‘খলনায়ক’ হচ্ছেন বালাম

অভিনেতা আরিফিন শুভ অভিনীত ‘নীলচক্র’ সিনেমার ফার্স্টলুক পোস্টার প্রকাশ পেয়েছে। পোস্টারে শুভর যে মুখাবয়ব দেখা যাচ্ছে, তা আরেকজনের মুখের ওপরই বসানো। এবার জানা গেল শুভর পেছনে ঝাঁকড়া চুলের আরেকজনের মুখটি কার।

সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী, দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী বালাম থাকছেন ‘নীলচক্র’ সিনেমায়। এতে তাকে খল নায়ক চরিত্রে দেখা যাবে।

এছাড়া অভিনয়ের পাশাপাশি সিনেমাটিতে বালামের দুটি গানও থাকছে। একটি গান সুর ও সংগীত পরিচালনার পাশাপাশি গেয়েছেন তিনি, যে গানের কথা রবিউল ইসলাম জীবনের। আরেকটি গানের শুধু সংগীতায়োজন করেছেন, যেটি গেয়েছেন র‍্যাপার সাফায়েত।

এর আগে বালামকে ছোট পর্দায় টুকটাক দু-একটি নাটকে দেখা গেছে। তবে চলচ্চিত্রে এবারই প্রথম।

তবে ছবিতে বালামের চরিত্রের দৈর্ঘ্য নিয়ে পরিচালক বা বালাম কেউই কিছু বলতে চাননি।

বালাম বললেন, ‘কী করেছি, এখনই কিছু বলতে চাই না। তবে এমন কিছু হয়েছে, যা আগে হয়নি। দেখা যাক, সবাই অপেক্ষা করি।’

পরিচালক মিঠু খান জানালেন, ‘ছবির একটি চরিত্রে একজন সংগীতের মানুষের দরকার ছিল। আমরা এমন একজনকে চেয়েছিলাম, যাকে দিয়ে বিষয়টি সঠিকভাবে পর্দায় তুলে আনা সম্ভব। বালাম ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়, ভাবনাটা তার খুব পছন্দ হয়। আনন্দে প্রস্তাব গ্রহণ করেন। তাকে পেয়ে আমাদেরও কাজটি অনেক সহজ হয়ে যায়।’

আরও বললেন, ‘চরিত্রটি নিয়ে আমরা তিন মাসের বেশি সময় বালাম ভাইয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছি। শুটিংয়ে সময় মনে হয়েছে, আমরাও শতভাগ পেয়েছি। কখনো মনে হয়েছে, প্রত্যাশার চেয়ে বেশি।’

সূত্র: ইত্তেফাক




গাংনীতে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারুক হাসানের গণসংযোগ

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী প্রার্থী মো: ফারুক হাসানের পক্ষে গণসংযোগ ও ভোট প্রার্থনাসহ প্রচারোভিযান অব্যাহত রয়েছে।

প্রতিদিন সকাল থেকে সারাদিন তার কর্মী- সমর্থকদের সাথে নিয়ে গাংনী শহরসহ তার নির্বাচনী এলাকায় মানুষের কাছে প্রতিক চিনিয়ে দিচ্ছেন এবং ভোট প্রার্থনা করছেন। ফারুক হাসানের নির্বাচনী প্রতিক টিউবওয়েল।

প্রচারোভিযানে কর্মী- সমর্থকরা বলছেন, ফারুক হাসান ঠিকাদারি পেশায় থাকলেও তিনি নিরবে নিভৃতে গরীব অসহায় ও দুঃখী মানুষের পাশে থেকে সেবা করে আসছেন। ফারুক হাসান গাংনীর মানুষের কাছে একজন পরিচিত মানুষ। সন সময় তাকে প্রয়োজনে পাশে পাওয়া যাবে। তিনি যেন গাংনীর সব মানুষের সেবা করতে পারেন সে জন্য ফারুক হাসানকে তার টিউবওয়েল মার্কায় ভোট দিয়ে মানব সেবার সুযোগটুকু করে দেবেন। আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম অংশ গ্রহণকারী ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী ফারুক হাসান গাংনী উপজেলার অত্যান্ত পরিচিত ব্যাক্তি কমরেড আব্দুল মাবুদ এর ছেলে।

ফারুক হাসান বলেন, জনগণ আমাকে উৎসাহ দিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে বলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহণ করেছি। আমার টিউবওয়েল মার্কায় ভোট দিয়ে মানুষের সেবা করার সুযোগ দিলে আমি মানুষের সেবায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করব।। তিনি আরো বলেন, আমি আমার নির্বাচনী এলাকায় যেখানে যেখানে গিয়েছি সাধারণ ভোটারদের মাঝে আমি ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। আশা করছি বিপুল ভোটে আমি জয় লাভ করব। আমাদের মধ্যে যারা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের মধ্যে বিচার-বিশ্লেষণ করেই মানুষ টিউবওয়েল প্রতীকের প্রতি অন্যরকম ছাড়া ফেলেছে।

আগামী ২১ মে ২০২৪ ইং তারিখে অনুষ্ঠিত হবে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশ গ্রহন করছেন ফারুক হাসান ( টিউবওয়েল) দেলোয়ার হোসেন মিঠু( তালা চাবি) ও রেজাউর রহমান( চশমা)।




মেহেরপুরে জেলা ক্যাটাগরিতে সেরা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ

মেহেরপুর জেলা পর্যায়ে মাধ্যমিক উচ্ছ মাধ্যমিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এর মেহেরপুর জেলা অফিস ।

গতকাল সোমবার সকালে মেহেরপুর জেলা শিক্ষা অফিসার আব্বাস উদ্দিন মেহেরপুর জেলার শ্রেষ্ঠদের এই তালিকা প্রকাশ করেন।
শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৪ এর নির্বাচিতদের তালিকায় জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়েছে গাংনী উপজেলার ঐতিহ্যবাহি জোড়পুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কারিগরি টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ, শ্রেষ্ঠ মাদ্রাসা সদর উপজেলার পিরোজপুর দাখিল মাদ্রাসা, শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (কলেজ) গাংনীর সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজ।

শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন জোড়পুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসান আল নূরানী, শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান কারিগরি পর্যায়ে গাংনী টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজেরঅধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, শ্রেষ্ঠ মাদ্রাসা প্রধান হাড়াভাঙ্গা ডিএইচ সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, শ্রেষ্ঠ কলেজ প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন, মেহেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. এ কে এম নজরুল কবীর, শ্রেষ্ঠ সহকারি শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন গাংনী উপজেলার বাঁশবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক দিলারা আফরোজ, শ্রেষ্ঠ কারিগরি শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন মেহেরপুর সদরের মুক্তিযোদ্ধা আহমদ আলী টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের শিক্ষক এস এম রফিকুল আলম বকুল, শ্রেষ্ঠ মাদ্রাসা শিক্ষক হাড়াভাঙ্গা ডিএইচ সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার সুলতানা ইয়াসমিন, শ্রেষ্ঠ কলেজ শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন, মেহেরপুর সরকারি কলেজের শিক্ষক মোঃ খেদমত আলী মালিথা।

এছাড়াও শ্রেষ্ঠ রোভার গ্রুপ নির্বাচিত হয়েছে, গাংনী সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজের রোভার গ্রুপ, শ্রেষ্ঠ বিএনসিসি দল নির্বাচিত হয়েছে, মেহেরপুর সরকারি কলেজবিএনসিসি দল, শ্রেষ্ঠ স্কাউট শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন, গাংনী সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক সুকেশ চন্দ্র বিশ্বাস, শ্রেষ্ঠ গার্ল গাইড শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন, গাংনী উপজেলার জোরপুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক লায়লা আতকিয়ারা, শ্রেষ্ঠ রোভার শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন, মেহেরপুর সরকারি কলেজের শিক্ষক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, শ্রেষ্ঠ বিএনসিসি শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন, মেহেরপুর সরকারি কলেজের শিক্ষক মুন্সি এ এইস এম রাশেদুল হক, শ্রেষ্ঠ স্কুল শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছেন, গাংনী সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্রী আতকিয়া ফাইজা, শ্রেষ্ঠ মাদ্রাসা শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছেন, সদর উপজেলার গোভীপুর দাখিল মাদ্রাসার ছাত্রী মাঈশা সিদ্দিকা, শ্রেষ্ঠ কলেজ শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছেন, মেহেরপুর সরকারি কলেজের ছাত্র তানজীফ রহমান অর্পণ, শ্রেষ্ঠ স্কাউট নির্বাচিত হয়েছেন, গাংনী সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজের আব্দুল্লাহ আল জামি, শ্রেষ্ঠ গার্লস গাইড নির্বাচিত হয়েছেন, একই বিদ্যালয়ের আতকিয়া ফাইজা, শ্রেষ্ঠ রোভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, মেহেরপুর সরকারি কলেজের অনিক হাসান, শ্রেষ্ঠ ক্যাডেট নির্বাচিত হয়েছেন, মেহেরপুর সরকারি কলেজের জেনিথ ইসলাম, শ্রেষ্ঠ স্কাউট গ্রুপ নির্বাচিত হয়েছেন, জোড়পুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং শ্রেষ্ঠ গার্লস গ্রুপ গাংনী সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজ।

এদিকে বিভিন্ন গ্রুপে জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হওয়ায় জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন, গাংনী সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালক মহা: আবু জাফর, জোড়পুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসান আল নুরানি, হাড়াভাঙ্গাি ডএস সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রাজ্জাকসহ অনেকেই।




ই অ্যাপল আইডি থেকে লগআউট হয়ে যাচ্ছেন ব্যবহারকারীরা

অ্যাপলের সার্ভারে অদ্ভুত কিছু ঘটছে। কিছু অ্যাপল আইডি রহস্যজনকভাবে তাদের ব্যবহারকারীদের লগআউট করে দিচ্ছে। ফোর্বসের খবর অনুসারে এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে অ্যাপলের পক্ষ থেকেও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু অ্যাপল ডিভাইস ব্যবহারকারী প্রথমে লগআউট হয়ে যাওয়ার বিষয়টি প্রকাশ করেন।

ব্যবহারকারীরা অভিযোগ করছেন, তাদের অ্যাপল ডিভাইস যেমন আইফোন, আইপ্যাড এবং ম্যাক ব্যবহারকারীদের অ্যাপল অ্যাকাউন্ট থেকে লগআউট করে দিচ্ছে। তারা এর কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না।

তবে পাসওয়ার্ড রিসেটের মাধ্যমে অনেকেই তাদের আইডিতে প্রবেশ করতে পারছেন বলে জানা গেছে।

সূত্র: ইত্তেফাক




মুজিবনগরে গুডনেইবাসের আমার প্রতিজ্ঞা দিবস পালন

মুজিবনগরে গুডনেইবার্স বাংলাদেশ মেহেরপুর সিডিপির বল্লভপুর প্রজেক্ট অফিসের আয়োজনে, আমার প্রতিজ্ঞা দিবস পালন করা হয়েছে।

রবিবার বিকেলে সেন্ট জেভিয়ার জুনিয়ার হাই স্কুল ক্লাসরুমে বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে এই প্রতিজ্ঞা দিবস পালন করা হয়।

আমার প্রতিজ্ঞা দিবসে গুডনেইবার্স বাংলাদেশ মেহেরপুর সিডিপির বল্লভপুর প্রজেক্ট অফিসের ম্যানেজার সুব্রত টুডু এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্হিত ছিলেন, মুজিবনগর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সেলিম রেজা।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্হিত ছিলেন,বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য মি: বাবুল মল্লিক, সেন্ট জেভিয়ার জুনিয়র হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সিস্টার মালতী মালো, এসএমসি সভাপতি আব্দুল হাই।

প্রতিজ্ঞা দিবসে প্রজেক্ট ম্যানেজার সুব্রত টুডু ছাত্র ছাত্রীদেরকে শপথ বাক্য পাঠ করান:

৫ টি প্রতিজ্ঞা যা আমি কখনোই করব না:

(১) আমি স্কুলে অনুপস্থিত থাকব না (২) আমি শিশু শ্রমে অংশ নেব না (৩) আমি বাল্য বিবাহ করব না (৪) আমি কখনো অসৎ কাজ করব না (৫) আমি নিজের ও অন্যের জীবন বিপন্ন করব না ।

৫ টি প্রতিজ্ঞা যা আমি করব:

(১) আমি মন দিয়ে লেখাপড়া করব (২) আমি আমার স্বপ্নকে সফল করব (৩) আমি আমার পরিবার নিয়ে সুখে থাকব (৪) আমি সুস্থ্য ও সুন্দর জীবন যাপন করব (৫) আমি একজন সু-প্রতিবেশী হব। স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা শপথ বাক্য মেনে চলার প্রতিজ্ঞা করে।অনুষ্ঠানটির সার্বিক সঞ্চালনায় ছিলেন,মেহেরপুর সিডিপির সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার রিফাত আল মাহমুদ।

আমার প্রতিজ্ঞা দিবসে সেন্ট জেভিয়ার্স জুনিয়র হাই স্কুলের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।




কোক স্টুডিও বাংলার ‘মা লো মা’তে নাচছে নেটিজেনরা

কোক স্টুডিও বাংলার তৃতীয় সিজনের দ্বিতীয় গান ‘মা লো মা’র তালে তালে যেন মুগ্ধ হয়ে নাচছে সঙ্গীতপ্রেমি নেটিজেনরা। শুক্রবার (৩ মে) প্রকাশিত গানটিতে অংশ নিয়েছেন প্রীতম হাসান, সাগর দেওয়ান, আরিফ দেওয়ান এবং ‘ব্যবসার পরিস্থিতি’ খ্যাত র‍্যাপার আলী হাসান।

কোক স্টুডিও বাংলার তৃতীয় সিজনের প্রথম গানটি তেমন পছন্দ না হলেও এবার শ্রোতাদের সুর পাল্টালো। এ সিজনের দ্বিতীয় এই গানটি প্রকাশের পর প্রশংসায় ভাসছেন তারা।

নতুন এই গানটির সংগীত প্রযোজনা করেছেন প্রীতম। তার সঙ্গে আছেন দেওয়ান পরিবারের দুই সদস্য সাগর দেওয়ান ও আরিফ দেওয়ান। তাদের পূর্বপুরুষই ‘মা লো মা ঝি লো ঝি’ নামের গানটির মূল রচয়িতা।

‘মা লো মা’ গানের একটি শহুরে সংস্করণ দেখতে পাওয়া যায় আশি ও নব্বই দশকের রাজমিস্ত্রিদের মধ্যে। জীবিকার জন্য শহরে পাড়ি দেওয়া এ শ্রমিকরা কংক্রিটের ছাদ তৈরির সময় এ ধরনের গান গাইতেন। গানের ভিডিওতে সেই গল্পই তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।

দেশ ছাড়িয়ে বিদেশের শ্রোতারাও গানটিতে মুগ্ধতার কথা জানিয়েছেন। ভারত থেকে একজন গানটি দেখে মন্তব্য করেছেন,“আমি ইন্ডিয়া থেকে বলছি, আপনাদের কোক স্টুডিও এর গানগুলো আমাদের সিনেমার গানগুলার তুলনায় অনেক ভালো হয়।

আর আমারও শুনতে অনেক ভালো লাগে।” নূপুর নামে একজন লিখেছেন,“বাংলার লোকগীতিগুলো সংস্কৃতি থেকে হারিয়ে না যাক। এভাবেই ছড়িয়ে যাক পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে। পরিচিতি পাক বাংলাদেশ একটি সুন্দর দেশ।”

এনামুল হাসান নামের এক শ্রোতাদর্শক লিখেছেন,“সাগর দেওয়ানের গান এই প্রথম শুনলাম। এমন অচেনা অজানা শিল্পীদের সুযোগ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।”

প্রীতমের প্রশংসা করে অন্য একজন লিখেছেন,“কী ছিল এটা! হোয়াট আ ব্লেন্ডার অব মিউজিক। প্রীতমের সংগীত জ্ঞান সত্যিই অসাধারণ। এভাবে না উপস্থাপন করলে বাংলা শেকড়ের এই ব্যাপার গুলো আমাদের জানা হত না।”

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের উদ্যোগে শরবত বিতরণ

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি মেহেরপুর জেলা ইউনিটের উদ্যোগে তৃষ্ণার্ত সকল শ্রেণীর মানুষের মাঝে শরবত বিতরণের আয়োজন করা হয়।

রবিবার বেলা ১১:৩০ মিনিটের সময় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি মেহেরপুর জেলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট খন্দকার একরামুল হীরা মেহেরপুর জেলা পরিষদের সামনে শরবত বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ।

এসময় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি মেহেরপুর জেলা ইউনিটের সদস্য খন্দকার শামসুজ্জোহা সোহাগের নেতৃত্বে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট মেহেরপুর জেলা ইউনিটের সকল সদস্যরা উপস্থিত থেকে তৃষ্ণার্ত সকল শ্রেণীর মানুষের মাঝে শরবত বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন করেন।




৩ অক্টোবর শুরু নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

চলতি বছরেই অনুষ্ঠিত হবে পুরুষ ও নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যুক্তরাষ্ট্র ও ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে ২ জুন থেকে শুরু হবে ছেলেদের বিশ্বকাপ। আর আগামী ৩ অক্টোবর বাংলাদেশে পর্দা উঠবে নারী বিশ্বকাপের। রোববার (৫ মে) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের সূচি ঘোষণা করা হয়।

৩ অক্টোবর শুরু হয়ে ২০ অক্টোবর ফাইনালের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের। ১০টি দলের বিশ্বকাপে দুই গ্রুপের আটটি দল চূড়ান্ত। বাকি দুটি দল আসবে বাছাইপর্ব খেলে।

বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে পড়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এ’ গ্রুপে ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আছে ভারত, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান ও বাছাইপর্বের একটি দল। ‘বি’ গ্রুপে স্বাগতিক বাংলাদেশের সঙ্গে আছে ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাছাইপর্ব উতরে আসা এক দল।

আসন্ন বিশ্বকাপে সর্বমোট ২৩টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্বকাপের মূল ম্যাচগুলো হবে মিরপুর হোম অব ক্রিকেট ও সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের গ্রাউন্ড ২’তে। আর প্রস্তুতি ম্যাচের ভেন্যু বিকেএসপি।

সূচি ঘোষণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এবং আইসিসির প্রধান নির্বাহী জিওফ অ্যালার্ডাইস। সঙ্গে বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ও ভারত নারী দলের অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর।

সূত্র: ইত্তেফাক




অধিগ্রহণ জটিলতায় আটকা মুজিবনগর মডেল মসজিদ

কার্যাদেশের সাড়ে চার বছর অতিবাহিত হলেও আজও জমি অধিগ্রহণের কারণে কাজ শুরু হয়নি মেহেরপুরের মুজিবনগর মডেল মসজিদের। জেলা, সদর উপজেলা ও গাংনী উপজেলা মডেল মসজিদ নির্মাণ শেষ হলেও অধরা যেন মুক্তিযুদ্ধেও স্মৃতিবিজড়িত মুজিবনগরের মডেল মসজিদটি।

মডেল মসজিদ প্রকল্পের বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, “প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন” প্রকল্পের আওতায় মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলা মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজের কার্যাদেশ প্রদান করা হয় ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর। যার স্মারক নমং-১৭৫৯। এর আগে ওই বছরের ২০ জুন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গ্যালাক্সি এ্যাসোসিয়েটসের সাথে বাস্তবায়নাধিন প্রতিষ্ঠান মেহেরপুর গণপূর্ত বিভাগ চুক্তি সম্পাদন করে। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয় ১২ কোটি ৫৯ লাখ ১৬ হাজার ৪২১ টাকা। চুক্তি মোতাবেক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিরাপত্তা অর্থ বাবদ ৬২ লাখ ৯৫ হাজার ৮২১ টাকা জমা প্রদান করেন।

জমি অধিগ্রহণের জন্য তৎকালীন জেলা প্রশাসক মো: আতাউল গনি ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর একটি পত্র দেন। পত্রে উল্লেখ করেন, অধিগ্রহণ কার্যক্রমের জন্য প্রস্তাবিত জমি মসজিদ নির্মানের জন্য নির্ধারিত না হওয়ায় একই মৌজায় ৫০০ ও ৩৬৪ খতিয়ানভুক্ত ৩৬৭ দাগের ০৭.২৫ শতক ও ৩৬৬ দাগের ৩৫.৬৭ মিলে ৪২.৯২ শতক জমা পাওয়া যাচ্ছে বলে স্কেচ ম্যাপ পাঠিয়ে তা অনুমোদনের জন্য আবেদন করেন। পরে সাবেক জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান ২০২১ সালের ২৪ অক্টোবর অধিগ্রহণের প্রস্তাবিত ৪২.৯২ শতক জমি বাবদ ১ কোটি ৮৭ লাখ ৩৬ হাজার ৪২২ টাকা বরাদ্দ চেয়ে প্রকল্প পরিচালকের কাছে আবেদন করেন। এবং ২০২২ সালের ৩০ জানুয়ারি টাকা পেয়েছেন উল্লেখ করে প্রকল্প পরিচালকের কাছে প্রাপ্তী স্বীকার পত্র পাঠান।

তথ্য উপাত্ত জানা গেছে, জমি অধিগ্রহণের টাকা বরাদ্দ হলেও কার্যাদেশ প্রদানের সাড়ে চার বছর এবং বরাদ্দ প্রাপ্তির প্রায় আড়াই বছর হতে চললেও এষনও পর্যন্ত সে জমি অধিগ্রহণ করা হয়নি। ফলে মুজিবনগরবাসী অপেক্ষায় আছেন কবে হবে মডেল মসজিদ।

অপরদিকে, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। বারবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেছেন কাজটি দ্রুত শুরু করার জন্য। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের আবেদনের প্রেক্ষিতে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জেলা প্রশাসককে চিঠি দিয়ে তাগাদা দিয়েছেন। তবুও কোন অগ্রগতি মেলেনি।

এ বিষয়ে মেহেরপুর ইসলামিক ফাউণ্ডেশনের উপপরিচালক এ জে এম  সিরাজুম মুনীর বলেন, মুজিবনগর মডেল মসজিদ স্থাপনের লক্ষ্যে জমি অধিগ্রহণের জন্য জমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা, ইউএনও এবং নিজে প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ফাইল পাঠানো হয়েছে। কিন্তু অধিগ্রহণের জন্য ৪ ধারার যে নোটিশ জারি হয় কি কারণে সে নোটিশ জেলা প্রশাসক মহোদয় কেন দেননি তার সদুত্তর আমার কাছে নেই।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গ্যালাক্সি এ্যাসোসিয়েটসের প্রতিনিধি জাকির হোসেন খাঁন বলেন, মুজিবনগর মডেল মসজিদের কাজ চুক্তি হওয়ার পর পাঁচ বছর কেটে গেলো। প্রয়োজনীয় প্রতিটি উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। জমি অধিগ্রহণ না হওয়ায় কাজটি শুরু করা যাচ্ছে না। ফলে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে বারবার আবেদন করে কোন সুফল মিলছে না।

হাসানুজ্জামান লাল্টু তিনি স্থানীয় একজন উদ্যোক্তা। তিনি বলেন, মুজিবনগর বাংলাদেশের অন্যতম গুরত্বপূর্ণ একটি উপজেলা। গুরত্বপূর্ণ বিবেচনায় এখানকার মডেল মসজিদটি সবার আগে নির্মাণ হওয়া উচিৎ ছিলো। কিন্তু সংশ্লিষ্ট বিভাগের উদাসিনতায় এখনো জমি অধিগ্রহণ করা সম্ভব হয়নি বলে জানতে পেরেছি। যা খুবই দু:খজনক। আশা করবো দ্রুত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্টরা এই মসজিদটি নির্মাণের সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

স্থানীয় ইয়ামিন হাসান বলেন, চার বছর ধরে শুনছি মুজিবনরে মডেল মসজিদ হবে। শুনতে শুনতে জেলা শহরসহ অন্যদুটি উপজেলায় হয়ে গেছে। কিন্তু মুজিবনগরে নাকি এখনো জমি নিতেই পারেনি। জেলা প্রশাসন আন্তরিক হলে অনেকই আগেই এর নির্মাণ কাজ শুরু হতো। আমাদের দাবি দ্রুত জমি অধিগ্রহণ কওে মসজিদটি নির্মাণ করা হোক।

জেলা প্রশাসক মো: শামীম হাসান বলেন, প্রস্তাবিত জমির দুইজন মালিকের একজন মামলা করেছেন এবং একজন অধিগ্রহণ না করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। এ সংক্রান্ত জটিলতায় জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া আটকে আছে। ফলে মডেল মসজিদের কাজ শুরু করা যাচ্ছে না।

প্রকল্প পরিচালক মো: নজিবর রহমান বলেন, জেলা প্রশাসক জমি অধিগ্রহণ করে দিলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে। আমরা জমি অধিগ্রহণের টাকাও দিয়ে দিয়েছি। বারবার তাগাদা দিচ্ছি জমি অধিগ্রহণের জন্য। গত ২২ এপ্রিল এনিয়ে পুনরায় মিটিং করে তাগাদা দেওয়া হয়েছে।




মেহেরপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকবাল হোসেনের সংবাদ সম্মেলন

মনগড়া অসম্পূর্ণ তথ্য পরিবেশনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মেহেরপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ ইকবাল হোসেন বুলবুল।

আজ শনিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে শহরের অক্সফোর্ড কিন্টার গার্ডেন স্কুল চত্বরে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য ইকবাল হোসেন বুলবুল বলেন, আসন্ন মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আমার দেওয়া বক্তব্যকে এডিট করার মধ্য দিয়ে ভুল তথ্য পরিবেশনের জন্য আপনাদের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

গত ০২/৫/২০২৪ ইং তারিখে আমদাহ ইউনিয়নের অন্তর্গত আশরাফপুর গ্রামে ৭ নং ওয়ার্ডে সদর উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ আনারুল ইসলামের পক্ষে নির্বাচনী পথ সভায় অংশগ্রহণ করি। কিন্তু অতি দুঃখের বিষয় আমার বক্তব্য সম্পূর্ণ অংশপ্রচার না করে খন্ড অংশ প্রকাশ করা হয় যা আমার বক্তব্য জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। আসলে আমি কোন বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিই নাই যা কাউকে ব্যথিত করে। তারপরেও আমার বক্তব্য যদি ব্যাথা পেয়ে খাকেন তারজন্যে আমি ব্যথিত এবং অনুতপ্ত।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার আশরাফপুরে নির্বাচনী জনসভায় এক প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়ে দলেরই আরেক প্রার্থীর এজেন্ট থাকবে না বলে হুমকি দেন তিনি। ভোট কেন্দ্রে ওই প্রার্থীর কোন এজেন্ট থাকবে না বলে হুশিয়ারী করেন।