আলিয়ার চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করেন রণবীর!

দাম্পত্য জীবনের তিন বছর কেটে গেছে। এই দিনেই গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন রণবীর কাপুর ও আলিয়া ভাট। ‘ডেস্টিনেশন ওয়েডিং’ নয়, নিজেদের বাড়ি ‘বাস্তু’তেই ঘরোয়াভাবে বসেছিল বিয়ের আসর। বিয়ের এক মাসের মাথায় সুখবর দিয়েছিলেন আলিয়া ও রণবীর। জানিয়েছিলেন, খুব শীঘ্রই তাদের কোলে আসছে সন্তান। এই নিয়ে কটাক্ষের মুখেও পড়তে হয়েছিল তারকা দম্পতিকে।

বলিউডে বরাবরই ‘ক্যাসানোভা’ তকমা রণবীরের। একাধিক অভিনেত্রীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন তিনি। তবে সব শেষে তার জীবনে আসেন আলিয়া।

অভিনেত্রী একাধিক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, শৈশব থেকেই রণবীরকে স্বামী হিসাবে পেতে চান তিনি। সঞ্জয় লীলা ভানসালীর ছবি ‘ব্ল্যাক’-এ সহ-পরিচালকের কাজ করছিলেন রণবীর। সেই সময়ে আলিয়ার বয়স মাত্র ১১। তখন থেকেই রণবীরের প্রেমে পড়ে যান আলিয়া। সেই ইচ্ছে পূরণ হয় অভিনেত্রীর। তবে বিতর্কের শেষ এখানেই নয়। বার বার কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে তারকা দম্পতিকে।

রণবীর নাকি আলিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করেন, এমন একটি ধারণা তৈরি হয় অনুরাগীদের মধ্যে। সাজগোজ সংক্রান্ত নিজের একটি ভিডিওতে আলিয়া বলেছিলেন, তিনি গাঢ় রঙের লিপস্টিক পরেন না, কারণ রণবীর নাকি একেবারেই তা পছন্দ করেন না। গাঢ় রঙের লিপস্টিক দেখলেই, তা মুছে দিতে বলেন রণবীর।

আলিয়ার এই মন্তব্যের পরেই এই বিতর্কের শুরু। গত বছর একটি সাক্ষাৎকারে রণবীর এই বিতর্কে ঘৃতাহুতি দিয়েছিলেন। অভিনেতা জানিয়েছিলেন, আলিয়া নিজের মধ্যে অনেক পরিবর্তন এনেছেন। বিয়ের আগে খুব চিৎকার করে কথা বলতেন তিনি। এখন তিনি অনেক শান্ত কণ্ঠে কথা বলেন। এই মন্তব্যে বিতর্ক দ্বিগুণ হয়।

এই নিয়ে আলিয়া অবশ্য স্বপক্ষে যুক্তি দিয়ে জানিয়েছিলেন, রণবীর মোটেই নিয়ন্ত্রণ করেন না তাকে। বরং স্বামীর সঙ্গে থাকাকালীনই নিজেকে সবচেয়ে বেশি খাঁটি মনে হয় তার। রণবীরও এই বিষয়ে জানিয়েছিলেন, তারা দু’জনেই স্বতন্ত্র ও স্বাধীন মানুষ। কোনোভাবেই পরস্পরকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন না তারা।

এই সব বিতর্ক নিয়েই একসঙ্গে তিন বছর কাটিয়ে ফেলেছেন রণবীর ও আলিয়া। ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ ছবির শুটিং করতে গিয়ে প্রেমের শুরু রণবীর ও আলিয়ার। ২০২২-এর ১৪ এপ্রিল বিয়ে সারেন তারা। সে বছরই নভেম্বরে কন্যা রাহা আসে তাদের জীবনে।

সূত্র: যুগান্তর




কুষ্টিয়ায় ট্রাকচাপায় মসজিদের মোয়াজ্জেম নিহত

কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ড্রাম ট্রাকচাপায় মসজিদের মোয়াজ্জেম মোহাম্মদ আলি (৭৩) নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকালে উপজেলার পাটিকাবাড়ী ইউনিয়নের নওদাপাড়া মোড়ের কুষ্টিয়া-চুয়াডাঙ্গা সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মোহাম্মদ আলি ফকিরাবাদ নওদাপাড়া গ্রামের মৃত ময়েজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি ওই এলাকার খেজুরতলা খাঁ পাড়া জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত মোহাম্মদ আলি আজ মসজিদে ফজরের নামাজ শেষ করে নওদাপাড়া মোড়ে কুষ্টিয়া-চুয়াডাঙ্গা সড়ক পারাপরের সময় দ্রুতগামী একটি ড্রাম ট্রাক তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষুব্ধ জনতা ট্রাকসহ ট্রাকের চালক ও হেলপারকে ধরে পাটিকাবাড়ী পুলিশ ক্যাম্পে হস্তান্তর করেছে।

পাটিকাবাড়ী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই নুরুন্নবী ইসলাম দূর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।




মুজিব শতবর্ষে বিসিবি থেকে সরানো হয়েছে ১৯ কোটি

২০২০-২১ সালে ‘মুজিব বর্ষে’র আয়োজন হিসেবে নানা ফেডারেশন নানা ধরনের অনুষ্ঠান করেছে। বিসিবিও ব্যতিক্রম ছিল না। এখানেও অনুষ্ঠান হয়েছে। তবে আয়োজনের নামে বিপুল অর্থ লোপাট হয়েছে এখানে, অভিযোগ দুদকের।

আজ দুপুর ১২টায় বিসিবিতে এসে হাজির হন দুদকের কর্মকর্তারা। প্রায় ১ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে তাদের অভিযান। কী অভিযোগের ভিত্তিতে এ অভিযান, তা দুই সহকারী পরিচালক আল আমিন ও মাহমুদুল হাসান পরিষ্কার করেন অভিযান শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে।

তখনই উঠে আসে মুজিব শতবর্ষে হয়ে যাওয়া এ জালিয়াতির খবর। সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান জানান, প্রাথমিকভাবে ১৯ কোটি টাকা সরানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলেও আভাস দেন তিনি।

তার কথা, ‘মুজিব ১০০ প্রোগ্রামে যে ব্যয় দেখানো হয়েছে, তাতে একটা অ্যানোমলি আছে। কনসার্টসহ যে আয়োজনটা হয়েছিল, সেখানে ২৫ কোটি টাকা খরচ দেখানো হয়েছে। সেখানে আসলে খরচ হয়েছে ৭ কোটি টাকা। এখানে প্রায় ১৯ কোটি টাকা খরচ দেখানো হয়নি, না দেখিয়ে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ফিন্যান্স ডিপার্টমেন্টের কাছে আমরা ডকুমেন্টগুলো চেয়েছি। টিকিট বিক্রি বাবদ দুই কোটি টাকা আয় হয়েছে, এই দুই কোটি টাকাও আয়ে দেখানো হয়নি। আত্মসাতের ইস্যুটা যেটা, সেখানে অঙ্কটা আরও বাড়তে পারে। বরাদ্দ ছিল ১৫ কোটি, খরচ দেখানো হয়েছে ২৫ কোটি, আর খরচ আসলে হয়েছে মোটে ৭ কোটি।’

শুধু মুজিব শতবর্ষে নয়, আরও অনেক খাতে জালিয়াতির আলামত খুঁজছে দুদক। এছাড়াও বিপিএলের টিকিট বিক্রির বিষয়টিও সে আওতায় পড়ে। দুদক সহকারী পরিচালক আল আমিন বলেন, ‘আরেকটা বিষয় আমরা দেখেছি টিকিট সেলিংয়ের ব্যাপারে। আমরা দেখেছি যে তৃতীয় আসর থেকে দশম আসর পর্যন্ত ৮ আসরে আয় দেখানো হয়েছে ১৫ কোটি টাকা। সেখানে গেল বার এক আসরেই আয় হয়েছে ১৫ কোটি টাকা। এবার যখন বিসিবি বলল যে আমরা নিজেরাই টিকিট বিক্রি করব, তখন আয়টা বেড়ে দাঁড়াল ১৩ কোটি টাকা। ৮ বছরে ১৫ কোটি আর এক বছরে ১৩ কোটি, কীভাবে এত বড় অ্যানোমলি হয়, সেটা আমরা রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করছি, তা পর্যালোচনা করে দেখব আমরা।’

এছাড়াও তৃতীয় বিভাগের দল নির্বাচনের ক্ষেত্রেও অনিয়মের অভিযোগ আছে। সে বিষয়ে সহকারী পরিচালক আল আমিন বলেন, ‘২০২৩ সালসহ বিগত বছরগুলোয় কীভাবে দল নির্বাচন হয়েছে, তা এখানে এসে আমরা দেখেছি। আগে দল বাছাইপর্বে খেলানোর জন্য ফি ছিল ৫ লাখ টাকা। তখন ২ কিংবা ৩টা দল খেলত টুর্নামেন্টে। তা থেকেই তারা বাছাই করল দুই বা একটা দল। এ বছর ফি ১ লাখ টাকা করে দেওয়ার পর ৬০টা ক্লাব আবেদন করল। আমরা ডকুমেন্টস কালেক্ট করেছি, কেন আগে বেশি দল নাম লেখাতে পারেনি, এখানে ব্যক্তিগত কোনো প্রভাব ছিল কি না, বোর্ডের কোনো প্রভাব ছিল কি না, এই তৃতীয় বিভাগ বাছাইপর্বে, কিছু ক্রাইটেরিয়াও ছিল যা পাড়া মহল্লার দলগুলোর মিট আপ করা সম্ভবও ছিল না। এটা আমরা যাচাই বাছাই করে দেখব।’

সূত্র: যুগান্তর




মেহেরপুর জেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক শাওনের ওপর হামলা

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মেহেরপুর জেলা মুখ্য সংগঠক শাওন শেখের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের অভিযোগ, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিঠুনের নেতৃত্বে বিএনপির একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ এই হামলায় অংশ নেয়।

এ বিষয়ে মুজিবনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বিস্তারিত আসছে…




মেহেরপুরে ভৈরব সাহিত্য সাংস্কৃতিক চত্বরের বাংলা নববর্ষ পালন

মেহেরপুর জেলার ঐতিহ্যবাহী সংগঠন ভৈরব সাহিত্য সাংস্কৃতিক চত্বরের আয়োজনে গতকাল সোমবার বিকেলে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও কবিতা আবৃত্তি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মেহেরপুর প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও কবিতা আবৃত্তি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভৈরব সাহিত্য সাংস্কৃতিক চত্বরের সভাপতি অ্যাডভোকেট এম. আনোয়ার হোসেন।

বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সভাপতি ডা. এম. এ. বাসার, নুরুল আহমেদ, রফিকুল আলম এবং নাট্য সম্পাদক সাইদুর রহমান প্রমুখ।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মেহের আমজাদের সঞ্চালনায় কবিতা আবৃত্তিতে অংশগ্রহণ করেন কবি এস. এম. এ. মান্নান, আবুল লায়েস লাভলু, নিলুফার বানু, শহিদুল ইসলাম কানান, ফাতেমা ফিরোজ, সাদেকুজ্জামান সেন্টু, রফিকুল ইসলাম, লিয়াকত হোসেন, আবুল হাশেম, মহিবুল ইসলাম প্রমুখ।




হরিণাকুণ্ডুতে আনন্দ শোভাযাত্রাসহ নানা আয়োজনে বাংলা বর্ষ বরণ

জাতীয় সঙ্গিত এবং এসো হে বৈশাখ গানের মাধ্যমেই সারা দেশের ন্যায়, ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলাতে পালিত হলো আনন্দ শোভাযাত্রায় বাংলা বর্ষ-১৪৩২ খ্রি:।

পহেলা বৈশাখ উদযাপনে আনন্দ শোভাযাত্রাটি সোমবার সকালে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা পরিষদ চত্ত্বর থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে দোয়েল চত্ত্বরে এসে শেষ হয়।

হরিণাকুণ্ডু উপজেলা নির্বাহী অফিসার বি এম তারিক-উজ জামান এঁর সভাপতিত্বে আনন্দ সোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার (ভুমি), ঈশিতা আক্তার, হরিণাকুণ্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি), এ রউফ খান,  উপজেলা বিএনপি সভাপতি আবুল হাসান মাস্টার, সহ-সভাপতি আনিচুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক, তাইজাল আলী, পৌর বিএনপির সভাপতি জিন্নাতুল হক খান, সিঃ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আশরাফুল আলম টোটন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মমিন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মোঃ আব্দুস সামাদ, বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তাসহ স্থানীয় ছাত্র-ছাত্রীরা।

জাকজমকপূর্ণভাবে নানা কর্মসূচীর মধ্যে ছিলো চিত্রাঙ্কন, রচনা প্রতিযোগিতা, হাড়ি ভাঙ্গা, ঝুড়িতে বল নিক্ষেপ, লাঠি খেলার মতো উপভোগ্য নানা আয়োজন।




শৈলকুপায় চাঁদা না দেয়ায় এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে জখম

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় চাঁদা না দেয়ায় আলম শেখ (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা।

হামলার শিকার হয়ে গুরুত্বর আহত অবস্থায় শৈলকুপা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আলম শেখ। সে কাঁচেরকোল ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের লুৎফর শেখের ছেলে। রোববার সন্ধার পর এ হামলার ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, পার কাচেরকোল গ্রামের হাজী শওকত (শহীদ) এর গরু ফার্মে কাজ করতেন আলম শেখ। সম্প্রতি ফার্মের মালিককে স্থানীয় কিছু চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীরা মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে। চাঁদা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে গরুর ফার্মের ম্যানেজার আলম শেখের উপর দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে হামলা করে গুরুত্ব জখম করে চাঁদাবাজরা। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত আলম শেখ জানান, দীর্ঘদিন ধরে গরুর ফার্মের মালিক শহীদকে কিছু চাঁদাবাজ চাঁদার দাবিতে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলো। ফার্মের মালিক দেশের বাইরে থাকায় চাঁদা না পেয়ে তারা ফার্মে উৎপাত চালিয়ে আসছিলো। রোববার সন্ধ্যায় বাড়ী ফেরার উদ্দেশ্যে ফার্ম থেকে বের হন তিনি। এসময় পেছন থেকে এসে কাঁচেরকোল গ্রামের লতিফ খার ছেলে ইসমাইল, তুজাম মোল্লার ছেলে শাহিদ, নারজু শেখের ছেলে হৃদয়সহ বেশ কয়েকজন তার উপর দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে হামলা করে। হামলাকারী চাঁদাবাজরা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মাদক কারবার ও শালিস ব্যবসাসহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ ঘটনায় তিনি থানায় মামলা করবেন বলে জানান।

শৈলকুপা থানার ওসি মাসুম খান জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




ঝিনাইদহে ৩ দিনব্যাপী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু

বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ঝিনাইদহে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী নারী উদ্যোক্তা মেলা। সোমবার পহেলা বৈশাখ সকালে শহরের ফ্যামেলি জোনে এই মেলার আয়োজন করে ‘পণ্য প্রসার’ নামের একটি স্থানীয় সংগঠন।

মেলায় ঝিনাইদহ শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ২০ জন নারী উদ্যোক্তা তাদের তৈরি ও উৎপাদিত পণ্যের প্রদর্শনী ও বিক্রয় করছেন। হস্তশিল্প, পোশাক, ঘর সাজানোর সামগ্রীসহ বিভিন্ন পণ্যে ভরপুর এই মেলায় দর্শনার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করা গেছে।

আয়োজকরা জানান, এই মেলার মাধ্যমে নারীদের নিজস্ব পণ্যের প্রচার ও বাজারজাতকরণে সহায়তা করাই তাদের মূল লক্ষ্য। মেলা চলবে আগামী তিন দিনব্যাপী প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।

আয়োজক পণ্য প্রসারের স্বত্তাধীকারী আনোয়ার ফিরোজ মাসুম বলেন, “নারীদের এগিয়ে নিতে হলে তাদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে হবে। এই মেলার মাধ্যমে তারা যেমন নিজেদের তৈরি পণ্য বিক্রির সুযোগ পাচ্ছেন, তেমনি ক্রেতাদের সঙ্গেও সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করতে পারছেন। এতে উদ্যোক্তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে এবং তারা আরও বড় পরিসরে কাজ করার উৎসাহ পাবেন।”




ঝিনাইদহে বর্ণাঢ্য আয়োজনে নববর্ষ উদযাপন

ঝিনাইদহে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হয়েছে।

পহেলা বৈশাখ সোমবার সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় আনন্দ শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গ্রামীণ খেলাধুলা ও পান্তা-ইলিশের আয়োজনের মধ্য দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেয় প্রশাসন, স্থানীয়রা।

এদিন সকাল ৮ টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বর থেকে বের হয় আনন্দ শোভাযাত্রা। নানা রঙের ব্যানার, মুখোশ, ঢাক-ঢোল ও ঐতিহ্যবাহী বাংলার নানা প্রতীক নিয়ে হাজারো মানুষ অংশ নেয় এই শোভাযাত্রায়। এতে অংশ নেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল, পুলিশ সুপার মঞ্জুর মোর্শেদসহ সরকারি কর্মকর্তা, সাংস্কৃতিক কর্মী, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।

শোভাযাত্রা শেষে পুরাতন ডিসি কোর্ট মুক্তমঞ্চে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে লোকগান, নৃত্য, আবৃত্তি ও নাট্য পরিবেশনার মাধ্যমে বাংলার লোকজ সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হয়।

এছাড়া সকাল ১০ টায় ঝিনাইদহে জেলা বিএনপির আয়োজনে উজির আলী স্কুল মাঠ থেকে একটি র‌্যালি বের করা হয় । র‌্যলিটি বিভিন্ন ধরনের ব্যানার, ফেষ্টুন, প্লাকার্ডসহ শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে শেষ হয় । র‌্যালিতে নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপির সভাপতি এমএ মজিদ । এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা, সিনিয়র সহ-সভাপতি কামাল আজাদ পান্নু, পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল মজিদ বিশ্বাসসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দিনব্যাপী নিজস্ব সাংস্কৃতিক পরিবেশনা আয়োজন করে।




মেহেরপুর জেলা বিএনপির বৈশাখ বরণ শোভাযাত্রা

বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে মেহেরপুর জেলা বিএনপির উদ্যোগে বর্ণাঢ্য বৈশাখী শোভাযাত্রা ও বর্ষবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকালে মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে শোভাযাত্রাটি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বড়বাজার চৌরাস্তা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

শোভাযাত্রায় গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী সাজসজ্জা ও নানা ধরনের প্ল্যাকার্ড নিয়ে সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করেন। পালকি, গরুর গাড়ি, ঘোড়ার গাড়ি, জেলে, কৃষকের সাজে সজ্জিত মানুষদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান ও বৌদ্ধ—সব ধর্মের মানুষের অংশগ্রহণে শোভাযাত্রায় বৈচিত্র্যের এক অনন্য দৃষ্টান্ত তৈরি হয়।

শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাবেদ মাসুদ মিলটন, সদস্য সচিব অ্যাড. কামরুল হাসান, যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়েজ মোহাম্মদ, সদস্য ইলিয়াস হোসেন, আলমগীর খান ছাতু, আব্দুল্লাহ, আনছারুল হক, হাফিজুর রহমান হাপি, খাইরুল বাশার, রেজাউল হক, ওমর ফারুক লিটন, মীর ফারুক, রোমানা আহমেদ, আবু সালেহ মোহাম্মদ নাসিম, গণিউল আজম, আলফাজ উদ্দীন কালু, আব্দুল আওয়াল, আখেরুজ্জামান, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আ. রহিম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আজমুল হোসেন মিন্টু, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মিজান মেনন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কাওছার আলী, জেলা জাসাসের সদস্য সচিব বাকাবিল্লাহ, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আনিসুল হক লাভলু, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নাহিদ মাহবুব সানি, সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বিপ্লব, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ইলিয়াস হোসেন, জেলা মহিলা দলের সহ-সভাপতি ছাবিহা সুলতানা, আব্দুল লতিফ, মোশিউল আলম দ্বীপু, হাফিজুর রহমান, সৌরভ, জনি, যুবদলের সদস্য মেহেদী হাসান রোলেক্স, শামুয়েল হোসেন সনি সহ জেলার বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।