আয়ুব চেয়ারম্যানের হুশিয়ারি; আচরণবিধি ভঙ্গ

‘ভোট সেন্টারে তোতা অর্থাৎ মানে কাপপিরিচের বাইরে কোন এজেন্ট থাকবে না এবং সমস্ত মানুষ একত্রিত হয়ে তাদের প্রতিহত করতে হবে। আমি চেয়ারম্যান হিসেবে এ কথাটাই বলতে চাই। আর যদি কেউ গণ্ডগোল করার চেষ্টা করে তার পায়ে মেয়ে গলায় ঝুলিয়ে ভোট সেন্টার থেকে বের করে দেওয়া হবে। আমরা চাই আনন্দবাসের ইজ্জত বাগোয়ানের ইজ্জত রক্ষা করতে।’

গত ২৫ এপ্রিল রাতে আনন্দবাস মণ্ডলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বওে নির্বাচনী জনসভায় মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আযুব হোসেন এ কথা বলেন। এসময় তার পাশে জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য শাহিন উদ্দিনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুরে স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় সেকমো আমির হামজার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

মেহেরপুরে স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় সাহারবাটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপসহকারী মেডিকেল কর্মকর্তা আমির হামজা ও তার পিতা আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

গতকাল রবিবার ফারহানা খাতুন মেহেরপুরের আমলি আদালত (গাংনী) হাজির হয়ে এ মামলা করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে আদালতের বিচারক জাহিদ হাসান আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

মামলার এজাহারে বাদির অভিযোগ, অনুমান ১০ থেকে ১১ বছর পূর্বে আমির হামজার সাথে বাদি ফারহানা খাতুনের বিয়ে হয়। ঘর-সংসার করাকালীন তাদের একটি ১টি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে। বিয়ের সময় যৌতুকের দাবী না থাকলে কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহণের পর হইতে তার স্বামী আমির হামজা তার পিতার কুপরামর্শে চাকুরি নাম করে ৫ লক্ষ টাকা ও ইয়ামাহা ব্রান্ডের মোটর সাইকেল কেনার জন্য ৩ লক্ষ টাকাসহ মোট ৮ লক্ষ টাকা দাবী করিলে বাদীর অভিভাবক সংগ্রহ করে তার হাতে তুলে দেয়। তার পরও ১নং আসামী প্রায়ই বাদীনিকে যৌতুক দাবী করিয়া বিভিন্ন সময়ে মারধোর ও জ্বালা-যন্ত্রনা দিতে থাকিলেও বাদীনি স্বামীর কর্মস্থলে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে ঘর-সংসার করাকালীন সময়ে আসামী বাড়ী করার জন্য বাদীনির নিকট পুনরায় ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে বাদীকে অমানসিক ভাবে জ্বালা-যন্ত্রনা ও মারধর করিয়া ঘটনার তারিখের ৮/১০ দিন পূর্বে বাদীনিকে তার পিতার বাড়ীতে তাড়াইয়া দিয়া কোন খোঁজ খবর না নিলে বাদীনি আসামীদের যৌতুকের টাকা দেওয়ার লোভ দেখাইয়া খবর দিলে আমির হামজা তার পিতাকে সাথে নিয়ে শ্বশুর বাড়ীতে আসে এবং সাংসারিক বিভিন্ন বিষয় আলোচনার একপর্যায়ে বাদীর পিতাকে বলে বাড়ি করার জন্য ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক বাবদ দিলে বাদীকে নিয়ে ঘর-সংসার করিবে অন্যথায় তালাক দিয়া অন্যত্র বিবাহ করিয়া যৌতুক আদায় করবে বলে বাড়ী হইতে চলিয়া যায়।

মামলার বাদীর আইনজীবী মিয়াজান আলী বলেন, বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ দিয়েছেন।




মেহেরপুরের বুড়িপোতা ইউনিয়নে মোটরসাইকেলের গণসংযোগ

মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আনারুল ইসলামের পক্ষে গণসংযোগ করেছেন তার ছেলে বারিকুল ইসলাম।

রবিবার সদর উপজেলার বুড়িপোতা ইউনিয়নের রাজাপুর, বারাকপুরসহ বিভিন্ন গ্রামে চেয়ারম্যান প্রার্থী আনারুল ইসলামের মোটরসাইকেল মার্কা প্রতীকের গণসংযোগ করেন বারিকুল ইসলাম লিজন। এসময় জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

উল্লেখ্য, আনারুল ইসলাম সদর উপজেলা আমদহ ইউনিয়ন পরিষদে দুই বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। তার ছেলে বারিকুল ইসলাম লিজন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।




ঝিনাইদহে  ঠান্ডা পানি আর স্যালাইন নিয়ে ঘুরছে কৃষকের মাঠে মাঠে- চেয়ারম্যান

তীব্র তাপদাহে মানুষের জীবণ যখন উষ্ঠাগত কৃষকরা তখন খাঁ খাঁ রৌদ্রোজ্জ্বল মাঠে তাদের সোনালী ধান গোছাতে ব্যস্ত। তখন ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ঠান্ডা পানি ও স্যালাইন হাতে ছুটে চলেছে মাঠে-মাঠে কৃষকের পিছে পিছে। ধানের ক্ষেত, ভুট্রার ক্ষেত, পাটের ক্ষেত যেখানেই যাকে পাচ্ছেন খাওয়াচ্ছেন স্যালাইনের পানি। হাতে ধরিয়ে দিচ্ছেন স্যালাইনের প্যাকেট ।

মানুষের জীবণ বাঁচাতে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নিজেই নেমে পড়েছেন তৃষ্ণার্ত মানুষের পাশে। নিজের জীবণের তোয়াক্কা না করে ছুটে চলেছেন ইউনিয়নের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত পর্যন্ত । কথনও এ মাঠে তো কথনও ও মাঠে ক্ষেতের কৃষককে খাওয়াচ্ছেন ঠান্ডা স্যালইনযুক্ত পানি। এরপরও শেষ নয়, হাতে ধরিয়ে দিচ্ছেন ৫টি খাবার স্যালাইনের প্যাকেট সাথে সুস্থ থাকার সতর্কতামুলক লিফলেট।

এমনই ঘটনা গত ৭ দিন ধরে চোখে পড়ছে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ড উপজেলার ৪নং দৌলতপুর ইউনিয়নে। এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ এ কাজটি করছেন এই বৈরী আবহওয়ায় মানুষ যেন একটু স্বস্তি পায়, সুস্থ থাকতে পারে সেজন্য। এলাকার মানুষও তার এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে।

স্থানীয়রা বলেন, এর আগে এমন গরমও আমরা যেমন দেখিনি তেমনি চেয়ারম্যানের এমন উদ্যোগও এর আগে আমরা পাইনি, সবই এবারই প্রথম। এমন চেয়ারম্যান পেয়ে আমরা খুশি। সব সময় সে আমাদের বিপদে আপদে পাশে থাকে। এই রোদে, গরমে সে মাঠে এসে আমাদের ঠান্ডা পানি আর স্যালাইন খাওয়াচ্ছে, আবার বাড়ির জন্য দিয়েও দিচ্ছে। এই গরমে কাজ করতে করতে যখন গলা, বুক তৃষ্ণায় শুকিয়ে যাচ্ছে তখন চেয়ারম্যানের দেওয়া স্যালাইন পানি খেয়ে একটু স্বস্তি ফিরে পাচ্ছি, নতুন উদ্যোমে আবারও কাজে মনোনিবেশ করতে পারছি।

চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন,আমাদের দেশের সোনার মানুষ এই কৃষক। কৃষি প্রধান দেশে কৃষকই আমাদের সম্পদ। তারা এই গরমে সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে। তপ্ত রোদে যখন মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেনা তখন আমাদের কৃষক ভাইয়েরা মাঠে কাজ করছে। এই মানুষগুলো এখন খুব বিপদে। এই বিপদে নিজেকে ঘরে রাখতে পারিনি। এমন কাজের সুযোগ পাওয়া সৌভাগ্যের বিষয়। তাদের হাসির মাঝে আমি আমার দেশের হাসি খুজে পায়, তাই এই মানুষ গুলোকে গরমে একটু স্বস্তি দিতেই আমি এই উদ্যোগ নিয়েছি। দীর্ঘ করোনাকালীন সময়েও মানুষের পাশে থেকে সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। মানুষ আমার ভালোবাসার প্রতিদান দিয়েছে।

গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করে স্বতন্ত্র প্রর্থী হিসাবে আবুল কালাম আজাদ প্রথম বারের মতো ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হিসাবে বিজয়ী হন ।




চুয়াডাঙ্গায় বহুমুখী মানব কল্যাণ সংস্থা খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ

হিট স্পট খ্যাত চুয়াডাঙ্গায় তীব্র দাবাদহ থেকে রক্ষা পেতে খাবার পানি ও স্যালাইন নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বহুমুখী মানব কল্যাণ সংস্থা । প্রতিষ্ঠানটি মানুষের পিপাসা নিবারন ও প্রশান্তির জন্য শহরের হাসান চত্বরের পুলিশ বক্স ও একাডেমি মোড়স্হ সারা ভবনের সামনে বোতলজাত খাবার পানি ও স্যালাইন সরবরাহ করছেন।

এ উপলক্ষে রবিবার বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা শহরের শহীদ হাসান চত্বরেখাবার পানি বিতরণ কর্মসুচীর উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান, জেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক কামরুজ্জামান, ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক ওলিউজ্জামান ওলি, আমিরুল ইসলাম, হাসান মল্লিক, মাসুম, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও বহুমুখী মানব কল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক বিপুল আশরাফ, সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান চাঁদ, সিনিয়র সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম, শাহ আলম সনি, রফিক রহমান, খায়রুল ইসলাম, পলাশ উদ্দিন, উপজেলা লোকমোর্চার সাধারন সম্পাদক পারভীন লায়লা মালিক প্রমুখ।

এ সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন মাহফুজুর রহমান মনজু ও অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান। তারা বলেন, চরম দূর্যোগের সময় সাধারন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বহুমুখী মানব কল্যাণ সংস্থা। ভয়াবহ রোদ গরমে এখন প্রয়োজন বেশি বেশি বিশুদ্ধ পানি। আর সেই কাজটি হাতে নিয়েছে বহুমুখী। এদের পাশাপাশি অন্যরা এগিয়ে আসলে শ্রমজীবী মানুষ আরো বেশি উপকৃত হবে ।

জেলার উপর দিয়ে পক্ষকালব্যাপী অতি তীব্র তাপদাহ চলছে এতে নিন্ম আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ ও রাস্তায় চলাচলরত পথচারীরা মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে পড়েছে। অনেকের শরীরে পানি শুন্যতা সৃষ্টি হচ্ছে এর থেকে সামান্য পরিত্রাণ দিতে বহুমুখী মানব কল্যাণ সংস্থার নির্বাহী চেয়ারম্যান, সিনিয়র সাংবাদিক আহমেদ পিপুল এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেন আমি সবসময় দিনমজুর, রিকসা চালক, ভ্যান চালক ও পথচারীদের এ দূর্যোগ মুহূর্তে সেবা দিয়ে যাবো। আগামীতেও বহুমুখী মানব কল্যাণ সংস্থা জনহিতকর কাজ করে মানুষের পাশে থাকতে চাই।

প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত এ সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। গতকাল হাসান চত্বর ও একাডেমি মোড়ে দুটি বুথ থেকে প্রায় ২ হাজার বোতল পানি ও ১ হাজার পিস স্যালাইন বিতরণ করা হয়। আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিদিন ওই দুটি স্হানে পানি ও স্যালাইন বিতরণ অব্যহত থাকবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটির কর্মকর্তারা।




দামুড়হুদায় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন

জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস (লিগ্যাল এইড)। এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘স্মার্ট লিগ্যাল এইড,স্মার্ট দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’।

‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ২০২৪’ উদযাপন উপলক্ষে আইন ও বিচার বিভাগ এবং জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার উদ্যোগে দামুড়হুদা উপজেলায় বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। ২০১৩ সাল থেকে জাতীয় পর্যায় থেকে তৃণমূল পর্যায়ে ২৮ এপ্রিল আইনগত সহায়তা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। ২৮ এপ্রিল জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালনের মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী প্রচারণা চালানো হয়। দিবসটি পালনের ফলে সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে আইনগত সহায়তা সম্পর্কে সচেতনতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

উপজেলা লিগাল এইড কমিটির আয়োজনে, কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ রবিবার সকাল সাড়ে সাড়ে ৯ টায় দামুড়হুদা উপজেলা চত্ত্বর থেকে একটি র‍্যালী উপজেলা চৌরাস্তা মোড় প্রদক্ষিণ করে।

র‍্যালী পরবর্তীতে সকাল ১০ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় উপজেলা লিগাল এইড কমিটির সদস্য সচিব ও দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা’র সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা মডেল থানার ইনস্পেক্টর অপারেশন হিমেল রানা,দামুড়হুদা প্রেসক্লাব সভাপতি এম নুরুন্নবী, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হোসনে জাহান, নারী মুক্তি কল্যাণ সংস্থার প্রকল্প পরিচালক তৌহিদা পারভীন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সুপারভাইজার মারিয়া মাহবুবা,সিইও ফয়জুল হক সহ প্রমুখ।

এসময় সভায় বক্তারা বলেন, লিগ্যাল এইড মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র একটি মহতী উদ্যোগ। ন্যায় সঙ্গতভাবে সবাই যেন সমভাবে আইনি সহায়তা পায়। গরীব অসহায় দুস্থ ব্যক্তিদের বিনামূল্যে আইনি সহায়তা পেতে এবং যেকোন পর্যায়ের ব্যক্তির আইনগত পরামর্শ গ্রহণ ও মধ্যস্থতার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে করতে পারবেন। বিরোধ হলেই মামলা নয়, লিগ্যাল এইড অফিসে আপোষও হয়।

পারিবারিক, দেওয়ানি এবং আপষ যোগ্য মামলায় বিজ্ঞ আদালত থেকে প্রেরণ করলে কিংবা সরাসরি লিগ্যাল এইড অফিসে অভিযোগের মাধ্যমে পক্ষদের মধ্যে লিগাল এইড অফিসারের মধ্যস্থতায় আপষ করতে পারিবেন। আপোষ মাধ্যমে নিষ্পত্তিতে উভয়পক্ষ লাভবান হয় এবং সময় ও অর্থের অপচয় রোধ হয়।




মেহেরপুরে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত

‘২০১৩ সালে ২৮ এপ্রিলকে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ঘোষণা করা হয়। সকল মানুষের বিচার অধিকার প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনার সরকারের এটি একটি অনন্য উদ্যোগ। প্রতিবছর সরকারের আইনগত সহায়তা কার্যক্রম প্রচারের মাধ্যমে এবং ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে এই দিবসটি পালন করা হয়। তবে বিষয়টি নিয়ে অন্যান্য জেলার চেয়ে মেহেরপুর জেলায় সচেতনতা কিছুটা কম। আগামীতে সকলে সমন্বিত হয়ে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে লিগ্যাল এইড এর কার্যক্রম কে আরো এগিয়ে নিতে হবে। ‘

১২ তম লিগ্যাল এইড দিবসের আলোচনা সভায় এ কথাগুলি বলেন মেহেরপুর জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর পল্লব ভট্টাচার্য।

‘স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে সারা দেশের ন্যায় মেহেরপুরেও আজ জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত হয়েছে।

আজ রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮ টায় মেহেরপুর জেলা জজ আদালত চত্বরে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিবসের উদ্বোধন করেন জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়রম্যান এবং সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মেঃ মন্জুরুল ইমাম। এ সময় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ তহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রিপতি কুমার বিশ্বাস, জেলা প্রশাসক মো: শামীম হাসান, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু বককর সিদ্দিক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল আহাসান, জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ও সিনিয়র সহকারী জজ লাবনী সুলতানা পলি, জেলা বারের সভাপতি মারুফ আহমেদ বিজন এবং জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর পল্লব ভট্টাচার্য উপস্থিত ছিলেন।

পরে জেলা জজ আদালত চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের হয়। র‍্যালিটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।

অতঃপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়রম্যান এবং সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মন্জুরুল ইমামের সভাপতিত্বে অতিথিরা বক্তব্য রাখেন। এ সময় মেহেরপুর জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের কার্যক্রমে বিশেষ অবদান রাখার কারণে দুইজন আইনজীবীকে সম্মাননা দেয়া হয়




মেহেরপুর জেলা জুড়ে ভূমিকম্প অনুভূত

মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আজ রবিবার (২৮ এপ্রিল) রাত ৮টা ৫ মিনিটের দিকে মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

বামন্দী নিশিপুর এলাকার স্কুল শিক্ষক ফেরদৌস আহমেদ জানান, রাত ৮ টা ৫ মিনিটের দিকে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। স্থায়িত্ব প্রায় ৪/৫ সেকেন্ড ছিলো। এসময় পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঘরের বাইরে বেরিয়ে পড়ি। নওপাড়া গ্রামের আব্দুর রহমান নামের একজন জানান, এলাকায় ভূমিকম্প হওয়ায় মানুষজন ঘর থেকে বাইরে বের হয়ে আসেন।

মেহেরপুর শহরেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে বলে জানান শহরের হালদারপাড়া এলাকার সৌরভ ও শাহাবুদ্দিন।

গাংনী উপজেলা শহরের ব্যবসায়ী জাফর ও তার কর্মচারী ঝন্টু মিয়া বলেন, পরপর দুইবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। প্রথমবার বুঝতে পারিনি। পরের বার যখন হয় ৫/৬ সেকেন্ড ছিলো। দোকানের সব মালামাল ঝাঁকুনি খেয়েছে।

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এখনো জানা সম্ভব হয়নি বলে জানানি তিনি।




মেহেরপুরে ‘হিট স্ট্রোকে’ ব্যবসায়ীর মৃত্যু

মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপিতে অতিরিক্ত গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে আব্দুস সালাম (৫৫) নামে এক ভূঁষিমাল ব্যবসায়ীর মারা গেছেন।

আজ রোববার (২৮ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে ভূঁষিমাল কিনে বাইসাইকেল যোগে বাড়িতে ফেরার সময় রাস্তাতে পড়ে গিয়ে হিট স্ট্রোক করে মারা যান তিনি।

আব্দুস সালাম মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামের পশ্চিমপাড়া এলাকার কিতাব আলীর ছেলে।

তার স্বজনরা জানান, আব্দুস সালাম গ্রামের মধ্যে থেকে ভূঁষিমাল কিনে বাইসাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন। পথের মধ্যে প্রচন্ড গরমে তিনি বাইসাইকেল থেকে পড়ে যান। পরে অচেতন অবস্থায় তাঁকে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ সউদ কবীর বলেন, হাসপাতালে আসার আগেই তিনি মারা গেছেন। তার পারিবারের লোকজন মারা যাওয়ার যে বর্ণনা দিয়েছেন তাতে ‘ধারণা করা হচ্ছে অতিরিক্ত গরমে আব্দুস সালাম ‘হিট স্ট্রোকে’ মারা গেছেন।

আব্দুস সালামের ভাই আব্দুস সামাদ বলেন, ‘আমার ভাই পেশায় একজন ভূঁষিমাল ব্যবসায়ী ছিলেন। দুপুরের দিকে গ্রাম এলাকায় মাল কিনে বাইসাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথের মধ্যে প্রচন্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ে যান। সেখান থেকে তাঁকে দ্রুত মেহেরপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।’

মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ কনি মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ব্যবসায়ী আব্দুস সালামের মরদেহ পারিবারিকভাবে নিয়ে দাফনের প্রস্তুতি চলছে।




কুষ্টিয়ায় মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত-২

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মো: সবুজ (২১) ও বিপ্লব হোসেন (৪২) নামে দুই জন নিহত হয়েছেন।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার সান্দিয়ারা- লাহিনীপাড়া আঞ্চলিক সড়কের চাঁপড়া ইউনিয়নের চাপড়া ব্রিজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মো. সবুজ হোসেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মিলপাড়া এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে এবং বিপ্লব হোসেন (৪২) একই উপজেলার বাড়াদী উত্তর পাড়া এলাকার মৃত মোক্তার হোসেনের ছেলে।

এলাকাবাসী ও হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, সবুজ হোসেন মোটরসাইকেল নিয়ে লাহিনীপাড়া থেকে সান্দিয়ারার দিকে যাচ্ছিলেন। আর বিপ্লব মোটরসাইকেল নিয়ে তাঁর বিপরীত দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে চাঁপড়া ইউনিয়নের চাপড়া ব্রিজ এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুইটি মোটরসাইকেল ধুমড়ে মুচড়ে যায় এবং তাঁরা গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক বিপ্লবকে মৃত ঘোষণা করেন এবং সবুজকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পথিমধ্যে বিকেল ৩ টার দিকে সবুজ মারা যান।

প্রত্যক্ষদর্শী সাজেদুল ইসলাম জানান, দুইটি মোটরসাইকেলেই অতিরিক্ত গতি ছিল। কিভাবে যেন মুহুর্তেই মধ্যেই তাঁরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় মোটরসাইকেল দুইটি ধুমড়ে মুচড়ে যায় এবং দুজন গুরুতর আহত হন।

চাঁপড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক মঞ্জু জানান, দুইটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার কর্তৃব্য চিকিৎসক বিপ্লব নামে একজনকে মৃত ঘোষণা করেন এবং সবুজকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। কিন্তু সবুজ হাসপাতালে পৌছানোর আগেই মারা গেছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন।

কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের সদস্য জিয়াউর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুইটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। একজন হাসপাতালে আনার আগেই মারা যান। আরেকজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়।