মেহেরপুরে পাখিভ্যানের সাথে মোটরসাইকেলের ধাক্কা নিহত ১

মেহেরপুরের গাংনীতে মোটরসাইকেল ও পাখি ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে স্বামী হেলাল উদ্দিন (২৬) নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তার স্ত্রী ও শ্যালক।

আহতরা হলেন, হেলাল উদ্দিনের স্ত্রী জুই খাতুন ও শ্যালক জীবন আলী।

নিহত হেলাল উদ্দিন চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার মোড়ভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা ও গাংনী উপজেলার আকুবপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের জামাতা।

আজ রবিবার (১৪ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার সময় মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের গাংনী উপজেলার শুকুরকান্দি এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত হেলালের চাচা শ্বশুর জিয়াউদ্দিন বলেন, হেলাল উদ্দিন তার স্ত্রী জুই ও শ্যালক জীবন আলী শ্বশুরবাড়ি খেয়ে এক মোটরসাইকেলে তিনজন তার নিজ গ্রামে মোড়ভাঙ্গাতে যাচ্ছিলেন। শুকুরকান্দি নামক স্থানে গিয়ে বামের রাস্তার নামার সময় ইঞ্জিন চালিত পাখি ভ্যানের সাথে ধাক্কা খেয়ে রাস্তার উপর লুটিয়ে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় হেলাল উদ্দিন। এসময় গুরুতর আহত হন তার স্ত্রী জুই ও শ্যালক জিবন আলী। তাদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়েছেন।

গাংনী থানার (তদন্ত) অফিসার মনোজিৎ কুমার নন্দী বলেন, দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখনো লিখিত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। নিহতের মরদেহ উদ্ধার প্রক্রিয়া চলছে। পরবরর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।




গাংনীর সাহারবাটীতে নানা আয়োজনে বর্ষবরণ উৎসব পালিত

গাংনীর সাহারবাটীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও আনন্দঘন পরিবেশে বর্ষবরণ উৎসব-১৪৩১ উদযাপিত করা হয়েছে। বর্ষবরণ উৎসব উপলক্ষে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও লাঠি খেলার আয়োজন করা হয়েছে।

আজ রবিবার (১৪ এপ্রিল) সকালে সাহারবাটী ইউথ ক্লাবের উদ্যোগে ১৪৩১ সন উদযাপন পরিষদ সাহারবাটী এর আয়োজনে সাহারবাটী ইউথ ক্লাব প্রাঙ্গণে এ সকল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন সাহারবাটী ইউথ ক্লাবের সভাপতি মোঃ লিয়াকত আলী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর ২ আসনে সংসদ সদস্য ডা. এ এস এম নাজমুল হক সাগর।

দুই দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের উদ্ধোধন করেন মেহেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. আব্দুস সালাম।

আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার প্রাপ্ত রফিকুল রশিদ ও মেহেরপুর সরকারী কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল আমিন।

মেহেরপুর জেলা পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান তৌহিদুল মুর্শেদ অতুলের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ খালেক, গাংনী পৌর মেয়র আহম্মদ আলী, গাংনী উপজেলা পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অ্যাড. এ কে এম শফিকুল আলম, সাহারবাটী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মশিউর রহমান,কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান রানা, তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নাজমুল হুদা, ধানখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক, মটমুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল আহমেদ, রাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ গোলাম সাকলায়েন, বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ওবায়দুর রহমান কমল, জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ মিজানুর রহমান ও গাংনী উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন।

এছাড়াও এসময় সম্মানিত অতিথি হিসেবে সাহারবাটী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল গণি ও সাহারবাটী ইউথ ক্লাবের সাবেক সভাপতি মোঃ আবুল কাশেম, উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক আনারুল ইসলাম ও সদস্য সচিব আব্বাস আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা পরে সেখানে ঐতিহ্যবাহী চিরা,মুরকি, দই খাওয়ার ব্যবস্থা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও লাঠি খেলের আয়োজন করা হয়।

এর আগে একটা শোভাযাত্রা বের করা করা।শোভাযাত্রাটি সাহারবাটী ইউথ ক্লাবের সামনে থেকে শুরু করে প্রধান সড়ক ঘুরে একই স্থানে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন,শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার জনগণ অংশ নেন।




নানা আয়োজনে মেহেরপুরে পহেলা বৈশাখ উদযাপন

যথাযোগ্য মর্যাদা ও আনন্দঘন পরিবেশে মেহেরপুরে পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ-১৪৩১ উদযাপিত করা হয়েছে।

রবিবার (১৪ এপ্রিল) সকালে মেহেরপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিলো বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা,আলোচনা সভা,পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

শহীদ শামসুজ্জোহা নগর উদ্যানে অনুষ্ঠিত হওয়া আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
এসময় তিনি বলেন,হাজার বছর ধরে এদেশে এ সংস্কৃতির ঐতিহ্য গড়ে উঠেছে। এই ঐতিহ্যকে রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য। তাই বাঙালির সংস্কৃতি রক্ষায় সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।

এসময় জেলা প্রশাসক মোঃ শামীম হাসান, পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হক,জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. আব্দুস সালাম, পি পি পল্লব ভট্টাচার্য,জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম শাহিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পরে সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এবং অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

এর আগে একটা শোভাযাত্রা বের করা করা।শোভাযাত্রাটি পাবলিক লাইব্রেরির সামনে থেকে শুরু করে প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে শহীদ শামসুজ্জোহা নগর উদ্যানে গিয়ে শেষ হয় শোভাযাত্রায় সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার জনগণ অংশ নেন।

এসময় সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্ব-স্ব ব্যবস্থাপনায় উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করে।




দামুড়হুদায় পহেলা বৈশাখ উদযাপন

দামুড়হুদায় পহেলা বৈশাখ ১৪৩১ বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বৈশাখী মঙ্গল শোভাযাত্রা, গণজমায়েত, জাতীয় সংগীত এবং লোকজ সংগীত পরিবেশন, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, লাঠি খেলা ও পুরুস্কার বিতরণী এবং লোকজ সংস্কৃতি মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রবিবার সকাল ৮ টা থেকে ২দিন ব্যাপি দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু। প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলী মুনছুর বাবু বলেন, ১৪১৭ বঙ্গাব্দ থেকে বাংলা নববর্ষ জাতীয়ভাবে উদ্যাপন করা হয়ে আসছে। এটা অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে, বাংলা নতুন বছরকে বরণ করে নেয়ার উৎসবের নানা আয়োজনের মধ্যে বাংলাদেশে মঙ্গল শোভাযাত্রা মানব সভ্যতার প্রতিনিধিত্বশীল সংস্কৃতি হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করেছে। বাঙ্গালির ঐক্য, শান্তি ও অসাম্প্রদায়িতক চেতনাকে ধারণ করে মঙ্গল শোভাযাত্রা আজ সার্বজনীন স্বীকৃতি একটি উৎসব। জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনেস্কো মঙ্গল শোভাযাত্রা কে বিশ্বের গুরত্বপূর্ণ (Intangible Cultural Heritage) এর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করায় বিশ্বব্যাপী এ উৎসবের প্রসারের মাধ্যমে বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনার পরিচিতি আরও দৃঢ় করবে। নববর্ষ আমাদের জাতীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির মূল স্তম্ভ। হাজার বছর ধরে বাঙালি জাতি ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার সাথে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করে আসছে। আমাদের জাতীয় ঐতিহ্য, কৃষ্টি ও সংস্কৃতির সাথে নিবিড়ভাবে জড়িত এই দিবসটি প্রতিবছরের ন্যায় এবারও যথাযথ মর্যাদায় ও আনন্দমুখর পরিবেশে উদযাপিত হচ্ছে।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদা খাতুন, দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর কবির, আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ কামাল উদ্দিন, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী সহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা বৃন্দ, সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা ও ছাত্র ছাত্রী বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




আদালতে মামলা চলমান পুলিশ পাহারায় মাছ ছাড়ছে ইজারাপ্রাপ্ত সমিতি

আদালতে মামলা চলমান থাকলেও বাওড় দখলে নিয়ে পুলিশ পাহারায় মাছ ছেড়েছেন ইজারাপ্রাপ্ত সমিতির সভাপতি / সম্পাদক। রবিবার সকালে কোটচাঁদপুরের জগদীশপুর বাওড়ে মাছ ছাড়েন তারা। এতে করে আরো একটি বাওড় হারালেন ওই বাওড় পাড়ের হালদার সম্প্রদায়ের মানুষেরা। জেলা থেকে ইজারা হয়েছে।

মামলায় নিষেধাজ্ঞা না থাকলে ইজারা নিয়ে সমস্যা নাই বললেন,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়,কোটচাঁদপুর উপজেলায় ৪ টি বাওড় রয়েছে। যার মধ্যে বলুহর বাওড়,জয়দিয়া বাওড়,কুশনা বাওড় ও জগদীশপুর বাওড়। গেল বছর বলুহর ও জয়দিয়া বাওড় পাড়ের সহস্রাধিক হালদার সম্প্রদায়ের মানুষের হাত ছাড়া হয় বাওড় দুইটি। কর্মহীন হয়ে পড়েন তারা। অনেক আন্দোলন করে বাওড় ফিরে না পেয়ে তারা এখন মানবেতার জীবন যাবন করছেন। এ বছর হাতছাড়া হল কোটচাঁদপুরের জগদীশপুর বাওড়টি। এতে করে এই বাওড় পাড়ের ৫০ টি পরিবার হারালেন বাপ দাদার রেখে যাওয়া পেশাটি।

গেল ২৫-০৩-২৪ তারিখে জগদীশপুর বাওড়ের সভাপতি গোপাল হালদার বাদী হয়ে জেলা প্রশাসকসহ ৬ জনকে বিবাদী করে বিজ্ঞ কোটচাঁদপুর সহকারী জজ আদালতে ঝিনাইদহে মামলা করেন। এরপরও রবিবার বাওড়টি দখলে নিয়ে পুলিশ পাহারায় বাওড়ে মাছ ছাড়েন,একতা মৎস্যজীবি যুব কল্যাণ সমিতির সভাপতি শ্রীমন্ত ও সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিত হালদার।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন,জেলা পরিষদের সদস্য রাজিবুল কবির,এলাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান,বিশিষ্ট ব্যবসায়ি খন্দকার দবির হোসেন,কোটচাঁদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গৌরাঙ্গ হরি, শামীম হোসেন ও সহ উপপরিদর্শক (এএসআই) আজম হোসেনও সলেমানপুর ওয়ার্কফো স্ট্রেটের মোতুয়ালী নজরুল ইসলাম।

এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুরের জগদীশপুর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি গোপাল হালদার বলেন,আশাননগর আর কুল্লাগাছা দুই মৌজায় এ বাওড়টি। বাপ দাদার আমল থেকে এ বাওড় পাড়ে আমরা বসবাস করে আসছি।বাওড়ের মৎস্য আহরন,আর বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন বাওড় পাড়ের ৫০ টি পরিবার।

এরমধ্যে ৪০ জনকে নিয়ে গঠিত জগদীশপুর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেড। যার মাধ্যমে আমরা ১৯৯৭ সাল থেকে বাওড়টি ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করে আসছি। ৩০ শে চৈত্র( ইংরেজি ১৩-০৪-২০২৪) সাল পর্যন্ত আমাদের সমিতির ইজারার মেয়াদ ছিল।

শনিবার সকালে বাওড় পাড়ে লাল পতাকা উড়িয়ে বাওড়টি দখল নেন,কোটচাঁদপুরের এলাঙ্গী ইউনিয়ন (ভুমি) সহকারী কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম।

তিনি অভিযোগ করে বলেন,শ্রীমন্ত কুমার মন্ডল একতা মৎস্যজীবি যুব কল্যান সমিতির সভাপতি। অথচ বলছেন,একতা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি। আর তিনি যে নামে সমিতির ইরাজার নিয়েছেন,সেটা অবৈধ। ইজারা নিতে হলে অবশ্যই তাঁর সমবায় সমিতির লাইসেন্স থাকতে হবে।

গোপাল হালদার বলেন, আমি ইউএনও ম্যাডামের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেছি। তিনি বলেছেন,তারা কোন কাগজ উনাকে দেননি। অন্যদিকে বিষয়টি নিয়ে এলাঙ্গীর নায়েব শরিফুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইলে একাধিক বার যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।

তিনি আরো বলেন, আমরা বাওড় পাড়ের হালদার সম্প্রদায়ের মানুষ। আমাদের পেশা একটাই। এই বাওড় কেড়ে নিলে আমাদের মরন ছাড়া আর কোন পথ থাকবে না।

তিনি নিরুপায় হয়ে গেল ২৫-০৩-২৪ তারিখে বাদী হয়ে জেলা প্রশাসক সহ ৬ জনকে বিবাদী করে আদালতে মামলা করেছেন তিনি। এ ব্যাপারে সুষ্ঠ তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের নিকট দাবিও জানিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে একতা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি শ্রীমন্ত কুমার মন্ডল বলেন,সমিতি দুইটি। এরমধ্যে একটি হচ্ছে কোটচাঁদপুর মংস্যজীবি সমবায় সমিতি আর অন্যটি একতা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি। যার নামে জগদীশপুর বাওড়ের ইজারা নেয়া। আর অন্যটি দিয়ে বলুহর বাওড় নেয়া হয়েছে। তবে তিনি একতা মৎস্যজীবি যুব কল্যাণ সমিতির নামটি অস্বীকার করে বলেন, আমাদের লাইসেন্স দিয়েছেন সমবায় অফিস।

তিনি বলেন, আমার সমিতির আমি সভাপতি আর বিশ্বজিত হালদার সাধারণ সম্পাদক। ২১ জন নিয়ে এই সমিতি বলে জানিয়েছেন তিনি।

বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) সৈয়দ আল- মামুন বলেন,শীতল হালদারের লোকজন বাওড়টি পেয়েছেন শুনেছি। তবে এর বৈধ্য কোন কাগজপত্র তারা আমাকে দেননি। ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন,আইন শৃঙ্গলা অবনতি হতে পারে, এ আশংকায় গোপাল হালদার ও রাজিবুল কবির পুলিশ চেয়েছিল। এ ছাড়া পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে যেখানে আইন শৃংখলা অবনতি হবার আশংকা করা হচ্ছে, সেখানে পুলিশ পাঠানো হচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে বলেন, জেলা থেকে ইজারা হয়েছে। মামলায় নিষেধাজ্ঞা না থাকলে ইজারা নিয়ে সমস্যা নাই। তবে তিনি ইজারার বৈধ কাগজপত্র হাতে পেয়েছেন কিনা তা জানান গণমাধ্যম কর্মীদেরকে।




মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে নবনির্বাচিত ছাত্রলীগ কমিটির শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন

মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্সে অবস্থিত স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেছেন মুজিবনগর উপজেলা ছাত্রলীগের নবনির্বাচিত কমিটি।

আজ রবিবার বিকেলে নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি ইমাম হোসেন ইমন ও সাধারণ সম্পাদক গাজী স্বপনে নেতৃত্বে এই পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

এর আগে গতকাল শনিবার (১৩ এপ্রিল) মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটির অনুমোদন দেয় জেলা ছাত্রলীগ। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম বাধঁন ও সাধারণ সম্পাদক মুনতাসির জামান মৃদুল সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইমাম হোসেন ইমনকে সভাপতি ও স্বপন গাজিকে সাধারণ করে আগামী এক বছর জন্য মুজিবনগর উপজেলা ছাত্রলীগের ৬ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটির অনুমোদন দেয়া হলো। কমিটির অন্য সদস্যরা হলো, সহসভাপতি ইশতিয়াক হোসেন লিমন, ওমর শরিফ উৎসর্গ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক সায়েম খন্দকার। ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম বাধঁন জানান, আংশিক কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সেই সাথে পূর্নাঙ্গ কমিটির তালিকা অতি দ্রুত দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।




মুজিবনগর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটির অনুমোদন দিয়েছে জেলা ছাত্রলীগ। গতকাল শনিবার (১৩ এপ্রিল) জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম বাধঁন ও সাধারণ সম্পাদক মুনতাসির জামান মৃদুল সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইমাম হোসেন ইমনকে সভাপতি ও স্বপন গাজিকে সাধারণ সম্পাদক করে আগামী এক বছর জন্য মুজিবনগর উপজেলা ছাত্রলীগের ৬ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটির অনুমোদন দেয়া হলো। কমিটির অন্য সদস্যরা হলো, সহসভাপতি ইশতিয়াক হোসেন লিমন, ওমর শরিফ উৎসর্গ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক সায়েম খন্দকার।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম বাধঁন জানান, আংশিক কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সেই সাথে পূর্নাঙ্গ কমিটির তালিকা অতি দ্রুত দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।




অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ পেলেই বাজার অস্থির করে ফেলেন: হানিফ

অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ পেলেই বাজার অস্থির করে ফেলেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজার অস্থিতিশীল হওয়ায় বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির ঢেউ এখানেও রয়েছে। একইসাথে অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ পেলেই বাজার অস্থির করে ফেলেন। তবে সরকার এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে আশ্বস্ত করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এ নেতা।

রবিবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বৈশাখী আড্ডা অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

সিন্ডিকেট প্রসঙ্গে মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ব্যবসায়ীরা রাজনীতি করতে পারেন, এতে কোনো বাধা নেই। ব্যবসায়ী হলেই যে সিন্ডিকেটে যুক্ত থাকবেন এ অভিযোগ সঠিক না।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, দুর্নীতি সব দেশেই আছে। এখানে যে নেই তা বলব না। তবে বিএনপির মুখে অন্য কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ মানায় না। কারণ, তাদের আমলে পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে ১ নাম্বার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বাংলাদেশ।

পরে বৈশাখী আড্ডায় অংশ নিয়ে হানিফ এমপি বলেন, বাঙালির জীবনে বৈশাখ মাসের এই প্রথম দিনটি কেবল বর্ষ শুরুর সূচনা দিনেই সীমিত নয়। নতুন বছরের নতুন দিনটি উদ্‌যাপিত হয় সবচেয়ে বড় উৎসবের উপলক্ষ হিসেবে। ঋতুভিত্তিক এই অসাম্প্রদায়িক উৎসবে অংশ নেন দেশের ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, ধনী, নির্ধন–নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী বাংলাভাষী মানুষও সেসব দেশে তাঁদের সামর্থ্য অনুযায়ী পয়লা বৈশাখে নববর্ষ উদ্‌যাপনের উৎসব আয়োজন করছেন। ফলে পয়লা বৈশাখের এই উৎসব হয়ে উঠেছে বাঙালির জাতিসত্তা ও সংস্কৃতি উদ্‌যাপনের এক বিপুল বর্ণাঢ্য মহোৎসব।

বৈশাখী আড্ডায় বক্তারা নতুন বছরে, নতুন দিনের এই উদ্‌যাপনে পুরোনো বছরের ব্যর্থতার গ্লানি, অক্ষমতার আক্ষেপ কাটিয়ে নতুন উদ্যমে দেশ, জাতি, সমাজ ও ব্যক্তিজীবনের সমৃদ্ধি অর্জনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

কুষ্টিয়া সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. শিশির কুমার রায়ের সভাপতিত্বে এসম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ হাসান মেহেদীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।




কুষ্টিয়ায় পহেলা বৈশাখে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো: এহেতেশাম রেজা বলেছেন,পহেলা বৈশাখই হচ্ছে বাঙালির জীবনে সবচেয়ে বড় অসাম্প্রদায়িক আবহমান উৎসব।

তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখ পুরনো জীর্ণকে ঝেড়ে ফেলে আমাদের যাপিত জীবনে নতুন সম্ভাবনা ও নতুন প্রত্যাশা জাগিয়ে তুলতেই শুধু নয়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে একাকার হওয়ার প্রেরণাও জোগায়। তাই পহেলা বৈশাখই হচ্ছে বাঙালির জীবনে সবচেয়ে বড় অসাম্প্রদায়িক আবহমান উৎসব।

আজ রবিবার সকালে পহেলা বৈশাখে বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে কালেক্টরেট চত্বরের বনবীথিতে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাঙালির জীবনে প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। বৈশাখের প্রথম দিনটি আবহমান কাল থেকেই আমাদের সত্তায়, চেতনায় ও অনুভবের জগতে এক গভীরতর মধুর সম্পর্ক নিয়ে বিরাজ করছে।

তিনি আরো বলেন, বাংলা নববর্ষ আগে শুধুমাত্র গ্রাম কেন্দ্রীক ছিল। এখন তা সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। আগে নববর্ষ শুধুমাত্রে হালখাতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। এখন সারা দেশের মানুষ ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে এই উৎসবটি পালন করছে। এখন তা শহর কেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে।

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এএইচ এম আবদুর রকিব , অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শারমিন আক্তার, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আলহাজ্ব রফিকুল আলম টুকু, কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা: আকুল উদ্দিন, চেম্বার অ্যান্ড কমার্সের পরিচালক এস এম কাদেরী শাকিল, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়ার সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব, প্রবীণ সাংবাদিক আবদুর রশীদ চৌধুরী সহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সুধীজনরা উপস্থিত ছিলেন।

এরআগে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বর্ণাঢ্য এক মঙ্গল শোভাযাত্রা শহর প্রদক্ষিণ করে।

পরে জেলা শিশু একাডেমি ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন।

এছাড়াও সুর্যদয়ের সাথে সাথে মোমবাতি প্রজ্জলনের মধ্য দিয়ে কুষ্টিয়া পৌরসভায় বর্ষবরণ উদযাপন করা হয়। এরপর পৌরসভার বটতলায় সকালের গান, আলোচনা সভা ও গ্রামীণ মেলার উদ্বোধন করেন পৌরসভার মেয়র আনোয়ার আলী।

সকাল থেকেই বৈশাখী সাজে হাজারো মানুষের ভিড়, আনন্দোচ্ছ্বাস আর কোলাহলে মুখর হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। বেলা বাড়তেই গান, নাচ, আবৃত্তিসহ নানা আয়োজনে জমে ওঠে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে কুষ্টিয়া জিয়া শিশু পার্ক, কামরুল ইসলাম সিদ্দিক শিশু পার্ক, রেনউইক বাঁধ, গড়াই নদীর বাঁধ এলাকায় যেন তরুণ-তরুনীসহ হাজারো মানুষের উপচেপড়া ভীড় লক্ষ করা গেছে।




মুজিবনগরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নবর্ষবরণ অনুষ্ঠিত

“মুছে যাক গ্লানি ঘুছে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা” এই আহ্বানে মুজিবনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে,মঙ্গলশোভা যাত্রা, পান্তা, উৎসব,সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান সহ নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে পহেলা বৈশাখ (বর্ষবরণ) অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিগত দিনের স্মৃতিকে বিদায় দিয়ে আজ রবিবার (১৪ এপ্রিল) থেকে শুরু হলো ১৪৩১ বঙ্গাব্দের বর্ষপুঞ্জির গণনা।

বর্ষবরণ উপলক্ষে সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল ইসলাম এর নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য মঙ্গলশোভা যাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রায় হরেকরকম সাজে নানা শ্রেনিপেশার মানুষ অংশ নেয়।

গরুর গাড়ীসহ নানা ধরণের প্লাকার্ড ও কাঁসা-বাঁশি, ঢোল বাজিয়ে শোভাযাত্রাটি মুজিবনগর সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু হয়ে প্রধান সড়ক প্রদঙ্গিণ করে উপজেলা পরিষদে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে বৈশাখী মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পান্তা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

মঙ্গলশোভা যাত্রা,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পান্তা উৎসবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল ইসলাম,সহকারী কমিশনার ভূমি নাজমুস সাদাত রত্ন, মুজিবনগর থানা অফিসার ইনচার্য (ওসি) উজ্বল কুমার দত্ত, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতা, উপজেলা পিআইও মাশরুবা আলম, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রকিবউদ্দীন, মহাজনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু, বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন, উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা কর্মচারী বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীবৃন্দ ও নানা শ্রেণী পেশার মানুষ বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে।