মুজিবনগরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নবর্ষবরণ অনুষ্ঠিত

“মুছে যাক গ্লানি ঘুছে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা” এই আহ্বানে মুজিবনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে,মঙ্গলশোভা যাত্রা, পান্তা, উৎসব,সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান সহ নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে পহেলা বৈশাখ (বর্ষবরণ) অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিগত দিনের স্মৃতিকে বিদায় দিয়ে আজ রবিবার (১৪ এপ্রিল) থেকে শুরু হলো ১৪৩১ বঙ্গাব্দের বর্ষপুঞ্জির গণনা।

বর্ষবরণ উপলক্ষে সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল ইসলাম এর নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য মঙ্গলশোভা যাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রায় হরেকরকম সাজে নানা শ্রেনিপেশার মানুষ অংশ নেয়।

গরুর গাড়ীসহ নানা ধরণের প্লাকার্ড ও কাঁসা-বাঁশি, ঢোল বাজিয়ে শোভাযাত্রাটি মুজিবনগর সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু হয়ে প্রধান সড়ক প্রদঙ্গিণ করে উপজেলা পরিষদে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে বৈশাখী মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পান্তা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

মঙ্গলশোভা যাত্রা,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পান্তা উৎসবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল ইসলাম,সহকারী কমিশনার ভূমি নাজমুস সাদাত রত্ন, মুজিবনগর থানা অফিসার ইনচার্য (ওসি) উজ্বল কুমার দত্ত, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতা, উপজেলা পিআইও মাশরুবা আলম, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রকিবউদ্দীন, মহাজনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু, বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন, উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা কর্মচারী বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীবৃন্দ ও নানা শ্রেণী পেশার মানুষ বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে।




গাংনীতে চৈত্র সংক্রান্তীতে আয় বাঙ্গালী, খাই বাঙ্গালী অনুষ্ঠিত

মেহেরপুরের গাংনীতে বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলা লেখক পাঠক ফোরামের আয়োজনে চৈত্র সংক্রান্তীতে আয় বাঙ্গালী, খাই বাঙ্গালী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল শনিবার বিকালে গাংনী ফুলকুড়ি স্কুলে বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলা লেখক পাঠক ফোরামের সভাপতি সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাংবাদিক রফিকুল আলম বকুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক।

 বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন, ও থানা অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) তাজুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আব্দুল্লাহ আল মারুফ,উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা সাইদুর রহমান, গাংনী মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মহিূুর রহমান মিন্টু, গাংনী প্রেসক্লাবের সভাপতি তৌহিদ উদ দৌলা রেজা, সাংস্কৃতিক কর্মী হামিদুল হক হিল্লোল, জাগো মেহেরপুরের অন্যতম কর্ণধার শোয়েব রহমান, সাবেক কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র নবীরুদ্দীন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম শাহ, উপজেলা যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক শফি কামাল পলাশ, সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম অল্ডাম, সুর্যোদয় পত্রিকার সম্পাদক আবুল কাশেম অনুরাগী, গাংনী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পারভেজ সাজ্জাদ রাজা, ফুলকুড়ি স্কুলের প্রধান শিক্ষক বদরুদ্দোজা লাল্টু, সাংবাদিক জুলফিকার আলী কানন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আজিজুল ইসলাম রানু, জাহাঙ্গীর আলম। অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাবা মা ও স্ত্রী উপস্থিত হওয়ার অনুষ্ঠান আরও প্রাণবন্ত হয়।

অনুষ্ঠানে গ্রামীণ বিভিন্ন রকম খাবার বিশেষ করে চিড়া দই, রসগোল্লা সহ বিভিন্ন রকম পিঠা উপস্থিত সবাইকে খাওয়ানো হয়। করোনার পৃর্বে এ অনুষ্ঠানটি চালু ছিল আনখা নামে। করোনা মহামারির কারণে বেশ কয়েক বছর অনুষ্ঠানটি বন্ধ থাকলেও এবার আবার নুতন করে বাংলা বছরের শেষ দিনে চৈত্র সংক্রান্তিতে গাংনীতে আয় বাঙ্গালী, খাই বাঙ্গালি শিরোনামে একটা চমৎকার ও প্রাণবন্ত অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ পরিবারসহ এবং সারাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করে এমন অনেক শিক্ষার্থী ও ফুলকুড়ির সাবেক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত সবাই এ জাতীয় একটি অনুষ্ঠান করায় অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে সবাই উপস্থিত হয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করেন। বাঙালির হারিয়ে যাওয়া পদ্ম পাতাতে চিড়া সহ সহ বিভিন্ন আয়োজনে সবাই উচ্ছাস প্রকাশ করেন। ভবিষ্যতে এ জাতীয় অনুষ্ঠানে নিয়মিত করার জন্য আহবান জানান অনুষ্ঠান কর্তৃপক্ষ কে।




দামুড়হুদার কাঁঠালতলায় দোকানের টিন কেটে চুরি

দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর কাঁঠালতলা নামকস্থানে ভাংড়ির দোকানের টিন কেটে বিভিন্ন মালামাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। এই চুরির ঘটনায় বাজারের দোকান মালিকদের মধ্যে চাপা আতংক বিরাজ করছে। চুরির ঘটনায় দোকানের মালিক হাসান বাদি হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে কে বা কাহারা এ চুরির ঘটনা ঘটেছে।

জানাযায়, দামুড়হুদা উপজেলার ডুগডুগী গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে হাসান আলি দীর্ঘ ৪ বছর যাবৎ কাঁঠালতলা মসজিদের পাশ্বে ভাংড়ির ব্যবসা করে আসছে। ঈদুল ফিতরের জন্য দুদিন দোকান বন্ধ থাকার সুযোগে শনিবার দিবাগত রাতে কে বা কাহারা দোকান ঘরের পিছনের টিন কেটে তামা, লোহা, কাসা, সিলভার, এ্যালমোনিয়াম, মাথার চুল ও নগদ টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। চোরের দল চুরি করা মালামাল দোকানের অদূরে একটি বাগানে সেট করে। এমন আলামত পাওয়া যায় বাগানে। হাসান আলির ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন। এই চুরির ঘটনায় কাঁঠালতলা দোকানের মালিকদের মধ্যে চাপা আতংক বিরাজ করছেন।

দোকানের মালিক হাসান আলি বলেন, আমি দীর্ঘ ৪ বছর যাবৎ ব্যবসা করে আসছি এমন ঘটনা এতদিন ঘটেনি। এই বাজারে সব থেকে বেশি টাকা দিই নাইটগার্ডের। তারপরও এমন ঘটনা ঘটলো। গতরাতে আমার দোকান কেটে দামি সব জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে গেছে। এতে আমার প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

দামুড়হুদা মডেল থানার এস আই ইউসুফ বলেন,এই চুরির ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।




দামুড়হুদা লোকনাথপুর প্রিমিয়ার লীগ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত

“খেলবে তরুণ জিতবে দেশ, মাদক মুক্ত আগামীর বাংলাদেশ ” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে দামুড়হুদা উপজেলার লোকনাথপুর জাগরণী সংসদ ক্লাবের আয়োজনে লোকনাথপুর প্রিমিয়ার লীগ (এলপিএল) ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকাল ৪টার দিকে লোকনাথপুর হেলিপোর্ট মাঠে এ টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।

প্রিমিয়ার লীগ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের প্রধান সমন্বয় জিল্লুর রহমান খোকন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আলী মুনছুর বাবু। এ সময় প্রধান অতিথি’ আলী মুনছুর বাবু বলেন, খেলাধুলা শরীর স্বাস্থ্য মন সবকিছুই ভালো রাখে, সবচেয়ে বড় কথা খেলাধুলা করলে মাদক থেকে দূরে থাকা যায়। এ সময় তিনি সকল অভিভাবককে তাদের সন্তানদেরকে খেলাধুলা করার জন্য মাঠে পাঠানোর আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইয়ামিন, দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই মহিবুল, হাউলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ খোকন, হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন, দামুড়হুদা মডেল মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাও মামুনুর রশীদ, ওর্য়াড আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিদুল হক সেন্টু, ওর্য়াড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল রহমান, হাউলি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রিকাত আলি, সম্পান শাহ, হাসান শাহ, রাসেল শাহ,হাউলী ইউনিয়ন ছাত্র লীগের আহবায়ক রাসেল আহাম্মেদ, লোকনাথপুর জাগরণী সংসদ এর সভাপতি নাহিদুল ইসলাম অনিক বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক মিঠুন হোসেন, প্রমূখ।

ফাইনাল ক্রিকেট খেলায় যে দুটি দল অংশ গ্রহণ করেন তারা হলেন রাজ একাদশ ভেমরুল্লা বনাম উজ্জ্বল লাইব্রেরি দর্শনা। টসে জিতে প্রথমে রাজ একাদশ ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন।প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৬ ওভারে রাজ একাদশ ৪ উইকেটে ২৩৪ রান করে পরে ২৩৫ রানের টার্গেট নিয়ে উজ্জ্বল লাইব্রেরি ব্যাট করতে নেমে ১৬ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮০ রান করতে সক্ষম হয়। ৫৪ রানে রাজ একাদশ চাম্পিয়ন হয়। খেলায় চাম্পিয়ান দলকে ১৫ হাজার টাকার প্রাইজ মানি ও চাম্পিয়ান ট্রফি প্রদান করা হয়। আর রানারআপ দলকে ১০ হাজার টাকা প্রাইজ মানি ও রানার্সআপ ট্রফি প্রদান করা হয়। খেলাটি পরিচালনা করেন মো: হাসান ও জামাল উদ্দিন।




মেহেরপুর পৌর মেয়র রিটনের প্রেস ব্রিফিং

মেহেরপুরের বেশ কয়েকটি স্থানে পৌর মেয়র ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটনের পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঈদ শুভেচ্ছার ফেস্টুন ও ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে।

ফেস্টুন ও ব্যানার নষ্ট করার প্রতিবাদে গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেল ৪ টার দিকে তার নিজস্ব কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।

এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন লিখিত বক্তব্য বলেন, অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় আমি প্রতিবছরের মতো এবারও পৌরবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে অভিনন্দন ব্যানার করেছি গত ১২ তারিখ রাতে কে বা কার আমার প্রায় প্রতিটিম ফেস্টুনে ব্লেট মেরে কেটে দিয়েছে। এটা আমার কাছে পরিকল্পিত প্রতিহিংসমুলক আচরণ বলে মনে হয়। যে বা যারা এ কাজ করছে তারা নিশ্চয়ই কারো আদেশ করেছে।

তিনি আরো বলেন, আমি প্রশ্ন রাখতে চাই এটা কোন ধরনের রাজনৈতিক শিষ্টাচার এটা কোন রাজনীতি? মতভেদ রয়েছে থাকতে পারে, এটাতো রাজনৈতিক চর্চা। এ অপরাধ যারা করেছে এবং যার বা যার নির্দেশে হয়েছে তা তদন্তপূর্বক বের করে আইনের আওতায় আনার জন্য একান্ত ভাবে অনুরোধ করছি।




রেল যাত্রায় স্বস্তির ঈদ, নেই কালোবাজারি

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেন, এবারই প্রথম ঈদ যাত্রায় মানুষ স্বস্তিতে রেল ভ্রমণ করেছে। রেলের টিকিটে কোনো কালোবাজারি হয়নি। কালো বাজারী সিন্ডিকেটের অনেকেই ধরা পড়েছে। এটা যখন শুরু হয়েছে, শেষও হবে ইনশাআল্লাহ।

আজ শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিকালে মুক্তিযুদ্ধকালীন মন্ত্রীর রণাঙ্গনের স্মৃতি বিজড়িত গাংনী উপজেলার ষোলটাকা গ্রাম পরিদর্শন কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় মেহেরপুর-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ডাক্তার এএসএম নাজমুল হক সাগর, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ খালেক, গাংনী পৌরসভার মেয়র আহম্মেদ আলী, গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা, গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম, গাংনীর মটমুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল আহমেদ, কাথুলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা, তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা বিশ্বাস, ধানখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, গাংনী উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন উপস্থিত ছিলেন।

মেহেরপুরের রেল সংযোগ নির্মানে ধীরগতি প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী বলেন, মুজিবনগর রেললাইন প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি প্রকল্প। এটির কাজ চলমান রয়েছে। এটি ইনশাআল্লাহ। যতদ্রুত সম্ভব বাস্তবায়ন করা হবে।

তিনি বলেন, একটি প্রকল্প বাস্তবায়নে অনেকগুলো প্রসেস আছে। কোনো প্রকল্প গ্রহণের সময় ফিজিবিলিটি পরীক্ষা করা হয়। ফিজিবিলিটি রিপোর্ট পজেটিভ হলে সেটি প্রকল্প স্টেটমেন্ট ও ডিজাইন করা হয়।এসব প্রসেস শেষ হলে সেটি প্রকল্প আকারে একনেকে তোলা হয়। একনেকে পাশ হলে ইআরডিতে যাবে। তারাই প্রকল্পের অর্থের যোগানের জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে। মুজিবনগর রেললাইন প্রকল্প এখনো ওই পর্যায়ে যায়নি। এসব প্রসেসের জন্য যতটুকু সময় লাগবে এবং যতটুকু দ্রুত সম্ভব চেষ্টা করা হবে।
রেল সংযোগ মেহেরপুর শহর হয়ে গাংনী উপজেলা থেকে ভেড়ামারা বা মিরপুর পর্যন্ত বর্ধিত করা যায় কিনা এমন দাবির প্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, মুজিবনগর পর্যন্ত রেল পথের ফিজিবিলিটির রিপোর্ট করা হয়েছে। তার ভিত্তিতে মুজিবনগর পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের কাজ চলছে। এটিকে বর্ধিত করতে হলে আবারো একই নিয়ম অনুস্বরণ করতে হবে। তারপরেও স্থানীয় সংসদ সদস্যকে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করবো। রেলপথের সচিব, ডিজিসহ বিশেষজ্ঞদের সাথে বসে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।  এসময় তিনি স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে যুদ্ধকালিন তার স্মৃতি বিজড়িত এলাকা নিয়ে কথা বলেন।

এর আগে মন্ত্রী বেলা ১২ টার দিকে মেহেরপুর সার্কিট হাউজে পৌছালে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক শামীম হাসান জেলাবাসির পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

এসময় মেহেরপুর-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ডাক্তার এএসএম নাজমুল হক সাগর, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ খালেক, গাংনী পৌরসভার মেয়র আহম্মেদ আলী তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

সেখানে জেলা প্রশাসন পুলিশ সুপার নাজমুল আহসানসহ বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।এসময় জেলা পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে মন্ত্রীকে গার্ড অফ অনার প্রদান করা হয়। পরে মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম এমপি মুজিবনগর স্মৃতি সৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।




মেহেরপুরে জনপ্রশাসন মন্ত্রীসহ বিশিষ্ঠজনরা যেখানে নামাজ আদায় করবেন

এবারের ঈদুল ফিতরে জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি, আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, ও তাদের জনপ্রতিনিধিরা নিজ নিজ এলাকায় অবস্থান করবেন।

তারা তারা নিজ এলাকায় ঈদের নামাজে অংশ নেবেন এবং সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি, মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি মাসুদ অরুন, মেহেরপুর পৌরসভার মেয়র মাহফুজর রহমান রিটন, মেহেরপুর জেলা প্রশাসক শামীম হাসান, পুলিশ সুপার মেহেরপুর শহরের পৌর ঈদগাহে নামাজ আদায় করবেন।

মেহেরপুর-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ডাক্তার এএসএম নাজমুল হক সাগর তার নিজ গ্রামে মহম্মদপুর, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ খালেক গাংনী পৌর ঈদগাহ, গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি সাহিদুজ্জামান খোকন নিজ গ্রাম তেরাইল ঈদগাহ, গাংনী পৌর মেয়র আহম্মেদ আলী চৌগাছা ঈদগাহ, মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন নিজ গ্রাম হিন্দা ঈদগাহ, সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন গাংনী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোরাদ হোসেন নিজ গ্রাম করমদি ঈদগাহ, গাংনী পৌরসভার সাবেক মেয়র আশরাফুল ইসলাম কেন্দ্রীয় ঈদগাহ, মাঠে নামাজ আদায় করবেন।

নামাজ শেষে এসব জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ঈদ উপলক্ষে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ব্যক্তিসহ সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।

এছাড়া মেহেরপুর জেলা প্রশাসক শামীম হাসান, পুলিশ সুপার সুপার নাজমুল হক মেহেরপুর ঈদগাহ ময়দানে নামাজ আদায় করবেন।




মুজিবনগরে শিশুদের মাঝে ভালোবাসার গিফট বক্স বিতরণ

মুজিবনগরে অপারেশন জেনারেশন কর্তৃক ঈদ উপলক্ষে মুজিবনগর শিশু পরিবারের সদস্যদের (Loving gift box for children) শিশুদের জন্য প্রেমময় উপহারের বাক্স বিতরণ করা হয়েছে।

আজ বুধবার সকালে বল্লভপুর ডিনারীর আয়োজনে এবং অপারেশন জেনারেশন, ঢাকা এর সহযোগীতায়, মুজিবনগর শিশু পরিবার এর এতিম শিশুদের মাঝে এসব উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

গিফট বক্স বিতরণ অনুষ্ঠানে, জেলা প্রবেশন অফিসার সাজ্জাদ হোসেন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল ইসলাম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান বাবুল মল্লিক, বল্লভপুর ডিনারীর ডিন মৃত্যুঞ্জয় মন্ডল। এসময় উপস্থিত ছিলেন শিশু পরিবারের প্রধান শিক্ষক তন্ময় কুমার সাহা সহ শিশু পরিবারের কর্মরত কর্মচারীবৃন্দ।

শিশু পরিবারের ৭৯ জন সদস্যদের মাঝে এ সমস্ত গিফট বক্স বিতরণ করা হয়।




মেহেরপুরে দাবদাহে ভরসা “শরবত ও আখের রসে

গেলো এক সপ্তাহব্যাপি চৈত্রের প্রচন্ড খরতাপে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। মেহেরপুরের তাপমাত্রা দাঁড়িয়েছে ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এই সময় ঘর থেকে বের হলেই গরমে ঘেমে-নেয়ে নাজেহাল।

তীব্র গরমে সড়কের মোড়ে, মার্কেটের সামনে, রাস্তার পাশে সারি করে দাঁড়ানো লেবু পানি, আখের রস, বেলের শরবত, ডাবসহ নানা প্রকারের ঠান্ডা পানির ভ্রাম্যমান দোকান চোখে পড়ছে।

জেলা শহর,গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলা শহরগুলোতে ভ্রাম্যমাণ শরবত ও আখের রসের দোকান গুলোতে সাময়িক প্রশান্তি আর তৃষ্ণা মেটাতে ঝুঁকছেন মানুষ।

অস্বস্তিকর গরমে রাস্তার পাশের শরবত, আখের রস ও ডাবের দোকানগুলোই যেনো মানুষের তৃষ্ণা নিবারণের ভরসার যায়গা।

তবে এসব খাবার এড়িয়ে চলতে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, এসব খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো।

আখের রস ও শরবত বিক্রেতারা বলছেন, “তীব্র গরমে কদর বেড়েছে আখের রস, লেবুরসহ বিভিন্ন ধরনের শরবত ও ডাবের”।

গেলো এক সপ্তাহ ব্যাপি মেহেরপুর জেলায় গরমের তীব্রতা বেশি অনুভূত হওয়ায় ফুটপাতগুলোতে হরহামেশাই ক্লান্ত পথিকদের নানান ধরণের শরবত ও জুস কিনে পান করতে দেখা যাচ্ছে।

গত শনিবার (৬ এপ্রিল) এ মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, মাঝারি তাপদাহের পর গত শনিবার (৬ এপ্রিল) তীব্র তাপদাহ শুরু হয়েছে।

গত শনিবার দুপুরে মেহেরপুর জেলা ও গাংনী উপজেলা শহরে এলাকায় প্রচন্ড দাবদাহে পিপাসা মেটাতে শরবতের দোকানগুলোতে ভিড় করতে দেখা যায় তৃষ্ণার্ত মানুষকে। এসব এলাকার ফুটপাতে রয়েছে বেশ কয়েকটি শরবতের দোকান। কোনো কোনো দোকানে বিক্রি হচ্ছে বেলের শরবত, আবার কোথাও লেবুর শরবত।

পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে ডাব ও আখের রস। এছাড়াও পিপাসা নিবারণে সাধারণ মানুষকে রাস্তার পাশের দোকান থেকে বিভিন্ন কোম্পানির কোমল পানীয় ও মিনারেল ওয়াটার কিনে পান করতে দেখা গেছে।

গাংনী উপজেলা শহরের বড়বাজার এলাকার লেবুর শরবত ও আখের রসের দোকানে দেখা গেছে প্রচন্ড ভীড়।
বাসের অপেক্ষায় থাকা রহিমা খাতুন তার ছেলে আয়মানকে লেবু শরবত পান করাচ্ছেন। তিনি বলেন অস্বাস্থ্যকর জেনেও এটি পান করাতে বাধ্য হচ্ছি। কারন গরমে শিশুটির গলা শুকিয়ে গেছে।

আখের রসের দোকানে বোতল ও পলিথিন হাতে দাঁড়িয়ে আছেন, আব্দুর রহমান, সেলিনা খাতুন ও শাহাজান আলী। তারা বলেন, এই গরমে ইফতার পর আখের রস না খেলে শরীর কড়া হয়ে যাবে। তাই, আখের রস নিয়ে যাচ্ছি।

গাংনী উপজেলা শহরের বড়বাজার এলাকার শরবত বিক্রেতা সাদ্দাম হোসেন বলেন, যত গরম পড়বে আমাদের তত বিক্রি বাড়বে। কয়েকদিন যাবৎ গরম পড়ছে। প্রতিদিন ৬/৭ হাজার টাকার শরবত বিক্রি হয়। রোজা বের হলে বিক্রি আরো বাড়বে বলে জানান তিনি। তার শরবতে লেবু, চিনিগুলা, তুকমা দানা, ইসুপগুলের ভুশি, বরপ দিয়ে তৈরি। এর মধ্যে খারাপ কিছু নেই বলে জানান তিনি।

আখের রস বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম বলেন, গরম পড়ার সাথে সাথে আমাদের বেচা বিক্রিও বেড়েছে। প্রতিদিন
৭/৮ হাজার টাকার রস বিক্রি করেন তিনি। এদিকে ডাব বিক্রেতা সাবান আলী জানান, ডাবের প্রচুর চাহিদা। এই গরমে মানুষ কাদের শরীর কড়ার হাত থেকে বাঁচতে ডাবের প্রতি ঝুঁকছেন।

এদিকে তীব্র গরমে বাড়ছে নানা রোগ বালাই। বিশেষ করে ডায়রিয়া, জ্বর, শ্বাসকষ্টের রোগীর সংখ্যা বেড়েছে আগের তুলনায় বেশি।

মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাক্তার জমির মোহাম্মদ হাসিবুস সাত্তার বলেন, এই গরমে প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। পিপাসা মেটাতে ফুটপাতের শরবত,পানি পান থেকে বিরত থাকতে হবে।




মেহেরপুর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সচেতনতামুলক প্রচারণা

পবিত্র ঈদুল ফিতরে যানবাহন নির্বিঘ্নে বাড়ি ফেরার লক্ষ্যে সচেতনতামূলক প্রচারণা ও লিফলেট বিতরণ করেছে জেলা পুলিশ বিভাগ।

আজ মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বেলা ১১ টার দিকে মেহেরপুর জেলা শহরের হোটেলবাজার মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে লিফলেট বিতরণ ও সচেতনতামুলক প্রচারণা চালান ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরে মোটরসাইকেল, বিভিন্ন সড়কে মেহেরপুর ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর বিশ্ব দেব ঘোষের নেতৃত্বে লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে ট্রাফিক সার্জেন্ট মেহেদী হাসান, আলামিনসহ ট্রাফিক পুলিশের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মেহেরপুর ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর বিশ্ব দেব ঘোষ বলেন, পুলিশ সুপারের নির্দেশে সচেতনতামুলক এই অভিযান চালানো হচ্ছে। নির্বিঘ্নে যেনো মানুষ চলাচল করতে পারে সেই লক্ষেই এই পদক্ষেপ।