হওয়া ব্যক্তিরা হলেন—কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী থানার ফুলমতি গ্রামের রহমত আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৪২), জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী শাহাজাদী খাতুন (৩০), ছেলে মিরাজ আলী (১৫), একই থানার কবুরামাবুদ গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের স্ত্রী লাভলী খাতুন (৪২), ছেলে হাছেন আলী (২০), বাবুল হোসেন (২৪), বাবুল হোসেনের স্ত্রী জেনমিন খাতুন (২০), ছেলে জহিদ হোসেন (৩), জাকির হোসেন (১), হাছেন আলীর স্ত্রী জান্নাতী খাতুন (১৮), ১০ দিন বয়সী মেয়ে হাসিনা খাতুন, শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আজিজুল ইসলামের ছেলে ইয়াসিন হোসেন (২৫)।

পুলিশ জানায়, পুশ ইন হওয়া ব্যক্তিদের কেউ ১০ বছর আগে, কেউ ১৫ বছর আগে ভারতে গিয়েছিল। তারা বিভিন্ন ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো।

চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল নাজমুল হাসান বলেন, পুশ ইন হওয়া ব্যক্তিরা বাংলাদেশি বলে দাবি করছে। আমরা তাদের কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের জন্য মুজিবনগর থানায় হস্তান্তর করেছি। পরবর্তীতে আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, এছাড়া পুশ ইন বিষয়ে আমরা রাঙ্গেরপোতা ১৬১ বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের জন্য চিঠি দিয়েছি




মেহেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সৌরভের দাফন সম্পন্ন

মেহেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সৌরভকে পৌর কবর স্থানে দাফন করা হয়েছে।

গত সোমবার মেহেরপুর সদর উপজেলার বাড়াদিতে দুইটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে সৌরভ নিহত হন। এ ঘটনায় একই পরিবারের চারজনসহ মোট পাঁচজন আহত হয়েছেন।

আহতরা হলেন নাজমুল হোসেন, মাসুদ রানা, মাসুদের স্ত্রী সীমা খাতুন এবং তাদের যমজ দুই মেয়ে শাফিনা ও মেহেরিমা।

নিহত সৌরভ মেহেরপুর শহরের মল্লিকপাড়ার বাসিন্দা, তিনি আজাদ আলীর ছেলে। আহত নাজমুল হোসেন শহরের স্টেডিয়াম পাড়ার মেরাজ হোসেনের ছেলে। মাসুদ রানা সদর উপজেলার বলিয়ারপুর গ্রামের মনি মণ্ডলের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সৌরভ ও নাজমুল একটি মোটরসাইকেলযোগে চুয়াডাঙ্গার দিক থেকে মেহেরপুরের দিকে আসছিলেন। একই সময় মাসুদ রানা তার স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে আরেকটি মোটরসাইকেলে করে চুয়াডাঙ্গার দিকে যাচ্ছিলেন। বাড়াদিতে পৌঁছালে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে ছয়জন গুরুতর আহত হন।

খবর পেয়ে মেহেরপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সৌরভকে মৃত ঘোষণা করেন।

অন্যদিকে আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।




এনসিপি’র উদ্যোগে গাংনীতে কোরবানির গোস্ত বিতরণ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পক্ষ থেকে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলা ও পৌরসভায় দ্বিতীয় দিনের মতো প্রায় ৩০০ অসহায় ও নিম্নআয়ের পরিবারের মাঝে কোরবানির গোস্ত বিতরণ করা হয়েছে।

এনসিপি’র কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও জেলার প্রধান সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট সাকিল আহমাদ এর উদ্যোগে এই গোস্ত বিতরণ করা হয়।

গতকাল রবিবার সকাল থেকে গাংনীর বিভিন্ন গ্রাম ও পাড়ায় গিয়ে এসব গোস্ত পৌঁছে দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির স্থানীয় নেতারা। কোরবানির এই উদ্যোগকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর মধ্যে এক উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

এ বিষয়ে সাকিল আহমাদ জানান, “আমরা চাই, ঈদের আনন্দ সবাই ভাগ করে নিক। সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষ যেন এই খুশি থেকে বঞ্চিত না হয় — সেই চেষ্টার অংশ হিসেবেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, দলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা, যারা পুরো প্রক্রিয়া সুসংগঠিতভাবে পরিচালনা করেন।

উল্লেখ্য, ঈদুল আযহার প্রথম দিনেও একইভাবে ২৫০ পরিবারের মধ্যে কোরবানির গোস্ত বিতরণ করেছিল এনসিপি, মেহেরপুর। নেতৃবৃন্দের মধ্যে জাতীয় যুব শক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক মোঃ মুজাহিদুল ইসলামসহ যুক্ত ছিলেন আমির হামজা, শামীম আহমেদ আজম, আকাশ প্রমুখ।

এ ধরণের জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি আগামী দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে দলটি।




গাংনীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মাছ ব্যবসায়ী নিহত

মেহেরপুরের গাংনীতে অটোভ্যানে চার্জ দিতে গিয়ে মাছ ব্যবসায়ি সানােয়ার হােসেন (৫০)মারা গেছেন।
নিহত সানোয়ার হোসেন গাংনী উপজেলার পলাশীপাড়া গ্রামের বসের আলীর ছেলে।
আজ বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে নিজ বাড়িতে অটোভ্যানে চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে গুরতর আহত হন।
পরে তাকে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।



গাংনীতে সড়ক দুর্ঘটনায় এক জন নিহত

মেহেরপুরের গাংনীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আবুল কাশেম (৬২) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
আবুল কাশেম গাংনী উপজেলার পলাশী পড়া গ্রামের আবু থান্ডারের ছেলে।
আজ বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বিকাল চারটার দিকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এর আগে সকাল ১১ টার দিকে সে মোটরসাইকেল যোগে মাঠে যাওয়ার সময়  রাস্তার উপর জমে থাকা কাঁদায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার উপর পড়ে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।



এনসিপি’র মেহেরপুর সদর উপজেলা সমন্বয় কমিটি অনুমোদন

হাসমত উল্লাহকে প্রধান সমন্বয়কারী, সালাউদ্দিন রনি ও ওমর ফারুককে যুগ্ম সমন্বয়কারী করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ১৫ সদস্য বিশিষ্ট মেহেরপুর জেলা সমন্বয় কমিটি প্রকাশ করা হয়েছে। বুধবার এনসিপি’র সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও দক্ষিণ অঞ্চলের মুখপাত্র হাসনাত আবদুল্লাহ এ কমিটির অনুমোদন দেন।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- সাঈদ হাসান, মোঃ কাইয়ুম আলি, তাহসিন রাব্বি, সাজেদুর রহমান, মোঃ পিন্টু মল্লিক, ইব্রাহিম হোসেন, আবাবিল হাসান সুইট, ইকবাল হোসেন রাজ, মোঃ রেজাউল করিম, সাহেব মাহমুদ, মোঃ মোবারক হুসাইল, মোঃ আরাফাত হোসেন।
আগামী ৩ মাস অথবা আহ্বায়ক কমিটি গঠন পর্যন্ত এ কমিটি বলবৎ থাকবে বলে বলা হয়েছে।




শব্দ দূষণের মধ্যে এক মাসে ৪২ শিশুর আগমন, উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে গাইনি ওয়ার্ডে চলমান টাইলস লাগানোর নির্মাণকাজের মধ্যে গত এক মাসে জন্ম নিয়েছে ৪২ নবজাতক। এর মধ্যে সিজারিয়ানের মাধ্যমে ৩১ এবং স্বাভাবিকভাবে জন্ম নিয়েছে ১১জন শিশু। এই নবজাতক ও তাদের মায়েদের রাখা হয়েছে গাইনি ওয়ার্ডের বিভিন্ন কক্ষে, যেখানে প্রতিদিন উচ্চ শব্দে টাইলস কাটার যন্ত্র ও হাতুড়ির আঘাতে কম্পিত হচ্ছে চারপাশ।

গাইনি ওয়ার্ডের পাশেই অবস্থিত অপারেশন থিয়েটারে নিয়মিত সিজারিয়ান অপারেশন চলছে। সেসব শিশুদের রাখা হচ্ছে অপারেশন থিয়েটারের পাশের রুমগুলোতে। যেখানে জোরালো নির্মাণকাজ রোগীদের জন্য একপ্রকার নিরব যন্ত্রণা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নির্মাণযন্ত্রের শব্দে শিশুরা ঘন ঘন চমকে উঠছে, ঘুম ভেঙে যাচ্ছে, কান্নাকাটি করছে, এবং মা-বাবারা পড়ছেন উদ্বেগে।

গাইনি ওয়ার্ডে থাকা নবজাতকের মা শুভরাজপুর গ্রামের মোছা. রুনা খাতুন বলেন, “আমার বাচ্চা একটু শব্দ হলেই কেঁদে ওঠে। ডাক্তাররা বিশ্রাম নিতে বলেছে, কিন্তু এখানে বিশ্রাম নেওয়া অসম্ভব।”

গাইনি ওয়ার্ডের এক সেবিকা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “শিশুরা শব্দে অস্থির হয়ে ওঠে। মায়েরা ঘুমাতে পারছেন না। আমরা কর্তৃপক্ষকে বলেছি, কিন্তু এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ হয়নি।”

হাসপাতালের ওই ওয়ার্ডের সেবিকা ইনচার্য শিউলী সরকারের মতে, নবজাতকেরা শব্দের প্রতি অতিমাত্রায় সংবেদনশীল। অতিরিক্ত শব্দ তাদের শ্রবণশক্তি, স্নায়ু ও ঘুমের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। জন্মের পরপরই শিশুদের শান্ত ও শব্দমুক্ত পরিবেশে রাখা অত্যন্ত জরুরি। কর্ত্তৃপক্ষ যেভাবে বলেন, আমরা সেভাবে দায়ীত্ব পালন করি।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শাহরিয়ার শায়লা জাহান বলেন, “পরিস্থিতি আমরা জানি। গণপূর্ত বিভাগ জানিয়েছিলেন ১০ দিনের মধ্যে কাজ শেষ হবে। একমাসেও শেষ হচ্ছেনা। এখনও বেশ ক‘দিন লাগবে মনে হচ্ছে। দ্রুত কাজ শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তবে শব্দ যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে সে চেষ্টাও চলছে।”

অভিভাবক ও সচেতন মহলের দাবি, হাসপাতালের মতো সংবেদনশীল জায়গায় এই ধরনের নির্মাণকাজ সময় ও স্থান বিবেচনায় পরিচালনা করা উচিত। নবজাতক শিশুদের অন্যত্র সরিয়ে অথবা নির্মাণের সময় সীমিত করে শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। অথবা গাইনি ওয়ার্ড সাময়িক স্থানান্তর করা উচিৎ ছিল।

শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্যের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত বিষয়টি দ্রুত সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পিত ও দায়িত্বশীল আচরণই হতে পারে স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নের অন্যতম ভিত্তি।




ঈদের আনন্দ নিরানন্দে পরিণত ৩’শ প্রাথমিক শিক্ষকের

বেতন তুলতে না পারায় ঈদ হচ্ছে না কোটচাঁদপুরের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩ শ শিক্ষকের। ঈদের খুশি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।

জানা যায়,কোটচাঁদপুর উপজেলায় ৭৪ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এ সব বিদ্যালয়ে রয়েছে ৪৫০ জন শিক্ষক। ওই সব শিক্ষকের বেতন হয় সোনালী ব্যাংক ও অগ্রনী ব্যাংক থেকে। বুধবার ছিল অফিসের শেষ দিন। বিকেল ৫ টা পর্যন্ত বেতন ঢোকেনি বলে জানতেন সব শিক্ষকরা। হঠাৎ ৫ টার পর সবাই টাকার ম্যাসেজ পান। এরপর টাকা তোলার জন্য ব্যাংকে ছোটেন শিক্ষকরা। বুধবার সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত দুই ব্যাংক থেকে টাকা নিতে পেরেছেন ৭০ জন শিক্ষক বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে।

বাকিরা টাকা তুলতে পারেনি। সর্বশেষ কোটচাঁদপুর সোনালী ব্যাংক থেকে টাকা তোলেন বাজেবামনদহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রবিউল ইসলাম ও অগ্রনী ব্যাংক থেকে টাকা নেন চাঁদপাড়া বিদ্যালয়ের আশরাফুল ইসলাম।

এ ব্যাপারে বাজেবামনদহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইকবল হোসেন বলেন,টাকা তুলতে না পারায় আমার তেমন সমস্যা নাই। তবে যে সব শিক্ষকরা শুধু মাত্র বেতনের উপর নির্ভর,সে শিক্ষকরা সমস্যায় আছে। তবে কি কারনে বেতন ঠিক সময় হল না,তা তিনি জানেন না বলে জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কোটচাঁদপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান (কচি) বলেন,কোটচাঁদপুরে ৭৪ টি বিদ্যালয়ের ৪৫০ জন শিক্ষক আছে। এ সব শিক্ষকদের মধ্যে বুধবার বিকেল ৫ টা পর্যন্ত সবাই জানত বেতন হচ্ছে না। তবে ৫ টার পর ব্যাংক থেকে ফোন করেছিল টাকা নেয়ার জন্য। আমি জানিনা কতজন টাকা তুলতে পেরেছেন।

এড়ান্দা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোশাররফ হোসেন বলেন,ঈদের আর মাত্র ৩ দিন বাকি। এ ছাড়া আজই অফিসের শেষ কর্ম দিবস। আমার জানামতে এখনও পর্যন্ত ৩শ/৪শ শিক্ষক তাদের বেতন তুলতে পারেনি। এর জন্য তিনি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাকি সালামকে দায়ি করছেন।

তিনি বলেন, বেতনের জন্য চাহিদা দিতে হয় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। এরপর বেতন ছাড় হয়। তিনি সেই কাজটি করেছেন,তবে দেরি হয়ে গেছে। এর জন্য আজ অনেক শিক্ষকের ঈদের খুশি মিলান হয়ে গেছে।

সোনালী ব্যাংক কোটচাঁদপুর শাখার ব্যবস্থাপক আরিফুল ইসলাম বলেন,অফিস সময়ের পর টাকা ঢুকেছে ব্যাংকে। এরপর অনেককে ফোন করে বলা হয়েছে টাকা নেবার জন্য।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ১৫/২০ জনের মত টাকা নিতে পেরেছেন। এরপরও যদি কোন শিক্ষক টাকা নিতে আসেন আমরা টাকা দিব।
এর জন্য কারা মূলত দায়ি,এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা শিক্ষা অফিস ও হিসাব রক্ষন অফিসে কথা বলেন। ওনারা বলতে পারবেন। আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ অনুযায়ী চলি। বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা দিলে আমরা টাকা দিবো।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাকি সালাম বলেন, একটু সমস্যা ছিল। সেটা সমাধান করতে ঢাকা গিয়েছিলাম। সব কাজ কর্ম করে দিয়ে এসেছিলাম। এরপর গেল ২৫ তারিখে বিষয়টি নিয়ে আবারও কথা বলি ঢাকাতে,ওনারা আমাকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন। আমি অপেক্ষায় আছি। তাহলে এ টাকা নিয়ে আমাকে যারা দোষারোপ করছেন,এটা করা ঠিক হচ্ছে কি এমন প্রশ্ন তোলেন ওই কর্মকর্তা। সফটওয়ার সমস্যায় ব্যাংকে টাকা ঢোকেনি বলে পরে জানতে পেরেছেন তিনি।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে মোবাইল যোগাযোগ করা হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আনিসুল ইসলাম সঙ্গে। তবে ফোন রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।