৬ ঘন্টায় মেহেরপুর সদরে ১৪ ও মুজিবনগরে ২২ শতাংশ ভোট পোল

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের ভোট গ্রহণ চলছে। বেলা ২ টা পর্যন্ত সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৪ শতাংশ ও মুজিবনগর উপজেলায় ২২ শতাংশ ভোট পোল হয়েছে।

সদর ও মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটানিং অফিসার মোহাম্মদ ওয়ালীউল্লাহ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেছেন, বেলা ২ টা পর্যন্ত সদর উপজেলায় ৯৪ টি ভোট কেন্দ্রে ২৮ হাজার ৩৫০ ও মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩৫ টি ভোট কেন্দ্রে ১৩ হাজার ৯৯১ ভোট পোল হয়েছে।

সরেজমিনে সদর ও মুজিবনগর উপজেলার বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রগুলোতে পরিদর্শনে দেখা গেছে, ভোটকেন্দ্রগুলো নিরুত্তাপ। ভোটার সংখ্য খুবই কম। ভোটার বিহীন ভোট কেন্দ্রগুলোতে অলস সময় পার করছেন নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। এছাড়া ভোটকেন্দ্রের বুথগুলোতেও অলস সময় পার করছেন প্রিজাইডিং, সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার ও প্রার্থীদের এজেন্টরা। অনেক ভোট কেন্দ্রে বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই এটি ভোট কেন্দ্র।
সদর উপজেলার শ্যামপুর বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ঘুরে দেখা গেছে, ৩ ঘন্টা ১০ মিনিটের সময় সকাল ১১ টা ১০ মিনিটে ভোট পোল হয়েছে মাত্র ৯১ ভোট। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ২৪৯০। ওই ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আলমগীর হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন। বেলা ১২ টার সময় একই উপজেলার শ্যামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে দেখা গেছে বেলা সাড়ে ১২ টার সময় ভোট পোল হয়েছে ২০০। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ১৭৯৭। প্রিজাইডিং অফিসার মনিরুল ইসলাম বলেন, বেলা সাড়ে ১২ টা ১১.১২ শতাংশ ভোট পোল হয়েছে।

বেলতলাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ২১৪৫ ভোটের মধ্যে বেলা ১২ টা পর্যন্ত ভোট পোল হয়েছে ৩৭৮। যা মোট ভোটের ১৭.৬২ শতাংশ। মদনাডাঙ্গার হান্নানগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে দেখা গেছে, এখানে ভোটার সংখ্যা ২১৩৩। বেলা ১ টা পর্যন্ত এখানে পোল হয়েছে ২৯৫ ভোট। যা শতকরা ১৪ ভাগ। গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে দেখা গেছে বেলা দেড়টা পর্যন্ত ভোট পোল হয়েছে ৪৩৫ ভোট। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ২৪৫৮ ভোট।

মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে দেখা গেছে, সকাল ১০টা ২০ মিনিট থেকে ২ ঘন্টায় পোল হয়েছে ৬৭ ভোট। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ২০৩৭। একই উপজেলার দারিয়াপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে দেখা গেছে, সকাল ১০ টা ২০ মিনিট থেকে ২ ঘন্টা ২০ মিনিটে ভোট পোল হয়েছে ১৯৯। এখানে ভোটার সংখ্যা ৩৩৫০। তবে সদর উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী আনারুল ইসলামের নিজ ভোট কেন্দ্র আশরাফপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে সকাল ১১ টার সময় থেকে ৩ ঘন্টার সময় ৩৯৩ ভোট পোল হয়েছে। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ২৮৭৬।

মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৪ জন, ভাইসচেয়ারম্যান পদে ২ ও মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান ৩ এবং মুজিবনগর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান ৪ জন, ভাইসচেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান পদে ২ জন করে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
এই দুটি উপজেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা ৩ লাখ ৩০৬৩ জন।




‘মা লো মা’ গান নিয়ে বিতর্ক

কোক স্টুডিও বাংলার সিজন তিনের দ্বিতীয় গান ‘মা লো মা’ প্রকাশের পর লুফে নিয়েছিল এক শ্রেণির শ্রোতারা। ছাদ পেটানো গানের স্মৃতি, লোকগান ও র‍্যাপের মিশেলে এ পরিবেশনের ছন্দে নেটিজেনরা যখন দুলছেন তখন হঠাৎ পতন ঘটলো মিথ্যাচারের অভিযোগে।

গানটির গীতিকারের নাম নিয়ে মিথ্যাচার করা হচ্ছে বলে এমন অভিযোগ তোলা হয়েছে। ‘মা লো মা’ গানটির গীতিকারের ঘরে খালেক দেওয়ানের নাম উল্লেখ করলেও দাবি করা হচ্ছে তথ্যটি মিথ্যা। গানটি নেত্রকোনার বাউল রশিদ উদ্দিনের লেখা।

বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে বাউল রশিদ উদ্দিনের জন্মস্থান নেত্রকোণার সংস্কৃতিকর্মীরা। সোমবার নেত্রকোনায় সামাজিক-সাংস্কৃতিক-সাহিত্য সংগঠনসমূহ ও সম্মিলিত নাগরিক সমাজের ব্যানারে কোক স্টুডিও বাংলার বিরুদ্ধে অনৈতিকভাবে গানটি বাউল আব্দুল খালেক দেওয়ানের লেখা বলে প্রচারের অভিযোগ এনে মানবন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্থানীয় সংস্কৃতিকর্মীরা।

কোক স্টুডিও বাংলার সদ্য প্রকাশিত ‘মা লো মা’ গানটির সংগীত পরিচালনায় ছিলেন প্রীতম হাসান। এ বিষয়ে তার সঙ্গে কথা বলতে গেলে ব্যস্ততার অযুহাতে এড়িয়ে যান তিনি। কথা বলার সময় না দিয়েই তিনি বলেন, ‘আপনাদের যত প্রশ্ন আছে কোক স্টুডিওকে করুন। আমি এ বিষয়ে কথা বলতে চাচ্ছি না।’

পরে বিষয়টি নিয়ে কোক স্টুডিও বাংলা একটি বিবৃতি দেয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘কোক স্টুডিও বাংলা একজন শিল্পীর সৃজনশীলতা ও মেধা সম্পদের মৌলিকত্বের গুরুত্ব অনুধাবন এবং মূল্যায়ন করে। আমাদের প্রতিটি গান সতর্কতার সাথে যাচাই করা হয় এবং ন্যায়সঙ্গত শিল্পীকে প্রাপ্য কৃতিত্ব দেওয়া হয়। ‘মা লো মা’ গানটি মো. খালেক দেওয়ানের লেখা। তার বংশধর আরিফ দেওয়ান ও সাগর দেওয়ান এই গানে পারফর্ম করেছেন। ‘মা গো মা’ নামে এই গানের আরও একটি সংস্করণ আছে, যা বাউল রশিদ উদ্দিনের লেখা। গান দুটির মধ্যে বিভ্রান্তি এড়াতে ‘মা লো মা’ গানটি প্রকাশের সময়ই ইউটিউবে গানটির বর্ণনায় রশিদ উদ্দিনের নামও উল্লেখ করা হয়েছে।’

ইউটিউবে গানটির বর্ণনায় চোখ রাখলে দেখা যায় বিষয়টি পরিষ্কার করেছে কোক স্টুডিও বাংলা। সেখানে বাউল রশিদ উদ্দিনের নামও উল্লেখ করা হয়েছে। লেখা হয়েছে, মা লো মা লিখেছেন মো. খালেক দেওয়ান (গানটির আরেকটি সংস্করণ লিখেছেন বাউল রশিদ উদ্দিন, নাম ‘মা গো মা’)।

গত ৩ মে কোক স্টুডিও বাংলার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পেয়েছে ‘মা লো মা’ গানটি। এতে কণ্ঠ দিয়েছেরন প্রীতম হাসান, সাগর দেওয়ান, আরিফ দেওয়ান ও র‍্যাপার আলী হাসান। গানটির সংগীতায়োজনে ছিলেন প্রীতম হাসান। প্রকাশের চার দিনে ৪১ লাখের অধিক মানুষ শুনেছে গানটি।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে রেড ক্রিসেন্ট দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

keeping humanity alive এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে ৮ই মে দিবস রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস ২০২৪ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

আজ বুধবার সকালে মেহেরপুর জেলা পরিষদের মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

মেহেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেহেরপুর রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সভাপতি আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি মেহেরপুর জেলা ইউনিটের কার্যনির্বাহী সদস্য খন্দকার শামসুজ্জোহা সোহাগের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি মেহেরপুর ইউনিটের সহ-সভাপতি ইয়ারুল ইসলাম, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি মেহেরপুর জেলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট খন্দকার একরামুল হীরা, কার্যনির্বাহী সদস্য আসকার আলী, কে এম ফজলুল করিম সহ বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট মেহেরপুর জেলা ইউনিটের সকল সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে জাতীয় পতাকা ও রেড ক্রিসেন্ট এর পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং মেহেরপুর জেলা পরিষদ থেকে র‍্যালি বের হয়ে প্রধান দক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে শেষ হয়।




গ্রীষ্মে শরীর নয়, আগুনের মতো গরম হচ্ছে স্মার্টফোন

গ্রীষ্মে শুধু শরীর নয়, গরম হচ্ছে আপনার প্রিয় স্মার্টফোনটিও। আর ফোন গরম হলেই ম্যালফাংশেনিং হতে শুরু করে। শুধু অ্যান্ড্রয়েড নয়, আইফোন ব্যবহারকারীরাও এই সমস্যার সম্মুখীন হন। সে কারণে ফোন ঠান্ডা রাখা জরুরি। কীভাবে ফোন গরম হওয়া থেকে রক্ষা করবেন?

জেনে নিন—

প্রথমত বাড়ির বাইরে বেরোলে ব্যাগের ভিতরে অথবা পকেটে ফোন রাখুন। এর ফলে সরাসরি ফোনে রোদ লাগবে না এবং গরম হওয়ার সম্ভাবনাও থাকবে না।

দ্বিতীয়ত, রাস্তায় বা যাতায়াতের সময় একাধিক অ্যাপ ব্যবহার করবেন না। প্রয়োজনীয় একটি বা দু’টি অ্যাপ-ই মিনিমাইজ করে রাখতে পারেন।

তৃতীয়ত, একটানা দীর্ঘক্ষণ ফোন ব্যবহার করবেন না। এর ফলে ফোন গরম হতে পারে। সে কারণে অন্তত ১০ মিনিট করে ফোনের স্ক্রিন অফ রাখুন।

চতুর্থত, বর্তমানে স্মার্টফোনের জন্য কুলিং প্যাড বা কুলিং ফ্যান কিনতে পাওয়া যায়। স্মার্টফোনের পিছনে ওই ডিভাইস লাগিয়ে সহজেই ফোন ঠান্ডা করতে পারবেন।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগরের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের হলফনামা

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৭ জন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করেছে মেহেরপুর প্রতিদিন
নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়ে হলফনামায় দেখা গেছে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৭ প্রার্থীর মধ্যে শিক্ষায় এগিয়ে আছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা।

আব্দুল মান্নান

মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সহ—সভাপতি মোহা: আব্দুল মান্নান মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী। আব্দুল মান্নান এর আগে একাধিকবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। দল থেকে মনোনয়ন না পাওয়ায় বারবার ব্যার্থ হয়েছেন। তবে, এবার তিনি ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। তার নির্বাচনী প্রতিক ঘোড়া মার্কা।
হিসাব বিবরণীতে দেখা গেছে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাৎসরিক আয় আসে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, নিজ নামে নগদ টাকা রয়েছে ২ লাখ টাকা, স্ত্রীর নামে নগদ টাকা রয়েছে ২০ লক্ষ টাকা, ব্যাংকে জমা রয়েছে ১ হাজার ৭৯৩ টাকা, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে লোন রয়েছে আড়াই লাখ টাকা, তবে খেলাপি নেই বলে দাবি করেন প্রাথী আব্দুল মান্নান। অন্যান্য ব্যবসায় বিনিয়োগ রয়েছে ৮ লাখ টাকা, স্ত্রীর নামে স্বর্ণালংকার রয়েছে ৭ ভরি ও নির্ভরশীলদের নামে রয়েছে ১০ ভরি স্বর্ণালংকার।

আনারুল ইসলাম

মেহেরপুর সদর উপজেলার আমদহ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনারুল ইসলাম। সে একবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন করে ১৩ বছর অধিষ্ট ছিলেন। এবার সে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। তার নির্বাচনী প্রতিক মোটরসাইকেল।
নির্বাচনী হলফনামায় দেখা গেছে, ব্যবসা থেকে বাৎসরিক আয় ৮ লাখ ১৬ হাজার ৬৬৬ টাকা. নজ নামে নগদ টাকা ১০ লাখ টাকা, স্ত্রীর নামে নগদ টাকা ৫ লাখ টাকা, নির্ভরশীলদের নামে নগদ টাকা ১০ লাখ টাকা, ব্যংকে জমাকৃত নগদ টাকা মাত্র ১ হাজার টাকা, নিজ নামে একটি ডিসকভার ১২৫ সিসি মোটরসাইকেল, ৩ ভরি স্বর্ণালংকার, স্ত্রীর নামে ৭ ভরি স্বর্ণালংকার, অন্যান্য ব্যবসায় বিনিয়োগ রয়েছে ১৭ লাখ টাকা, কৃষি জমি রয়েছে ৫ বিঘা পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া, অগ্রণী ব্যাংকে তার নামে লোন রয়েছে ২ লাখ টাকা।

অ্যাড. ইব্রাহীম শাহীন

মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. ইব্রাহীম শাহীন। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। তার নির্বাচনী প্রতিক কাপ পিরিচ।
হলফনামায় দেখা গেছে, আইন পেশা থেকে বাৎসরিক আয় ৪ লাখ টাকা, নগদ টাকা রয়েছে ১ রাখ ৫০ হাজার স্ত্রীর নামে নগদ রয়েছে ৫ লাখ টাকা, নিজ নামে ব্যাংকে জমা রয়েছে ৯ লাখ টাকা, স্ত্রীর নামে ব্যাংকে জমা রয়েছে ৭ লাখ টাকা, স্ত্রীর নামে পোস্টাল সেভিংস, সঞ্চয়পত্র ও আমানত ৩৯ লাখ টাকা, ৩ ভরি স্বর্ণালংকার, টিভি, ফ্রীজ ও মোবাইল ও এ্যাসি ৩ লাখ টাকার, আসবাবপত্র খাট সোফা, চেয়ার টেবিল ইত্যদি ৩ লাখ টাকা, স্ত্রীর নামে ৩২ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার, গৃহস্থলি আসবাবপত্র রয়েছে ৬ লাখ টাকার, নিজ নামে অকৃষি জমি রয়েছে ২৫ কাঠা, বাড়ি রয়েছে এক কাঠা জমিতে। এছাড়া স্ত্রীর নামে অকৃষি জমি রয়েছে ৫ বিঘা।

মো: হাসেম আলী

নির্বাচনের আরেক প্রার্থী মো: হাসেম আলী। তার নির্বাচনী প্রতিক আনারস।
তার হলফনামায় ব্যবসা থেকে বাৎসরিক আয় ১৬ লাখ টাকা, নগদ অর্থ রয়েছে ৫ লাখ টাকা, ব্যাংক জমার পরিমাণ মাত্র ১০ হাজার টাকা, স্ত্রীর নামে নগদ রয়েছে ৪ লাখ টাকা, নিজ নামে ৫ ভরি ও স্ত্রীর নামে ৫ ভরি স্বর্ণালংকার, অন্যান্য ব্যবসায় বিনিয়োগ রয়েছে ২০ লাখ টাকা, নিজ নামে ৮ শতক জমির উপর দুই তলা বাড়ি। রুপালী ব্যাংকের মেহেরপুর শাখায় তার নামে ৪০ লাখ টাকা লোন রয়েছে। তবে খেলাপি নেই।

আমাম হোসেন মিলু

মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এবার প্রার্থী হয়েছেন মহাজনপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একাধিকবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী আমাম হোসেন মিলুর এবারের প্রতিক আনারস।
চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলুর হলফনামায় সম্পদের বিবরণী রয়েছে কৃষিখাত থেকে আয় ১ লাখ টাকা, বাড়ি ও দোকান ভাড়া বাবদ আয় ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা, ব্যাংক জমা রয়েছে ১ হাজার ৯৪২ টাকা, বাস ট্রাক থেকে আয় ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, স্বর্ণ ও অন্যান্য ধাতুর মুল্য ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা, ইলেক্ট্রনিক সামগ্রীর মুল্য ৪২ হাজার টাকা, আসবাবপত্রের মুল্য ৪৮ হাজার টাকা, কৃষি জমি রয়েছে পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া) ১৫ বিঘা, অকৃষি জমির মুল্য (ক্রয় সূত্রে) ৩৩ লাখ ৭২ হাজার ৬০০ টাকা, দালান আবাসিক (ক্রয় সূত্রে) ১৭ লাখ ৫০০ টাকা, ব্যবসার পূঁজি বাবদ ৫৯ লাখ ৪৫ হাজার ৭৪০ টাকা।

রফিকুল ইসলাম তোতা

মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আরেক প্রার্থী রফিকুল ইসলাম তোতা। নির্বাচনে তার প্রতিক কাপ পিরিচ।
নির্বাচনী হলফনামায় তার সম্পদ বিবরণীতে দেখা গেছে কৃষিখাত থেকে বাৎসরিক আয় ৭৫ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে বাৎসরিক আয় ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা, নিজ নামে নগদ টাকার পরিমাণ ৫ লাখ টাকা, স্ত্রীর নামে নগদ টাকার পরিমাণ ৩ লাখ, ব্যাংকে জমা রয়েছে মাত্র ১ হাজার টাকা, একটি ট্রাক রয়েছে যার মূল্য ৫ লাখ টাকা, একটি মোটরসাইকেল যার মূল্য ৭০ হাজার টাকা, নিজ নামে স্বর্ণালংকার ৭ ভরি ও স্ত্রীর নামে স্বর্ণালংকার ৮ ভরি, অন্যান্য ব্যবসায় বিনিয়োগ রয়েছে ৩২ লাখ ৭ হাজার ৭৯০ টাকা, নিজ নামে কৃষি জমি রয়েছে ১০ বিঘা, আবাসিক দালান রয়েছে ১৯ শতক জমির উপর দোতালা। নিজ নামে রুপালী ব্যাংকের মুজিবনগর শাখায় লোন রয়েছে ২৯ লাখ ৭৭ হাজার ৭৯০ টাকা।

কামরুল হাসান চাদু

মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাবেক ভাইসচেয়ারম্যান কামরুল হাসান চান্দু। এবার ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হয়েছেন। তিনি মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য। তার নির্বাচনী প্রতিক ঘোড়া। তার নির্বাচনী হলফনামার হিসাব বিবরণীতে দেখা গেছে কৃষিখাত থেকে বাৎসরিক আয় ২০ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে বাৎসরিক আয় ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা, নগদ টাকা ১০ লাখ, স্ত্রীর নামে ৩ লাখ টাকা, ব্যাংকে জমা রয়েছে ৫ হাজার টাকা, নিজ নামে ৮ আনা, স্ত্রীর নামে সাড়ে ৭ ভরি ও নির্ভরশীলদের নামে ২ ভরি স্বর্ণালংকার রয়েছে। ফ্রীজ টিভি, ফ্যান ও মোবাইল ফোন যার মূল্য ৬০ হাজার টাকা, অন্যান্য ব্যবসায় বিনিয়োগ রয়েছে ২০ লাখ ৯০ হাজার টাকা, পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া নিজ নামে কৃষি জমি ৩ বিঘা ও স্ত্রীর পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ৫ বিঘা জমি রয়েছে। নিজ নামে সাড়ে ৩ কাঠা জমির উপর দোতালা ও স্ত্রীর নামে ১৫ শতক জমির উপর তিন তলা বাড়ি রয়েছে।




মেহেরপুরের সদর ও মুজিবনগর উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু

প্রথম ধাপে মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল ৮টায় একযোগে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। যা বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী,  দুটি উপজেলার ৩ লাখ ৩ হাজার ৬৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে, ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। মোট ১৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৮, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫জন রয়েছেন।

মেহেরপুর সদর

মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ৯৪ টি ভোট কেন্দ্রে ৫৭টি অস্থায়ী বুথসহ ৬০৫ টি বুথে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সদর উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ১৮ হাজার ৮০৪ জন ভোটার। এর মধ্যে ১ লক্ষ ৯ হাজার ৪৬৩ জন পুরুষ ও ১ লক্ষ ৯ হাজার ৩৪০ জন নারী ভোটার।

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

চেয়ারম্যান পদে আব্দুল মান্নান ঘোড়া, অ্যাড. ইব্রাহিম শাহিন কাপ পিরিচ, আনারুল ইসলাম মোটরসাইকেল ও হাসেম আলী  আনারস প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দীতা করছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোঃ আবুল হাসেম (চশমা), মোহাম্মদ শাহিন (টিউবওয়েল)। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লতিফন নেছা লতা (বৈদ্যুতিক পাখা ), সামিউন বাশিরা পলি (হাঁস), রোমানা আহমেদ (কলস) প্রতীক।

তবে, বিএনপি প্রার্থী রোমানা আহমেদ ইতোমধ্যে নির্বাচন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরে দাঁড়িয়েছেন।

পড়ুন চেয়ারম্যান প্রার্থীদের হলফনামা

মুজিবনগর

মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩৫ টি ভোট কেন্দ্রে ৭টি অস্থায়ী বুথ সহ ২৩৬ টি বুথে একযোগে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

মুজিবনগর উপজেলা নির্বাচনে মোট ভোটার ৮৫ হাজার ২৫৯ জন। এর মধ্যে ৪২ হাজার ৫৩৮ জন পুরুষ এবং ৪২ হাজার ৭২১ জন নারী ভোটার।

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

চেয়ারম্যান পদে আমাম হোসেন মিলু আনারস, কামরুল হাসান চাদুঁ ঘোড়া, রফিকুল ইসলাম কাপ পিরিস এবং মাহবুবুর রহমান মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনের লড়ছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিএম জাহিদ হাসান (টিউবওয়েল) ও মতিউর রহমান(চশমা)। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা খাতুন ফুটবল ও  তকলিমা খাতুন কলস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহ জানান, অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সকল ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য ৪ থেকে ৫ জন করে পুলিশ বাহিনীর সদস্য, ১৩ থেকে ১৮ জন করে আনসার ভিডিপি সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।

এছাড়াও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে স্টাইকিং ফোর্স তাদের দায়িত্ব পালন করছেন।




মেহেরপুরে নির্বাচনী উপকরণ বিতরণ

মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুর ১২টার দিকে নির্বাচন অফিস থেকে নির্বাচনী সরঞ্জাম কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হয়। মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৯৪টি কেন্দ্রে ২ লাখ ১৮ হাজার ৮শ’ ৪ চারজন ভোটার রয়েছে।

উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, আনারুল ইসলাম (মোটরসাইকেল), অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম শাহিন (কাপ পিরিচ),আব্দুল মান্নান (ঘোড়া) ও মো. হাসেম আলী (আনারস) প্রতীক পেয়েছেন।

এদিকে মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রফিকুল ইসলাম তোতা (কাপ পিরিচ), আমাম হোসেন মিলু (আনারস), উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কামরুল হাসান চাদুঁ (ঘোড়া) এবং মাহবুবুর রহমান (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন।

মেহেরপুর জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটানিং অফিসার মো. ওয়ালি উল্লাহ জানান, নির্বাচনের সব প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কেন্দ্রে কেন্দ্রে নির্বাচনী সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে আশা করছি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সুষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।




কম বয়সে উচ্চ রক্তচাপ এড়াতে যা করণীয়

বয়স্কদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকে এ ধারণাটি সঠিক নয়। অল্প বয়সের মানুষের মধ্যে রক্তচাপের মাত্রা বাড়ছে। অপেক্ষাকৃত ২০ থেকে ৪০ বছরের কমেও এটি হতে পারে। দেশের অল্প বয়সী জনগোষ্ঠীর প্রায় ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। তাদের মধ্যে ১৭ শতাংশ পুরুষ আর ৯ শতাংশ নারী।

অল্প বয়সে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ার পেছনে তরুণ প্রজন্মের কিছু বদভ্যাস দায়ী। অতি লবণযুক্ত ফাস্টফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ, ওজন বৃদ্ধি ও কায়িক শ্রমের অভাব অল্পবয়সী মানুষের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। এই তরুণদের ৬৮ শতাংশের উচ্চ রক্তচাপের কোনো উপসর্গ নেই।

চিকিৎসকেরা বলেন, রক্তচাপের মাত্রা বাড়ছে মানেই একই সঙ্গে বাড়ছে হৃদরোগের ঝুঁকিও। অল্প বয়সেই কোনও গুরুতর রোগের আশঙ্কা এড়িয়ে চলতে যে নিয়মগুলো মেনে চলতে পারেন:

ব্যস্ততার মধ্যে কিছুটা সময় বের করে নিয়মিত শরীরচর্চা করতে পারেন। সপ্তাহে অন্তত চার দিন সাইকেল চালানো, সাঁতার বা যে কোনও খেলাধুলো করতে পারলে ভালো। এছাড়া, সকালে ঘুম থেকে উঠে, বিকেলে ও রাতে খাবার পরে হাঁটাহাঁটি করতে পারলে স্বাস্থ্যর জন্য উপকারী।

ছোট থেকেই প্রোটিন, ভিটামিন এবং বিভিন্ন খনিজ, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট-সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকা ভালো। পাশাপাশি, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। না হলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। এই উপাদানগুলি শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকলে রক্তচাপের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।

বয়স কম হলেও নিয়মিত রক্তচাপ মাপতে হবে। বিশেষ করে যদি পরিবারে এমন কোনও রোগ থেকে থাকে, সে ক্ষেত্রে সময় থাকতেই সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।

তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সূত্র: ইত্তেফাক




গাংনীতে পিএসকেএসের উদ্যোগে মাঠ দিবস

পলাশীপাড়া সমাজ কল্যণ সমিতি (এসকেএস) কর্তৃক সমন্বিত কৃষি ইউনিটভুক্ত কৃষিখাত এর আওতায় উন্মত জাতের ধান চাষের ওপর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গাংনী উপজেলার গাড়াডোব গ্রামে মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়। উচ্চ ফলনশীল নতুন জাতের ব্রি ধান ১০০ ওপর আয়োজিত উক্ত মাঠদিবসের সদস্য পর্যায়ে নতুন জাতের জিংক সমৃদ্ধ ধান চাষাবাদ পদ্ধতি, বীজ তলা তৈরি, সার ব্যবস্থাপনা, সেচ ব্যবস্থাপনা, রোগ পোকামাকড় এবং ধান সংগ্রহ ও সংরক্ষন সম্পকে আলোচলা করেন, আব্দুর রউফ উপজেলা সম্প্রসারণ কৃষি কর্মকর্তা, গাংনী উপজেলা, মেহেরপুরে এছাড়াও মাঠ দিবসে আলোচনা করেন সংস্থার কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জুয়েল বিশ্বাস, সমন্বিত কৃষি ইউনিট , গাংনী , মেহেরপুর।

সদস্যদের মাঝে প্রতিরূপায়ন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সফল কৃষকের ক্ষেত পরিদর্শনসহ প্রত্যাশিত লাভের হিসাব সরেজমিনে দেখানো হয়। এ সময় সংস্থার কর্মকর্তা কৃষক কৃষাণী ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।




দুই ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ বাংলাদেশ

টানা দুই ম্যাচে দাপুটে জয়। তাই তৃতীয় ম্যাচেই বাংলাদেশের সামনে সুযোগ ছিল সিরিজ জয়ের। সেটাই করে দেখালো টাইগাররা। পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ৯ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এতেই দুই ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ নিজেদের করে নিলো নাজমুল হাসান শান্তর দল।

মঙ্গলবার (৭ মে) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠান জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে টাইগাররা। তবে তাওহিদ হৃদয় ও জাকের আলির ব্যাটে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ।

হৃদয় ৩৮ বলে ৫৭ ও জাকের আলি ৩৪ বলে ৪৪ রান করেন। জিম্বাবুয়ের পক্ষে ব্লেসিং মুজারবানি নেন ৩টি উইকেট।

১৬৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই জয়লর্ড গাম্বির উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। দলীয় ১৬ রানে ৮ বলে ৯ রান করে আউট হন তিনি। জিম্বাবুয়ের এই ওপেনারকে ফেরান মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।

এরপর ক্রিজে এসেই সাজঘরে ফিরে যান ব্রায়ান বেনেট। ৮ বলে ৫ রান করে তানজিম সাকিবের বলে আউট হন এই ব্যাটার। তার বিদায়ের পর আউট হন ক্রেইগ এরভাইন।

দলীয় ৩৩ রানে ৭ বলে ৭ রান করে আউট হন এরভাইন। শুরুতেই তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে জিম্বাবুয়ে। টাইগার বোলারদের বোলিং তোপে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে সফরকারীরা। ৫৮ রান সংগ্রহ করতে আরও ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় জিম্বাবুয়ে।

শেষ দিকে ফারাজ আকরামের ১৯ বলে ৩৪ রানের ইনিংস ম্যাচ জমিয়ে তোলে। তবে টাইগার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের পক্ষে সাইফুদ্দিন নেন ৩টি উইকেট।

সূত্র: ইত্তেফাক