মেহেরপুরে ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবীতে ছাত্রজনতার মানববন্ধন

ধর্ষণের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার দাবীতে সারাদেশের মতো মেহেরপুরে মানববন্ধন করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

গতকাল রোববার দুপুর ২ টার দিকে মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সাহেব মাহমুদের নেতৃত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সাব্বির আহমেদ, শিহাব উদ্দিন সৈকত, অ্যাডঃ মিজানুর রহমান, খন্দকার মুইজ উদ্দিন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ, সদস্য সচীব মুজাহিদুল ইসলাম, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ন সংগঠক আসিফ রাব্বি প্রমুখ।

শ্লোগানে বলা হয় ‘দিয়েছি তো রক্ত আরও দেব রক্ত’, ‘ধর্ষকের ঠিকানা, এ বাংলায় হবে না’, ‘একটা একটা ধর্ষক ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর’, ‘আবু সাঈদের বাংলায় ধর্ষকের ঠাঁই নাই’, ‘চব্বিশের বাংলায় ধর্ষকের ঠাঁই নাই’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।

এসময় শিক্ষার্থীদের হাতে “ধর্ষকের ফাঁসি চাই,”আইনের কঠোর প্রয়োগ চাই”, “সারা বাংলা খবর দে ধর্ষকদের কবর দে” “আমি আছিয়া হতে চাই না”, “নারী নিপীড়ন বন্ধ কর” ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।




কন্যা আরাধ্যার প্রভাব অভিষেক বচ্চনের সিনেমায়

গত বছর অভিনেতা অভিষেক বচ্চন ও অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের বিবাহবিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন বলিপাড়ার এমন খবরে নেটিজেনদের মাঝে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। কিন্তু বছরের শেষ মুহূর্তে এসে নিজেরাই সেই জল্পনায় পানি ঢেলে দেন। বচ্চন দম্পতি দিব্যি আছেন। আরাধ্যার স্কুলের অনুষ্ঠানে থেকেই ফের ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে নিয়েছেন অভিষেক-ঐশ্বরিয়া। তবে এ নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়াই দেননি এ তারকা দম্পতি।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিষেক বচ্চন জানিয়েছেন, কন্যা আরাধ্যার বড় প্রভাব রয়েছে তার জীবনে। এমনকি কাজের জগতেও মেয়ের বড় প্রভাব রয়েছে। ‘বি হ্যাপি’ নামে একটি সিনেমাতে অভিনয় করেছেন অভিষেক বচ্চন। এ সিনেমায় একাকী বাবার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অভিনেতা। কন্যার সঙ্গে বাবার সমীকরণ তুলে ধরা হয়েছে এ সিনেমায়। এখানেই আরাধ্যার সঙ্গে তার সম্পর্ক বড় ভূমিকা পালন করেছে।

অভিষেক বলেন, বাস্তবের সঙ্গে যোগ তৈরি করা গেলে, সিনেমার চরিত্র আরও ভালো করে ফুটিয়ে তোলা সহজ হয়ে ওঠে। বাস্তবের অভিজ্ঞতা থেকে আবেগ ফুটিয়ে তোলা সহজ।

বর্তমানে আরাধ্যার বয়স ১৩। এমনই বয়সের এক কিশোরীর বাবার চরিত্রে দেখা যাবে অভিষেক বচ্চনকে। জুনিয়র বচ্চন এ প্রসঙ্গে বলেন, অভিনেতা হিসেবে আমরা সবাই সবসময়ে ব্যক্তিগত জীবনের সঙ্গে যোগ খোঁজার চেষ্টা করি। বাস্তবের অভিজ্ঞতার সঙ্গে মিল খুঁজে পেলে অভিনয় আরও সহজ হয়ে ওঠে। নিখুঁতভাবে চরিত্রটি ফুটিয়ে তোলা সম্ভব হয়।

এ সিনেমাতে অভিষেকের কন্যার চরিত্রে অভিনয় করেছে ইনায়ত ভার্মা। ‘লুডো’ সিনেমাতেও অভিষেকের কন্যার চরিত্রে অভিনয় করেছিল ইনায়ত। এ ছাড়া এ সিনেমায় আরও আছেন নোরা ফাতেহি, হারলিন শেঠি, জনি লিভার প্রমুখ।

সূত্র: যুগান্তর




ঝিনাইদহে বেদে পল্লীর শিশুদের জন্য বসুন্ধরা শুভসংঘের ঈদ উপহার

ঝিনাইদহ শহরের পবহাটি এলাকার একটি খাসজমিতে কয়েক বছর ধরে ৩৮টি অসহায় বেদে পরিবার বসবাস করছে। এসব পরিবারের বাচ্চাদের জন্য নতুন পোশাক তো দূরের কথা, দুবেলা দুমুঠো খাবারের ব্যবস্থাই করা কষ্টসাধ্য। এমন অবস্থায় এবার বসুন্ধরা শুভসংঘ ঝিনাইদহ জেলা শাখার সদস্যরা তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।

গতকাল রবিবার বিকেলে শহরের পবহাটি এলাকার বেদে পল্লীতে বসুন্ধরা শুভসংঘ ঝিনাইদহ জেলা শাখার উদ্যোগে শিশুদের জন্য ভালোবাসায় মোড়ানো নতুন পোশাক বিতরণ করা হয়। ঈদের আগে নতুন জামা-কাপড় পেয়ে শিশুদের অভিভাবকরা খুশি হয়েছেন।

বেদে পল্লীর বাসিন্দা ঈসমাইল হোসেন বলেন, ‘আমাদের আগের মতো কেউ আর মূল্যায়ন করে না। বাপ-দাদার পৈতৃক পেশা ধরে রেখেছি, কিন্তু আয়-রোজগার নেই। ভাবছিলাম, ঈদে ছোট দুটো ছেলেমেয়েকে কী দেবো! এরই মধ্যে বসুন্ধরা শুভসংঘ আমাদের সন্তানদের জন্য নতুন পোশাক দিয়েছে। আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’

বসুন্ধরা শুভসংঘ ঝিনাইদহ জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত হোসেন বলেন, ‘বেদে পল্লীর মানুষগুলো সমাজের অবহেলিত অংশ। কিন্তু ওরাও এই সমাজেরই মানুষ, বেঁচে থাকার অধিকার তাদেরও রয়েছে। বসুন্ধরা শুভসংঘের মানবিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আমরা তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি।’

জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কেয়া রানী প্রামাণিক বলেন, ‘সমাজের অবহেলিত মানুষের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এরই ধারাবাহিকতায় বেদে পল্লীর শিশুদের মাঝে আমাদের ভালোবাসায় মোড়ানো নতুন পোশাক বিতরণ করেছি। জেলাব্যাপী আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা শুভসংঘ জেলা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক কেয়া রানী প্রামাণিক, কালের কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি অরিত্র কুণ্ডু, আজকের পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, রূপালি বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি বাহারুল ইসলাম, শুভসংঘ জেলা কমিটির সহ-সভাপতি তাপস কুণ্ডু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাহিয়ান আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ, নির্বাহী সদস্য হাবিবুর রহমান সৌরভ, মুস্তাকিম হোসেন প্রমুখ।




রোহিতদের ‘আনসাং হিরো’ তিনি

জয়ীদের অনেক নায়ক থাকে। ভারত দলেও আছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মিশন শেষে নায়কের তালিকা করলে সবার ওপরে থাকবেন বিরাট কোহলি, এরপর রোহিত শর্মা। কেউ কেউ বরুণ চক্রবর্তীর নাম বলবেন। কেউ শোনাবেন হার্ষিত রানা কিংবা কুলদীপ যাদবের কথা। কিন্তু একজন এমন আছেন, যিনি নিরবে খেলে গেছেন। প্রশংসা যা পাবার তা তো পায়নি, উল্টো সমালোচিত হয়েছিলেন। রোহিত ব্রিগেডে তিনি আনসাং হিরোও।

বলা হচ্ছে কেএল রাহুল তথা লোকেশ রাহুলের নাম। ভারতে শিরোপা ঘরে তোলার মিশনে আনকোরা থেকেছেন। উইকেটের পেছনে নীরবে সামলে গেছেন দায়িত্ব। ব্যাটিংয়ে যখন সুযোগ এসেছে, দলকে দিয়েছেন উজাড় করে। তবুও তাকে নিয়ে সমালোচনা হচ্ছিল না, রান পাচ্ছেন না। দলকে শেষদিকে দ্রুত জেতাতে কার্যকর ব্যাটিংটাও নাকি হচ্ছে না।

রোববার দুবাইয়ে সব সমালোচনার জবাব এক তুড়িতে উড়িয়েছেন রাহুল। রোহিত শর্মার ৭৬ রান ছাপিয়ে গেছে তার ত্রিশ ছাড়ানো রানে। বিপদে দলের হাল ধরেছেন, লড়েছেন এবং শিরোপা জিতিয়েই তবে ফিরেছেন। সদ্য শেষ হওয়া আসরে একটাও ফিফটি নেই রাহুলের। সমালোচনাটা সেই জায়গায়। তবে ৫ ম্যাচের চারবারেই রাহুল ছিলেন অপরাজিত। দলকে জিতিয়ে তবেই ফিরেছেন। অথচ তার একাদশেই থাকার কথা ছিল না। ঋশভ পান্ত ছিলেন উইকেটকিপার হিসেবে প্রথম চয়েজ। তবে রাহুল তার একাগ্রতা ও নিষ্ঠা দিয়ে বুঝিয়েছেন, কেন তিনি দলে।

ট্রফির মিশনে রাহুল প্রথম ম্যাচে অপরাজিত ছিলেন ৪১ রানে। বাংলাদেশের পর নিউজিল্যান্ডের বোলাররাও তাকে আউট করতে পারেনি। গ্রুপ পর্বে কিউইদের বিপক্ষে করেন ২৩ রান। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে থাকেন ৪২ রানে অপরাজিত। ফাইনালে ৩৪ রানে নট‌ আউট। ছয় নম্বরে নেমে মোটে ১৪০ রান। সেমির পর ফাইনালেও দলকে টেনেছেন প্রশস্ত কাঁধে।

ইংরেজিতে একটি কথা আছে, ‘আনসাং হিরো।’ অর্থাৎ নীরব নায়ক। রাহুলও তাই। শুধু ব্যাট নয়, অস্থায়ী উইকেটকিপার হিসেবে উইকেটের পেছনেও ছিলেন সমান পারদর্শী। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাঁচটি ক্যাচ নেওয়ার পাশাপাশি একটি স্ট্যাম্পিংও করেছেন। রাহুলকে দুহাত ভরে দিয়েছেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। দলে জায়গাটাও আপাতত পাকা হচ্ছে। এবার আড়াল থেকে বেরিয়ে মূল নায়ক হওয়ার পালা। রাহুলের বিশ্বাস তিনি পারবেন।

সূত্র: যুগান্তর




সভাপতি নুরুল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক লাকী

কবি সংসদ বাংলাদেশ মেহেরপুর জেলা শাখার ৩০ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কবি ও ছারাকার তহিদুল ইসলাম কনক এ অনুমোদন দেন।

কমিটিতে সভাপতি হিসেবে কবি নুরুল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কবি জি. এফ মানুন (লাকী) কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
উপদেষ্টা পরিষদে রয়েছেন ডাঃ গাজী রহমান, অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ ও রফিক উল আলম।

সহ-সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করবেন কবি গাউস-উল-আযম, কবি ফজলুল হক সিদ্দিকী ও মোঃ আবদুল হাসেম।

কোষাধ্যক্ষ হিসেবে ডাঃ মহিবুল ইসলাম, সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে নাসির উদ্দিন আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নূর হোসেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবে আসাদুল ইসলাম খোকন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবে এস এম এ মান্নান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে মামদুদা খানম, নাট্য সম্পাদক হিসেবে মিনারুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক হিসেবে জাহিদুল ইসলাম (কামরান) দায়িত্ব পালন করবেন।

এছাড়াও নির্বাহী সদস্য পদে দায়িত পালন করবেন মীর রওশন আলী মনা, বাশরী মহন দাস, ম. গোলাম মোস্তফা, মোঃ মহসিন, উবাইদুর রহমান, আবু লায়েস লাবলু, এস এম শহীদুর রহমান, সাইফুল ইসলাম, হেলাল উদ্দীন হিলু, লিয়াকত হোসেন, শওকত আরা মিমি, ফিরাতুল ইসলাম, আতিয়া খন্দকার ইতি ও মোঃ সোহেল রানা।




ওসাকা ফেস্টিভ্যালে মেহজাবীনের ‘সাবা’

মেহজাবীনের সিনেমা ‘সাবা’ জাপানের ২০তম ওসাকা এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের প্রতিযোগিতা বিভাগে জায়গা করে নিয়েছে। সিনেমাটির পরিচালক মাকসুদ হোসাইন বলেন, ‘ওসাকায় সিনেমার তিনটি প্রদর্শনী হবে। উৎসবে আমি অংশগ্রহণ করব।’ উৎসবটি শুরু হবে ১৪ মার্চ, চলবে ২৩ মার্চ পর্যন্ত। ‘সাবা’র মুক্তির খবরও দিলেন সিনেমাটির পরিচালক। আগামী জুনে প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গত বছর আমাদের সিনেমাটি মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও পরিস্থিতির কারণে সরে আসি। ভেবেছিলাম, দুই ঈদের মাঝামাঝি সময়ে দেব। সেটাও হয়তো সম্ভব হবে না। আমরা জুনের শেষ সপ্তাহ বা জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে সিনেমাটি রিলিজ দিতে চাই।’

দুই যুগ আগে ঘটা একটি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয় ১২ বছরের এক কিশোরী ও তার মা। কিশোরীটি সেই ঘটনায় মানসিকভাবে আঘাত পায় আর মায়ের সঙ্গী হয় হুইলচেয়ার। এই দুর্ঘটনা-পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি।

সিনেমাটিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন মেহজাবিন চৌধুরী। আর মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন রোকেয়া প্রাচী। গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি চরিত্রে রয়েছেন মোস্তফা মনুওয়ার।

সূত্র: ইত্তেফাক




চরমপন্থিদের নিয়ে নতুন আতঙ্ক!

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চেলের জনপদ ঝিনাইদহ এক সময় চরমপন্থিদের নিরাপদ ঘাঁটি ছিল। দীর্ঘ দুই দশক পর এ অঞ্চলে চরমপন্থিরা আবারো তৎপরতা বাড়িয়েছে।

তাঁরা নতুন করে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করছে। হত্যাকারী পাশাপাশি গুলি ও বোমা ফাটিয়ে তাঁদের অবস্থান জানান দিচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে আলাপ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

জেলার পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ছাড়াও বিএনপি-জামায়াত নেতাদের সঙ্গে যোগযোগ রাখছে চরমপন্থি দলের সদস্যরা। ঠিকাদারি কাজ, হাট-ঘাট, বিল-বাঁওড় দখলে নিতে এখন তাঁরা মরিয়া। চরমপন্থিদের সঙ্গে সমঝোতা না করে দরপত্র, হাট-ঘাট ও বড় জলমহাল ইজারা নেওয়া ঠিকাদারদের জন্য কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও চরমপন্থিদের চোখ এখন সরকারি বিভিন্ন কাজে। সম্প্রতি পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি কাজ তাঁদের পছন্দের ঠিকাদার না পাওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্বরতদের ভয়ভীতি দেখিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।

জানা যায়, আওয়ামী লীগ শাসনামলে কথিত বন্দুকযুদ্ধে টিকতে না পেরে বেশির ভাগ চরমপন্থিরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। যাঁরা দেশে ছিলেন, তাঁরাও আত্মগোপনে ছিলেন। তখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর অবস্থানে চরমপন্থি সংগঠনগুলোর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। গত বছরের ৫ আগস্টের পর প্রশাসনের দুর্বলতার সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে চরমপন্থিরা। পালিয়ে থাকা অনেক চরমপন্থি এখন অনেকটা প্রকাশ্যে কার্যক্রম চালানোর চেষ্টা করছেন।

গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যমতে, এ জেলায় চরমপন্থিদের তৎপরতা হঠাৎ করে বেড়েছে। বিশেষ করে ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া ও রাজবাড়ি জেলার সীমান্ত এলাকায় তাঁরা শক্ত অবস্থান করে তুলেছেন। খুব সহজেই তাঁরা এ জেলা থেকে অন্য জেলায় ঢুকে অপরাধ ঘটিয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। অনেক আগে থেকেই এ এলাকায় জাসদ গণবাহিনীর প্রভাব ছিল। বর্তমানে নিষিদ্ধঘোষিত এ সংগঠনটি কালু, ফারুকসহ কয়েকজন শীর্ষ নেতা আত্মগোপনে থেকে পরিচালনা করছেন। এখন তাঁদের ৭০ থেকে ৮০ জন সক্রিয় সদস্য রয়েছে। তাঁদের কাছে রয়েছে আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র।

জানা গেছে, জেলার হরিণাকুণ্ডু ও শৈলকুপায় কালুর অনেক সদস্য রয়েছে। জাসদ গণবাহিনীর নামে তাঁরা নতুন করে সংগঠন পরিচালনা করছে। গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে শৈলকুপার রামচন্দ্রপুর এলাকায় তিনজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। একই জায়গায় একই ভাবে দেড় দশকে হত্যা করা হয় আরো আটজনকে। চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া সীমানায় অবস্থিত এলাকাটি। সবশেষ নিহত তিনজনের মধ্যে ছিল বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির নেতা হানিফ আলী ওরফে হানেফ। হানেফের বিরুদ্ধে ডাকাতি, হাট-ঘাট, সরকারি টেন্ডার নিয়ন্ত্রণসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ ছিল। সম্প্রতি তিনি আবার নতুন দল গোছানোর কাজ করছিল।

হানেফের বাড়ি ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলায়। এ উপজেলাতে অনেক বিল-বাঁওড় আছে। এসব দখলে নিতে বেশ কয়েকটি দল ৫ আগস্টের পর থেকে তৎপর ছিল। সেই সাথে বাংলা নতুন বছরে হাট-বাজারগুলো ইজারা দেওয়া হবে। এসব হাট-বাজার ও বিল-বাঁওড়ের দখল নিতে কাজ করছে চরমপন্থিরা। বিএনপির অনেক নেতাও এসব নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্য এখন চরমপন্থী সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।

সূত্র জানায়, এসব চরমপন্থি সংগঠনগুলো এলাকায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালাচ্ছেন। গত ২০ বছর ধরে কোণঠাসা এসব সংগঠন আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার চেষ্টা করছে। তাই ঠিকাদারি কাজ, হাট-বাজার ও বিল-বাঁওড়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করছে। অনেকে ভয়ে সরকারি কাজের দরপত্র কিনতে ভয় পাচ্ছেন। ঠিকাদারদের মধ্যেও আতঙ্ক বিরাজ করছে। হঠাৎ করে চরমপন্থিদের উত্থানের হওয়ার পেছনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দুর্বলতা রয়েছে।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া বলেন, ‘ত্রিপল মার্ডারের ঘটনায় ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যে সকল চরমপন্থিরা আত্মগোপনে রয়েছে তাঁদের সম্পর্কে আমরা তথ্য সংগ্রহ করছি।’

তিনি আরো বলেন,‘চরমপন্থি নিয়ে জনমনে কিছুটা শংকা তৈরি হয়েছে। পুলিশ এ নিয়ে কাজ করছে। খুব দ্রুতই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’




বাড়তি সুবিধা নয় বরং ভারতের ক্ষতি হয়েছে, দাবি গাঙ্গুলীর

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে একক দল হিসেবে নিজেদের সবগুলো ম্যাচ দুবাইয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছে ভারত। যাকে বাড়তি সুবিধা হিসেবে উল্লেখ্য করে এর সমালোচনা করছে বাকি দলগুলো। তবে একে কোনোভাবেই বাড়তি সুবিধা মানতে নারাজ সৌরভ গাঙ্গুলী। বরং এর জন্য ভারতের ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক ও বিসিসিআইপ্রধান সৌরভ গাঙ্গুলীর।

রোহিত শর্মার দলের পাকিস্তানে না যাওয়াটাকে বাধ্য হয়ে করতে হয়েছে বলে দাবি সৌরভের। তিনি বলেন, ‘ভারত নিজেদের ইচ্ছায় সব ম্যাচ দুবাইয়ে খেলতে রাজি হয়নি! তারা পাকিস্তানে যেতে পারছে না, ভারতের সরকার অনুমতি দিচ্ছে না। এজন্য খেলতে হচ্ছে (দুবাইয়ে)। এটা তো ভারতীয় দলের হাতে নেই। ব্যাপারটি তো এমনই।’

এবার কেবল দুবাইয়ে খেললেও আগের দুটি আইসিসি আসরে ভারত অনেক ভ্রমণ করেছে। আর সেখানে সাফল্যও পেয়েছে। যে কারণে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে একটি নির্দিষ্ট ভেন্যুর সুবিধা নিয়ে সাফল্য পাচ্ছে ভারত সেটা বলার সুযোগ নেই বলে মনে করেন সৌরভ।

সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, ‘ভারত দেশের মাঠের বিশ্বকাপে ৯টি ভিন্ন শহরে খেলেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে ৮টি (আদতে ৫টি) ভিন্ন শহরে খেলে। ভারত দুবাইয়ে খেলার কোনো ব্যাপার এখানে নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে আছে, ২০০৩ বিশ্বকাপে অধিনায়ক ছিলাম আমি, তখন জিম্বাবুয়েতে সফরে যায়নি ইংল্যান্ড। তারা জিম্বাবুয়েকে পয়েন্ট দিয়ে দিয়েছে, কারণ সেখানে গিয়ে খেলবে না। কাজেই সব দেশেরই নিজস্ব ধরন আছে সবকিছুর এবং আমার মনে হয়, পাকিস্তান সফরে না যাওয়ায় ভারতীয় দল ও সরকারের কোনো ভুল এখানে নেই।’

পাকিস্তানের এই আসর আয়োজনের পেছনে নিজের ভূমিকারও কথাও তুলে ধরেন সাবেক এই বিসিসিআইপ্রধান। বলেন, ‘আমার মনে আছে, আমি যখন বিসিসিআইয়ের সভাপতি ছিলাম ২০২০ সালে, তখন আমরা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক করেছিলাম পাকিস্তানকে। ২০৩১ পর্যন্ত সব বৈশ্বিক আসরের ভেন্যু ঠিক করার গ্রুপের অংশ ছিলাম আমি। ভারতে ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০২৯ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ও ২০৩১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ হবে। এটা তো ভারত নিজে করেনি। তাদের পাকিস্তানে যাওয়ার উপায় নেই।’

পাকিস্তানে খেলতে না পেরে যে ভারতীয় ব্যাটারদের ক্ষতি হয়েছে সেটাও জানান গাঙ্গুলী। বলেন, ‘আমি বলতে পারি, বিরাট কোহলি, রোহিত শার্মা, কেএল রাহুল, শ্রেয়াস আইয়ারের মতো ব্যাটসম্যানদের বরং খারাপ লাগছে লাহোর ও করাচির মতো উইকেটে খেলতে না পেরে, অন্য দলগুলি যেখানে ৩৫০ রান তুলছে। ইংল্যান্ড সাড়ে তিনশ করেছে, অস্ট্রেলিয়া তাড়া করে জিতেছে। নিউজিল্যান্ড ৩৬০ করেছে। দুবাইয়ে সেখানে ২৪০-২৫০ রান হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কোহলি, রোহিত, শ্রেয়াস, শুবমান গিলরা ভাবছে, ‘দুবাইয়ে অমন উইকেট কেন পেলাম না আমরা! পেলে তো তিন-চারটি সেঞ্চুরি হয়ে যেত। পাকিস্তানের যেতে না পেরে বরং ভারতই সুযোগ হারাচ্ছে নিষ্প্রাণ উইকেটে খেলার।’

সূত্র: যুগান্তর




বিএনপি নেতার আষ্ফালন, মানেননি আদালতের আদেশ

মেহেরপুরের নতুন মদনাডাঙ্গা গ্রামে জনসাধারণের চলাচলের জন্য বিক্রি করা জমি ঘিরে নিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন স্থানীয় গ্রাম বিএনপির নেতা আতিকুর রহমান পিন্টু।

এই ঘটনায় আদালতের নির্দেশনা থাকলেও এখনো প্রতিবন্ধকতা সরানো হয়নি। পুলিশ প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করতে গেলে উল্টো দম্ভোক্তি দেখিয়েছেন অভিযুক্ত পিন্টু।

জানা গেছে, মেহেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ বিন হারুন (জুয়েল) নিজের বাগানে যাতায়াতের জন্য এবং জনসাধারণের সুবিধার্থে ৬ লাখ টাকায় প্রায় সাড়ে তিন শতক জমি ক্রয় করেন। জমির দলিলেও উল্লেখ রয়েছে যে এটি মানুষের চলাচলের পথ হিসেবে ব্যবহৃত হবে। তবে ক্ষমতার পালাবদলের পরদিনই পিন্টু ওই জমি ঘিরে দখলে নিয়ে নেন এবং ইমতিয়াজ বিন হারুনকে হুমকি দেন সেখানে না যাওয়ার জন্য।

মেহেরপুরের নতুন মনাডাঙ্গা গ্রামের আতিকুর রহমান পিন্টু ৬ লাখ টাকায় বিক্রি করা প্রায় সাড়ে তিন শতক জমি তারের বেড়া দিয়ে ঘিরে নিয়েছে। বাগানের কোন পাশ দিয়ে যাতে বাগান মালিক জুয়েল প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য বাগানের অন্যপাশের জমির মালিকদেরও ঘিরে নিয়ে যাতায়াতে প্রতিবন্ধক তৈরীর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

পিন্টু অকপটে স্বীকারও করছেন মানুষের চলাচলের জন্য বিক্রি করা জমি দখলের বিষয়টি। মানুষের চলাচলের জন্য জমি ক্রেতা আইনজীবী খ. ম. ইমতিয়াজ বিন হারুনসহ (জুয়েল) মানুষ ওই পথ দিয়ে যাতায়াত করতে পারছেনা।

পৈত্রিক সুত্রে বাগানের মালিক মেহেরপুর জেলা শহরের ইমতিয়াজ বিন হারুন। নিজের বাগানে যাতায়াতের জন্য কোন রাস্তা ছিলো না। মাঠে যাতায়াতের এবং নিজের বাগানে যাতায়াতের জন্য গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আতিকুর রহমান পিন্টু‘র কাছ থেকে ০.০৫৯৭ একর (প্রায় সাড়ে তিন শতক) জমি ৬লাখ টাকায় কিনে নেন ইমতিয়াজ।

জমির দলিলও হয়েছে সাধারণের যাতায়াতের জন্য। ফলে ওই জায়গা দিয়ে এতদিন এলাকার মানুষ মাঠে চাষাবাদের জন্য যাতায়াত করতেন। বিক্রি করা জমি ঘিরে নেয়ার ফলে সাধারণ মানুষ মাঠে যাতায়াত করতে পারছেনা।

গ্রামের ইব্রাহিম হোসেন, সুমন হোসেন, সাইফুল ইসলামও স্বীকার করেন জমির মালিক ইমতিয়াজের। তিনিই পিন্টুর সাথে জমি কিনে তাদের যাতায়াতের রাস্তা করে দিয়েছেন। চলাচলের রাস্তা ঘিরে নিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিতে গ্রামের লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
ইমতিয়াজ বিন হারুন জানান, মাঠে চাষাবাদের কৃষক ও নিজের বাগানে যাতায়াতের জন্য পিন্টুর কাছ থেকে ০.০৫৯৭ একর জমি কিনে জনসাধারণের জন্য পথ করে দিয়েছি। হঠাৎ করে ওই রাস্তা ঘিরে নিয়ে মাঠ ও বাগানে যাতায়াত করা যাচ্ছেনা। এমনকি তার একটি টিনের ছাউনি ছিলো। সে ভাংচুর করে প্রায় ৩৭ হাজার টিনও লুট করা হয়েছে।

গ্রামের বাজারে নিজের হার্ডওয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পিন্টুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি স্বীকার করে বলেন, ইমতিয়াজ তার কাছ থেকে জমি কিনে রাস্তা তৈরী করেছেন। এই জমি কেনার আগে একদিন জেলা শহরে ইমতিয়াজ আমাকে অপমান করেন। তার প্রতিশোধ নিতে জমি ঘিরে নিয়েছি। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে পিন্টু গ্রাম বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত।

বিষয়টি আদালতে গড়ালে মেহেরপুরের বিজ্ঞ বিচারিক আদালত ৬৯/২১ নং দেওয়ানী মোকদ্দমায় একটি আদেশ দেন। আদালত তার রায়ে উল্লেখ করেন, আপিলকারী বাদী ইমতিয়াজ বিন হারুনের ক্রয়কৃত ৬১২ নং দাগের জমি রাস্তা হিসেবে ব্যবহারের জন্য বৈধ।
চলাচলের রাস্তার সঙ্গে যুক্ত ৬১৩ নং দাগের জমি সরকারী খাস খতিয়ানভুক্ত, যা আগেও পতিত ছিল। প্রতিপক্ষ পিন্টু এই সরকারি জমিতে কাটাতারের বেড়া দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন, যা আদালতের নির্দেশনা অনুসারে অবৈধ।

আদালত প্রতিপক্ষকে ১৫ দিনের মধ্যে এই বেড়া অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যথায় মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে আদালতের নির্দেশনার পরও এখনো জমির দখল নিয়ে অচলাবস্থা চলছে।

মেহেরপুর সদর থানার এস আই সুজয় মল্লিক বলেন, বিজ্ঞ আদালতের আদেশে সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে আসামিকে প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে নিতে বলা হলে আসামি বলেন, আদালত থেকে এর ফয়সালা হবে। সেভাবেই প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।




ঝিনাইদহে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত

‘অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন, নারী ও কন্যার উন্নয়ন’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে ঝিনাইদহে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হয়েছে।

শনিবার (৮ মার্চ) সকালে শহরের পায়রা চত্বরে এ উপলক্ষে মানববন্ধন ও পথসভার আয়োজন করে মানবাধিকার ডিফেন্ডার নেটওয়ার্ক।

এতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের সদস্যসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেয়। এতে বক্তব্য রাখেন, ঝিনাইদহ বিসিকের উপ-ব্যবস্থাপক সেলিনা রহমান, মানবাধিকার ডিফেন্ডার নেটওয়ার্কের সভাপতি আমিনুর রহমান টুকু, সাধারণ সম্পাদক শরিফা খাতুন, সদস্য এন এম শাহজালাল, এডাপের সভাপতি মিজানুর রহমান, সদস্য জান্নাতুল ফেরদৌস লাকীসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

মানববন্ধন ও পথসভা শেষে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ওয়েলফেয়ার এফোর্টস (উই) কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।

পরে সেখানে এডাব’র আয়োজনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে বক্তারা নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। নারীদের শিক্ষা, অর্থনৈতিক মুক্তি, সহিংসতা প্রতিরোধ, কর্মক্ষেত্রে সমঅধিকার এবং নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়। আলোচনা সভায় বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সমাজকর্মী, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।