গাংনীতে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌণ হয়রানির অভিযোগ

 গাংনীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীর অভিভাবকরা যৌণ হয়রানির অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি। বরং অভিভাবকদের উপর জোর প্রয়োগ করে, হামকী ধামকি দিয়ে অভিযোগ তুলে নেয়ার পায়তারা করছে ওই শিক্ষক।

পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রীদের প্রাইভেট পড়ানোর সময় বুকের সাথে চেপে ধরে আদর, স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়াসহ বিভিন্নভাবে যৌণ হয়রানি করার অভিযোগ এনে প্রধান শিক্ষক মাহাবুব উল আলম কাজলের বিরুদ্ধে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন কয়েকজন অভিভাবক।

লখিত অভিযোগ দিলেও এখন পর্যন্ত নানা অজুহাতে তদন্ত করেনি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দিন। এদিকে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশাসনের নিরব ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন এলাকাবাসী।

লিখিত অভিযোগে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মাহবুবুল হক কাজলের শাস্তির দাবি করেছেন অভিভাবকরা।

এদিকে এই ঘটনার পরপরই তার শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন ওই বিদ্যালয়ের অভিভাবকসহ এলাকাবাসী। তবে, ঘটনার পরপরই মোবাইল ফোন বন্ধ করে পালিয়ে যান শিক্ষক কাজল।

গাংনী থানাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভুক্তভোগী এক ছাত্রীর পিতা মকবুল হোসেন গত রবিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর তার লিখিত অভিযোগটি দায়ের করেন। অভিযোগপত্রে আরো কয়েকজন অভিভাবক স্বাক্ষর করেন।

এদিকে অভিযোগ পত্রটির তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাছির উদ্দীনকে নির্দেশ দিয়েছেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রীতম সাহা।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিভাবকগণের লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক মাহাবুব উল আলম কাজল প্রাইভেট পড়ানো, জ্যামিতি শেখানো ও পরীক্ষায় ফেল করানোর ভয় দেখিয়ে ছাত্রীদেরকে ভোর সাড়ে পাঁচটায় তার বাড়িতে প্রাইভেট পড়ান। প্রাইভেট পড়ানোর সময় ছাত্রীদের বিভিন্ন অজুহাতে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে তার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। এমনকি ছাত্রীদের পোশাকের মধ্যে হাত ঢুকিয়ে দিতেও কুণ্ঠাবোধ করেন না তিনি। যৌণহয়রানির শিকার এসব শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যে অন্য স্কুলে চলে যাওয়ার চিন্তা করছে। শিক্ষক কাজলের এহেন অপকর্ম এলাকার লোকমুখে ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবি জানান। অভিভাবকদের অনেকেই তাদের সন্তানকে অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরিয়ে নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।

এবিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মাহাবুব উল আলম কাজলের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও মহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিয়া মোহাম্মদ আহসান মাসুম বলেন, কাজল মাস্টারের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগের কথা শুনেছি। তবে এটাও শুনেছি সে নাকি বিষয়টি আপোষ করে ফেলেছে।

নব শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বড় বামন্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, বিষয়টি ন্যাক্কারজনক। ঘটনা সত্য হয়ে থাকলে অথবা দোষী প্রমাণিত হলে তার অবশ্যই বিচার হোক সেটা আমি চাই। সেই সাথে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দিন জানান, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বা তার পরিবারের পক্ষ বা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তর থেকে আমাকে তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। যথাযথভাবে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রীতম সাহা জানান, ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি যথাযথভাবে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসারের দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে।
তবে ওই অভিযোগ তুলে নেয়ার জন্যে গতকাল সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে আরো একটি আবেদনপত্র দাখিল করা হয়েছে। সরেজমিনে তদন্ত করে ঘটনাটির আসল রহস্য উন্মোচন করে প্রকৃত দোষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।




মেহেরপুরে ডায়রিয়া রোগীর অধিকাংশ শিশু

রাইয়ান হোসেন। বয়স তিন বছর। বাড়ি মেহেরপুর সদর উপজেলার ঝাউবাড়িয়া গ্রামে। কোমল হাতে ক্যানোল নিয়ে শুয়ে আছে হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের মেঝেতে। শিশুপুত্রকে হাতপাখায় বাতাস করছেন শিওরে বসে থাকা মা সুমাইয়া খাতুন।

তিনি বলেন, তিন দিন ধরে তার বাচ্চা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। বাড়িতেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু গত রবিবার দুপুর থেকে অবস্থার অবনতি হলে বিকালে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার সকাল থেকে একটু কমেছে।

একই উপজেলার সুবিদপুর গ্রামের দুই বছর বয়সী লাবিব আল আমিন। রবিবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার মা আরমিনা খাতুন জানান, অতিরিক্ত গরমে তার বাচ্চা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে।

একই ওয়ার্ডেও মুজিবনগর উপজেলার সোনাপুর গ্রামের ৫ বছর বয়সী শাফায়েত হোসেন, জীবননগরের এক বছর বয়সী তাসফিয়া জান্নাতসহ ২৩ শিশু ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

গতকাল সোমবার দুপুরে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের ওয়ার্ড পরিদর্শন করে এ চিত্র পাওয়া গেছে।

মেহেরপুরে তীব্র তাপদাহে সবচেয়ে বেশি ঝুকিতে আছে শিশুরা। হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ড থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৫৫ শিশু। আর বয়স্ক আক্রান্ত ভর্তি হয়েছেন ৬৯ জন। সবমিলিয়ে ২২৪ জন রোগী ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। প্রতিদিন গড়ে নতুন করে ৩০ থেকে ৪০ জন নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছেন। গতকাল সোমবার দুপুরে ১০ শয্যার ডায়রিয়া ওয়ার্ডে বিপরীতে ভর্তি ছিলো ৩০ জন। তার মধ্যে শিশু ছিলো ২৩ জন।

হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স নিপু আক্তার জানান, প্রতিদিন গড়ে ৪০ জন রোগী ভর্তি হচ্ছে। এর অধিকাংশ রোগী শিশুরা। হাসপাতাল থেকে সকল ধরণের স্যালাইন, ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে।

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের সুপার ডা. জমির মো. হাসিবুস সাত্তার বলেন, প্রতিবছর এপ্রিল-মে মাসে সাধারণত ডায়রিয়া রোগীর প্রকোপ দেখা দেয়। এছাড়াও এবছর অধিক তাপমাত্রার কারণে ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। ১০ শয্যার ওয়ার্ডের বিপরীতে সবসময় তিনগুণের বেশি রোগী থাকে। এই তাপদাহে শিশুদের প্রতি যত্ন অভিভাবকেদর সচেতনতা বাড়ানোর আহবান জানান।




চুয়াডাঙ্গায় উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের সাথে নির্বাচন কমিশনারের মতবিনিময় সভা

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ ও মেহেরপুর জেলার নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণের উপস্থিতিতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সাথে আচরণ বিধি ও অন্যান্য বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) আহসান হাবিব চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে এগারোটার সময় চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ ও মেহেরপুর জেলা নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী গনের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন।

নির্বাচন কমিশনার আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করতে চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ ও মেহেরপুর জেলার নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণের সাথে উন্মুক্ত আলোচনা করেন। উপস্থিত নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণের বক্তব্য শোনেন এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের বিভিন্ন আবেদন আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করেন। পাশাপাশি নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন আইন যথাযথভাবে মেনে চলার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও পরামর্শ প্রদান করেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান পিপিএম- সেবা, কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. এহেতেশাম রেজা, ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক এস.এম. রফিকুল ইসলাম, মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ শামীম হাসান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপার সহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিজিবি, র‌্যাব ও আনসার বাহিনীর কর্মকর্তাগণসহ জেলা প্রশাসন ও চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ ও মেহেরপুর জেলার নির্বাচন অফিসার ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণ।




মেহেরপুরে ইব্রাহিম শাহিনের নির্বাচনী প্রচারণা ও মতবিনিময় সভা

মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী এড ইব্রাহিম শাহিন এর কাপ পিরিচ মার্কায় নির্বাচনী প্রচারণা ও গনসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় পৌর এলাকার স্টেডিয়ামপাড়ায় ৮ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আয়োজনে এ গনসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক তুফান শেখ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী এড ইব্রাহিম শাহিন।

ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফজুল ইসলাম, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা কাদের মিয়া, জেলা মটর শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুকুল মিয়া, পৌর তাঁতি লীগের সভাপতি নুরু ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সদস্য আরিফুল ইসলাম, সদর থানা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুঈট, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি দুলাল মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে বৈশাখী মেলার নামে চলছে জুয়ার আসর

চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর মনোহরপুর আমতলা ফসলী মাঠে বৈশাখী মেলার নামে চলছে জুয়ার আসর। প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রকাশ্যে এ জুয়ার আসর বসানো হলেও সবাই রয়েছেন নির্বিকার। জুয়ার আসরের খবরই জানে না উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন। ফসলী জমিতে বৈশাখী মেলার নামে এ জুয়ার আসর চলছে।

জানা গেছে, প্রতিবছর একটি সিন্ডিকেট বৈশাখী মেলার নামে যাত্রা সার্কাসের আড়ালে উলঙ্গ নৃত্য গভীর রাতে মাদক বিকিনিকি জুয়ার বোর্ড র‌্যাফেল ড্র নামে চলছে রমরমা জুয়ার আসর।

২৫ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে এ মেলার আনুষ্ঠানিকতা প্রশাসনের নাকের ডোগায় প্রকাশ্য র‌্যাফেল ড্র টিকিট বিক্রি চলছে মাইকিং করে থানা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের সামনে। প্রতিদিন খুব সকাল থেকে রাত ১০ টা অবদি প্রায় ১০০ মতো ভ্যান, ইজিবাইকে করে উচ্চ স্বরে মাইক বাজিয়ে বড়ো অংকের পুরস্কারের লোভ দেখিয়ে রেফাল ড্র নামে জুয়ার টিকিট বিক্রি চলছে উপজেলা প্রশাসনের নাকের ডোগায়। মনোহরপুর মাঝের পাড়া আবাসন জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান খাঁন বলেন সিরু, মোস্ত, সেন্টু সহ একটি সিন্ডিকেট প্রতি বছর বিভন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে কোন সময় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, কোন সময় নাম সর্বস্ব ক্লাবের নামে বৈশাখী মেলার নামে এ জুয়ার আসর করে থাকেন, এ সিন্ডিকেটের খুঁটির জোর কোথায়? এলাকায় চুরি, ডাকাতি বেড়ে যায় এ জুয়ার আসর বসার সাথে সাথে।

মনোহরপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আনিছুর রহমান শিমুল মল্লিক বলেন মেলার নামে এ জুয়া ও উলঙ্গ নৃত্য শুরু হওয়ার দিনই মনোহরপুর বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদের দান বাক্স সহ বেশ কয়েক টিওবয়েল চুরি হয়েছে। এলাকার মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে গেছে যে কোন সময় ঘটতে পারে অপ্রীতিকর ঘটনা।

সরজমিনে দেখা গেছে, মেলা মাঠের পশ্চিম পাশে প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের স্টল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলেও দক্ষিণ পাশের অংশে মাঠের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয়েছে জুয়ার আসর। রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে এ মেলার সব আয়োজন বন্ধ করার কথা থাকলেও শুধু জমজমাট জুয়ার আসর টিকিয়ে রাখতে গভীর রাত পর্যন্ত চলে জুয়ার রমরমা বাণিজ্য। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসছে এ জুয়ার আসরে। প্রতিটি জুয়ার বোর্ডে প্রতি রাতে হাজার হাজার টাকার জুয়াখেলা হচ্ছে।

স্থানীয় উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই প্রতিদিন উপজেলা শহরের ব্যস্ততম এলাকা মনোহরপুর আমতলা মাঠে প্রকাশ্যে এ জুয়ার বোর্ড চালানো হচ্ছে। প্রতিদিন উপজেলা প্রশাসন কে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রফাদফা করে এ জুয়ার আসর চালাচ্ছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী গ্রুপ। অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তিনি বলেন বৈশাখীর মেলার অনুমোদন আছে তবে জুয়া বা র‌্যাফেল ড্র অনুমোদন দেওয়া হয়নি আপনি বলেছেন এখনি ব্যবস্হা নেব।

জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন মেলার নামে কোন প্রকার জুয়া বা অশ্লীলতা মেনে নেওয়া হবে না আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিচ্ছি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। ১৫টি জায়গায় কাপড় টানিয়ে বসানো হয়েছে এ জুয়ার আসর। আর এসব জুয়ার বোর্ড থেকে নির্দিষ্ট অংকের টাকা তুলছেন নিজেই। কথা হয় মেলা আয়োজক কমিটির অন্যতম সিরু ওরফে জুয়া সিরুর সাথে তিনি দম্ভের সাথে বলেন জুয়া জুয়া না, এটাও বৈশাখী মেলার একটা অংশ আমরা প্রশাসন কে ম্যানেজ করে এসব করছি লেখা লেখি করে কোন কিছুই হবে না।এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক বিভাগীয় কমিশনারের হস্তক্ষেপ কামনা করছে এলাকাবাসী।




চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় আধুনিক পদ্ধতিতে আদা চাষ পরিদর্শনে জেলা কৃষি কর্মকর্তা

চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনায় আধুনিক পদ্ধতিতে আদা চাষ পরিদর্শন করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা।

আজ সোমবার বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে দর্শনা কেরুজ হাসপাতাল পাড়ার কৃষি উদ্দ্যোক্তা কামাল উদ্দিন আহমেদ সান্টুর মসলা জাতীয় বারী আদা ও পাহাড়ী আদা চাষ পরিদর্শন করেন।

এসময় তিনি বলেন, আমরা বাড়ির পরিত্যাক্ত জমিতে মোটিফাইড করে বস্তায় এ মসলা জাতীয় আদা চাষ যদি করতে পারি, তাহলে আমরা নিজের চাহিদা পূরণ করে বাজারে আমদানী করতে পারবো। আধুনিক পদ্মতিতে বস্তায় আদা চাষ করে ৬/৭ মাসের মধ্যে এক বস্তায় ২/৩ কেজি আদা আমরা নিতে পারবো। পর্যায়ক্রমে কৃষকদের পরমর্শ দিয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে আদা চাষে নিয়ে আসছি।

এ আদা চাষ আরো বৃদ্ধি করতে ইতমধ্যে উপজেলা পর্যায়ে ১০ হাজার বস্তা মসরা জাতীয় আদা চাষ আমরা হাতে নিয়েছি। আমরা মাটিতে আদা চাষে কৃষক সূফল পাচ্চেনা। তাই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ভালো বীজ সংগ্রহ করে বস্তায় আদা চাষে আধুনিক পদ্ধতিতে এ চাষ করছি। এ আদা চাষে প্রত্যেক কৃষকে পরামর্শ দিচ্ছি আপনারা আপনাদের পরিত্যাক্ত জমিতে বস্তায় আদা চাষ করলে আপনারা লাভবান হবেন। তাই মসলা জাতীয় এ আদা চাষে কম খরছে বেশি মুনাফা পাবেন বলে আমরা আশা করছি।

উদ্দ্যোক্তা কামাল উদ্দিন আহমেদ সান্টু বলেন, আমি আধুনিক পদ্ধতিতে বস্তায় মসলার উন্নত বারি আদা-২ ও পাহাড়ী জাতের আদার আবাদ করেছি ৫৬৪ বস্তা। আমি তাতে করে মাত্র ১২ দিন বয়সে যা দেখছি তাতে করে নির্ধারিত সময়ে এর ফলন ভালো হবে। বস্তায় আধুনিক পদ্ধতিতে লাগানো কিছু বস্তায় আদার চারা দেখা গেলেও কিছু বস্তায় এখনো দেখা মেলেনি। আমি আশা করছি বাকি বস্তার রোপনকৃত আদার চারা দেখা গেলে এক বছরে তিন লক্ষ টাকা লাভ করতে পারবো।

এ পরিদর্শনে সাথে ছিলেন, দামুড়হুদা উপজেলা (কৃষি) কর্মকর্তা মোছাঃ শারমিন আক্তার, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোঃ আর সাবা।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, মুকুল হোসেন, প্রমুখ।




কুষ্টিয়া মানবাধিকার কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে পানি ও স্যালাইন বিতরণ

কুষ্টিয়ায় ভ্যান-রিকশা চালকদের ঠাণ্ডা পানি ও স্যালাইন দিলেন মানবাধিকার কল্যাণ ট্রাস্টের নেতৃবৃন্দ। কুষ্টিয়ায় ভ্যান-রিকশা চালকদের ক্লান্তি দূর করতে ঠাণ্ডা পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করেছে মানবাধিকার কল্যাণ ট্রাস্ট কুষ্টিয়ার নেতৃবৃন্দ।

আজ সোমবার কুষ্টিয়ার শহরের নারিকেলতলা ও কোর্ট স্টেশন এলাকায় এই কার্যক্রম চালানো হয়।

এসময় মানবাধিকার কল্যাণ ট্রাস্ট কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি রুহুল আমিন, সাধারন সম্পাদক মেজবাহুর রহমান, সাংবাদিক এসএম জামাল সহ মানবাধিকার কল্যাণ ট্রাস্টের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মানবাধিকার কল্যাণ ট্রাস্ট কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি রুহুল আমিন বলেন, ’যেখানে আমরা পাঁচ মিনিট রোদে দাঁড়িয়ে থাকলে হাপিয়ে যাই, সেখানে তপ্ত দুপুরেও ভ্যান-রিকশা চালকরা শহরের অলিগলিতে ছুটছে। তাদের পাশে থাকার জন্য এবং তাদের খানিকটা ক্লান্তি দূর করার জন্য আমাদের এই চেষ্টা।’ রিকশাচালক আনিসুর রহমান বলেন, প্রচণ্ড রোদের মধ্যে রিকশা চালাতে হচ্ছে। অনেক সময় তৃষ্ণা লাগে। আজকে খাবার স্যালাইন ও ঠাণ্ডা পানি পেয়ে খুব ভালো লেগেছে।




ঝিনাইদহে ডিবি পুলিশের অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেফতার ১

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার দুই নম্বর মির্জাপুর ইউনিয়নের পদমদি গ্রাম থেকে ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে একটি কালো রঙের দেশীয় তৈরি ওয়ান শুটার গান সহ পদমদি গ্রামের জহুরুল হকের ছেলে মিল্টন বিশ্বাস (৩১)কে গ্রেফতার করেছে। ডিবি পুলিশের এই অভিযানটি পরিচালনা করেন এসআই মিঠুন মন্ডল।

জেলা ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা যায় যে আসামি মিল্টন বিশ্বাস একটি দেশীয় তৈরি আগ্নেয় অস্ত্র নিয়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ করে বেড়াচ্ছে এবং সে বর্তমানে তার বাড়ির পাশে কলাবাগানের মধ্যে অবস্থান করছে।

তখন তাকে কলাবাগানের মধ্য থেকে গ্রেফতার করে তার স্বীকারোক্তিমূলক বয়ান অনুযায়ী অস্ত্রটি গোয়াল ঘরের মধ্য হতে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করার পর আসামি মিঠুন মন্ডল এর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে একটি মামলা করা হয়েছে।




১৪৪ ধারা জারি করতে গিয়ে বিবাদমান জমির ধান নিয়ে আসলেন কোটচাঁদপুর থানা পুলিশ

১৪৪ ধারা জারি করতে গিয়ে বিবাদমান জমির ধান জব্দ করে থানায় নিলেন কোটচাঁদপুর থানার সহউপপরিদর্শক( এএসআই) এরশাদ হোসেন। আজ সোমবার সকালে তিনি এ ধান উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। আইন শৃংখলার রক্ষার্থে ধান উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে দাবি ওই কর্মকর্তার।

জানা যায়,কোটচাঁদপুর উপজেলার গুড়পাড়া মাঠের ১৮ শতক জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিবাদ চলছিল কামাল হোসেন ও মিজানুর রহমানের সঙ্গে। তারা দুই জনে চাচাত ভাই। আজ সোমবার সকালে ওই জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করতে যান কোটচাঁদপুর থানার সহউপপরিদর্শক (এএসআই) এরশাদ হোসেন। এ সময় ওই জমিতে কাটা ধান পড়ে থাকতে দেখেন। ওই ধান নিতে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা চলছিল। পরে ওই ধান উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন ওই কর্মকর্তা।

ভূক্তভোগী মিজানুর রহমান বলেন,দীর্ঘদিন ধরে আমি বিবাদমান জমিটি চাষাবাদ করে থাকি। এ বছরও ওই জমিতে ধান চাষ করেছিলাম। গেল গত রবিবার রাতে কামালের নির্দেশে ওই জমির ধান কাটেন স্থানীয় লেবাররা। গতকাল সোমবার সকালে আবার ওই জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করতে আসেন পুলিশ।

এ সময় পুলিশের উপস্থিতিতে কামাল হোসেন তাঁর লোকজন দিয়ে ধান নিয়ে যাবার চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ ওই ধান উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। এ ব্যাপারে মিজানুর রহমান আদালতে মামলা করেছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি ওই গ্রামের মৃত কাশেম আলীর ছেলে।

গুড়পাড়া গ্রামের কামাল হোসেন বলেন,মিজানুর রহমানের সঙ্গে আমার ১৮ শতক জমি নিয়ে বিবাদ। ওই জমির পুরোটাই আমার। তবে জোর পূর্বক করে খান তিনি। গেল বুধবার আমি ১৪৪ ধারায় মামলা করেছি আদালতে।
আজ সোমবার সকালে কোটচাঁদপুর থানার পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি করতে গিয়েছিল। এ সময় জমিতে গিয়ে দেখতে পায় ধান কাটা অবস্থায় পড়ে আছে। পরে ওই ধান পুলিশের উপস্থিতিতে উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে ধানগুলো কোটচাঁদপুর থানায় পুলিশ হেফাজতে আছে।

তিনি বলেন, তবে আমি ওই ধান কাটিনি। কে কেটেছে তা আমি জানিনা। কামাল হোসেন গুড়পাড়া গ্রামের মৃত ইয়াদুল মন্ডল।

এলাঙ্গী ইউনিয়নের ৩ নাম্বার ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাফা সুলতান বলেন, পুলিশ ধান উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। পরে আমার জিম্মায় দিয়েছেন। তবে ধান এখানো থানা থেকে আনা হয়নি। সন্ধ্যার দিকে ধান আনতে থানায় যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর থানার সহউপপরিদর্শক (এএসআই) এরশাদ হোসেন বলেন,সোমবার সকালে ১৪৪ ধারা জারি করতে গিয়ে ছিলাম। ওই জমির ধান কাটা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে গোলযোগ শুরু হয়। আইন শৃংখলা রক্ষার্থে স্যারের সাথে পরামর্শ করে ওই ধান উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।

তিনি বলেন, পরে আইনগত প্রক্রিয়া শেষ করে, ওই ইউনিয়নের সাফা মেম্বারের জিম্মায় দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।




কোটচাঁদপুরের জগদীশপুর বাওড় পাড়ে সরকারি জমিতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

জগদীশপুর বাওড় পাড়ে সরকারি জমিতে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা স্থাপনা ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। আজ সোমবার সকালে এ স্থাপনা ভেঙ্গে দেন কোটচাঁদপুরের ইউনিয়ন (ভূমি) সহকারী কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম।

সংশ্লিষ্ট সুত্র জানা যায়, কোটচাঁদপুরের জগদীশপুর বাওড়। সম্প্রতি বাওড়টি নতুন করে ইজারা দিয়েছেন সরকার। ওই বাওড় পাড়ে মাছের খাবার রাখার ঘর করেছিলেন ইজারাপ্রাপ্তরা। তবে ওই জায়গাটি ছিল সরকারি খাস জায়গা। খাস জায়গায় কেউ অবৈধ স্থাপনা তৈরি করতে পারে না।

ইজারাপ্রাপ্তরা ওই জায়গায় এ স্থাপনা তৈরি করছিল। খবর পেয়ে সোমবার সকালে কোটচাঁদপুরের এলাঙ্গী ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা ভেঙ্গে দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে বাওড় ইজারাপ্রাপ্তদের পক্ষের জেলা পরিষদ সদস্য রাজিবুল কবির বলেন,আমরা বাওড় পাড়ে মাছের খাবারের ঘর করছিলাম। ওইটা নাকি সরকারের খাস জমি।

সেটি এলাঙ্গী ইউনিয়নের নায়েব শরিফুল ইসলাম এসে ভেঙ্গে দিয়েছেন। আমরা ডিসি স্যারের সঙ্গে কথা বলার আগেই ভেঙ্গে দিয়েছেন। বিষয়টি ডিসি সাহেবকে জানিয়েছি।

তিনি বলেন, ওনারা আমাদের স্থাপনা না ভেঙ্গে সরিয়ে নিতে বলতেন বা আমাদের নৌটিশ করতেন। তারা না করে ভেঙ্গে ফেললেন।

কোটচাঁদপুরের গুড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়ি উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান বলেন, জানতে পারলাম বাওড় পাড়ে কে বা কাহারা অবৈধ স্থাপনা তৈরি করছেন। খবর পেয়ে ফাঁড়ির সহউপপরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল হামিদকে পাঠিয়ে ছিলাম। পরে আমি ও গিয়েছিলাম ঘটনাস্থলে।

ওখানে মানুষকে আমরা ওই সময় দেখতে পায়নি। তবে জানতে পারলাম বাওড় যারা ইজারা নিয়েছেন, তারাই বাওড় পাহারা ও মালামাল রাখার জন্য স্থাপনা তৈরি করছিল। এলাঙ্গী নায়েব শরিফুল ইসলাম এটা ভেঙ্গে দেন।
এলাঙ্গী ইউনিয়ন (ভূমি) সহকারী কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন,উদ্ধোতন কর্মকর্তা আমাদের যা বলেন আমাদের তাই করা লাগে। নির্বাহী স্যার আমাকে অবৈধ ভাবে বাওড় পাড়ের স্থাপনা ভেঙ্গে দিতে বলেন।আমি সে মোতাবেক ভেঙ্গে দিয়েছি।

তিনি বলেন, ওই সময় ঘটনাস্থলে কোন মানুষকে আমরা পায়নি। তবে জানতে পারলাম বাওড়ের ইজারাদাররা এই অবৈধ স্থাপনা তৈরি করছিল।