গাংনীতে মায়ের বকুনি খেয়ে শিশুর আত্ম*হ*ত্যা

মায়ের বকুনি খেয়ে আত্মহত্যা করেছে ইসমত তারা ওরফে জোসনা (১২) নামের এক শিশু।

গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরের দিকে নিজ ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে সে। জোসনা খাতুন গাংনী উপজেলার তেরাইল গ্রামের ইউসুফ আলীর মেয়ে।

পারিবারিক সূত্রের বরাত দিয়ে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, জোসনার মা তাকে বাড়ির হাঁস-মুরগিকে খেতে দেওয়ার কথা বলেন। জোসনা খাতুন পারবেনা জানালে তাকে বকাবকি করেন। এতে সে মায়ের উপর অভিমান করে নিজ ঘরের আড়ার সাথে উড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।

এঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।




ওয়ার্ল্ড ভিশনে চাকরি সুযোগ

আন্তর্জাতিক মানবিক উন্নয়ন এবং অ্যাডভোকেসি সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি ‘প্রজেক্ট অফিসার’ পদে জনবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন আগামী ০২ মে পর্যন্ত।

প্রতিষ্ঠানের নাম : ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ

পদের নাম : প্রজেক্ট অফিসার

পদসংখ্যা : ২টি

বয়স : কমপক্ষে ২৫ বছর

কর্মস্থল : গাইবান্ধা

বেতন : ৫০,০০০-৬০,০০০/- (মাসিক)

অভিজ্ঞতা : কমপক্ষে ২ বছর

বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ : ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

কর্মক্ষেত্র : অফিস

কর্মঘণ্টা : ফুলটাইম

প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়)

আবেদনের শেষ তারিখ : ২ মে, ২০২৪

শিক্ষাগত যোগ্যতা : কৃষিতে সামাজিক বিজ্ঞানে স্নাতক (বিএসএস) ডিগ্রি।

অন্যান্য সুবিধা : নির্বাচিত প্রার্থীরা গ্র্যাচুইটি, প্রভিডেন্ট ফান্ড, টি/এ, মোবাইল বিল, সাপ্তাহিক ছুটি ২দিন, বছরে ২ বোনাসসহ সাংগঠনিক নীতিমালা অনুযায়ী আরও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

যেভাবে আবেদন করবেন : আগ্রহীরা অনলাইনে আবেদন করতে  এখানে ক্লিক করুন।

ঠিকানা : শান্তা ওয়েস্টার্ন টাওয়ার (১৪ তলা), ১৮৬ বীর উত্তম মীর শওকত সড়ক (গুলশান-তেজগাঁও লিংক রোড), তেজগাঁও, ঢাকা- ১২০৮




র‌্যাবের হাতে ইয়াবাসহ শ্যামলী পরিবহনের চালক আটক

২৭৩ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুরপাল্লার বাস শ্যামলী পরিবহনের চালক সাঈদ হোসেন (৪০) ধরা পড়লেন র‌্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১২) গাংনী ক্যাম্পের সদস্যদের কাছে।

আটককৃত সাঈদ আলী গাংনী উপজেলার ছাতিয়ান গ্রামের খেদ আলীর ছেলে।

গতকাল  বুধবার (২৪ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৯ টার দিকে জেলার গাংনী উপজেলা শহরের বাসস্ট্যান্ড থেকে তাকে আটক হন।

র‌্যাব-১২ (গাংনী) ক্যাম্পের কমান্ডার ও সহকারি পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ঢাকা থেকে মেহেরপুরের গাংনী অভিমুখে ছেড়ে আসা শ্যামলী পরিবহন (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৬৪৪৯) থেকে ২শ৭৩ পিচ ইয়াবাসহ চালক সাইদ আলীকে আটক করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা শ্যামলী পরিবহন (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৬৪৪৯) এর চালক সাইদ আলীর দেহ তল্লাশী করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ২৭৩ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। সাঈদ হোসেনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা প্রদানসহ গাংনী থানায় হস্তান্তরের করা হয়েছে।




মোবাইল ইন্টারনেট গতিতে আরও ৬ ধাপ পেছালো বাংলাদেশ

মোবাইল ইন্টারনেট গতির সূচকে আরও ৬ ধাপ পিছিয়ে ১১২তম অবস্থানে নেমে এসেছে বাংলাদেশ। স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্সের সবশেষ মার্চ মাসের সূচকে এমনটি উঠে এসেছে। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে তালিকায় বাংলাদেশ ছিল ১০৬তম। এই সূচকে মূলত একটি দেশে ইন্টারনেট সেবার মান কেমন, তাই ফুটে ওঠে।

এতে দেখা গেছে, মোবাইল ইন্টারনেটের পাশাপাশি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সূচকেও বাংলাদেশের অবনতি হয়েছে। ফেব্রুয়ারির তুলনায় জানুয়ারিতে ১ ধাপ পিছিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৮তম।

অন্যদিকে, প্রতিবেশী দেশ ভারত মোবাইল ইন্টারনেটে ১৬তম অবস্থানে রয়েছে। এই ইন্টারনেট সেবায় মিয়ানমার, জিম্বাবুয়ে, ইরাক ও নাইজেরিয়ার মতো দেশগুলো বাংলাদেশের ওপরে অবস্থান করছে।

সূচক অনুসারে, মার্চে বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেটে ডাউনলোডের গড় গতি পাওয়া গেছে ২৪ দশমিক ৫৯ এমবিপিএস। পাশপাশি আপলোডের স্পিড ছিল ১১ দশমিক ৫৩ এমবিপিএস। এছাড়া ব্রডব্যান্ডে ডাউনলোডের গতি ছিল ৪৪ দশমিক ২৫ এমবিপিএস। যেখানে প্রতিবেশী দেশ ভারতে ডাউনলোডের গড় গতি ১০৫.৮৫ এমবিপিএস।

এদিকে, মোবাইল ইন্টারনেট গতি সূচকে শীর্ষে অবস্থান করছে মধ্যপ্রাচ্যের তিন দেশ। ৩১৩.৩০ এমবিপিএস গতি নিয়ে কাতার ১ নম্বরে, ২৯৬ এমবিপিএস গতি নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত ২ নম্বরে এবং ২২৮.৬৪ এমবিপিএস গতি নিয়ে কুয়েত তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।

প্রসঙ্গত, স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্স নিজেদের স্পিডটেস্ট অ্যাপের মাধ্যমে পাওয়া লাখ লাখ ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেটওয়ার্ক পারফরম্যান্স সম্পর্কে ধারণা দেয়।

সূত্র: ইত্তেফাক




গাংনীতে হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার গাঁড়াডোব গ্রামে হিটস্ট্রোকে হাজী মোঃ আব্দুল বারী (৭০) নামের একজন মারা গেছেন। হাজী মোঃ আব্দুল বারী গাংনী উপজেলার গাঁড়াডোব গ্রামের পুকুরপাড়া এলাকার মৃতি আলম শেখের ছেলে।

গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরের দিকে প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে পড়লে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে মারা যান তিনি।

আব্দুল বারীকের জামাতা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাড়ির বাইরে একটু হাটাহাটি করছিলেন। প্রচন্ড রোদে শরীর খারাপ হলে বাড়িতে আসেন। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে মারা যান। প্রচন্ড গরমে হিটস্ট্রোক করে মারা যান বলে জানান তিনি।

চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রেজা বলেন, সন্ধ্যা ছয়টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ৩৪%।

গত এক সপ্তাহ মেহেরপুর চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলে ৪২ থেকে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠা নামা করছেন। প্রচন্ড গরমের কারনে মানুষ ও প্রাণীকুলে নেমে এসেছে চরম অস্বস্তি।




গাংনীতে বৃষ্টির জন্য ইস্তিসকার নামাজ আদায়

মেহেরপুরে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করলেন, মুসল্লিরা। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে, গাংনী উপজেলা শহরের ফুটবল মাঠে এই নামাজের ব্যবস্থা করা হয়। এতে ইমামতি করেন গাংনী মাদ্রাসা মসজিদের ইমাম মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ।

দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন, দারুসসালাম জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা রুহুল আমিন। এই নামাজে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী এমএ খালেক, দারুচ্ছুন্নাত মসজিদের ইমাম মাওলানা আমানুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

নামাজ শেষে, মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে খুতবা দেন গাংনী দারুচ্ছুন্নাত মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা রুহুল আমিন।

এরপরই, বৃষ্টির আশায় হয় বিশেষ মোনাজাত। কান্নাজড়িত কণ্ঠে আল্লাহর কাছে দাবদাহ থেকে মুক্তি চান মুসল্লিরা। একইসাথে, বৃষ্টির মাধ্যমে সারাদেশে শীতল স্পর্শ বুলিয়ে দেয়ার দোয়াও করেন তারা। নামাজ শেষে, মুসল্লিরা বলেন- বৈশ্বিক জলবায়ু পরিস্থিতি ভালো না। মানুষের সুস্থতার জন্যেই বৃষ্টির আশায় তারা আদায় করেছেন এই নামাজ। আরও বলেন, বনায়ন ধ্বংসের কারণে প্রতিবছর তাপমাত্রা বাড়ছে। পৃথিবী রক্ষায় এখনই সচেতন হতে হবে।

মেহেরপুর জেলা জুড়ে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বেশ কিছুদিন যাবৎ তাপমাত্রা ৪২ থেকে ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা বইছে। গাংনী উপজেলায় তীব্র তাপদহে দুজন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গাংনী উপজেলার রুইয়েরকান্দি গ্রামের শিল্পী খাতুন (৪৫) ও গাঁড়াডোব গ্রামের আব্দুল বারী হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন।

তীব্র তাপদাহ ও অনাবৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টির জন্য গাংনীতে সালাতুল ইস্তিসকার নামাজ আদায় করেন।

এসময় গাংনী পৌর শহরের বিভিন্ন মুসল্লীরা ইস্তিসকার নামাকে উপস্থিত হয়ে নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে মোনাজাত করে বৃষ্টির প্রার্থনা করেন।




স্বাস্থ্য ও শিক্ষার পরিবেশ উন্নত করবো – ডা. আবু সালেহ মো: নাজমুল হক

ডা. আবু সালেহ মো: নাজমুল হক মেহেরপুরের-২ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য মকবুল হোসেনকে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নির্বাচিত হয়ে তিনি গাংনী উপজেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থ্য, শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ, অবকাঠামো উন্নয়ন, কর্মসংস্থানসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন বলে মেহেরপুর প্রতিদিনকে জানিয়েছেন।

ডা. আবু সালেহ মো: নাজমুল হক বলেন, গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি ও আরও একটি নতুন হাসপাতাল স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যেটি এখন বিবেচনাধীন আছে।

নাজমুল হক বলেন, গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫০ শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি থাকে গড়ে ৭০ থেকে ৭৫ জন। যেখানে পদায়নকৃত চিকিৎসক পদের তুলনায় কম, অন্যান্য জনবলের সংকট রয়েছে, ফলে অবকাঠামো থাকলেও এখানে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে সরকারি প্রতিষ্ঠান সমুহ পুর্ণ সক্ষমতায় সেবা প্রদান করতে পারছে না।

এমপি নাজমুল হক বলেন, বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগ এবং মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং চিকিৎসক অন্যান্য সহযোগী পদ পুরন ও পর্যাপ্ত ঔষধ ও পরিক্ষা নিরিক্ষার সরকারি পর্যায়ে সহজ লভ্য করতে সকল পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তর সমুহে চাহিদা প্রেরণ করা হয়েছে, কিছু ইতোমধ্যে পুরন হয়েছে বাকি যা আছে আগামী অর্থ বছর থেকে পুর্ণ সক্ষমতায় সেবা প্রদান করা যাবে।

এমপি আরও বলেন, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য উপকেন্দ্রসমুহ এবং কমুউনিটি ক্লিনিক সমুহে নিয়মিত সেবা নিশ্চিত করণে পদক্ষেপ হিসাবে আমি নিজেও সেইসব প্রতিষ্ঠান এ পরিদর্শন করছি এবং মাঝে রোগী দেখে চিকিৎসা প্রদান করছি।

গাংনীর অন্যান্য বিষয় নিয়ে তিনি বলেন, অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষিত বেকারের হার কমাতে স্থানীয় ভাবে তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত প্রশিক্ষণ এর ব্যবস্থা করা, গাংনীতে উৎপাদন মুখি প্রতিষ্ঠান স্থাপনে স্থানীয় এবং অস্থানীয় বিনিয়োগ কারীদের উদ্বুদ্ধ করন, মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমুহে শিক্ষার্থী বান্ধব পরিবেশ তৈরি করা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

ডা. এ এস এম নাজমুল হক গাংনী থানা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য, গণপরিষদ সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য নরুল হকের ছেলে। ডা. সাগরের মেজ বোন সেলিনা পারভীন ২০১৪ সালে সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি ছিলেন।

ডা. এ এস এম নাজমুল হক শিক্ষা জীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। ১৯৯২-৯৩ সালে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক , ১৯৯৪-৯৫ সালে সাধারণ সম্পাদক এবং সভাপতি হিসেবে ১৯৯৫-৯৭ সালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ শাখার ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন।

তিনি ২৩ তম বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে যোগদান করেন। সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করার উদ্দেশ্যে ২০২০ সালে (চাকুরির মেয়াদ ছিল ২০৩২ সাল পর্যন্ত) সরকারি চাকরি থেকে স্বেচ্ছা অবসর নেন। বর্তমানে তিনি মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিয়য়ক সম্পাদক, মুক্তিযোদ্ধা চিকিৎসক প্রজন্মের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক এবং স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।




আলমডাঙ্গার হারদি হাসপাতালে ঔষুধ কোম্পানির দৌরাত্ম্যে রোগীদের দুর্ভোগ চরমে

আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানি প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম্য দিন দিনই বেড়েই চলেছে। তাদের দৌরাত্ম্যে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি ও দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন রোগীরা।

চিকিৎসকের কক্ষের দরজা ও বহিঃ বিভাগের সামনে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঔষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের অবাধ বিচরণ দেখা যায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মানছেনা কেউ? রোগীরা বের হলেই জোরপূর্বক ব্যবস্থাপত্র নিয়ে করা হচ্ছে টানাহেচড়া এতে রোগীরা বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়ছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিক্রয় প্রতিনিধি জানান, প্রেসক্রিপশন ঔষুধ লিখার জন্য প্রতিমাসেই কলম, পেড, চাবির রিং থেকে শুরু করে টিভি-ফ্রিজসহ মোটা অংকের উপহার দিয়ে দিতে হয় ডাক্তারদের। তার বিনিময়ে প্রতিটি প্রেসক্রিপশনেই আমাদের ঔষধ লিখতে হবে। এছাড়াও এসব ব্যবস্থাপত্রের একটি কপি মেইল করে হেড অফিসেও পাঠাতে হচ্ছে।

নাসিমা আক্তার সুরভী নামের এক রোগী বলেন, তীব্র গরমে আমি বেশি অসুস্থ্য হওয়ার পর বাধ্য হয়ে দ্বিতীয় তলায় মেডিকেল অফিসার কক্ষে আসি। সেখানে দেখি ওই চিকিৎসকের সঙ্গে কেউ বসে কেউ দাড়িয়ে খোশগল্পে মেতে রয়েছেন বিভিন্ন ঔষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা। ডাক্তার কোন কোম্পানির ঔষুধ রোগীর ব্যবস্থাপত্রে লিখবেন তা নিয়েও শুরু হয় তাদের মধ্যে তর্কবির্তক। দীর্ঘক্ষন দাঁড়িয়ে থাকার পর বাধ্য হয়ে কক্ষে ঢুকে চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা নেই।

সরেজমিনে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে গেলে দেখা যায়, হাসপাতালের বহিঃ বিভাগের সামনে এবং ভিতরের বিভিন্ন চিকিৎসকের কক্ষের সামনে ঔষুধ কোম্পানি প্রতিনিধিদের ভিড় লেগেই আছে। নির্দিষ্ট সময়ের বাহিরে তারা ভিজিট করে রোগীদের চিকিৎসা সেবায় বেঘাত ঘটাচ্ছেন। দেখা গেছে, যখন রোগী টিকেট কেটে চিকিৎসা সেবার জন্য চিকিৎসকের কক্ষে যান তখন একাধিক প্রতিনিধি ওই কক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে ভিড় জমিয়ে আছেন। আবার কেউ কেউ রোগীকে অপেক্ষায় রেখে তাদের ভিজিট সেরে নিচ্ছেন। এর বাহিরে প্রতিনিয়তই চোখে পড়ে এসব প্রতিনিধিদের নানান দৃশ্য।

সরকারি এ হাসপাতালটিতে যখন বিভিন্ন রোগীরা ডাক্তার দেখিয়ে টিকেট নিয়ে ফিরে যান তখন দেখা যায়, বিভিন্ন কোম্পানীর প্রতিনিধিরা ওইসব রোগীদের পথে দাঁড় করিয়ে তাদের হাতের টিকেট টেনে নিয়ে ওই টিকেটের ছবি তুলে রাখেন। হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মেডিকেল অফিসার চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন। প্রায়ই দেখা গেছে বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা ওই জরুরী বিভাগের চিকিৎসকের কক্ষের সামনে ভিড় করে দাঁড়িয়ে থাকেন। তাদের কারণে রোগীরা সে ভিড়ে ঠেলে কক্ষের ভেতরে প্রবেশ করতে হয়। আবার ভেতরে প্রবেশ করলেও দেখাযায় সেখানে চলছে ভিজিট। এভাবেই প্রতিদিন সরকারি এ হাসপাতালটিতে বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম্য বেড়ে চলছে। আর প্রতিনিয়ত দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন রোগীরা।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: শারমিন আক্তার বলেন, ঔষধ কোম্পানি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করে তাদেরকে ভিজিট করার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেয়া হয়েছিল। তাঁরা সকাল থেকেই হাসপাতালে উপস্থিত থাকেন। শনি ও মঙ্গলবার দুপুর ১ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত ভিজিটের অনুমতি দেওয়া হয়। তবুও তাঁরা জোরপূর্বক হাসপাতালে ভিজিট করেন। গতকাল বুধবার নোটিশ বোর্ডে ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের ভিজিটের জন্য রবি ও বুধবার সকাল ৮ থেকে ৯ টা পর্যন্ত অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যে রোগীদের নিকট থেকে ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধি ব্যবস্থাপত্র নিয়ে ছবি তুলে থাকেন এমন অভিযোগ পেয়েছি। যদি তাঁরা সময় মত ভিজিট না করে, রোগীদের হয়রানী দেয়। তবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




আলমডাঙ্গায় প্রখর তাপদহে বৃষ্টির আশায় ইস্তিসকার নামাজ আদায়

প্রখর তাপদহের মধ্যে সারিবদ্ধ ভাবে বৃষ্টির আশায় বিশেষ নামাজ (ইস্তিসকার) আদায় করেছেন আলমডাঙ্গা উপজেলার শত শত মানুষ।

আজ বুধবার সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার দারুস সালাম ঈদগাহ ও কুমারী ইউনিয়নের ফুটবল মাঠ প্রাঙ্গণে এ নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা।

দারুস সালাম ঈদগাহ মাঠের নামাজে ইমামতি ও মোনাজাত করেন কুমারী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল কাদের। কুমারী ফুটবল মাঠে ইমামতি ও মোনাজাত করেন কুমারী মোহাম্মদীয়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা গিয়াস উদ্দীন।

টানা এক সপ্তাহ তীব্র তাপদহে বৃষ্টি না হওয়ায় মরতে শুরু করেছে কৃষকের ফসলের ক্ষেত, কষ্টে আছে গাছপালাসহ প্রাণীকুল। গত দু’দিন তাপমাত্রা একটু কমলেও বৃষ্টির দেখা নেই।

এদিকে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চুয়াডাঙ্গায় ৪০-৪২ ডিগ্রির ওপরে তাপমাত্রা ওঠা-নামা করছে। আজ বুধবার সকাল ৯ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের হাটকালুগঞ্জে অবস্থিত আবহাওয়া অফিস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৩২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৫৩ শতাংশ।




আলমডাঙ্গায় কৃষিতে ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কা, মরছে চাষের মাছ

আলমডাঙ্গার রায়সা গ্রামের আমজেদ আলীর পাঁচটি পুকুর রয়েছে। এর মধ্যে দুটি তীব্র গরম আর অনাবৃষ্টিতে শুকিয়ে গেছে। তিনটির পানি শুকিয়ে নেমেছে তলানিতে। গরমে মাছ রক্ষায় বৈদ্যুতিক মোটরের মাধ্যমে পানি দিচ্ছেন। কিছু মাছ বিক্রিও করেছেন। আইলহাঁস গ্রামের তুষার আলী সাড়ে চার বিঘা জমির ঘেরে মাছ ছেড়েছেন। তবে গরমে পানিতে অক্সিজেন কমে পাওয়ায় মাছ মরে ভেবে উঠছে। এতে তাঁর বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে।

কয়েকদিন ধরে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপদাহ। প্রতিদিনই তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রির ঘর অতিক্রম করছে। এ অবস্থায় পুকুরের মাছ ও মাঠের ফসল নিয়ে বিপদে রয়েছেন কৃষক। আবহাওয়ার বিরূপ আচরণ আর অনাবৃষ্টিতে ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কা বাড়ছে। খালবিল শুকিয়ে যাচ্ছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তরও নামছে। এতে ক্ষেতে পানিশূন্যতা দেখা দিয়েছে।

তালতলা এলাকার কৃষক ছায়েম মিয়া বলছিলেন, তাঁর পানের বরজে পাতা পুড়ে যাচ্ছে। যে পরিমাণ তাপ, তাতে ফসলের মাঠে কাজ করাও দুষ্কর হয়ে গেছে। ধানে প্রতিদিন সেচ দিতে হচ্ছে। তেল ও সারের যে দাম, বৃষ্টি না হওয়ায় খুব বিপদে আছেন। কৃষকরা বলছেন, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় ডিজেলচালিত শ্যালো মেশিন ও বৈদ্যুতিক মোটরে প্রয়োজনীয় পানি উঠছে না। এ অবস্থায় পুকুরে পানির তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় বিপদে পড়েছেন মাছচাষিরাও। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাতেমা কামরুন্নাহার আঁখির ভাষ্য, উত্তাপ থেকে মাছ বাঁচাতে পুকুরে চুন মিশিয়ে দেওয়া ও সেচযন্ত্র দিয়ে পানি দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। মৎস্য বিভাগ থেকে জানা গেছে, উপজেলায় ৩ হাজার ৪৬৭টি পুকুর রয়েছে। এ অঞ্চলে মাছের চাহিদা ৭ হাজার ৫৬০ টন। তবে প্রতিবছর ৭ হাজার ৯৭২ টন গলদা, বাগদা ও কার্পজাতীয় মাছ উৎপাদন হচ্ছে। চাহিদার চেয়ে এলাকায় বেশি উৎপাদন হওয়া মাছ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হয়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মাছ চাষের জন্য ২৫ থেকে ৩২ ডিগ্রি আদর্শ তাপমাত্রা। পুকুরের পানির স্তর পাঁচ ফটের ওপরে থাকলে মাছের ক্ষতির শঙ্কা কম। বৃষ্টি না হওয়ায় পানির স্তর নামছে। এতে দেখা দিয়েছে অক্সিজেনের সংকট। ফলে হাঁসফাঁস করছে মাছ।

এলাকার ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, তীব্র গরমে প্রায় সব ধরনের ফসলে একই ধরনের অবস্থা। কলাগাছ মরে যাচ্ছে। কলার ছড়ি পড়ে যাচ্ছে। আম ও লিচুর গুটি ঝরে পড়ছে। ফলে আম, লিচু ও কলার কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন নিয়েও কৃষক দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। সদর উপজেলার কুলচারা গ্রামের কৃষক আলী হোসেন সাড়ে তিন বিঘা জমিতে দেশি জাতের কচুর আবাদ করেছেন। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ায় কচুর পাতা কুঁকড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস থেকে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৩৪ শতাংশ। আর বেলা ৩টায় ছিল ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৮ শতাংশ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, তাপপ্রবাহে কিছু কিছু ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। এ ক্ষতি কাটাতে কৃষকদের বলা হচ্ছে, ফসলে বেশি পানি দিতে।