মেহেরপুরে প্রাণের সকল পণ্য ডেলিভারি বন্ধ ঘোষনা পরিবেশক সমিতির

জেলা পরিবেশক সমিতির সভায় প্রাণ বেভারেজ গ্রুপের কুষ্টিয়া অঞ্চলের টি.এস.এম আনিসুর রহমান খারাপ আচরণ করায় প্রাণ গ্রুপের সকল পণ্য ডেলিভারি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে পরিবেশক সমিতি।

আজ বুধবার মেহেরপুর জেলা পরিবেশক সমিতির কার্যালয়ে এক সভা শেষে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারা জানায়, অভিযুক্ত টি.এস.এম এর উপযুক্ত বিচার না করা হলে ২৪ এপ্রিল থেকে মেহেরপুরে প্রাণের সকল পণ্য ডেলিভারি বন্ধ থাকবে। সভায় প্রাণ গ্রুপের বিভিন্ন গ্রুপের ডিলারবৃন্দরা সহমত পোষণ করে স্বাক্ষর করেন।

মেহেরপুর জেলা পরিবেশক সমিতির সভাপতি হাশেম আলীর সভাপতিত্বে সভায় আরএন টেডার্স এর স্বত্ত্বাধীকারী সদরুল ইসলাম নাহিদ, পরিবেশক সোমেল রানাসহ সমিতির সদস্য ও প্রাণ গ্রুপের পরিবেশকরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, প্রাণ বেভারেজ গ্রুপের কুষ্টিয়া অঞ্চলের টি.এস.এম আনিসুর রহমান আরএন ট্রেডার্স এর ছাড়পত্র ছাড়াই অন্যজনকে ডিলার নিয়োগ দিয়েছেন। তার প্রতিবাদে পরিবেশক সমিতি টি.এস.এম কে নিয়ে একটি সভায় মিলিত হন। সভা চলাকালীন টি.এস.এম আনিসুর রহমান পরিবেশক সমিতির সদস্যদের সাথে খারাপ আচরণ করেন বলে অভিযোগ করেছেন পরিবেশক সমিতির সদস্যরা।

তার প্রতিক্রিয়ায় ২৩ এপ্রিলের মধ্যে টি. এস. এম -এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয় তবে ২৪ এপ্রিল থেকে প্রাণের সকল গ্রুপের পণ্য ডেলিভারি ও মালামাল আনলোডিং বন্ধের হুমকি দেন।




ঝিনাইদহে ঘাতক ট্রাকের চাপায় প্রাণ গেল নৈশ প্রহরীর

ঝিনাইদহ শহরের হামদহ আলহেরা মোড়ে ট্রাকের চাপায় বাদল মোল্লা (৫৫) নামের এক নৈশ প্রহরীর মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ৫ টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটে। নিহত বাদল মোল্লা সদর উপজেলার ছোট কামারকুণ্ডু উত্তর পাড়া গ্রামের মোকছেদ আলীর ছেলে এবং সে আলহেরা মোড় এলাকায় নৈশ প্রহরীর দায়িত্ব পালনকারী।

স্থানীয়রা জানায়, ভোরে দায়িত্ব পালনের এক পর্যায়ে রাস্তার পশ্চিম পাশে দাড়িয়ে ছিল বাদল মোল্লা। সেসময় কালীগঞ্জ থেকে ঝিনাইদহ শহরগামী একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় বাদল মোল্লা।

ঝিনাইদহ ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক তানভীর হাসান জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসে এবং মৃতদেহটি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।




আইপিএলের পরই বিয়ে করছেন কি না, প্রশ্নের জবাবে কী বললেন শুবমান

শুবমান গিলের ব্যক্তিগত জীবন তার ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই আলোচনায়। শেষ কিছু দিনে সে আলোচনা কিছুটা থিতিয়ে গেলেও বিষয়টা আবারও সামনে নিয়ে এসেছেন ধারাভাষ্যকার ড্যানি মরিসন। জিজ্ঞেসই করে বসলেন, বিয়ে করছেন নাকি!

ঘটনাটা ঘটেছে গুজরাট টাইটান্স ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের ম্যাচের আগে। ইডেন গার্ডেনে সেদিন প্রি-ম্যাচ সঞ্চালনার সময় মজার ঘটনাটা ঘটল। ড্যানি মরিসন হঠাৎ করেই শুবমান গিলকে ব্যক্তিগত প্রশ্ন করে বসেন— ‘তোমাকে দারুণ লাগছে, বিয়ের ঘণ্টা কি শোনা যাচ্ছে? কী ব্যাপার, সামনে বিয়েটাও সেরে ফেলছো নাকি?’

মরিসনের এই প্রশ্ন শুনে মুহূর্তের জন্য অস্বস্তিতে পড়ে যান গিল। একটু ইতস্তত করে হালকা হাসি দিয়ে বলেন, ‘না না, এমন কিছুই না।’ তাঁর সেই নড়াচড়ায় আর হাসির ভঙ্গিমাতেই বোঝা যাচ্ছিল প্রশ্নটা মোটেই প্রত্যাশিত ছিল না।

এই হালকা মজার মুহূর্তে অবশ্য অনেকেই হাসিতে মেতে উঠেছিলেন। তবে অনেকে আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় মরিসনের এমন ব্যক্তিগত প্রশ্নকে মোটেও ভালোভাবে নেননি। তাদের একাংশের মতে, ম্যাচ-পূর্ব আলোচনায় খেলাধুলার প্রসঙ্গেই থাকা উচিত, ব্যক্তিগত বিষয়ে নয়।

গিল এ বছর আইপিএলে ব্যাট হাতে বেশ ভালো ছন্দে আছেন। সাত ম্যাচে তার সংগ্রহ ২১৫ রান, গড় ৩৫.৮৩ এবং স্ট্রাইক রেট ১৪৯.৩০। ইতিমধ্যে দুটি হাফসেঞ্চুরি করে ফেলেছেন, সর্বোচ্চ রান অপরাজিত ৬১।

অন্যদিকে গুজরাট টাইটান্স দারুণ ছন্দে রয়েছে। সাত ম্যাচে পাঁচটিতে জয় পেয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে আছে তারা। নেট রান রেট +০.৯৮৪। শেষ ম্যাচে তারা দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৭ উইকেটে হারিয়ে এসেছে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে।

বিয়ের গুঞ্জন নিয়ে যতই মজা চলুক না কেন, মাঠে গিলের মনোযোগটা ঠিকই ব্যাটে-বলে আছে। তার প্রমাণও দিচ্ছেন তিনি ধারাবাহিকভাবে।

সূত্র: যুগান্তর




শৈলকুপায় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় গভীর রাতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এক প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত ৩টার দিকে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের চরগোলক নগর গ্রামের প্রবাসী টিপু সুলতানের বাড়িতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

সিংঙ্গাপুর প্রবাসী টিপু সুলতানের বাবা আইনুদ্দিন শেখ জানান, রাতের খাবার খেয়ে পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পরেছিল। রাত ৩টার দিকে একদল ডাকাত বাড়ির গেট ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে পরিবারের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মেওে ফেলার ভয় দেখিয়ে সব কিছু হাতিয়ে নেয়।

ডাকাতদল ঘর থেকে প্রায় ৮ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেছে টিপু সুলতানের পরিবার।

শৈলকুপা থানার ওসি মাসুম খান বলেন, বিষয়টি রহস্যজনক মনে হচ্ছে। এরকম ডাকাতির ঘটনা ঘটলে তারা তো রাতেই আমাকে জানাতো। তারপরও পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নিব।




মুজিবনগরে বসত ভিটার জায়গা নিয়ে সংঘর্ষে আহত-৪

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে বসতভিটার জায়গা নিয়ে আপন চাচা ভাতিজার সংঘর্ষে উভয়পক্ষের চারজন আহত হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খাইরুল ইসলামের বাড়ির সামনে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে মৃত ইয়াসিন আলীর ছেলে মুখলেছুর রহমান হামলা চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে । পরে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

সংঘর্ষে ভবানীপুর গ্রামে মৃত চমৎকার মন্ডল এর ছেলে খায়রুল ইসলাম( ৬০) খায়রুল ইসলামের ছেলে সাব্বির হাসান (২০) এবং মৃত ইয়াসিন মন্ডলের ছেলে মুকলেসুর রহমান (৫২) এবং আরোজ আলীর ছেলে আশিক ইসলাম (২০) আহত হয়।

স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মুজিবনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে আসে। মুজিবনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে খায়রুল ইসলাম ও ছেলে সাব্বির হাসানের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে কুষ্টিয়া সরকারি মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করেন। মোখলেসের পক্ষে আশিক মুজিবনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি আছে।

সংঘর্ষের বিষয়ে মুজিবনগর থানা অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। এখনো কোনো পক্ষ থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করেনি অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




কুষ্টিয়ার মিরপুরে স্টেশন মাস্টার পদায়নের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

কুষ্টিয়ার মিরপুর রেলওয়ে স্টেশনে স্টেশন মাস্টারের পদ প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে শূন্য রয়েছে। স্টেশন মাস্টার না থাকায় নানা জটিলতার মধ্য দিয়ে চলেছে স্টেশনের কার্যক্রম।

এ প্রেক্ষিতে স্টেশন মাস্টার পদায়নসহ স্টেশনের বিভিন্ন উন্নয়ন দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন স্থানীয় জনসাধারণ।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে মিরপুর রেলওয়ে স্টেশন প্ল্যাটফর্মে উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের ব্যানারে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। পরে একটি স্মারকলিপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নিকট হস্তান্তর করা হয়।

অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন— মিরপুর উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল করিম, মিরপুর মাহমুদা চৌধুরী কলেজের অধ্যাপক শাহ আক্তার মামুন, পৌর বিএনপি নেতা আব্দুর রশিদ, মিরপুর উপজেলা নাগরিক কমিটির মুখপাত্র ও সিনিয়র সাংবাদিক হুমায়ুন কবির হিমু, কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতে ইসলামী নায়েবে আমির মো. আব্দুল গফুর ও ইউনিট সদস্য অধ্যাপক জুমারত আলী, বিএনপি নেতা ইব্রাহিম আলীসহ অনেকে।

বক্তারা বলেন, ‘আগামী ১৫ দিনের মধ্যে স্টেশন মাস্টার পদায়নসহ স্টেশনের অন্যান্য দাবি পূরণ করতে হবে, অন্যথায় আরও বৃহত্তর কর্মসূচি পালন করা হবে।’ বক্তারা অবিলম্বে মিরপুর স্টেশনে স্টেশন মাস্টার নিয়োগ এবং স্টেশনের আধুনিকায়নের জোর দাবি জানান।

উল্লেখ্য, প্রায় এক মাসের অধিক সময় ধরে মিরপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টারের পদটি শূন্য রয়েছে। তবুও স্টেশনের কার্যক্রম কোনোভাবে পরিচালিত হচ্ছে।




গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বদলি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) প্রীতম সাহার অনাকাঙ্ক্ষিত বদলির প্রতিবাদে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটায় গাংনী উপজেলা পরিষদের সামনে সর্বস্তরের জনসাধারণ এ মানববন্ধনে অংশ নেন এবং ইউএনও প্রীতম সাহার বদলি আদেশ বাতিলের দাবি জানান।

বক্তারা বলেন, ইউএনও প্রীতম সাহা গাংনীর সাধারণ মানুষের পাশে থেকে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। তিনি দারিদ্র্য ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, এমনকি চলমান এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বাসায় রাতের বেলায় গিয়ে তাদের খোঁজ নিয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বে গাংনীতে বেশ কয়েকটি উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়িত হয়েছে, যা এলাকাবাসীর কাছে প্রশংসিত হয়েছে।

মানববন্ধনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণ অংশগ্রহণ করেন। তাঁরা ইউএনও প্রীতম সাহার বদলি আদেশ দ্রুত বাতিলের দাবি জানান।

উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. পারভেজ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ইউএনও প্রীতম সাহাকে খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে বদলি করা হয়। একই প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, তাঁর স্থলাভিষিক্ত হবেন বিভাগীয় কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার আনোয়ার হোসেন।




হোয়াটসঅ্যাপে স্টেগনোগ্রাফি ফাঁদ, হারাতে পারেন সর্বস্ব

হোয়াটসঅ্যাপে ঢুকে দেখলেন সুন্দরী এক মেয়ের ছবি পাঠিয়েছেন কেউ। সঙ্গে লেখা—এনাকে চেনেন? কৌতুহলী হয়ে ছবিটিতে ক্লিক করলেন। ব্যাস। এতটুকুতেই হবে সবটুকু। মনে হতে পারে, একটি ছবি নামালাম তাতে আর কি! কিন্তু এরমাঝেই লুকিয়ে থাকতে পারে গোপন কোড, যা সর্বস্ব হারানোর জন্য যথেষ্ট।

সাইবার বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মূলত এটা হচ্ছে এক ফাঁদ। যার নাম স্টেগনোগ্রাফি এলএসবি (Least Significant Bit) টেকনোলজি। এই মাধ্যমেই হ্যাকাররা প্রতারণার ফাঁদ পাতে।

স্টেগনোগ্রাফি কি?

স্টেগনোগ্রাফি মূলত একটি গ্রীক শব্দ। যার বাংলা অর্থ ‘গোপন লেখা’। বর্তমানে সাইবার ক্রাইমেও বড় অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে এই কৌশল। যেখানে একটি ছবির মাঝেই ম্যালওয়্যার বা গোপন নির্দেশাবলী এম্বেড করে দেওয়া হয়। এই গোপন ম্যালওয়্যার নির্দিষ্ট কিছু স্ক্রিপ্ট ছাড়া ট্রিগার বা শনাক্ত করা সম্ভব নয়।

কীভাবে কাজ করে?

২০১৭ সাল থেকে ‘জিফ’ ফাইল ছবির মধ্যেই এই কৌশলটি ঢুকিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ-এ ছড়িয়ে দেওয়া হতো। ছবিটি ডাউনলোড করা হলে গোপন কোডটি ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে কাজ করা শুরু করে দেয়। ফোনের সিকিউরিটি সিস্টেমকে বাইপাস করে ফোনের ডেটা সংগ্রহ করে নিতে পারে এই কোডটি। সাধারণত ছবিতে রঙের জন্য তিন বাইট ডেটা ব্যবহার করা হয়— লাল, সবুজ এবং নীল। ম্যালওয়্যার সাধারণত এই তিনটি বা চতুর্থ বাইটের মধ্যে একটিতে লুকানো থাকে, যাকে ‘আলফা চ্যানেল’ বলা হয়।

সাইবার বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অচেনা নম্বর থেকে কল বা হোয়াটসঅ্যাপ এলে তা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহার করা উচিত। অপরিচিত ব্যক্তি হোয়াটসঅ্যাপে কোনও ছবি বা ফাইল যাই পাঠক, সেটা যাচাই না করে ডাউনলোড করা উচিত নয়। ফোনের মধ্যে যে অ্যান্টিভাইরাস থাকে, সেটি এই গোপন কোড অনেক সময় ডিটেক্ট করতে পারে না। আগামী দিনে এআই, মেশিন লার্নিংয়ের সাহায্য নিয়ে নতুন প্রযুক্তি তৈরি হচ্ছে এই বিপদের মোকাবিলায়।

করণীয় কি

অজানা নম্বর থেকে আসা যেকোনও রকম ছবি, ফাইল বা ভয়েস মেসেজের লিংক খুলবেন না। কৌতুহল দমন করতে না পারলেই, বিপদ বাড়তে পারে।
ফোনের সফটয়্যার সব সময়ে আপডেট করে রাখতে হবে।
হোয়াট্সঅ্যাপে ‘সাইলেন্ট আননোন কলার্স’ বলে অপশন রয়েছে, সেটি চালু করে রাখুন।
অপরিচিত নম্বর থেকে আসা মেসেজের জবাবও দেবেন না। কোনও রকম ওটিপি শেয়ার করবেন না।
কিউআর কোড স্ক্যান করবেন না। সতর্ক থাকুন। নিরাপদে থাকুন।

সূত্র: যুগান্তর




মেহেরপুরে “অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা, অংশীজনের প্রত্যাশা” শীর্ষক মতবিনিময় সভা

মেহেরপুরে “অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা, অংশীজনের প্রত্যাশা” বিষয়ক এক মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কনফারেন্স রুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। গণসাক্ষরতা অভিযানের সহযোগিতায় মানব উন্নয়ন কেন্দ্র (মউক) এ সভার আয়োজন করে।

মউক-এর নির্বাহী প্রধান আশাদুজ্জামান সেলিমের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ তরিকুল ইসলাম।

এসময় তিনি বলেন, প্রত্যন্ত গ্রামের শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও অভিভাবকদের অসচেতনতার কারণে বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ে, যার দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব হিসেবে সরকারি পরিসংখ্যানে শিক্ষার হার তুলনামূলক কম দেখা যায়। তবে এখন কেন্দ্রীয় সরকার ও জেলা শিক্ষা প্রশাসনের কঠোর ও নিরবিচ্ছিন্ন তদারকিতে লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। তিনি এ সময় শিক্ষার উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে সরকারি ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ হযরত আলী, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ রুহুল আমিন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশন মেহেরপুর জেলার উপপরিচালক এ. জে. এম সিরাজুম মুনীর।

এসময় বক্তব্য রাখেন, মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব চান্দু, শিক্ষক সমিতির জেলা সভাপতি নাজমুল হক টিনু, আজগর আলী মাস্টার ও আব্দুর রব।

এছাড়াও এসময় সরকারি উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘গণসাক্ষরতা অভিযান এর কর্মকর্তাসব সজিবুল ইসলাম ও সামসুন নাহার কলি উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য রাখেন মউক এর নির্বাহী প্রধান আশাদুজ্জামান সেলিম। তিনি বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সুবিধাবঞ্চিত ও পেছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে মূলধারায় শিক্ষিত করার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীর ভর্তি বৃদ্ধি ও ঝরে পড়া শিক্ষার্থী হ্রাসে মউক কমিউনিটি ভিত্তিক এপ্রোচ পদ্ধতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, যার মধ্যে ডোর টু ডোর ক্যাম্পেইন অন্যতম।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে এই কর্মসূচির প্রধান পৃষ্ঠপোষক গণসাক্ষরতা অভিযানের কর্মকর্তাবৃন্দ তাঁদের নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা উন্নয়নের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যে পৌঁছাতে সংস্থার নিজস্ব উদ্যোগকে সাফল্যভিত্তিক কার্যক্রম হিসেবে মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন।

এছাড়াও অনুষ্ঠানের মধ্যে এক মুক্ত আলোচনা সভায় উপস্থিত স্টেকহোল্ডারবৃন্দ মানসিকতার পরিবর্তন, মডেল মাদ্রাসা, মাদ্রাসা শিক্ষায় বৈষম্য, উপবৃত্তির অধিক বরাদ্দ, বিদ্যালয় শিক্ষকের স্বল্পতা, জেন্ডার বৈষম্য, পাঠ্যপুস্তক কারিকুলাম রচনায় যৌক্তিকতা এবং শিক্ষা প্রশাসনের তদারকির ধীরগতিসহ বিভিন্ন বিষয়ের চ্যালেঞ্জ ও সুপারিশসমূহ তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রী, সুশীল সমাজ ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ৬০ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মউক এর মানবাধিকার কর্মী সাদ আহম্মদ ও মোছাঃ কাজল রেখা।




সকালে ডাবের পানি খেলে কী হয়

সকালে উঠে কী খেলে শরীর ভালো থাকবে, কী খাওয়া ঠিক নয় তা নিয়ে অনেকেই চিন্তা করেন। বেশিরভাগ সময় ঘুম থেকে উঠে চা বা কফি খেয়ে নেন। তবে পুষ্টিবিদদের মতে, সকাল বেলা পানির বদলে ডাবের পানি খেতে পারলে সেটির গুনাগুণ অনেকাংশেই বেশি। কেননা শরীরে পুষ্টি জোগাতে ডাবের পানির তুলনা নেই। এছাড়া অনেকেরই অভ্যাস আছে সকালে উঠে খালি পেটে ডাবের পানি খাওয়ার।

চলুন জেনে নিই সকালে ডাবের পানি খাওয়ার যত উপকারিতা-

১.হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে
ডাবের পানিতে ক্যালসিয়াম থাকে। যেটি হাড়কে শক্ত-পোক্ত করে তোলার পাশাপাশি হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও ডাবে উপস্থিত ম্যাগনেসিয়ামও এক্ষেত্রে নানাভাবে সাহায্য করে থাকে।

২.শরীরকে বিষমুক্ত করে
দেহের প্রতিটি কোণায় উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বের করে দিতে এই প্রকৃতিক উপাদানটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস ডাবের পানি পান করলে নানাবিধ রোগ যেমন শরীরের ধারে কাঁছে ঘেঁষতে পারে না, ঠিক তেমনি সার্বিকভাবেও শরীরিক ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।

৩.ব্লাড সুগারকে নিয়ন্ত্রণে চলে আসে
ডাবের পানিতে থাকা অ্যামাইনো অ্যাসিড এবং ডায়াটারি ফাইবার ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। এই কারণেই রোজের ডায়েটে ডাবকে অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।

৪.কিডনির ক্ষমতা বাড়ে
প্রচুর মাত্রায় পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকার কারণে ডাবের পানি কিডনির কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেইসঙ্গে শরীরে উপস্থিত টক্সিন উপাদানদের ইউরিনের সঙ্গে বের করে দিয়ে নানাবিধ জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমায়।

৪.পানির ঘাটতি মেটে
ডাবের পানি শরীরে প্রবেশ করার সঙ্গেই দেহে পানির ঘাটতি মিটতে শুরু করে। একইসঙ্গে এতে থাকা ইলেকট্রোলাইট কম্পোজিশান ডায়ারিয়া, বমি এবং অতিরিক্ত ঘামের পর শরীরের ভিতরে খনিজের ঘাটতি মেটাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

৫.শরীর এবং ত্বকের বয়স কমে
ডাবের পানিতে রয়েছে সাইটোকিনিস নামে একটি অ্যান্টি-এজিং উপাদান, যা শরীরের ওপর বয়সের ছাপ পরতে দেয় না। সেইসঙ্গে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৬.ওজন হ্রাস পায়
ডাবের পানিতে বেশ কিছু উপকারি এনজাইম আছে। যেটি হজম ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি মেটাবলিজমের উন্নতিতেও সাহায্য করে থাকে। ফলে খাবার খাওয়া মাত্র তা এত ভালো ভাবে হজম হয়ে যায় যে শরীরে হজম না হওয়া খাবার মেদ হিসেবে জমার সুযোগই পায় না। ফলে ওজন কমতে শুরু করে।

৭.রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়
রাইবোফ্লবিন, নিয়াসিন, থিয়ামিন এবং পাইরিডোক্সিনের মতো উপকারি উপদানে ভরপুর ডাবের পানি প্রতিদিন পান করলে শরীরের শক্তি এতটা বৃদ্ধি পায় যে জীবাণুরা কোনওভাবেই ক্ষতি করার সুযোগ পায় না। সেইসঙ্গে ডাবের পানিতে অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টি-ব্য়াকটেরিয়াল প্রপাটিজ নানাবিধ সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৮.হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে
শরীরে বাজে কোলেস্টেরল বা এল ডি এল-এর পরিমাণ কমিয়ে হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে ডাবের পানির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। দেহে ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়িয়ে হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কমাতেও ডাবের পানি বিশেষ ভূমিকা নিয়ে থাকে।

৯. মানসিক চাপ কমাতে পারে
ডাবের পানি মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। এতে সাইটোকিনিন নামক একটি যৌগ রয়েছে, যা উদ্ভিদের বৃদ্ধি এবং বিকাশ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে। এই যৌগটিতে মানুষের মধ্যে বার্ধক্য বিরোধী এবং মানসিক চাপ বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে বলে প্রমাণিত হয়েছে। সকালে ডাবের পানি পান করলে তা মানসিক চাপের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

সূত্র: ইত্তেফাক