দর্শনায় ফেনসিডিলসহ রাঙ্গিযারপোতার পিয়াস গ্রেফতার

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের রাঙ্গিয়ার পোতা গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৩৬ বোতল ফেনসিডিলসহ মাদক ব্যাবসায়ী পিয়াস আলীকে (২৬) গ্রেফতার করেছে দর্শনা থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত পিয়াস আলী দর্শনা থানার বেগমপুর ইউনিয়নের রাঙ্গিয়ারপোতা উত্তর পাড়ার সাবদার আলীর ছেলে।

জানাযায় আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহার নেতৃত্বে, দর্শনা থানার এস আই তারেক হাসান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্সসহ রাঙ্গিয়ার পোতা গ্রামের পিয়াসের বাড়িতে অভিযান চালায়।

এ সময় পুলিশ তার বাড়ির উঠানের মাটির ভিতর থেকে ৩৬ বোতল ফেনসিডিলসহ পিয়াস আলীকে গ্রেফতার করে।গতকালই তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলাসহ চুয়াডাঙ্গা কোর্ট হাজতে প্রেরন করেছে।




আলমডাঙ্গায় আর এম পি ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের মতবিনিময় সভা ও কমিটি গঠন

আলমডাঙ্গা আর এম পি ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন এর আয়োজনে মতবিনিময় সভা ও কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আজ আলমডাঙ্গা থানাপাড়া কমিউনিটি সেন্টারে সকাল ১০ টার সময় এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলমডাঙ্গা কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতির সভাপতি আলি আকবার আকুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ প্যারামেডিকেল এন্ড টেকনোলজি ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান এ কে আজাদ ইফতিয়ার। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা: হাদী জিয়াউদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহ আলম মণ্টু, সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম আজম, সিনিয়র সাংবাদিক প্রশান্ত বিশ্বাস।

পল্লি চিকিৎসক আবু জাফরের উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন পল্লি চিকিৎসক পাপ্পু,পল্লি চিকিৎসক ইমন,পল্লিচিকিৎসক সহিদুল ইসলাম, পল্লি চিকিৎসক আকমান আলি পল্লি চিকিৎসক লালটু রহমান ডেন্টিস কাজী সজীব প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে শেষে আলমডাঙ্গা উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়নের কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদমের নাম ঘোষণা করা হয়। এর পর আলমডাঙ্গা পৌর সভায় আব্দুল খালেক কে সভাপতি ও কাজী সজীব কে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। সর্বশেষ জিনারুল ইসলাম কে আলমডাঙ্গা উপজেলা কমিটির সভাপতি ও আতিক বিশ্বাস কে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে তাদের নাম ঘোষণা করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি আলি আকবার আকু।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ডা: জিয়াউদ্দিন আহমেদ বলেন সকল পল্লি চিকিৎসক কে এক ছাতার তলে এসে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তাদের কে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন ভাবে প্রশিক্ষণ নিয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে।তার জন্য আমি সকল সহোযোগিতা করতে প্রস্তুত।




দামুড়হুদায় বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণের শুভ উদ্বোধন

সারা দেশের ন্যায় দামুড়হুদা উপজেলায় প্রচন্ড তাপদহের কারনে পথচারীদের সাময়িক স্বস্তি দিতে দামুড়হুদা সদর ৭নং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী’র পক্ষ থেকে বিশুদ্ধ খাবার পানি, লেবুর শরবত ও খাবার স্যালাইন বিতরণের শুভ উদ্বোধন করেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা।

আজ শনিবার দুপুর ৩টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত দামুড়হুদা বাসট্যান্ডে লেবুর শরবত, বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ করা হয়।

এসময় ইউএনও রোকসানা মিতা বলেন, দেশ ব্যাপী প্রচন্ড তাপদহের কারনে মানুষের জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। কঠিন তাপদহের মধ্যেও জীবন জীবিকার তাগিদে মানুষ বাইরে বের হচ্ছে। সাধারণ মানুষের জন্য এমন মহতী উদ্যোগ গ্রহনের জন্য দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী কে আমি ব্যক্তিগত ভাবে ও দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানায়। সেই সাথে এমন ভালো কাজ চলমান রাখবেন এমন প্রত্যাশা করি। তাপদহের মধ্যে এমন কার্যক্রম প্রতিদিন চলমান থাকলে সাধারণ পথচারীদের কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলবে।

জানাগেছে বিগত টানা ৩ সপ্তাহ ধরে সারা দেশের ন্যায় দামুড়হুদা উপজেলায় প্রচন্ড তাপদাহ চলছে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায়। এতো গরমে জীবন জিবিকার তাগিদে মানুষ ঘর থেকে বের হলেও তাপদহের কারনে মানুষ স্বস্তি পাচ্ছেনা। ঠিক এসময় দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী’র পক্ষ থেকে মানুষের সাময়িক স্বস্তি দিতে বিশুদ্ধ খাবার পানি, লেবুর শরবত ও খাবার স্যালািন ফ্রী বিতরণের উদ্যোগ নেন। এরই আলোকে গতকাল শনিবার পাখি ভ্যান চালক, ইজিবাইক চালক, বাইসাইকেল চালক, ট্রাক চালক সহ সাধারণ পথচারী ও যাত্রীদের মাঝে প্রায় ১৫শ লিটার বিশুদ্ধ খাবার পানি, লেবুর শরবত ও খাবার স্যালাইন ফ্রী বিতরণ করা হয়।

এবিষয়ে পাখি ভ্যান চালক মফিজ উদ্দিন বলেন, এই প্রচন্ড রোদ গরমে সব সময় গলা শুকিয়েই থাকছে। মন চাচ্ছেনা ঘর থেকে বের হতে। কিন্তু কাজ না করলে খাবো কি? তাই কষ্ট হলেও জীবিকার তাগিদে রাস্তায় বের হতে হচ্ছে। শুকনো গলায় ঠান্ডা লেবুর শরবত খেয়ে প্রাণটা জুড়িয়ে গেলো। এমন রোদে ফ্রী’তে লেবুর শরবত ও খাবার স্যালাইন দেওয়ায় সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলীকে ধন্যবাদ জানায়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল কবির ইউসুফ, সাবেক ইউপি সদস্য মো: নুরুল ইসলাম সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ যুবলীগ ও ছাত্র লীগের নেতাকর্মী বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




দামুড়হুদায় বৃষ্টি প্রার্থনায় ইস্তিসকারের নামাজ আদায়

দামুড়হুদা উপজেলা সদরে তীব্র তাপদাহ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মহান আল্লাহর কাছে বৃষ্টির প্রার্থনায় ইস্তিসকার নামাজ আদায় করেছেন সকল বয়সের ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা।

আজ শনিবার বেলা ১০ টার সময় উপজেলা সদরের শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে খোলা আকাশের নিচে শত শত মুসল্লিদের নামাজ আদায় শেষে মহান আল্লাহ পাকের নিকট বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করা হয়।

 ইস্তিসকার শব্দের অর্থ হচ্ছে পানির জন্য প্রার্থনা কিংবা বৃষ্টির জন্য দোয়া করা। তীব্র দাবদাহে আর অনাবৃষ্টির ফলে জনজীবন চরম বিপর্যয় হয়ে ওঠে, খাল- বিল শুকিয়ে যেতে থাকে, ফসলের মাঠ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। জীবজন্তু পশুপাখির কষ্টের সীমা থাকেন না। এমন বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মহান আল্লাহর কাছে আশ্রয় চেতে হয়, অতীতের গুনাহের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষামা প্রর্থনায় দু’রাকাত নফল নামাজ আদায় করে আকুতিভরা মন নিয়ে বৃষ্টির জন্য দরখাস্ত জানানোকে ইসতিসকা নামাজ বলা হয়ে থাকে।

স্থানীয় ও মুসল্লিরা জানিয়েছেন, মহান আল্লাহর কাছে আশ্রয় চেয়ে বৃষ্টির প্রার্থনায় নামাজ আদায়ের নিদিষ্ট সময় বেলা ১০ ঘটিকা থাকলেও অনেকেই বেশ আগে ভাগেই নামাজের নিদিষ্ট স্থান দামুড়হুদা উপজেলা সদরের শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের মাঠে হাজির হতে থাকে। পরে নামাজের নিদিষ্ট সময় হলে মুসল্লিরা কাতারে দাঁড়িয়ে যায় এবং নামাজের ইমাম সাহেব প্রথমে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে নামাজের নিয়মকানুন বলেন।পরে দুরাকাত নফল নামাজ আদায় করেন। ইসতিসকার নামাজ শেষে উপস্থিতি মুসুুল্লিরা আল্লাহর কাছে আশ্রয় চেয়ে দুই হাত তুলে তীব্র দাবদাহের তাপপ্রবাহ, খরা থেকে রক্ষা করতে বৃষ্টির পানি চেয়ে আল্লাহর কাছে মোনাজাত করেন তাঁরা।

দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ালগাছি দাখিল মাদ্রাসার ধর্মীয় শিক্ষক মাওলানা মো: শফিকুল ইসলাম শফি জানান, দীর্ঘদিন অনাবৃষ্টির কারণে মানবজীবন, পশুপাখি, গাছপালা সকলেই কষ্টের মধ্যে রয়েছেন।ফসলের মাঠ পানি শূন্যতায় রয়েছে। সেলো মেশিনের সাহায্যে পানি দিয়েও তেমন কাজ হচ্ছে না। এক্ষেত্রে বৃষ্টির পানির প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিন কোন বৃষ্টি বাদল না থাকায় তীব্র দাবদাহের সৃষ্টি হচ্ছে।

নামাজ আদায় করতে আসা উপজেলার স্থানীয় কৃষক ও দিনমজুরদের সাথে কথা বললে তাঁরা জানান, দীর্ঘদিন বৃষ্টির দেখা না থাকায় তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। বিভিন্ন স্থানে কলের পানি উঠছেনা। পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। ফসলের মঠের বিভিন্ন ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টির অতি প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। দিনমজুরের কাজ করতে জীবন শেষ হয়ে যাবার উপক্রম দেখা দিয়েছে। তবুও বসে থাকার উপায় নেই। সংসার চালাতে তীব্র দাবদাহে উপেক্ষা করে কাজ করতে হচ্ছে। তাই বৃষ্টির পানির জন্য নামাজের মাধ্যমে মহান আল্লাহর কাছে সবাই দোয়া করেছেন।আল্লাহর হুকুম হলে বৃষ্টির দেখা মিলবে ইনশাআল্লাহ।

নামাজে ঈমামতি করেন দামুড়হুদা উপজেলা মসজিদের ইমাম ও দারুসসালাম মাদ্রাসার মুহাতামিম মো: রুহুল আমিন। তিনি বলেন, পবিত্র কোরআন হাসিদের আলোকে যতটুকু পাওয়া গেছে, তা হলো মানুষের সৃষ্ট পাপের ফলেই মহান আল্লাহর হুকুমে এমন অনাবৃষ্টি আর তীব্র খরা দেখা দেয়।তিনি আরও বলেন, এমন অনাবৃষ্টি আর খরা দেখা দিলে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসালাম সাহাবিদের সঙ্গে নিয়ে খোলা মাঠে ইসতিসকারের নামাজ আদায় করতেন। সে আলোকে মহান সৃষ্টিকর্তার শুকরিয়া ও রহমতের জন্য তওবা করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা চেয়ে দুই রাকাত ইসতিসকার নামাজ আদায় করতে শতশত মানুষের আগমনে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা কৃষক, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও শিক্ষক, তরুন, যুবক, কিশোর বৃদ্ধ বয়োজ্যেষ্ঠ, স্থানীয় ব্যাবসায়ী সহ সকল বয়সী ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ উপস্থিত ছিলেন।




ঝিনাইদহে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে স্যালাইন ও ঠান্ডা খাবার পানীয় বিতরণ

তীব্র তাপদাহে পুড়ছে সারা দেশ, প্রতিদিনই ছাড়িয়ে যাচ্ছে অতীতের সব তাপমাত্রা রেকর্ড। ভূগর্ভস্থ পানি সংকটে পড়েছে হাজার হাজার পরিবার। এই কারণে আবাদি জমি নিয়েও বেপাকে পড়েছে ঝিনাইদহের কৃষকেরা।

ঠিক এমন সময় এক মহতী উদ্যোগ নিয়ে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন ঝিনাইদহের মডার্ণ মোড়ে অবস্থিত “শেল্টার সমাজকল্যাণ সংস্থা” শনিবার দুপুরে শহরের পাগলাকানাই এলাকায় শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে তীব্র গরমে ঠান্ডা পানি, খাবার স্যালাইন সহ খাবার বিতরণ করে সংস্থাটির প্রতিনিধিরা।

তীব্র তাপদাহের শুরু থেকেই শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তারা। এতে করে তীব্র তাপদাহে কিছুটা স্বস্থি পাচ্ছে রিকশাচালক, ভ্যানচালক ও শ্রমজীবী মানুষ। এ ধরনের উদ্যোগ নিয়ে সম্পৃক্ত হতে পারায় খুশি হয়েছেন শেল্টার সমাজকল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক রোমেনা বেগম।

তিনি গণমাধ্যমকে বলেন যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে আমরা হত দারিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি, এটি হতে পারে তার অন্যতম উদাহরণ। করোনা কালীন সময়েও যখন সবাই ঘরে, আমরা অসহায় মানুষের জন্য মাক্স, স্যানিটাইজার সহ বিভিন্ন উপকরণ নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে যাতে করে অসহায় মানুষের ছিলাম। যাতে করে অসহায় মানুষের কিছুটা কষ্ট লাঘব হয়। এতে করে আমাদের উদ্যোগ কিছুটা হলেও তাদের শান্তি দিতে পারে।

খাবার পানি বিতরণে শেল্টার সমাজকল্যাণ সংস্থার পক্ষে ডেপুটি ডাইরেক্টর শেখ শাহানুর রেজা, প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর রোখসানা খাতুন, ইউনিয়ন কো-অর্ডিনেটর আহমেদ আলী, কাজী ইসরাত আহমেদ ভলেন্টিয়ার গন সহ আরও অন্যন্যারা উপস্থিত ছিলেন।




ঝিনাইদহে আগুনে পুড়ে ছাই কৃষকের শেষ অবলম্বন

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হরিশংকরপুর ইউনিয়নের সুতলিয়া গ্রামে আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে কৃষক আবু বক্করের শেষ অবলম্বনটুকু। পুড়ে মারা গেছে ৫ টি মহিষ ও একটি গরু। আয়ের একমাত্র অবলম্বন পুড়ে ছাই হওয়ার পর পথে পথে ঘুরছেন কৃষক আবু বক্কর।

জানা যায়, পরিবারে স্বচ্ছলতা আনতে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে বাড়িতে গরু আর মহিষের খামার করেছিলেন কৃষক আবু বক্কর। ৫ টি মহিষ ও ১টি গরু লালন-পালন করতেন তিনি। গত ২৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ৮ টার দিকে হঠাৎ তার গোয়ালে আগুন ধরে যায়। মুহুর্তে তার পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ১ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। ততক্ষণে পুড়ে মারা যায় কৃষক আবু বক্করের ৫ টি মহিষ ও একটি গরু। পরদিন বাড়ির পাশের মাঠে মৃত গরু ও মহিষগুলো মাটিচাপা দেওয়া হয়।

ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক আবু বক্কর বলেন, আগুনে আমার ৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ছোট্ট খামার করেছিলাম্। আগুনে আমার সব শেষ হয়ে গেছে। আমি এখন কি করব, কোথায় যাব। ঋণের টাকা কিভাবে পরিশোধ করব। আশা ছিলো গরু আর মহিষগুলো বড় করে বিক্রি করে যা লাভ হতো তা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করে বাড়তি টাকা দিয়ে সংসার চালাবো। এখন তো আমার সব শেষ। আমি পথে বসে গেছি।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: মনোজিৎ কুমার মন্ডল বলেন, আগুনের কৃষক হোসেন আলীর অপুরণীয় ক্ষতি হয়েছে। আমরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। কোন সহযোগিতা পেলে অবশ্যই তাকে দেওয়া হবে।




ঝিনাইদহে তিনদিন ব্যাপী নাইট ফুটবল টুর্নামেন্টের সমাপনী

ঝিনাইদহে তিনদিন ব্যাপী মিনিবার নাইট ফুটবল টুর্নামেন্টের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনলাইন ভিত্তিক বর্তমান ঝিনাইদহ টিভির আয়োজনে ঝিনাইদহের ওয়াজির আলী স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত এই টুর্নামেন্ট গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় পুরুস্কার বিতরণীর মধ্যদিয়ে সমাপ্তি হয়।

গত বুধবার সন্ধ্যার পরে এই খেলার উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। শহর এবং বিভিন্ন উপজেলার ১৬টি দল এই মিনিবার টুর্নামেন্টে অংশগ্রহন করে। প্রতিদিন রাত ২টা পযর্ন্ত হাজার হাজার দর্শক এই খেলা উপভোগ করেন। উদ্বোধনী দিনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি এম রায়হান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহীন উদ্দীন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহম্মেদ, জেলা রিপোর্টার ইউনিটের সভাপতি এম এ কাবিরসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

তিব্র প্রতিযোগীতাপুর্ণ এই মিনি বার নাইট ফুটবল টুর্নামেন্টে দুধসর ফুটবল একাদশ, শৈলকুপা, চ্যাম্পিয়ন এবং ঝন্টু ফুটবল একাডেমি রানার্সআপ হওয়ার গৌরব অর্জণ করে। খেলায় চ্যাম্পিয়ন দলকে ২০হাজার টাকা এবং রানার্সআপ দল কে ১০ হাজার টাকা প্রাইজমানি উপহার দেওয়া হয়।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহম্মেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এটিএন বাংলার জেলা প্রতিনিধি নিজাম জেয়ারদার বাবলু, কাঞ্চন নগর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রদিপ কুমার বিশ্বাস, রিপোটার্স ইউনিটের সভাপতি এম এ কবির, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সহ সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম হিরো, দপ্তর সম্পাদক শাহানুর আলম, ডিএসবির ওসি (অপারেশন) কামরুজ্জামন, বর্তমান ঝিনাইদহ টিভির প্রকাশক মুলতাজম রহমান সাজন, উপদেষ্টা জাকির হোসেন, প্রেসক্লাবের নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম লিটন, বাংলাদেশ বেতারের কোরবান আলী, প্রেসক্লাবের সাংস্কৃতিক সম্পাদক রোকনুজ্জামান মিলন, সাহিত্য সম্পাদক মেহেদী হাসান জিকু, সাংবাদিক জাফর উদ্দীন রাজু প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের সাবির্ক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন বর্তমান ঝিনাইদহ টিভির চেয়ারম্যান ও ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি সুলতান আল একরাম।




কার্পাসডাঙ্গায় একতা পরিবারের পক্ষ থেকে তৃষ্ণার্তদের মাঝে শরবত বিতরণ

সারা দেশের ন্যায় দামুড়হুদা উপজেলায় প্রচন্ড তাপদহের কারনে পথচারীদের সাময়িক স্বস্তি দিতে একতা পরিবারের পক্ষ থেকে ৩য় দিনের মতো ফ্রী লেবুর শরবত বিতরণ করেছেন।

আজ শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা কাউন্সিল মোড়ে এই শরবত বিতরণ করা হয়। একতা পরিবারের পক্ষ থেকে লেবুর শরবত বিতরণের শুভ উদ্বোধন করেন কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই হারুন অর রসিদ।

এসময় তিনি বলেন, প্রচুর তাপদহের কারনে মানুষের জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। কঠিন তাপদহের মধ্যেও জীবন জীবিকার তাগিদে মানুষ বাইরে বের হচ্ছে। এমন সময় সাধারণ মানুষের জন্য এমন মহতী উদ্যোগ গ্রহনের জন্য একতা পরিবারকে আমি ব্যক্তিগত ভাবে ও বাংলাদেশ পুলিশের দামুড়হুদা মডেল থানার অন্তর্গত কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানায়। সেই সাথে এমন ভালো কাজ চলমান রাখবেন এমন প্রত্যাশা করি একতা পরিবারের কাছে। আমি সব সময় একতা পরিবারের সাথে আছি।

জানাগেছে বিগত টানা ৩ সপ্তাহ ধরে সারা দেশের ন্যায় দামুড়হুদা উপজেলায় প্রচন্ড তাপদাহ চলছে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায়। এতো গরমে জীবন জিবিকার তাগিদে মানুষ ঘর থেকে বের হলেও তাপদহের কারনে মানুষ স্বস্তি পাচ্ছেনা। ঠিক এসময় চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার একতা পরিবার মানুষের সাময়িক স্বস্তি দিতে ফ্রী লেবুর শরবত বিতরণের উদ্যোগ নেন। এরই আলোকে ৩য় দিনের মতো গতকাল শনিবার পাখি ভ্যান চালক, ইজিবাইক চালক, বাইসাইকেল চালক, ট্রাক চালক সহ সাধারণ পথচারী ও যাত্রীদের মাঝে প্রায় ১ হাজার লিটার লেবুর শরবত ফ্রী বিতরণ করা হয়।

এবিষয়ে পাখি ভ্যান চালক আসলাম উদ্দিন বলেন, এই প্রচন্ড রোদ গরমে সব সময় গলা শুকিয়েই থাকছে। মন চাচ্ছেনা ঘর থেকে বের হতে। কিন্তু কাজ না করলে খাবো কি? তাই কষ্ট হলেও জীবিকার তাগিদে রাস্তায় বের হতে হচ্ছে। শুকনো গলায় ঠান্ডা লেবুর শরবত খেয়ে প্রাণটা জুড়িয়ে গেলো। এমন রোদে ফ্রী’তে লেবুর শরবত দেওয়ায় একতা পরিবারকে ধন্যবাদ জানায়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, একতা পরিবারের সদস্য, ডেনটিস্ট সোহানুর রহমান সোহান, শোভন, দৈনিক সময়ের সমীকরন পত্রিকা’র দামুড়হুদা প্রতিনিধি মোজাম্মেল শিশির, দৈনিক পশ্চিমাঞ্চল পত্রিকা’র দামুড়হুদা প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম মিলন, মেহেরপুর প্রতিদিন পত্রিকা’র দামুড়হুদা প্রতিনিধি রকিবুল হাসান তোতা, দৈনিক সকালের সময় পত্রিকা’র স্টাফ রিপোর্টার জাহাঙ্গীর আলম মানিক, দৈনিক পশ্চিমাঞ্চল পত্রিকার নাটুদাহ প্রতিনিধি রবিউল ইসলাম বাবু, হাউলী প্রতিনিধি আনারুল ইসলাম, দৈনিক সময়ের সমীকরন পত্রিকা’র জয়রামপুর প্রতিনিধি হেলাল উদ্দিন, বেনাপুল টিভি’র দামুড়হুদা প্রতিনিধি মোঃ ইকরামুল হক প্রমূখ। শরবত তৈরী কাজে সার্বিক সহযোগিতা করেন সিরাজুল ইসলাম বুদো।




মেহেরপুরে জেলা নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ফোরামের ত্রৈ-মাসিক সভা

মউকের উদ্দ্যোগে মেহেরপুর জেলা জাতীয় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ফোরামের ত্রৈ-মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।আজ শনিবার সকাল ১০ টার সময় মানব উন্নয়ন কেন্দ্র (মউক) এর হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয় মহিলা সংস্থার সভাপতি শামীম আরা হীরার সভাপতিত্বে সভাটি পরিচালনা করেন মউকের নির্বাহী প্রধান আসাদুজ্জামান সেলিম।

এ সময় নারী ও শিশু নির্যাতন ও বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে বিভিন্ন আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জাতীয় মহিলা সংস্থার সভাপতি শামীম আরা হীরা উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান আবুল হাশেম, গাঁড়াডোব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র ইংরেজি শিক্ষিকা জাকিয়া আক্তার আল্পনা ও বিশিষ্ঠ সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম অল্ডাম সহ আরো অনেকে।

সভার কার্যবিবরণী পাঠ করেন মানব উন্নয়ন কেন্দ্র (মউক) এর নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ প্রকল্পের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোছাঃ ফাহিমা আক্তার। সভায় মেহেরপুর জেলায় বর্তমান পারিবারিক সহিংসতা সহ নারী ও শিশু নির্যাতনের উপর বিভিন্ন তথ্যবহুল আলোচনা করে সকল ধরণের নির্যাতিতদের পাশে থেকে এই কমিটি কাজ করার অঙ্গিকার ব্যাক্ত করেন মউকের নির্বাহী প্রধান আসাদুজ্জামান সেলিম ও মেহেরপুর জেলা জাতীয় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ফোরামের সম্মানিত সদস্যগণ।




মেহেরপুরে পথচারী ও দিনমজুরদের শরবত বিতরণ

মেহেরপুরের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। এই তীব্র গরমে একটু স্বস্তি দিতে এবং হিটস্ট্রোক রোধে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মাসুদ রানার উদ্যোগে শরবত বিতরণ করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনায় শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে শহরের বিএম মডেল সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে দিনমজুর ও পথচারীদের মাঝে এ শরবত বিতরণ করা হয়।

জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মাসুদ রানা জানান, তীব্র গরমে পথচারীদের মাঝে লেবুর শরবত বিতরণ করা হচ্ছে যা ৭ দিন পর্যন্ত চলমান থাকবে। তীব্র গরমে এক গ্লাস লেবুর শরবত পান করতে পেরে খুশি পথচারীরা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মারুফ সুলতান বর্ষন, মোঃ তাফসীরুল ইসলাম, মোঃ শিশির, মোঃ হালিম, মোঃ সাফি, মোঃ রাব্বি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।