চুয়াডাঙ্গায় তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত

চুয়াডাঙ্গা জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত। এপ্রিল মাসে এ তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে এবং বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তর।

তাপপ্রবাহের প্রভাব পড়েছে সাধারণ মানুষের ওপর। ঈদের পর তাপপ্রবাহের ফলে খেটে খাওয়া কর্মজীবী মানুষ তাদের কর্মে ফিরতে পারেনি। অনেকটা কর্মহীন দিন পার করছে তারা।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, চুয়াডাঙ্গা জেলায় মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৭ শতাংশ। এদিন দুপুর ১২টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস,সে সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪৩ শতাংশ।

তিনি আরো জানান, এপ্রিল মাস ব্যাপী মাঝারি ও তীব্র তাপপ্রবাহের সঙ্গে সঙ্গে এ আবহাওয়া বিরাজ করার সম্ভবনা রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলায় ভ্যাপসা গরম আবহাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়া সকাল থেকে কাজ ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেনা। রিকসা ও ভ্যান এবং ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক চালকদের যাত্রী হচ্ছেনা। এছাড়া গরম আবহাওয়ায় কেউ কাজ না করায় দিন হাজিরায় কর্মজীবী বিপাকে পড়েছে।




দামুড়হুদায় টাকার বিনিময়ে ৪ মাদকসেবীকে ছেড়ে দিলেন এ এস আই বিপ্লব

যেখানে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশ মদকের বিষয়ে কোন ছাড় নেই সেখানে দামুড়হুদা মডেল থানার এ এস আই বিপ্লব শাহা এত সাহস পেলো কোথায়। দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর চৌধুরী পাড়ায় কয়একজন মিলে গাঁজা সেবন করছিল।

এমন সময় দামুড়হুদা মডেল থানার এএস আই বিপ্লব সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ৪ জনকে আটক করেন। পরে স্থানীয় এক নেতার সহযোগিতায় মোটা অংকের বিনিময়ে তাদেরকে ছেড়ে দেন। গত রবিবার রাত ৮ টার দিকে জয়রামপুর চৌধুরী পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী সূত্র থেকে জানাযায়, দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর চৌধুরী পাড়ার শাহাবুদ্দিনের ছেলে সামাদ,আশাদুলের ছেলে মোস্তফা, মহিউদ্দিনের ছেলে মিলন ও পারকৃষ্টপুর গ্রামের শাওনসহ ৭/৮ জন জয়রামপুর চৌধুরী পাড়ার জৈনেক মহুরার বাগানে বসে গাঁজা সেবন করছিল। এমন সময় দামুড়হুদা মডেল থানার এ এস আই বিপ্লব শাহা সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে তাদেকে আটক করেন। পরে তাদেরকে নিয়ে আসা হয় চৌধুরী পাড়ায়। তাদেরকে ধরেছে এমন খবর পেয়ে এলকার দরুদি নেতা পল্লি চিকিৎসক শফি উদ্দীন বসে যায় পুলিশের সাথে দেনদরবারে। জনপ্রকাশে দেনদরবার করে মোটা অংকের বিনিময়ে সামাদের নিকট ৮ হাজার, শাওনের নিকট ৮ হাজার ,মিলনের নিকট ৫ হাজার ও মোস্তফার নিকট ৫ হাজার মোট ২৬ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেন দামুড়হুদা মডেল থানার এ এস আই বিপ্লব শাহা। এমন মাদক সেবিদের ছেড়ে দেওয়ার খবর সংগে সংগে ছড়িয়ে পড়ে এলাকার মধ্যে।

এলাকাবাসীর অভিমত চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান পিপিএম সেবা মাদকের সাথে আপোষ না করার নির্দেশ দিয়েছেন সেখানে অর্থের লোভে এ এস আই বিপ্লব শাহা তাদের ছেড়ে দিয়ে পুলিশের মানক্ষুণ করেছেন।

এক ভুক্তভোগী মাদকসেবি বলেন, এবার ঈদে আমি বাজার করতে পারিনি শখের বসে একটান গাঁজা সেবন করতে গিয়ে গুনতে হলো হাজার হাজার টাকা।আমার বাবা মা ধার করে টাকা দিয়েছে। এর চেয়ে ভালো হতো আমাকে মারধর করে কোটে চালান দিলে। টাকা তো লাগতো না।

এ এস আই বিপ্লব শাহাকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি ওসি স্যার জানে অতএব ফোনে কথা না বলে সরাসরি কথা বলতে চাই। পরে তিনি আর সরাসরি কথা বলেনি।

দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আলমগীর কবির বলেন, আমি এ এস আই বিপ্লব শাহার এ বিষয়ে জিজ্ঞাগা করলে সে অস্বীকার করে। যদি টাকা নিয়ে থাকে তাদেরকে অভিযোগ করতে বলেন।প্রমান মিললে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, আর প্রমান না হলে বিষয়টি খারাপ হবে।




বান্ধবীর ছেলের সাথে বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন বিদিপ্তা!

টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী বিদিপ্তা চক্রবর্তী পরিচালক বিরসা দাশগুপ্তকে বিয়ে করেছেন। অথচ বিদিপ্তার থেকে সাড়ে ছ’বছরের ছোট বিরসার মায়ের সঙ্গে তার নাকি ছিল বান্ধবীর মতো সম্পর্ক।

হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিদিপ্তার শাশুড়ি ওপার বাংলার আরেক অভিনেত্রী সঞ্চালিকা চৈতালী দাশগুপ্ত। বিরসার সঙ্গে বিয়ের অনেক আগে থেকেই শাশুড়ির সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল তার। এক সাক্ষাৎকারে সেটাই জানালেন এই অভিনেত্রী।

বিদিপ্তা বলেন, ‘তাদের বাড়িতে আমার যাতায়াত ছিল। তখন তো বিরসাকে (বর্তমান স্বামী) ছোট দেখেছি। হয়তো কখনও গালও টিপে দিয়েছি আদর করে, ঠিক মনে নেই (হাসি)।’

অভিনেত্রী আরও জানান, স্বামীর চেয়ে বয়সে প্রায় ৭ বছরের বড় তিনি। কিন্তু বয়সের এই ফারাক কোনোদিন তাদের সম্পর্কে বাধা হয়নি।

বিরসাকে বিয়ের আগেই বিবাহিত ছিলেন বিদিপ্তা। প্রথম সংসারে একটি কন্যা সন্তানও আছে তার। কিন্তু সেই সংসার টেকেনি। প্রথম বিয়ে ভাঙার আগেই শান্তিনিকেতনে বিরসার হাত ধরে ‘হারিয়ে গিয়েছিলেন’ তিনি।

অভিনেত্রীর শাশুড়ি চৈতালী দাশগুপ্ত বলেন, ‘বন্ধু কখন বউমা হয়ে গেল, সেটা একদম চমকপ্রদ গল্প…’। পাশ থেকে হাসিমুখে বিদিপ্তা যোগ করেন, ‘হ্যাঁ, বন্ধু কখন ছেলের বউ গেল…সেটা শকিং’।

আধুনিক চিন্তা-ভাবনায় বিশ্বাসী চৈতালী জানান, ‘বিয়ের পর ও আমার মেয়ে হয়ে গেল। সঙ্গে একটা ফুটফুটে বাচ্চা (মেঘলা) পেয়েছিলাম। আমার বাড়িটা ভরে গেল। আমার বাড়িতে মেয়ে ছিল না। আমার দুই ছেলে। আর আজ বাড়িময় মেয়ে। সব মিলিয়ে আমার ভরপুর সংসার’।

বন্ধু যখন বউমা হয়ে ঢুকল পরিবেশ কতটা বদলেছিল? রচনার প্রশ্নের উত্তরে বিদিপ্তা বলেন, ‘আমার কাছে কিছু বদলায়নি। বাবা-মায়ের প্রতি যে দায়িত্ব ছিল, সেটা শ্বশুর-শাশুড়ির প্রতি থাকবে। আমার কাছে তো শ্বশুরমশাই দাদা আর শাশুড়ি পিসি। আমি রাজাদা আর চৈতালী পিসি বলে ডাকি তাদের আজও।’

২০১০ সালে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন বিরসা-বিদিপ্তা। এটা ছিল বিদিপ্তার দ্বিতীয় বিয়ে। অভিনেত্রীর প্রথমপক্ষের মেয়ে মেঘলা দাশগুপ্তের সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক দ্বিতীয় স্বামীর। বর্তমানে বাবার সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করছে সে।




লিভারপুল ও আর্সেনালের হারে ম্যানসিটির রাস্তা পরিষ্কার

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা নিয়ে কত জল্পনা-কল্পনা! একদিকে লিভারপুলের একচ্ছত্র আধিপত্য, অন্যদিকে আর্সেনাল ও ম্যানচেস্টার সিটির হার না মানা লড়াই। কে শেষ পর্যন্ত এগিয়ে যাবে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ভক্তদের বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি।

সবকিছু যেন এক রাতেই পরিষ্কার হয়ে গেছে। গত পরশু রাতে পৃথক ম্যাচে লিভারপুল ও আর্সেনাল হেরে ম্যানসিটির বুকের ওপর থেকে যেন পাথর নামিয়ে দিয়েছে। ৬ ম্যাচ হাতে থাকতেই পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা টানা চতুর্থ শিরোপার স্বপ্ন দেখা শুরু করে দিয়েছে।

বর্তমানে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে সিটিজেনরা। ৩২ ম্যাচ শেষে ৭৩ পয়েন্ট নিয়ে সিটিজেনরা অপেক্ষা করছে বাকি ম্যাচগুলোর। অন্যদিকে সমান সংখ্যক ম্যাচ খেলে আর্সেনালের ও লিভারপুলের পয়েন্ট ৭১। গোল ব্যবধানে পিছিয়ে তিনে রয়েছে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল।

১-০ গোলে হেরে তীরে এসেও তরী ডুবিয়েছে লিভারপুল। আর অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরে রেস থেকে অনেকটাই ছিটকে গেছে মিকেল আরতেতার দলও।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে সদর ও মুজিবনগরে চেয়ারম্যান পদে ৯ জনসহ ১৮ প্রার্থী

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ পরিষদের নির্বাচনের প্রথম ধাপে মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দীতা করার লক্ষে চেয়ারম্যান পদে ৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে এক বিএনপি নেত্রীসহ ৫ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

এছাড়া চেয়ারম্যান পদে একজন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগ করে উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। গতকাল সোমবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে প্রার্থীরা তাদের মনোনয়ন জমা দেন।

মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে জমা দিয়েছেন ৫ জন। তারা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল মান্নান ছোটো, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. ইব্রাহীম শাহিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আনারুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক নিশান সাবের ও শ্রমিক লীগ নেতা হাশেম আলী। ভাইস চেয়ারম্যান পদে আবুল হাশেম ও মো: শাহিন এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রোমানা আহমেদ, যুব মহিলা লীগ নেত্রী সামিউন বাশিরা পলি ও লতিফুন নেছা।

মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মহাজনপুর ইউনিয়নের পদত্যাগী চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কামরুল হাসান চাদু ও মাহবুবুর রহমান।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিএম জাহিদ হাসান ও মতিউর রহমান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা যুবমহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদিকা মোছা: তকলিমা ও আফরোজা খাতুন।

এর আগে মহাজনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে তার পদত্যাগ পত্র জমা দেন। এবং এরপরই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওই পদটি শুণ্য ঘোষণা করেন।

মেহেরপুর জেলা নির্বাচন অফিসার মো: ওয়ালিউল্লাহ এসকল তথ্য নিশ্চিত করেছেন।




দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬ জনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ

চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বি›দ্বীতা করতে ৬ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা নির্বাচন ও রির্টানিং অফিসার মোঃ মোতাওয়াক্কিল রহমান জানান, আসছে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য দামুড়হুদা উপজেলা থেকে চেয়ারম্যান পদে পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউপি চেয়ারম্যান এস.এম.জাকারিয়া আলম তার পদ থেকে পদত্যাগ করে মনোনয়পত্র সংগ্রহ করেছেন।

এছাড়া এ উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগরের আপন ভাই নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলি মুনছুর বাবু, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক হাউলি ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ও এ্যাডভোকেট আবু তালেব। এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে শফিউল কবির ইউসুফ, আব্দুর রাজ্জাক ও মাজেদুল ইসলাম ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাহিদা খাতুন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

তিনি আরো জানান, জীবননগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করার জন্য চেয়ারম্যান পদে মোননয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ও এস.কে.লিটন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল সালাম ঈশা ও সামসুর রহমান চঞ্চল। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকী ও রেনুকা আক্তার রিতা।

আগামী বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) মনোনয়নপত্র জমা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।




আলমডাঙ্গায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা দুই যুবক নিহত

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কায় দুই যুবক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল রোববার রাত ২ টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার পারলক্ষীপুর গ্রামে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন-ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বুড়া গ্রামের সেন্টু মিয়ার ছেলের খালিদ হোসেন (১৮) ও একই গ্রামের আরিফুল ইসলামের ছেলে তামিম হোসেন (১৮)। আহত সজিব আলী (১৯) চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সিন্দুরিয়া গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মোটরসাইকেল যোগে রাতে কুষ্টিয়ায় একটি কনসার্টে গিয়েছিলেন ওই তিন যুবক। পরে একই মোটরসাইকেলেযোগে বাড়ি ফিরছিল তারা। এসময় পারলক্ষীপুর গ্রামে পৌঁছালে তাদের মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান খালিদ ও তামিম। গুরুতর আহত হন সজিব। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গনি মিয়া বলেন, নিহতদের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। পরে পরিবারের নিকট লাশ হস্তান্তর করা হয়।




আলমডাঙ্গায় বেনাপোল ট্রেনের স্টপেজসহ ৪ দফা দাবীতে মানববন্ধন

বাংলাদেশের একমাত্র আলমডাঙ্গার ঐতিহ্যবাহী দ্বিতল রেলস্টেশনে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন স্টপেজ সহ ৪ দফা দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে । পহেলা বৈশাখ গতকাল রোববার বিকেলে রেলস্টেশন চত্বরে আলমডাঙ্গা উন্নয়ন ফোরামের আয়োজনে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। সর্বস্তরের জনগণ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে মানব বন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।

উল্লেখিত ৪ দফা দাবীর মধ্যে রয়েছে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন আলমডাঙ্গায় স্টপেজ, দেশের একমাত্র দ্বিতল রেলস্টেশন ভবনের আদি নির্মাণশৈলী অক্ষুণ্ণ রেখে আধুনিক বিল্ডিং পুনঃর্নির্মাণ, প্রথম ও দ্বিতীয় প্লাটফর্ম এবং যাত্রী ছাউনি বর্ধিতকরণ, এক্সপ্রেস রোড ও ফুটওভারব্রীজ স্থাপন, প্লাটফর্মের পাশে সৌন্দর্যবর্ধন ও নিরাপত্তার স্বার্থে রেলিং স্থাপন।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন আলমডাঙ্গা উন্নয়ন ফোরামের আহবায়ক এম শাহাবুল হকের সভাপতিত্বে ও নওলামারী আলিম মাদ্রাসার প্রভাষক সাহিন সাহিদের উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান,আলমডাঙ্গা বি আর ডি বির চেয়ারম্যান বিপ্লব হোসেন মাষ্টার,আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাব ক্লাবের সভাপতি খন্দকার শাহ আলম মন্টু, আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি ও আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক শেখ শফিউজ্জামান, সিনিয়র সাংবাদিক প্রশান্ত বিশ্বাস, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য কাজল রেখা, সমাজ সেবক মোবারক আলী, ইজিবাইক মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ লাল্টু রহমান, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সহ সভাপতি আতিকুর রহমান জোয়ার্দার স্বপন, আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক কাইরুল মামুন,সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক বসিরুল আলম,শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আতিক বিশ্বাস, আইসিটি বিষয়ক সম্পাদক ফাহিম ফয়সাল,প্রচার সম্পাদক জাফর জুয়েল,ধর্মবিষয়ক সম্পাদক কবি গোলাম রহমান, আব্দুল বারী,ইউনুছ আলী মিঠু,রোকন,হাসিবুল প্রমুখ।

মানব বন্ধন কর্মসূচীতে সভাপতির বক্তব্যে এম শাহাবুল হক বেনাপোল ট্রেন স্টপেজ সহ চার দফা দাবিসমূহ উত্থাপন করে বলেন, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও বীরমুক্তিযোদ্বা সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুন মহোদয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মহোদয়ের নিকট ৪ দফা দাবি পূরণের জন্য আলমডাঙ্গাবাসীর পক্ষ থেকে আকুল আবেদন জানাচ্ছি।




আলমডাঙ্গার কুমারী গ্রামবাসীর নববর্ষ পালন ও মতবিনিময় সভা

আলমডাঙ্গা উপজেলার কুমারী গ্রামবাসীর উদ্যোগে বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ পালন ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  গত রবিবার দিনব্যাপী বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যদিয়ে বাংলা নববর্ষ পালিত হয়।

নববর্ষ পালন ও মতবিনিময় সভায় কুমারী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গণি।

প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর আওয়ামীলীগের দারুস সালাম থানা শাখার যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মোমিন চৌধুরী ডাবু।

প্রধান বক্তা মোমিন চৌধুরী ডাবু সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, আমি আপনাদেরই সন্তান। কারো ভাই আবার কারো চাচা ও ভাতিজা। আমি ও আমার ভাই ঢাকাতে বসবাস করি। দীর্ঘদিন ধরে আমরা আলমডাঙ্গা উপজেলার মানুষের কল্যাণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এলাকার কোন মানুষ আমাদের কাছে গেলে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর। সব ধরণের সহযোগিতা করে আসছি। ভবিষতেও করে যাবো। তাই আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমি চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাই। আশা করি আপনারা আমার পাশে থাকবেন। আমাকে সহযোগিতা করবেন।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সমাজ সেবক সাবু চৌধুরী, সাবেক মেম্বার মহাসিন আলী, সাবেক মেম্বার আবুল হাসেম, সাবেক হকে মেম্বার, শহিদুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম আব্দুল কুদ্দুস, জহুরুল ইসলাম,আলম হোসেন, ইকলুসুর রহমান, আবু জাফর, আনোয়ার হোসেন, সরোয়ার হোসেন, আতিয়ার রহমান, মোজ্জামেল হক, সুজন আলী, আজিবর রহমান, ফারুক হোসেন প্রমুখ।




চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় পৃথক ভাবে পহেলা বৈশাখ পালিত

পয়েলা বৈশাখ বাঙালির একটি সার্বজনীন লোকউৎসব। এ দিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হলো নববর্ষ। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদযাপিত হয়েছে। এ নববর্ষ। তারই ধারাবাহিকতায় চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনায় জাঁকজমকপুর্ন ভাবে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উৎযাপন হয়েছে।

গতকাল ১৪ এপ্রিল রবিবার সকাল সাড়ে ৮ টায় অনির্বান থিয়েটার ও ঐতিহ্যবাহী কেরু অফিসার্স ক্লাব ও লেডিস ক্লাবের আয়োজনে বণ্যট্য র‍্যালি বের হয়।র‍্যালিটি শহরের বিভিন্ন শহর প্রদিক্ষিন করে দর্শনা কামকমিউনিটি সেন্টার চত্তরে শেষ হয়।

বাংলা নববর্ষের র‍্যালিটিতে অংশ নেয় দর্শনা পৌর সভার মানবিক সুযোগ্য মেয়র আতিয়ার রহমান হাবু, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রুস্তম আলী, বীর মুক্তিযুদ্ধা মজনুর রহমান আকাশ, অনির্বান থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, দর্শনা গ্রন্থগারের পরিচালক ও কবি আবু সুফিয়ান।

পরে র‍্যালি শেষে হিন্দোলের আয়োজনে দর্শনা কাম কমিউনিটি সেন্টার চত্বরে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠান শেষে বাঙ্গালীর ঐতিহ্যবাহি পান্তা ভাত কাঁচা মরিচ পেয়াজ আলু ছেনা দিয়ে সকোলের মাঝে পান্তাভাত বিতরন করেন।পরে দর্শনা পৌর মেয়র আতিয়ার রহমান হাবু বক্তব্য রাখেন, এ সময় তিনি বলেন, বাংলা ঐতিহ্যবাহী ধরে রাখতে সবার সহযোগিতার প্রযোজন এবং আগামীতে কিভাবে ভালো করা যায় তা আমি খেয়াল রাখবো।

এ সময় আরও বক্তব্য দেন, বীর মুক্তিযুদ্ধা রুস্তম আলী, কবি ও সাহিত্যিক আবুসুফিয়ান তার আগে কেরু এ্যান্ড কোম্পানীর আয়োজনে সকাল ৮ টায় বণ্যর্ট্য র‍্যালি বের করে।র‍্যালিটি কেরু এ্যান্ড কোম্পানীর বিভিন্ন ক্যাম্পাস ঘুরে অফিসার্স ক্লাবে যেয়ে শেষ হয়।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন কেরু এ্যান্ড কোম্পানির সুযোগ্য ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন ও প্রশাসন বিভাগের মহাব্যাবস্থাপক এডি এম শেখ ইউসুফ আলী, কেরু কারখানার মহাব্যাবস্থাপক, সুমন কুমার।