চিকিৎসকের ঘোষণায় মেহেরপুর হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা বন্ধ

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের নারী ও শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসা সেবা বন্ধ রয়েছে। শনিবার সকালে মেডিকেল অফিসার ডা. মাহাবুব রহমান ও রোগীর স্বজনদের মধ্যে কথা কাটাকাটির পর তিনি নারী ও শিশু ওয়ার্ডের রাউন্ড ও চিকিৎসা সেবা বন্ধ ঘোষণা করেন। এতে হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে বহু রোগী বাধ্য হয়ে অন্যত্র চিকিৎসা নিচ্ছেন।

রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, সকালে এইচডিইউ বিভাগে মুমূর্ষু অবস্থায় এক রোগী ভর্তি হন, যিনি কয়েকদিন আগেও একই বিভাগে ভর্তি ছিলেন। রাউন্ডের সময় ডা. মাহাবুব রোগীর পূর্বের ব্যবস্থাপত্র দেখতে চান। স্বজনরা তা দেখাতে না পারলে তিনি চিকিৎসা সেবা বন্ধের কথা বলেন এবং রুঢ় আচরণ করে চলে যান। এরপর রোগীর স্বজনরা এর কারণ জানতে চাইলে কথাকাটাকাটি হয়।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে ডা. মাহাবুব তার হাসপাতালের ২২৪ নম্বর কক্ষে গিয়ে ঘোষণা দেন, নারী ও শিশু বিভাগের সকল চিকিৎসা সেবা বন্ধ থাকবে। পরবর্তীতে নারী ও শিশু বিভাগের রোগীরা চিকিৎসা না পেয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হন। হাসপাতালের নার্সরা শুধুমাত্র রুটিন চেকআপ চালিয়ে যাচ্ছেন।

রোগীর স্বজন মিজানুর রহমান বলেন, আমার স্ত্রী আজ সকালে ভর্তি হয়েছে, কিন্তু দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত কোনো চিকিৎসক চিকিৎসা সেবা দেননি।

আরেক স্বজন সামিমা রহমান জানান, আমার মায়ের অবস্থা খারাপ হয়ে যাওয়ায় সারাদিন চিকিৎসা না পেয়ে হাসপাতাল ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছি। অনেকেই একইভাবে চলে গেছেন। আমরা ডা. মাহাবুবের চিকিৎসা সনদ বাতিলের দাবি জানাই।

এ বিষয়ে ডা. মাহাবুব বলেন, এইচডিইউ বিভাগে রোগীর স্বজনরা খারাপ আচরণ ও হুমকি দিয়েছে। তাই চিকিৎসা সেবা বন্ধ করেছি। আমি বিসিএস ক্যাডার; বাধ্য হয়ে রুগী দেখতে হবে, এমন কোনো নিয়ম নেই।

তত্ত্বাবধায়ক শারমিন জাহান শায়লা আরও বলেন, নারী ও শিশু ওয়ার্ডের দায়িত্বে ছিলেন ডা. মাহাবুব। তাঁর না দেখার কারণে সাময়িক সমস্যা হয়েছে। সব বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের এভাবে নজর দেওয়া ঠিক নয়। এতে কাজ করা কঠিন হয়ে যায়। সব বিষয়ে সাংবাদিকদের আসার দরকার নেই।




মেহেরপুরে ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সম্মেলন

মেহেরপুরে ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার বিকাল পাঁচটায় জেলা বিএনপি’র আয়োজনে মেহেরপুর বালিকা বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা বিএনপি’র সদস্য হাফিজুর রহমান হাফির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব এডভোকেট কামরুল হাসান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক আমিরুল ইসলাম, সদস্য মশিউর রহমান, ওমর ফারুক লিটন ও জেলা বিএনপি’র সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মিজান মেনন।

এছাড়াও এসময় জেলা যুবদলের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এহান উদ্দিন মনা, অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম সাহেব, জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক হাবিবুর রহমান ভিকু, ওমর ফারুকসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

৮ নং ওয়ার্ড কমিটিতে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সাইফুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সানি শামুয়েল হোসেন। এছাড়া সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন সম্রাট, নফেল উদ্দিন, আশরাফুল ইসলাম ও শওকত হোসেন। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মামুন, মিন্টু ও চঞ্চল হোসেন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন বাহারুল জদ্দার।




তথ্য আপা’র সেবা জানাতে উঠান বৈঠকে মিরপুরের ইউএনও

তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে নারীদের ক্ষমতায়ন প্রকল্প ‘তথ্য আপা’র সেবা জানাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নারীদের সঙ্গে উঠান বৈঠক করছেন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুল ইসলাম।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নে এক উঠান বৈঠকে ৮০ জন প্রান্তিক নারী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সমন্বয় করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের স্থানীয় কর্মকর্তা।

ইউএনও মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, গ্রামের নারীরা এখন প্রায় সবাই স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। দৈনন্দিন কাজের খুটিনাটি শিখতে এখন আর প্রশিক্ষকের কাছে যেতে হয় না। তাই ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পে ডিজিটাল অ্যাপসের মাধ্যমে কিভাবে ঘরে বসে সেবা পেতে পারেন তার জন্য উঠান বৈঠকের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, উঠান বৈঠকগুলোতে একেকদিন একেকজন কর্মকর্তাকে ট্যাগ করে দেওয়া হয়েছে। শনিবার উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জামসেদ আলী ও যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম নান্নু উপস্থিত ছিলেন। তারা ‘তথ্য আপা’র মাধ্যমে হাঁস-মুরগি ও গবাধি পশু কিভাবে পালন করলে দ্রুত লাভবান হওয়া যাবে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

এছাড়া নারী অধিকার, বাল্যবিয়ে, কিশোরগ্যাং, পারিবারিক কলহসহ প্রয়োজনের মুহূর্তে কীভাবে জরুরি সেবা পেতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করা হয়।




কুষ্টিয়ার মিরপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু

কুষ্টিয়ার মিরপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে হাফিজুল সরদার (৩৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার ধুবইল ইউনিয়নের গেটপাড়া এলাকায় ১৮০/২ নম্বর রেলওয়ে পিলারের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত হাফিজুল মিরপুর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের আমিনুদ্দিন সরদারের ছেলে।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, সকালে পরিবারের সঙ্গে রাগারাগি করে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান হাফিজুল। এরপর পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে স্বজনরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ শনাক্ত করেন।

স্বজনরা আরও জানান, হাফিজুল স্থানীয় পোড়াদহ বাজারে জুতা-স্যান্ডেলের ব্যবসা করতেন। এর আগে তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন।

পোড়াদহ রেলওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম জানান, দুপুরে খুলনা থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।




রিয়া মনির কারণে তিনটি সংসার ভেঙে গেছে: হিরো আলম

আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও অভিনেতা আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম সম্প্রতি তার তৃতীয় স্ত্রী রিয়া মনিকে তালাক দিয়েছেন। এরপর রিয়া মনির সঙ্গে ম্যাক্স রাজু নামে এক কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের সম্পর্কের কথা জানান হিরো আলম।

এবার সেই ম্যাক্স রাজুর স্ত্রী ইতিকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি তুলে ধরেছেন হিরো আলম।

শনিবার দুপুরে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার জামালপুর মিয়া শিশু মেলা পার্কে সাংবাদিকদের হিরো আলম বলেন, আমার বাবা মৃত্যুশয্যায়, অথচ আমার স্ত্রী রিয়া মনি বাবার কাছে না এসে ম্যাক্স রাজুর সঙ্গে ড্যান্স ভিডিও বানায়। এই মেয়েকে নিয়ে কি সংসার করা যায়? তাই আমি রিয়া মনিকে তালাক দিয়েছি। এই রিয়া মনির কারণে আমার সংসার, যে মেয়ে আমার বাবার দেখাশোনা করেছে-সেই মিতির সংসার ও মাক্স রাজুর স্ত্রী ইতির সংসার ভেঙে গেছে।

এই সময় ম্যাক্স রাজুর স্ত্রী ইতি বলেন, আমার স্বামীর নাম মুখে নিতে আমার ঘেন্না লাগে। রিয়া মনিকে ধন্যবাদ, কারণ আমার জীবন থেকে আমার স্বামীর মতো বাজে লোককে নিয়ে গেছেন।

একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে রিয়ামনির প্রেমে পড়েছিলেন হিরো আলম। সে কারণেই দ্বিতীয় স্ত্রী মডেল নুসরাত জাহান হিরো আলমকে ডিভোর্স দেন। পরে হিরো আলম রিয়ামনিকে বিয়ে করেন। তার সঙ্গে জুটি বেঁধে বেশ কিছু কাজ করেছেন হিরো আলম।

এরআগে ২০১০ সালে সাদিয়া বেগম সুমির সঙ্গে বিয়ে হয় হিরো আলমের। সেই সংসারে আলো ও আঁখি নামে দুই মেয়ে ও আবির নামে একটা ছেলে সন্তান রয়েছে তার। ২০১৫ সালের দিকে কমেডিয়ান হিসেবে ফেসবুকে ডেব্যু হয় হিরো আলমের।

২০১৯ সালের ৬ মার্চ যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতার হন হিরো আলম। পরে ৭ মার্চ দুপুর ১২টার দিকে বগুড়ার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক আহমেদ শাহরিয়ার তারিক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সুমিকে মারধরের অভিযোগে ৬ মার্চ বগুড়া সদর থানায় মামলা করেন তার (হিরো আলম) শ্বশুর সাইফুল ইসলাম।

ওই বছরের ১৯ এপ্রিল জামিনে মুক্তি পান হিরো আলম। ১০ হাজার টাকা বন্ডের বিপরীতে তার জামিন মঞ্জুর করেন বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার। তবে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছড়ির হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সূত্র: যুগান্তর




হরিণাকুণ্ডুতে মহিলা দলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন

হরিণাকুণ্ডু পৌর মহিলা দলের দ্বি বার্ষিক-সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট এম.এ মজিদ, জেলা মহিলা দলের সভাপতি অধ্যক্ষ কামরুন্নাহার লিজি, সাধারণ সম্পাদক তহুরা খাতুন, হরিণাকুন্ডু উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আবুল হোসেন মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক তাইজাল হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

সম্মেলনের দ্বিতীয় অংশে রেহেনা খাতুনকে সভাপতি ও আঞ্জুমানা খাতুনকে সাধারণ সম্পাদক করে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট দ্বি-বার্ষিক কমিটি গঠন করা হয়।




লঙ্কান ক্রিকেটারের ওপর কেন রেগে গিয়েছিলেন কাব্য মারান

চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে জয়ে দুটি লাভ হয়েছে সানরাইজার্স হায়দ্রবাদের—চিপক দূর্গ অবশেষে জয় হয়েছে এবং আইপিএলের প্লে অফ দৌড়ে টিকে থাকছে দল। এমন দিনেই মেজাজ হারিয়ে বসেছিলেন হায়দ্রবাদের মালকিন কাব্য মারান। শ্রীলঙ্কার ব্যাটার কামিন্দু মেন্ডিসের কাণ্ডে যথেষ্ট বিরক্তই হয়েছিলেন তিনি!

কি ঘটেছিল? ধোনিদের হারানোর ম্যাচের ১৬তম ওভারের ঘটনা। ওভার স্টেপ করে নো বল দেন নূর আহমেদ। কামিন্দু ছিলেন ক্রিজে। রানও তত লাগত না তখন হায়দ্রবাদের। তবে ফ্রি হিট বল পেলে কে না বাউন্ডারিতে পাঠাতে চায়! লঙ্কান ব্যাটার পারেননি। নূরের চালাকিতে বলই ব্যাটে লাগেনি। তা দেখেই বিরক্ত হয়েছিলেন কাব্য।

ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ক্যামেরায় ধরা পড়ে হায়দ্রবাদ মালকিনের অভিব্যক্তি—বিস্ময়, হতাশা আর অবিশ্বাসের মিশ্র প্রতিক্রিয়া। যদিও ওই ঘটনা ওখানেই থেমেছে। কামিন্দুও ভুল পুষিয়ে দিয়েছেন।

ফ্রি হিটে না পারলেও পরে লঙ্কান ব্যাটারের ধৈর্যশীল ৩২* (২২ বলে) রানের ইনিংসেই দারুণ জয় আসে হায়দ্রবাদের। চেন্নাইয়ের দেওয়া ১৫৫ রানের লক্ষ্য ৮ বল ও ৫ উইকেট রেখেই পেরিয়ে যায় কামিন্দুরা। আসরে এটি তাদের তৃতীয় জয়। ৯ ম্যাচের সাতটিতে হেরে বিদায়ের পথে চেন্নাই। এখনও কাগজে-কলমে টিকে আছে কাব্য মারানের হায়দ্রবাদ।

সূত্র: যুগান্তর




মুজিবনগরের ডাক্তার দম্পত্তির বিরুদ্ধে অসদাচারণের অভিযোগ

চিকিৎসার জন্য মুজিবনগরের সীমান্তবর্তী সোনাপুর গ্রাম থেকে আসেন আসাদুল ইসলাম। তার পছন্দের চিকিৎসক মাহমুদুর রহমান শিমুল রোগ নির্ণয়ের জন্য কিছু পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন। নির্দিষ্ট পরীক্ষাগুলো করিয়ে রিপোর্ট দেখাতে আসলে, শিমুল পরিচালিত ডক্টরস ল্যাব অ্যান্ড ক্লিনিকের রিসেপশনে জানানো হয় যে, তাদের পছন্দ করা ল্যাবে পরীক্ষা না করালে রিপোর্ট গ্রহণ করা হবে না।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ল্যাব মালিক ও রোগীর স্বজনদের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় মুজিবনগর উপজেলার কেদারগঞ্জ বাজারে অবস্থিত ডক্টরস ল্যাব অ্যান্ড ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার সংবাদ পেয়ে সাংবাদিক জাহিদ ও সাবিত তুহিন সেখানে উপস্থিত হন। ল্যাব মালিক ও রোগীর স্বজনদের সাথে কথা বলার সময় ভিডিও ধারণ করতে গেলে ল্যাব কর্তৃপক্ষের কয়েকজন এবং ডাক্তার শিমুলের শ্বশুর-শাশুড়ি মিলে ক্যামেরা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।

এছাড়া, পাশের দুটি ল্যাব পপুলার এবং কেয়ার ল্যাবের মালিকরা অভিযোগ করেছেন, ডাক্তার শিমুল ও তার স্ত্রী ডা. সাদিয়া আফরিন সোমা তাদের ল্যাবের রিপোর্টকে গ্রহণযোগ্য মনে করেন না।

এ বিষয়ে ডা. মাহমুদুর রহমান শিমুল বলেন, মুজিবনগরে অনেক ল্যাবে বৈধ প্যাথলজিস্ট নেই, যার কারণে তিনি একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে সেসব ল্যাবের রিপোর্টকে বিশ্বাসযোগ্য মনে করেন না। তবে সাংবাদিকদের সাথে কোনো ধরনের অসদাচরণের জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

উল্লেখ্য, মাহমুদুর রহমান শিমুল ও সাদিয়া আফরিন সোমা দম্পতির মালিকানায় পরিচালিত হচ্ছে ডক্টরস ল্যাব অ্যান্ড ক্লিনিক, মুজিবনগর। বর্তমানে তারা দুজনই কর্মরত আছেন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মেহেরপুর সদর হাসপাতালে।




কাথুলি ইউনিয়ন বিএনপি’র দ্বিবার্ষিক নির্বাচন

নির্বাচনী আচরণ ভঙ্গ করে মোটরসাইকেল শোডাউন করে নেতাকর্মীদের ভূরিভোজ করালেন ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি পদের প্রার্থী জাফর আকবর।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কাথুলি ইউনিয়ন থেকে বিরাট শোডাউন করে গাংনী উপজেলা বিএনপি’র কার্যালয়ে আসেন তিনি। বিএনপি কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম উত্তোলন শেষে স্থানীয় একটি হোটেলে ভূরিভোজ করান তিনি। এসময় হোটেলটিতে ব্যাপক ভীড় লক্ষ করা যায়। অন্যান্য খরিদদাররা হোটেলে যায়গা না পেয়ে চলে যান।

এবারের প্রার্থী জাফর আকবর বলেন, নির্বাচন কমিশন আমাকে কোনো কিছুই বলেনি। এটা নির্বাচনী আচরণ বিধিও ভঙ্গ হয়নি।
তবে, কাথুলি ইউনিয়ন বিএনপি’র দ্বিবার্ষিক নির্বাচন কমিশনার জুলফিকার আলী বলেন, চার থেকে পাঁচজন নেতাকর্মী নিয়ে মনোনয়ন ফরম তুলতে আসতে পারে। অনেক নেতাকর্মী নিয়ে মনোনয়ন ফরম নিতে আসলে নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ হয়েছে। বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাহেব আলী সেন্টু বলেন, শোডাউন করা এবং নেতাকর্মীদের ভোটের আগে ভূরিভোজ করানো অনৈতিকতা। এটা উনি (জাফর আকবর) করতে পারেন না। আমি মনে করি এটা নির্বাচনী বৈষম্য। আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে বিষয়টি নিয়ে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

সভাপতি পদের অপর প্রার্থী ফেরদৌস ওয়াহেদ বেল্টু জানান, নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ করে সে মোটরসাইকেল শোডাউন করেছে জাফর আকবর। ভোটার প্রভাবিত করতেই জাফর আকবর মোটরসাইকেল সোডাউন এবং ভূরিভোজ করেছেন। আমি শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেবো।

উল্লেখ্য আগামী ২৮ এপ্রিল গাংনীর কাথুলী ইউনিয়ন বিএনপি’র দ্বিবার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। কাউন্সিলে সভাপতি পদে ৬ ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৫ জন প্রার্থী সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার লক্ষ্যে মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করেছেন।




মেহেরপুরের মহাজনপুরে ওয়ার্ড বিএনপি’র সম্মেলন

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার মহাজনপুর ইউনিয়নের ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকাল পাঁচটার সময় মহাজনপুর ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে মহাজনপুর হাটে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা বিএনপির সদস্য আলমগীর খান সাতুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব এডভোকেট কামরুল হাসান।

মহাজনপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আমিরুল ইসলাম ও সদস্য মশিউর রহমান, ওমর ফারুক লিটন, সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মিজান মেনন।

এছাড়াও এসময় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের রাকিবুল ইসলাম সজল, জেলা যুবদলের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এহান উদ্দিন মনা, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম সাহেব, মোনাখালী ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাইহান কবির, মহাজনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক কালু, জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক হাবিবুর রহমান ভিকু, ওমর ফারুকসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মহাজনপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সম্মেলনে ৫ নং ওয়ার্ড নতুন কমিটির সভাপতি মাহিদুল বিশ্বাস জালি, সাধারণ সম্পাদক সাজু আহমেদ, ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি আব্দুল হান্নান, সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম রাসেল নির্বাচিত হন।