আলমডাঙ্গার হারদি হাসপাতালে ঔষুধ কোম্পানির দৌরাত্ম্যে রোগীদের দুর্ভোগ চরমে

আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানি প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম্য দিন দিনই বেড়েই চলেছে। তাদের দৌরাত্ম্যে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি ও দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন রোগীরা।

চিকিৎসকের কক্ষের দরজা ও বহিঃ বিভাগের সামনে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঔষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের অবাধ বিচরণ দেখা যায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মানছেনা কেউ? রোগীরা বের হলেই জোরপূর্বক ব্যবস্থাপত্র নিয়ে করা হচ্ছে টানাহেচড়া এতে রোগীরা বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়ছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিক্রয় প্রতিনিধি জানান, প্রেসক্রিপশন ঔষুধ লিখার জন্য প্রতিমাসেই কলম, পেড, চাবির রিং থেকে শুরু করে টিভি-ফ্রিজসহ মোটা অংকের উপহার দিয়ে দিতে হয় ডাক্তারদের। তার বিনিময়ে প্রতিটি প্রেসক্রিপশনেই আমাদের ঔষধ লিখতে হবে। এছাড়াও এসব ব্যবস্থাপত্রের একটি কপি মেইল করে হেড অফিসেও পাঠাতে হচ্ছে।

নাসিমা আক্তার সুরভী নামের এক রোগী বলেন, তীব্র গরমে আমি বেশি অসুস্থ্য হওয়ার পর বাধ্য হয়ে দ্বিতীয় তলায় মেডিকেল অফিসার কক্ষে আসি। সেখানে দেখি ওই চিকিৎসকের সঙ্গে কেউ বসে কেউ দাড়িয়ে খোশগল্পে মেতে রয়েছেন বিভিন্ন ঔষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা। ডাক্তার কোন কোম্পানির ঔষুধ রোগীর ব্যবস্থাপত্রে লিখবেন তা নিয়েও শুরু হয় তাদের মধ্যে তর্কবির্তক। দীর্ঘক্ষন দাঁড়িয়ে থাকার পর বাধ্য হয়ে কক্ষে ঢুকে চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা নেই।

সরেজমিনে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে গেলে দেখা যায়, হাসপাতালের বহিঃ বিভাগের সামনে এবং ভিতরের বিভিন্ন চিকিৎসকের কক্ষের সামনে ঔষুধ কোম্পানি প্রতিনিধিদের ভিড় লেগেই আছে। নির্দিষ্ট সময়ের বাহিরে তারা ভিজিট করে রোগীদের চিকিৎসা সেবায় বেঘাত ঘটাচ্ছেন। দেখা গেছে, যখন রোগী টিকেট কেটে চিকিৎসা সেবার জন্য চিকিৎসকের কক্ষে যান তখন একাধিক প্রতিনিধি ওই কক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে ভিড় জমিয়ে আছেন। আবার কেউ কেউ রোগীকে অপেক্ষায় রেখে তাদের ভিজিট সেরে নিচ্ছেন। এর বাহিরে প্রতিনিয়তই চোখে পড়ে এসব প্রতিনিধিদের নানান দৃশ্য।

সরকারি এ হাসপাতালটিতে যখন বিভিন্ন রোগীরা ডাক্তার দেখিয়ে টিকেট নিয়ে ফিরে যান তখন দেখা যায়, বিভিন্ন কোম্পানীর প্রতিনিধিরা ওইসব রোগীদের পথে দাঁড় করিয়ে তাদের হাতের টিকেট টেনে নিয়ে ওই টিকেটের ছবি তুলে রাখেন। হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মেডিকেল অফিসার চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন। প্রায়ই দেখা গেছে বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা ওই জরুরী বিভাগের চিকিৎসকের কক্ষের সামনে ভিড় করে দাঁড়িয়ে থাকেন। তাদের কারণে রোগীরা সে ভিড়ে ঠেলে কক্ষের ভেতরে প্রবেশ করতে হয়। আবার ভেতরে প্রবেশ করলেও দেখাযায় সেখানে চলছে ভিজিট। এভাবেই প্রতিদিন সরকারি এ হাসপাতালটিতে বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম্য বেড়ে চলছে। আর প্রতিনিয়ত দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন রোগীরা।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: শারমিন আক্তার বলেন, ঔষধ কোম্পানি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করে তাদেরকে ভিজিট করার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেয়া হয়েছিল। তাঁরা সকাল থেকেই হাসপাতালে উপস্থিত থাকেন। শনি ও মঙ্গলবার দুপুর ১ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত ভিজিটের অনুমতি দেওয়া হয়। তবুও তাঁরা জোরপূর্বক হাসপাতালে ভিজিট করেন। গতকাল বুধবার নোটিশ বোর্ডে ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের ভিজিটের জন্য রবি ও বুধবার সকাল ৮ থেকে ৯ টা পর্যন্ত অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যে রোগীদের নিকট থেকে ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধি ব্যবস্থাপত্র নিয়ে ছবি তুলে থাকেন এমন অভিযোগ পেয়েছি। যদি তাঁরা সময় মত ভিজিট না করে, রোগীদের হয়রানী দেয়। তবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




আলমডাঙ্গায় প্রখর তাপদহে বৃষ্টির আশায় ইস্তিসকার নামাজ আদায়

প্রখর তাপদহের মধ্যে সারিবদ্ধ ভাবে বৃষ্টির আশায় বিশেষ নামাজ (ইস্তিসকার) আদায় করেছেন আলমডাঙ্গা উপজেলার শত শত মানুষ।

আজ বুধবার সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার দারুস সালাম ঈদগাহ ও কুমারী ইউনিয়নের ফুটবল মাঠ প্রাঙ্গণে এ নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা।

দারুস সালাম ঈদগাহ মাঠের নামাজে ইমামতি ও মোনাজাত করেন কুমারী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল কাদের। কুমারী ফুটবল মাঠে ইমামতি ও মোনাজাত করেন কুমারী মোহাম্মদীয়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা গিয়াস উদ্দীন।

টানা এক সপ্তাহ তীব্র তাপদহে বৃষ্টি না হওয়ায় মরতে শুরু করেছে কৃষকের ফসলের ক্ষেত, কষ্টে আছে গাছপালাসহ প্রাণীকুল। গত দু’দিন তাপমাত্রা একটু কমলেও বৃষ্টির দেখা নেই।

এদিকে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চুয়াডাঙ্গায় ৪০-৪২ ডিগ্রির ওপরে তাপমাত্রা ওঠা-নামা করছে। আজ বুধবার সকাল ৯ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের হাটকালুগঞ্জে অবস্থিত আবহাওয়া অফিস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৩২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৫৩ শতাংশ।




আলমডাঙ্গায় কৃষিতে ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কা, মরছে চাষের মাছ

আলমডাঙ্গার রায়সা গ্রামের আমজেদ আলীর পাঁচটি পুকুর রয়েছে। এর মধ্যে দুটি তীব্র গরম আর অনাবৃষ্টিতে শুকিয়ে গেছে। তিনটির পানি শুকিয়ে নেমেছে তলানিতে। গরমে মাছ রক্ষায় বৈদ্যুতিক মোটরের মাধ্যমে পানি দিচ্ছেন। কিছু মাছ বিক্রিও করেছেন। আইলহাঁস গ্রামের তুষার আলী সাড়ে চার বিঘা জমির ঘেরে মাছ ছেড়েছেন। তবে গরমে পানিতে অক্সিজেন কমে পাওয়ায় মাছ মরে ভেবে উঠছে। এতে তাঁর বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে।

কয়েকদিন ধরে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপদাহ। প্রতিদিনই তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রির ঘর অতিক্রম করছে। এ অবস্থায় পুকুরের মাছ ও মাঠের ফসল নিয়ে বিপদে রয়েছেন কৃষক। আবহাওয়ার বিরূপ আচরণ আর অনাবৃষ্টিতে ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কা বাড়ছে। খালবিল শুকিয়ে যাচ্ছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তরও নামছে। এতে ক্ষেতে পানিশূন্যতা দেখা দিয়েছে।

তালতলা এলাকার কৃষক ছায়েম মিয়া বলছিলেন, তাঁর পানের বরজে পাতা পুড়ে যাচ্ছে। যে পরিমাণ তাপ, তাতে ফসলের মাঠে কাজ করাও দুষ্কর হয়ে গেছে। ধানে প্রতিদিন সেচ দিতে হচ্ছে। তেল ও সারের যে দাম, বৃষ্টি না হওয়ায় খুব বিপদে আছেন। কৃষকরা বলছেন, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় ডিজেলচালিত শ্যালো মেশিন ও বৈদ্যুতিক মোটরে প্রয়োজনীয় পানি উঠছে না। এ অবস্থায় পুকুরে পানির তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় বিপদে পড়েছেন মাছচাষিরাও। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাতেমা কামরুন্নাহার আঁখির ভাষ্য, উত্তাপ থেকে মাছ বাঁচাতে পুকুরে চুন মিশিয়ে দেওয়া ও সেচযন্ত্র দিয়ে পানি দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। মৎস্য বিভাগ থেকে জানা গেছে, উপজেলায় ৩ হাজার ৪৬৭টি পুকুর রয়েছে। এ অঞ্চলে মাছের চাহিদা ৭ হাজার ৫৬০ টন। তবে প্রতিবছর ৭ হাজার ৯৭২ টন গলদা, বাগদা ও কার্পজাতীয় মাছ উৎপাদন হচ্ছে। চাহিদার চেয়ে এলাকায় বেশি উৎপাদন হওয়া মাছ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হয়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মাছ চাষের জন্য ২৫ থেকে ৩২ ডিগ্রি আদর্শ তাপমাত্রা। পুকুরের পানির স্তর পাঁচ ফটের ওপরে থাকলে মাছের ক্ষতির শঙ্কা কম। বৃষ্টি না হওয়ায় পানির স্তর নামছে। এতে দেখা দিয়েছে অক্সিজেনের সংকট। ফলে হাঁসফাঁস করছে মাছ।

এলাকার ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, তীব্র গরমে প্রায় সব ধরনের ফসলে একই ধরনের অবস্থা। কলাগাছ মরে যাচ্ছে। কলার ছড়ি পড়ে যাচ্ছে। আম ও লিচুর গুটি ঝরে পড়ছে। ফলে আম, লিচু ও কলার কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন নিয়েও কৃষক দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। সদর উপজেলার কুলচারা গ্রামের কৃষক আলী হোসেন সাড়ে তিন বিঘা জমিতে দেশি জাতের কচুর আবাদ করেছেন। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ায় কচুর পাতা কুঁকড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস থেকে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৩৪ শতাংশ। আর বেলা ৩টায় ছিল ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৮ শতাংশ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, তাপপ্রবাহে কিছু কিছু ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। এ ক্ষতি কাটাতে কৃষকদের বলা হচ্ছে, ফসলে বেশি পানি দিতে।




চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের সাথে সম্মিলিত ওলামা কল্যাণ পরিষদের মতবিনিময় সভা 

চুয়াডাঙ্গা জেলা ইমাম সমিতি, সম্মিলিত ওলামা কল্যাণ পরিষদ ইসলামী আন্দোলনসহ সম্মানিত ওলামা মাশায়েখদের সাথে পুলিশ সুপার চুয়াডাঙ্গা মহোদয়ের মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার সকাল সাড়ে নয়টার সময় চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলার সম্মানিত ওলামা মাশায়েখদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

চুয়াডাঙ্গা জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সাম্প্রতিক সময়ের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করা হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলার উলামা পরিষদের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সন্তোষ জ্ঞাপন করে তারা জানান যে চুয়াডাঙ্গা জেলায় সুদীর্ঘকাল ধরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় আছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা ওলামা পরিষদের মুফতি জুনায়েদ আল হাবিবি, চুয়াডাঙ্গা জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মোঃ শফিকুল ইসলাম, সম্মিলিত ওলামা কল্যাণ পরিষদ সভাপতি মাওলানা বচির আহমেদ, ইসলামী আন্দোলন চুয়াডাঙ্গা জেলা সভাপতি হাসানুজ্জামান সহ ওলামা পরিষদের নেতৃবৃন্দ বলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান, পিপিএম-সেবা সুযোগ্য ও গতিশীল নেতৃত্বে জেলার সকল ধরনের অপরাধ প্রবণতা অনেক কমে এসেছে। মোটাদাগে বলা যায় জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পূর্বের যে কোনো সময়ের তুলনায় বর্তমানে অনেক ভালো।

আলোচনা সভায় উপস্থিত সম্মানিত ঊলামা মাশায়েখ বৃন্দ সম্মিলিতভাবে পুলিশ সুপার চুয়াডাঙ্গা কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা করবেন মর্মে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) রিয়াজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, পিপিএম- সেবা,জাকিয়া সুলতানা, সহকারি পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) দামুড়হুদা সার্কেল, ডিআইও-১ সহ পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ।

পরিশেষে আলোচনা সভার সভাপতি পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান পিপিএম উপস্থিত সম্মানিত সকল ওলামা মাশায়েখবৃন্দদের শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন আগামী দিনের যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাবে। তিনি আলোচনা সভায় স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের জন্য উপস্থিত সকল ওলামা মাশায়েখবৃন্দ সহ সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।




সম্প্রীতির গাংনী গড়তে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

পিস ফ্যাসিলেটর গ্রুপ ( পিএফজি) গাংনীর আয়োজনে এবং দি হাঙ্গার প্রজেক্টের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয়েছে সম্প্রীতির মিলন মেলা।

সম্প্রীতির গাংনী গড়তে আজ বুধবার সকাল ১১ টার সময় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে গাংনী উপজেলার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক, ধর্মীয় নেতা, আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান পুরুষ ও ভাইস চেয়ারম্যান মহিলা প্রার্থী সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে এ মিলনমেলা ।

গাংনী প্রেসক্লাবের সভাপতি ও অনুষ্ঠানের আহবায়ক সাংবাদিক তৌহিদ উদ দৌলা রেজার সভাপতিত্বে এবং পিএসজি গাংনী উপজেলা সমন্বয়ককারী সাংবাদিক রফিকুল আলম বকুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক, গাংনী থানা অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সিরাজুল ইসলাম, দি হাঙ্গার প্রজেক্টের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী খোরশেদ আলম, গাংনী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক, সাবেক সমন্বয়কারী আবু সাদাত মোঃ সায়েম পল্টু, গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাহারবাটি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবলু, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হোসনী মোবারক, উপজেলা শিক্ষা অফিসার নাসিরুদ্দিন, গাংনী মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মহিবুর রহমান মিন্টু, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও হিজলবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান, লুৎফুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ জাকির হোসেন, গাংনী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব হাফেজ রুহুল আমিন, উপজেলা মডেল মসজিদের পেশ ইমাম জাহিদুল ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জাকিয়া আক্তার আল্পনা, গাংনী প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মজনুর রহমান আকাশ আকাশ, সাংবাদিক জুলফিকার আলি কানন, গাংনী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পারভেজ সাজ্জাদ রাজা বাজার কমিটির সভাপতি ইন্জিনিয়ার সালাউদ্দিন শাওন, যশোর অফিসের টিএইচপি গিয়াসউদ্দিন, গাংনী অফিসের টিএইচপি হেলালউদ্দীন, অনুষ্ঠানে বক্তারা সম্প্রীতির গাংনী গড়তে এবং আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আগে ও নির্বাচন পরবর্তী বিভিন্ন রকম সহিংসতা ও কালোটাকা পেশীশক্তিমুক্ত নির্বাচন ও সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার জন্য বিভিন্ন সুপারিশ করেন। নির্বাচন ইস্যুতে সকল প্রার্থী যাতে এক টেবিলে কাজ করতে পারে ও বসতে পারে তার জন্য সুপারিশ করেন। ভবিষ্যতে আরও এ ধরণের আয়োজের জন্য বক্তারা সুপারিশ করেন। সকল দলের প্রার্থী ও দলের প্রতিনিধিদের এক টেবিলে বসার ব্যবস্থা করার জন্য পিএফজি কে ধন্যবাদ জানান।




গাংনীতে অনুমোদনহীন ফুড এন্ড বেভারেজ কারখানাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গা গ্রামে অভিযান চালিয়ে লাইসেন্স ও অনুমোদন ব্যতিত আইসক্রিম, ললিপপ, আইস ড্রিংকস তৈরি করার অপরাধে আইকন ফুড এন্ড বেভারেজের মালিককে ৫০হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার।

আজ বুধবার দুপুরে মেহেরপুরের জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সজল আহমেদ এ অভিযান পরিচালনা করেন।

অভিযানে গাংনী স্যানিটারি ইন্সপেক্টর জনাব মো: মশিউর রহমান , কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো: জিবরাইল হোসেন ও মেহেরপুর জেলা পুলিশের একটি টিম অংশ নেন।

সজল আহমেদ জানান, মেসার্স আইকন ফুড এন্ড বেভারেজ নামক একটি আইসক্রিম, আইস ললি ও আইস ড্রিংকস তৈরিকারি প্রতিষ্ঠানে তদারকিতে দেখা যায় যথাযথ লাইসেন্স ও অনুমোদন ব্যাতিত বিভিন্ন নিম্নমানের অননুমোদিত কৃত্রিম রঙ, ফ্লেভার, কেমিক্যাল ব্যবহার করে তৈরি হচ্ছে নানা প্রকার আইসক্রিম ও আইস ললি, হাই স্পিড, সেভেন আপ, রোবো, রোবোটসহ নানা নামে তৈরি হচ্ছে এসব পণ্য ড্রিংকস পানীয়। কেমিক্যাল ব্যবহার করলেও নেই কোন কেমিস্ট বা ল্যাব। উৎপাদিত এসব পণ্যের মানা হচ্ছেনা কোন মোড়কীকরণ বিধি। অননুমোদিত ক্ষতিকর রঙ ও ফ্লেভার দিয়ে অস্বাস্থ্যকরভাবে তৈরি বাচ্চাদের প্রিয় এসব পণ্য ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে মেহেরপুর ও কুষ্টিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে।

তিনি আরও জানান, প্রচন্ড তাপদাহ ও গরমে এসব পণ্যের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সুযোগ নিচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা এবং এসব পণ্য মেহেরপুরের হাড়াভাংগা গ্রামে তৈরি হলেও মোড়কজাত ও বাজারজাত করা হচ্ছে ঢাকা-বাংলাদেশ, মুন্সিগঞ্জ-বাংলাদেশ, সাতক্ষীরা-বাংলাদেশ, বি-বাড়িয়া বাংলাদেশ, টংগী, গাজিপুরসহ বিভিন্ন এলাকার নাম লেখা প্যাকেট সমূহে।

এ সমস্ত অপরাধের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার মো: লিখন আলীকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৭, ৪২ ও ৪৩ ধারায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং প্রতিষ্ঠানটির যথাযথ লাইসেন্স ও অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়।




জি এম কাদেরের উপদেষ্টা পদে নিয়োগ পেলেন ঝিনাইদহের (অবঃ) মেজর মাহফুজুর

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি স্বাক্ষরীত এক প্রেস বিঞ্জপ্তিতে জানানো হয় জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্রের প্রদত্ত ক্ষমতা বলে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ঝিনাইদহ জেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য এবং ঝিনাইদহ-২ আসনের জাতীয় পাটির সংসদ সদস্য প্রার্থী (অবঃ) মেজর মাহফুজুর রহমানকে।

প্রেস বিঞ্জপ্তিতে আরও জানানো হয় জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করার জন্য বলিষ্ঠ ভুমিকা রাখবেন বলে তিনি আশা বাদী। এ বিষয়ে মেজর মাহফুজ বলেন, তার উপর অর্পিত এই গুরু দায়িত্ব যেন সঠিক ভাবে পালন করতে পারেন সেজন্য তিনি সকলের দোয়া কামনা করেন।

(অবঃ) মেজর মাহফুজুর রহমান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা পদে নিয়োগ পাওয়ায় তাকে জাতীয় পার্টি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।




যেভাবে ফেসবুক মেমোরিজ বন্ধ রাখবেন

‘স্মৃতি’ ভীষণ স্পর্শকাতর একটি শব্দ। স্মৃতি কখনো মানুষকে হাসায়, কখনো ডুবিয়ে দেয় পুরনো কোন তিক্ততায়। জনপ্রিয় যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের চমৎকার একটি ফিচার ‘ফেসবুক মেমোরিজ’। বছর ঘুরে পুরনো সব স্মৃতিতে ফেরায় এই ফিচার।

অনেকেই রোজ অপেক্ষা করে থাকেন ফেসবুকে স্মৃতির পাতায় ফিরে যেতে। তবে কখনো কখনো স্মৃতি হয় অনাকাঙ্ক্ষিত। তৈরি হয় বিব্রতকর পরিস্থিতি। তাই আপনি চাইলে ফেসবুকের মেমোরিজ সুবিধা বন্ধ রেখে এ সমস্যার সমাধান করতে পারেন। চলুন দেখে নেওয়া যাক কীভাবে ফেসবুক মেমোরিজ বন্ধ রাখবেন:

.মেমোরিজ সুবিধা বন্ধের জন্য প্রথমে ফেসবুক অ্যাপে প্রবেশ করতে হবে।
.এরপর ওপরের ডানদিকে থাকা প্রোফাইল ছবিতে ট্যাপ করুন।
.এবার মেমোরিজ ট্যাবে ক্লিক করে পরের পৃষ্ঠার ওপরে থাকা সেটিংস আইকনে ট্যাপ করতে হবে।
.তারপর নোটিফিকেশনস অপশন থেকে ‘অল মেমোরিস’ নির্বাচন করলে সব মেমোরিজ পোস্ট দেখা যাবে।
.এরপর ‘হাইলাইটস’ থেকে ‘নান’ অপশন নির্বাচন করলেই মেমোরিজে কোনো পোস্ট প্রদর্শন করবে না ফেসবুক। আপনি চাইলে নির্দিষ্ট ব্যক্তি, দিন ও কি–ওয়ার্ডসংবলিত ফেসবুক পোস্ট প্রদর্শনও বন্ধ করতে পারবেন।

সূত্র: ইত্তেফাক




ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশি নারী বক্সার জিন্নাত ফেরদৌস

প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে আফ্রিকার ডারবানে বক্সিংয়ে ইতিহাস গড়েছেন বাংলাদেশি নারী বক্সার জিন্নাত ফেরদৌস। দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত নেলসন ম্যান্ডেলা কাপ আন্তর্জাতিক বক্সিং প্রতিযোগিতায় গতকাল সোনা জয় করেছেন বাংলাদেশের যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বক্সার জিনাত ফেরদৌস। ৫০ কেজি ওজন শ্রেণিতে তিনি ফাইনালে হারিয়েছেন ইথিওপিয়ার প্রতিযোগীকে।

বক্সিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এটিকে গেল দেড় দশকে দেশের সেরা সাফল্য মনে করেন। বিদেশের মাটিতে এমন সফলতার পর গর্বিত দেশের বক্সিং সংশ্লিষ্টরা।

জিন্নাত ফেরদৌসের বক্সিংয়ে আবির্ভাব গত বছর হঠাৎ করেই। তিনি লাল-সবুজের হয়ে অংশ নেন এশিয়ান গেমসেও। সেখানে যদিও প্রথম বিশ্বমঞ্চে তেমন ভালো কিছু করতে পারেননি।

এরপর যুক্তরাষ্ট্রে ব্যক্তিগত কোচের কাছে ট্রেনিং চালিয়ে যান জিন্নাত। তার ঝুলিতে অবশেষে সাফল্য ধরা দিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় ম্যান্ডেলা কাপে গোল্ড জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী জিন্নাত।

বক্সিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম তুহিন বলেছেন, জিন্নাতের স্বর্ণপদক জয় দেশের বক্সিংয়ের জন্য অনেক বড় একটি সফলতা। তার স্বর্ণ জয়ই দেশের সেরা সাফল্য। জিন্নাতের পারফরম্যান্স, অভিজ্ঞতা ও ফাইটিং দক্ষতা খুবই ভালো। আগামী মাসের ২৫ তারিখ থেকে শুরু হওয়া ফাইটে ভালো কিছু আশা করতে পারি।’

২৭ দেশের এই টুর্নামেন্টে স্বর্ণ জয়ের পথে জিন্নাত হারিয়েছেন ইথিওপিয়ার সেরা বক্সার গাজিয়া বেথেলহামকে। আর এটাকেই সাম্প্রতিক দেশের বক্সিংয়ে সেরা সাফল্য বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এই টুর্নামেন্ট জয়ের অভিজ্ঞতা কাজে দেবে আসন্ন প্যারিস অলিম্পিকের বাছাইপর্বে।

সূত্র: ইত্তেফাক




কুষ্টিয়ায় বৃষ্টির জন্য ইস্তিসকারের নামাজ আদায়

অসহনীয় তাপদাহে পুড়ছে দেশ। তীব্র তাপদাহ থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টির জন্য আহাজারি করছে কুষ্টিয়াবাসী। বৃষ্টির প্রত্যাশায় ইস্তিসকারের নামাজ আদায় করেছে মুসল্লিরা।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০টায় কুষ্টিয়া সরকারী কলেজ খেলার মাঠে খোলা আকাশের নিচে এ নামাজ শেষে বৃষ্টির জন্য দোয়া করা হয়। বিশেষ দোয়াতে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে নিজেদের পাপের জন্য অনুতপ্ত ও ক্ষমা চেয়ে বৃষ্টির জন্য আহাজারি করে মুসল্লিরা।

এতে কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৫ শতাধিক মানুষ অংশ নেন।

নামাজ ও বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা মুহাদ্দিস শারাফাত হোসাইন।

সকালে সরকারী কলেজ মাঠে গিয়ে দেখা যায়, নানা বয়সী মানুষ মাঠে হাজির হয়েছেন। এরপর দুই রাকাত নামাজ পড়েন সবাই। নামাজের খুতবা পাঠ শেষে দুই হাত তুলে সবাই প্রচণ্ড গরম, তীব্র তাপ ও খরা থেকে বাঁচতে এবং বৃষ্টির জন্য মোনাজাত করেন। মোনাজাতে ইমাম ও মুসল্লিদের অঝোরে কাঁদতে দেখা গেছে।

আয়োজনকারী আলেক চাঁদ জানান, পানির জন্য মানুষ, পশু-পাখি সবারই হাহাকার। রহমতের বৃষ্টির আশায় নামাজের জন্য কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে তীব্র তাপদহ ও অনাবৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে প্রার্থনা স্বরূপ ছালাতুল ইস্তিসকার নামাজ আদায়ের অনুমতি নিয়ে এখানে নামাজের ব্যবস্থা করেছি। শহেরর প্রায় পাঁচ শতাধিক মুসল্লী এতে অংশ নেয়।

মাওলানা মুহাদ্দিস শারাফাত হোসাইন বলেন, “মানুষের পাপের কারণে মহান আল্লাহ এমন অনাবৃষ্টি ও খরা দেন। বৃষ্টিপাত না হলে আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) সাহাবীদের নিয়ে খোলা ময়দানে ইস্তিসকার নামাজ আদায় করতেন। সেজন্য তারা মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে পাপের তওবা করে এবং ক্ষমা চেয়ে দুই রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, ইসতিসকার নামাজ তিন দিন আদায় করা সুন্নত।

আগামীকাল সকালে কুষ্টিয়ার মিলপাড়া জামে মসজিদ প্রঙ্গনে বৃষ্টির প্রত্যাশায় ইস্তিসকার নামাজের আহবান করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত,কালবৈশাখীর মৌসুমেও প্রায় এক মাস বৃষ্টির দেখা নেই। নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর শুকিয়ে গেছে। পানির স্তর নেমে যাওয়ায় পানি উঠছে না অগভীর নলকূপ ও সেচ পাম্পে। তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে উঠছে। রোদে পুড়ে নষ্ট হচ্ছে কৃষকের ফসল ।

নিন্ম আয়ের খেটে খাওয়া মানুষেরা সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন। তবে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ ডায়রিয়াসহ গরমজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। কুমারখালী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ জানান, আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই পূর্বাভাসে।