আলমডাঙ্গায় চার খণ্ডে বিভক্ত ভোটের মাঠে প্রার্থীরা ; মাঠ কাপাচ্ছে ডাবু

কে হবেন আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের অভিভাবক এ নিয়ে চলছে গ্রামে গ্রামে জল্পনা কল্পনা। এবার বিরোধীদলের কোন প্রার্থী না থাকায় আওয়ামী লীগের ৫ জন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বির মধ্যে ভোট ভাগাভাগি হবে এটা অনেকটা নিশ্চিত। তবে ৫ প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডির। এছাড়া ভাগ হয়ে গেছে নিজেদের কর্মী বাহিনী। এর পরেও চার খণ্ডে বিভক্ত হয়ে ভোটের মাঠে প্রার্থীরা। তাদের কর্মী সমর্থকদের নিজের পক্ষে আনতে মরিয়া হয়ে উঠছেন। এদিকে মোমিন চৌধুরী ডাবু (আনারস) প্রতিকে তাঁর কর্মী সমর্থকদের নিয়ে একাই উপজেলার প্রত্যান্তঞ্চলে গিয়ে ভোট চেয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এখানে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে পঞ্চমুখী। নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসলেও এখনও জমে ওঠেনি নির্বাচনী মাঠ।

আগামী ১৯ মে প্রচারণার শেষ দিন। তবে প্রতিদিন প্রার্থীরা উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ চালিয়ে ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করে যাচ্ছেন।

এবারও নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে প্রচারণা করছেন আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন (দোয়াতকলম)। এছাড়া নতুন মূখ হিসেবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও সাবেক হারদি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম (কাপ পিরিচ)। একই এলাকার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মঞ্জিলুর রহমান (মোটরসাইকেল) , ঢাকার দারুসসালাম থানা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মোমিন চৌধুরী ডাবু (আনারস)। ২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হয়ে এবারও বিজয়ের লক্ষ্য নিয়ে সাবেক জেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক জিল্লুর রহমান (ঘোড়া) প্রতিক নিয়ে আবারো ভোটের মাঠে।

এদিকে সরকারি দল আওয়ামী লীগের পদ না থাকলেও উপজেলা আওয়ামীলীগ ও ১০ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ঐক্যবদ্ধ ভাবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মঞ্জিলুর রহমানকে সমর্থন দিয়ে মাঠে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিত ইতিমধ্যে সাবেক জেলা যুবলীগের যুগ্ন-আহবায়ক জিল্লুর রহমানকে সমর্থন দিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। তিনি গত সংসদ নির্বাচনে (ঈগল) প্রতিকে নির্বাচন করেন।

বর্তমান সংসদ সদস্যের নিকট পরাজিত হওয়ায় এ আসনে তাঁর আধিপত্যবিস্তারের জন্যই জিল্লুর রহমানকে সরাসরি সমর্থন করেছেন বলে প্রবিন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ মনে করেন। তবে দীর্ঘদিন রাজনৈতিক অঙ্গনে সুপরিচিত মুখ বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী নুরুল ইসলাম। ইতিপূর্বে তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষকলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্বপালন করেন। তাঁরপর তিনি জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য লাভের পর দু’বার হারদি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হন। তাঁর দায়িত্বপালনের ১০ বছরে ইউনিয়নকে একটি মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। তাঁর দায়িত্ববোধ থেকে আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। তাঁর সাথে সখ্যতা রেখে উপজেলা যুবলীগের নেতা-কর্মীরা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এছাড়া গত ৫ বছর উপজেলা নির্বাচনে দায়িত্বপালন শেষে আবারো নির্বাচনের মাঠে ভোটযুদ্ধে সাবেক উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আয়ুব হোসেন। এবার পারিবারিক সঙ্গ না পেলেও জেলা ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন তিনি। তাঁর দায়িত্বপালনে কর্মীদের নানা মুখি প্রতিশ্রুতি পুরণ না করায় ভোটারদের নিকট থেকে ফিরছেন খালি হাতে।

তিনি ছাড়াও ঢাকা উত্তর দারুসসালাম থানা আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন মোমিন চৌধুরী ডাবু। উপজেলা রাজনৈতিক অঙ্গনে অপরিচিত থাকলেও ঢাকাতে রয়েছে শক্তিশালী অবস্থান। এর পাশাপাশি উপজেলার অনেক নেতা-কর্মীরা মামলা হামলা থেকে রেহাই পেতে তার দারস্থ হন। বিভিন্ন সংগঠন পক্ষপাতিত্ব করলেও ডাবু তাঁর নিজের কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে পৌঁছে গেছেন প্রত্যান্তঞ্চলে। শহর কেন্দ্রিক রাজনৈতিক মাঠে তাঁর নাম জানা না থাকলেও গ্রামাঞ্চলে সাড়া জাগিয়ে ভোটে জয়লাভে দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতি।




চুয়াডাঙ্গা জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সম্মেলন কক্ষে রবিবার সকাল সাড়ে দশটার সময় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমার সভাপতিত্বে জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটি, আদালত সহায়তা, মানব পাচার প্রতিরোধ, সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ, চোরাচালান নিরোধ, অনিস্পন্ন চোরাচালান মামলাসমূহ সম্পর্কে মনিটরিং সেলের সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভার প্রারম্ভে গত ০৮ মার্চ ২৪ তারিখ দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলায় অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচন কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন, মাদক উদ্ধারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ও জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য জেলা প্রশাসক ধন্যবাদ জানান।

উক্ত সভায় আদালত সহায়তা, মানব পাচার প্রতিরোধ, সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ, চোরাচালান নিরোধ, অনিস্পন্ন চোরাচালান মামলাসমূহ সম্পর্কে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা, সড়কের শৃঙ্খলা, ফুটপাত দখলমুক্ত, দ্রব্যমূল্য সহনশীল, দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারসহ সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার উপর বিস্তারিত আলোচনা হয়।

উক্ত সভায় আরোও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান পিপিএম সেবা, চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক( শিক্ষা ও আইসিটি) কবীর হোসেন, চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজিম উদ্দীন আল আজাদ, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান সহ চুয়াডাঙ্গা সদর আলমডাঙ্গা দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলার নির্বাহী অফিসার বৃন্দ ও বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ, জনপ্রতিনিধিবৃন্দ, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ এবং মিডিয়া ব্যক্তিবর্গ।




দর্শনায় বিভিন্ন উন্নয়ন মৃলক কাজের উদ্ধোধন

চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা পরানপুরে ১ কোটি ৯৫ লক্ষ ২৬ হাজার ও ইসলামবাজারে ৩০ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা ব্যায়ে আর সিসি ড্রেন নির্মান কাজের উদ্ধোধন করলেন এমপি আলী আজগার টগর।

আজ রবিবার সকাল ১১ টার দিকে দর্শনা পৌর সভার পরানপুর ৫ নং ওয়ার্ডের বটতলা হতে গোপালখালী পর্যন্ত ৫শ মিটার ও দর্শনা ৭ নং ওয়ার্ডের ইসলামবাজার পাড়ার ২শ ৫০ মিটার আরসিসি ড্রেন নির্মান কাজের শুভ উদ্ধোধন করেন।

ড্রেন উদ্ধোধনের সময় এমপি আলী আজগার টগর বলেন,এ সরকার উন্নয়ন মৃলক সরকার, সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় আছে বলে দেশে আজ এতো উন্নয়ন মৃলক কাজ হচ্ছে। এমন কোন গ্রাম নেই সেখানে উন্নয়ন হয়নি।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করছে। এই উন্নয়ন কাজে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন,দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু,দর্শনা পৌর মেয়র আতিয়ার রহমান হাবু,বীর মুক্তিযোদ্ধা ও পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি রুস্তম আলী, দর্শনা পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজেদুল আলম,ওয়ার্ড সেক্রেটারি ফরজ মল্লিক,যুবলীগ নেতা আব্দুল মান্নান,আশরাফুজ্জামান বেল্টু,সাইফুল ইসলাম হুকুম,আশরাফুল আলম প্রমুখ।




মুজিবনগরে পলাশীপাড়ার উদ্যোগে বিশ্ব মা দিবস উদযাপন

মুজিবনগরে পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে বিশ্ব মা দিবস উদযাপন করা হয়েছে।

মুজিবনগরে মোনাখালী ইউনিয়নের দরিদ্র দূরীকরণের লক্ষ্যে দরিদ্র পরিবার সমূহের সম্পদ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি( সমৃদ্ধি) কর্মসূচির আওতায় আজ রবিবার (১২ মে) দুপুরে মোনাখালী সমৃদ্ধি শাখায় বিশ্ব মা দিবস উদযাপিত হয়েছে ।

পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকে এস এফ)এবং পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি (পিএসকেএস ) এর আয়োজনে, মোনাখালী ইউনিয়নের সর্বস্তরের মায়েদের নিয়ে মোনাখালী শাখায় বিশ্ব মা দিবস পালন করা হয়।

মা দিবস পালন উপলক্ষে মোনাখালী শাখায় আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় , আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রবীণ ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি আব্দুল মান্নান এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ ইউনিয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশকার মিয়া, এক নম্বর প্রবীণ ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন, সমৃদ্ধি কর্মসূচির সমন্বয়কারী হাসানুজ্জামান ও সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রহিম আক্তার।অতিথিবৃন্দ বিশ্ব মা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা করেন।




মেহেরপুরে বিশ্ব মা দিবস পালিত

“শেখ হাসিনার বারতা নারী-পুরুষ সমতা”এই প্রতিপাদ্যে মেহেরপুরে বিশ্ব মা দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

জেলা প্রশাসন ও জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উদ্যোগে আজ রবিবার (১২ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নীলা হাফিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মোঃ শামীম হাসান।

এছাড়াও এসময় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. আব্দুস সালাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শামীম ভূঁইয়া, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসান, জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কাজী কাদের মোহাম্মদ ফজলে রাব্বি, জেলা তথ্য অফিসার আব্দুল আল মামুন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।




মুজিবনগরে বিশ্ব মা দিবস উদযাপন

মুজিবনগরে নানা আয়োজনে বিশ্ব মা দিবস উদযাপন করা হয়েছে। আজ রবিবার (১২ মে) সকালে মুজিবনগর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের আয়োজনে, বিশ্ব মা দিবস উদযাপন উপলক্ষে র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে সকালে মজিবনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুস সাদাত রত্ন এর নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয় র‌্যালিটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে শেষ হয়ে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সেলিম রেজার সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রকিবউদ্দিন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান বাবুল মল্লিক, ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য রকিব উদ্দিনসহ উপজেলা কর্মকর্তা কর্মচারী এবং এলাকার মায়েরা।




নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চেয়ারম্যান প্রার্থী লাইলা আরজুমান শিলা

গাংনী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে ঘোষণা দিয়ে সরে দাঁড়ালেন দোয়াত কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী লাইলা আরজুমান বানু শিলা।

আজ রবিবার (১২ মে) বিকেলে লাইলা আরজুমান বানু শিলা তার গাংনীস্থ বাসাতে সাংবাদিক সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি।

চেয়ারম্যান প্রার্থী লাইলা আরজুমান বানু শিলার পক্ষে তার স্বামী সদ্য সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য ও গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর এই ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, “পারিবারিক কারনেই আমরা এই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিচ্ছি।

তিনি বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের একাধিক নেতা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। একাধিক প্রার্থী হওয়ায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলের মধ্যে বিভ্রান্তি হচ্ছে। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ফলে কিছুটা হলেও সেখান থেকে মুক্ত হবে দল। নেতা কর্মীরা তাদের পছন্দমত যে কোনো একজনকে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করবেন। সেই প্রত্যাশা নিয়ে একান্ত আমাদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণেই এই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিচ্ছি। আমরা চাই, গাংনীর আওয়ামীলীগ পরিবারের সকল নেতা কর্মী তাদের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন নিয়ে এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। তাদের পছন্দ এবং যোগ্যতম নেতাকেই বেঁচে নেবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।

আমার স্ত্রী লাইলা আরজুমান বানু শিলা গাংনীর জনপদে নারী জাগরণে ব্যাপক কাজ করেছেন।‘সামাজিক, রাজনৈতিক দিক বিবেচনা করে গাংনী উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। নির্বাচনে নিজ নিজ পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেয়ার অনুরোধ করছি। এসময় গাংনী উপজেলা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগাঠনিক নজরুল ইসলাম, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মাস্টারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

গাংনী উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ খালেক (আনারস), সাবেক চেয়ারম্যান এ কে এম শফিকুল আলম (কাপ পিরিচ), গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান মুকুল (হেলিকপ্টার)

মেহেরপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভূট্টো(কৈ মাছ), সাবেক উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল হক জুয়েল (ঘোড়া), গাংনী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো: মোশাররফ হোসেন ও স্থানীয় ব্যবসায়ী মুকুল জোয়ার্দ্দার ( শালিক পাখি)। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে, মো: ফারুক হাসান (টিউবওয়েল), মো: দেলোয়ার হোসেন মিঠু (তালা), মো: রেজাউল করিম (চশমা), এবং মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান পদে, বর্তমান মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন (হাঁস), নাসিমা খাতুন (ফুটবল) ও জাকিয়া আক্তার (কলস) প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।




গাংনীতে সড়ক দুর্ঘটনায় শশুর ও পুত্রবধু আহত

মেহেরপুর—কুষ্টিয়া সড়কের চোখতোলা নামক স্থানে নির্মাণাধীন রাস্তার ছড়ানো খোঁয়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় শশুর জামাল উদ্দীন (৭৫) ও তার পুত্রবধু তমা খাতুন (২৪) মারাত্বক আহত হয়েছেন।

আজ রবিবার সন্ধ্যায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের বাড়ি গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত জামাল উদ্দীন জানান, সন্ধ্যার দিকে পুত্রবধু তমা খাতুনকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে গাংনী উপজেলার চেংগাড়া থেকে নিজ গ্রাম হোগলবাড়িয়াতে যাচ্ছিলেন। চোখতোলা নামক স্থানে রাস্তার উপর ছড়ানো পাথরের উপর মোটরসাইকেলের চাকা উঠে গেলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার উপর পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের আহতাবস্থায় উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।




এসএসসিতে কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সেরা সাফল্য অর্জন

ঐতিহ্যবাহি কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় এবার এসএসসি পরীক্ষায় সেরা সাফল্য অর্জন করেছে। এবার কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে ২২৮জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।

শতভাগ উত্তীর্ণ হওয়া কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় যশোর শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে তৃতীয় স্থান লাভ করেছে। স্কুলের সেরা সাফল্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা খুবই আনন্দিত।

স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শামীমা আক্তার জাহান জানান, ২৫৭ জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাস করেছে। এর মধ্য জিপিএ-৫ পেয়েছে ২২৮ জন।

কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সেরা সাফল্যে পরীক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলে এটা সম্ভব হয়েছে।

এদিকে, যশোর শিক্ষা বোর্ডের দেওয়া তথ্য মতে, খুলনা বিভাগের ১০টি জেলার মধ্যে কুষ্টিয়া জেলায় পাসের হার ৯১ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক নাদিরা খানম বলেন, আমরা শিক্ষকেরা সবসময় অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি। শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করেছি। সব মিলিয়ে আমাদের শিক্ষকদের পাশাপাশি অভিভাবকদের অবদানের কারণে আজ আমরা সেরা হতে পেরেছি।

ভালো ফলাফলে খুশী হয়ে জারিন মায়শা ইমশি ও সায়মা খাতুন বলেন, দীর্ঘ সময় পড়া নয় বরং স্কুলের পড়াগুলো নিয়মিত করেছি আমরা। সর্বমোট ১৩০০ নাম্বারের মধ্যে ১২৬৯ নাম্বার পেয়ে কৃতকার্য জারিন মায়শা ইমশি ও ১২৬৮ পেয়েছেন সায়মা খাতুন। তারা ভালো ফলাফলে অনেক খুশী।

জারিন মায়শা ইমশির মা জেসমিন আরার কণ্যা বলেন, কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সেরা সাফল্যে আমরা ভীষণ খুশী। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলে এটা সম্ভব হয়েছে।

প্রসঙ্গত, শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৪ এ উপজেলার মধ্যে সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে মনোনীত হয়েছেন কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়।




নাইট শিফটে কাজের সময় যা করণীয়

ডাক্তার, সাংবাদিকতা, কারখানা, সিকিউরিটি, পুলিশ, ফ্রিল্যান্সিংসহ কিছু পেশায় রাত জাগতেই হয়। রাতে জাগা কোনোভাবেই সুস্থতার পরিচায়ক নয়। ওয়ার্ক ফ্রম হোম, রোস্টার বেসিস ডিউটি কিংবা নাইট শিফটের ক্ষেত্রে অনেক কিছুই ভাবতে হয়। রাত জেগে কাজ করলে বিশেষজ্ঞদের মতে শিফট ওয়ার্ক স্লিপ ডিসঅর্ডার হয়। একটু সচেতন থাকলেই সেই সমস্যা বা অসুবিধাগুলো কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। নাইট শিফট এড়াতে না পারেন অন্তত অসুখ তো এড়াতে পারবেন। এক্ষেত্রে কিছু টিপস অনুসরণ করা জরুরি:

শিফট শুরুর আগে ঘুম
নাইট শিফটে রাত জাগতে হয়। দিনে ঘুমাতে হয়। বায়োলজিক্যাল ঘড়ির বারোটা বাজে। ঘুম হয় অপর্যাপ্ত। সেই ঘুমের ঘাটতি মিটিয়ে নিতে শিফট শুরু হওয়ার আগে ছয় থেকে সাত ঘণ্টা ঘুমিয়ে নিন। যদি শিফট শুরু হয় রাত ৮টায়, তাহলে অফিস যাওয়ার আগে ঘুম বাঞ্ছনীয়। ঘুম থেকে উঠে একটু হাঁটাহাঁটি করে তারপর তৈরি হন অফিসের জন্য।

কাজ শেষে বাড়ি ফিরেই ঘুম না
নাইট শিফটে কাজের ক্লান্তি বেশি বোধ হয়। দিনে কাজের পরিশ্রম যতই হোক না কেন, নাইট শিফটে পরিশ্রম অনেক। রাতে মানসিক ক্লান্তির সঙ্গে থাকে শারীরিক ক্লান্তিও। এজন্য বাড়ি ফিরে সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়লে ক্লান্তিবোধ ততটা কাটবে না। বাড়ি ফিরে পছন্দের কাজ করুন। বই পড়া, গান শোনা, পছন্দের খাবার খাওয়া। বেশ কিছুটা সময় রিল্যাক্স করে, তারপর ঘুমাতে যান।

ক্যাফেইন এড়াতে হবে
নাইট শিফটে অনেকেই ঘন ঘন চা, কফি খেয়ে থাকেন। শরীরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে এগুলো। তাই নাইট শিফটে কাজের ফাঁকে ঘুম পেলে ব্রেক নিন, হেঁটে আসুন। কিন্তু কফি বা কোল্ড ড্রিংকস খেয়ে শরীরের বারোটা বাজাবেন না। রাতে কাজ করতে করতে অনেকেই কিছু খেতে ভালবাসেন। খিদে না পেলেও হালকা কিছু খেতে ইচ্ছে করে এ সময়। কিন্তু, এ পথে হাঁটা ঠিক নয়। কারণ, অসময়ে খাওয়া ফ্যাট বাড়ায়। শুধু তাই নয়, ভরপেট খেলে ঘুমও বেশি পায়।

খুব বেশি খিদে পেলে খেতে পারেন প্রোটিন জাতীয় খাবার ডিম, পনির বা পি-নাট বাটার জাতীয় খাবার অল্পে পেট ভরাবে, কিন্তু শক্তি দেবে বেশি, আবার ঘুমও আসবে না সহজে।

ব্যায়াম করুন
সপ্তাহে যতদিনই নাইট শিফটে কাজ করুন না কেন, দিনের বেলায় নিয়ম করে ব্যায়াম করুন। শরীরচর্চা আপনাকে ফিট ও সতেজ রাখবে। ব্যায়ামের আগে হালকা কিছু খেয়ে নিন। ফল, প্রোটিন বার বা বিস্কুট জাতীয় খাবার শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি দেবে।

বিরতিতে জোর দিন
একটানা কাজ করলে শরীর ও মনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এজন্য কাজের ফাকে বিরতি নিন। সহকর্মীদের সঙ্গে গল্প করুন বা নিজের মতো করে একটু সময় কাটান। অফিসের মধ্যেই একটু হেঁটে নিতে পারেন। ১০ মিনিটের ছোট্ট বিরতি নিয়ে গান শুনতে পারেন। আর অনলাইনভিত্তিক কাজ হলে, মাঝে মাঝে ৫ মিনিটের জন্য চোখ বন্ধ করে বিশ্রাম নিন। কারণ একটানা স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকলে মাথাব্যথা বা অন্যান্য শারীরিক সমস্যা হতে পারে।

সূত্র: ইত্তেফাক