কুলবাড়িয়া গ্রামকে মাদকমুক্ত করার দাবিতে মেহেরপুরে মানববন্ধন

কুলবাড়িয়া গ্রামকে মাদকমুক্ত করার দাবিতে মেহেরপুরে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দিয়েছে কুলবাড়িয়া গ্রামবাসি। রবিবার (১৯ মে) সকাল ১১ টার দিকে জেলা প্রাশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

সাবেক ছাত্রনেতা ও কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য জুয়েল রানার নেতৃত্বে কুলবাড়ীয়া গ্রামের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নারী পুরুষ এই মানব বন্ধনে অংশ নেয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কুলবাড়িয়া গ্রামে এখন ওপেন মাদক বিক্রি ও সেবন হয়। মেহেরপুরের চিহ্নিত সন্ত্রাসী দুখু বাহিনির সদস্য ঝন্টু বিশ্বাস এর নেতৃতে দেয়। সে কারনে তার ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারেনা। তবে মাদকের কারনে কুলবাড়ীয়া গ্রামের যুব সমাজ ধংস হয়ে যাচ্ছে। তাই আমরা সকল হুমকি ধামকি উপেক্ষা করে রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি।

মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপার ও মাদক নিয়ন্ত্রন অফিসে স্মারকলিপি দেয় কুলবাড়িয়া গ্রামবাসি।




চাকরি দেবে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ

ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির সার্ভিস পয়েন্ট বিভাগ ‘ব্র্যাঞ্চ ম্যানেজার’ পদে একাধিক পদে জনবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন আগামী ৩১ মে পর্যন্ত।

প্রতিষ্ঠানের নাম : ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি

পদ ও বিভাগের নাম : ব্র্যাঞ্চ ম্যানেজার, সার্ভিস পয়েন্ট

আবেদনের বয়সসীমা : ৩০ থেকে ৩৫ বছর

পদসংখ্যা : ০৩টি

কর্মস্থল : বাংলাদেশের যে কোনো স্থানে

বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে

অভিজ্ঞতা : কমপক্ষে ৩ বছর

বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ : ১৯ মে, ২০২৪

কর্মক্ষেত্র : অফিস

কর্মঘণ্টা : ফুল টাইম

প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়)

আবেদনের শেষ তারিখ : ৩১ মে, ২০২৪

শিক্ষাগত যোগ্যতা : ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক (বিইএনজি), মাস্টার অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এমবিএ) ডিগ্রি

অন্যান্য যোগ্যতা : ম্যানুফ্যাকচারিং (হালকা ও ভারী শিল্প), ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি/গৃহস্থালি যন্ত্রপাতি, এমএস অফিস স্যুটে দক্ষতা, শক্তিশালী প্রযুক্তিগত জ্ঞান, শক্তিশালী নেতৃত্বের গুণমান, চমৎকার যোগাযোগ এবং সামাজিক দক্ষতা। জটিল পরিস্থিতিতে কৌশলগতভাবে পরিকল্পনা করার ক্ষমতা থাকতে হবে। ইতিবাচক মনোভাব এবং ফল ভিত্তিক শক্তিশালী নেটওয়ার্কিং এবং পরিচালনার ক্ষমতা।

দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা : কাস্টমার সাপোর্ট/ক্লায়েন্ট সার্ভিস, বিতরণ/সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট, অপারেশনাল ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে দক্ষতা থাকতে হবে।

যেভাবে আবেদন করবেন : আগ্রহীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।




গাংনী উপজেলা জামায়াতের আমীর রবিউল গ্রেফতার

পুলিশের দায়ের করা নাশকতা মামলায় আদালতের পরোয়ানাভুক্ত আসামি গাংনী উপজেলা জামায়াতের আমীর ডাক্তার রবিউল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে গাংচিল থানা পুলিশ।

ডাক্তার রবিউল ইসলাম গাংনী উপজেলার কড়ইগাছি বড়বামন্দী গ্রামের মৃতু আব্দুর রউফের ছেলে।

আজ রবিবার (১৯ মে) সকালের দিকে গাংনী থানা পুলিশের একটি টিম তার গাংনী দাশপাড়া এলাকার নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। রবিউল ইসলামের নামে ৩০/২২ মামলায় আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, নাশকতা মামলায় আদালত রবিউল ইসলামের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে গ্রেফতার নির্দেশ দিলে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

আজ রবিবার (১৯ মে) দুপুরের দিকে আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।




প্রয়োজন ও ফ্যাশনে এখন ছাতা জরুরি

ছাতা অনেকের জন্যই নিত্যসঙ্গী। আবার অনেকে ছাতা সঙ্গে রাখতে পারেন না। রোদ, ঝড় বা বৃষ্টি যা-ই হোক না কেন ব্যাগে অনেকে ছাতা রাখবেনই। বিশেষত অনেক নারীই এখন রোদের তীব্রতা থেকে ত্বককে বাঁচাতে ব্যাগে নান্দনিক ছাতা রাখছেন। যদি বৈজ্ঞানিকভাবে বলতে চাই তাহলে ছাতা শুধু রোদের তাপ থেকেই আমাদের রক্ষা করে এমন না। সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি থেকেও আমাদের রক্ষা করতে পারে। এজন্য বাইরে গেলে সবার প্রথমে ছাতা রাখতে হয়।

ছাতা এখনও সুরক্ষার প্রতীক হিসেবে ব্যবহূত। আবার অনেকের জন্য শুধুই ফ্যাশনের অংশ। ফ্যাশন যদি হয়েও থাকে তখন আবার সুরক্ষার পুরোটা নাও মিলতে পারে। এসব ভেবেই আসলে ছাতা কিনতে হয়। ফ্যাশনের কথা মাথায় রেখে আপনি বেছে নিতে পারেন বাহারি ডিজাইন ও রঙের ছাতা।

নেবেন কোন রঙের ছাতা
ঘর থেকে বের হলেই সূর্যের প্রখর মেজাজ চোখ রাঙাচ্ছে। এই রোদে ত্বকের ক্ষতি হচ্ছে তেমনি ঘর্মাক্ত শরীরে বাসা বাঁধছে নানা রোগ। রোদে নষ্ট হয় চুলের উজ্জ্বলতাও। ত্বক-চুল ভালো রাখতে হলে রোদ থেকে বাঁচা জরুরি। বর্তমানে বিভিন্ন ফ্যাশনেবল ছাতা থাকলেও একদম হালকা রঙের ছাতা এড়িয়ে চলুন। যত বেশি হালকা হবে রং, ততই বেশি গায়ে লাগবে রোদ। কড়া রোদ থেকে নিজেকে আড়াল করতে হলে চাই গাঢ় রঙের ছাতা। ব্যবহার করতে পারেন কালো রঙের ছাতাও। রঙিন ছাতা সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি আটকে দিতে পারে। বাজারে এখন দুই রকমের ছাতা বেশি পাওয়া যায়। কালো ছাতা এবং ভাঁজযুক্ত নানা রকমের রঙিন ছাতা। এই ধরনের ছাতাগুলো বেশ টেকসই। শিশুদের জন্য রয়েছে উজ্জ্বল রং ও নকশার ছাতা। দেশি ছাতার পাশাপাশি বিদেশী ছাতার চাহিদাও বেশ। আকৃতিতে ছোট, সহজে বহনযোগ্য ও নানা রঙের সম্ভার থাকায় ভাঁজ করা যায় এমন ছাতার জনপ্রিয়তা বাড়ছে দিন দিন। কালোর পরেই যে রঙের ছাতাকে প্রাধান্য দিতে পারেন তা হলো নীল কিংবা বাদামি ও গাঢ় রঙের ছাতা। কিন্তু গরমে রোদে বাইরে বেরোনোর সময় কখনই সাদা কিংবা হালকা রঙের ছাতা ব্যবহার করা একেবারেই সঠিক নয়। এই রঙের ছাতাগুলো পুরোপুরি সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে আপনাকে সুরক্ষিত করতে পারে না। তাই ছাতা কিনতে এখন থেকে কালো, নীল কিংবা বাদামি ও গাঢ় রঙই অগ্রাধিকার দিতে পারেন।

ছাতার ম্যাকানিজম
এখনকার ফ্যাশনে সুইচ দিয়ে খুলবে এবং বন্ধ হবে এমন ছাতাও পাওয়া যায়। মেয়েদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন রঙের বৈচিত্র্যময় ছাতা। এছাড়াও লাল, সবুজ, হালকা কমলা, বেগুনি, বিভিন্ন প্রিন্টের, পাতার নকশাসহ নানা ডিজাইনের ছাতাও ব্যবহার করতে পারেন। আর পোশাকের সঙ্গে মিল রেখেও ছাতার রং বেছে নিতে পারেন। এতে করে আপনার ফ্যাশনেবল ‘লুকটা’ আলাদা মাত্রা পাবে। তবে শিশু ও বয়স্কদের জন্য লম্বা ধরনের ছাতাই ভালো। কারণ তারা ছাতা হারিয়ে ফেলে বেশি। দীর্ঘদিন ব্যবহার করতে চাইলে সুইচযুক্ত ছাতার থেকে ম্যানুয়াল ছাতা অনেক ভালো। সুইচযুক্ত ছাতা ভেঙে গেলে সহজে মেরামত করা যায় না। যেমনই হোক না কেন অপেক্ষাকৃত ভালো ব্র্যান্ডের ছাতা কিনবেন। দোকানেই বারবার ছাতা খুলে ও বন্ধ করে পরীক্ষা করে নিতে হবে। ছাতার ক্ষেত্রে সচরাচর অনেকেই কমদামি ছাতা কেনেন। এমনটি না করাই ভালো। বিশেষত নিয়মিত ছাতা সঙ্গী হলে আপনাকে ভাবতেই হবে ছাতাটি যাতে দ্রুত নষ্ট হয়ে না যায়। এ বিষয়ে বাড়তি মনোযোগ দেওয়া জরুরি।

ছাতা চেনার কৌশল
ছাতা তৈরি হয় বিভিন্ন ধরনের কাপড় দিয়ে। তাই কাপড়ের মান দেখে নেওয়া জরুরি। বাজারে বিভিন্ন কাপড়ের ছাতা পাওয়া যায়। প্যারাসুটের কাপড় অথবা বেলপেকের কাপড়ের ছাতাগুলো ভালো মানের। কেননা এই ধরনের কাপড় সহজে ছিদ্র হয় না এবং নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। এছাড়া কিছু ছাতা রয়েছে যেগুলোতে দুই স্তরের কাপড় ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে রোদ-বৃষ্টিতে ছাতার বাইরের কাপড় গরম কিংবা ভেজা থাকলেও ভেতরের কাপড় একই রকম থাকে। ছাতার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে শিক। তাই ছাতা কেনার পূর্বে শিক কম অথবা শিক নিম্নমানের কিনা অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। কারণ শিক নিম্ন মানের হলে হালকা বৃষ্টি কিংবা তুফানে ছাতা উল্টে গিয়ে ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর ছাতায় শিক বেশি হলে ঝড়-বৃষ্টিতেও উল্টে যাওয়ার ভয় থাকে না। স্টিলের শিক ভেজা থাকলে মরিচা পড়ে নষ্ট হয়ে যায়। তাই স্টেইনলেস স্টিলের শিক, অ্যালুমিনিয়ামের শিকগুলো বেশ উন্নত মানের। তাছাড়াও শিকের সঙ্গে ফাইবার সংযুক্ত করে দেওয়া ছাতাগুলোও টেকসই হয়। ছাতার ক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ছাতার হাতল। কারণ বাজারে কিছু কাঠের হাতল সংযুক্ত ছাতা রয়েছে, যেগুলো ভারী এবং এই ধরনের হাতল ভিজে গেলে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সাধারণত প্লাস্টিকের হাতলগুলো মজবুত ও টেকসই হয়।

সূত্র: ইত্তেফাক




মিরপুরে ক্যানসার ও কিডনি রোগীদের মাঝে চেক বিতরণ

সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির আওতায় কুষ্টিয়ার মিরপুরে ক্যানসার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগী ও থ্যালাসেমিয়া রোগীদের মাঝে ৬৪ লাখ টাকার চেক বিতরণ করা হয়েছে।

আজ রবিবার সকালে সমাজসেবা দপ্তরের আয়োজনে ৩০ রোগীর মাঝে ১৫ লাখ টাকার চেক বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব চেক বিতরণ করেন কুষ্টিয়া -২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের সংসদ সদস্য কামারুল আরেফিন।

এসময় তিনি বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ ব্যবস্থাপনার কারণেই জেলার বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সমাজ সেবা দপ্তরের মাধ্যমে এই চেক পাচ্ছেন যেন তারা নিজেদের চিকিৎসা সঠিকভাবে করাতে পারেন এবং একজন সুস্থ্য ব্যক্তির মতো সমাজে বসবাস করতে পারেন। তবে এ সময় আরো যারা এই আর্থিক অনুদানের চেক পাননি তাদেরকেও পর্যায়ক্রমে এই সুবিধার আওতায় আনা হবে বলে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে জানানো হয়।

সমাজসেবা অফিসার জামসেদ আলীর সভাপতিত্বে এসময় মিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিবি করিমুন্নেসা, এমপি পত্মী দিশা আরেফিন সহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

মিরপুর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সূত্রে জানা যায়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় হতে প্রাপ্ত ১৫ লাখ টাকার চেকের সুরক্ষা ট্রাস্টের আওতায় উপজেলার ক্যান্সার, কিডনী, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগী এবং থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত ৩০ জনের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়।




নরেন্দ্র মোদির ভূমিকায় দেখা যাবে কাটাপ্পাকে

ভারতের দক্ষিণী অভিনেতা সত্যরাজ-কে বাহুবলী সিনেমার কাটাপ্পা নামেই দর্শকরা এতদিন থেকে মনে রেখেছে। এবার সেই কাটাপ্পা সিনেমার পর্দায় হাজির হবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকায়।

হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোদির আসন্ন বায়োপিক সম্পর্কে বিশদ তথ্য নির্মাতাদের পক্ষ থেকে গোপন রাখা হয়েছে। শুধুমাত্র এই বায়োপিকে নাম ভূমিকায় যিনি অভিনয় করছেন, সেই সত্যরাজের কাস্টিং ছাড়া। বলাই বাহুল্য সত্যরাজের ক্যারিয়ারে মোদির বায়োপিকে খোদ তার চরিত্রে অভিনয়ের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হতে চলেছে।

ইন্ডাস্ট্রি ট্র্যাকার রমেশ বালা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে লিখেছেন, ‘প্রবীণ অভিনেতা সত্যরাজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বায়োপিকে নরেন্দ্র মোদীর-এর ভূমিকায় অভিনয় করবেন।’ তবে ছবির বিষয়ে বিস্তারিত জানতে হলে অপেক্ষা করতে হবে’

এটা নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয় বায়োপিক হতে চলেছে। এর আগে ২০১৯-এ মোদির বায়োপিকে অভিনয় করেন বিবেক ওবেরয়। যদিও এক্ষেত্রে অভিনেতা সত্যরাজ নিজে এখনো কোনো অফিসিয়াল কনফার্মেশন দেননি।

এদিকে কাজের ক্ষেত্রে তাকে শেষ দেখা গিয়েছে ‘সিঙ্গাপুর সেলুন‘ ছবিতে। তবে তারপর থেকে তিনি আর কোনো ছবির জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিবদ্ধ হননি।




মুজিবনগরে আওয়ামী লীগ নেতার সাড়ে ৮ বিঘা জমির ফসল তছরুপাত

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার মহাজনপুরে আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মোস্তফার চার বিঘা জমির কলা, পেঁপে ও কপি ক্ষেত কেটে তছরুপ করেছে দূর্বত্তরা।

গতকাল শনিবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময়মহাজনপুর গ্রামের নীলজাভেদ মাঠে এই ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক গোলাম মোস্তফা মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মহাজনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি। ফসল তছরুপাতের এই ঘটনায় তার আনুমানিক ১১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

জানা গেছে, দূবৃত্তরা গতকাল শনিবার রাতের কোন এসময় গোলাম মোস্তফার জমিতে প্রবেশ করে ৪ বিঘা জমিার কলার কান্দি, ২ বিঘা জমির পেঁপে গাছ এবং আড়াই বিঘা জমির কপি ক্ষেত ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে তছরুপ করেছে।

গোলাম মোস্তফা অভিযোগ করে বলেন, ৪ বিঘা জমির কলাবাগানের ১৬ শ কাঁদি কলা, ৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা ২ বিঘা জমির ৮০০ পেঁপে গাছ ও আড়াই বিঘা জমির কফি ক্ষেতের আংশিক কেটে দিয়েছে।। ইতোমধ্যে কলাগুলো ৫ লাখ ৯০ হাজার টাকায় অগ্রিম বিক্রি করা হয়েছে। ২ বিঘা জমির পেঁপের আনুমানিক মূল্য ৫ লাখ টাকা। এছাড়া আড়াই বিঘা কপি মিলিয়ে ১১ টাকার ক্ষতি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমার প্রতিপক্ষরা যারা আমাকে ভালবাসেনা, আমার ভাল চাইনা, আমার সন্তানদের পথে বসাতে চায় তারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমার বিভিন্ন মাঠে প্রায় ২০ বিঘা জমিতে অন্যান্য ফসল আছে। আমি এখন এসব ফসল নিয়েও আতংকের মধ্যে আছি। আমি প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠ তদন্ত করে দূবৃত্তদের বিচার চাই।

মহাজনপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য সোহরাব হোসেন বলেন, গোলাম মোস্তফা শুধু রাজনৈতিক নেতা নন, এলাকার একজন দক্ষ এবং ভাল চাষী। এর আগে তিনি ভুট্টা চাষ করে সরকারের পুরস্কার লাভ করেন। অন্যায়ের প্রতিবাদ করার কারণে তার এ ক্ষতি করেছে প্রতিপক্ষরা। এই অপরাধে সাথে জড়িতে মুখোশ উন্মোচন করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।

মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জল কুমার দত্ত জানান, আমি ছুটিতে বাইরে আছি। থানায় তদন্ত অফিসার বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।

এদিকে, মেহেরপুর জেলায় যেন ফসলের ওপর শত্রুতা যেন থামছেই না। একের পর এক ফসলি জমি নষ্ট ও পুকুরে বিষ প্রয়োগ করছে দুর্বৃত্তরা। সাম্প্রতিক সময়ে জেলার বিভিন্ন্ স্থানে ফসল তছরুপ ও পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধনের ঘটনা বেড়ে চলেছে।




লিগ চ্যাম্পিয়নদের ঠেকিয়ে পয়েন্ট নিল পুলিশ

প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের খেলা এখনো চলছে। তিন ম্যাচ হাতে রেখেই টানা পঞ্চম বারের মতো লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে যায় বসুন্ধরা কিংস। গতকাল নিজের মাঠে ট্রফি উদযাপনের উৎসবের প্রস্তুতি নিয়ে পুলিশের বিপক্ষে নেমে ছিল কিংস।

প্রথমার্ধে এমফনের গোলে ১-০ তে এগিয়ে থাকা কিংসের জালে ৫০ মিনিটে মাহদী ও ৬৯ মিনিটে মারিলোর গোল করে এগিয়ে যায় (২-১) পুলিশ। ৭১ মিনিটে আবার ডরিয়েলটনের গোলে হার বাঁচায় বসুন্ধরা কিংস, ২-২।

রহমতগঞ্জ ও শেখ রাসেলের বিপক্ষে ম্যাচ বাকি। তার আগেই ট্রফি উদযাপন রাঙ্গিয়ে তুলল বসুন্ধরা কিংস। রাতে খেলা শেষে ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন লিগের ট্রফি তুলে দেন কিংসের হাতে।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে শ্যামপুর ইউপি সদস্যের মৃ*ত্যু

মেহেরপুর সদর উপজেলার নবগঠিত শ্যামপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বর) আনারুল ইসলাম (৬০) ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্নালিল্লাহী ওয়া ইন্না এলাহি রাজিউন)।

আজ রবিবার (১৯ মে) সকাল ১০ টার দিকে কুষ্টিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

আনারুল ইসলাম সদর উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের ঝাউবাড়িয়া গ্রামের খেদের জোয়ারদার ছেলে।

শ্যামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতিন পারিবারিক সূত্রের বরাত দিয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। চেয়ারম্যান মতিউর রহমান গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন।
আনারুল ইসলামের স্ত্রী, ৩ ছেলে সহ অসংখ্য গুনাগ্রহেী রয়েছেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ইউপি সদস্য আনারুল ইসলাম বেশ কিছুদিন ধরে নানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন। গতকাল শনিবার তাকে কুষ্টিয়ার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। আজ সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।




মেহেরপুরে লিচু উৎপাদন কম হলেও দামে খুশি বাগানিরা

মেহেরপুরের বিভিন্ন বাগানের লিচু গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে লাল সবুজ রংয়ের লিচু। সুস্বাদু এ লিচু প্রতিবছরই জেলার চাহিদা মিটিয়ে বিক্রি হয় রাজধানী শহর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। ইতোমধ্যে আটি জাতের লিচু বাজারজাত শুরু হয়েছে। জেলা জুড়ে চলছে লিচু বিক্রির মহাউৎসব। লিচু বাজারজাত করনে ব্যাস্ত সময় পার করছেন লিচু চাষিরা।

অনাবৃষ্টি,তাপদাহ ও বৈরী আবহাওয়ায় লিচুর উৎপাদন কম হলেও দামে পুসিয়ে নিচ্ছেন বাগান মালিকরা। আটি লিচু বিক্রি শুরু হলেও বোম্বাই,আতা বোম্বাই ও চাইনা থ্রী জাতের লিচুর পরিচর্যায় ব্যাস্ত চাষিরা। সুস্বাদু হওয়ায় এজেলার উৎপাদিত লিচুর চাহিদা সারা দেশেই। বিভিন্ন পাইকাররা আসছেন বাগান কিনতে। কৃষি বিভাগ বলছেন লিচুর ন্যায্য দাম পাচ্ছেন চাষিরা। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ক্ষতি পুসিয়ে লাভবান হবেন চাষিরা।

জেলা কৃষি বিভাগের দেয়া তথ্যমতে , প্রায় ৮০০ হেক্টর জমিতে লিচুর বাগান রয়েছে। উক্ত বাগানে লিচু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে সাড়ে ৬ হাজার টন ।

মেহেরপুর সদর উপজেলার ঝাউবাড়িয়া গ্রামের লিচু চাষি মজিবর রহমান জানান, দুই বিঘা জমিতে আটি ও বোম্বাই লিচুর বাগান রয়েছে। উক্ত বাগানে গাছ রয়েছে ৪৫টি। সব গাছে এবার লিচু হয়নি। যে গাছে লিচু হয়েছে তা অতিমাত্রায় তাপদাহে গুটি ঝরে পড়ে উৎপাদন কম। তবে এবার লিচুর দাম ভাল পেয়ে কিছুটা হলেও ক্ষতি পুসিয়ে নিতে পারবেন।

বাগানমালিক আজগর আলী বরেন, প্রতি বছরেই মেহেরপুরের লিচুর চাহিদা দেশব্যাপী। প্রতিবছর আমাদের উৎপাদিত লিচু জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠিয়ে থঅকি। কিন্তু এবছর উৎপাদন কম হওয়ায় জেলার চাহিদা পুরুন হয়ে বাইরের জেলাতে পাঠানো যাচ্ছেনা। তাছাড়া বাইরের জেলায় লিচুর যে দাম তা আমাদের জেলাতেই পাওয়া যাচ্ছে। বৈরী আবহাওয়াতে লিচুর ফলন কম হলেও দাম ভাল পচ্ছি॥ খরচ বাদ দিয়ে লাভবান হওয়ার আশা তার।

গাংনী উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের লিচু বাগান মালিক হিরোক আলী বলেন, এবছর লিচুর দাম ভাল। ১০০ লিচু বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা এসে ২৫০ টাকা শ’ কিনছেন। এক কাউন লিচুর বর্তমান বাজার মুল্য ২৫০০ টাকা েেথ ২৭০০ টাকা। ফলন বিপর্যয় হলেও লিচু বিক্রি করে লাভবান হচ্ছি।

বারিশাল থেকে লিচু কিনতে আসা পাইকার ব্যবসায়ী হাফিজুল ইসলাম জানান, লিচুর গুটি দেখে ৭টি বাগান কিনে ছিলাম। অতিরিক্ত রোদের কারনে লিচুর গুটি ঝরে গেছে। পরে লোকসান হবে ভেবে বাগানমালিকরা আমাদের কিছু টাকা ফেরত দিয়েছেন। তবে লিচুর পরিচর্যা,গাছ থেকে লিচু সংগ্রহের শ্রমিক খরচ ও পরিবহন খরচ বাদ দিয়ে লাভ থকাছে কম। তবুও তিনি ২০ বছরের ব্যবসা ধরে রাখার কারনে এবারও ব্যবসা করতে হচ্ছে।

লিচু সংগ্রহে নিয়োজিত শ্রমিক সাগর আহাম্মেদ জানান, প্রতি বছর এসময় লিচুর বাগানে কাজ করেন। সকাল ৬টা থেকে দুটুর ১টা পর্যন্ত কাজ করে মজুরি পান ৫০০ টাকা। এভাবে এক মাস যাবত একাজ চলমান থাকবে। আটি লিচু বিক্রি শেষ হলে বোম্বাই ও চাইনা থ্রি লিচু বিক্রি শুরু হবে। শুধু সাগর আহম্মেদ নয় বিভিন্ন লিচু বাগানে কাজ করে সংসার চালাচ্ছেন কয়েক হাজার শ্রমিক।

মেহেরপুর বাজারের লিচু ব্যবসায়ী মহন আলী জানান, প্রতিদিন তার আড়ৎ থেকে ২ হাজার কাউন লিচু বিক্রি হচেছ। অন্যান্য বছরে তার আড়ৎ থেকে ৪/৫ হাজার কাউন লিচু বিক্রি হতো। এবার লিচু বাজারে কম আসছে।

মেহেরপুর জেলা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার বলেন, মেহেরপুরে প্রায় ৮০০ হেক্টর জমিতে লিচুর বাগান রয়েছে। উক্ত বাগানে লিচু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে সাড়ে ৬ হাজার টন । কৃষকরা প্রতি কাউন লিচু বিক্রি করছেন ২৫০০ টাকা থেকে ২৭০০ টাকা দরে। বর্তমানে আটি লিচু বিক্রি শুরু হয়েছে। এরপর বোম্বাই ও আতা বোম্বাই এবং চাইনা থ্রি লিচু বিক্রি শুরু হবে। জেলার চাহিদা পুরুনের পাশাপাশি বিভিন্ন জেলায় লিচু বিক্রি করে চাষিরা লাভবান হচ্ছেন॥ কৃষি বিভিগারে পক্ষ থেকে লিচু সংগ্রহের কৌশল,বাজারজাত করনের পদ্ধতি এবং পরিচার্যা বিষয়ক সকল ধরনের পরামর্শ দেয়া অব্যাহত রেখেছি।