কুষ্টিয়া শিল্পকলা একাডেমি মঞ্চে নাট্যকার মাসুম রেজার ‘এডিটর মহাশয়’

কুষ্টিয়া শিল্পকলা একাডেমি মঞ্চে আজ সন্ধ্যায় মঞ্চস্থ হবে গ্রামীণ সাংবাদিকতার পথিকৃৎ কাঙাল হরিনাথের জীবন ও কর্ম নিয়ে নাট্যকার মাসুম রেজার রচনা ও নির্দেশনায় এডিটর মহাশয়’।

কুষ্টিয়ার কুমারখালীর গ্রামীণ জনপদে জন্ম নেয়া কাঙাল হরিনাথ মজুমদার কিভাবে হয়ে উঠেছিলেন নিপীড়িত মানুষের আশা ভরসার আশ্রয়। সেই সত্য ঘটনাবলীই এই নাটকে উঠে আসবে এ নাটকে।

মাসুম রেজার নিজেই নাটকটির রচনা ও নির্দেশনায় রয়েছেন। কয়েক সপ্তাহ ধরে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে চলছে দফায় দফায় রিহার্সাল। সেখানেও তার উপস্থিতির দেখা মেলে।

জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে মঞ্চস্থর জন্য ইতিমধ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। বোধন থিয়েটার কুষ্টিয়া এ নাটকটির প্রযোজনা করেছে। এডিটর মহাশয় বোধন থিয়েটারের ২৮তম প্রযোজনা।

নাটকটির পরিকল্পনা ও সার্বিক বিষয় নিয়ে নাট্যকার মাসুম রেজা বলেন, এ নাট্যের সময়কাল ১৮৬৩ সালের গোড়ার দিক থেকে শুরু। এই সময়কালে কুমারখালী থেকে গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা শিরোনামে একটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশ হতে শুরু করে। যার এডিটর কাঙাল হরিনাথ মজুমদার। আঠারোশ’ বাহাত্তর সালে যখন পাবনা ও সিরাজগঞ্জে কৃষক বিদ্রোহের আগুন জ্বলে ওঠে তখন তৎকালীন জমিদাররা বিদ্রোহ সংগঠনের অভিযোগ আনেন গ্রামবার্ত্তার বিরুদ্ধে। কাঙালকে উপুর্যুপরি হত্যাচেষ্টা চালাতে থাকেন তাঁরা। সকল লোভ ও ভয়কে উপেক্ষা করে একজন এডিটর যখন বলে ওঠেন; জমিদার যদি তাঁর ছোবল সঙ্কুচিত না করেন, প্রজাদের যত্ম না নেন, তবে আমার পত্রিকা নীরব থাকবে না। সেই এডিটর তখন আর কেবল এডিটর থাকেন না। মানুষের কাতারে নেমে তিনি সেইসব মানুষেরই একজন হয়ে যান। এ নাট্যের সকল ঘটনাবলীই সত্যনির্ভর। সেইসব ঘটনাকে শব্দ, নিঃশব্দ ও সংলাপে মূর্ত করা হয়েছে।

জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম বলেন, নাটকটি উপস্থাপনার ক্ষেত্রে যে মঞ্চসজ্জা ব্যবহৃত হয়েছে তা বাস্তবতা বা ইতিহাসকে আশ্রয় করে নির্মিত হয়নি, কারণ সেই সময়কে প্রকৃতরূপে মঞ্চে স্থাপন যেমন দুরূহ তেমনি ব্যয়বহুল। ফলে আবহ তৈরীতে ইঙ্গিতবহ মঞ্চনির্মাণ করা হয়েছে। পোশাক পরিকল্পনার ক্ষেত্রে একটা সাধারণীকরণ মাপকাঠি মেনে চলা হয়েছে। যে ধরণের পরিধানে একজন কৃষককে বা জমিদারকে, ইংরেজ সাহেবকে আঁচ করে নেওয়া যায় সে ধরণের পরিচ্ছদেই সজ্জিত হবেন এডিটর মহাশয়ের অভিনয়শিল্পীরা।

মাসুম রেজা আরো বলেন, বোধন থিয়েটার আমার নিজের দল আমি এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। নিজের দলে, নিজের লেখা নাটকের নির্দেশনা দিতে পারার আনন্দে আমি উল্লসিত। ইতিহাসে এমন সাক্ষ্য নেই যে কাঙালের সাথে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাক্ষাত হয়েছিলো, এমন সাক্ষ্যও নেই যে তাঁদের সাক্ষাত হয়নি। ফলে আমি এ নাট্যের অন্তে রবিঠাকুরের সাথে কাঙালের কল্পিত কথপোকথন দেখিয়েছি। ইতিহাসে কল্পনার স্থান না থাকলেও সাহিত্যে তা সিদ্ধ। কোন অভিপ্রায়ে আমি তা করেছি তা এ নাট্য দর্শনে বোধগম্য হবে।

জেলা শিল্পকলা একাডেমির সুত্রে জানা গেছে, এ নাটকটি দেখতে দর্শকদের প্রদর্শনী মুল্য রাখা হয়েছে একশো এবং ৫শ টাকা। ইতিমধ্যে অনেক দর্শক অগ্রিম টিকিট বুক দিয়েছে।




মেদ কমাতে সঠিকভাবে ঘুমান

ওজন কমানোর জন্যে হাড়ভাঙা খাটুনি তো করতেই হয়; সেইসাথে আছে জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনার চেষ্টা। তবে কেউ কি ভেবেছে যে ঘুমিয়েও ওজন কমানো সম্ভব? ব্যাপারটা মোটেও এমন নয় যে ঘুমালেই ওজন কমে যাবে। ঘুমের আগে কিছু অভ্যাস গড়ে নিলে ওজন কমানোর প্রাকৃতিক সুফল মিলবে।

আপনি ঘুমিয়ে গেলেও আপনার দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কার্যকরী থাকে। অর্থাৎ দেহের শক্তি ক্ষয় ঘুমেও হয়। এ সময় কিছু ক্যালরিও খরচ হয়। সারারাত ঘুমের সময় বাড়তি ওজন নিঃশ্বাস এবং ঘামের মধ্যেই বের হয়। সকালে ঘুম ভাঙার পর ওজন মাপলে দেখা যাবে কিছুটা কম।

তাই ওজন কমানোর ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত ঘুমের বিকল্প নেই। উলটো ঘুম ঠিকঠাক না হলে শরীরে ওজন বাড়ে। কারণ ঘুম না হলে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসল ক্ষরণ হয়। এতে হজমের সমস্যা ও বিপাকে সমস্যা হয়। ফলে রাতে আজেবাজে খাবার গ্রহণের মাত্রা বাড়ে ও রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা চড়তে শুরু করে। এতে ওজন বাড়বে স্বাভাবিক।

ঘুমের মধ্যেও ক্যালরি কিভাবে ঝরানো সম্ভব?

.সকালের বদলে সন্ধ্যাবেলা ওয়েইট ট্রেইনিং করুন। দেহে শর্করার মাত্রা রাতে বেশি ওঠা নামা করে থাকে। এমনকি দেহে বিপাকের হারও শরীরচর্চার ১৬ ঘণ্টা পর কার্যকর থাকে। এতে সারারাত হজম চলতে থাকলে ক্যালরি ঝরবে।
.এক্সারসাইজ করেই ঠাণ্ডা পানিতে গোসল সেরে নিন। এতে দেহের ল্যাকটিক এসিড বের হতে শুরু করবে। কিন্তু কেন?
.আমাদের দেহে ব্রাউন ফ্যাট এমনিতেই কম। একে সক্রিয় করতে পারলেই দেহে বিপাক প্রক্রিয়া বাড়বে। মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মতো ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করতে পারলেই ব্রাউন ফ্যাট কার্যকরী হবে। এতে ক্যালরি ঝরবে।
.দিনে অন্তত তিন চারবার গ্রিন টি খান। এমনকি রাতে ঘুমোবার এক ঘণ্টা আগে গ্রিন টি খেয়ে নিন। এতে দেহের ক্যালরি ঝরবে।

সূত্র: ইত্তেফাক




কুষ্টিয়ায় খাল থেকে ভেসে উঠল ইজিবাইক চালকের লা*শ

নিখোঁজের ১১ দিন পর শাহিনুল হক লিটন নামে এক ইজিবাইক চালকের অর্ধগলিত লাশ খাল থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।  আজ মঙ্গলবার সকালে কুষ্টিয়া বাইপাস রোড সংলগ্ন একটি খাল থেকে লাল গেঞ্জি, জিন্স প্যান্ট পরা তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত শাহিনুল হক লিটন সদর উপজেলার হাউজিং এস্টেটের মৃত ইজাজুল হকের ছেলে। পেশায় তিনি ছিলেন একজন ইজিবাইক চালক।

লিটনের স্বজনরা জানান, গত ১৮ মে বিকেলে তার ব্যক্তিগত ইজিবাইক নিয়ে ভাড়া বাড়ি থেকে বের হন লিটন। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। আজ মঙ্গলবার সকালে খবর পেয়ে কুষ্টিয়া বাইপাস সড়ক এলাকা থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে লিটনের পরিবারের লোকজন গিয়ে লাশটি লিটনের বলে শনাক্ত করেন।

মিরপুর থানার ওসি মোস্তফা হাবিবুল্লাহ বলেন, কুষ্টিয়ার বাইপাস সড়কের রোজ হলিডে পার্ক সংলগ্ন জিকে খালে একটি লাশ ভাসতে দেখা যায়। স্থানীয় লোকজন ওই ব্যক্তির লাশ দেখলেও তাকে কেউ চিনতে পারেনি। পরে খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

তিনি আরো বলেন, লাশ দেখে মনে হচ্ছে কয়েকদিন আগেই খালের মধ্যে কচুরিপানার নিচে ফেলে রাখা হয়েছিল। ওই লাশটি অর্ধগলিত অবস্থায় পাওয়া গেছে। তার শরীরে লাল গেঞ্জি, জিন্স প্যান্ট পরা ছিল। তবে এই লাশটি কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং-এ ব্লক এলাকার অটোরিকশা চালক শাহিনুল হক লিটনের হতে পারে বলে তার পরিবার ও প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ডিএনএ টেস্টের পরই নিহতের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হবে।




বিশ্বকাপে ভারত ফেভারিট– মরগান

দরজায় কড়া নাড়ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আগামী ২ জুন পর্দা উঠবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের। বিশ্বকাপ শুরুর আগেই ভবিষ্যদ্বাণী করছেন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা। এবারের বিশ্বকাপে ভারতকে ফেভারিট মনে করেছেন ইংল্যান্ডের হয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ইয়ন মরগান।

বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এই ইংলিশ অধিনায়ক বলেন, ‘ইনজুরি সমস্যা থাকার পরেও নিঃসন্দেহে এবারের বিশ্বকাপের সবচেয়ে শক্তিশালী দল ভারত। কাগজে-কলমে শক্তিমত্তার বিচারে তারা এবার অপ্রতিরোধ্য। তারা নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে যে কোনো দলকে হারানো সম্ভব।’

এবারের বিশ্বকাপে ভারত আছে ‘এ’ গ্রুপে। ৫ জুন নিউইয়র্কে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নিজেদের বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে ভারত। ৯ তারিখ আসরের সবচেয়ে হাই ভোল্টেজ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে তারা।

সূত্র: ইত্তেফাক




গাংনীর কাথুলী ইউনিয়নে উদ্বুদ্ধকরন সভা ও রেজিষ্ট্রেশন বুথ উদ্বোধন

গাংনীর কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদে সার্বজনীন পেনশন স্কীম মাঠ পর্যায়ে সুষ্ঠু ও সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উদ্বুদ্ধ করন সভা ও রেজিষ্ট্রেশন বুথ উদ্বোধন করা হয়েছে।

আজ সঙ্গলবার সকাল ১১ টার সময় কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের সভা কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত সভায় কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বর মোঃ বাবুল হোসেন, ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বর মোঃ জিনারুল ইসলাম, ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বর মোঃ আশরাফুল ইসলাম, ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বর মোঃআনারুল ইসলাম, ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বর মোঃ ফারুক হোসেন, ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বর মোঃ হুছাইন মোহাম্মদ, ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বর মোঃ আজমাইন হোসেন, ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বর মোঃ কাবের আলী, ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বর মোঃ আনারুল ইসলাম, ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বর মোছাঃ ফরিদা পারভীন, ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বর মোছাঃ জোসনা খাতুন, ৭,৮,৯ এর মহিলা মেম্বর আরিফা খাতুন এছাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ সহ শিক্ষক, সুশীল সমাজ।

এ সময় কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান রানা বলেন সার্বজনীন পেনশন স্কীম চালু করেছেন এ দেশের সকল শ্রেনী পেশার মানুষের জন্য। আগে আমরা শুনে এসেছি সুধু মাত্র সরকারী চাকরি জীবিরাই পেনশন পাই। কিন্তু এবার এদেশের সকল মানুষ যেন এই পেনশনের আওতায় পড়ে সে জন্য বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন। এখন সকলেই পেনশনের আওতায় আসবে। এখন আর বয়স্ক হলে ছেলে ও ছেলের বৌয়ের হাতে মার খেয়ে জীবন পার করা লাগবে না। এই সরকার পেনশনের ব্যাবস্থা করে শেষ বয়সের শান্তিতে বেচে থাকার নিশ্চয়ইতা করে দিয়েছেন।

সার্বজনীন পেনশন স্কীমে ৫ টি স্কীমে পেনশন প্রদান করা হবে ১ প্রবাসীদের জন্য, সরক্ষা অর্থাৎ স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যাক্তি,প্রগতি অর্থাৎ বেসরকারি চাকরিজীবি, সমতা অর্থাৎ অতিদরিদ্র ব্যাক্তি, প্রত্যয় অর্থাৎ স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত চাকুরী জীবিদের জন্য বিশেষায়িত স্কীম। এই সার্বজনীন স্কীমের আওতায় পেনশন পাবেন ১৫০০ টাকা হতে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। এই পেনশন কর্মসূচি তে যুক্ত হতে পারবেন ১৮ বছর হতে ৫০ বছর বয়সী যে কেউ। এই চাঁদা বন্ধ হবে ৬০ বছর বয়সে।নিয়মিতচাঁদা দিতে হবে ১০ বছর পর্যন্ত। আগে মারা গেলে নমিনী পাবেন এককালীন সুবিধা ও জমা টাকায় মিলবে ৫০% ঋণ। এবং মাসিক পেনশন শুরু হবে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত। তাই আমি আমার ইউনিয়নের সকল শ্রেনী পেশার মানুষ কে এই সুবিধার আওতায় আসার জন্য অনুরোধ জানাবো যেন সকলেই এই সেবা টি উপভোগ করতে পারে।




মেহেরপুর জেলা রেজিস্ট্রার: বছরে উপরি আয় প্রায় অর্ধ কোটি টাকা !

রেজিস্ট্রি অফিসের দুর্নীতি-পর্ব ১
মেহেরপুরের তিন উপজেলার সাবরেজিস্ট্রি অফিস থেকে দলিল সম্পাদন ও নকল দলিলে জেলা রেজিস্ট্রার (ডিআর) সাইফুল ইসলামের বছরে বাড়তি আয় প্রায় অর্ধ কোটি টাকা। জেলা রেজিস্ট্রারের হয়ে এসকল টাকা সংগ্রহ করেন তার অফিসের টিসি সহকারী খায়রুল ইসলাম । অতিরিক্ত এ টাকা না দিলেই অফিসের স্টাফ ও দলিল লেখকদের উপর চালান হয়রানির খড়গ।

দলিল সম্পাদন থেকেই শুধু না, কাজীদের লাইসেন্স নবায়ন, দলিল লেখকদের লাইসেন্স নবায়ন, স্টাফদের বদলি বাণিজ্য, নকলনবিশ থেকে অফিস স্টাফ চাকরি স্থায়ীকরণ ও উপজেলা অফিস নিরাীক্ষাতেও নেন মোটা অংকের টাকা। তার কথা মত কাজ না করলে দেওয়া হয় বদলির হুমকিও। এছাড়াও মাসের অধিকাংশ দিন তিনি অফিস করেন না বলেও অভিযোগ রয়েছে। অফিসে পরিদর্শনে গিয়ে না পেলে জানানো হয় তিনি ছুটিতে আছেন।

মেহেরপুর জেলা রেজিস্ট্রার সাইফুল ইসলামসহ দেড় শতাধিক জেলা রেজিস্ট্রার, সাব রেজিস্ট্রার, নকলনবিশদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক। চলতি মাসের প্রথম দিকে ঢাকা জেলা রেজিস্ট্রার অহিদুল ইসলাম দুদকের মামলা কারাগারে যাওয়ার পর দুর্নীতিগ্রস্থ জেলা রেজিস্ট্রার, সাব রেজিস্ট্রার ও নকলনবিশদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে এসকল কর্মকর্তারা কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তার ব্যতিক্রম নন মেহেরপুরের জেলা রেজিস্ট্রার সাইফুল ইসলামও।
সম্প্রতি জেলা রেজিস্টারের কার্যালয়ে গিয়ে দেখা তিনি অফিসে নেই। তার অফিসের টিসি সহকারী খাইরুল ইসলাম একটি চিঠি দেখিয়ে জানান ডিআর শ্রান্তি বিনোদনের ১৫দিনের ছুটিতে আছেন। তবে, কয়েক মাস আগেও তিনি শ্রান্তি বিনোদনের ছুটি কাটিয়েছেন বলে এক কর্মকর্তা জানান।

জেলা রেজিস্টার অফিসের তথ্য মতে, ২০২৩ সালে মেহেরপুর সদর, মুজিবনগর ও গাংনী সাব রেজিস্টার অফিসে নতুন দলিল সম্পাদন হয়েছে ২০ হাজার ২৪৫টি। এর মধ্যে জানুয়ারিতে ১৮৮৯, ফেব্রুয়ারিতে ১৪১৯, মার্চে ২১৭০, এপ্রিলে ৯৯৬, মে মাসে ২২৫০, জুনে ১৮৩৮, জুলাইয়ে ১৮৮৯, আগস্টে ১৯৭৬, সেপ্টেম্বরে ১৫৪৬, অক্টোবরে ১৪৬৯, নভেম্বরে ১৪২২, ডিসেম্বরে ১৩৮১টি দলিল সম্পাদিত হয়েছে। চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত ওই তিন সাব রেজিস্ট্রি অফিসে নতুন দলিল সম্পাদন হয়েছে ৬ হাজার ৩৮৫ টাকা। যার মধ্যে জানুয়ারিতে ১৮৪০, ফেব্রুয়ারিতে ১৪৭৯, মার্চে ১৮৩৪ ও এপ্রিলে ১২৩২টি দলিল সম্পাদন হয়েছে। সে হিসেবে গড়ে এবছরও ২০ হাজার দলিল সম্পাদন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।

চলতি বছর এ দলিল সম্পাদন করতে জেলা রেজিস্ট্রার সাইফুলকে ইসলাম দলিল প্রতি দিতে হচ্ছে ২০০ টাকা। এই টাকা দলিল লেখকের মাধ্যমে গাংনী সাব রেজিস্ট্রার অফিসের এক স্টাফ হয়ে চলে যায় জেলা অফিসের টিসি সহকারী জেলা রেজিস্ট্রারের মনোনিত খাইরুল ইসলামের হাতে। তবে বিশ^স্তসূত্রে জানা গেছে, জেলা রেজিস্ট্রার এই টাকার মধ্যে কিছু অংশ তার অধিনস্ত স্টাফদের মাঝে বিতরণও করেন। দলিল লেখকরা জানান, ২০২৩ সালে তিনি দলিল প্রতি ১০০ টাকা করে নিলেও ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাস থেকে তিনি দলিল প্রতি ২০০ টাকা করে নিচ্ছেন। আর এ টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে সাব রেজিস্ট্রার অফিসের কর্মচারী ও দলিল লেখকদের উপর নেমে আসে নানা নির্যাতন হয়রানির খড়গ।

এছাড়া ২০২৩ সালে সার্টিফাইড নকল সরবরাহ করা হয়েছে ১৪৭৯২টি এবং ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সার্টিফাইড নকল সরবরাহ করা হয়েছে ৪৮৩৪টি। অভিযোগ রয়েছে প্রতিটি নকল সরবরাহের জন্য জেলা মহাফেজখানা থেকে তাকে ২৫০ টাকা করে নিয়ে থাকেন।

গাংনী সাব রেজিস্ট্রার অফিসের নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন দলিল লেখক জানান, গত বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলা রেজিস্ট্রারের খাতে দলিল প্রতি ১০০ টাকা করে দিতে হয়েছে। কিন্তু ২০২৪ সাল থেকে তিনি খায়রুলের মাধ্যমে ২০০ টাকা করে আদায় করছেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালেই নানা অডিট, পরিদর্শনের ভয় দেখান ।

মেহেরপুর সদর সাব রেজিস্ট্রার অফিস ও মুজিবনগর সাব রেজিস্ট্রার অফিসের কয়েকজন দলিল লেখকের সাথে কথা বলা হলেও তারাও পরিচয় দিয়ে কথা বলতে রাজী হননা কর্মকর্তাদের ভয়ে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারাও বলেন, গত বছর দলিল প্রতি ১০০ টাকা করে নিলেও এবছর ২০০ টাকা করে জোর করে নেওয়া হচ্ছে। ফলে জমি ক্রেতাদের খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

জেলা রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে গাংনী সাব রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে মাঝে মধ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেন দলিল লেখকরা। এনিয়ে গত কয়েকমাসে কয়েকদফা মিটিং হয়েছে বলেও জানা গেছে।

গাংনী সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের এক কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ডিআর অফিসের খাইরুল ইসলাম চাপ দিয়ে ডিআর স্যারের জন্য দলিল প্রতি ২০০ টাকা করে তুলে দিতে বলেন, না দিলে অন্যত্র বদলি করার হুমকি দেন। তিনি আরও বলেন, আমরা ছোট চাকরি করি, স্যারদের কথামত আমাদের চলতে হয়, এর বেশি কিছু বলতে পারবো না।

দলিল লেখকরা আরও অভিযোগ করেন, অফিসের স্টাফ খায়রুলের আচরণ দেখে মনে হয় সে নিজেই ডিআর (জেলা রেজিস্ট্রার)।

গাংনী সাব রেজিস্ট্রার অফিসের দলিল লেখক সমিতির সাবেক সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন পিন্টু বলেন, ডিআর স্যারের কথা বলতে পারবো না তবে ওই অফিসের কিছু লোক নাম করতে চাচ্ছিনা বলে খাইরুল ইসলাম দলিল প্রতি ২০০ টাকা করে আদায় করার জন্য চাপ দেন। মহুরিরা অস্বীকৃতি জানালে অডিটের নামে হয়রানি শুরু করে। যেমন আগামী কাল (সোমবার) অডিট করবে বলে মৌখিক জানিয়েছে। এসব ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকার জন্য মহুরিরা বাধ্য হয়ে ওই টাকা দেন।

জেলা রেজিস্ট্রার অফিসের টিসি সহকারী খায়রুল ইসলাম সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, জেলা রেজিস্ট্রার কোন টাকা নেন না। তিনিও এ ধরণের কর্মকাণ্ড করেন না।

এ ব্যাপারে জেলা রেজিস্ট্রার সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার নামে কোন অফিস থেকে কোন ধরণের টাকা তোলার অনুমতি কাউকে দেওয়া হয়নি। খাইরুল যদি এটা করে থাকে আমি খাইরুলকে সাইজ করবো। অন্যান্য অভিযোগের বিষয়গুলোকে তিনি অস্বীকার করেন। তবে অফিসে কম থাকেন বিষয়টি আংশিক স্বীকার করেছেন।

শ্রান্তি বিনোদনের ছুটির বিষয়ে ডিআর সাইফুল ইসলাম বলেন, এর আগে আবেদন করেছিলাম, ফাণ্ডে টাকা ছিলো না। ফাণ্ডে টাকা আসায় এ মাসে ছুটি কাটালাম।

তবে সহকারী মহাপরিদর্শক নিবন্ধন সালাম আজাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভভ হয়নি।

উল্লেখ্য, জেলা রেজিস্ট্রার মো. সাইফুল ইসলাম ২০২০ সালের ৯ জুন মেহেরপুরে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই এ নিয়মে সাব রেজিস্ট্রার অফিসগুলো নিয়ন্ত্রণ করছেন। (চলবে)…




শপথ নিলেন ঝিনাইদহ-১ আসনের এমপি নায়েব আলী জোয়ার্দার

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নায়েব আলী জোয়াদ্দার শপথ নিয়েছেন।

আজ ররিবার জাতীয় সংসদ ভবনের শপথ গ্রহন কক্ষে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তাকে শপথবাক্য পাঠ করান। শপথ শেষে রীতি অনুযায়ী এমপি নায়েব আলী শপথ বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

শপথ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম। এসময় চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, হুইপ ইকবালুর রহিম, হুইপ নজরুল ইসলাম বাবু, হুইপ সানজিদা খানম এবং ঝিনাইদহ-২ আসনের এমপি মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

ঝিনাইদহ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই গত ১৬ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে ভোটের তফসিল ঘোষণা করেন ইসি। আগামী ৫ জুন ওই আসনে উপনির্বাচনে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত ১৮ মে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষদিনে ভোটে অংশ নেওয়া তিন প্রার্থীর মধ্যে স্বতন্ত্র জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম দুলাল ও খেলাফত আন্দোলনের আব্দুল আলি নিজামি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে ভোট থেকে সরে দাঁড়ান। পরে নায়েব আলী জোয়াদ্দারকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

নবনির্বাচিত এমপি নায়েব আলী জোয়ারদার শৈলকুপা ও ঝিনাইদহে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

শৈলকুপার কৃতি সন্তান নায়েব আলী জোয়ার্দ্দার একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে মুজিব বাহিনীর সর্বকনিষ্ঠ গেরিলা যোদ্ধা হিসাবে পরিচিত।

রাজনৈতিক জীবনে তিনি ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, কেসি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক এজিএস, ঝিনাইদহ জেলা যুবলীগের সাবেক সহ-সভাপতি, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক সহ আওয়ামী লীগের নানান সাংগঠনিক পদে নেতৃত্ব দিয়ে এসেছেন। বর্তমানে নায়েব আলী জোয়ার্দ্দার ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য।

আওয়ামী লীগের এই প্রবীণ এই নেতা ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সহ শৈলকুপার ১৪ নং দুধসর ইউনিয়ন থেকে ৩বার ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি শৈলকুপা উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।




আলমডাঙ্গায় মিথ্যা অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন, প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন

মিথ্যা অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করার প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন আলমডাঙ্গার ডাউকি গ্রামের হাসিবুল ইসলাম। তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবী করে তিনি আজ রবিবার দুপুরে আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হাসিবুল ইসলাম উল্লেখ করেন, তার প্রাক্তন স্ত্রী তার অকর্ম ধামাচাপা দিতেই মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে। প্রকৃত ঘটনা হলো গত ১ মাস আগে তাকে তিনি তালাক দিয়েছেন। কারণ হিসেবে উল্লেখ তার প্রাক্তন স্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে তার দুলাভাইয়ের সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে। তাকে নিষেধ করা সত্ত্বেও কোন কথা না শুনে উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাপন করতে থাকে।

গত ১৩ এপ্রিল পাঁচ দিনের জন্য তার পিতার বাড়ি বেড়ানোর কথা বলে কৌশলে আমার দেওয়া সাড়ে ৪ ভরি সোনার গহনাসহ শিশু সন্তানকে নিয়ে চলে যায়। কয়েকদিন পর তাকে বাড়ি ফিরে আসার কথা বললে সে জানায়,ছেলেকে একটি স্কুলে ভর্তি করেছে তাই আর ফিরে আসবে না। পারলে তালাক দিয়ে দিতে। পরে শ্বশুরের সাথে কথা বললে তিনি আমার কলেজপাড়ার বাড়িসহ জমি লিখে দিতে বলেন। এসব না মেনে আমি বাধ্য হয়ে তাকে কোর্টের মাধ্যমে তালাক নামা পাঠিয়েছি।

তিনি উল্লেখ করেন,তার নামে যে মিথ্যা যৌতুকের যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। কারণ আমি ১৪ বছর বিয়ে করেছি । ১০ বছরের একটি সন্তান রয়েছে। এতোদিন যৌতুকের দাবী করিনি, এখন তার দোষ গোপন করার জন্য মিথ্যা অভিযোগ চাপানো হচ্ছে। যা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। এছাড়াও মহিলা অধিদপ্তরের অফিস সহকারি হোসনে আরা পারভীন হাসু ও আমাকে নিয়ে যে কাল্পনিক অভিযোগ তোলা হয়েছে। যা ভিত্তিহীন। তিনি আমার মায়ের বয়সি বড় বোনের মত। আমি তাকে শ্রদ্ধা করি।

এমতাবস্থায় কোন বিভ্রান্তি না ছড়িয়ে প্রকৃত ঘটনা সামনে আনার জন্য আহবান জানান তিনি।




মেহেরপুর শহরে প্রকাশ্যে দিবালোকে ব্যবসায়ীর গোডাউন ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

মেহেরপুর শহরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বাড়ি দখল ও প্রায় দেড় কোটি টাকা মূল্যের বীজ লুটপাট করার অভিযোগে এনে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে সওদাগর নামের এক ব্যক্তি।

ঘটনাটি মেহেরপুর শহরের ফৌজদারি পাড়া এলাকায় ঘটেছে।

সওদাগরের লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, জনৈক আনোয়ারা খাতুনের কাছ থেকে প্রায় ৯ বছর আগে সাড়ে তিন কাটা জমি রেজিস্ট্রি ও দেড় কাঠা জমি বাইনা নামা সূত্রে কিনে সেখানে গোডাউন নির্মাণ করে কফিসহ অন্যান্য সব্জী বীজের ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। চলতি মৌসুমে প্রায় দেড় কোটি টাকা মূল্যের বিভিন্ন সব্জী বীজ সেখানে মজুদ করা হয়েছে।

গত ২৩ মে রাত আনুমানিক ৯.৪০ মিনিটের দিকে শহরের ক্যাশবপাড়া এলাকার মোসির ছেলে শহিদুল ইসলাম (৫০), মুখার্জিপাড়া এলাকার মুনতাজ আলীর ছেলে সুজন আলী (৪০), মো: জীবন (৩৫), শুভ (৩২). ফৌজদারিপাড়া এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে রুবেল (৪০) তার স্ত্রী দুলালী (৩৫), রবির ছেলে ডালিম (৪০), জলিলের ছেলে রকি (৩৫), ক্যাশবপাড়া এলাকার শহিদুল ইসলামের স্ত্রী ছবি খাতুন (৪৫)সহ প্রায় ১০/১২ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি প্রকাশ্যে দিবালোকে সন্ত্রী কায়দায় গোডাউনে হামলা করে। গোডাউনের তালা ভেঙ্গে তারা প্রায় এক কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা মূল্যের কফিসহ অন্যান্য সব্জী বীজ লুট করে। এছাড়া প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা মূল্যের অন্যান্য বীজ বিনষ্ট করে। পরে খবর পেয়ে গোডাউনের সামনে যেতেই লুটপাটের এসব চোখে পড়ে বিবাদী সওদাগর আলীর।

সওদাগর বলেছেন, জমি সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই প্রতিপক্ষরা আমার গোডাউন লুট করেছে। তিনি অভিযোগে আরো বলেছেন, এসময় তাদের বাঁধা দিতে গেলে প্রতিপক্ষরা আমাকে প্রাণনাশের হুমকিও দিয়েছে। এছাড়া এই বিষয়ে আইনে গেলেও আমাকে খুন জখম করবে বলে হুমকি দিয়েছে তারা।

তিনি গোডাউন ভাংচুর ও লুটপাটের বিচার দাবী করেছেন প্রশাসনের কাছে। বিষয়টি নিয়ে মেহেরপুর শহরে শুরু হয়েছে নানা সমালোচনা। মেহেরপুর সদর থানা থেকে সামান্য দুরে প্রায় ঘন্টাব্যাপি প্রকাশ্যে দিবালোকে এ ধরনের ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটলেও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেননি বলে অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।

এ ব্যাপারে মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ কনি মিয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেছেন, “অভিযোগ হয়েছে কিনা এটা আমার জানা নেই”। তিনি আর কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়েই ফোনটি কেটে দেন।




হরিণাকুণ্ডুর দৌলতপুর ইউনিয়নে উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ৪নং দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের (২০২৪-২০২৫) অর্থ বছরের জন্য উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে।

আজ রবিবার (২৬মে) ইউনিয়ন পরিষদের হল রুমে চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ-এর সভাপতিত্বে বাজেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাজেট সভায় উন্মুক্ত বাজেট পেশ করেন ইউপি সচিব নির্মল কুমার বিশ্বাস।

এ বাজেটে রাজস্ব খাতে ৩৭,৯২.২৬০/= টাকা ও উন্নয়ন খাতে ২,০৫,৬৪,০০০/=টাকাসহ সর্বমোট ২,৪৩,৫৬.২৬০/=(দুই কোটি তেতাল্লিশ লাখ ছাপান্ন হাজার দুইশত ষাট) টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য সাইদুর রহমান, আক্তারুল আলম, হামিদ আলী, আশরাফুল আলম, বিজন পারভেজ, গমির উদ্দীন, মুকুল মন্ডল, এলাহী মন্ডল, আলমগীর মহিলা সদস্য রুমা খাতুন, মর্জিনা, শেফালী খাতুনসহ স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। বাজেট ঘোষণার পূর্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।