আরবি ভাষার উৎস, জন্ম ও ক্রমবিকাশ- এম এ এস ইমন

তাদের বাণিজ্যপথের মাধ্যমে নাবাতিয়ান আরবি ভাষা ও এই রূপান্তরিত আরামাইক লিপি আরব উপদ্বীপের পশ্চিম উপকূলে হিজাজ (বর্তমানে ইসলামের পবিত্র নগরী মক্কা ও মদিনা এই হিজাজ অঞ্চলে অবস্থিত) হয়ে ইয়েমেন পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।

যা-ই হোক, প্রথমে নাবাতিয়ান বাণিজ্যের প্রভাবে এবং পরে ইসলামের প্রসারের সাথে সাথে সারা আরব উপদ্বীপেই ধীরে ধীরে আরবি ভাষা ছড়িয়ে পড়ে, এবং আগের প্রাচীন ভাষাগুলোর ব্যবহার কমতে কমতে এককালে হারিয়ে যায়। প্রধান ব্যতিক্রম থেকে যায় নাবাতিয়ান রাজ্য থেকে দূরতম প্রান্তে অবস্থিত ইয়েমেন ও ওমান সীমান্তে হাজরামাউত ও জুফার অঞ্চল, যেখানকার আঞ্চলিক ভাষা তখনও আরবি ছিল না।

৩২৯ খ্রিষ্টাব্দে দামেস্কের ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে আন-নামারাতে আরেকটি শিলালিপি আবিষ্কৃত হয়। এই শিলালিপির ভাষাটি প্রায় শাস্ত্রীয় আরবির মতোই। যদিও এই শিলালিপিগুলো স্পষ্টতই আরবি ভাষায় লেখা, এগুলো আরবি লিপিতে লেখা নয়, বরং এটি নাবাতিয়ান লিপি, যা আরামাইক লিপি থেকে এসেছে।

কিন্তু কিছু শিলালিপি খ্রিষ্টীয় ৪র্থ এবং ৫ম শতাব্দীরও রয়েছে, যেগুলো আরবি ভাষার মতো একটি লিপিতে লেখা। সাধারণত মনে করা হয় যে, আরবি লিপি নাবাতিয়ান লিপি থেকে বিকশিত হয়েছে, এবং এই শিলালিপিগুলো একটি স্ক্রিপ্ট বা লিপিতে লেখা হতে পারে যেটি এই দুটির মধ্যে হতে পারে। এই শিলালিপিগুলো মূলত উত্তর আরবের ছিল।

অন্যদিকে, দক্ষিণ আরবীয়রা তাদের বাণিজ্যিক আদান-প্রদান, ঐতিহাসিক ঘটনাবলি ও সাহিত্য ইত্যাদি বিষয়কে লিপিবদ্ধ করার জন্য যে ধরনের উপাদান ব্যবহার করত, তা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। এই ধরনের শিলালিপির প্রাচীনতম নিদর্শনগুলোর বয়স খ্রিষ্টপূর্ব অষ্টম ও নবম শতক।

এই লিপিগুলো লেখা হতো একবার বাঁ দিক থেকে ডান দিকে, পরের লাইন ডান থেকে বাঁ দিকে। এই লিপিগুলো থেকে জানা যায় যে, দক্ষিণ আরবীয় বা মিনীয়-সাবিয়ান ভাষার (হিময়ারাইট নামেও পরিচিত) বর্ণমালাতে ২৯টি অক্ষর ছিল যা আধুনিক আরবি বর্ণমালাতেও দেখা যায়। বর্ণগুলোর আকার ছিল অনেকটা কাঁটাওয়ালা আঁকশি বা কুড়ুলের মতো।

এগুলো এসেছিল সিনিয় বর্ণমালা থেকে, যেটি আবার ফিনিশিয় ও মিশরীয় বর্ণমালার পূর্বসূরির মধ্যে যোগসূত্র গড়ে তুলেছিল। এই সমস্ত সুসামঞ্জস্য অক্ষরগুলো একটি দীর্ঘ উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে নির্দেশ করে।

অন্যান্য সেমিটিয় বর্ণমালার মতো এর বর্ণমালাতেও কেবলমাত্র ব্যঞ্জনবর্ণেরই অস্তিত্ব ছিল। বিশেষ্য পদ গঠনে, ক্রিয়ার ধাতুরূপ, ব্যক্তিবাচক সর্বনাম ও শব্দভাণ্ডারের বেশ কিছু ক্ষেত্রে আক্কাদিয়ান (অ্যাসিরো-ব্যাবিলনিয়ান) ও ইথিওপীয় ভাষার সঙ্গে দক্ষিণ আরবীয় ভাষার মিল লক্ষ্য করা যায়।

আবার, এই ভাষার মধ্যে ভাঙা-ভাঙা বহুবচন লক্ষ্য করা যায় যা উত্তর আরবীয় ও ইথিওপীয় ভাষার বৈশিষ্ট্যকেই প্রতিফলিত করে। আক্কাদিয়ান, দক্ষিণ আরবীয় ও ইথিওপীয় ভাষা কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুরনো সেমিটিক ভাষার বৈশিষ্ট্যকেই প্রতিফলিত করেছে। ইয়েমেন সংস্কৃতি ধ্বংসের সঙ্গে সঙ্গে দক্ষিণ আরবীয় ভাষার বিলুপ্তি ঘটে, আর এই স্থান দখল করে নেয় উত্তর আরবীয় ভাষা। উত্তর আরবে ‘উকাজ’-এর মতো সাহিত্য মেলা, কাবায় বার্ষিক হজ্বযাত্রা ও মক্কার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক এই পরিবর্তনের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে।

আরবে ইসলাম আগমনের আগে, উপদ্বীপের চারপাশে আরবি ভাষার অসংখ্য উপভাষা প্রচলিত ছিল। তবে ‘কোইন’ নামে একটি সাধারণ সাহিত্যিক ভাষাও ছিল কবিতার জন্য, যা বিভিন্ন উপজাতির মধ্যে ব্যবহৃত হতো। সাহিত্যিক ভাষা কোইনে লেখা কবিতার অংশগুলো ক্লাসিক্যাল বা ধ্রুপদী আরবি ভাষার প্রাচীনতম উদাহরণ।

ধ্রুপদী আরবি সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন হলো ‘মুআল্লকাত’ নামক কবিতা সংকলন। আরব পণ্ডিতদের মতে, ইসলামি যুগের আগে তদানীন্তন প্রাক-ইসলামি কবিদের লেখা সেরা সাতটি দীর্ঘ কবিতা সংগ্রহ করে একে একত্রে সংকলন করা হয়। এই প্রাক-ইসলামি কবিদের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত ইমরুল-কায়েস, যিনি খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ শতকের প্রথমার্ধে জীবিত ছিলেন। পরবর্তী যুগে আরবি ব্যাকরণবিদরা যে ভাষাকে ‘আরাবিয়্যা’ নাম দিয়ে প্রমিত আরবি হিসেবে গ্রহণ করেন, তার প্রথম নিদর্শন এই কবিতাগুলো। কুরআন পাঠে যে আরবি উচ্চারণ ও ব্যাকরণ ব্যবহার হয়, সেটিও এই প্রমিত আরবির উদাহরণ।

তাই বলা যায়, ধ্রুপদী আরবি, যেটি ৬ষ্ঠ শতক থেকে প্রচলিত হয়, সেটাতেই পবিত্র কুরআন লেখা হয়েছে। কুরআন লেখার সময় ধ্রুপদী আরবি ভাষার সাতটি উপভাষা ছিল, যার সবকটিতেই কুরআন লেখা হয়েছিল। কিন্তু কুরাইশ সংস্করণটি সেই মানদণ্ড হয়ে উঠেছে, যার উপর ভিত্তি করে আজকের কুরআন পঠিত হয়।

পার্থক্যগুলো উচ্চারণে; শব্দভান্ডার বা ব্যাকরণে নয়। কুরআনের আরবি প্রাক-ইসলামিক ধ্রুপদী আরবি কবিতার অনুরূপ, তবে সম্পূর্ণভাবে নয়। হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবনের শুরু থেকে অষ্টম শতাব্দী পর্যন্ত, ইসলামি সাম্রাজ্যের বিজয় আরবি ভাষাকে নতুন নতুন দূরবর্তী দেশে ছড়িয়ে দেয়। ইসলামি সাম্রাজ্যের বিস্তৃতির পর আরবি ভাষাকে মানসম্মত করার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়। কারণ, বিপুল সংখ্যক মানুষ এই ভাষা ব্যবহার শুরু করেছিল। যার কারণে একে আরও ব্যবহারিক করা হয়, নতুন শব্দভাণ্ডার তৈরি করা হয়, এবং গদ্যের ব্যাকরণ ও গদ্যশৈলী প্রমিত করা হয়।

সব সেমিটিক ভাষার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো ব্যাঞ্জনবর্ণ দিয়ে গঠিত শব্দমূল। সাধারণত তিনটি ব্যাঞ্জনবর্ণ নিয়ে গঠিত হয় একটি মূল শব্দ, যাদের একটি মূল অর্থ থাকে। তারপর স্বরবর্ণ যোগ করে বা উপসর্গ, মধ্যসর্গ আর অন্তঃপ্রত্যয় বসিয়ে এই মূলকে বিভিন্নভাবে পরিবর্তন করে বিভিন্ন কাছাকাছি অর্থের শব্দ তৈরি করা হয়। উদাহরণস্বরূপ আরবি ‘সালিম’ মূলটি দেখা যাক। এর অর্থ ‘নিরাপদ’। মূল শব্দের সাথে স্বরবর্ণ বা উপসর্গ, মধ্যসর্গ আর অন্তঃপ্রত্যয় যোগ করে আমরা পাই: সালামুন (যার অর্থ শান্তি), মুসলিমুন (যার অর্থ মুসলিম)। আবার ‘কিতাব’ দেখি, যার অর্থ ‘বই’। এ থেকে পেলাম কুতুবি (যার অর্থ বই বিক্রেতা), মক্তব (যার অর্থ প্রাথমিক বিদ্যালয়)। আর এভাবেই আরবি ভাষার বিভিন্ন শব্দভাণ্ডার তৈরি হয়েছে।

যখন লিখিত ভাষা হিসেবে ধ্রুপদী আরবি প্রমিত হচ্ছে, আরব সাম্রাজ্যের শহরগুলোতে আরবি ভাষার স্থানীয় উপভাষাগুলোও আবির্ভূত হয়। এই উপভাষাগুলো সরাসরি ধ্রুপদী আরবি থেকে আসেনি, বরং প্রাক-ইসলামিক আরবি উপভাষা ‘কোইন’ থেকে এসেছে। লেভান্ট এবং মেসোপটেমিয়ার উপভাষাগুলো আরামাইক দ্বারা, মাগরেবের উপভাষাগুলো বারবার (Berber) দ্বারা, মিশরের উপভাষাগুলো কপ্টিক দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল।

এই নতুন উদীয়মান উপভাষাগুলোর প্রথম শতাব্দীকে নিও বা নব্য-আরবি হিসেবে উল্লেখ করা হয়। যদিও ধ্রুপদী আরবি প্রমিত ছিল, সবাই এটি নিখুঁতভাবে লিখতে পারত না। ক্লাসিক্যাল আরবি এবং নব্য-আরবি বা এর উপভাষা উভয়ের বৈশিষ্ট্য ধারণ করা লেখাকে মিডল বা মধ্য আরবি ভাষা বলা হয়।

‘মিডল’ কোন সময়কে বোঝায় না, বরং এই আরবি ক্লাসিক্যাল এবং নব্য-আরবির কথোপকথনের মধ্যবর্তী ভাষা ছিল। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে নিও আরবি উপভাষাটি (যেটি আধুনিক) আধুনিক আরবিসহ কথোপকথন উপভাষায় বিকশিত হতে থাকে, কিন্তু সাহিত্যিক আরবি তুলনামূলকভাবে স্থির ছিল, কারণ কুরআনের আরবিকে সর্বদাই আদর্শ হিসেবে দেখা হতো।

আদর্শ আরবি অনুসরণ করার জন্য এটি সম্ভবত উপভাষার উপর রক্ষণশীল প্রভাব ফেলেছিল, এবং এই কারণে নেপোলিয়ন মিশরে প্রবেশের পরেও তাদের মধ্যে খুব বেশি পরিবর্তন আসেনি।

মধ্যযুগের প্রথমদিকে আরবি ভাষা ছিল ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর সংস্কৃতির প্রধান বাহন। এটি বিশেষ করে বিজ্ঞান, গণিত এবং দর্শনে বহুল ব্যবহৃত হতো। ফলে ইউরোপের দেশগুলোর অনেক ভাষাও আরবি থেকে প্রচুর শব্দ ধার করেছে।

ইউরোপের খ্রিস্টান ও আরবের মুসলিম সভ্যতার নৈকট্য এবং দীর্ঘস্থায়ী মুসলিম সংস্কৃতি ও আরবি ভাষার উপস্থিতির কারণে স্প্যানিশ, পর্তুগিজ, কাতালান এবং সিসিলিয়ান শব্দভাণ্ডারে আরবি শব্দ দেখা যায়।

উদাহরণস্বরূপ, ‘আলজেবরা’ বা ‘বীজগণিত’ আরবি শব্দ ‘আল-জাবর’ থেকে এসেছে। মাল্টিজ বা মাল্টার ভাষা হলো একটি সেমিটিক ভাষা, যা আরবি ভাষার একটি উপভাষা থেকে এসেছে এবং এটি ল্যাটিন বর্ণমালায় লেখা হয়। গ্রীক এবং বুলগেরিয়ানসহ বলকান রাষ্ট্রের ভাষাগুলোও অটোমান তুর্কিদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে আরবি ভাষার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শব্দ অর্জন করেছে।

১৭৯৮ সালে আরব বিশ্ব প্রথমবারের মতো পশ্চিমা বিশ্বের সাথে যোগাযোগের বৃহত্তর যুগে প্রবেশ করে এবং নতুন পশ্চিমা ধারণাগুলো প্রবাহের জন্য আরবি ভাষাকে বিংশ শতকের গোড়ার দিকে আধুনিকায়ন করার প্রয়োজনিয়তা অনুভব করে। ফলশ্রুতিতে আরবি ভাষার আঞ্চলিক একাডেমিগুলো ভাষার একটি সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু করে। সংস্কার প্রক্রিয়াটি প্রধানত ভাষার শব্দভান্ডার সম্প্রসারণ এবং ভাষাকে আধুনিক করা নিয়ে ব্যাপক কাজ করে। সংস্কার প্রক্রিয়ার পর আরবি ভাষা আধুনিক স্ট্যান্ডার্ড আরবি হিসাবে পরিচিতি লাভ করে।

বিশ্বজুড়ে আরবি ভাষা অন্যান্য অনেক ভাষাকে প্রভাবিত করেছে, বিশেষ করে মুসলিম সংস্কৃতি এবং মুসলিমরা যেসব দেশ জয় করেছিল সেগুলোর ভাষাকে। সর্বাধিক প্রভাবিত ভাষার মধ্যে কয়েকটি হলো ফার্সি, তুর্কি, হিন্দি, উর্দু, কাশ্মীরি, কুর্দি, বসনিয়ান, কাজাখ, বাংলা, মালয় (ইন্দোনেশিয়ান এবং মালয়েশিয়ান), মালদ্বীপ, পশতু, পাঞ্জাবি, আলবেনিয়ান, আর্মেনিয়ান, আজারবাইজানীয়, সিসিলিয়ান, স্প্যানিশ , গ্রীক, বুলগেরিয়ান, তাগালগ, সিন্ধি, ওড়িয়া, হিব্রু, হাউসা, এবং আফ্রিকার কিছু কিছু ভাষা, যেমন: সোয়াহিলি, সোমালি। বিপরীতে, অন্যান্য ভাষা থেকেও আরবি ভাষায় শব্দ এসেছে, যার মধ্যে রয়েছে আরামাইক, হিব্রু, ল্যাটিন, গ্রীক, ফার্সি এবং কিছুটা তুর্কি (উসমানী সাম্রাজ্যের কারণে), ইংরেজি এবং ফরাসি (লেভান্টে তাদের উপনিবেশের কারণে) এবং অন্যান্য সেমিটিক ভাষা, যেমন- আবিসিনিয়ান।

আরবি বর্ণমালা লেখা হয় ডান দিক থেকে বাম দিকে। এই বর্ণমালাগুলো নাবাতিয়ানের মাধ্যমে আরামাইক থেকে উদ্ভূত হয়েছে। সাধারণ লেখার পাশাপাশি আরবি বর্ণমালার অনেকগুলো লিখনশৈলী বিকশিত হয়েছিল।

এদের মধ্যে অন্যতম ও সুন্দর একটি লিখন পদ্ধতি হলো আরবি ক্যালিগ্রাফি। পবিত্র কুরআন ও অন্যান্য বই লেখার জন্য, এবং মসজিদ, মাজার বা ইসলামের স্মৃতিসৌধের শিলালিপিগুলোর সজ্জা হিসেবে আরবি ক্যালিগ্রাফির ব্যবহার দেখা যায়। এই ক্যালিগ্রাফিগুলো কুরআনের একটি আয়াত বা একটি হাদিস বা আরবিতে লেখা যেকোনো বিমূর্ত আর্ট বা শৈল্পিক নকশা হতে পারে।

ক্যালিগ্রাফিগুলো বেশ মনোমুগ্ধকর হয় বলে বিভিন্ন ডিজাইন হিসেবে এগুলোর ব্যবহার চোখে পড়ে। সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে এসব ক্যালিগ্রাফির বিশ্বজোড়া ব্যাপক কদর রয়েছে।

সংকলনেঃ এম.এ.এস ইমন
প্রকাশক, দৈনিক ‘মেহেরপুর প্রতিদিন’




পুত্র সন্তানের বাবা হলেন সাংবাদিক ফরহাদ

পুত্র সন্তানের বাবা হলেন মেহেরপুর প্রতিদিন পত্রিকার দর্শনা প্রতিনিধি ফরহাদ হোসেন। গত শনিবার সকাল ১০ টা ১৫ মিনিটে দর্শনা মুক্তি ক্লিনিকে সিজারিয়ানের মাধ্যমে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন সাংবাদিক স্ত্রী মায়মুনা খাতুন। বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন মা ও ছেলে।

প্রথম বাবা হলেন দর্শনা প্রেসক্লাবের সদস্য ফরহাদ হোসেন। সদ্য ভূমিষ্ট পুত্র সন্তানকে নিয়ে আনন্দের শেষ নেই তার। পুত্র সন্তানের বাবা হওয়ায় তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মেহেরপুর প্রতিদিন পত্রিকার দর্শনা ব্যুরো প্রধান ও রাজধানী টেলিভিশনের চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি আহসান হাবীব মামুন।

স্ত্রী মায়মুনা খাতুন ও সদ্য ভূমিষ্ট পুত্র সন্তানের জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন সাংবাদিক ফরহাদ।




দামুড়হুদায় সাংবাদিকদের সাথে ইউএনও এর মতবিনিময়

দামুড়হুদা উপজেলার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করলেন নব যোগদানকৃত উপজেলা নির্বাহী অফিসার তিথি মিত্র। আজ সোমবার বেলা ২টার সময় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পরিষদের সম্মেলন কক্ষে উপজেলার কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তিথি মিত্র’র সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে এইচ তাসফিকুর রহমান, দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সভাপতি শামসুজ্জোহা পলাশ, সাধারণ সম্পাদক তানজির ফয়সাল, সহসভাপতি মিরাজুল ইসলাম মিরাজ, সাংগঠনিক সম্পাদক রকিবুল হাসান তোতা, প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য হাবিবুর রহমান হবি, আরিফুল ইসলাম মিলন। প্রেসক্লাব সদস্য শেখ হাতেম, আনারুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম মানিক, বিল্লাল হোসেন। দামুড়হুদা সাংবাদিক সমিতির সভাপতি হাফিজুর রহমান কাজল, সাধারণ সম্পাদক শাহজালাল বাবু, সহসভাপতি মোজাম্মেল শিশির। দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল হক পিপুল, সাবেক সভাপতি আওয়াল হোসেন, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি জাহিদুল হক, সাবেক সভাপতি মনিরুজ্জান ধীরু, সাংবাদিক সমিতির সাধারন সম্পাদক হানিফ মন্ডল, সাবেক সাধারন সম্পাদক আহসান হাবীব মামুন, সহ সম্পাদক মনিরুজ্জান সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসমত আলী প্রমূখ।

মতবিনিময় সভা অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকটা সাংবাদিক তাদের মতামত তুলে ধরেন। দামুড়হুদা উপজেলার সম্ভাবনা এবং সমস্যা তুলে ধরে বক্তারা বলেন, দামুড়হুদা উপজেলা একটি বর্ডার বেল্ট সাইড। পূর্বের মতো এখনো এসব সাইড দিয়ে প্রচুর পরিমাণে মাদকদ্রব্য আসে, এরমধ্যে ফেনসিডিল, গাঁজা, হেরোইন এবং ব্রুপ্রোফাইন ইনজেকশন অন্যতম। ভারত থেকে যখন গরু আসে বা গরু পার হয়ে বাংলাদেশে আসে তখন ইন্ডিয়ান বিএসএফ বাংলাদেশীদের গুলি করে হত্যা করে। কিন্তু যখন মাদকদ্রব্য আসে তখন বিএসএফ কিছুই বলে না, বরঞ্চ আরও সাহায্য সহযোগিতা করে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতন হওয়ার পরে এখনো পর্যন্ত বর্তমানে উপজেলার শিক্ষা ব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক হয়ে গিয়েছে। কোন স্কুলে কমিটি না থাকার কারণে কেউ কারো কোনো কথা শোনে না, মাধ্যমিক এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঠিকমতো ক্লাশ হয় না। দামুড়হুদা সদরে সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে মাসে তিন দিনও ঠিকমতো ক্লাস হয়না, বাজার ঘাট ও স্কুলের বর্তমানে কোন কমিটি নেই, যার ফলে কেউ কোন দায়িত্ব পালন করছেনা।

দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম নিবন্ধন নিয়ে খুবই হয়রানির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। প্রচুর পরিমাণে জন্ম নিবন্ধন পেন্ডিং রয়েছে। কারো কারো গত দুই বছরের জন্ম নিবন্ধন পর্যন্ত এখনো ঝুলে আছে, টাকা নিয়েছে কিন্তু কাজ হয়নি। সরকারি নির্ধারিত ফি’র তিনগুণ চার গুণ দিয়েও কাজ হচ্ছে না। সঠিক সময়ে জন্ম নিবন্ধন না পাওয়ার কারণে এই ইউনিয়নের প্রায় অর্ধশত প্রাইমারি শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারেনি। শুধু তাই নয় জন্ম নিবন্ধনের জন্য ইউনিয়ন পরিষদে হঠকারিতা গ্যাঞ্জাম ফ্যাসাদ লেগেই আছে। দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বাইরে থেকে চকচকে দেখা গেলেও তার ভেতরের বর্তমান চিত্রপট খুবই শোচনীয়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জাত সুইপার না থাকার কারণে বাথরুম গুলোর বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে, সেখানে রোগী এবং জনসাধারণ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে টয়লেট ব্যবহার করছে।

অথচ সুইপারের নামে সরকারি টাকা ঠিকই পাচ্ছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যে সকল খাবার পরিবেশন করা হয় তাও নিম্নমানের ও সঠিক ভাবে রুটিন মনে কাজ হয়না। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারদের ঠিকমত পাওয়া যায় না। বিভিন্ন ট্রেনিং এর নামে তারা বেশিরভাগ সময় বাইরে থাকে। সন্ধ্যার পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হয়ে ওঠে মাদকের অভয়ারণ্য। ফলে যারা সেখানে থাকে তারা রাতে বাইরে বের হতে ভয় পায়। দামুড়হুদা বাস স্ট্যান্ডে সব সময় যানজট লেগেই থাকে, তা নিরসনে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। শুধু দামুড়হুদা বাসট্যান্ড নয় ডুগডুগি পশুহাট, কার্পাসডাঙ্গা হাটও সাপ্তাহিক হাটের দিন চরম যানজটে পরিণত থাকে, যা স্থায়ীভাবে সমাধান হওয়া প্রয়োজন। দামুড়হুদা উপজেলা একটি কৃষি নির্ভর অঞ্চল। এখানে প্রচুর পরিমাণে ধান উৎপাদন হয়। কিন্তু তা বিক্রির জন্য এই অঞ্চলে কোন স্থায়ী ধানের হাট নেই। ধান বেচা কেনার জন্য সুদূর জীবননগর উপজেলায় নিয়ে যেতে হয়। যা কৃষকের জন্য খুবই কষ্টকর। তাই দামুড়হুদায় একটি ধানের হাট খুবই প্রয়োজন। এছাড়াও এই উপজেলায় কিশোরগ্যাং একটা বড় সমস্যা। শুধু তাই নয় দর্শনায়ই এক মাসের ব্যবধানে চার পাঁচটি স্থান থেকে বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। যাতে করে দর্শনাবাসী খুবই ভয়ে এবং উদ্বিগ্ন হয়ে আছে।

এছাড়াও এখনো সাংবাদিকদের মাদক দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ভাবে করা হয়। ইতিমধ্যে সাংবাদিকের নামে মাদকের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টাকরী ওই পুলিশ অফিসার কে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করা হয়। এসময় উপজেলার সকল বিষয়ে দামুড়হুদা ও দর্শনা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা নবাগত ইউএনও তিথি মিত্র’র পাশে থেকে সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন।

মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তিথি মিত্র বলেন, যে সকল সমস্যার কথা শুনলাম তা নিরসনে সকলের সহযোগিতা একান্তভাবে প্রয়োজন। এককভাবে সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়, তবে সমস্যা নিরসনে আমার শতভাগ চেষ্টা থাকবে। সঠিক সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে সকলের সহযোগিতায় এই দামুড়হুদা উপজেলা হয়ে উঠবে একটি চমৎকার উপজেলা।




মেহেরপুরের কুতুবপুরে ওয়ার্ড বিএনপি’র ইফতার ও দোয়া মাহফিল

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে মেহেরপুরের কুতুবপুরে ১,২,৩ ও ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের নতুন পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এ ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা বিএনপি’র সদস্য ওমর ফারুক লিটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়েজ মোহাম্মদ।

এছাড়াও এসময় জেলা বিএনপি’র সদস্য আলমগীর খান সাতু, জেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা নাজমিন নাহার রিনা, জেলা জিয়া মঞ্চের সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম মনি, লিটন মাস্টার, সৌরভ, যুবদল নেতা আবু তালেব, আব্দুল আলিম, রফিকুল ইসলাম, জিনারুল ইসলাম, নিজামুদ্দিনসহ ওয়ার্ড বিএনপি’র নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




দেশে ফিরলেন হামজা, বিমানবন্দরে সমর্থকদের ভিড়

হামজা চৌধুরী। বাংলাদেশে ফুটবলে নতুন এক সম্ভাবনার নাম। দেশের একমাত্র ফুটবলার হিসেবে যার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। সেই তিনি এবার লাল-সবুজের জার্সি গায়ে তুলতে দেশে ফিরেছেন। সোমবার পৌনে ১২ টায় দেশের মাটিতে পা রাখেন হামজা।

জানা যায়, বাংলাদেশ সময় রাত দু’টায় বাংলাদেশ বিমানের ম্যানচেস্টার থেকে সিলেট ফ্লাইটে রওনা হন হামজা। বিমানবন্দরে হামজা ও তার পরিবারকে বরণ করে নিতে এয়ারপোর্টে আগে থেকেই উপস্থিত ছিল বাফুফের ৭ জন নির্বাহী সদস্য। যারা হামজাকে বিমানবন্দরে ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন।

এদিকে বাফুফে কর্তাদের ছাড়াও হামজাকে বরণ করতে বিমানবন্দরে হাজির হয়েছেন সিলেটের বাসিন্দারা। হামজার আগমনকে কেন্দ্র করে সাজানো হয়েছে তার বাড়ি। বাড়ির সামনে গেইট করা হয়েছে। বলা হচ্ছে ছাদখোলা গাড়িতে করে বাড়ি ফিরবেন হামজা। পথে ভক্তদের ভালোবাসায় সিক্ত হবেন তিনি।

বাফুফের সূত্রে জানা যায়, আগামী ২৫ মার্চ বাংলাদেশের হয়ে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে হামজার। সেই অনুযায়ী হামজা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজনেস ক্লাসে ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার থেকে রওনা হয়েছেন। এরপর বিশ্রাম শেষে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দেবেন তিনি। এরপর সব ঠিক থাকলে মাঠে নামবেন ভারতের বিপক্ষে। যা দেখার অপেক্ষায় এখন লাখো ফুটবলপ্রেমী।




মেহেরপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে জনবল সঙ্কটে কার্যক্রমে স্থবিরতা

দেড় বছর ধরে জনবল সঙ্কটে কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে মেহেরপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে। উন্নয়ন মূলক কাজ তদারকি ও দাপ্তরিক নানা সমস্যায় জর্জরিত হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। বারবার এ দপ্তর থেকে জনবলের চাহিদা পাঠানো হলেও কাঙ্খিত পদায়ন করা হচ্ছে না।

মেহেরপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, সহকারী প্রকৌশলী থেকে অফিস সহায়কসহ ১৪টি পদ শুন্য রয়েছে। এর মধ্যে সহকারী প্রকৌশলী থাকার কথা ৪ জন সেখানে আছেন একজন। উপসহকারী প্রকৌশলীর দুটো পদই শুন্য।

সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা, হিসাবরক্ষক, উচ্চমান সহকারী, কম্পিউটার অপারেটর, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, ক্যাশ সরকার পদ শুন্য রয়েছে।

অফিস সহায়কের দুটি পদই শুন্য। এতগুলো শুন্য পদ বিপরীতে কয়েকজন দিন হাজিরা পারিশ্রামিক দিয়ে কাজ চালিয়ে নিতে হচ্ছে। যার জন্য ব্যয় হচ্ছে অর্থ।

এলাকার ঠিকাদাররা অভিযোগ করে জানান, অনেক গুলো পদ শুন্য থাকায় চলমান প্রকল্পের কাজগুলো ইঞ্জিনিয়াররা ঠিকমত পরিদর্শন করতে পারেন না। যার জন্য প্রকল্পগুলো শেষ করতে দেরি হচ্ছে । এছাড়া অফিসে হিসাবরক্ষক না থাকায় ঠিকমত বিলও পাওয়া যাচ্ছে না। দ্রুত শুন্য পদে পদায়ন দিয়ে এসকল সমস্যার সমাধান করার দাবী জানান তারা।

হিসাবরক্ষক ও ক্যাশ সরকার না থাকায় সহকারী হিসাব রক্ষক রিয়াদ হোসেনকে একাই করা লাগছে তিনজনের কাজ। যার ফলে স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। অনেক বেশি সময় এক কাজে ব্যয় হচ্ছে।

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খান এন্টারপ্রাইজ। প্রতিষ্ঠানটির স্বত্ত্বাধিকার আসলাম খান পিন্টু বলেন, ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে মেহেরপুর টেকনিক্যাল স্কুলে মেরামতের একটি কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার না থাকায় কাজ হ্যাণ্ডওভার দেওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া অফিসেও লোকবল সঙ্কট থাকা নানা সন্মুখিন হতে হচ্ছে।

মেহেরপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: রাকিব আহসান বলেন, এ অফিস থেকে বেশ কয়েকজন অন্যত্র চাকরি পেয়ে অব্যহতি নেওয়ায় এ শুন্য পদ সৃষ্টি হয়েছে। কয়েকবার হেডঅফিসে চাহিদা পাঠানো হয়েছে জনবল পদায়ন চেয়ে। এখনো পদায়ন করা হয়নি। যার ফলে সাময়িক বিড়ম্বনার সৃষ্টি হচ্ছে।

জানা গেছে, বর্তমানে মেহেরপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ১৪টি উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। লোকবল নিয়োগ না হলে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পগুলো শেষ না হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।




আরবি ভাষার উৎস, জন্ম ও ক্রমবিকাশ- এম এ এস ইমন

আরবি নামটি শুনলে প্রথমেই আমাদের মনে আসে এটি পবিত্র কুরআনের ভাষা, যা ইসলাম ধর্মের সাথে সম্পর্কিত। সারা বিশ্বের মুসলমানরা প্রতিদিন তাদের প্রার্থনায় আরবি ভাষায় কুরআনের কিছু অংশ পাঠ করে থাকেন।

এটি বলার অপেক্ষা রাখে না যে, আরবি ভাষা মুসলমানদের কাছে একটি অতি পবিত্র ভাষা হিসেবে গণ্য।সর্বশেষ নবী ও রাসুল হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর মাতৃভাষা ছিল আরবি, আর আল্লাহ জিব্রাইলের (আ.) মাধ্যমে তার উপর এই ভাষায় ওহী নাযিল করতেন।

ঐতিহাসিকভাবে মুসলিমদের বিশ্বাসমতে, আরবিই সেই ভাষা যার মাধ্যমে জান্নাত বা স্বর্গে মানুষ একে অন্যের সাথে বা ফেরেশতাদের সাথে যোগাযোগ করবে।

আরবি হলো বিশ্বের বহুল ব্যবহৃত কথ্য ভাষাগুলোর মধ্যে একটি। ব্যবহারের দিক থেকে এটি পঞ্চম স্থানে, যা আজকের মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা জুড়ে একটি সরকারি ভাষা হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। এমনকি এর ব্যবহার বিভিন্ন উপভাষাতেও রয়েছে। উপরেই বলা হয়েছে, আরবি ভাষা মুসলিমদেরর কাছে একটি ধর্মীয় ভাষা হিসেবেও কাজ করে।

কারণ, আরবি হলো পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল-কুরআনের ভাষা, এবং এটি ইসলাম ধর্মের সাথে সরাসরি যুক্ত। এভাবে এই ভাষা ধর্মীয় তাৎপর্যের সাথে সাথে ঐশ্বরিক উদ্ঘাটনের সাথেও যুক্ত, যা ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে।

জনপ্রিয় এই আরবি ভাষা কোথা থেকে এসেছে? এর জন্ম কীভাবে হলো? আর, কীভাবেই বা এর পরিবর্তন ঘটেছে? প্রাচীন এই ভাষা সম্পর্কে জানাতেই আজকের এই লেখা। পাঠকবৃন্দ, তো চলুন আরবি ভাষা সম্পর্কে জানতে ঘুরে আসি ইতিহাসের পাতা থেকে।

আজকের বিষয় হলো আরবি ভাষা, যাকে আরবিতে ‘আল আরাবিয়া’ বলা হয়। প্রায় ২৯৩ মিলিয়ন স্থানীয় ভাষা ব্যবহারকারী, এবং বিশ্বব্যাপী মোট ৪২২ মিলিয়ন মানুষ আরবি ভাষায় কথা বলেন। বিশ্বের ২৬টি দেশের অফিসিয়াল ভাষা আরবি। এটি জাতিসংঘের ছয়টি অফিসিয়াল ভাষার মধ্যে একটি।

কুরআনের ভাষা হিসেবে এটি সারা বিশ্বের ১.৭ বিলিয়ন মুসলমানের ধর্মীয় ভাষাও। যদিও তাদের অধিকাংশই আরবি ভাষায় মনের ভাব আদান-প্রদান পারে না, কিন্তু প্রার্থনা এবং ধর্মীয় অধ্যয়নের জন্য আরবি ভাষা সম্পর্কে কিছু জ্ঞান তাদের অধিকাংশেরই রয়েছে। এই ভাষার রয়েছে বিভিন্ন বৈচিত্র্য।

প্রধান বৈচিত্র্যগুলোর মধ্যে একটি হলো কুরআনের শাস্ত্রীয় আরবি। অনেক পণ্ডিত একে আরবি ভাষার সবচেয়ে নিখুঁত রূপ বলে মনে করেন, এবং কেউ কেউ বলেন যে, এটি একমাত্র সত্যিকারের আরবি, কারণ এটাই ছিল সেই ভাষা যে ভাষায় সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ শেষ নবী ও রাসুল হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর কাছে কুরআন অবতীর্ণ করেন। তারপর রয়েছে মডার্ন স্ট্যান্ডার্ড আরবি, যা আজ অফিসিয়াল ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত আরবি ভাষার একটি রূপ।

এটি সাহিত্যে ব্যবহৃত আরবির আধুনিক রূপ, যা কুরআনের ধ্রুপদী আরবির উপর ভিত্তি করে তৈরি। এটা ঠিক শাস্ত্রীয় আরবির মতো নয়, কিন্তু উভয়কেই আরবরা ‘আল-ফুশা’ বলে উল্লেখ করেছে, যার অর্থ ‘বাকপটু বক্তৃতা’।

সেমিটিক ভাষার উপগোষ্ঠীর সর্বোত্তম শ্রেণিবিন্যাস সম্পর্কে ভাষাবিদদের মধ্যে এখনও ভিন্নমত দেখা যায়। সেমিটিক ভাষাগুলো প্রোটো-সেমিটিক এবং মূল বা সেন্ট্রাল সেমিটিক ভাষার উদ্ভবের মধ্যে, বিশেষত ব্যাকরণে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে বলে তারা মনে করেন।

ভাষাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ থেকে জানা যায়- আরবি ভাষা সেমিটিক ভাষা পরিবার থেকে এসেছে, এবং এটি ঐ পরিবারের অন্যান্য সেমিটিক ভাষার সাথে বিকশিত হয়েছে। সেই দিক থেকে বিশেষ করে আরবি ভাষা মূলত কোনো নির্দিষ্ট ভাষা কোথা থেকে এসেছে এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া বেশ কঠিন, কারণ ভাষা সর্বদা পরিবর্তিত এবং বিকশিত হয়।

আরবি এবং অন্যান্য সেমিটিক ভাষা, যেমন- হিব্রু, আরামাইক এবং ফিনিশিয় সব একই প্রোটো-সেমিটিক ভাষা থেকে বিকশিত হয়েছে। আরবি ভাষা মূল বা সেন্ট্রাল সেমিটিক শাখার অন্তর্গত একটি ভাষা, যেখানে সেন্ট্রাল সেমিটিকের আরেকটি শাখা থেকে হিব্রু, আরামাইক এবং ফিনিশিয় ভাষাগুলো এসেছে। সেমিটিয় গোত্রের ভাষাসমূহের অন্তর্গত জীবিত সেমিটিক ভাষাগুলো হলো আধুনিক হিব্রু ভাষা (ইসরায়েলের ভাষা), আমহারীয় (ইথিওপিয়ার ভাষা), এবং ইথিওপিয়ায় প্রচলিত অন্যান্য ভাষা। মৃত সেমিটিয় ভাষাগুলোর মধ্যে আছে প্রাচীন হিব্রু, আক্কাদীয় (ব্যাবিলনীয় ও আসিরীয়), সিরীয় ও ইথিওপীয় ভাষা।

বহু আরব বিশেষজ্ঞ আরবি ভাষার উৎস খোঁজার চেষ্টা করেছেন। উদাহরণস্বরূপ, ইবনে আল ক্বালবি তার লিখিত কিতাব আল-আসাম বইয়ে লিখেছেন, ব্যাবিলন থেকে আসা আমালিয়ার জায়ান্টরাই প্রথম আরবিতে কথা বলতেন, এবং তাদের সাথে এটি আরব ভূখণ্ডে ছড়িয়ে দেন।

এছাড়া একটি জনপ্রিয় ও ব্যাপক গৃহীত তত্ত্ব ও ধারণা হলো- আরবি ভাষা দক্ষিণ আরব ও আধুনিক ইয়েমেনের আশেপাশে উদ্ভূত হয়েছে, এবং পরে এটি উত্তরে ছড়িয়ে পড়েছে। পাঠক, চলুন দেখে আসি ভাষাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ থেকে পাওয়া আফ্রো-এশিয়াটিক ভাষা পরিবার থেকে আরবি ভাষা কীভাবে এলো তার একটি সম্ভাব্য প্রবাহ চিত্র।

প্রাচীনকালে আরবের অধিবাসীরা বিভিন্ন সেমিটিক ভাষায় কথা বলত। দক্ষিণ-পশ্চিমে, প্রাচীন দক্ষিণ আরব পরিবারের (যেমন- দক্ষিণ থামুডিক) অন্তর্গত এবং এর বাইরের বিভিন্ন সেন্ট্রাল সেমিটিক ভাষার ব্যবহার ছিল।

বিশ্বাস করা হয়, আধুনিক দক্ষিণ আরবীয় ভাষার (নন-সেন্ট্রাল সেমিটিক ভাষা) পূর্বপুরুষরাও এই সময়ে দক্ষিণ আরবের ভাষায় কথা বলত। উত্তরে, উত্তর হিজাজের মরূদ্যানে, দাদানিটিক এবং তায়মানিটিক শিলালিপির ভাষাগুলোর কিছুটা প্রতিপত্তি ছিল। নজদ এবং পশ্চিম আরবের কিছু অংশে ‘থামুডিক সি’ নামে শিলালিপিতে প্রাপ্ত একটি ভাষা পণ্ডিতরা খুঁজে পেয়েছেন।

পূর্ব আরবে প্রাপ্ত একটি শিলালিপি থেকে হাসাইটিক নামে পরিচিত একটি ভাষার প্রমাণ পাওয়া যায়। এছাড়া, আরবের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে, থামুডিক বি, থামুডিক ডি, সাফাইটিক এবং হিসমাইক নামে পণ্ডিতরা চারটি বিভিন্ন ভাষা পেয়েছেন। ভাষাপণ্ডিতদের প্রাপ্ত তত্ত্বের ভিত্তিতে বলা যেতে পারে যে, সাফাইটিক এবং হিসমাইক প্রকৃতপক্ষে আরবি ভাষার প্রাথমিক রূপ এবং সেগুলোকে পুরনো আরবি হিসেবে বিবেচনা করা উচিত।

আরবি সম্পর্কিত অসংখ্য সেমিটিক ভাষা ত্রয়োদশ এবং দশম শতাব্দীর মধ্যে আরবে ব্যবহার হতো। কিন্তু এগুলোর এমন কোনো বৈশিষ্ট্য নেই যা তাদের আরবি ভাষা হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা যায়। ‘আরব’ হিসেবে উল্লেখ করা লোকদের প্রাচীনতম প্রমাণ খ্রিষ্টপূর্ব অষ্টম শতাব্দীর একটি অ্যাসিরিয়ান শিলালিপিতে পাওয়া যায়। কিন্তু, এতে শুধু আরবদের কথা বলা হয়েছে। এটি তাদের ভাষার কোনো প্রমাণ দেয় না।

খ্রিষ্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতাব্দী থেকে খ্রিষ্টাব্দ ৪র্থ শতাব্দীর মাঝে এমন কিছু শিলালিপি পাওয়া গেছে যা আরবি ভাষার প্রাথমিক রূপের প্রমাণ দেয়। এই শিলালিপিগুলোর মধ্যে কিছু আরবি ভাষার প্রাথমিক রূপ এবং অন্যগুলো আরামাইক ভাষায় লেখা, তবে এতে আরবির কিছু প্রভাব দেখা যায়। এই শিলালিপিগুলোতে বেশিরভাগই সাধারণ নাম, তাই এটাও আমাদের আরবি ভাষা সম্পর্কে তেমন কোনো তথ্য দেয় না।

আরবি ভাষার সম্ভাব্য প্রাচীনতম প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন মনে করা হয় জর্ডানের বায়ির এলাকায় প্রাপ্ত খ্রিস্টপূর্ব প্রথম সহস্রাব্দের প্রথমদিকের একটি শিলালিপিকে। অবশ্য এর ভাষা আরবি না অন্য কোনো সেমিটিক ভাষা তা সম্পূর্ণ পরিষ্কার নয়। তবে, প্রথম সহস্রাব্দের দ্বিতীয়ার্ধের দিককার বহু শিলালিপি পাওয়া গেছে সিরিয়া, জর্ডান ও উত্তর পশ্চিম সৌদি আরবে। মূলত এই লিপিগুলোর উপর ভিত্তি করে এগুলোকে একটি উত্তরের শাখা (সাফাইটিক) ও একটি দক্ষিণের শাখায় (হিসমাইক) ভাগ করা হয়। এগুলোতে ব্যবহৃত লিপি পরবর্তীকালের আরবি লিপি থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন ও তৎকালীন দক্ষিণ আরবে প্রচলিত লিপি থেকে উৎপন্ন।

কিন্তু লিপি আলাদা হলেও এই লেখাগুলোর ভাষা বিবেচনা করে এগুলোকে আরবি ভাষারই প্রাচীন রূপ বলে নির্ণয় করেছেন ভাষাবিদরা। ঠিক একই সময়ে আরব উপদ্বীপের অন্যান্য জায়গায় অন্যান্য লিপিতেও সেমিটিক ভাষায় আরও লেখা পাওয়া গেছে, কিন্তু সেগুলোর কোনোটাই পরবর্তী কালের আরবি ভাষার পূর্বসূরী ছিল না বলে মনে করেন পণ্ডিতরা। সেই হিসেবে দেখলে উত্তর-পশ্চিম আরব ও দক্ষিণ শাম (লেভান্ট বা Levant)-এ আরবি ভাষার প্রথম সহস্রাব্দের পূর্বপুরুষের দেখা পাওয়া যাচ্ছে।

আরব ভূমিতে প্রধান রাজ্যগুলোর একটি ছিল নাবাতিয়ান রাজ্য। তাদের রাজধানী ছিল জর্ডানের পেট্রা নগরীতে, যা উত্তর আরবে অবস্থিত। তবে মজার ব্যাপার হলো, নাবাতিয়ান মানুষরা তখন আরবি ভাষা লিখত না। তাদের বাণিজ্যব্যবস্থা ছিল অন্যান্য দূরের রাজ্যগুলোতে।

তাই যোগাযোগের জন্য ব্যবহার হতো সেই সময়ের মধ্যপ্রাচ্যের প্রধান ভাষা আরামাইক। তবে স্থানীয় অধিবাসীরা মোটামুটি নিশ্চিতভাবেই প্রাচীন আরবি ভাষায় কথা বলতেন। খ্রিষ্টীয় দ্বিতীয় শতকে নাবাতিয়ানদের মধ্যে প্রথম আরামাইক লিপির একটা টানা হাতের রূপভেদে আরবি ভাষা লিখতে দেখা গেল, যা আইন আভদাত (Ein Avdat) শিলালিপিতে দেখা যায়।

এটিই প্রাচীনতম শিলালিপি, যেটি নিঃসন্দেহে আরবি ভাষার, যার সময় প্রায় ১২৫ খ্রিষ্টাব্দ। পাঠক, আপনারা নিচে যে ছবিটি দেখতে পারছেন, সেটিই আইন আভদাত শিলালিপি, যা বর্তমান ইসরাইলের দক্ষিণে নেগেভ মরুভূমির একটি গিরিপথ ‘আইন আভদাত’-এ পাওয়া গেছে। এটি একটি আরামাইক শিলালিপি, তবে এতে আরবি ভাষার তিনটি লাইন রয়েছে।

সংকলনেঃ এম.এ.এস ইমন
প্রকাশক, দৈনিক ‘মেহেরপুর প্রতিদিন’




চুয়াডাঙ্গায় ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ শ্রেষ্ঠ অফিসার নির্বাচিত

চুয়াডাঙ্গা জেলায় ফেব্রুয়ারি ২০২৫ মাসের ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত হয়েছেন দর্শনা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ শহীদ তিতুমীর ও শ্রেষ্ঠ এসআই নির্বাচিত হয়েছেন দর্শনা থানার এসআই মাসুদুর রহমান।

গত বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইন্সে অনুষ্ঠিত কল্যাণ সভা অনুষ্ঠানে এই স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।

পলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৫ ফেব্রুয়ারী মাসে চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানা পুলিশ সর্বোচ্চ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে। জেলার মধ্যে বেশিরভাগ ওয়ারেন্ট আসামী গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল করেন। দর্শনা থানাধীন বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর মামলর ঘটনার মূল আসামি গ্রেফতার এসব ঘটনার রহস্য উদঘাটন অন্যান্য আসামি গ্রেফতার সহ লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করে সাফল্য দেখিয়েছে।

এছাড়া দর্শনা থানাধীন এলাকার নিয়মিত মামলার এজাহার নামীয় আসামি গ্রেফতার করে। এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিশেষ ভূমিকা ইত্যাদি ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরপ চুয়াডাঙ্গা জেলা শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন দর্শনা থানার সুযোগ্য অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহম্মদ শহীদ তিতুমীর, শ্রেষ্ঠ এসআই হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন দর্শনা থানার এসআই (নিরস্ত্র) মোঃ মাসুদুর রহমান, শ্রেষ্ঠ এএসআই নির্বাচিত হয়েছেন দর্শনা থানার এএসআই (নিরস্ত্র) মোঃ আরিফুল ইসলাম।

কল্যাণ সভা অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার বিতরণী করে ক্রেস্ট প্রদান করেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশের সুযোগ্য পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মাওলা বিপিএম সেবা এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম জনাব কনক কুমার, সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা-জীবননগর) সার্কেল জাকিয়া সুলতানা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলার সকল থানার অফিসার ইনচার্জ সহ পুলিশের কর্মকর্তা বৃন্দ।




মেহেরপুরে ইয়ামাহা রাইডার্স ক্লাবের ইফতার ও দোয়া মাহফিল

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ইয়ামাহা রাইডার্স ক্লাব মেহেরপুরের আয়োজনে হয়ে গেলো ইফতার ও দোয়া মাহফিল।

রবিবার সন্ধ্যায় শহরের সেভেন সেন্স রেস্টুরেন্টে মেহেরপুরের ওয়াইআরসির সদস্যদের নিয়ে এই ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

ইফতারের আগে দেশের শান্তি কমনায় মোনাজাত করা হয়। এসময় দেশের জনগণ যাতে ভালো ভাবে রোজা পালন করতে পারে এবং দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য যাতে ভালো ভাবে চলে সেজন্য দোয়া করা হয়।

এসময় সিনিয়র টেরিটরি অফিসার এজাজ মাহমুদ, সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার মির্জা, মেহেরপুর ইয়ামাহা শোরুমের স্বত্বাধিকারী কৌশিক আহমেদ, ওয়াইআরসির গ্রুপ এডমিন শিথিল, শোরুম ম্যানেজার নাহিদ, সেলস এক্সিকিউটিভ মারুফ সুলতান বর্ষন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুরের কুতুবপুরে ওয়ার্ড বিএনপি’র সম্মেলন ও ইফতার

মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সম্মেলন, ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

গতকাল রবিবার সন্ধ্যার দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের উত্তর শালিকায় এই সম্মেলন, ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা বিএনপি’র সদস্য ওমর ফারুক লিটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত জেলা বিএনপি’র যুগ্ন আহ্বায়ক ফয়েজ মোহাম্মদ।

এছাড়াও এসময় জেলা বিএনপি’র সদস্য আলমগীর খান সাতু, জেলা জাসাসের সদস্য সচিব বাঁকাবিল্লা, জেলা বিএনপি’র সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা নাজমিন নাহার রিনা, জেলা জিয়া মঞ্চের সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম মনি, বিএনপি নেতা মোশিউল আলম দ্বীপু, আবু ইউসুফ মিরন, বখতিয়ার হোসেন, সাইদুল হক কেনেডি, তাজুল ইসলাম, সুইট, আরিফ ,সাইরুল ইসলাম, আবুল হাশেম, ফুর্তি হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ইফতার ও দোয়া মাহফিলে অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় করেন সাহাবুল ইসলাম।

কুতুবপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সম্মেলনে নতুন কমিটির সভাপতি সাইদুল হাসান‌ খান কেনেডি ও সাধারণ সম্পাদক নবিরুল ইসলাম, ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি মহিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মুকুল হাসান নির্বাচিত হন।