মহেশপুরে প্রতিবন্ধী নারীকে নির্যাতনের ঘটনায় ৫ জন আটক

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় মানসিক প্রতিবন্ধী নারীকে অমানসিক নির্যাতন করার ঘটনায় ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (০৪মার্চ) রাতে উপজেলার খোশালপুর গ্রাম থেকে নির্যাতনকারী ওই ৫ জনকে আটক করে পুলিশ।

আটককৃতরা হলো-খোশালপুর গ্রামের জলিল তরফদারের ছেলে মুহিত তরফদার, তার ছেলে রাব্বি তরফদার, নুরুল আমিনের ছেলে তারিখ মনোয়ার, সানোয়ার হোসেনের ছেলে উসমান আলী ও নেপা গ্রামের খায়রুল ইসলামের ছেলে নাজমুল হোসেন।

মহেশপুর থানার ওসি মাহাব্বুর রহমান জানান, সোমবার বিকেলে ওই এলাকার কাপড় ব্যবসায়ী মহির উদ্দিনের দোকানের সামনে শুয়ে ছিলো ৪৫ বছর বয়সী এক নারী প্রতিবন্ধী। দুপুর ৩ টার দিকে মহির উদ্দিনের ছেলে রাব্বি হোসেন ওই নারীকে দোকানের সামনে থেকে চলে যেতে বলে। ওই নারী চলে না গেলে তাকে লাঠি দিয়ে গুতা দেয় রাব্বি হোসেন। সেসময় ওই নারী রাব্বীর দিকে ছুটে যায়।

পরে দোকান খোলার পর মানসিক প্রতিবন্ধী ওই নারী দোকানে ঝোলানো তালা খুলে ফেলে। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে মহির উদ্দিন, তার ছেলে রাব্বি, পাশের দোকানি নাজমুলসহ ৫জন ওই নারীকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। দোকানের সামনে ফেলে মাথায় আঘাত করা হয়। এ ঘটনায় একটি ভিডিও স্থানীয় এক যুবক ধারণ করে।

বিষয়টি জানাজানি হলে রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই ৫ জনকে আটক করা হয়। মানসিক প্রতিবন্ধী নারীর পরিচয় না পাওয়ায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করে আসামীদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।




ঝিনাইদহে দিনব্যাপী কৃষি উদ্যোক্তা মেলা

মধ্যস্বত্তভোগীদের দৌরাত্ব দুর করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষি উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্য দেশের বিভিন্ন স্থানের ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দিতে ঝিনাইদহে কৃষি উদ্যোক্তা মেলা ও সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দিনব্যাপী ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কার্যালয় চত্বরে এ মেলা ও সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

উইম্যান এন্ড ই-কমার্স (উই)’র সহযোগিতায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও স্মার্ট এগ্রিকালচার ফর ফারমার্স এ্যান্ড এন্টারপ্রেনিয়রস(সেইফ)।

ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আজগর আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সেইফ’র প্রতিষ্ঠাতা প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ’র সহধর্মীনি আরিফা জেসমিন কনিকা, ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদ, ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রথীন্দ্রনাথ রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া, উই’র প্রেসিডেন্ট নাসিমা আক্তার নিশা, উপদেষ্টা মেজর অব: কবির সাকিব, নির্বাহী পরিচালক আইরিন পারভীনসহ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বৃন্দ।

বক্তারা, কৃষি উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্য ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরাসরি পাঠাতে সেইফ, উই’র সহযোগীতা নেওয়ার আহ্বান জানান। সেই সাথে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে আরও যত্নশীল হওয়ার আহ্বান জানান। দিনব্যাপী এই উদ্যোক্তা সম্মেলনে জেলার বিভিন্ন উপজেলার ৩’শ ৫০ জন নারী-পুরুষ কৃষি উদ্যোক্তা অংশ নেয়। এছাড়াও প্রদর্শণ করা স্টল।




হারের ম্যাচেও মন কাড়লেন জাকের

গেল বছরের ৪ অক্টোবর চীনের হাংজুতে লাল-সবুজের জার্সিতে অভিষেক হয়েছিল জাকের আলি অনিকের। এশিয়ান গেমসে মালেয়েশিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টির সেই ম্যাচে ১৪ বলে ১৪ করেছিলেন।

এর পরে সেই টুর্নামেন্টে আরও দুটি ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। এবার জাতীয় দলের জার্সিতে নেমে চমক দেখালেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। বলা চলে, মূল দলের হয়ে এটিই জাকেরের অভিষেক ম্যাচ।

আর সেই ম্যাচেই এক মাইলফলক গড়েছেন তিনি। ২০০৭ সালে জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭১ রান করেছিলেন জুনায়েদ সিদ্দিকী। প্রায় ১৭ বছর পরে সেই রেকর্ডের কাছে গিয়েও ফিরেছেন তিনি।

দলের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ৩৪ বলে ৬৮ রান করে ফেরেন তিনি। যেখান স্ট্রাইক রেট ছিল ২০০। আর ছয় নম্বরে নেমে ১ চারের সঙ্গে ৬টি ছক্কায় স্রেফ ২৫ বলে পঞ্চাশ পূর্ণ করেন ২৬ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান।

এই সংস্করণে বাংলাদেশের হয়ে এক ইনিংসে এটিই সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড। তবে তার এই রান শেষ পর্যন্ত কাজে লাগেনি বাংলাদেশের। জয়ের খুব কাছে গিয়েও মাত্র ৩ রানে হারতে হয়েছে টাইগার বাহিনীকে। এ দিকে নাজমুল হোসেন শান্তরা হারলেও জাকেরের ব্যাটিং মন কেড়েছে ভক্তদের।

সূত্র: ইত্তেফাক




আম্বানির ছেলের বিয়েতে কত টাকা পেলেন শাহরুখ খান?

পুরো বলিউডকে ভারতের গুজরাটের জামনগরে হাজির করেছেন ভারতের ধনকুবের রিলায়েন্স গোষ্ঠীর কর্ণধার মুকেশ আম্বানি। উদ্দেশ্য, তার ছেলে অনন্ত আম্বানির বিয়ে। বলিউডের নামিদামি তারকারা হাজির হন ওই অনুষ্ঠানে। নেচে-গেয়ে মাত করেছেন অতিথিদের।

আগামী ১২ জুলাই সাতপাকে বাঁধা পড়বেন অনন্ত আম্বানি-রাধিকা মার্চেন্ট। সেই স্কুল জীবন থেকে তারা বন্ধু। কিন্তু বিয়ের কয়েক মাস আগেই অনুষ্ঠিত হলো প্রাক-বিবাহ অনুষ্ঠান। ১-৩ মার্চ পর্যন্ত চলে এই অনুষ্ঠানে। এতে ধারাবাহিকভাবে যোগ দেন বলিউডের তারকারা।

যেখানে ছিলেন বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান থেকে শুরু করে সালমান, আমির, সাইফ আলি খানরাও। এই অনুষ্ঠানেই একসঙ্গে মঞ্চ মাতাতে দেখা যায় তিন খানকে। নাচে গানে মেতে ওঠেন তারা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আম্বানির ছেলের বিয়েতে পারফর্মের জন্য পারিশ্রমিকও পেয়েছেন তারা। কিন্তু সেই পারিশ্রমিকের পরিমাণ কত?

সাধারণতেএকটি বিয়ের জন্য নাকি ৩ কোটি টাকার মতো পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন শাহরুখ। এর আগে শিল্পপতি লক্ষ্মী মিত্তলের মেয়ের বিয়েতে নেচেছিলেন বলিউড বাদশাহ। সেখানে প্রায় ৪ কোটি টাকা পেয়েছিলেন এই অভিনেতা।

২০০৪-২০১২ পর্যন্ত প্রায় ২৫০টি এমন নামি ব্যক্তিত্বদের বিয়ের অনুষ্ঠানে নাচ করে শাহরুখ নাকি ২০০ কোটি রোজগার করেছিলেন। অনন্ত-রাধিকার বিয়ের আগের এই উদ্‌যাপনেও নাকি প্রায় ২ থেকে ৩ কোটি টাকা পেয়েছেন কিং খান। এর পর আলিয়া ভাট পেয়েছেন দেড় কোটি। তবে সালমান-আমিরদের পারিশ্রমিকের সংখ্যাটা জানা যায়নি।

সূত্র: যুগান্তর




মেহেরপুরে খুচরা সার বিক্রেতা সমিতির মানববন্ধন

বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত খুচরা সার ব্যবসায়ীদের লভ্যাংশ বৃদ্ধি ও সকল প্রকার সার বি.সি.আই.সি ডিলার কর্তৃক সরবরাহের নিশ্চয়তা দাবিতে মানববন্ধন করেছে মেহেরপুর জেলা খুচরা সার বিক্রেতা সমিতি।

মঙ্গলবার সকালে মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মেহেরপুর জেলা খুচরা সার বিক্রেতা সমিতির মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা খুচরা সার বিক্রেতা সমিতির সভাপতি মোঃ শাহিনুল ইসলাম শাহীন।
মেহেরপুর জেলা খুচরা সার বিক্রেতা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন, গাংনী উপজেলা খুচরা সার বিক্রেতা সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান, মুজিবনগর উপজেলা খুচরা সার বিক্রেতা সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব হোসেন সহ ১৪০ জন সার ব্যাবসায়ী উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে মেহেরপুর কমিউনিটি সেন্টার থেকে মেহেরপুর জেলা খুচরা সার বিক্রেতা সমিতির র‍্যালি বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এরপর মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।




মেহেরপুরে প্রতি সাড়ে ৪ ঘন্টায় ১টি তালাক

সারাদেশে তালাকের হার বাড়ছে। এই হারটা রীতিমতো ভয়াবহ। দেশের সবচেয়ে ছোট জেলা মেহেরপুরে প্রতি সাড়ে ৪ ঘন্টায় ১টি তালাক হচ্ছে। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে এই জেলাতে তালাক হয়েছে প্রতিদিন গড়ে ৫ টি করে।

মেহেরপুর জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী ২০২২ সালে জেলাতে মোট ২১ শত বিবাহের পাশাপাশি ১৯২৯ টি তালাক রেজিস্ট্রি করা হয়েছে। এই চিত্রটিই উদ্বেগের।

একাধিক নিকাহ্ রেজিস্ট্রারের সাথে কথা বলে জানা গেছে বর্তমানে তালাকের কারণ হিসাবে যৌতুক ও শারিরীক নির্যাতনের অভিযোগ প্রায় শুণ্যের কোঠায়। বিগত ২/৩ বছরে তালাকনামায় যে কারনগুলি প্রদর্শিত হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও টিকটকের অতিরিক্ত আসক্তি। স্ত্রীর পিতা-মাতার স্বামীর পরিবারে বিভিন্ন সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত হস্তক্ষেপের প্রবণতা। সঠিকভাবে স্ত্রীর ভরণ পোষণ করতে না পারা, যৌন অক্ষমতা এবং স্বামী-স্ত্রী উভয়েয় পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া।

মেহেরপুর জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয় প্রদত্ত তথ্য মতে সদর উপজেলায় ৭ জন, মুজিবনগর উপজেলায় ৪ জন এবং গাংনী উপজেলাতে ১১ জন সরকার নিবন্ধিত নিকাহ্ রেজিস্ট্রারের (কাজী) মাধ্যমে ২০২২-২৩ অর্থবছরে মেহেরপুর সদর উপজেলায় ৮০২ টি বিবাহের বিপরীতে ৯৭৪ টি তালাক, মুজিবনগর উপজেলায় ৫৫২ টি বিবাহের বিপরীতে ২৩৩ টি তালাক এবং গাংনী উপজেলায় ৭৪৬ টি বিবাহের বিপরীতে ৭২২ টি তালাক নিবন্ধিত হয়েছে। এর পাশাপাশি রয়েছে প্রচুর বাল্যবিবাহ। বাল্যবিবাহ ও এর পরিপেক্ষিতে পরবর্তীতে সংঘটিত তালাকগুলি আইনগত ভাবে লিপিবদ্ধ হয়না। বিষয়গুলি আদালতে গড়ায়। ফলে এই পরিসংখ্যান সঠিক ভাবে উঠে আসে না।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২২’ শীর্ষক জরিপের তথ্য অনুযায়ী মেহেরপুর জেলায় ২২ সালে মোট জনসংখ্যা ৭ লাখ ৫ হাজার ৩৫৬ জন। প্রতি হাজার জনসংখ্যার বিপরীতে জেলায় বিবাহের হার ২২ এবং তালাকের হার ২.৭। সে অনুযায়ী ২০২২ সালে মেহেরপুর জেলায় মোট বিবাহের সংখ্যা ১৫ হাজার ৫ শত ১৫ টি এবং তালাকের সংখ্যা ১৯০৪ টি।

তবে বিবিএস জরিপের তথ্যে তালাকের পরিসংখ্যান জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের সাথে কিছুটা কসামঞ্জস্যপূর্ণ হলেও মোট বিবাহের বিবাহের তথ্যে রয়েছে বিস্তর ফারাক।

এবিষয়ে মেহেরপুর জেলা পরিসংখ্যান অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ বসির উদ্দিন বলেন, জনশুমারীর ক্ষেত্রে প্রত্যেকের দোরগোড়ায় যাওয়া হয়। সেখানে ভূলের সম্ভাবনা নেই। তবে বিবাহ-তালাকের পরিসংখ্যানের ক্ষেত্রে একটি স্যাম্পল এরিয়া নির্ধারণ করে ফলাফল বের করা হয়। এক্ষেত্রে প্রকৃত সংখ্যার সাথে জরিপের ফলাফলে সংখ্যাগত কিছু ব্যাত্বয় ঘটতে পারে।

বাংলাদেশের ট্র্যাডিশনাল সমাজ মনে করে, বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অমিল তৈরি হলে বা বনিবনা না হলে, চট করে একটি বাচ্চা নেওয়া উচিৎ। তাহলে সম্পর্ক টিকে যাবে। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। তখন সন্তান এই নাটকের অংশ হয়ে যায়, তার জীবন হয়ে যায় বিভীষিকাময়। কারণ, শিশু যদি দেখে বাবা-মায়ের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি, ভুল বোঝাবুঝি, মারামারি বা শীতল সম্পর্ক চলছে, তা সন্তানের ওপর অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

মেহেরপুর পৌর এলাকার একজন নিকাহ রেজিস্ট্রার খায়রুল ইসলাম(বাশার)। তিনি ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩৮ টি বিবাহ ও ১০০ টি তালাক রেজিস্ট্রি করেছেন। আর ২৩-২৪ অর্থ বছরে এখন পর্যন্ত ৩৩ টি বিবাহ ও ৮৫ টি তালাক রেজিস্ট্রি করেছেন।

খাইরুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘ জেলাতে তালাকের হার পল্লী অঞ্চলে শহরের তুলনায় প্রায় ৮২ শতাংশ বেশি, এটিই উল্লেখযোগ্য তথ্য। শহরের ধনী ও মধ্যবিত্ত পরিবারের দম্পতিরা বিভিন্ন কারণে যে বিষাক্ত সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করলেও গ্রামের মানুষ সেটা করছেন না। বর্তমানে ক্রমবর্ধমান তালাকের আরেকটি বড় কারণ হচ্ছে সংসারের বিভিন্ন খুটিনাটি বিষয়ে বাবা-মা মেয়ের সংসারে অতিরিক্ত হস্তক্ষেপ করতে চান। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই সম্পর্ক বিষাক্ত হয়ে উঠছে। যার শেষ পরিণতি বিচ্ছেদে গড়াচ্ছে। তবে এত কিছুর মধ্যেও উল্লেখযোগ্য একটা ব্যাপার হলো বর্তমানে তালাকের কারণ হিসেবে যৌতুক ও শারিরীক নির্যাতনের অভিযোগ তেমন দেখা যাচ্ছে না।’

মেহেরপুর সদর উপজেলার নিকাহ রেজিস্ট্রার আব্দুল মাবুদ জানান ২০২২-২৩ অর্থবছরে তার কাছে ১৪৫ টি বিবাহ ও ২৪৫ টি তালাক রেজিস্ট্রি হয়েছে। আর ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত তার মাধ্যমে ১১৩ টি বিবাহ ও ২১৬ টি তালাক রেজিস্ট্রি হয়েছে।

আব্দুল মাবুদ আরও বলেন, ‘বাল্য বিবাহের কারনে তালাক বেশি হচ্ছে। এছাড়াও এ অঞ্চলে তালাকের একটি বড় কারণ হলো স্বামী বিদেশে থাকা। এক্ষেত্রে লক্ষ্যণীয় প্রবাস থেকে স্বামীর পাঠানো টাকার হিসাব না রাখা, যত্রতত্র খরচ করা এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্বামীর অবর্তমানে পরকীয়া জড়িয়ে পড়া। ‘

মেহেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সদস্য অ্যাডভোকেট সেলিম রেজা কল্লোল বলেন, ‘ যে সকল বিবাহ বিচ্ছেদ আদালতের মাধ্যমে সম্পন্ন হচ্ছে সেগুলোর কারণ অনুসন্ধান করলে স্পষ্ট হয় যে সমাজে নৈতিকতার পতন ঘটেছে। মূল্যবোধের অবক্ষয় হয়েছে। নারী-পুরুষ বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কে জড়াচ্ছে, স্ত্রী স্বামীকে মানতে বা তার অধিনে থাকতে চাইছেন না। মূলত এসকল কারণেই বিবাহ বিচ্ছেদ বাড়ছে। বর্তমানে নারীরা অতিরিক্ত স্বাধীনতাকামী। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা স্বাবলম্বী হতে চায়, এবং স্বাবলম্বী হতে যেয়ে অনেকেই অনৈতিক পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ছেন। অনেকে আবার প্রবাসে থাকা স্বামীর অনুপস্থিতিতে স্বামীর পাঠানো টাকা তসরুপাত সহ পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছে। ‘

অপর এক আইনজীবী এডভোকেট মিজানুর রহমান বলেন, ‘মূল কথা হলো, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে বিশ্বাস হারিয়ে গেলে তা একটি অস্বাস্থ্যকর ও লোক দেখানো সম্পর্কে পরিণত হয়। তখন সন্তান, দায়-দায়িত্ব সব কিছুই ঠুনকো হয়ে পড়ে। সম্পর্কটা হয়ে যায় সাংঘর্ষিক। নানা রকম আলাপ-আলোচনা করেও যখন সমন্বয় করা যায় না, তখন বিয়ে বিচ্ছেদ ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না।’




গাংনীতে অফিস সহকারি রেজাউল হকের বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে কর্মরত অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর রেজাউল হকের বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।

গাংনী উপজেলার বালিয়াঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক পেনশনরত অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন। পারিবারিক পেনশন চালু করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে অফিসে আসলে সুযোগ বুঝে মোটা অংকের টাকা ঘুষ চেয়ে বসেন অফিস সহকারি রেজাউল হক।

এবিষয়ে রেজাউল হকের বিরুদ্ধে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী নাসরুল্লাহ আল জাদীদ নামের এক ব্যাক্তি। তবে ঘুষ নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারি মো: রেজাউল বলেন, আমি ষড়যত্ন্রের মধ্যে পড়েছি।

তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রিতম সাহা।

জানাগেছে, ২০১১ ইং সালে গাংনী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার পদে যোগদান করেন মো: রেজাউল হক। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে একই প্রতিষ্ঠানে তিনি কর্মরত থাকা অবস্থায় অফিসে কাজ নিয়ে আসলে শিক্ষকদের নানা ভাবে হয়রানী করে আসছেন রেজাউল হক। রেজাউল হকের অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে মাঝেমধ্যে শিক্ষকদের মুখে শোনাযায় নানা গুঞ্জন। তবুও তিনি এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বহাল তবিয়তে চাকুরি করে চলেছেন একই প্রতিষ্ঠানে । এনিয়ে নানা প্রশ্ন জনমনে।

লিখিত অভিযোগে জানাগেছে, গত-১৪/২/২০২৪ তারিখে পেনশনরত অবস্থায় মৃত্য বরণ করেন উপজেলার বালিয়াঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আবু তাহের। তার মৃত্যুর পর চলমান পেনশন তার স্ত্রীর নামে চালু করার জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেন। উক্ত কাগজপত্র জমা নেয়ার সময় ১০ হাজার টাকা ঘুষ দাবী করেন অফিস সহকারি রেজাউল হক। কাগজ জমা দেয়ার মুহুর্তে ২ হাজার টাকা অগ্রীম জমা নেন রেজাউল হক। বাঁকী টাকা পরিশোধ করার পর কাগজপত্র সম্পন্ন করা হবে বলে জানান রেজাউল হক। বিষয়টি জানাজানি হলে শিক্ষকদের মধ্যে জমা বাধে ক্ষোভ।

গতকাল সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে প্রয়াত শিক্ষক আবু তাহেরের ছেলে নাসরুল্লাহ আর জাদীদ অফিস সহকারি রেজাউল হকের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে অফিস সহকারি রেজাউল হকের ঘুষ বানিজ্য ও অন্যান্য দুর্নীতি ক্ষাতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানানো হয়।

ভুক্তভোগী নাসরুল্লাহ আল জাদীদ জানান, আমার বাবার পেনশনের টাকায় আমাদের সংসার চলে। বাবার মৃত্যুর পর আমরা খুবই মানবেতর জীবন যাপন করছি। এমুর্তে বাবার পেনশনের টাকা ছাড়া সংসারে অন্ধকার নেমে এসেছে। আমি কয়েকদিন আগে বাবার পেনশনটি আমার মায়ের নামে পরিবর্তন করার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে যায়। অফিসের সহকারি মো: রেজাউল হক আমাদের পরিবারের অসায়ত্নকে পুঁজি করে ১০ হাজার টাকা দাবী করেন। আমার কাছে মাত্র ২ হাজার টাকা ছিল আমি কাজ শুরু করতে বল্লে সেই ২ হাজার টাকা নিয়ে নেন। বাঁকী টাকা পরিশোধ করা হলে কাজে হাত দেবেন বলে জানান অফিস সহাকির মো: রেজাউর হক। বিষয়টি আমি আমার বাবার অন্যন্য সহকর্মিদের জানালে তাদের মধ্যে ক্ষোভ শুরু হয়।

এবিষয়ে সকলেই উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরারবর লিখিত অভিযোগ করতে পরামর্শ দেন। আমি সে মোতাবেক গতকাল সোমবার লিখিত অভিযোগ করেছি। তিনি আরও জানান, শুধু আমি নয়, আমার মত অনেক মানুষই রেজাউল হকের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন। বিভিন্ন কাজ নিয়ে দিনের পর দিন হয়রানী হলেও অনেকেই মুখ খলতে চাইনা। আমি ওই কর্মচারীর বিচার চাই। তাছাড়া তিনি একই প্রতিষ্ঠানে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে চাকরি করছেন কিভাবে এমন প্রশ্ন করেন সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে।

তবে অফিস সহকারি রেজাউল হক ঘুষ নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি কোন টাকার দাবী করিনি। আমার বিরুদ্ধে শিক্ষকরা ষড়যন্ত্র করছেন। এসময় অফিসে শিক্ষকদের আনাগোনা দেখে অফিস ছুটির আগেই দ্রত অফিস থেকে সটকে পড়েন রেজাউল হক।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি পারভেজ সাজ্জাদ রাজা বলেন, ঘুষ নেয়ার বিষয়টি আমাকে জানানো হলে আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরারবর আবেদন করতে বলেছি। তবে একজন শিক্ষকের মৃত্যুর পর তার পরিবারকে জিম্মি করে ঘুষ দাবী করা খুবই দুঃখ জনক। আমিও এর সুষ্ঠ বিচার দাবী করছি।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ নাসির উদ্দীন বলেন, আমার অফিসের অফিস সহকারি রেজাউল হকের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি আবেদন করেছেন আবু তাহেরের ছেলে নাসরুল্লাহ আল জাদীদ। উক্ত আবেদনটি আমার বরাবর প্রেরণ করেছেন। আমি একটি তদন্ত কমিটি করে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখবো। এর সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যারের সাথে অলাপ করে পরবর্তী করনীয় সম্পর্কে জানাতে পারবো॥

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা বলেন, আমার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি তদন্ত করা হবে। অভিযোগ প্রমানিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব॥




গাংনী এমবিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

গাংনীর এম বি কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল সোমবার দুপুরে সকালে এম বি কে মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রঙ্গনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন সদ্য সাবেক সভাপতি শহিদুল ইসলাম। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, রেজুলেশনে আমার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বিধি বহির্ভুতভাবে গোপনে বিদ্যালয়ের কমিটি গঠন করে যশোর শিক্ষা বোর্ডে প্রেরণ করেছে।

বিদ্যালয়ের পূর্ণাঙ্গ ম্যানেজিং কমিটি গঠনের যে বিধান, খসড়া ভোটের তালিকা, চুড়ান্ত ভোটের তালিকা, ছাত্র ছাত্রীদের পড়ে শোনানো হয়নি। এছাড়া নোটিশ বোর্ডে প্রকাশ করা হয়নি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওই রেজুলেশনে আমার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে খসড়া ও চুড়ান্ত ভোটার তালিকা করেছেন। অসাধু উপায়ে টাকার লেনদেন করে আব্দুর রব নামের একজনকে যশোর শিক্ষা বোর্ড প্রেরণ করেছে। সেটা জানার পরে আমি যশোর শিক্ষা বোর্ডে বিদ্যালয় পরিদর্শককে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। মেহেরপুর জেলা প্রশাসককে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছেন শিক্ষা বোর্ড।

অবৈধ প্রক্তিয়ায় জড়িত প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেনসহ এর সাথে জড়িত সবাইকে কঠোর শাস্তির দাবী করছি। এসময় কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




গাংনীকে ট্রাফিক পুলিশের অভিযান, মামলা দায়ের ও মোটরসাইকেল জব্দ

মেহেরপুর ট্রাফিক পুলিশের ঝটিকা অভিযানে চেকপোস্ট বসিয়ে মোটরসাইকেল আটক ও মালিককে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আজ সোমবার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের গাংনী উপজেলা শহরের কাথুলি মোড় ও মালশাদহ নামক স্থানে পৃথক অভিযান চালানো হয়।

মেহেরপুর ট্রাফিক পুলিশের সার্জন মোজাফফর হোসেনের নেতৃতে্ব অভিযানে অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেলের কাগজপত্র পরীক্ষা করা হয়।

এ সময় হেলমেটবিহীন গাড়ি চালানোসহ মোটরসাইকেলের বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ১৪টি মোটরসাইকেল আটক করা হয় এবং ১৪টি মামলা দায়ের করা হয়। এসময় চারটি গাড়ির মালিককে ১৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযানে ট্রাফিক পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

মেহেরপুর ট্রাফিক পুলিশের সার্জন মোজাফফর হোসেন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধকল্পে ধারাবাহিক অভিযান চালানো হবে। প্রতিদিনই আমরা অভিযান চালিয়ে এই সমস্ত অবৈধ মোটরসাইকেলসহ যে সমস্ত মোটরসাইকেলে চালক হেলমেট বিহীন এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স বিহীন চলাচল করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।




দর্শনায় মাদক রাখার অপরাধে তিনজনকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড

দর্শনায় ইয়াবা ট্যাবলেট ও গাঁজা রাখার অপরাধে তিনজনকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।

দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন আল আমীন ( ১৯) ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের জিয়াউলের ছেলে, মেহেদী হাসান২৫) আজিমপুর মসজিদ পাড়ার আশরাফুলজামানের ছেলে। জাহিদুল শাহ(২১) দর্শনা ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের আব্দুল হালিম শাহর ছেলে।

ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো:সাইফুল ইসলাম সাইফ। আজ সোমবার বিকাল ৪ টার দিকে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে এ রায় দেন।

জানাযায়, দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের জিয়াউলের ছেলে আল আমীনকে আটক করেন, পরে তার দেহ তল্লাশী করে ২পিচ ইয়াবা ট্যবলেট উদ্ধার করেন, একই দিকে আজিমপুর, মসজিদপাড়ার আশরাফুজ্জামানের ছেলে মেহেদি হাসানকে আটক করেন। পরে তার দেহ তল্লাশী করে ১০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করেন।

এছাড়াও  দর্শনা ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের আব্দুল হালিম শাহর ছেলে জাহিদুল শাহকে আটক করেন। পরে তার দেহ তল্লাশী করে ২ পিচ ইয়াবা ট্যবলেট উদ্ধার করেন। পরে ঘটনাস্থলে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে আল আমিন, মেহেদী হাসান ও জাহিদুল ইসলামকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ও দুইজনকে ৫০ টাকা অর্থ দন্ড ও একজনকে ১ শত টাকা অর্থদন্ড করেন। পরে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। ভ্রাম্যমান আদালতে সহযোগিতা করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক নাজমুল হোসেন খান ও সাহারা ইয়াসমিন।