ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত থেকে ৪০টি স্বর্ণের বারসহ আটক ২

ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত থেকে ৪০টি স্বর্ণের বারসহ ২ জন পাচারকারীকে আটক করেছে ৫৮ বিজিবি। মহেশপুর ব্যাটালিয়ন (৫৮ বিজিবি) নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, মহেশপুর উপজেলার পলিয়ানপুর সীমান্ত দিয়ে স্বণের একটি বড় চালান বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার হবে। খবর পেয়ে পলিয়ানপুর বিওপির একটি বিশেষ টহলদল ছয়ঘড়িয়া নামক স্থানে অবস্থান নেয়।

গতকাল মঙ্গলবার বিকালে দুইজন ব্যক্তি মোটরসাইকেল যোগে সীমান্তের দিকে যাওয়ার সময় বিজিবি টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করে থামায়। পরবর্তীতে বিজিবি টহলদল তাদের দেহ তল্লাশি করে একজনের কোমরের মধ্যে সাদা কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় ৪০টি স্বণের বার উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। আটকৃত স্বণের ওজন ৪.৬৩৩ কেজি এবং বর্তমান বাজারমুল্য প্রায়-৪,৪৮,০০,০০০/- (চার কোটি আটচল্লিশ লক্ষ) টাকা।

আটককৃত ব্যক্তিরা হলো- মহেশপুর উপজেলার ছয়ঘড়িয়া গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে মোঃ জসিম উদ্দিন (৫৩) এবং মৃত আকতার আলীর ছেলে মোঃ হুমায়ন কবির (৪০)।

মহেশপুর ৫৮ বিজিবির অধিনায়ক লে.কর্নেল এইচ এম সালাহউদ্দিন চৌধুরী মঙ্গলবার রাতে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।




মেহেরপুর জেলা আনসার-ভিডিপি’র মুজিবনগর দিবস উদযাপন

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য কর্মসূচি পালন করেছে মেহেরপুর জেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী।

আজ বুধবার ১৭ এপ্রিল সকালে মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সে অবস্থিত বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী খুলনা রেঞ্জের উপ-মহাপরিচালক শাহ্ আহমদ ফজলে রাব্বী।

১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরে (তৎকালীন বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে) স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করে। সেদিন ১২ জন বীর আনসার সদস্য মুজিবনগর সরকারকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় প্রশাসন জাতীয় কর্মসূচি গ্রহণ করে এবং এতে ধারাবাহিকভাবে সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে আসছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। এবারও মুজিবনগরের আম্রকাননে গীতিনাট্য “সোনালি স্বপ্নের দেশ” পরিবেশন করে বাহিনীর কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক দল।

এদিন ‘গার্ড অব অনার’ প্রদানকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা আনসার সদস্য ও খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের প্রতিনিধিগণের সাথে মতবিনিময় করেন খুলনা রেঞ্জের উপমহাপরিচালক শাহ্ আহমদ ফজলে রাব্বী ।

এসময় তিনি বাহিনীর মহাপরিচালকের পক্ষে তাদের হাতে ২৫,০০০/- টাকা হারে আর্থিক শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেন। এছাড়াও উপ-মহাপরিচালক ‘গার্ড অব অনার’ প্রদানকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা আনসার সদস্যদের কবরস্থানে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন ও তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া-মোনাজাত করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ১৪ আনসার ব্যাটালিয়নের পরিচালক মোঃ কামরুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা জেলার জেলা কমান্ড্যান্ট সঞ্জয় চৌধুরী, মেহেরপুর জেলার জেলা কমান্ড্যান্ট প্রদীপ চন্দ্র দত্ত, ১৪ আনসার ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মোঃ হেলাল উদ্দিন, “গার্ড অব অনার” প্রদানকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা আনসার সদস্য মোঃ আজিম উদ্দিন শেখ ও মোঃ সিরাজুদ্দীন প্রমুখ।

এর আগে ১৪ আনসার ব্যাটালিয়নের ২২ জন সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত এক চৌকস দল কুচকাওয়াজে অংশ গ্রহণ করে।




কোটচাঁদপুরের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করলেন ৩ জন প্রার্থী

আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন,বাংলাদেশ জামায়াতি ইসলামের কোটচাঁদপুরের তিন জন সম্ভব্য প্রার্থী। মঙ্গলবার নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুক) ভেরিফাইট পেজে একটি পোস্টের মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন কোটচাঁদপুর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সিনিয়র লেকচারার মুহাঃ শরিফুল ইসলাম।

তিনি বলেন,দেশের প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আসন্ন উপজেলা নির্বাচনকে বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।সংগঠনের এই সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে আমি কোটচাঁদপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচনের সকল কার্যক্রম থেকে সরে আসার ঘোষণা দিচ্ছি। এ সময় তিনি নির্বাচন সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজে সম্পৃক্ত সকল দায়িত্বশীল ও কর্মী ভাইদের প্রতি বিনম্র কৃতজ্ঞতাও জানান।

তবে তিনি সংগঠনের অন্য দুই প্রার্থীর ব্যাপারে কিছুই বলেননি ওই পোস্টে। বিষয়টি নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী মুহাঃ আজিজুর রহমান বলেন,প্রত্যাহার না, দল নির্বাচনে যাচ্ছে না। তাই দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি না।

জানা যায়,গেল ৩ এপ্রিল (বুধবার) দুধসরা পুরাতন জামে মসজিদের ইফতার মাহফিল থেকে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন তারা। সে থেকে কোটচাঁদপুর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যানার পোস্টার,ফ্রেসটুন লাগিয়ে জনসংযোগ চালান বাংলাদেশ জামায়াতি ইসলামীর তিন জন সম্ভব্য প্রার্থী।

যার মধ্যে চেয়ারম্যান পদে মুহাঃ আজিজুর রহমান। তিনি ছিলেন,তালসার কাজী লুৎফর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক। বর্তমানে তিনি কোটচাঁদপুর উপজেলা জামায়াতের আমীর।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে মুহাঃ শরিফুল ইসলাম।তিনি তালসার জিটি ডিগ্রি কলেজের সিনিয়র লেকচারার ও উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হচ্ছেন মহিলা বিভাগের দায়িত্বশীল ফজিলাতুননিছা শিরিনা।

তবে গণসংযোগ আর প্রচারণার ১৩ দিনের মাথায় আসন্ন উপজেলা নির্বাচনের সম্ভব্য তিন প্রার্থী তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন,কোটচাঁদপুর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সিনিয়র লেকচারার মুহাঃ শরিফুল ইসলাম। তিনি তাঁর নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম(ফেসবুক) ভেরিফাইট পেজে একটি পোস্টের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেন।

অন্যদিকে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে সম্ভব্য আওয়ামীগের চেয়ারম্যান পদে অর্ধ ডজন,ভাইরাস চেয়ারম্যান পদে ডজন খানিক ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন সম্ভব্য প্রার্থী নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে।




কুষ্টিয়ায় গড়াই নদীতে গোসল করতে গিয়ে ভাই-বোনের মৃত্যু

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে গড়াই নদীতে গোসল করতে নেমে শেফা (১৭) ও শাহাজাদা (১২) নামে দুইজনে করুণ মৃত্যু হয়েছে। তারা মামাতো ও ফুপাতো ভাইবোন।

আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরের দিকে উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের জয়নাবাদ বাসিন্দাপাড়া জামে মসজিদের সংলগ্ন গড়াই নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

শেফা উপজেলার শেরকান্দী এলাকার শামীম ইসলামের মেয়ে এবং শাহাজাদা চাপড়া ইউনিয়নের জয়নাবাদ এলাকার আলমগীর হোসেনের ছেলে। শেফা এবং শাহাজাদা তারা দুজনেই সম্পর্কে মামাতো ফুফাতো ভাই বোন।

শেফা কয়েকদিন আগে জয়নাবাদ এলাকায় নানা বাড়িতে বেড়াতে আসে। আজ দুপুরে শেফা এবং শাহাজাদা দুই জন মিলে গোসল করার জন্য গড়াই নদীতে নামে। একপর্যায়ে স্রোতের কারনে তারা দুইজনে পানিতে ডুবে যায়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষনা করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে চাঁপড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক মনজু জানান, গড়াই নদীতে পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে শেফা ও শাহাজাদা গোসল করতে নেমে পানির প্রবল স্রোতের কারনে তলিয়ে যায়। অনেক সময় ধরে পানির মধ্যে খোঁজাখুঁজি করে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষনা করেন। একসাথে দুইজনের করুণ মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।




মেহেরপুরে তাপমাত্রার পারদ উঠল ৪০.৭ ডিগ্রিতে

মেহেরপুর জেলার উপর দিয়ে তীব্র প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ঝাঁঝালো রোদের তীব্রতায় শুধু মানুষ নয় ওষ্ঠাগত প্রাণীকুলও। আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) জেলার তাপমাত্রার পারদ উঠল ৪০.৭ ডিগ্রিতে।

গতকাল মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি। টানা তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে ভারতীয় সীমান্তবর্তী এই জেলার মানুষ। অসহ্য গরমে ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে প্রাণিকুল। দিনের বেশিরভাগ সময় সূর্যের তাপে গরম অনুভূত হচ্ছে।

তীব্র প্রখরতায় উত্তাপে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপাকে।

বাইরে নির্মাণ শ্রমিক, কৃষি শ্রমিক, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকচালক ও ভ্যান-রিকশা চালকদের গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে। হা-হুতাশ করতে দেখা গেছে তাদের। প্রয়োজনের তাগিদে ঘর থেকে বেরিয়েও কাজ করতে পারছেন না। ছন্দপতন ঘটছে দৈনন্দিন কাজকর্মে।

রাস্তার পাশের আখের রস ও শরবতের দোকানগুলোতে গলা ভেজাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। একটু স্বস্তির আশায় গাছের নিচে ও ছায়াযুক্ত স্থানে বিশ্রাম নিচ্ছেন শ্রমজীবী মানুষেরা।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলছে। এ অবস্থা আরও কিছুদিন চলতে পারে। তবে এখনই বৃষ্টির সম্ভবনা নেই।




কোটচাঁদপুরে বিবাদমান জমি থেকে গাছ কাটা ও সীমানা প্রাচীর নির্মানের অভিযোগ 

আইন অমান্য করে বিবাদমান জমি থেকে গাছ কাটা ও সীমানা প্রাচীর নির্মানের অভিযোগ উঠেছে হাসানুজ্জামানের বিরুদ্ধে। তিনি কোটচাঁদপুরের দয়ারামপুর গ্রামের বাসিন্দা। বিষয়টি নিয়ে জিডি করে আদালতে পাঠানো হবে,অনুমতি পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বললেন,থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) সৈয়দ আল- মামন।

ভুক্তভোগী জালাল উদ্দীন বলেন,বিবাদী হাসানুজ্জামান আমার অজান্তে বোন আলোমতির কাছ থেকে দুইশতক জমি কিনে রেজিষ্ট্রি করে নেন। এরপর ঘটনা আমি জানার পর আইন মোতাবেক হক সেবা করি। আদালত হক সেবার রায় আমার পক্ষে দেন। সে মোতাবেক আমি ওই জমিতে টয়লেট নির্মান করছিলাম। তারা কাজ বন্ধ করে দেন।

এরপর রায়ের বিরুদ্ধে আদালতে আফিল করেন। ওই আফিলের রায় এখনও পর্যন্ত কোন পক্ষই পাননি। এরমধ্যে হাসানুজ্জামান সহ ৪০/৪৫ জন এসে ওই বিবাদমান জমিতে থাকা গাছ কেটে দিয়েছেন। নির্মান করেছেন স্থাপনা।

বিষয়টি বিবাদি হাসানুজ্জামান বলেন, ভাই আমার নিজের জমি। আমি জালাল উদ্দীনের বোনের কাছ থেকে জমিটি কিনে ছিলাম। পরে তারা জমিটি হক সেবা করেন। সেই মামলা চলমান রয়েছে। এখনও কোন কিছু হয়নি।

তিনি বলেন, জমিিট এতদিন পড়েছিল। দখল করি নাই। তারা আমার জমির উপর বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকেন। এ জন্য সম্প্রতি জমিটি দখলে নেয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এ ছাড়া আমার কাছে ওই জমির দলিল, নামপত্তন সব কাগজ আছে। তারা মামলায় জমি পেলে,তখন আমি ওনাদের ছেড়ে দিব। মামলা চলমান অবস্থায় সীমানা প্রাচীর করতে পারেন কি এমন প্রশ্নে তিনি বলেন,কেন পারবো না অবশ্যই পারি। আমার জমির গাছ আমি কেটেছি।

এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) সৈয়দ আল- মামুন বলেন, আইন অমান্য করে গাছ কাটা ও প্রাচীর নির্মান করার ঘটনায় থানায় একটা জিডি হয়েছে। জিডিটি আদালতের অনুমতি প্রাপ্তির জন্য পাঠানো হবে। অনুমতি পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।




মিরপুরে মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কেঁচো সার উৎপাদন প্রদর্শনীর মাঠ দিবস

জমির সেই হারানো শক্তিকে ফিরিয়ে আনতে হলে জৈব সার ব্যবহার করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন মিরপুর উপজেলা কৃষি অফিসের অতিরিক্ত কৃষি অফিসার মতিয়র রহমান।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কেঁচো সার উৎপাদন প্রদর্শনীর মাঠ দিবস উপলক্ষে কুষ্টিয়ার মিরপুরে অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসের সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, অতীতে ইচ্ছামতো রাসায়নিক সার ব্যবহারের ফলে মাটির উর্বরা শক্তি প্রায় পুরোটাই হারিয়ে যেতে বসেছে। জমির অম্লতা এমনভাবে বেড়েছে যে জমিতে ফসলই উৎপাদন এক রকম কঠিন হয়ে পড়েছে। আবাদি জমির প্রাণ ফিরিয়ে আনতে জৈব সার উৎপাদন এবং প্রয়োগে সচেষ্ট হতে হবে কৃষকদের পাশাপাশি সমাজের সব স্তরের মানুষকে। এ সার মাটিকে রাখতে পারে সতেজ, ফিরিয়ে দিতে পারে আগের সেই প্রাণ। শুধু তাই নয়, এই জৈব সার উৎপাদনে কৃষকদের এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।

মিরপুর উপজেলার বহলবাড়ীয়া ইউনিয়নের খাঁড়ারা গ্রামে তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা আলীমুল রেজা সুমনের বাড়ির আঙ্গিনায় এ মাঠ দিবস পালিত হয়।

যশোর অঞ্চলে টেকসই কৃষি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়নাধীন প্রযুক্তি বিষয়ক কেঁচো সার উৎপাদন প্রদর্শনীর মাঠ দিবসে বাস্তবায়ন করে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

বহলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম সাইদুলের সভাপতিত্বে এবং মিরপুর উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মইনুল ইসলাম রাজিবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই মাঠ দিবসের অনুষ্ঠানে চাষিদের কেঁচো সার উৎপাদনের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার মাহিরুল ইসলাম, বহলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সানোয়ার হোসেন, কৃষকের বন্ধু এসএম জামাল ও তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা আলীমুল রেজা সুমন প্রমুখ।

মাঠ দিবসে বক্তারা বলেন, মাটির পুষ্টিমাণ বৃদ্ধি, মাটির পানির ধারণ ক্ষমতা বাড়ানো, ভূমিক্ষয় রোধ, মাটির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ও মাটির রাসায়নিক বিক্রিয়ার মান নিরপেক্ষ রাখতে সহায়তা করে ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার। কেঁচো সারের উপাদানের মধ্যে রয়েছে নাইট্রোজেন শতকরা এক ভাগ, ফসফরাস এক ভাগ, পটাশিয়াম এক ভাগ, জৈব কার্বন ১৮ ভাগ ও পানি রয়েছে ১৫ থেকে ২৫ ভাগ পর্যন্ত। কেঁচো কম্পোস্ট তৈরির জন্য ছায়াযুক্ত স্থানে প্রথমে গর্ত তৈরি করে রিং স্থাপনের পর নিচে পলিথিন দিয়ে মুড়িয়ে নিতে হবে। এরপর গর্তে ছোট ছোট কাটা ঘাস, আমের পাতা, হাস মুরগির বিষ্টা, পচা গোবর দিয়ে ২০০টি কেঁচো প্রয়োগ করতে হবে। রিংয়ের উপরিভাগে পাটের ভেজানো বস্তা দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। ৩ দিন পর ২১ দিন পর্যন্ত ৫০-৬০ ভাগ আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য হালকা পানি ছিটাতে হবে। ২৮ -৩২ দিনের মাথায় কেঁচো সার সংগ্রহ করার উপযোগী হয়। ২ ঘন্টা রোদে শুকানোর পর বাজারজাত করাসহ মাঠের ধান, আলু, শাকসবজি, ফুলের টবে বা ছাদ কৃষিতে এ সার ব্যবহার করা যায় বলে জানান।

এসময় ইউনিয়নের সব ইউপি সদস্য, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব, ছাত্রলীগ নেতা রাজিব, রাব্বি, ফিরোজ, আরাফাতসহ শতাধিক কৃষক/কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন।




১০০ জনকে নিয়োগ দেবে মিনিস্টার হাই-টেক পার্ক

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে মিনিস্টার হাই-টেক পার্ক লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটিতে শোরুম ম্যানেজার অফিসার পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে সহজেই আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম

শোরুম ম্যানেজার।

পদসংখ্যা

সর্বমোট ১০০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা

প্রার্থীকে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই)/স্নাতকোত্তর পাস হতে হবে। প্রার্থীর ধরন: পুরুষ। বয়স: ৩০-৪০ বছর।

কর্মস্থল

বাংলাদেশের যেকোনো স্থানে।

বেতন

৩৫,০০০-৪০,০০০ টাকা

আবেদনের প্রক্রিয়া

আগ্রহী প্রার্থীরা বিডিজবস অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ তারিখ

১৫ মে, ২০২৪

সূত্র : বিডিজবস




যারা মুজিবনগর দিবস মানেনা, তারা মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীন রাস্ট্রকেও মানেনা–কাজী জাফরুল্লাহ

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ বলেন, মুজিবনগর সরকার স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার। যারা ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবসকে মানেনা, তারা মুক্তিযুদ্ধ ও এই স্বাধীন রাস্ট্রকেও মানেনা। তারা আজও পাকিস্থানের দোষর হিসেবে কাজ করে।

আজ ১৭ এপিল দুপুরে মুজিবনগর আম্রকাননের শেখ হাসিনা মঞ্চে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয় ও মেহেরপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত মুজিবনগর দিবসের বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাসিম এমপি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি। বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন এমপি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাজী জাফরুল্লাহ আরও বলেন, এই দেশ যতদিন থাকবে আওয়ামীলীগ ততদিন এই মুজিবনগর দিবস পালন করবে। আগামীতে মুজিবনগর দিবসটি আরও আড়ম্বরভাবে উথযাপন করা হবে। এক সময়কার বৈদ্যনাথতলাকে মুজিবনগর নামকরণ করার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল সেটি বঙ্গবন্ধুরই অবদান। মেহেরপুর জেলার মানুষ এই দিবসটিকে কৃতজ্ঞতার সাথেই স্বরণ করে আসছে।

তিনি আরও বলেন, দু:খজনক হলেও সত্য আগে দেশব্যাপি ১৭ এপ্রিল দিবসটি উৎযাপন করা হতো সেভাবে এখন উৎযাপন করা হয়না। আগামীতে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলাতে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন ছড়িয়ে দিতে হবে। যাতে করে নতুন প্রজন্ম ও দেশের সকল মানুষ স্বাধীনতার পরবর্তি প্রথম সরকারকে স্বরণ করে রাখে।

প্রধান বক্তা আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, যারা স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে। যারা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে সব ধরনের শক্তি যুগিয়েছিল। পাকিস্থানি হানাদার বাহিনীর পক্ষ নিয়েছিলো, তাদেরই মদদে বিগত দিনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে তারা বানচাল করার চেষ্টা করেছে। ৭১ সালের সেই পরাজিত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরাজিত শক্তির মদদে ও উস্কানিতে তারা এতদিন এটা করেছিল। আজকে এটা পরিস্কার হয়েছে। এটা স্বীকার করে ’মির্যা ফকরুল’ বলেছেন আমরা আর বিদেশীদের উপর নির্ভর করতে চাইনা।

তিনি বলেন, আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিশ্বাস করি, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ৭০ সালে যেমনি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম, আজ বঙ্গবন্ধুর কন্যার নেতৃত্বে এখনো সেভাবে ঐক্যবদ্ধ থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলবো।

মন্ত্রী আরও বলেন, ৭০ এর নির্বাচনে এদেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে বঙ্গবন্ধু ও তার দল আওয়ামীলীগকে ম্যান্ডেড দিয়েছিল। সেই মেন্ডেডে তিনি এককভাবে বাঙ্গালী জাতীর নেতা পরিণত হয়েছিলেন। তারপরেও পাকিস্থানী সামরিক জান্তা বাঙ্গালীদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি। তার বাঙ্গালীর নেতৃত্ব স্বীকার করতে চাইনি। ক্ষমতা হস্তান্তর না করে আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে আমরা মুক্তিযুদ্ধে অবতীর্ণ হই। তারই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনামতে ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়। ১৭ এপ্রিল এই ঐতিহাসিক স্থানে বিপ্লবী সরকার মুজিবনগরকে প্রথম রাজধানী হিসেবে তার কার্যক্রম শুরু করে।

তাই ঐতিহাসিক এই মুজিবনগর স্মৃতিকেন্দ্রকে আন্তর্জাতিক মানের এবং মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সূতিকাগার হিসেবে গড়ে তুলতে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার। অচিরেই এই কার্যক্রম শুরু হবে। যাতে সারা বিশ্ববাসি ও দেশের অগনিত জনগণ এখানে এসে সেই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে পারে। জানতে পারে ৯ মাসের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস।

জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী সিটি মেয়র এ এইচ এম খাইরুজ্জামান লিটন, বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সিমিন হোসেন রিমি এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন এমপি।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের সভাপতি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাসিম এমপি।
বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডাক্তার সৈয়দা জাকিয়া নুর (লিলি) এমপি, পারভীন জামান কল্পনা এমপি, নির্মল কুমার চ্যাটার্জি এমপি, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান, মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক, মেহেরপুর-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ডাক্তার এএসএম নাজমুল হক সাগরসহ জাতীয় ও স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় করেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক এমপি।

এর আগে জাতীয় নেতৃবৃন্দ মুজিবনগর স্মৃতিশৌধে পুস্পা মাল্য অর্পন করেন। এছাড়া অতিথিদের গর্ড অব অনার প্রদান করেন পুলিশ, আনছার ও ভিডিপি, বিএনসিসি, গার্লস গাইড সদস্যরা । সকাল ১০ টায় গীতিনাট্য “জল, মাটি ও মানুষ” উপস্থাপন করা হয়।

সকাল ৯ টার দিকে ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়েছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক মোজাম্মেল হক সর্বপ্রথম মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্প মাল্য অর্পণ করেন।

এরপর জনপ্রশাসন মন্ত্রী ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, সংসদ সদস্য ডাঃ সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে জেলা শাখার পক্ষে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফারহাদ হোসেন, মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক মোঃ শামীম হাসান, জেলা পুলিশের পক্ষে পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হক, মেহেরপুর জেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুষ্প মাল্য অর্পণ করা হয়।

মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ চত্বরে শেখ হাসিনা মঞ্চের সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জাতীয় সংগীতের সুরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী সিসিম হোসেন রিমি দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় সেখানে মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করা হয়।

বীর মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশ পুলিশ, বিজিবি, আনসার ব্যাটালিয়ান, মেহেররপুর সরকারি কলেজ ও মেহেরপুর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের বিএনসিসি, মেহেরপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় এবং মেহেরপুর সরকারি শিশু পরিবারের সদস্যরা মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করেন। প্রধান অতিথি সালাম গ্রহণ করেন। মেহেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) আব্দুল করিম প্যারেড পরিচালনা করেন।




চুয়াডাঙ্গায় সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল, যাত্রীদের ৪ ঘন্টা দূর্ভোগ

চুয়াডাঙ্গায় রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়ায় প্রচন্ড গরম যাত্রীদের ৪ ঘন্টা চরম দূর্ভােগ পােহাতে হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশন থেকে প্রায় ২ কিলামিটার দুর বুধবার সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে ট্রেনটি পৌছালে সেখানই ইঞ্জিনটি বিকল হয়ে যায়। টানা ৪ ঘন্টা পর এদিন বেলা ১২ টার দিকে খুলনা থেকে ইঞ্জিন নিয়ে এসে ট্রেনটি নিয়ে যাওয়া হয়। এ এসময় ফাঁকা জায়গায় প্রচন্ড গরমে যাত্রীরা দূর্ভােগে পড়েছিল।

ট্রেনের লােকা মাস্টার জাহিদুল ইসলাম জানান, হঠাৎ করে ইঞ্জিনে শক্তি না পাওয়ায় সেটা বিকল হয়ে পড়ে। এতে সাময়িক সময় ইঞ্জিন বন্ধ কর রাখা হয়। ঊর্ধতন কর্মকর্তাদের বিষয়টিে জানােনা হয়েছে। খুলনা থেকে বিকল্প ট্রেন ইঞ্জিন আসা মাত্র ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে।

চুয়াডাঙ্গা স্টেশন মাস্টার মিজানুর রহমান জানান, ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হওয়ায় যাত্রীদর সাময়িক দূর্ভােগ হয়েছে।। তব,অন্যান্য ট্রন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছ। খুলনা থেকে ট্রেন ইঞ্জিন আসার পর ট্রনটি ছেড়ে গেছে।