দর্শনায় কেরুজ চিনিকলে ১০৪ জন স্থায়ীভাবে শ্রমিক-কর্মচারীরা নিয়োগ

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের সর্ববৃহৎ প্রতিষ্ঠান চুয়াডাঙ্গা জেলার একমাত্র ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান দর্শনা কেরু এ্যান্ড কোম্পানী। এ প্রতিষ্ঠানটি ৪ টি কমপ্লেক্স মিলে এ প্রতিষ্ঠানটি গঠিত।

এ প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ী লোকবল সংকট থাকায় দীর্ঘ ১ যুগ পর ৫ টি চিনিকল মৌসুমী থেকে স্থায়ী করনের সুযোগ পায়। গত ১৪ মার্চ নীতিমালা তৈরি করে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের সদর দপ্তরে পাঠায়। তারপর সদর দপ্তর ২৫ মার্চ শৃন্যপদ পৃরন করার জন্য দরখাস্ত করার আহব্বান জানান।

পরে কেরু এ্যান্ড কোম্পানি ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন ৫ সদস্য কমিটি গঠন করে ২ এপ্রিল স্থায়ী করন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।২৪ এপ্রিল সদর দপ্তরের প্রতিনিধি সাইফুল আলম যাচাই বাচাই করেন।পরে ১৩ ও ১৪ নিয়োগ পরিক্ষা অনুষ্টিত হয়।নিয়োগ পরিক্ষায় অংশ নেয় প্রায় ১৪০ জন শ্রমিক কর্মচারী। ।

গত ১৫ মে সকাল ১১ টার দিকে ১০৯ জনের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ থাকলেও ৫ টি পদে কোন লোকবল না থাকায় ৫ টি পদ শৃন্য রেখে ১০৪ জন শ্রমিককে স্থায়ী নিয়োগ প্রদান করেন।হঠাৎ করে ১৫ মে সন্ধা ৬ টার দিকে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন বিএসএফআইসি’র অধীনে সকল চিনিকল প্রতিষ্ঠানে চলমান মৌসুমি জনবল থেকে স্থায়ী সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম স্থগিত করার আদেশ দেন সচিব বিএসএফআইসি চৌধুরী রুহুল আমিন কায়ছার। তার আগে শ্রমিক কর্মচারীরা যোগদানের চিঠি হাতে পেয়ে স্ব স্ব কর্মস্থলে যোগদান করে। যোগদানের পরে ১০৪ শ্রমিকদের মাঝে আনন্দ উল্লাস করতে থাকে।ঐদিনই বাংলাদেশ চিনি খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন নিয়োগ স্থগিতের চিঠি আসাতে অন্যআন্য মিলের শ্রমিকরা হতাশা বিরাজ করলেও কেরুর শ্রমিক কর্মচারীদের মধ্যে দেখা গেছে আনন্দ উল্লাস করতে। শ্রমিকরা বলেন দীর্ঘ ১ যুগ পর ১০৪জন মৌসুমী শ্রমিক ও কর্মচারীরা দীর্ঘ ১৫/২০ বছর পর সিজেনাল মৌসুমি থেকে স্থায়ী নিয়োগ পেয়েছে গত ১৫ মে রবিবার সকাল ১১ টার দিকে। তাদেরকে নিয়োগ প্রদান করে কেরু এ্যান্ড কোম্পানির বিভিন্ন দপ্তরে যোগদান করে।

দীর্ঘদিন ধরে গ্রান্ড কোম্পানির শ্রমিক কর্মচারীরা ইতিপূর্ব ৩ বার নিয়োগ পরীক্ষা ব্যাহত হয়েছে । এবার চাকরিতে যোগদান করে স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়ে শ্রমিক ও কর্মচারীরা। তারা দীর্ঘদিন ধরে পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে ছিলো। কেরু এ্যান্ড কোম্পানীর গ্যারেজ সুপারফাইজার মিজানুর রহমান কান্না জড়িত কন্ঠে গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমি ২০০১ সাল থেকে সিজেনাল মৌসুমি চাকুরী করে আসছি, দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে ছেলে মেয়ে নিয়ে কোন রকম সংসার চালিয়ে এসেছি। শেষ সময়ে পদোন্নতি পেলাম,আমার আর সাড়ে ৭ মাস চাকুরী আছে।আমার পদোন্নতি পেয়ে আমি খুব খুশি হয়েছি এবং কেরু কতৃপক্ষ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদককে ধন্যবাদ জানিয়েছি।

আউট ষ্টেশন ক্যান গার্ড আবুল কাশেম,চাকুরীর শেষ সময়ে স্থায়ী হলাম সাড়ে তিন বছর চাকুরি আছে তাতেও আমিও খুশি।
আউট ষ্টেশন ক্যান গার্ড শহিদুল ইসলাম

এল ডি সেটিংস ২৬ বছর পর, পদোন্নতি পেলেন,  আতিয়ার রহমান, ১৪ বছর পর পদন্নোতি পেলাম।

মৌসুমি ক্রয় করনিক, শান্তি মিয়া, ১৪ বছর পর স্থায়ী পদোন্নতি পায়। মুক্তিযোদ্ধা সন্তান মতিয়ার রহমান, ড্রাইভার, দীর্ঘ ১৪ বছর পর স্হায়ী হয়। মুক্তিযোদ্ধা সন্তান, জাহাঙ্গীর, বদরুল, নৃরুল আমিন, রাজু আহম্মে মতিয়ার রহমান, জুবাইদা নাহার এ্যানি ও নাজেরা বেগমসহ ১৫/২০ জন মুক্তিযোদ্ধাকে স্থায়ী করন করে।

তারা আরও বলেন, আমাদের অনেক দিনের কষ্টের ফসল,খেয়ে না খেয়ে ডিউটি করছি এখন আমাদের স্থায়ী হওয়াতে আমার সব কষ্ট দৃর হয়ে গেছে।

এ প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছে প্রায় ১৪ শ শ্রমিক-কর্মচারী। এ সমস্ত শ্রমিক-কর্মচারী সহ এলাকার প্রায় ২০ হাজার পরিবারে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে এই প্রতিষ্ঠানটি। আইনি জটিলতার কারনে দীর্ঘদিন স্থায়ী নিয়োগ না হওয়ায় প্রতিষ্ঠানির বিভিন্ন বিভাগে প্রায় দেড় শতাধীক শুণ্য পদ তৈরী হয়। এতে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম বিঘ্নিতসহ শ্রমিক-কর্চারীদের মধ্যে সৃষ্টি হয় হতাশা।

প্রতিষ্ঠানটির সার্বিক দিক বিবেচনা করে সকল আইনি জটিলতা কাটিয়ে চুয়াডাঙ্গা-২আসন সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর ও প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেনের সহ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের একান্ত প্রচেস্টায় ১০৪ জন শ্রমিক-কর্মচারীর স্থায়ীকরণ করে। এসমস্ত মৌসুমী শ্রমিক-কর্মচারীদের ভাগ্য পরিবর্তন হওয়ায় তাদের পরিবারের মাঝে বইছে উৎসবের আমেজ।

কেরুজ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোশারফ হোসেন বলেন, নিয়ম মাফিক প্রতিষ্ঠানে ১০৯ টি শুন্য পদের জন্য গত ১৩ ও ১৪ মে সকালে কেরু হাইস্কুলে শ্রমিক-কর্মচারীদের স্থায়ী নিয়োগ পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ নিয়োগ পরিক্ষায় প্রায় ২শ শ্রমিক কর্মচারী অংশ নেয়। পরে ওই দিনই যাচায়-বাচাঁয় করে চুড়ান্ত ভাবে ১ ০৯জনের স্থাায়ী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। সংশিষ্ট পদে লোক না থাকায় ৫ টি পদ বাকি রেখে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ১০৪ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী করণ করা হয়। গত ১৫ মে সকালে সদ্য স্থায়ী করণ শ্রমিক-কর্মচারী প্রতিষ্ঠানে যোগদান করে। পরে সন্ধায় বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন সচিব নিয়োগ স্থগিতে আদেশ দেন,তার আগেই শ্রমিক কর্মচারীরা যোগদান করে।

এ বিষয়ে শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ সবুজ বলেন,আমরা বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের অনুমোদনে আমরা এ স্থায়ী নিয়োগ সম্পর্ন করেছি।

এ বিষয়ে শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ বলেন,২০/২৫ বছর ধরে শ্রমিকরা চাকুরী করে যাচ্ছে তাদেন কোন পদোন্নতি হয়না। তাই সবার প্রোচেষ্টায় গত ১৫ মে ১০৪ জন শ্রমিককে স্থায়ী করন করা হয়েছে। স্বচ্ছতা না থাকলে যাদের ৭ মাস, কারও ২ বছর সাড়ে তিন বছর তাদের স্থায়ী হত না। এবং মুক্তিযোদ্ধা সন্তাদের অগ্র অধিকার দিয়ে এ স্থায়ী করনের নিয়োগ সম্পর্ন করা হয়েছে।




ফের বিয়ে নিয়ে যা বললেন অভিনেত্রী মোনালিসা

ছোটপর্দার একসময়ের জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী মোজেজা আশরাফ মোনালিসা। ২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক প্রবাসী ফাইয়াজ শরীফকে বিয়ে করেন তিনি। এরপর স্বামীর সঙ্গে ২০১৩ সালে নিউইয়র্ক পাড়ি দেন এই অভিনেত্রী। কিন্তু মোনালিসার সেই সংসার সুখের হয়নি। বিয়ের বছরখানেকের মাথায় বিচ্ছেদ হয় তাদের। এরপর আর নতুন করে বিয়ে করেননি মোনালিসা।

মোনালিসা যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে সেখানকার বাংলা চ্যানেল টাইম টিভির প্রোগ্রাম প্রধান হিসেবে কাজ শুরু করেন। এরমধ্যেই সংসার ভেঙে যায়। এরপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রেই ছিলেন। মাঝে মাঝে দেশে এসে নিজের পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়ে গেছেন তিনি। তবে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেওয়ার পর আর কোনো অভিনয় করেননি তিনি।

সম্প্রতি আবারো দেশে এসেছেন মোনালিসা। সময় কাটাচ্ছেন পারিবারে সঙ্গে। জানালেন, পছন্দের গল্প পেলে আবারো অভিনয়ে ফিরবেন তিনি।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মোনালিসার কাছে জানতে চাওয়া হয়, তার নতুন করে বিয়ের ভাবনা আছে কিনা? জবাবে মোনালিসা বলেন, ‘লাইফে এক ভুল বারবার করতে চাই না। আমি আপাতত নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত। নিজেকে কিছুটা স্থির করতে পারলে তখনই হয়ত ভাববো।’

তবে তিনি এও বলেন, ‘বিয়ের জন্য সময় নিচ্ছি, বিষয়টি এমনও নয়। আমি আমার কাজ করছি। এর মধ্যে কারো সঙ্গে যদি বোঝাপড়া মিলে যায়, বা ভালো লেগে যায় তাহলে ইনশাআল্লাহ…।’

সাক্ষাৎকারে মোনালিসা নিজেকে বর্তমানে সিঙ্গেল বলেও দাবি করেন। বলেন, ‘এটা আমার ভক্তদের শুনে খুশি হওয়া উচিত। যদি কেউ এটা জেনে খুশি হয়, বা চেষ্টা করে তাহলে আমার খারাপ লাগবে না। এখানে খারাপ কিছু নেই। কারণ, প্রেম-ভালোবাসা খুব সুন্দর একটা জিনিস। যেটা বর্তমানে একদম নেই বললেই চলে।’

অভিনয়ে আবারো ফেরা প্রসঙ্গে মোনালিসা বলেন, আমার প্রতি দর্শকের প্রত্যাশার দিকটি বিবেচনা করেই কাজ করতে চাই। তবে এখনই সেটা নিয়ে খোলাখুলি কিছু বলতে চাননি এই অভিনেত্রী।

সূত্র: যুগান্তর




কোটচাঁদপুর উপজেলা কমপ্লেক্স ভবনের এসএস পাইপের কাজে অনিয়মের অভিযোগ

কোটচাঁদপুর উপজেলা কমপ্লেক্স ভবনের এসএস পাইপের কাজে অনিয়মের অভিযোগ থাকলেও ব্যবস্থা নেয়নি কতৃপক্ষ। আশ্বাসেই আটকে আছে সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা কার্যক্রম।

এদিকে পুরুত্ব মুছে ফেলা এস এস পাইপ দিয়েই কাজ শেষ করার পায়তারা চালাচ্ছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে আবারও বললেন,উপজেলা প্রকৌশলী সিদ্ধার্থ কুমার কুন্ডু।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়,গেল ২৫-০৫-২০২৩ তারিখে শুরু হয় কোটচাঁদপুর উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনের নির্মান কাজ। এ কাজে ৬ কোটি ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৬শ ৬৩ টাকা ব্যয় হচ্ছে বলে জানা গেছে। কাজটি করছেন,চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের জাকাউল্লা কনস্ট্রাকশন নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পরে কাজটি কিনে নেন মহেশপুরের মেসার্স মনিরুল আলম খান নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

প্রশ্ন উঠে নির্মানাধীন ভবনের এসএস পাইপের কাজ নিয়ে। ওই কাজে ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের এসএস পাইপ। মূছে ফেলা হয়েছে পাইপের পুরুত্ব।

বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে কে জানালে, ওই সময় তিনি সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাকে ঘটনা দেখে রিপোর্ট দিতে বলেন। বলেন,তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।  একই প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী সিদ্ধার্থ কুমার কুন্ডু।

তবে আজও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ওই ভবনে এখনও দৃশ্যমান রয়েছে পুরুত্ব মোছা এসএস পাইপ গুলো। আর এভাবেই কাজ শেষ করে বিল তোলার পায়তারা চালাচ্ছেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি এমনটাই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টদের অনেকে।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী সিদ্ধার্থ কুমার কুন্ডু বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। ওই বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে বলেন, বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলী ও ঠিকাদারকে জানানো হয়েছে। উনারা ব্যবস্থা নিচ্ছেন। প্রাক্কলনে যে পুরুত্ব আছে,সেটা দিবেন মর্মে জানিয়েছেন ওনারা।

বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।




চা প্রেমীদের দিন আজ

এক কাপ চায়ের চুমুকে অনেকের সকাল শুরু হয়। এর ব্যতিক্রম হলে চা প্রেমীদের দিনটাই মাটি হয়ে যায়। আজ চা প্রেমীদের দিবস। রাস্তার ওলিতে গলিতে সব জায়গায় চায়ের টং এর দোকান চোখে পড়ে যেখানে হরেক স্বাদের চা পাওয়া যায়। এটি বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ মানুষের সবচেয়ে প্রিয় পানীয়।

শরীরের ক্লান্তি দূর করতে বা কাজের ফাঁকে এক কাপ চায়ের জুড়ি নেই। বন্ধু বা প্রিয়জনের সাথে এক কাপ ধূমায়িত চায়ের তৃপ্তি কত সম্পর্ক দৃঢ় করে। এজন্যই হয়তো কবীর সুমন গেয়েছিলেন, ‘এক কাপ চায়ে আমি তোমাকে চাই, ডাইনে ও বায়ে আমি তোমাকে চাই…।’

চায়ের ইতিহাস ঘাঁটলে জানা যায়, চা পানীয় হিসেবে পান শুরু হয় প্রথম চীনে। ন্যাশনাল টুডে’র তথ্য অনুযায়ী, প্রতি সেকেন্ডে মানুষ ২৫ হাজার কাপ চা পান করেন। অর্থাৎ প্রতিদিন দুই বিলিয়ন কাপেরও বেশি চা পান করা হয়। অন্যদিকে ওয়ার্ল্ড অ্যাটলাসের তথ্য অনুযায়ী, চা উৎপাদনের দিক থেকে বাংলাদেশ ১২তম। বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে থাকা দেশগুলো হলো চীন, তুরস্ক, ইরান, ইন্দোনেশিয়া, আর্জেন্টিনা, জাপান ও থাইল্যান্ড।

২০০৫ সালে চা উৎপাদনকারী দেশগুলো এক হয়ে আন্তর্জাতিক চা দিবস পালন করে। এই দেশগুলো হলো- শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া, মালয়েশিয়া ও উগান্ডা। পরে ২০১৯ সালে ২১ মে বিশ্ব চা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০১৯ সালের ২১ ডিসেম্বর জাতিসংঘ চা দিবসকে হ্যাঁ বলে। ২০২০ সালের ২১ মে জাতিসংঘ প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব চা দিবস পালন করে।

বাংলাদেশ চা বোর্ডের তথ্য মতে, চা উৎপাদনের অতীতের সকল রেকর্ড অতিক্রম করে ২০২৩ সালে মোট ১০২ দশমিক ৯২ মিলিয়ন কেজি অর্থাৎ ১ লক্ষ টনের কিছু বেশি চা উৎপাদিত হয়েছে। ১৯৭০ সালে বাংলাদেশে চা বাগানের সংখ্যা ছিল ১৫০টি, বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ১৬৮টি।

সূত্র: ইত্তেফাক




কোটচাঁদপুরের সাফদারপুর ইউনিয়ন পরিষদে বাজেট ঘোষণা

যোগাযোগ খাত কে গুরুত্ব দিয়ে ১ কোটি ৩৫ লাখ ৪ হাজার ৬ শ টাকার, উন্মক্ত বাজেট পেশ করলেন,চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান। মঙ্গলবার দুপুরে কোটচাঁদপুরের সাফদারপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এ বাজেট ঘোষণা করেন তিনি।

জানা যায়, যোগাযোগ খাতকে গুরুত্ব দিয়ে ১ কোটি ৩৫ লাখ ৪ হাজার ৬ শ টাকার বাজেট ঘোষণা করেন সাফদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সাফদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য আবু সাঈদ, আব্দুল আলীম, জুলহক আলী, আক্তারুজ্জামান, ওসমান গনি, ফকির মোহাম্মদ, অমেদুল ইসলাম, আতিয়ার রহমান, মেহেদী হাসান।

সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য ফাতেমা খাতুন, ফিরোজা বেগম,কহিনুর খাতুন। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন, কোটচাঁদপুরের সাবদারপুর পুলিশ ফাঁড়ির সহউপপরিদর্শক ( এএসআই) জামিরুল ইসলাম, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খালিদ হোসেন (টুটুল) ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ( মুক্তার), ইউনিয়ন সচিব নাসরিন খাতুন।

চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান বলেন,গেল বছর পেশকৃত বাজেট আমরা যথাযথ ভাবে কাজ করতে পেরেছি। আশ করছি এবারের বাজেটও আমরা সম্মলিত ভাবে কাজ করতে পারবো। সব শেষে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বাজেট সভা শেষ করেন।




টানা দ্বিতীয়বার গোল্ডেন বুট জিতলেন হালান্ড

টানা চতুর্থ বারের মতো ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জিতল ম্যানচেস্টার সিটি। সেই সঙ্গে টানা দ্বিতীয় বারের মতো প্রিমিয়ার লিগের গোল্ডেন বুট জিতলেন ম্যানসিটির তারকা আলিং হালান্ড। গেল পরশু রাতে প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমের শেষ ম্যাচে মাঠে নামে গেল মৌসুমের ট্রেবল জয়ী দল ম্যানচেস্টার সিটি। সেই ম্যাচে ওয়েস্ট হামকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতে গার্দিওলার শিষ্যরা।

এবারের মৌসুমে সিটিকে লিগ জেতানোর কাণ্ডারি নরওয়ের তাকরা স্ট্রাইকার আলিং হালান্ড। এবারের আসরে ৩১টি ম্যাচ সর্বোচ্চ ২৭টি গোল করেন তিনি। সেইসঙ্গে পাঁচটি গোলে অবদান রাখেন ২৩ বছর বয়সী এই তারকা ফুটবলার। গোন্ডেন বুট জয়ের দৌড়ে তার সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন চেলসির তারকা ফুটবলার কোল পালমার। প্রিমিয়ার লিগে এবারের মৌসুমে ৩৩টি ম্যাচ খেলে ২২টি গোল করেন এই চেলসির ফুটবলার।

টানা দ্বিতীয় বারের মতো গোল্ডেন বুট জয়ের পর হালান্ড বলেন, ‘টানা দুইবার গোল্ডেন বুট জেতা আমার জন্য বিশেষ কিছু।’ সেইসঙ্গে দলের সতীর্থ ও দলের কোচিং স্টাফদের নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি এই শক্তিশালী দল ও আমার সতীর্থদের খেলায় অবদান রাখতে পেরে আমি খুবই গর্বিত। আমাকে এই পুরস্কার জিততে সাহায্য করা আমার সব সতীর্থদের ধন্যবাদ জানতে চাই।’

এর আগে ২০২২ -২৩ মৌসুমে জার্মান ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ছেড়ে ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেন হালান্ড। সেই আসরে গড়েন প্রিমিয়ার লিগে এক আসরে সর্বোচ্চ গোল করার কীর্তি।

সূত্র: ইত্তেফাক




ভোট কেন্দ্রের বাইরে কর্মী সমর্থকদের ভীড়, কেন্দ্রের ভিতরে ভোটার শুন্য

ভোট কেন্দ্রের বাইরে কর্মী সমর্থকদের ভীড়, ভোট কেন্দ্রের ভিতরে ভোটার শুণ্য। উপজেলা নির্বাচন, আয়োজনের কমতি নেই, শুধু কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম।

সকাল নয়টা, গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোটারের দেখা নেই। পুরো কেন্দ্র ফাঁকা। বুথে প্রার্থীর এজেন্ট আছেন, পোলিং অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসার আছে। বাইরে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা অলস সময় পার করছেন।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গাংনী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট কেন্দ্রে আজ সকালের চিত্র এটি।

প্রিসাইডিং কর্মকর্তা রাসেল মোস্তাফিজ বলেন, ” কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি দেখা যাবে ভেবেছিলাম। কিন্তু তা হয়নি।’

তবে, কিছুক্ষণ পরেই ভোট দিতে আসেন, প্রার্থী মোখলেছুর রহমান মুকুল, সাবেক এমপি মকবুল হোসেন ও সাবেক মেয়র আশরাফুল ইসলাম।

এ কেন্দ্রটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন ১৭ জন আনসার ও ৪ জন পুলিশ সদস্য। সব চেয়ারম্যান প্রার্থীর এজেন্টকে দেখা গেছে।

গোপালনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সকাল আটটায় ভোট শুরু হয়ে প্রথম দুই ঘণ্টায় এই কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৭০টি। এখানে মোট ভোটার ২৪৬৩। দুই ঘন্টায় ২.৮৪২ শতাংশ ভোট পড়েছে এখানে। বেলা ১২ টার দিকে সাহারবাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে দেখা গেছে ১০০ ভোট পোল হয়েছে। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ২৫৯৯। চার ঘন্টায় এখানে ভোট পোল হয়েছে ৪ শতাংশ। একই সময়ে সাহারবাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ৩১৬৮ ভোটারের মধ্যে ভোট প্রদান করেছেন ১০৬ জন। যার শতকরা হার ৩.৩৪ শতাংশ। বেলা ১১ টার সময় নওপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে পোল হয়েছে ২৪৭। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ৩২১৬।

সকাল ১২ টার সময় হিজলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পোল হয়েছে ৬৫ ভোট। এখানে ভোটার সংখ্যা ১৯৬০। বামন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে বেলা ১১ টার সময় ভোট পোল হয়েছে ১০৪। যেখানে ভোট সংখ্যা ২৬৬৭। করমদি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে বেলা ১২ টার সময় পোল হয়েছে মাত্র ৪৭ ভোট। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ২০৪৪। বাঁশবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে বেলা ১০ টার সময় ভোট পড়েছে মাত্র ৪৫। এই কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ২৩৮৮। গাংনী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে বেলা ১১ টার সময় ভোট পোল হয়েছে মাত্র ৫২। যেখানে ভোটার রয়েছে ৫২। করমদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে বেলা ১২ টার সময় ভোট পড়েছে ৩২। কুতুবপুর স্কুল এন্ড কলেজ ভোট

বেলা দেড়টার সময় ভোট পোল হয়েছে ২৫০। যেখানে ভোটার রয়েছে ১৮৬৭। বেলা ১২ টার সময় কুতুবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে একই সময় ভোট পোল হয়েছে ৪৩৩। এখানে ভোটার সংখ্যা ১৯৫১।

সরেজমিনে ভোটকেন্দ্রগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, ভোটারের উপস্থিতি খুবই কম। পোলিং এজেন্টসহ অন্যরা অলস সময় পার করছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতা নেই।

তবে, গাংনী উপজেলা নির্বাচন অফিসার কামরুল হাসান জানান, বেলা দুইটা পর্যন্ত শতকরা ২১ শতাংশ ভোট পড়েছে।




একসঙ্গে ইনস্টাগ্রামে একাধিক অ্যাকাউন্ট চালানো যাবে

ইনস্টাগ্রাম একটি জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। অনেকেই প্রয়োজনে একাধিক ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেন। তবে বারবার আলাদা অ্যাকাউন্টে লগিন করাটা ঝামেলাপূর্ণ। ইনস্টাগ্রাম অ্যাপেই কিন্তু একাধিক অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। চলুন পদ্ধতিটি জেনে নেই:

শুরুতে স্মার্টফোন থেকে ইনস্টাগ্রাম অ্যাপ চালু করুন। নিচে ডান দিকে থাকা প্রোফাইল ছবিতে ট্যাপ করুন। পরের পেজের ওপর প্রদর্শিত তিনটি রেখা মেনুতে ট্যাপ করুন। প্রদর্শিত অপশন থেকে অ্যাকাউন্টস সেন্টার নির্বাচন করুন। এরপর প্রোফাইলস নির্বাচন করুন।

এরপর পরের পেজে লগইন করা প্রোফাইল দেখা যাবে। নিচে থাকা অ্যাড অ্যাকাউন্টস নির্বাচন করুন। আলাদা একটি পেজ চালু হবে। সেখানে অন্য ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে অ্যাকাউন্ট লগইন করুন। এভাবে আরও অ্যাকাউন্ট যোগ করা যাবে।

একাধিক অ্যাকাউন্ট যোগ করার পর সেসব অ্যাকাউন্টে প্রবেশের জন্য প্রোফাইলে ট্যাপ করে লগইন করা অ্যাকাউন্টের তালিকা দেখবে। যে অ্যাকাউন্টে লগিন করতে চান সেটি ট্যাপ করলেই সেই অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা যাবে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া




গাংনীতে এক পোলিং এজেন্টের এক মাস কারাদণ্ড

মেহেরপুরের গাংনীতে সাইদুল ইসলাম (৩৬) নামের এক পোলিং এজেন্টের এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে গাংনীর চিতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটারদেরকে প্রভাবিত করার অপরাধে সাইদুল ইসলাম নামের ওই এজেন্টকে কারাদণ্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাদির হোসেন শামিম।

দণ্ডিত সাইদুল ইসলাম ওই গ্রামের লস্কর শেখের ছেলে। তিনি একজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর এজেন্ট ছিলেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, দণ্ডিত সাইদুল ইসলাম  ভোটারদেরকে প্রভাবিত করায় তাকে আটক করেন প্রিজাইডিং অফিসার। পরে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও গাংনীর সহকারী ভূমি কমিশনার নাদির হোসেন শামিম আদালত বসিয়ে তাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। দন্ডিতকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।




এভারেস্টের পর লোৎসে জয় করলেন বাবর আলী

বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্ট জয়ের দুই দিন পরেই প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে বিশ্বের চতুর্থ সর্বোচ্চ শৃঙ্গ লোৎসে জয় করলেন বাবর আলী।

আজ মঙ্গলবার (২১ মে) বাংলাদেশ সময় ৬টা ৫ মিনিটে বাবর আলী লোৎসের চূড়ায় দাঁড়ান।

বাবর আলীর লোৎসে জয়ের তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন অভিযানের সমন্বয়ক ফরহান জামান।

ফারহান জামান বলেন, আজ ভোরে বাবর আলী লোৎসে জয় করেছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে বাবর আলীই প্রথম ব্যক্তি যিনি একই অভিযানে দুটি আট হাজার মিটার পর্বত সামিট করেছেন।

বাবর আলী সুস্থ আছেন । আজ তিনি রওনা দিয়ে ক্যাম্প-৪ এ এসে পৌঁছাবেন বলে আশা করছি বলে আরও জানান ফারহান জামান।

লোৎসের উচ্চতা ২৭ হাজার ৯৪০ ফুট (৮ হাজার ৫১৬ মিটার)।

এর আগে গত রোববার (১৯ মে) বাংলাদেশ সময় সকাল পৌনে ৯টায় পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছান বাবর আলী।

জানা গেছে, চলতি বছরের ১ এপ্রিল নেপালের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন চট্টগ্রামের বাবর আলী। পর্বতারোহণের প্রয়োজনীয় অনুমতি ও নানা সরঞ্জাম কেনার কাজ শেষ করে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে লুকলার উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। সেখানে অবস্থান করেন সপ্তাহখানেক। ট্রেকিং পর্ব শেষ করে পৌঁছান এভারেস্টের বেস ক্যাম্পে। মূল অভিযান শুরু হয় সেখান থেকে।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে ডাক্তার হয়েছেন বাবর। ভালো চাকরিও করেছেন, কিন্তু ডাক্তারীর মত লোভনীয় পেশা তাঁকে আটকিয়ে রাখতে পারেনি, হয়েছেন পরিব্রাজক ঘুরেছেন পাহাড় থেকে পাহাড়ে। পায়ে হেঁটে ঘুরেছেন বাংলাদেশের ৬৪ জেলা, বাইসাইকেল চালিয়ে বেড়িয়েছেন ভারতের উত্তরে কাশ্মীর থেকে দক্ষিণে কন্যাকুমারী পর্যন্ত। আরোহণ করেছেন হিমালয়ের দাবা আবলাম পর্বত।

বাবর আলীর ঘনিষ্ট মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মাহবুবুল হক মন্টু। তিনি বলেন, ঘটনাক্রমে ২০১৯ সালে ছেলেটির সাথে আমাদের পরিচয় হয়। তারপর থেকে কয়েকবার মেহেরপুর এসেছেন এবং আমাকে ধন্যকরে আমাদের বাসায় রাত্রিযাপনও করেছেন, অনেক বিষয়ে কথা হয়েছে। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে তিনি একই সাথে হিমালয়ের দুটি সর্বোচ্চ পর্বতে আরোহণ করে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেছেন এটা আমরা বাংলাদেশী হিসেবে গর্বিত।