পপগুরুর মৃত্যুর ১৩ বছর আজ

পপগুরু আজম খানের প্রয়াণের ১৩ বছর পূর্ণ হলো আজ। ২০১১ সালের আজকের দিনে দীর্ঘদিন ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে মৃত্যু হয় এই কিংবদন্তির।

১৯৫০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার আজিমপুর সরকারি কলোনিতে জন্মগ্রহণ করেন আজম খান। শৈশবের ৫ বছর সেখানেই কাটিয়েছেন তিনি। ৫ বছর বয়সে ঢাকেশ্বরী স্কুলে ভর্তি হন।

এরপর সপরিবারে কমলাপুরের বাড়িতে চলে যান। পরবর্তীতে ১৯৭০ সালে টিঅ্যান্ডটি কলেজ থেকে বাণিজ্য বিভাগে এইচএসসি পাস করেন আজম খান।

১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানের সময়েই সোচ্চার হয়ে ওঠেন আজম খান। সে সময়ের ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠীর সক্রিয় সদস্য হিসেবে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গণসংগীত প্রচারে অংশ নেন তিনি। দলটির সঙ্গে ঘুরে ঘুরে গানও করেছেন। বরাবরই দেশের মানুষের কল্যাণে গান গেয়ে গেছেন এই পপগুরু।

এরপর ১৯৭১ সালে পাক হানাদারের বিরুদ্ধে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন আজম খান। কুমিল্লা ও ঢাকার আশপাশে সেকশন কমান্ডার হিসেবে অনেকগুলো গেরিলা আক্রমণে অংশ নেন এই গায়ক।

দেশ স্বাধীন হওয়ারপর ‘উচ্চারণ’ নামে একটি ব্যান্ড দল গড়ে তোলেন আজম খান। দেশের সংগীত জগতে তখন দারুণ আলোড়ন তোলে ব্যান্ডটি। এখান থেকে তিনি পশ্চিমা ঢঙে গান বানানো শুরু করেন। তবে তার গানগুলো ছিল সহজ-কথা সুরে।

কাগজ-কলমে কখনও গান লিখতেন না আজম খান। এমনকি নিজের এত এত গানের সংরক্ষণও তার কাছে ছিল না। মাথায় কোনো শব্দ এলে সেটাকেই বড় করে গানে রূপ দিতেন। এরপর সুর দিয়ে সেটাকে গাইতেন। জাদুকরি উপায়ে সেই অলিখিত কথা-সুর ছড়িয়ে যেতো দেশজুড়ে; যা এখনও সমানভাবে আকৃষ্ট করে দর্শক-শ্রোতাদের।

১৯৭২ সালে তার ‘এত সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে’ আর ‘চার কালেমা সাক্ষী দেবে’ গান দুটি বিটিভিতে প্রচার হয়ে প্রশংসিত হয়। পরবর্তী সময়ে বিটিভিতে ‘রেললাইনের ওই বস্তিতে’ গান গেয়ে ব্যাপক আলোড়ন আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন আজম খান।

আজম খানের জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে-‘ওরে সালেকা ওরে মালেকা’, ‘আলাল ও দুলাল’, ‘অ্যাকসিডেন্ট’, ‘অভিমানী’, ‘আসি আসি বলে’, ‘হাইকোর্টের মাজারে’, ‘পাপড়ি’, ‘বাধা দিও না’, ‘যে মেয়ে চোখে দেখে না’, ‘অনামিকা’, ‘আমি যারে চাইরে’ ইত্যাদি।

২০১১ সালের ৫ জুন দীর্ঘদিন মরণব্যাধি ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আজম খান। শিল্পকলায় (সংগীত) অবদানের জন্য ২০১৯ সালের মরণোত্তর একুশে পদক দেওয়া হয় তাকে। তবে আজম খানের শূন্যতা কখনোই পূরণ হওয়ার নয়।

সূত্র: ইত্তেফাক




ঝিনাইদহে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে মানববন্ধন

‘‘করবো ভূমি পুনরুদ্ধার, রুখবো মরুময়তা, অর্জন করতে হবে মোদের খরা সহনশীলতা’’ প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে পরিবেশ রক্ষার আইন ও নীতির কার্যকর প্রয়োগ এবং বাংলাদেশের টেকসই পরিবেশ উন্নয়ন নিশ্চিতের দাবিতে ঝিনাইদহে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে মানবন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।

আজ বুধবার (৫ জুন) সকালে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ঝিনাইদহ এর উদ্যোগে শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে এই মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়। মানব বন্ধনে তারা পরিবেশ সংক্রান্ত আইন ও নীতির কার্যকর প্রয়োগ এবং বাংলাদেশের টেকসই পরিবেশ উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আহ্বান জানান।

এ বছর বাংলাদেশ সরকার ‘‘করবো ভূমি পুনরুদ্ধার, রুখবো মরুময়তা, অর্জন করতে হবে মোদের খরা সহনশীলতা’’ প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করে দিনটি উদযাপন করছে। সরকারের সহায়ক শক্তি হিসেবে পরিবেশ খাতে সুশাসনের গুরুত্ব বিবেচনায় টিআইবি প্রতি বছরই বিশ^ পরিবেশ দিবস পালন করে।

এরই ধারাবাহিকতায়, এ বছর টিআইবি ‘‘করবো ভূমি পুনরুদ্ধার, রুখবো মরুময়তা, অর্জন করতে হবে মোদের খরা সহনশীলতা’’ প্রতিপাদ্য হিসেবে নিয়ে দিবসটি পালন করছে। সনাক আয়োজিত এই মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সনাক সহসভাপতি সালমা খানম, সুজন সভাপতি ও পিএফজি সদস্য এবং বার্তা সংস্থা ইউএনবির জেলা প্রতিনিধি আমিনুর রহমান টুকু, সনাক সদস্য এন.এম. শাহজালাল, পরিবেশ উপকমিটির সদস্য ডা.হাসানুজ্জামান, স্বাস্থ্য কর্মী কাজল কুমার বিশ^াস ও পদ্মা সমাজ কল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মোঃ হাবিবুর রহমান প্রমূখ।

পরিবেশ বান্ধব টেকসই বাংলাদেশ এবং সবুজ ভবিষ্যৎ উন্নয়নে প্রতি বছরের ন্যায় বিশ^ পরিবেশ দিবস উপলক্ষে টিআইবি দেশব্যাপী নানাবিধ প্রচারণামূলক কর্মসূচী পালন করছেন।

এ সকল কর্মসূচির পাশাপাশি অধিপরামর্শমূলক কাজের অংশ হিসেবে টিআইবি নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে সুনির্দিষ্ট সুপারিশমালা তুলে ধরেণ। তার মধ্যে তাপমাত্রা হ্রাস এবং খরা ও মরুকরণ প্রতিরোধে সরকারের কর্মসূচী বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা, পরিবেশ সুরক্ষা ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করণ, জলবায়ু পরিবর্তন-সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে যথাযথ গুরুত্ব প্রদান করা ও পলিথিনসহ শিল্পবর্জ্য নিয়ন্ত্রণে পরিবেশ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত আইন ও বিধিমালার কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করাসহ ১৯দফা দাবি বাস্তবায়নের সুপারিশ জানান।




জি-মেইল থেকে বড় ফাইল ডিলিটের নিয়ম

বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগল। প্রতিনিয়ত অনেকে কোনো না কোনো কিছু গুগলে সার্চ করছেন। ব্যবহার করছেন গুগলের ওয়েব ব্রাউজার গুগল ক্রোম। গুগলের পক্ষ থেকে ব্যবহারকারীকে ফ্রি ১৫ জিবি স্টোরেজ দেওয়া হয়ে থাকে। তবে কয়েকদিনের মধ্যেই সেই স্টোরেজ ফুল হয়ে যায়।

তিনটি জি-মেইল অ্যাকাউন্ট থাকলে ৪৫ জিবি স্টোরেজ ফ্রি পাওয়া যায়। বাড়তি স্টোরেজ পাওয়ার ক্ষেত্রে এটিও একটি উপায়। তবে গুচ্ছের মেইল, অপ্রয়োজনীয় ফাইল ও অ্যাটাচমেন্ট, ছবি, ভিডিও সব মিলিয়ে স্টোরেজ ভরে যায় গুগল ড্রাইভের। তবে চাইলে কিন্তু জি-মেইলে ১০ এমবির বড় ফাইলগুলো একসঙ্গে ডিলিট করতে পারবেন।

জি-মেইলে একসঙ্গে ১০ এমবির বেশি ফাইল ডিলিট করবেন যেভাবে :গুগল জি-মেইল ওপেন করুন। সার্চ বারে টাইপ করুন—has:attachment larger:10MB। তারপর যে ই-মেইলে ১০ এমবির বেশি অ্যাটাচমেন্ট থাকবে সেগুলো চলে আসবে। তারপর প্রয়োজনীয় ফাইল রেখে বাকিগুলো রিডিলিট করে দিতে পারেন।

অন্যদিকে ড্রাইভে বড় ফাইলগুলো ডিলিট করতে চাইলে :প্রথমে গুগল ড্রাইভে লগ ইন করুন। তারপর ওপরে থ্রি লাইন ডটে ক্লিক করে, স্টোরেজ অপশনে ক্লিক করুন। এবার এখানে ‘ফ্রি আপ স্পেস’ নামে একটি অপশন থাকবে সেখানে ট্যাপ করুন। এখানে দেখতে পাবেন কোথায় কত স্টোরেজ ব্যবহার হয়েছে। তারপর ‘স্টোরেজ ম্যানেজার’-এর অধীনে যেখান থেকে স্টোরেজ খালি করতে চান ক্লিক করুন। এবার একে একে সেগুলো ক্লিয়ার করলেই অনেকটা জায়গা বেঁচে যাবে।

সূত্র: ইত্তেফাক




আলমডাঙ্গার সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ

আলমডাঙ্গার সাব-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে দলিল গ্রহীতা ও দাতাদের জিম্মি করে দলিল প্রতি মোটা অংকের উৎকোচ নেয়াসহ নানা দুর্নীতি অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। খাজনা খারিজসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিক থাকার পরও দলিল প্রতি মোটা অংকের উৎকোচ না দিলে সাব-রেজিস্ট্রার দলিল স্বাক্ষর করছেন না বলে খোদ দাতা গ্রহীতারা অভিযোগ করেছেন।

এ নিয়ে অফিস চত্বরে হর-হামেশা উচ্চবাচ্য ও হট্টোগোলের ঘটনা ঘটছে। জমির ত্রুটিপূর্ণ কাগজের জন্য মোটা অঙ্কের উৎকোচ। এ অবস্থায় যে সকল গ্রহীতা উৎকোচ দিতে অনিচ্ছুক তারা দিনের পর দিন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। আর যারা বাধ্য হয়ে উৎকোচ দিচ্ছেন তারা সীমাহীন ক্ষতির শিকার হচ্ছেন।

গত বুধবার ২৯ শে মে সরেজমিনে সাব- রেজিস্ট্রার অফিসে গিয়ে দেখা যায়, দাতা গ্রহীতাদের মধ্যে যারা সাব-রেজিস্ট্রার কর্তৃক দলিল প্রতি নির্ধারিত উৎকোচ জমা দিচ্ছেন তাদের দলিলে বিশেষ চিহ্ন দিয়ে এজলাসে দাখিল করা হচ্ছে। আর যারা উৎকোচ দিচ্ছেন না তাদের কাগজপত্রে বিভিন্ন ত্রুটি দেখিয়ে ফেরত দেয়া হচ্ছে।

সাবরেজিষ্ট্রারের লাগামহীন দুর্নীতির মধ্যে পৈত্রিক সম্পত্তি ওয়ারিশ সূত্রে জমি বিক্রি করলে দলিল প্রতি চার হাজার টাকা দিতে হয়। এই টাকা সংগ্রহ করেন সাবরেজিষ্ট্রি অফিসের সাবেক দলিল লেখক সমিতির ক্যাশিয়ার রবিউল হক ঝন্টু। এছাড়া ডিসিআর না থাকলেও দিতে হয় আরোও তিন হাজার টাকা। রেকর্ডীয় বসতবাড়ির জমি বিক্রি অথবা কিনতে গেলে গ্রাহকের গলার কাঁটায় পরিণত হয়। রেকর্ডীয় জমি রেজিস্ট্রির নামে বিভিন্ন অজুহাতে সাবরেজিষ্ট্রার ১০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থের মাধ্যমে জমি সম্পাদনা করেন।

প্রতি বুধ ও বৃহস্পতিবার দুদিন চুয়াডাঙ্গা সদর সাবরেজিষ্ট্রার অফিসে কর্মরত জর্ডান নামের এক কর্মচারীকে সাথে নিয়ে আসেন। এসব অবৈধ টাকা তাঁর মাধ্যমে সংগ্রহ করেন সাবরেজিষ্ট্রার গোলাম মর্তুজা। এছাড়া হায়ার ভেলুর নামের লাখ প্রতি ৫০০ টাকা নেন আলমডাঙ্গা সাবরেজিস্ট্রি অফিসের ফাতেহা। রশিদ বিহীন দাখিলা বাবদ ৮০০ টাকা ও হেবা নামা দলিলে ১ হাজার ৮ টাকা দাখিলা বাবদ নেন। এসব অপকর্ম খোদ উপজেলা চত্বর প্রাঙ্গণে চললেও দেখার কেউ নেই। হতাশাগ্রস্থ হয়ে ফিরছে অনেক জমি ক্রেতা-বিক্রেতারা। এতে সপ্তাহের দুদিন প্রায় ১৫/২০ লাখ টাকা অবৈধভাবে সংগ্রহ করছেন সাবরেজিষ্ট্রার গোলাম মর্তুজা।

এ বিষয়ে সাবরেজিষ্ট্রারের সহকারী জর্ডান ও দলিল লেখক ঝন্টুর নিকট যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, সাবরেজিষ্ট্রার গোলাম মর্তুজা তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার কাউকে দেয় না। এইজন্য সাবরেজিষ্ট্রারের সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।




মেহেরপুরে হিরোইনসহ আটক ১

মেহেরপুরে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে হিরোইনসহ জসীম উদ্দীন নামের এক জন আটক।

আজ মঙ্গলবার বিকালে সদর উপজেলার হরিরামপুর বাজিতপুর সড়ক থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক জসীম উদ্দীন সদর উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের এমাদুলের ছেলে।

জানা গেছে, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক আবুল হাসেমের নেতৃত্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা সদর উপজেলার বুড়িপোতা ইউনিয়নের হরিরামপুর বাজিতপুর সড়কে অভিযান চালান।
এ সময় জসিমকে আটক করার পর তার কাছ থেকে ৬ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মেহেরপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।




কোটচাঁদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নি*হ*ত ১

ঝিনাইদহের মহেশপুরের বারমাসিয়া মোড়ে মঙ্গলবার বিকেল ৩ টার সময় মটরসাইকেল আর যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনায় মশিয়ার রহমান নামের এক কীটনাশক কোম্পানির প্রতিনিধি মারা গেছে।

মৃত মশিয়ার রহমানের মামাত ভাই পান্না বলেন,কালিগঞ্জের নলডাঙ্গার দুতরাজপুর গ্রামে বাড়ি মশিয়ার রহমানের (৩৫)। সে ওই গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে। মশিয়ার কোটচাঁদপুর জীবননগর এলাকা এসআই এগ্রো ইন্টারন্যাশনাল কীটনাশক কোম্পানিতে চাকুরী করতেন।

সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে জীবননগর গিয়ে ছিল। ওই সময় সে মার্কেট শেষে বাড়ি ফিরছিল। পথিমধ্যে মহেশপুরের বারমাসিয়া নামক স্থানে পৌছালে শাপলা পরিবহনের যাত্রী বাহী বাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে করে সে গুরুতর আহত হন।

খবর পেয়ে কোটচাঁদপুর ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। মশিয়ার রহমান দুই সন্তানের জনক।

কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক সুমন ঘোষ বলেন,ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসেন। আমরা চিকিৎসা দেয়ার সময় হয়নি।

এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাঈদ আল মামুন বলেন, ঘটনাটি ঘটেছে মহেশপুরের ভিতর। তারা বাসটি উদ্ধার করেছেন,কিনা জানিনা। তবে মৃত দেহের সুরতহাল করবো আমরা। ওই ঘটনায় মামলা হবে কিনা জানিনা।




নিয়ম মেনে চলুন কমবে কোলেস্টেরল

আজকাল অল্পবয়সীদের শরীরেও দেখা দিচ্ছে কোলেস্টেরলের সমস্যা। নানা অনিয়ম, ব্যস্ততা ভরা জীবনে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। তাই সচেতনতা জরুরি। কিছু নিয়ম মানলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে কোলেস্টেরল।

ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে লেবু পানি পান করুন। লেবুতে থাকা ভিটামিন সি, ফ্ল্যাভোয়েড যৌগ লো-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিনের সঙ্গে লড়াই করে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

সকালের খাবারে মনোযোগী হোন। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে সকালের খাবারে বেশি করে ফাইবারযুক্ত খাবার খেতে হবে। হোল গ্রেন, বেশি করে ফল ও শাকসবজি খেতে পারেন। সঙ্গে ডায়েটে রাখুন ওট্স, কাঠবাদাম, তিসির বীজের মতো খাবার। ট্রান্সফ্যাট আছে এমন খাবার, অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার বা পানীয় ব্রেকফাস্টে না খাওয়াই ভালো।

শুধু মেদ কমাতেই নয় কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। শরীরচর্চা বলতে কিন্তু শুধু জিম নয়। নিয়মিত হাঁটা, জগিং, সাইকেল চালানো বা সাঁতারের মতো অভ্যাসও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। রোজ সকালে অন্তত আধ ঘণ্টা শরীরচর্চা করুন। এতে শরীরও ঝরঝরে থাকবে, কমবে কোলেস্টেরলও।

মানসিক চাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। তাই মানসিক স্বস্তি পেতে ইয়োগা বা মেডিটেশন করতে পারেন। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে মনকে শান্ত রাখা জরুরি।

কোলেস্টেরল থাকলে নির্দিষ্ট সময় পর পর পরীক্ষা করানো জরুরি। এতে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে সতর্ক থাকা সম্ভব। সতর্ক না হলে এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন। কোলেস্টেরল বাড়ায় হৃদরোগের ঝুঁকি তাই সবার আগে প্রয়োজন সতর্কতা।

সূত্র: ইত্তেফাক




কোটচাঁদপুর ফুলবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বই বিক্রির অভিযোগ

সরকারি পুরাতন বই ভাংড়ীর দোকানে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে কোটচাঁদপুরের ফুলবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এভাবে বই বিক্রি করতে পারেন না, বললেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অশোক কুমার। মঙ্গলবার (৪ জুন) সকালে ভাংড়ী দোকানির কাছে বইগুলো বিক্রি করেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে ঝিনাইদহের চন্ডিপুর বাজারের আলিমের ভাংড়ির দোকানে সরকারি পুরাতন বই বিক্রি করা হয়েছে। এমন অভিযোগ উঠেছে কোটচাঁদপুরের ফুলবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুদ্দিন আহম্মদের বিরুদ্ধে। তিনি এ বই বিক্রির কথা স্বীকার করে বলেন, বছর শেষে ছাত্র / ছাত্রীদের কাছ থেকে যে বই নেয়া হয়। সেই বইগুলো বিক্রি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরে রেজুলেশন করে নিবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
তবে ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বলেন,বই বিক্রির ঘটনাটি স্কুলে রেজুলেশন করা আছে। ঘটনাটি সাংবাদিকদের পেপারে ছাপিয়ে দিতে বলেন।
বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অশোক কুমার বলেন,বিদ্যালয়ের কোন কিছু বিক্রি করতে হলে আমাদের অনুমতি নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে আমাকে তারা কিছু জানাননি। আর এভাবে কতৃপক্ষ বই বিক্রি করতে পারেন না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে বলেন,এটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা। আপনারা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেন।ওনি বিস্তারিত বলতে পারবেন। আর আমি শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলছি বলে জানান।



ঢাকা ওয়াসায় চাকরি সুযোগ

ঢাকা ওয়াসার প্রকল্পে জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির দুই ক্যাটাগরির পদে দুই বছরের চুক্তিতে কর্মী নিয়োগ দেবে।

প্রতিষ্ঠানের নাম : ঢাকা ওয়াসা

পদ ও জনবল : দুটি ও দুজন

আবেদনের মাধ্যম : অনলাইন

প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়)

বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ : ৩০ মে, ২০২৪

আবেদনের শেষ তারিখ : ২৩ জুন, ২০২৪

১. পদের নাম : হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা

পদসংখ্যা : ১টি

শিক্ষাগত যোগ্যতা : স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্য/হিসাব/ফিন্যান্সে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতকসহ (সম্মান) স্নাতকোত্তর ডিগ্রি বা প্রথম শ্রেণির স্নাতকোত্তর ডিগ্রি বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে। শিক্ষাজীবনে সব স্তরে নূন্যতম দ্বিতীয় বিভাগ/শ্রেণি থাকতে হবে। হিসাব/আর্থিক ব্যবস্থাপনা-সংশ্লিষ্ট কাজে ন্যূনতম পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

বয়স : ২৩ জুন, ২০২৪ তারিখে ন্যূনতম ৩২ বছর

চাকরির ধরন : দুই বছরের চুক্তিভিত্তিক

বেতন : ৫০,০০০ টাকা (মাসিক)

২. পদের নাম : হিসাবরক্ষক

পদসংখ্যা : ১টি

শিক্ষাগত যোগ্যতা : স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্যে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে। শিক্ষাজীবনে সব স্তরে ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগ/শ্রেণি থাকতে হবে। এমএস ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্টসহ কম্পিউটার চালনার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। হিসাব/আর্থিক ব্যবস্থাপনা-সংশ্লিষ্ট কাজে ন্যূনতম তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

বয়স : ২৩ জুন, ২০২৪ তারিখে ন্যূনতম ৩২ বছর

চাকরির ধরন : দুই বছরের চুক্তিভিত্তিক

বেতন : ৪০,০০০ টাকা (মাসিক)

আবেদন ফি : প্রার্থীকে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন ফি বাবদ ৫০০ টাকা ঢাকা ওয়াসার অনুকূলে পাঠাতে হবে (অনলাইনে প্রদর্শিত নির্দেশনা অনুযায়ী)।

যেভাবে আবেদন করবেন : আগ্রহীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।




ঝিনাইদহে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে সার ও বীজ বিতরণ

গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ ও রোপা আমন (উফশী) ধান এর আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ঝিনাইদহে ২৪’শ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে পেঁয়াজ ও ধান বীজ এবং সার বিতরণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে এ পেঁয়াজ ও ধান বীজ এবং সার বিতরণ করা হয়।

কর্মসূচীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিয়া আক্তার চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ-২ আসনের সংসদ সদস্য নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল। জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ষষ্টি চন্দ্র রায়, উপজেলা কৃষি অফিসার নূর-এ-নবী, উপজেলা সহকারী কৃষি অফিসার জুনায়েদ হাবিব সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি খরিপ-১/২০২৪-২৫ মৌসুমে প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় সদর উপজেলার ১৭ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভার ২ হাজার ৪’শ কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে ১ কেজি করে উন্নত জাতের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ বীজ, ডিএপি সার ২০ কেজি, এমওপি ২০ কেজি।

এছাড়া উন্নত জাতের রোপা আমন (উফশী) ধান ৫ কেজি করে, ডিএপি সার ১০ কেজি, এমওপি ১০ কেজি করে বিতরণ করা হয়।