চুয়াডাঙ্গার দর্শনা নাস্তিপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশী আহত

চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনার নাস্তিপুর বাড়াদী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশী চোরাকারবারী নবিউল ইসলাম(৫০) আহত হয়েছে।

আহত নবিউল ইসলাম দামুড়হুদা পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের নাস্তিপুর স্কল পাড়ার মৃত্য আব্দুল করিমের ছেলে।

বিএসএফের গুলিতে আহতের বড় ভাই শফিউল জানায়, গতকাল মঙ্গলবার (২৮মে) সন্ধার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে পেঁপে বাগান দেখতে যায়। তারপর আমরা রাত ১১ টার দিকে ছররা গুলির শব্দ শুনতে পাই আমার ছোট ভাই নবিউল ইসলামকে বিএসএফ গুলি করেছে। ঐ অবস্থায় আমার ভাই প্রানে বেঁচে আসে। তারপর পরিবারের লোকজন দর্শনা প্রাইভেট হাসপাতালে নিলে সেখান থেকে ফেরত দেয়।

স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানান, ওই দিন রাত ১১টার দিকে রবিউল বাড়াদি সীমান্তের ৭৯-৮০ পিলারের কাছ দিয়ে চোরাইপথে ভারতে প্রবেশ করে গভীররাতে ফিরে আসছিল। এ সময় বিজয়পুর ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফের সামনে পড়লে তারা পাঁচ-ছয় রাউন্ড ছররা গুলি বর্ষণ করে। বিএসএফের ছোড়া গুলিতে রবিউল হোসেন মারাত্বক আহত হয়। গুলি লাগা অবস্থায় সীমান্তপার হয়ে বাংলাদেশে চলে আসে। পরে পরিবারের লোকজন তাকে বুধবার ভোরে দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ ঘটনায় দামুড়হুদা সার্কেল এ এসপি জাকিয়া সুলতানা ও দর্শনা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

তবে এ বিষয়ে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা জানান, বাড়াদি সীমান্তবর্তি গ্রাম এলাকা পরিদর্শন করেছি। গ্রাম ও এলাকাবাসী জানালেন ওই দিন গভীররাতে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা গেছে তবে নবিউল ইসলাম কোথায় চিকিৎসা নিচ্ছে সে বিষয়ে পরিবারের লোক মুখ খোলেনী।

এ ঘটনার বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির ব্যাটেলিয়নের উপ-অধিনায়ক জানান, আমরা বিষয়টি শুনেছি তবে খোঁজখবর নিয়ে দেখি, তারপর জানাব।




জীবননগরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাঝে টি আরের অথ প্রদান

জীবননগরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাঝে টি আরের অথ প্রদান করা হয়েছে। আজ বুধবার বিকাল ৪ টার সময় জীবননগর উপজেলায় ২০২৩ -২০২৪ অর্থ বছরের গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টি আর) নির্বাচনী এলাকা (৩য় পর্যায়) বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে উন্নয়নের জন্য এ চেক বিতরণ করা হয়।

জীবননগর উপজেলা নিবাহী অফিসার হাসিনা মমতাজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে, চেক তুলে দেন জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মোঃ হাফিজুর রহমান।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, জীবননগর প্রেস সভাপতি এম.আর.বাবু, রায়পুর ইউপি চেয়ারম্যান তাহাজ্জদ মিজা, সাংবাদিক মিঠুন মাহমুদ, জীবননগর উপজেলা প্রকল্প কমকতা মোঃ মিজানুর রহমান প্রমুখ।




জীবননগরে মৎস্য চাষ ও গবাদি পশু পালনের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

জীবননগরে কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশন কর্তৃক মৎস্য চাষ ও গবাদি পশু ও হাঁস মুরগি পালনের উপর প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে, আজ বুধবার সকাল ১০ টার সময় জীবননগর উপজেলা পরিষদ সভাপক্ষে এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিনা মমতাজ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ মহাব্যবস্থাপক কুষ্টিয়া অঞ্চল পলাশ চক্রবর্তী, প্রশিক্ষণ প্রদান করেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা দ্বীন ইসলাম, প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানটির সার্বিক পরিচালনা করেন জীবননগর উপজেলা ব্যবস্থাপক শেখ হারুন-অর রশিদ।




মেহেরপুরে ব্র্যাক টিবি কনট্রোল কর্মসূচীর আওতায় নেটওয়ার্কিং মিটিং

মেহেরপুরে ব্র্যাক টিবি কনট্রোল কর্মসূচীর আওতায় প্যানেল আইনজীবিদের নিয়ে নেটওয়ার্কিং মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ন্যাশনাল টিবি কনট্রোল কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আজ বুধবার (২৯ মে) দুপুরে মেহেরপুর সদর উপজেলার চাঁদবিল ইমপেক্টের হলরুমে এ মিটিং অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মহী উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে মিটিং এ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ শামীম হাসান।

এসময় বক্তব্য রাখেন, ডিস্ট্রিক্ট সার্ভিলেন্স মেডিকেল অফিসার (ডিএসএমও) উম্মে হুমায়রা আয়েশা, ব্রাকের ডেপুটি ম্যানেজার আহসান হাবীব।

এছাড়াও এসময় ব্রাক জেলা সমন্বয়ক শেখ মনিরুল হুদা, টিবি কনট্রোল প্রোগ্রামের ডিসট্রিক্ট ম্যানেজার অচিন্ত কুমার বোস, উপজেলা একাউন্টস ম্যানেজার সুমীর কুমার বিশ্বাস,টিবি কনট্রোল প্রোগ্রামের পিও লুৎফুন্নাহার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




মুজিবনগরে গুডনেইবারর্সের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

মুজিবনগরে গুডনেইবারর্স বাংলাদেশ মেহেরপুর সিডিপি এর আয়োজনে, স্পন্সর শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।

আজ বুধবার (২৯ মে) বিকেলে গুডনেইবারর্স বাংলাদেশ মেহেরপুর সিডিপি এর বল্লভপুর প্রজেক্ট অফিস প্রাঙ্গনে আয়োজিত বিতরণ অনুষ্ঠানে সিডিপি ম্যানেজার সুব্রত টুডের সভাপতিত্বে এবং সিডিপির সিনিয়র অফিসার রিফাত আল মাহমুদের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিক্ষা উপকরণ বিতরণের উদ্বোধন করেন  জেলা প্রশাসক শামীম হাসান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তানভীর হাসান রুমান, জেলা সমবায় অফিসার প্রভাস চন্দ্র বালা, মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল ইসলাম, জেলা তথ্য অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার রিয়াজ মাহমুদ, মুজিবনগর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) নাজমুস সাদাত রত্ন।

অনুষ্ঠানে গুড নাইট বারস বাংলাদেশ মেহেরপুর সিডিপির অন্তর্গত ১২শত স্পনসর শিশুদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী, শিক্ষা সামগ্রী, স্বাস্থ্য সামগ্রী, বিতরণের উদ্বোধন করা হয়।




ঝিনাইদহের কালীচরণপুর ইউনিয়নে উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কালীচরণপুর ইউনিয়নের ২০২৪-২৫ অর্থবছরে নতুন কর আরোপ ছাড়াই ৯৬ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৪ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে।

আজ বুধবার (২৯ মে ) দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে এক বাজেট সভায় এ বাজেট ঘোষণা করেন।

উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা করেণ ইউপি সচিব মোঃ আমিনুর রহমান।

এসময় ১৫ নং কালীচরণপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোদাচ্ছের হোসেন, ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম, ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, সংরক্ষিত ইউপি সদস্য রেশমা খাতুন, ইউপি সদস্য শরিফ উদ্দীন, শামছুল ইসলাম, আব্দুল মজিদ, সাইফুল ইসলাম সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।




জেনারেল ম্যানেজার পদে নিয়োগ দেবে যমুনা গ্রুপ

সম্প্রতি জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছ যমুনা গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটির সিকিউরিটি (ল্যান্ড প্রজেক্ট) বিভাগ ‘জেনারেল ম্যানেজার’ পদে জনবল নিয়োগ দেবে।

প্রতিষ্ঠানের নাম : যমুনা গ্রুপ

পদ ও বিভাগের নাম : জেনারেল ম্যানেজার, সিকিউরিটি (ল্যান্ড প্রজেক্ট)

আবেদনের বয়সসীমা : কমপক্ষে ৩৫ বছর

পদসংখ্যা : ০১টি

কর্মস্থল : ঢাকা

বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে

অভিজ্ঞতা : কমপক্ষে ১৫ বছর

বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ : ২৮ মে, ২০২৪

কর্মক্ষেত্র : অফিস

কর্মঘণ্টা : ফুল টাইম

প্রার্থীর ধরন : শুধু পুরুষ

আবেদনের শেষ তারিখ : ১১ জুন, ২০২৪

শিক্ষাগত যোগ্যতা : সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট, ক্রিমিনাল জাস্টিস, বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে স্নাতক/সম্মান ডিগ্রি।

অন্যান্য সুবিধা : বছরে দুটি উৎসব বোনাস, ভালো কাজের পরিবেশ ছাড়াও কোম্পানির নীতি অনুযায়ী বিভিন্ন সুবিধা পাবেন।

যেভাবে আাবেদন করবেন : আগ্রহীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।




মেহেরপুরে প্রচন্ড গরমে কদর বেড়েছে তাল শাঁসের

তীব্র গরমে কদর বেড়েছে তালের শাঁসের। জৈষ্ঠ্য মাসের খরতাপে প্রতিবারের মতো এবারও তাল শাঁস বিক্রি হচ্ছে মেহেরপুরের বিভিন্ন জায়গায়।

শহরের পৌর সভার পাশে, বয়েজ স্কুলের সামনে এবং হোটেল বাজারের ফুটপাতে বিক্রি হওয়া রসালো এ ফলের স্বাদ নিচ্ছেন অনেকেই।

পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এ ফলে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রয়েছে। এর বেশিরভাগ অংশ জলীয় হওয়ায় এটা খেলে শরীরে পানিশূন্যতা দূর হয়। কচি তালের শাঁস যেমন সুস্বাদু ও পুষ্টিকর তেমনি পাঁকা তাল ও তালের পিঠা গ্রাম বাংলার সুস্বাদু ও জনপ্রিয় খাবার।

বাজারে নতুন ফল তাল শাঁস উঠতে শুরু করেছে। কাঁচা তালের কচি শাঁস খেতে কার না ভালো লাগে। মেহেরপুরের বিভিন্ন ছোট বড় বাজার ও সড়কের আশেপাশে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের তালের শাঁস বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে।

ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, বি ও সিসহ নানা ধরনের পুষ্টির চাহিদাও মিটছে তালের শাঁস। গ্রীষ্মের গরমে কঁচি তালের রসালো শাঁস সবাইকে তৃপ্তি দেয়। এছাড়া এটি পুষ্টিকর, প্রশান্তিদায়ক ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

তাল শাঁসের ক্রেতা জাহাঙ্গীর আলম জানান, তালের শাঁস একটি সুস্বাদু ফল। গরম থেকে এসে তালের শাঁস খেতে ভালই লাগে। গরমের জন্য আমি নিয়মিত খাচ্ছি।

ফুটপাতে দাঁড়িয়ে পরিবারের সবার জন্য তালের শাঁস কিনেছিলেন মোঃ আকাশ। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে ফরমালিন বা কেমিক্যাল ছাড়া কোনও ফল পাওয়া মুশকিল। সেখানে তালের শাঁস সর্বোৎকৃষ্ট। ছোট শাঁস অনুযায়ী দাম কিছুটা বেশি হলেও এ নিয়ে কিছু বলার নেই।

তাল শাঁসের খুচরা বিক্রেতা মুজিবুর জানান, দীর্ঘদিন ধরে তিনি তালের শাঁস বিক্রি করেন। আগে এক-দুই টাকায় তালের শাঁস বিক্রি করলেও এখন ৫-৬ টাকা প্রতি পিস বেচাকেনা হয়। প্রতিদিন সব খরচ বাদ দিয়ে দৈনিক চার-পাঁচ শত টাকা লাভ থাকে। গরম যতো বাড়ে তালের শাঁসের চাহিদাও বাড়ে। গাছ থেকে তালের কাঁদি কেটে তা আবার নামানো, বাজারে বয়ে আনা, তারপর কাটাকুটি করে তবেই ক্রেতার হাতে দিতে হয়। কষ্ট হলেও লাভ হয়।

তাল বিক্রেতা কামরুল বলেন, প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ কাঁদি তাল শাঁস বিক্রি হয়। কেউ একটু তরল, আবার কেউ একটু শক্ত শাঁস পছন্দ করেন। অতিরিক্ত গরম পড়ার কারণে ক্রেতা ভালোই পাচ্ছি।




হুমায়ুন ফরীদির ৭২তম জন্মদিন আজ

বাংলাদেশের অভিনয়-জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র প্রয়াত কিংবদন্তি অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদির ৭২তম জন্মদিন আজ (২৯ মে)। মঞ্চ থেকে চলচ্চিত্র অভিনয়ের সবখানে তিনি রাজত্ব করেছেন দুর্দান্ত প্রতাপে। তার অসাধারণ সৃষ্টিকর্ম আজও দাগ কেটে আছে ভক্তদের মনে।

আশির দশকে নির্মাতা তানভীর মোকাম্মেলের ‘হুলিয়া’ নামে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড়পর্দায় পা রাখেন হুমায়ুন ফরীদি। পরবর্তীতে বাংলা সিনেমার জগতে এক অধ্যায় হয়ে ওঠেন তিনি। একে একে উপহার দিয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় চলচ্চিত্র।

‘মাতৃত্ব’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান হুমায়ুন ফরীদি। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করেন।

১৯৫২ সালের ২৯ মে গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার তুমুলিয়া ইউনিয়নের চুয়ারিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ুন ফরীদি। তার বাবার নাম এ টি এম নূরুল ইসলাম ও মা বেগম ফরিদা ইসলাম। চার ভাই-বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়।

১৯৬৫ সালে পিতার চাকরির সুবাদে মাদারীপুরের ইউনাইটেড ইসলামিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু হুমায়ুন ফরীদির। পরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী ফরীদি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে জড়িয়ে পড়েন নাট্যাঙ্গনের সঙ্গে।

১৯৭৬ সালে নাট্যজন সেলিম আল দীনের উদ্যোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয় নাট্যোৎসব। আর হুমায়ুন ফরীদি ছিলেন এর অন্যতম প্রধান সংগঠক। এই উৎসবে ফরীদির নিজের রচনায় এবং নির্দেশনায় মঞ্চস্থ হয় ‘আত্মস্থ ও হিরন্ময়ীদের বৃত্তান্ত’ নামে একটি নাটক। ওই সময় নাটকটি সেরা হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল।

হুমায়ুন ফরীদির অন্যতম জনপ্রিয় চলচ্চিত্রগুলো হচ্ছে ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘ভণ্ড’, ‘ঘাতক’, ‘ব্যাচেলর’, ‘জয়যাত্রা’, ‘শ্যামল ছায়া’, ‘টাকার অহংকার’, ‘অধিকার চাই’, ‘সন্ত্রাস’, ‘দহন’, ‘লড়াকু’, ‘দিনমজুর’, ‘বীর পুরুষ’, ‘বিশ্ব প্রেমিক’, ‘আজকের হিটলার’, ‘দুর্জয়’, ‘শাসন’সহ অসংখ্য সিনেমা উপহার দিয়েছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রে।

এছাড়া অভিনেতার উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হলো ‘কোথাও কেউ নেই’, ‘নিখোঁজ সংবাদ’, ‘হঠাৎ একদিন’, ‘পাথর সময়’, ‘সংশপ্তক’, ‘সমূদ্রে গাংচিল’, ‘কাছের মানুষ’, ‘মোহনা’, ‘নীল নকশাল সন্ধানে’, ‘দূরবীন দিয়ে দেখুন’, ‘ভাঙনের শব্দ শুনি’।

২০১২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান হুমায়ুন ফরীদি। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৬০। হুমায়ুন ফরীদির প্রয়াণে যে শূণ্যতা তৈরি হয়েছে ঢালিউড চলচ্চিত্রাঙ্গনে, সেটা অপূরণীয়।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে গ্রাম আদালতকে সক্রিয় করতে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

মেহেরপুরে জেলা পর্যায়ে গ্রাম আদালতকে আরো সক্রিয় করতে পর্যালোচনা ও করণীয় শীর্ষক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার বেলা ১২ টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সভাকক্ষে ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটরদের নিয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সমন্বয় সভা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক শামীম হাসান।

স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক শামীম হোসেনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন জেলার তিন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসান , মোঃ খায়রুল ইসলাম ও প্রীতম সাহা ।

এ সময় গ্রাম আদালতের কার্যক্রমের অগ্রগতি নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। বিভিন্ন সমস্যাগুলোর সমাধান ও গ্রাম আদালতকে আরে বেগবান করতে করণীয় বিষয়ে পরামর্শ দেন উপস্থিত অংশগ্রহণকারীরা। এছাড়াও গ্রাম আদালতে ছোটখাট অভিযোগের সমাধান যেন সঠিকভাবে মানুষ পায় সেই বিষয়ে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়।