হরিণাকুণ্ডু সালেহা বেগম মহিলা ডিগ্রি কলেজে নবীন বরণ অনুষ্ঠান

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু সালেহা বেগম মহিলা ডিগ্রি কলেজে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রীদের নবীন বরণ, বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল শনিবার (৯মার্চ) দুপুরে কলেজ মাঠে এই নবীন বরণ , ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সালেহা বেগম মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোক্তার আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঝিনাইদহ-২ আসনের সংসদ সদস্য নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আক্তার হোসেন, হরিণাকুণ্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান, ৬নং ফলসী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ্যাড. বজলুর রহমান, ৪নং দৌলতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, ৭নং রঘুনাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বসির উদ্দীন, কলেজ পরিচালনা পরিষদের সদস্য বদিউল আলম, আসমত আলীসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। নবীন বরণ শেষে বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার তুলেদেন প্রধান অতিথি নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল এমপি।




আজিজুল হককে ভাইসচেয়ারম্যান পদে কৃষকলীগের নেতৃবৃন্দের সমর্থন ঘোষণা

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সদস্য আজিজুল হক স্বতন্ত্র ভাইসচেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর কৃষকলীগের নেতৃবৃন্দ তাকে সমর্থন ঘোষণা করেছেন।

আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে কুমারি ইউনিয়নের কামালপুর বটতলা মোড়ে এক আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় নেতৃবৃন্দরা তাদের মতামত ঘোষণা করেন।

এসময় উপস্থিত নেতৃবৃন্দরা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা প্রতিক বিহীন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তারই ধারাবাহিতায় আওয়ামীলীগের পাশাপাশি কৃষকলীগের পক্ষ থেকে ও আজিজুল হককে স্বতন্ত্র হিসেবে ভাইসচেয়ারম্যানে প্রার্থী হয়ে নির্বাচন মাঠে লড়বেন। উপজেলার সকল নেতৃবৃন্দ ঐক্যজোট হয়ে আজিজুল হককে নির্বাচিত করার লক্ষ্যে ভোটের মাঠে থাকবে।

মতবিনিময় ও আলোচনা সভায় পৌর কৃষক লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সৌমেন্দ্রনাথ সাহার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সদস্য আজিজুল হক।

বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার বজলুল করিম, কৃষক লীগ নেতা একরামুল হক বুলু, উপজেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মোতালেব।

পৌর কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহাবুল হকের উপস্থাপনার বক্তব্য রাখেন কৃষক লীগ নেতা আমিরুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, জাহিদ জলিল, হাতেম আলী, আজিবুর রহমান, আব্দুল ওহাব, বাবু অসিত কুমার, হাবিবুর রহমান, রজব আলী, বিপ্লব চন্দ্র দাস, আইয়ুব আলী, ফজলুর রহমান, মইদুল ইসলাম, রতন আলী, রকিব উদ্দিন, রাজু আহমেদ প্রমুখ।




দামুড়হুদায় ৮ কাঠা জমির ফলন্ত ভুট্টা গাছ কেটে তসরুপ

গুনিজনরা বলেন শুত্রুতা যতোই হোক না কেন সম্পদ নষ্ট করতে নেই। গাছের কি দোষ? তেমনি দামুড়হুদা সদরে কে বা কাহারা শুত্রুতা করে ১০ কাঠা জমির ফলন্ত ভুট্টা গাছ কেটে দিয়েছে।

গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে কে বা কাহারা ভুট্টা গাছগুলি কেটে দেয়। আজ শনিবার আনোয়ার হোসেন বাদি হয়ে দুইজনের নাম উল্লেখ করে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

জানাযায়,দামুড়হুদা উপজেলা সদরে মাদ্রাসাপাড়া মৃত ইছাহাক মন্ডলের ছেলে আনোয়ার হোসেন ১০ কাঠা জমিতে ভুট্টা লাগায়। ভুট্টা গাছে কেবল ফল ধরে শেষ হয়েছে। আর একমাস পরে ফসল ঘরে উঠবে আর সে সময় প্রায় ৮ কাঠা জমির ফলন্ত ভুট্টা গাছ কেটে দিয়েছে। এ মর্মে দামুড়হুদা মডেল থানায় দুইজনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে উল্লেখ করে যে দামুড়হুদা মাদ্রাসা পাড়ার শামসুল মোল্লা চেংটার ছেলে নুরআলম ও নুর আলমের ছেলে আশিকদের সহিত দীর্ঘদিন যাবৎ জমি জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছে। তিনি আরো উল্লেখ করেন

দামুড়হুদা থানাধীন ব্রাক অফিস সংলগ্ন বেলে মাঠ নামক মাঠে আমার নিজ নামীয় ১০ কাঠা জমিতে ভূট্টা রোপন করিয়াছিলাম। সেই সুবাদে পূর্বের শত্রুতার জের ধরে গত ইং ০৮/০৩/২০২৪ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৬:৩০ ঘটিকা হইতে অদ্য ইং ০৯/০৩/২০২৪ তারিখ ভোর অনুমান ৫ ঘটিকার সময়ের মধ্যে যে কোন সময়ে তাহারা আমাদের নিজ জমি হইতে ১০ কাঠা জমির মধ্যে ০৮ কাঠা জমির ভুট্টা গাছ কর্তন করিয়াছে, যাহার আনুমানিক মূল্য ৩৫ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা গরীব মানুষ বিভিন্ন জনের কাছে ধার দেনা করে চাষ করছি।আর এগুলি নষ্ট হয়ে গেল।কি করে ধার দেনা পরিশোধ করিবো। আর আমাদের একের পর এক ক্ষতি করিয়া আসিতেছে। ইহা ছাড়া প্রায় সময়ে উক্ত জমি জায়গার বিষয়াদিকে কেন্দ্র করিয়া আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ সহ প্রাণ নাশের হুমকি ধামকী প্রদান করছে। তারা প্রায় সময়ে বলিতো তোদের এমন ক্ষতি করিয়া দেবো তাহা বুঝতেও পারবি না বলিয়া হুমকি দিয়া আসছে।

দামুড়হুদা মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই আসাদুজ্জামান আসাদ সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।




আলমডাঙ্গার কুমারী ইউপিতে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার পদের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত

আলমডাঙ্গা উপজেলার ৩ নম্বর কুমারী ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার পদের সাধারণ উপনির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কুমারী বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৭শত ৭৯ জনের মধ্যে ১ হাজার ৩ শত ৪৮ জন ভোটার তাদের ভোট প্রদান করেছে। নির্বাচনে তিনজন মেম্বার প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। তার মধ্যে টিউবয়েল প্রতীক নিয়ে সুখচান আলী মন্ডল ৫ শত ৩ ভোট পেয়ে সদস্য পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল মোরগ প্রতীকের জাকির হোসেন সুমন। তিনি ভোট পেয়েছেন ৪ শত ৩২ ভোট পরাজিত হয়েছেন। অপরজন ফুটবল প্রতীক নিয়ে সেলিম রেজা ৪ শত চার ভোট পেয়েছেন।

রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব ছিলেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মশিউর রহমান, প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব ছিলেন বিআরডিবির প্রকল্প কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান। কেন্দ্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, আনসারসহ আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্ব পালন করেন।




ঝিনাইদহের শৈলকুপায় জাল সনদে একযুগ ধরে চাকরি!

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার গাড়াগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষক জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে জাল সনদ দিয়ে চাকরি করার সত্যতা মিলেছে। একটি শক্তিশালী বলয়ের নেপথ্য ইশারা আর টাকার দাপটে বছরে পর বছর ভূয়া তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন বলে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ পড়েছে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মখলেছুর রহমানের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবরই দায়সাড়া বক্তব্য দিয়ে এড়িয়ে যেতে চান ।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৩ অক্টোবর উপজেলার গাড়াগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মখলেছুর রহমান সহকারি শিক্ষক হিসাবে চাকরিতে যোগদান করে বর্তমান প্রধান শিক্ষক হিসাবে কর্মরত আছেন। একই দিন নিয়োগ লাভ করেন সহকারি শিক্ষক মো: জাহাঙ্গীর হোসেন। চাকুরিবিধি আর সময়ের প্রয়োজনে বিপত্তি বাসা বাঁধে জাহাঙ্গীর হোসেনের গণিত বিষয়ের জাল নিবন্ধন সনদ নিয়ে। তিনি প্রভাব খাঁটিয়ে ৯০০১০৭৩২/২০০৯ নম্বর রেজিষ্ট্রেশনের সনদটি নিয়োগবোর্ডে দাখিল করেন যার রোল-৩১২১১৫০৮, সিরিয়াল নং-৯০৯৩৫২। উক্ত রোল-রেজিষ্ট্রেশনকৃত সনদটি ভুয়া বলেই অফিস তালিকায় লিপিবদ্ধ নাই।

এ বিষয়ে অভিযোগ পড়ায় সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে কয়েক দফা তদন্ত করে শিক্ষক জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে জাল সনদের সত্যতা মেলে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ শৈলকুপা তৎকালীন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামীম আহম্মেদ খান ও প্রধান শিক্ষক মখলেছুর রহমানকে উক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু তদন্ত প্রতিবেদন ও অফিস আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে আজও বহাল তবিয়তে চাকরিতে আছেন শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন।

গাড়াগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিবরনীতে দেখা যায়, জাহাঙ্গীর হোসেন ১৯৮২ সালের ১২ আগষ্ট জন্ম গ্রহণ করে ১৯৯৭ সালে এসএসসি, ১৯৯৯ সালে এইচএসসি ও ২০০৩ সালে গণিত বিভাগে ৩য় শ্রেণী প্রাপ্ত হয়ে স্নাতক পাশ করে ২০০৪ সালের ১/১১ তারিখে যোগদান দেখানো হয়েছে, যা জালিয়াতির ভয়াবহ নিদর্শন। মূলত ২০০৪ সালের ২৮ অক্টোবর নিয়োগ বোর্ডের রেজুলেশন পর্যালোচনা ও তৎকালীন নিয়োগ কমিটির সভাপতি সাবেক এমপি আব্দুল ওহাব এবং কমিটির অন্যান্য সদ্যদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে ১৫ জন, সহকারি শিক্ষক পদে ৪৯ জন, হিন্দু শিক্ষক পণ্ডিত পদে ৪ জন, সহকারি গ্রন্থাগারিক পদে ৯ জন, দপ্তরি পদে ৫ জন ও নৈশ প্রহরী পদে ৪ প্রার্থী চাকরির আবেদন করেন। যার মধ্যে বর্তমান শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেনের নাম কিংবা আবেদন ছিলনা এমনকি ২০০৪ সালে নিয়োগকৃত কেউ সে সময় জাহাঙ্গীরকে স্কুল আঙ্গিনায় দেখেছেন বলে বলতে পারেন নাই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক বলেন শুধুমাত্র জাল নিন্ধনের গল্প ঢাকতেই রেজুলেশন জোড়াতালি দিয়ে প্রধান শিক্ষক ও একটি শক্তিশালীয় সিণ্ডিকেট বাণিজ্য করে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা চালাচ্ছেন। তারা আরো জানান ২০১১ সালে বর্তমান প্রধান শিক্ষকের নিয়োগ বোর্ডের রেজুলেশনের দিনই জাহাঙ্গীর হোসেন নিয়োগ পান। পরবর্তিতে ২০০৯ সালের গণিত বিষয়ের জাল শিক্ষক নিবন্ধন ধামাচাপা দিতে ভূয়া রেজুলেশনের মাধ্যমে ২০০৪ সালের নিয়োগ দেখানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। বর্তমান তথ্য ছকের চাহিদা পূরন করে চাকুরী বাঁচাতে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন একটি সংজ্ঞবদ্ধ চক্র। অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে বিষয়টি জেলা শিক্ষা অফিসের পরিদর্শক মো: পলাশ, তৎকালীন শিক্ষা কর্মকর্তা শামীম আহম্মেদ ও বর্তমান প্রধান শিক্ষক মখলেছুর রহমান সরাসরি জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। ২০০৪ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত শিক্ষক হাজিরা খাতা, ২০০৪ ও ২০১১ সালের নিয়োগ বোর্ডের রেজুলেশন তদন্ত করলেই অভিযোগের প্রকৃত সত্যতা বেরিয়ে আসবে বলে গাড়াগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একাধিক সদস্য এবং এলাকার সুধিমহল মনে করেন।

অপরদিকে প্রধান শিক্ষক কর্তৃক দাখিলকৃত ২০১১ সালের ১১ অক্টোবর তারিখের কাগজপত্র অনুযায়ী তৎকালীন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম ছায়েদুর রহমান স্বাক্ষরিত এমপিওভুক্তির আদেশ হয়। এ আদেশেও প্রধান শিক্ষক মখলেছুর রহমান ও সহকারি শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেনের নাম প্রেরণ করা হয়। প্রেরিত স্মারক নং-জেশিঅঝি ১৩৪৬, তারিখ ১৩/১১/১১ ইং। সে চিঠিতে গণিত বিষয়ের সহকারি শিক্ষকের যোগ্যতায় জাহাঙ্গীর হোসেন ১৯৮২ সালের ১২ আগষ্ট জন্ম গ্রহণ করে ১৯৯৭ সালে এসএসসি-১ম, ১৯৯৯ সালে এইচএসসি-২য়, ২০০৫ সালে বিএসসি (সম্মান) ৩য়, বিএড-২য় ২০০৮ নিবন্ধন রোল নং-৩১২১১৫০৮ ব্যাংক হিসাব ৮৪৮১ সোনালী ব্যাংক গাড়াগঞ্জ শাখা শৈলকুপা দেখানো হয়েছে।

এছাড়াও ঝিনাইদহ জেলা থেকে ২০০৯ সালে যে ৩০ জন শিক্ষক গণিত বিষয়ে নিবন্ধন সনদ গ্রহণ করেছেন সেখানেও নাম নেই জাহাঙ্গীর হোসেনের। জাল সনদের বিষয়ে তদন্ত পূর্বক অনেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ হলেও গাড়াগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর ব্যতিক্রম। কর্তৃপক্ষের আদেশ উপেক্ষা করে কেন মামলা না করে ভূয়া তথ্যছক প্রেরণ করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান শিক্ষক মখলেছুর রহমান বলেন, জাহাঙ্গীর হোসেনের দাবি তার নিয়োগ ২০০৪ সালে। জালিয়াতি কাগজপত্র প্রেরণের এক প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে তিনি মোবাইল ফোন অফ করে দেন।

বিষয়টি নিয়ে শৈলকুপা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) সুলতান আলী জানান, অনেক পূর্বের ঘটনা লোকমুখে শুনেছি তবে বিস্তারিত জানা নেই, তিনি নতুন এসেছেন অভিযোগ আসলে তদন্ত করা যাবে।




গাংনীর দুটি ইউপিতে ৩টি ওয়ার্ডের উপ-নির্বাচন সম্পন্ন 

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারবাটী ইউনিয়নের ২ নং ও ৩ নং ওয়ার্ড এবং ষোলটাকা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য (মেম্বার) পদের উপ-নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় । নির্বাচনে সাহারবাটী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদে (মোরগ মার্কা) প্রতীক নিয়ে ৬২৫ ভোট পেয়ে মহিবুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী মহাবুবুর রহমান (ফুটবল মার্কা) প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬০৮ ভোট।

এছাড়াও একই ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে মেম্বার পদে আবুল বাসার (মোরগ মার্কা) প্রতীক নিয়ে ৪১৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাবিবুর রহমান কাবেল (ফুটবল মার্কা) প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪১৬ ভোট।

এছাড়াও এ নির্বাচনে শফিউল ইসলাম (তালা মার্কা) প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৫৪ ভােট,হাফিজুল ইসলাম (টিউবওয়েল মার্কা) প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭ ভােট।

অন্যদিকে, ষোলটাকা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডে মেম্বার পদে তহিদুল ইসলাম তুহিন (ক্রীকেট ব্যাট মার্কা ) প্রতীক নিয়ে ৭২৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবু সাইদ (ফুটবল মার্কা) প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬৫৬ ভোট। এছাড়াও আশাদুল ইসলাম (টিউবওয়েল মার্কা) প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৯১ ভােট, রকিবুল ইসলাম (তালা মার্কা) প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৮৩ ভােট ও মহিবুল ইসলাম (মােরগ মার্কা) প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১১৫ ভােট।

সাহারবাটী ও ষোলটাকা ইউনিয়নের উপ-নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার এবং গাংনী উপজেলা নির্বাচন অফিসার কামরুল হাসান আনুষ্ঠানিক ভাবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।

এদিকে, নির্বাচন এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য পুলিশ ও আনসার বাহিনী মোতায়েন করা হয়।

উল্লেখ্য,সাহারাটী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার রফিকুল ইসলাম গত বছরের আগস্টে ও একই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার সাবান আলী গত বছরের অক্টোবর মাসে এবং ষোলটাকা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার ইদ্রিস আলী চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে মৃত্যুবরণ করলে, আসন তিনটি শূণ্য হয়।




দামুড়হুদার কুমারীদহে হয়ে গেল গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী সাপের ঝাপান খেলা

বিষধর সাঁপ দেখে মানুষ ভয় পায়, অথচ সেই সাঁপ নিয়েই আবার খেলা দেখিয়ে মানুষকে আনন্দ দিতে পারেন কেউ কেউ। এরকমই একটি খেলা হচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঝাঁপান খেলা। দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর কুমারীদহে হয়ে গেল গ্রাম বাংলা’র ঐতিহ্যবাহী বিষধর সাপ নিয়ে ঝাঁপান খেলা।

আজ শনিবার সারাদিন ভর উপজেলার দর্শনা থানার চন্ডিপুর গ্রামের সাপুড়ে আলমের দল এবং দামুড়হুদা থানার তারিনীপুর গ্রামের নজু সাপুড়ে দল। এই দুই দল সাপুড়ে দলের অর্ধশতাধিক সাপের মধ্যে নিজেকে সেরা প্রমাণ করতে প্রতিটি সাপ প্রদর্শন করে নিজেদের আকর্ষণীয় কলাকৌশলে। আর এ দুর্লভ দৃশ্য দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন দর্শনার্থীরা। মানুষকে এ আনন্দ দেওয়াটাই যেন সাপুড়েদের মূল উদ্দেশ্য।

দুপুরের পর থেকেই ঝাপান খেলা দেখতে দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের জয়রামপুর কুমারীদহ গ্রামে ভিড় করে শত শত মানুষ। বাদ্যের তালে তালে সাপুড়েকে নিজে নাচতে হয় আর সঙ্গে ফনা তুলে সাপও বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করে। সাপুড়ের ইশারায় সাপের এই অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন মানুষকে দেয় অনাবিল আনন্দ। আর তাই এই দুর্লভ দৃশ্য দেখতে দূরদুরান্ত থেকে ছুটে এসেছেন দর্শনার্থীরা।

যশোর থেকে আসা শিউলী খাতুন নামের এক গৃহবধূ বলেন, আমি জীবনের প্রথম ঝাপান খেলা এখানে এসে দেখছি। আমার খুব ভালো লেগেছে। আমি চাইব এ ধরনের আয়োজন যেন প্রতি বছর করা হয়। সালেহা বেগম নামের অপর এক গৃহবধূ বলেন, আমি শহরে থাকি। ঝাপান খেলার কথা শুনে আমার বাচ্চাদের নিয়ে এসেছি। আমিও দেখছি আমার বাচ্চারাও দারুণ উপভোগ করছে। সাপ সম্পর্কে ওদের ধারণা হচ্ছে।

হাউলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ভারপ্রাপ্ত নিজাম উদ্দিন বলেন, গ্রাম বাংলা প্রাচীন ঐতিহ্য নতুন প্রজন্ম বা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন পৃষ্ঠপোষকতার। আর বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী দর্শকরা তা উপভোগ করে নীরবতায়। ঝাপান খেলা বা সাপ খেলা একটি গ্রামীণ ঐতিহ্যের অংশ, যা একসময় গ্রাম বাংলায় বিভিন্ন দিবস বা ঘরোয়া আয়োজনে দেখানো হতো। কিন্তু প্রযুক্তি আর আধুনিকতার ছোঁয়ায় দিন দিন এসব খেলা হারিয়ে যাচ্ছে। তাই এই হারিয়ে যাওয়া এতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন এমন আয়োাজনের।

দামুড়হুদার হাউলী ইউনিয়নের তারিনী পুর গ্রাম থেকে আসা নজরুল ইসলাম ওরফে নজু সাপুড়ে বলেন, মূলত আমাদের পেশা এটা না। আমরা মানুষকে আনন্দ দিয়। আর খেলা করে আনন্দ পাই। এ জন্যই দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে ঝাপান খেলা করি।

কুমারীদহ গ্রামের মাতব্বর নুর নবী বলেন বিভিন্ন এলাকা থেকে বয়োবৃদ্ধ, নারী-পুরুষ, শিশুরা উপস্থিত থেকে নিবিড় দৃষ্টিতে সাপের খেলা উপভোগ করেন। এই খেলাকে ঘিরে এখানে সৃষ্টি হয় উৎসবের আমেজ।

গ্রামবাংলার ঐতিহ্য যে এত মনোমুগ্ধকর, ঝাপান খেলা না দেখলে বোঝা যাবে না। আয়োজকের ভাতিজা সাগর হোসেন বলেন, চিরায়ত বাংলার ঐহিত্যবাহী এ খেলা দিন দিন হারিয়ে যেতে বসেছে। হারিয়ে যাওয়া এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে আর এলাকার মানুষকে একটু আনন্দ দিতেই এ আয়োজন।

খেলায় দর্শনা থানার চন্ডিপুর গ্রামের আলম সাপুড়ের দলকে হারিয়ে দামুড়হুদার হাউলী ইউনিয়নের তারিনীপুর গ্রামের নজু সাপুরের দল প্রথম হয়। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী বিষধর সাপ নিয়ে ঝাপান খেলাটি আয়োজক করেন, হাউলী ইউনিয়নের জয়রামপুর কুমারীদ গ্রামের কলম ফকির।




ঝিনাইদহে নারী উদ্দ্যোক্তা মেলা অনুষ্ঠিত

ঝিনাইদহে নারী উদ্দ্যোক্তা মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার দিনব্যাপি ঝিনাইদহ ওয়াজির আলী স্কুল এ্যান্ড কলেজ মাঠে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

হোম বেইজড গার্মেন্টস নারী শ্রমিকদের অংশ গ্রহনে অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশ এর সহায়তায় ওয়েলফেয়ার এফোর্টস (উই) এর আয়োজনে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

মেলায় ঝিনাইদহ পৌরসভা, কালিচরণপুর ও পাগলাকানাই ইউনিয়নের ১৬টি দল অংশ গ্রহন করেন। সকালে মেলার উদ্বোধন করেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া আক্তার চেীধুরী। পরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় বক্তব্য রাখেন ঝিনাইদহ বিসিক এর উপ-ব্যবস্থাপক সেলিনা রহমান, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নিলুফার রহামন, নুরুন নাহার মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও জেলা জোটের আহ্বায়ক এনএম শাহাজালাল, ওয়েলফেয়ার এফোর্টস (উই) এর পরিচালক শরিফা খাতুন, ওয়াজির আলী স্কুলের প্রধান শিক্ষক নাহিদ আক্তার, মহিলা কাউন্সিউলার বুলবুলি খাতুন, ফারহানা রেজা আনজু, আস্থার সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, জেলা জোটের সদস্য ও ডেইলি অবজারভারের ডিস্ট্রিক করোসপোনডেন্ট জাফর উদ্দীন রাজু, সাংবাদিক কামরুজ্জামান ও ইসি কমিটির সভাপতি সালেহা বেগমসহ অন্যান্যরা।

আলোচনা শেষে নারীদের বালিশ বদল, টেনিস বল নিক্ষেপ ও দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সমৃদ্ধি প্রকল্পের সমন্বকারী মো: ছাব্দার হোসেনের উপস্থাপনায় সভাপতিত্ব করেন আমেনা খাতুন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আমিনুর রহমান টুকু। বিকালে অনুষ্ঠানে পুরুস্কার বিতরণের মাধ্যমে মেলার সমাপনী ঘোষণা করা হয়।

সমাপনী অনষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আরতী দত্ত, উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার আব্দুল হাই সিদ্দিক, উত্তরা ব্যাংকের ব্যবস্থাপক প্রশান্ত কুমার বর্মনসহ জেলা জোটের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।




ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে।এতে দুই হাজারেও বেশি অসহায় দরিদ্র মানুষকে ফ্্ির চিকিৎসা ও বিনামূল্যে ওষুধ দেয়া হয়েছে।

আজ শনিবার( ৯ মার্চ) সকাল দশ টার সময় উপজেলার পাইলট স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।

আদ্ দ্বীন ফাউন্ডেশন ও জাহেদী ফাউন্ডেশন এর যৌথ উদ্যোগে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।

ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ-২ আসনের এমপি মোঃ নাসের শাহরিয়ার জাহেদী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আদ দ্বীন ফাউন্ডেশন এর নির্বাহী পরিচালক শেখ মোঃ মহিউদ্দিন, হরিণাকুন্ডু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আক্তার হোসেন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউর রহমান। সভাপতিত্ব করেন অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়াার জেনারেল রুশো।

প্রধান অতিথি সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলেন এ ধরনের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প হরিণাকুন্ডুতে সব জায়গায় পর্যায়ক্রমে হবে এবং জাহেদী ফাউন্ডেশন ও আদ্দ্বীন ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে ডায়াবেটিক, ফ্রি স্ক্যানিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান। এই ক্যাম্পে ১৬ জন ডাক্তার দ্বারা প্রায় ২হাজার ডায়াবেটিস ও চক্ষুরোগীকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।




সিরিজ নির্ধারনী ম্যাচে বোলিংয়ে বাংলাদেশ

তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। সিরিজটি ১-১ এ সমতায় আছে। তাই দু’দলের জন্য ম্যাচটি ‘অলিখিত ফাইনাল’। সিরিজ নির্ধারনী ম্যাচে শনিবার (৯ মার্চ) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত। এই নিয়ে টানা তিন ম্যাচেই টস জিতেলেন এই টাইগার অধিনায়ক।

সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও জাকের আলির ব্যাটে জয়ের খুব কাছে গিয়েও হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। ৩ রানের হার দিয়ে সিরিজ শুরু করে টাইগাররা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে দাপুটে জয়ে সিরিজে সমতা আনে বাংলাদেশ।

শান্তর অপরাজিত ফিফটিতে ৮ উইকেটের জয় পায় টাইগাররা। সিরিজে সমতা এনে বেশ আত্নবিশ্বাসী শান্তর দল। এই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করে নিতে চায় বাংলাদেশ। এই ম্যাচে অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে নামছে টাইগাররা।

অন্যদিকে জয় দিয়ে সিরিজ শুরু করলেও দ্বিতীয় ম্যাচ হেরে কিছুটা ব্যাকফুটে শ্রীলঙ্কা। তবে এই ম্যাচ জিতে সিরিজ জিততে চায় লঙ্কানরা। এই ম্যাচে তিন পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামছে লঙ্কানরা। নিষেধাজ্ঞা কাঁটিয়ে এই ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।

বাংলাদেশ একাদশ: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন দাস, সৌম্য সরকার, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন ও জাকের আলী।

শ্রীলঙ্কা একাদশ: ধানাঞ্জায়া ডি সিলভা, কুশল মেন্ডিস, কামিন্দু মেন্ডিস, সাদিরা সামারাবিক্রমা, চারিথ আসালাঙ্কা (অধিনায়ক), অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস, দাসুন শানাকা, মহীশ তিকশানা, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, বিনুরা ফার্নান্ডো, নুয়ান থুসারা।

সূত্র: ইত্তেফাক