মুজিবনগরে ঘাস মারা বিষ পানে এক ব্যক্তির আত্ম*হ*ত্যা

মুজিবনগর ঘাস মারা বিষ (সবুজ ধ্বংস) পানে আত্মহত্যা করেছে মাবুদ (৩৫) নামের এক ব্যক্তি।

মাবুদ মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামের কলিমুদ্দিনের ছেলে সে দীর্ঘ ৭ বছর সৌদি আরবে ছিল। গত ৮ মাস আগে অবৈধ থাকা অবস্থায় সৌদি পুলিশের হাতে আটক হয়ে দেশে ফেরত আসে। বিদেশে থাকা অবস্থায় মোবাইল ফোনে ভালোবেসে পপি খাতুন নামের এক মেয়েকে বিয়ে করে।

হাসপাতাল ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে বিদেশ থেকে টাকা পয়সা আনতে না পারার কারণে সে মানসিক সমস্যায় ভুগছিল। গতকাল রবিবার সকাল দশটার সময় সে বিষ পান করে। পরিবারের সদস্যরা তাকে মুজিবনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিক্যালে রেফার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক তাকে বাঁচানো সম্ভব নয় বলে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। আজ সোমবার সন্ধ্যায় অ্যাম্বুলেন্স যোগে বাড়ি পৌঁছানোর পর পুনরায় অসুস্থ হয়ে গেলে তাকে আবারো মুজিবনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।




চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ সিসা কারখানায় অভিযান জরিমানা ও উচ্ছেদ

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার উক্ত গ্রামে হঠাৎ করেই গড়ে উঠেছিলো ব্যাটারি পুড়িয়ে অবৈধ সিসা তৈরি কারখানা।

এই কারখানার বিষাক্ত ধোঁয়ায় পরিবেশ দুষিত হচ্ছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাজ্জাদ হোসেন মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করে গাইবান্ধা জেলার আ: লতিফ নামের একজনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং কারখানাটি উচ্ছেদের আদেশ দেন।

আজ সোমবার বিকাল ৫ টার দিকে অবৈধ সিসা কারখানায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।

জানাগেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার উক্ত ও দোস্ত গ্রামের আঞ্চলিক সড়কের পাশে প্রায় ২/৩ সপ্তাহ আগে উক্ত গ্রামের এরশাদ নামের এক ব্যক্তির জমি ভাড়া নিয়ে বগুড়ার শাহীন নামের এক ব্যক্তি এই সিসা কারখানা গড়ে তুলেছে। কারখানার ভিতর প্রায় ২৫/৩০ জন শ্রমিক প্রতিদিন কাজ করছে। কেউ ব্যাটারি ভাঙছেন, কেওবা আবার ভাঙা ব্যাটারির প্লেট এক যাগায় স্তুপ করছেন। এসব প্লেট গভীর রাতে আগুনে পুড়িয়ে সিসা তৈর করা হয়। এই কারখানায় কাজ করা শ্রমিক বগুড়া, গাইবান্ধা ও নওগাঁ জেলার বাসিন্দা। স্থানীয় কোন মানুষই এই কারখানায় কাজ করে না। সবাই বাইরের জেলা থেকে এসে এখানে কাজ করছে।

অবৈধ সিসা কারখানায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাজ্জাদ হোসেন আজ বিকালে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে কারখানার ম্যানেজার আ: লতিফকে দন্ডবিধি ১৮৬০ অনুযায়ী ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। সেই সাথে অবৈধ কারখানাটি উচ্ছেদ করেন। এসময় মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় সহযোগিতা করেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম।




মেহেরপুরে দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

একটি মামলায় আদালত কর্তৃক ৩ মাসের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সাদাদ হোসেনকে (৫০) গ্রেফতার করেছে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ। আজ সোমবার দুপুরের দিকে তাকে হ্রেফতার করে আদালতে নিলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

সাদাদ হোসেন মেহেরপুর সদর উপজেলার চাঁদবিল গ্রামের নবীছুদ্দিনের ছেলে।

মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ কনি মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সাদাদ হোসেনের নামে ২/১৩ ইং মামলায় ৩ মাসের কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত। সে থেকে দণ্ডিত সাদাদ হোসেন পলাতক ছিলেন।

সদর থানার এএসআই বাশার তাকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠাবার নির্দেশ দেন।




দামুড়হুদায় ভ্রাম্যমান আদালতে তিনটি প্রতিষ্ঠানে ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও বিএসটিআই অনুমোদন না থাকায় দামুড়হুদায় তারিণ ফুড বেকারি, মিষ্টি বাড়ি ও ডায়মন্ড মিছরি কারখানায় ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি সজল কুমার দাস।

আজ সোমবার বেলা ১২ টার দিকে প্রতি প্রতিষ্ঠানে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে এ রায় দেন।

ভ্রাম্যমান আদালত সূত্র থেকে জানাযায়, দামুড়হুদা উপজেলা সদর ইউনিয়নের দশমীপাড়া ও বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দুইটি বেকারি ও একটি মিছরি তৈরির কারখানায় বিএসটিআই এর অনুমোদন না থাকা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যপণ্য প্রস্তুতকরণ এবং পণ্যের মোড়কে বাজারজাতকরণের তারিখ ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকায় দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত তারিন ফুড প্রোডাক্টসের মালিককে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৭ ও ৪৫ ধারায় ১০ হাজার টাকা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যপণ্য উৎপাদন এবং ওজনে কম দেওয়ায় দশমীপাড়ায় অবস্থিত মিষ্টি বাড়ি নামক মিষ্টি ও বেকারি পণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের মালিক আল মামুনকে ও মাহামুদুল হাসান এ্যালেনকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪৬ ও ৫৩ ধারায় ৪০ হাজার টাকা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিছরি প্রস্তুত করায় দশমীপাড়ায় অবস্থিত এক মিছরি কারখানার মালিক মাহফুজুর রহমানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫৩ ধারায় ৫হাজার টাকা জরিমানা করেন।

ভ্রাম্যমান আদলতে সহযোগিতা করেন দামুড়হুদা উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর, মো: আনিছুর রহমান ও দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশ।




ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত দুই প্রতিনিধিকে সংর্বধনা প্রদান

ঝিনাইদহ সদর উপজেলা শিক্ষক- কর্মচারী ক্রেডিট কো-আপারেটিভ লি: এর পক্ষ থেকে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের পুন: নির্বাচিত সহ সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক খুরশিদ মোহাম্মদ সালেহ এবং ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের নব নির্বাচিত দপ্তর সম্পাদক প্রভাষক মো: শাহানুর আলমকে সংর্বধনা ও ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়।

আজ সোমাবার বিকালে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা শিক্ষক- কর্মচারী ক্রেডিট কো-আপারেটিভ লি: এর অফিস কক্ষে এই সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলা শিক্ষক- কর্মচারী ক্রেডিট কো-আপারেটিভ লি: (ক্লাব) এর সভাপতি প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন, উপজেলা ম্যানেজার হারুনর রশীদ, শিক্ষক নেতা কামরুল ইসলাম, রাহিজুল ইসলাম, অফিস সহকারী আজম খানসহ কাল্ব পরিবারের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।




ঝিনাইদহে কৃষক হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদন্ড

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে কৃষক মশিয়ার রহমান হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। একই মামমলায় অপর ৬ আসামি কে বেকসুর খালাস প্রদান করেছে।

আজ সোববার (৪মার্চ) দুপুরে ঝিনাইদহের সিনিয়র দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ নাজিমুদ্দৌলা এ দন্ডাদেশ প্রদাণ করেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমাইল হোসেন জানান, ২০১৪ সালের ২৬ মে রাত সাড়ে ৭টার দিকে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার আদর্শ আন্দুলিয়া গ্রামে বাড়ির পুর্ব দিকে রাস্তার পাশে নিজ বৈঠক খানায় বসে ছিলেন ওই গ্রামের মশিয়ার রহমান। সেসময় পুর্ব শত্রুতার জের ধরে একই গ্রামের লিটন বিশ্বাস, মনিরুল বিশ্বাসসহ আরও কয়েকজন তাকে টেনে হিঁচড়ে আসামি মনিরুলের টিউবয়েলের নিকট নিয়ে গিয়ে লোহার রড, হাতুড়ি ও বাঁসের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে পরে অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে পরদিন তিনি মারা যায়।

এ ঘটনায় ২৭ মে নিহতের ভাই মোঃ মতিয়ার রহমান বাদি হয়ে ৮জনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় ৩৭৪ ধারার বিধান মোতাবেক আসামী লিটন বিশ্বাস এবং মনিরুল বিশ্বাস কে মৃত্যুদন্ড এবং ১লাখ টাকা করে জরিমানা করে আদালত। মামলার অপর ৬ আসামি ইমদাদুল বিশ্বাস, রাজু বিশ্বাস, মজিদুল বিশ্বাস, ছানোয়ার মন্ডল, ওহিদুল ইসলাম এবং মাহাবুল বিশ্বাস আদালতে দোষী প্রমানিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস প্রদান করে।




আকিজ গ্রুপে চাকরির সুযোগ

লিমিটেড নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে আকিজ গ্রুপের অন্যতম প্রতিষ্ঠান আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ। প্রতিষ্ঠানটি এরিয়া সেলস ম্যানেজার পদে একাধিক লোকবল নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। ৩ মার্চ থেকেই আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড

পদের নাম: এরিয়া সেলস ম্যানেজার

পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়
শিক্ষাগত যোগ্যতা: যে কোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি

অন্যান্য যোগ্যতা: ম্যানুফ্যাকচারিং (এফএমসিজি) অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

অভিজ্ঞতা: কমপক্ষে ৬ থেকে ৮ বছর
চাকরির ধরন: ফুলটাইম

কর্মক্ষেত্র: অফিসে

প্রার্থীর ধরন: শুধু পুরুষ

বয়সসীমা: ৩২ থেকে ৪০ বছর
কর্মস্থল: দেশের যে কোনো জায়গায়

বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে

অন্যান্য সুবিধা: টি/এ, মোবাইল বিল, প্রভিডেন্ট ফান্ড, সাপ্তাহিক ২ দিন ছুটি, বীমা, গ্র্যাচুইটি, প্রতি বছর বেতন পর্যালোচনা, বছরে ২টি উৎসব বোনাস, ছুটির ভাড়া সহায়তা (এলএফএ)।
আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন। আবেদনের শেষ সময়: ১০ মার্চ ২০২৪




মুজিবনগরে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় শ্রমিক নিহত

মুজিবনগর উপজেলার বল্লভপুরে রাস্তা পার হওয়ার সময় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ইন্নাল হক (৪৮) নামের এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন।

সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে বল্লভপুর গ্রামের কেদারগন্জ দর্শনা সড়কের বল্লভপুর সিনেমা হল নামক স্হানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ইন্নাল হক রামনগর গ্রামের নবিছদ্দিনের ছেলে। তিনি একটি বালুগাদায় শ্রমিকের কাজ করতেন।

স্থানীয়রা জানান,বল্লভপুর গ্রামের সনি এর বালুগাদায় কাজ শেষে রাস্তার ওপারে দাড়িয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন। কথা শেষ করে রাস্তা পার হওয়ার সময় ওরিয়ন ঔষধ কোম্পানির এমআর শাহরিয়ার এর মোটরসাইকেল তাকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন ইন্নাল। তাকে উদ্ধার করে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন। মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে তার মৃত্যু হয়।

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক নাজমুস সাকিব জানান, হাসপাতালে আসার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তিনি মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মুজিবনগর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উজ্জ্বল দত্ত জানান, ঘটনা স্হলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মৃত ব্যক্তির পরিবারে পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দুর্ঘটনা ঘটানো মোটরসাইকেলটি বর্তমানে থানা হেফাজতে আছে।




কোটচাঁদপুর নির্বিচারে গাছ কেটে ও ফসল বিনষ্ট করে রাস্তা সংস্কার

নির্বিচারে গাছ কেটে ও ফসল বিনষ্ট করে মেরামতের কাজ হচ্ছে কোটচাঁদপুর জিসি-গান্না জিসি ভায়া তালিনা সড়কের। সিডিউল অনুপাতে কাজ করা হচ্ছে দাবি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের। ক্ষয়ক্ষতির দায়ভার ঠিকাদারকে নিতে হবে বলছেন উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ।

ওই ঘটনার তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা অবকাঠামো পুনর্বাসন শীর্ষক প্রকল্প (CAFDRIRP) এর আওতায়। কাজটি পান রাজশাহীর গাড়ামারী সাহেব বাজারের বরেন্দ্র কনষ্ট্রাকশন। এ কাজের প্রাক্কল্পিত মূল্য ছিল ২,৫৭,৭৮,৯২৬.০০ টাকা। আর চুক্তি মূল্য ছিল ২,৩২,০১,০৩৩,৪০০ টাকা।

পরে কাজটি কিনে নেন ঝিনাইদহের কাজী মাহবুবুর রহমান কনস্ট্রাকশন। এরপর গেল ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে মেরামতের কাজ শুরু করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। এ সময় ওই প্রতিষ্ঠানটি চাষিদের সব বাঁধা উপেক্ষা করে সড়কের দুই পাশের মেহগনি, কড়াই, নিম, তাল ও খেজুর গাছ কেটে দিয়েছেন। নষ্ট করেছেন ধান, ভূট্রা, মসুরি, গমসহ বিভিন্ন ফসল এমন অভিযোগ ভুক্তভুগীদের।

এ দিকে ওই সব কাটা গাছ নিয়ে ব্যবসায় মেতেছেন সংশ্লিষ্ট অফিসের সুপার ভাইজার আব্দুর রহিমসহ ও এলাকার কিছু অসাধু মানুষ। তারা ওই কাটা গাছ নিয়ে গিয়ে তাদের ইচ্ছে মত ব্যবসা করেছেন এমন দাবি ও তাদের।

তবে ওই অভিযোগ অস্বীকার করে কাজী মাহবুবুর রহমান কনস্ট্রাকশনের মালিক ঠিকাদার মাহবুবুর রহমান রুনু বলেন,গাছ কাটার সময় অফিসের সুপার, এসও ও কার্যসহকারী ছিলেন। ওনারা যদি গাছ অফিসে না দিয়ে থাকেন, তাঁর জন্য ওনারা দায়ী। ওনাদের ধরলে সব পাওয়া যাবে।

তিনি বলেন, সিডিউল অনুযায়ী সড়কের পাশ থেকে মাটি কেটে দেয়ার কথা। আমরা সেটাই করছি। আর ওই কাজ করতে গিয়ে সড়কের কিছু গাছ মারতে হয়েছে, তা না হলে ভেকু দিয়ে মাটি কাটা সম্ভব হচ্ছিল না।

উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, কালিগঞ্জের শিশুতলা থেকে বালিয়াডাঙ্গা সড়কে একইভাবে সড়কের পাশ থেকে মাটি কেটে দেয়া হয়েছে। তারা কোন অভিযোগ করেননি। চাষিদের ক্ষতি নিয়ে প্রশ্নে করলে তিনি বলেন, চাষিরা আমার কাছে কোন করেননি।

এ ব্যাপারে তালিনা গ্রামের শান্তি সর্দার বলেন, আমার মাত্র ১০ কাঠা জমিতে ভূট্রার চাষ ছিল। মাটি কাটার স্বার্থে অর্ধেক জমির কাঁচা ভূট্রার গাছ কেটে নিতে হয়েছে। কাঠা পড়েছে আমার বেশ কয়েকটি কড়াইসহ অন্যান্য গাছও।

তিনি বলেন, ভেকু দিয়ে মাটি না কেটে কোদাল দিয়ে মাটি কাটলে চাষিদের এত বেশি ক্ষতি হত না। গাছ পালাও বিনষ্ট হত না। এত ক্ষতিপূরন কে দিবে আমাদের। কে আছে আমাদের কথা শোনার। আমরা এ ঘটনার তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানাচ্ছি।

তালিনা গ্রামের মন্টু মিয়া বলেন, মজিদ নামের ১ জনেরই ১ শ খেজুর গাছ কাটা পড়েছে। এ ছাড়া আরো অনেক চাষিরও কাটা পড়েছে গাছ।

বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন,ঠিকাদার কাজ শুরু করেছেন আমি জানতাম না। এরপর জানতে পারলাম গাছ মারার ঘটনা। এরপর কাজ বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে ঠিকাদারকে। তিনি কাজ করেননি। আপনারা ওনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন।
তিনি বলেন, আমি তো ঠিকাদারের সঙ্গে মারামারি করতে পারবো না। আমি তাকে কাজ করতে না করেছি, এরপরও তিনি এগুলো করছেন। তবে আমি স্যারকে বলেছি, স্যার ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান। নির্বিচারে গাছ কাটা ও ফসল নষ্টের ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তুললে তিনি বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর ঠিকাদারকে এ সব বন্ধ করতে বলেছিলাম।তিনি বন্ধ করেননি, তাহলে এ সবের দায়ভারও ওনাকে নিতে হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর আমি সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জানিয়েছি। তারা ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন। এ ছাড়া নায়েব সাহেবকে পাঠানো হয়েছে। তিনি দেখে আসার পর রিপোর্ট দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।




বাগানবিলাস বাড়ির আঙ্গিনা-বারান্দায়

বাড়ির আঙ্গিনায়, বারান্দায় অথবা ছাদের শোভা বাড়াতে যে গাছের নামটি মনে আসে সেটি হল বাগানবিলাস। ভিন্ন ভিন্ন রঙের ফুলে যেন রঙিন হয়ে তোলে চারিদিক। ইংরেজিতে ফুলটির নাম বুগেনভিলিয়া। ফরাসী আবিষ্কারক লুই অটোইন ডি বোগেইনভিলিয়া’র নাম অনুসারে এ গাছের নামকরণ করা হয়েছে। কেউ কেউ ভালোবেসে এটিকে কাগজ ফুল বা কাগজি ফুল নামেও ডেকে থাকেন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বৈজ্ঞানিক নামের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নামকরণ করেছেন বাগানবিলাস। সারা বছর বাগানের শোভা বাড়ায় ফুলটি । বাগান প্রেমীদের কাছে বাগানবিলাস একটি সেরা উপহার। এছাড়াও, আমদের দেশের প্রায় সব জায়গায় এই গাছ চোখে পরে। বিশেষ করে বাড়ির সামনের গেট অথবা পার্কে। বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে এই গাছের ফুল । লাল, কমলা, হলুদ, সাদা, গোলাপি, আরো কত রং!

তবে অনেকেরই অভিযোগ থাকে যে তাদের বুগেনভিলিয়া গাছে ফুল আসছে না। পাতায় ভরে যাচ্ছে গাছ, ভালো গ্রোথ থাকলেও ফুলের অভাব।

বাগানবিলাস গাছে ফুল আনার সবচেয়ে ভালো উপায় হল পানির অভাব তৈরি করা। বাগান বিলাস গাছের মাটি ভেজা থাকা মানেই এতে সেভাবে ফুলের দেখা পাওয়া যাবে না। তাই গাছের মাটি পুরো শুকিয়ে পাতা ঝিমিয়ে পড়া অবধি অপেক্ষা করতে হবে। এবং তারপরও যে পানি দেবেন সেটাও খুব সামান্য হতে হবে। মানে সেইটুকুই পানি দিতে হবে যতটা গাছটির বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন। কয়েকদিন এরকম করলেই দেখবেন গাছ ভরে ফুল এসেছে।

গাছে শুধু পর্যাপ্ত সূর্যের তাপ বা আলো পেলেই হবে না। রোদ পছন্দ করে এই গাছ । গাছটি সরাসরি রোদে রাখতে হবে দিনে অন্তত ৪-৫ ঘণ্টার জন্য। গাছ যত রোদ পাবে তত বেশি ফুল ফুটবে। কারণ এই গাছের খুব বেশি এনার্জির প্রয়োজন হয়। গরমে অনেক সময়ই দেখা যায় ফুলের রং একটু হালকা হয়ে গিয়েছে। অনেক সময় রোদের তীব্রতার কারণেই এমনটা হতে পারে। ভয় পেয়ে গাছকে ভুলেও ছায়ায় রাখবেন না।

বাগান বিলাস লতানো গাছ। তবে গাছ ঝাঁকড়া না হলে ফুলও কম পাবেন । সেক্ষেত্রে বুগেনভিলিয়া গাছ নার্সারি থেকে কিনে আনার পর তাতে পিঞ্চিং করতে হবে। গাছের পিঞ্চিং অর্থাৎ ডালের মাথার দিকের কচি দুটো কিংবা তিনটে পাতা খুটে দেওয়া। এতে গাছ ভরে নতুন নতুন শাখার জন্ম নিবে ।

এই ফুলের অনেক উপকারিতা রয়েছে, এটি জলে ফুটিয়ে সেবন করা যায় অথবা এর রস বানিয়ে খাওয়া যায়। এছাড়াও, আপনি এর চা তৈরির সুবিধাও নিতে পারেন, যা কোলেস্টেরলের উপর খুব কার্যকর। অনেক সময় পরিবর্তিত আবহাওয়ার কারণে বাড়িতে সবারই সর্দি-কাশির সমস্যা বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে, বোগেনভিলিয়া ফুলই পারফেক্ট প্রতিকার। এই ফুল জলে ফুটিয়ে পান করলে কাশি পুরোপুরি সেরে যাবে।

সূত্র: ইত্তেফাক