মেহেরপুরে সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২৪ উদ্বোধন

মেহেরপুরে জেলা পর্যায়ে সাংস্কৃৃতিক উৎসব ২০২৪ উদ্বোধন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মেহেরপুর আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. শামীম হাসান।

জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আয়ুুব হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জেলা তথ্য অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন, নিরাপদ খাদ্য অফিসার রিয়াজ মাহমুদ, মেহেরপুর সাহিত্য পরিষদের সভাপতি নুরুল আহমেদ, গাংনী উপজেলা সমবায় অফিসার মাহবুবুল হক মন্টু প্রমুখ।

উদ্বোধনী দিনে মুজিবনগর উপজেলা দল, গাংনী উপজেলা দল, মেহেরপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় এন্ড কলেজ দল ও মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় দল অংশগ্রহণ করে।

জেলা প্রশাসক মো: শামীম হাসান বলেন- আমরা যে সাংস্কৃতিক উৎসব করছি, এটা আমাদের স্বাধীনতারই অংশ। আমাদের দেশীয় সংস্কৃতি সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দিতে হবে। আমাদের গর্ব আমাদের বাঙ্গালী সংস্কৃতি। প্রান্তিক পর্যায়ে লুকিয়ে থাকা সংস্কৃতিকে তুলে আনতে হবে আমাদেরই।




সাবেক মেয়র মতুসহ ৬ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

মেহেরপুর প্রতিদিনের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মাহাবুব চান্দুর দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় মেহেরপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতুসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

রবিবার (১৯ মে) খুলনা বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক কনিকা বিশ্বাস এ আদেশ দেন।

গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন সাবেক মেয়র মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতুর ছেলে ডা. মুত্তাকি বিল্লাহ শাফিন, প্রকৌশলী তোহিদুল ইসলাম লিওন, সৌমিক ব্রো, শামিম হাসান সোহাগ ও মেহেরাব হোসেন অপি।

গত মাসের ৪ এপ্রিল আসামিরা ট্রাইব্যুনাল থেকে জামিন প্রাপ্ত হন। রবিবার আদালতের দিন ধার্য ছিলো। আদালতে আসামিরা হাজির হননি এমনকি তাদের পক্ষে কোন আইনজীবীও ছিলেন না। ফলে জামিন পাওয়ার পর তারা আদালতে হাজির না হওয়ায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এর আগে মামলার অপর আসামি সাইফুল বাহার স্বাধীন পলাতক থাকায় গত ৪ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।

জানা গেছে, গত বছরের ২৯ আগষ্ট একই আদালতে মামলা দায়ের করেন সাংবাদিক মাহবুব চান্দু। মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে কুষ্টিয়া পিবিআইকে তদেন্তর নির্দেশ দেন। পিবিআই তদন্ত শেষে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

তদন্ত প্রতিবেদনে পিবিআই মামলার অন্যতম আসামি মুত্তাকি বিল্লাহ শাফিনকে বাদ দিয়ে প্রতিবেদন জমা দিলেও আদালত মামলার গুরত্ব বিবেচনায় ৭ আসামিকে অন্তর্ভুক্ত করে সমন জারি করেন। গত ৪ এপ্রিল ৭ আসামির মধ্যে ৬ জন হাজির হয়ে জামিন আবদেন করলে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। বাকি একজন পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। মামলায় বাদীপক্ষে মিঠু চন্দ্র বসাক আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করেন।

এর আগে গতবছরের ১ আগস্ট মেহেরপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট তরিকুল ইসলামের আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন সাংবাদিক মাহাবুব চান্দু। ঐদিনই কুষ্টিয়া পিবিআই কে তদন্ত দেয় আদালত। মামলার ১৫দিন পর জুডিশিয়াল কোর্ট থেকে বাদীর আইনজীবীকে বলা হয় মামলাটি এখানে নেয়া ঠিক হয়নি।

মামলাটি খুলনা সাইবার ট্রাইব্যালে করার পরামর্শ দেন। একইসাথে মামলাটি নথিজাত করা হলো মর্মে আদেশ দেন মেহেরপুর জুডিশিয়াল আদালত। পরবর্তীতে ২৯ আগস্ট ২০২৩ খুলনা সাইবার ট্রাইব্যালে পূনরায় মামলাটি করেন সাংবাদিক মাহাবুব চান্দু। খুলনার মামলার এজাহারেও মেহেরপুরের মামলার কথা উল্লেখ করা আছে।

মামলার এজাহারে জানা গেছে, বাদি মাহাবুব চান্দু ২০ বছর যাবৎ সাংবাদিক পেশায় নিযুক্ত। বর্তমানে তিনি মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক ও স্থানীয় দৈনিক মেহেরপুর প্রতিদিন পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। ইতিপূর্বে তিনি জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক সংবাদ, প্রতিদিনের সংবাদসহ বিভিন্ন গনমাধ্যমে সুনামের সাথে মেহেরপুরে সাংবাদিকতা করেছেন।

অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় তার বেশ সুনাম আছে। তার প্রকাশিত সংবাদের মধ্যে অনেকগুলো সংবাদ আদালত আমলে নিয়ে স্বপ্রণোদিত মামলা করেছেন এবং ভুক্তভোগীরা সুফল পেয়েছেন। বাদী মেহেরপুর প্রতিদিনের অনুসন্ধানী কাজে গত বছরের ২৪ জুলাই সকাল ১১টা ৫৩ মিনিট থেকে দুপুর ১টা ১৬ পর্যন্ত মেহেরপুর সরকারী মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র ও জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসে অনুসন্ধান মুলক কাজে নিয়োজিত ছিলেন।

আসামী মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতুর মেয়ে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র এর চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত থাকাতে তিনি খবরটা জেনে ক্ষিপ্ত হন। তারপর মায়ের হাসি ক্লিনিকের মালিক হিসেবে তিনি মেহেরপুর প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক ইয়াদুল মোমিনকে আনুমানিক ২টা ২৫ মিনিটের দিকে মোবাইলে ফোন দেন। এসময় তিনি ফোনে হুমকি দিয়ে  বলেন তোমরা কি বারেখা হয়েছো, আমার মেয়ের বিরুদ্ধে তোমাদের দাঁত ভেঙ্গে দিব, ৫০টা চাঁদাবাজির মামলা দিব বলে ফোন কেটে দেন।

এ বিষয়ে ২৬ জুলাই মেহেরপুর প্রতিদিনের সম্পাদক ইয়াদুল মোমিন নিজের, তাঁর পরিবার ও অফিসের স্টাফদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য মেহেরপুর সদর থানাতে একটি জিডি করেন, যার নং ১৩৯১।

পরবতির্তে আসামী মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতু তার মালিকানাধীন মায়ের হাসি ক্লিনিকের ম্যানেজার আসামী সাইফুল বাহার স্বাধীনকে দিয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সদর থানা মেহেরপুর বরাবর বাদীর নামে একটি মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ লিখে থানায় অভিযোগটি জমা না দিয়ে মায়ের হাসি ক্লিনিক ফেসবুক আইডি থেকে পোষ্ট করে। পরে মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতুর ছেলে মুত্তাকী বিল্লাহ শাফিন তার ফেসবুকে নামধারী সাংবাদিক লিখে শেয়ার করে।

মুত্তাকী বিল্লাহ শাফিনের পোস্টে গিয়ে আসামী তৌহিদুল ইসলাম লিওন বাদী সম্বদ্ধে কৃষ্ণ নগরী, ভাত পেতনা, চাঁদাবাজী, ৫টা বউসহ ইত্যাদি মানহানি কর কথা লিখেছেন। সে আরো বলে জেল খেটে দেশে ফিরে এখন বড় সাংবাদিক হয়েছে”। আসামী সৌমিক ব্রো কমেন্টস করে বলেছেন, “আমি থাকলে শালাকে ওন স্পট হিট করে তোর ক্লিনিকে ভর্তি করিয়ে রাখতাম”।

আসামী শামিম হাসান সোহাগ ও মেহেরাব হোসেন অপি মিথ্যা বিষয়কে শেয়ার করে লাইক দিয়ে অপপ্রচারে সহায়তা করেছে। আসামীরা একই বিষয় একাধিকবার সোসাল মিডিয়ায় প্রচার করে বিভিন্ন গ্রুপের মাধ্যমে ভাইরাল করেছে।

আসামী মেহেরাব হোসেন অপি একটি অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল মেহেরপুর নিউজ ডটকম পোর্টালের ফেসবুক পেজ থেকে মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতুর মিথ্যা অভিযোগটি লাইভ প্রকাশ করে এবং নিজ আইডিতেও শেয়ার করে ভাইরাল করে।

আসামিদের মিথ্যা অপপ্রচার করে নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্যে এবং অনুসন্ধানী ও সুস্থ ধারার সাংবাদিক গোষ্টীর পথ রুদ্ধ করেছে বলে বাদী অভিযোগ করেন।

উল্লেখ্য, সাংবাদিক মাহাবুব চান্দুর বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবজীর অভিযোগ তোলায় গতবছরের ৩০ জুলাই মেহেরপুরের সাংবাদিক সমাজ জেলা প্রসাশকের কার্যালয়ের সামনে একটি মানববন্ধন করে।




ইতিহাস গড়ে টানা চতুর্থ লিগ শিরোপা ম্যানসিটির

শেষ ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটি ও আর্সেনাল দুই দলের সুযোগ ছিল শিরোপা জেতার। তবে ছিল কিছু সমীকরণ। সব সমীকরণকে পাশ কাঁটিয়ে ওয়েস্ট হ্যামকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা নিজেদের করে নেয় পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। এই নিয়ে টানা চতুর্থ লিগ শিরোপা জিতে ইতিহাস গড়েছে ম্যানসিটি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এর আগে কোনো দলই টানা চারবার শিরোপা জিততে পারেনি।

রোববার (১৯ মে) শিরোপা প্রতিদ্বন্দ্বী আর্সেনালের চেয়ে ২ পয়েন্টে এগিয়ে থেকে ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে মাঠে নামে ম্যানসিটি। তাই শিরোপা জিততে আর্সেনালের জয়ের বিপরীতে হারতে হতো ম্যানসিটিকে। তবে আর্সেনালকে সেই সুযোগ না দিয়ে ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে জয় তুলে নেয় ম্যানসিটি।

৩৮ ম্যাচে ২৮ জয় ও ৭ ড্রয়ে ৯১ পয়েন্ট নিয়ে টানা চতুর্থ লিগ শিরোপা নিজেদের করে নেয় পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। একই ম্যাচে ২৮ জয় ও ৫ ড্রয়ে ৮৯ পয়েন্ট নিয়ে রানার্সআপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হলো আর্সেনালকে।

ম্যাচের দুই মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় ম্যানসিটি। বের্নার্দো সিলভার অ্যাসিস্ট থেকে গোল করেন ফিল ফোডেন। এরপর ম্যাচের ১৮ মিনিটে আবারও গোল করে দলের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফোডেন। প্রথমার্ধের শেষ দিকে মোহাম্মদ কুদুসের গোলে ব্যবধান কমায় ওয়েস্ট হাম।

তবে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের ৫৯ মিনিটে আবারও গোলের দেখা পায় ম্যানসিটি। রদ্রি গোলে করে ব্যবধান বাড়ান। শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলের জয় নিয়ে শিরোপা উৎসবে মাতে ম্যানসিটি।

সূত্র: ইত্তেফাক




গাংনীতে বীরমুক্তিযোদ্ধা তাজুলকে রাষ্টীয় মর্যাদায় দাফন

গাংনী উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলামকে (৮০) রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে।

আজ সোমবার (২০ মে) সকাল ৮ টার সময় গাংনী উপজেলা ঝোরপাড়া ঈদগাহ মাঠে তার জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়।

এর আগে গতকাল রবিবার (১৯ মে) সন্ধ্যায় গাংনী উপজেলা প্রশানের পক্ষ থেকে সহকারি কমিশনার (ভূমি) নাদির হোসেন শামীমের নেতৃত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলামকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। গাংনী থানা পুলিশের একটি চৌকস দল জাতির এই সূর্য সন্তানকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। এসময় বীরমুক্তিযোদ্ধা হিসাব উদ্দীন, গোলাম মোস্তফাসহ বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা জানাযাতে অংশ নেন।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। বীরমুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলামের বাড়ি গাংনী উপজেলার ঝোরপাড়া গ্রামে। মৃত্যুকালে তার স্ত্রী, ৪ ছেলে, ১ মেয়ে, আত্বীয়-স্বজন, বন্ধু, সহকমীর্সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রয়েছেন।

তার ছেলে মো: আলাউদ্দিন জানান, আমার বাবা দীর্ঘদিন যাবৎ কিডনি ও পোস্টেড রোগে আক্রান্ত ছিলেন। বাড়িতে রেখেই তার চিকিৎসা চলছিল। রবিবার বিকাল ৩ টার সময় নিজ বাড়িতে শেষ নি:স্বাস ত্যাগ করেন।

মহান এই মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ ও সমবেদনা জানিয়েছেন তার এক সময়ের রণাঙ্গনের সাথীরা ও এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।




আলমডাঙ্গায় নকল স্যালাইন বিক্রির অপরাধে দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

নকল ওরস্যালাইন বিক্রির অপরাধে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

আজ রবিবার বিকেলে আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাংবাড়িয়া ও হাটবোয়ালিয়া এলাকায় অভিযান চালান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সহল আহমেদ।

অভিযানে সার-কীটনাশক, মুদি দোকান, স্যালাইনসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্রতিষ্ঠানে তদারকি করেন তিনি।

অভিযান সূত্রে জানা যায়, ভাংবাড়ীয়া এলাকায় মেসার্স মারিফুল স্টোর নামক প্রতিষ্ঠানে তদারকিকালে এসএমসির ওরস্যালাইন এন-এর নকল স্যালাইন বিক্রয়ের প্রমাণ পাওয়া যায়। এসময় প্রায় ১ কার্টুন (৫০০ প্যাকেট) নকল স্যালাইন জব্দ করা হয়। এছাড়া অতিরিক্ত মূল্যে সার বিক্রয় ও সারের ক্রয়-বিক্রয় রসিদ সংরক্ষণ না করার অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিক মো. মারুফুল ইসলামকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪১ ও ৪৫ ধারায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

পরবর্তীতে মারুফুলকে নিয়ে তার দেওয়া তথ্যমতে নকল ওরস্যালাইন-এর সাপ্লায়ার মেসার্স লিটন স্টোর নামক প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। তবে প্রতিষ্ঠানটির মালিক লিটনুজ্জামান প্রথমে নকল স্যালাইন বিক্রয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরে তার বাড়ি ও গোডাউন তল্লাশি করতে চাইলে এক পর্যায়ে তিনি নকল স্যালাইন বিক্রয়ের বিষয়টি স্বীকার করেন।

পরে তার দেওয়া তথ্যমতে তার বাড়ি থেকে ৬ কার্টুন (৩ হাজার প্যাকেট) নকল এসএমসির ওরস্যালাইন এন জব্দ করা হয়। নকল ভেজাল স্যালাইন বিক্রয়ের অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিক লিটনুজ্জামানকে ৪১ ধারায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং জব্দ করা নকল স্যালাইন আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ জানান, সবাইকে যথাযথভাবে আইন মেনে ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে। প্রতিনিয়ত জেলার বিভিন্ন স্থানে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এসময় কোনো পণ্য ক্রয়ের আগে ভালো করে যাচাই-বাছাই করে কেনার জন্য ভোক্তাদের অনুরোধ করেন। অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতায় ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একটি টিম।




মেহেরপুরে ব্র্যাক কার্যালয় পরিদর্শন করলেন ইউএনও

মেহেরপুরে ব্র্যাক অফিসের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী নাজিব হাসান।

আজ রবিবার (১৯ মে) দুপুরে ব্র্যাক মেহেরপুর সদর কার্যালয় পরিদর্শন করেন তিনি।

অফিস পরিদর্শনকালে ব্র্যাকের বিভিন্ন কর্মসূচির কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত হন এবং দফরপুর, আমঝুপি ব্র্যাক যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির কমিউনিটির পর্যায়ে স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে একটি সচেতনতামূলক উঠান বৈঠক পরিদর্শন করেন এবং ওখানে উপস্থিত সকলকে সচেতনতামূলক বার্তা দেন।

এসময় মেহেরপুর বিডিসি শেখ মনিরুল হুদা, টিবি কনট্রোল প্রোগ্রাম ডিএম অচিন্ত কুমার বোস, ফাইনান্স এন্ড একাউন্টস ইউএএম সমীর কুমার বিশ্বাস, মাইক্রোফাইনান্স দাবি এলাকা ব্যবস্থাপক মো: এমরান হোসেন, মাইক্রোফাইনান্স দাবি শাখা ব্যবস্থাপক মো: মাহামুদুল হাসান, মাইক্রোফাইনান্স প্রগতি এলাকা ব্যবস্থাপক জোছনা বেগমসহ অন্যান্য ব্র্যাক কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।




ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আজিম আনার ‘নিখোঁজ’!

চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে নিখোঁজ রয়েছেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। পরিবারের সদস্যরা গত কয়েকদিন ধরে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় পড়েছেন। আনোয়ারুল আজিম আনারের সন্ধানে গতকাল শনিবার ভারতে গেছেন তার ভাতিজা সাইমনসহ আরো তিনজন। আজ (১৯ মে) রবিবার পর্যন্তও তারা কোনো খোঁজ পায়নি।

সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুর রউফ বলেন, গত ১২ মে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা বর্ডার হয়ে চিকিৎসার জন্য ভারত যান আনার। ভারতে গিয়ে তিনি পশ্চিমবঙ্গের নিউ টাউন এলাকায় বন্ধু গোপালের বাসাতে ওঠেন।

তিনি বলেন, ১৩ মে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে কথা হয় সংসদ সদস্যের। পরের দিন ১৪ মে একবার কথা হওয়ার পর তার মোবাইল ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপে আর কোনো যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেনি পরিবারের সদস্য ও রাজনৈতিক নেতারা।

আনোয়ারুল আজিম আনার নিখোঁজ থাকার বিষয়টি পরিবারের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীকে অবগত করেছেন বলে জানান আব্দুর রউফ। নিখোঁজের বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই বিভিন্ন গোয়েন্দা বিভাগ খোঁজ নিতে শুরু করেছেন বলে কয়েকটি বিশ্বস্থ সূত্রে জানা গেছে।

ঝিনাইদহ জেলা আ’লীগের সভাপতি ও সাবেক সাংসদ শফিকুল ইসলাম অপু জানান, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। তবে যদি ঘটনা সত্য হয় তবে খুবই উদ্বেগ ও দুঃখজনক ব্যাপার। তিনি দল ও সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাবেন বলেও সাবেক এই সংসদ জানান।

ঝিনাইদহ জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুর করিম মিন্টু বলেন, বিষয়টি তার পরিবার গতকাল আমাকে জানিয়েছেন। তিনি এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে জানাবেন বলেও জানান। এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আবু আজিফ জানান, স্থানীয় এমপি সাহেবের নিখোঁজ থাকা এমন একটি খবর লোকমুখে শুনেছি। তবে কেউ আমাকে লিখিত ভাবে জানায়নি।




ঝিনাইদহ এলজিইডি’র রাস্তার কার্পেটিং কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ছালাভরা থেকে পান্নাতলা এলজিইডির রাস্তা নির্মাণে নজিরবিহীন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিম্নমাণের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার ও বিটুমিন পরিমাণে কম দেওয়া হচ্ছে। সিডিউল অনুযায়ী কোনো কাজ হচ্ছে না। রাস্তার কার্পেটিং কাজ শেষ না হতেই রাস্তার বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে ও রাস্তা দেবে গেছে।

কিন্তু এ ব্যাপারে উদাসীন রয়েছেন কালীগঞ্জ এলজিইডি প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ। এসব কারণে রাস্তা নিয়ে কয়েক গ্রামের মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। উপজেলার সুন্দরপুর-দূর্গাপুর ইউনিয়নের ছালাভরা থেকে পান্নাতলা বাজার পর্যন্ত ২হাজার ৮শ ৫০ মিটার রাস্তার কাজের মুল্য ধরা হয়েছে ২ কোটি ৯লক্ষ ৫শ ৫টাকা। রাস্তায় নিম্নমানের বিটুমিন দিয়ে কার্পেটিং কাজ করা হচ্ছে। তাছাড়া রাস্তায় পিচ ঢালার পূর্বে ভালোভাবে পরিস্কার করা হচ্ছে না, মাটির উপরেই পিচ ঢেলে রুলার করা হচ্ছে।

জানা গেছে, বরেন্দ্র ইন্টারন্যাশনাল নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কাজটি করছেন রুনু কাজী নামের এক প্রভাবশালী ঠিকাদার। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কাঁদা-মাটি পড়ে রাস্তায় খোয়ার অস্তিত্ব প্রায় হারিয়ে গিয়েছে। তারপরেও গত কয়েকদিন পূর্ব থেকে রাস্তা ভাল ভাবে পরিস্কার না করে তার ওপর কার্পেটিং কাজ শুরু করা হয়েছে। এতে রাস্তার কার্পেটিং কাজে অনিয়মের অভিযোগ তোলে এলাকাবাসি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি জানান, আমরা প্রতিবাদ করলে আমাদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে। যে কারণে নিম্নমাণের কাজ হলেও তারা আর কোনো প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেন না।

এলাকাবাসিরা আরো জানান, কার্পেটিংয়ে নিম্নমাণের বিটুমিন ব্যবহার, পিচ পাথর পরিমানে কম দেওয়া ও রাস্তা ভালো ভাবে পরিস্কার না করে মাটির উপরেই পিচ ঢেলে রুলার করা হচ্ছে। যেকারণে কার্পেটিং কাজের পরের দিন থেকেই কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। ফলে এই রাস্তা নিয়ে এলাকাবাসির যে স্বপ্ন ছিল, তা ঠিকাদারের নিম্নমাণের কাজের জন্য সেই স্বপ্ন বিলীন হতে চলেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা আরো বলেন, কাজে ব্যাপক ঘাপলা হচ্ছে।

কাজটি নিন্মমানের হচ্ছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার রুনু কাজী জানান, কাজটি নিন্মমানের হচ্ছে কিভাবে আপনি আমার সাথে এসে দেখা করেন সাক্ষাতে কথা বলেন। আর কাজটি নিন্মমানের হচ্ছে না। আপনি আমার কাছে আর ফোন দিবেননা। আপনারা ফাজলমি শুরু করেছেন তাইনা ? ফাজলামি করতে করতে জায়গা আর থোননি না ? তিনি হুমকি স্বরুপ বলেন আমি কালীগঞ্জে আসছি কালীগঞ্জে এসে সাক্ষাতে আপনার সাথে কথা হবে আপনার অফিসে।

রাস্তা পরিস্কার না করেই মাটির উপরে পিচ ঢালছে এমন কথার উত্তরে কালীগঞ্জ উপজেলা (এলজিইডি) প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি ওখান থেকে আসলাম আমি জানি ওখানে কি হচ্ছে? রাস্তা পরিস্কার করে পিচ ঢালছে। তবে হ্যাঁ মাটির উপরে একটু পড়তে পারে তবে পরিস্কার করে ফেলিয়ে দিবে। এখন যদি ঢালাও ভাবে বলেন তাহলে শুনতে খারাপ শোনা য়ায়।




ঝিনাইদহে মাস ব্যাপী সাঁতার প্রশিক্ষণের উদ্বোধন

ক্রীড়া পরিদপ্তর, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি-২০২৩-২৪ এর আওতায় ঝিনাইদহে মাস ব্যাপী সাঁতার প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করা হয়েছে।

সদর উপজেলা অডিটরিয়ামে সাঁতার প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া আক্তার চৌধুরী।

সেসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া অফিসার মিজানুর রহমান, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক গোলক মজুমদার, ঝিনাইদহ সুইমিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন জুলিয়াস, পূর্বাঞ্চল সুইমিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম।

অনুর্ধ-১৫ সাঁতার প্রশিক্ষণে সদর উপজেলার ৪টি ক্লাবের ৪০ জন শিশু কিশোর অংশগ্রহন করে।




জমি লিখে নেওয়ার প্রতিবাদে ঝিনাইদহ এক নারীর সংবাদ সম্মেলন

জোর করে জমি লিখে নেওয়া ও স্থাপনা নির্মানের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক নারী। ররিবার (১৯ মে) দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোতাহাটি গ্রামের মৃত দিলীপ কুমার দের স্ত্রী অলোকা রানী দে নামের এক নারী লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার স্বামী বিগত ২০০০ সালের ১৬ জানুয়ারি মারা যায়। আমার একটি ছেলে ও মেয়ে আছে। আমার স্বামীর নামীয় ডাকবাংলা ত্রিমোহনী তে, ১৬.৩৩ শতক জমি ছিল। হিন্দু আইন অনুযায়ী আমি ৮.১৬৫ শতক ও আমার ছেলে ৮.১৬৫ শতক এর মধ্যে জমি পাইব। আমার পুত্রের অংশের ৬ শতক জমি: জুয়েলের ও. সোহেলের নিকট বিক্রি করিয়া দেয়।

পরবর্তীকালে কিছু অসাধু ব্যক্তি এবং ডাকবাংলা এলাকার সন্ত্রাসী মাগুড়া গ্রামের মৃত. মান্নান শেখ এর ছেলে ইসরাফিল শেখ আমার ছেলেকে ভুল বুঝাইয়া রেজিস্ট্রি অফিসে নিয়া যাইয়া প্রথমে ৪ শতক ও পরে আরো ৬ শতক, জমি গত ২/৮/২৩ তারিখে জোরপূর্বক রেজিস্ট্রি করে নেয়। আমার অংশের ৮ শতক জমির উপর রাইস মিলের একটি ঘর ছিল। যাহা রাতের অন্ধকারে ইসরাফিল শেখ ভেঙ্গে দেয় এবং সেখানে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করার চেষ্টা করে। ফলে আমি বাদী হয়ে দেওয়ানি আদালতে একটি মামলা করি যার নং-৮৫/২০২৪। পরে ইসরাফিল শেখ আমার পুত্র দীপঙ্কর দে এর বিরদ্ধে মিথ্যা ভাবে হয়রানি করার জন্য আমলী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ঝি. সি. আর ১১৫/২০২৪ ইং তারিখে মামলা করে ভূমি অপরাধ ও প্রতিকার আইন-২০২৩ এর ৪(খ) (গ) (চ ৪ ধারা। মোতাবেক মামলা করে। উক্ত মামলা করার পর ইসরাফিল শেখ আমার ও আমার পুত্রকে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান অব্যাহত রেখেছে। আমার দায়ের কৃত মামলাটির কোন প্রতিকার পাচ্ছি না। ইসরাফিল এলাকার সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকজন নিয়ে আমাকে এলাকায় থাকতে দিচ্ছে না। আমি বর্তমানে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। তাই আমার জীবনের নিরাপত্তা ও আমার জমিতে যাহাতে অন্যায়ভাবে কোন নির্মান কাজ করিতে না পারে তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করিতে প্রশাসনের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- রুম্পা পাল ও প্রতিমা রানী দে।