কুষ্টিয়ায় স্বপ্নভূমি ফুটবল একাডেমির শুভ উদ্বোধন

তরুণ ও যুব সমাজকে মাদকের হাত থেকে রক্ষায় খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) আসনের সংসদ সদস্য আব্দুর রউফ।

সম্প্রতি, কুমারখালী উপজেলার কয়া স্কুলমাঠ প্রাঙ্গনে স্বপ্নভূমি ফুটবল একাডেমির আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, খেলাধুলা করলে মন ও শরীর উভয় ভালো থাকে। খেলাধুলা মাদক থেকে দূরে রাখে। সবারই নিয়মিত খেলাধুলা করা প্রয়োজন। মাদকের কড়াল থাবা থেকে বাঁচতে আগামী প্রজন্মকে মাদক থেকে দূরে রাখতে নিয়মিত খেলাধুলা করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান ছেলে-মেয়েরা ডিজিটাল গেমে আসক্ত হয়ে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে আছে। ফুটবলসহ দেশীয় নানান খেলাধুলার বেশি প্রচলন ঘটাতে হবে। আমাদের এই উপজেলার কৃতি সন্তান স্বপ্নভূমি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান এম মিলন হাসান তার মেধা মননে এবং সার্বিক সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতায় এই স্বপ্নভূমি ফুটবল একাডেমি পরিচালনা করে আসছে।

তাই আসুন দেশের একজন দায়িত্ববান নাগরিক হিসেবে আমার-আপনার সকলের নৈতিক দায়িত্ববোধ থেকে স্বপ্নভূমি ফুটবল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান এর এই মহৎ উদ্যোগে পাশে থাকি এবং দেশ ও জাতিকে মাদক মুক্ত সমাজ গঠন ও পেশাদার ফুটবলার তৈরিতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করি।

অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, আপনার সন্তানদের নিয়মিত খোঁজ খবর নিবেন।’ খারাপ সঙ্গ ত্যাগ করে খেলাধুলার প্রতি মনযোগের জন্য সবাইকে উদাত্ত আহ্বান জানান।

স্বপ্নভূমি ফুটবল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান এম মিলন হাসানের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমারখালি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান খান, কুষ্টিয়া জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জিয়াউল হক স্বপন, গ্রাফোসম্যান পাবলিকেশন্স এর চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ, কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহোদয় মোঃ আকিবুল ইসলাম, কয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ হামিদুল হক, সাধারন সম্পাদক মোঃ আশরাফুল আলম পান্না, জননন্দিত কণ্ঠশিল্পী মিলন মাহমুদ, জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী সুলতানা ইয়াসমিন লায়লা সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

মানবসেবা এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে এবং সম্পূর্ণ অলাভজনক এই স্বপ্নভূমি ফুটবল একাডেমির যাত্রা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু উল্লেখ করে স্বপ্নভূমি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান এম মিলন হাসান বলেন, স্বপ্নভূমি ফুটবল একাডেমি একটি সামাজিক ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। শিশু, কিশোর ও তরুণদের মেলবন্ধন ও তাদের মাঝে সম্প্রীতির চেষ্টা করা এবং শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ হয়ে বেড়ে উঠার সুযোগ সৃষ্টি করা। সর্বসাধারণের বিনোদনের ক্ষেত্র সৃষ্টি করা, নীতিমালা প্রণয়ন করে ফুটবল খেলাকে উন্নত ও যুগোপযোগী বিজ্ঞানসম্মত পন্থা অবলম্বন করে মেধাবী ও প্রতিভাবান খেলোয়াড় সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণ করা। ফুটবল খেলাকে গ্রামে-গঞ্জে ছড়িয়ে দেয়া এবং অত্র উপজেলায় মানসম্মত খেলোয়াড় তৈরী করা।

তিনি আরও বলেন, খেলাধুলার মাধ্যমে যুব শক্তির ব্যবহার এবং অন্যান্য ক্ষেত্রেও সুযোগ সুবিধার সৃষ্টি করা, মাদকমুক্ত সমাজ গঠনের লক্ষ্যে যুব সমাজকে খেলাধুলায় মনোনিবেশ করা এবং ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নের জন্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির ব্যবস্থা করতে আমি এবং আমার এই স্বপ্নভূমি একাডেমি সদা প্রস্তুত।

এলাকার সকল বয়সের, সকল ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের স্বরূপ উপস্থিতিতে এক আনন্দমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। পরে স্বপ্নভূমি ফুটবল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে পরিবেশিত হয় মনোমুগ্ধকর খেলার নান্দনিক এক প্রদর্শন। এর আগে অতিথিরা লোগো উন্মোচন করেন।

প্রসঙ্গত, স্বপ্নভূমি ফুটবল একাডেমির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম বিগত আরও ৪ মাস আগে থেকেই শুরু হয়েছে এর যাত্রা। কুমারখালি উপজেলার কয়া স্কুল মাঠ প্রাঙ্গনে ১৫০জন এবং মহাখালী ডিওএইচএস মাঠে ৫০জন প্রতিভাবান কিশোর ও যুবক প্রতিদিন স্বপ্নভূমি ফুটবল একাডেমির উদ্যোগে ফুটবল খেলছে এবং প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। যার সার্বিক তত্ত্বাবধান এবং নেতৃত্ব দিচ্ছেন একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান এম মিলন হাসান।




কুষ্টিয়ায় এইডস প্রতিরোধ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

কুষ্টিয়ায় এইচ আই ভি/এইডস প্রতিরোধ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো: এহেতেশাম রেজা।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নাসরিন বানু, সিভিল সার্জন ডা: আকুল উদ্দিন, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. হায়াত মাহমুদ সহ জেলার সকল দপ্তর প্রধান গণসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

এইডস প্রতিরোধে ভয় নয়, প্রয়োজন সচেতনতা উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, এইডস মানুষের দেহে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। এ রোগ সম্পর্কে বিশেষভাবে সচেতন করতে বিশ্বজুড়ে পালিত হয় এইডস দিবস। ১৯৮৮ সালে গঠন করা হয় আন্তর্জাতিক এইডস সোসাইটি এবং সে বছরই ১ ডিসেম্বরকে বিশ্ব এইডস দিবস হিসাবে ঘোষণা করা হয়। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও প্রতিবছর এদিন বিশ্ব এইডস দিবস পালন করা হয়।

বক্তারা আরও বলেন, যদিও জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অনুসারে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশ থেকে এইচআইভি বা এইডস রোগ নির্মূলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ পর্যন্ত মাত্র ৬৩ শতাংশ রোগী শনাক্ত করা গেছে। তবে, এসডিজির প্রথম শর্ত অনুসারে, এ সময়ের মধ্যে ৯৫ শতাংশ এইচআইভি আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করার বাধ্যবাধকতা ছিল।




আলমডাঙ্গার মোকামতলায় পুকুর খননের নামে মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগ

আলমডাঙ্গা উপজেলায় পুকুর খননের নামে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এতে পার্শবর্তী জমিতে ফসল চাষে অতিরিক্ত সেচপানি ও উর্বরতা কমে যাওয়ার আশংকা করছে কৃষকেরা।

এছাড়া ওই মাটি ট্রাক্টরে পরিবহণ করায় সড়কগুলো ধুলোই আচ্ছোন্ন হয়ে পড়েছে। দ্রুত গতিতে গাড়ি চলাচলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। ভয়াবহ বিপর্যয়ের সম্মুখীন হচ্ছে পরিবেশ। এতে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামণা করেছে এলাকাবাসী।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার আইলহাঁস ইউনিয়নের হারকান্দি-মোকাতলা গ্রামের দু’বিল মাঠ এলাকা থেকে দারুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি পুকুর খননের নামে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছে। তিনি ওই এলাকার মৃত আইনুদ্দিন মালিতার ছেলে। সে গত কয়েক মাস পূর্বে মাছ চাষের জন্য পুকুর লিজ নিয়েছেন। ওই পুকুর থেকে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছেন। প্রতিদিন ৭/৮ টি ট্রাক্টরে সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত অনিয়ন্ত্রিতভাবে মাটি পরিবহণ করছে। এতে সড়ক জুড়ে ধুলোমাটিতে আচ্ছোন্ন হয়ে পড়েছে। যখনতখন ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কৃষক জানান, পুকুরের চারিপাশে আবাদি ফসলের জমি রয়েছে। এ জমিতে ভুট্টা সহ বিভিন্ন ফসল চাষ করা হয়। পুকুর খননের কারনে ফসলের জমিতে সেচের পানি থাকে না। এছাড়া দ্রুতগতিসম্পন্ন ট্রাক্টরে ধুলোবালিতে পরিবেশ নষ্ট ও দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন।




আলমডাঙ্গায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুটি ক্লিনিকে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা

আলমডাঙ্গায় সার্বক্ষণিক চিকিৎসক এবং প্রশিক্ষিত নার্স ছাড়াই রোগী চিকিৎসা দেবার অভিযোগে ফিরোজ ক্লিনিকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া একই অভিযোগে কালিদাসপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন আল-মদিনা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিককেও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার বিকেলে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট স্নিগ্ধা দাসের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ডাউকি ইউনিয়নের হাউসপুর এলাকার ফিরোজা ক্লিনিকে সার্বক্ষণিক এমবিবিএস ডাক্তার ও প্রশিক্ষিত নার্স ছাড়াই রোগী ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের ভিত্তিতে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়। এ ছাড়াও একই অভিযোগে কালিদাসপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন আল-মদিনা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিককেও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট স্নিগ্ধা দাস বলেন, সার্বক্ষণিক চিকিৎসক ও নার্স ছাড়াই একটি হাসপাতাল চালানোর অভিযোগে মালিকের ২৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মালিক জরিমানার টাকা সঙ্গে সঙ্গে পরিশোধ করে দেন।

এদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযুক্ত ডাঃ নজরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমার ক্লিনিকে লাইসেন্সসহ সকল কাগজপত্র সঠিক আছে। আমি সার্বক্ষণিক ক্লিনিকে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকি। প্রশিক্ষিত নার্সও আছেন ঘটনার সময় তিনি ছুটিতে ছিলেন। তিনি আরও বলেন, আলমডাঙ্গার অনেক ক্লিনিকেই সার্বক্ষণিক চিকিৎসক ও নার্স নেই। সেখানে অভিযান হচ্ছে না। আমি মনে করি এটা সম্পূর্ণ ব্যক্তি ব্যক্তিগত আক্রোশ মূলক জরিমানা করা হয়েছে।




আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের দিনব্যাপী বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত

আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে বর্নাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে বার্ষিক বনভোজন অনুষ্টিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ঝিনাইদহ জেলার জোহান ড্রিম ভ্যালী পার্কে বনভোজনের আয়োজন করা হয়েছিল।

এসময় প্রেসক্লাবের ৩০ জন সদস্য বনভোজনে অংশ নেয়। এখানে অনুষ্ঠানমালা মধ্যে ছিল সুধিজনদের সাথে নিয়ে সাংবাদিকদের পার্কে শোভা যাত্রা, আলোচনা সভা, মধ্যাহ্নভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এই দিন সকল সাংবাদিকেরা আনন্দের অন্যতম দিনে পরিণত হয়। লটারির মাধ্যমে ১০ জন বিজয়ীকে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

এছাড়াও সাংস্কৃতিক অনুষ্টান, কবিতা আবৃতি, কৌতুক অভিনয়, একক অভিনয় চলতে থাকে। এখানে সকল সদস্য, গাড়ির ড্রাইভার, রাধুনি সকলকে পুরষ্কার প্রদান করা হয়। র্যাফেল ড্রতে যারা পুরস্কার পায়, প্রথম পুরস্কৃত হয় দৈনিক পশ্চিমাঞ্চলের সহকারি ব্যুরো প্রধান রানা আফিদ্রি, দ্বিতীয় মাইক্রো ড্রাইভার, তৃতীয় হয়েছে প্রেসক্লাবের সদস্য লাল্টু রহমান, চতুর্থ মাইক্রো ড্রাইভার, পঞ্চম সাংবাদিক আতিক বিশ্বাস, ষষ্ট শামিম রেজা, সপ্তম আবুল কাশেম টুকু, অস্টম রুনু খন্দকার, নবম পুরস্কার সময়ের সমীকরনের ব্যুরো প্রধান হামিদুল ইসলাম, দশম পুরস্কার পান সময়ের সমীকরন পত্রিকার প্রতিনিধি ও সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক শেখ শফিউর রহমান।

প্রধান অতিথি হিসেবে পুরস্কার তুলে দেন আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি খন্দকার শাহ আলম মন্টু।

সার্বিক অনুষ্টান পরিচালনা করেন প্রেসক্লাবের ১নং নির্বাহী সদস্য ও সিনিয়র সাংবাদিক পশ্চিমাঞ্চলের ব্যুরো প্রধান প্রশান্ত বিশ্বাস, দৈনিক সমকালের আলমডাঙ্গা প্রতিনিধি ও প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক তানভীর সোহেল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আতিক বিশ্বাস, সমাজ কল্যান সম্পাদক গোলাম সরোয়ার সদু, সহ-সাংগাঠনিক সম্পাদক বসিরুল আলম, আইসিটি সম্পাদক মীর ফাহিম ফয়সাল, নির্বাহী সদস্য জাফর জুয়েল প্রমুখ।




দামুড়হুদায় ৪ শ’ ৮৭ পিচ বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশনসহ আটক ৩

দামুড়হুদা উপজেলায় জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কর্তৃক অভিযান চালিয়ে ৪ শত৮৭ পিচ ভারতীয় বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশনসহ তিনজনকে আটক করেছেন।

আটকৃতরা হলো মাহাবুর (৩২) চাকুলিয়া গ্রামের রমজান আলির ছেলে, হাফিজুর (৩৫) একই গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে ও মিজান (৫৫) একই গ্রামের মৃত শুকুর আলির ছেলে। গতকাল বুধবার বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে মুক্তারপুর মাঝেরপাড়া রাস্তার উপর তাদেরকে আটক করা হয়।

জানাযায়, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মোছা: শিরীন আক্তার এর নেতৃত্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সঙ্গীয় ফোর্সদের সমন্বয়ে দামুড়হুদা থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোক্তার পুর মাঝের পাড়ায় থেকে চাকুলিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে হাফিজুর রহমান, মৃত শুকুর আলির ছেলে মিজানুর রহমানকে আটক করেন। পরে তাদের ব্যবহৃত মোটর সাইকেলের সিট তল্লাশি করে ৩ শত পিচ বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশন উদ্ধার করেন। এবং ডিসকভারি ১২৫ সিসি মোটরসাইকেল জব্দ করেন।

একইদিনে চাকুলিয়া গ্রামের মাঠ পাড়ার রমজান আলির ছেলে মাহবুবুর রহমানকে আটক করেন। পরে তার দেহ তল্লাশী করে ১ শত ৮৭ পিচ বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশন উদ্ধার করেন। জেলা মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের উপ পরিদর্শক আকবর হোসেন বাদী হয়ে উক্ত আসামির বিরুদ্ধে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন।




দর্শনা-মুজিবনগর সড়কে মোটরসাইকেল পাখিভ্যান মুখোমুখি সংঘর্ষ আহত ৩

চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা মুজিবনগর সড়কে মোটরসাইকেল পাখিভ্যান মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে মোটরসাইকেল চালক পায়েল হোসেন (৩৮)ও রাকিব হোসেন (২০) ভ্যান চালক হযরত আলী (৪৫) গুরুতর আহত হয়েছে। এদের মধ্যে পায়েল হোসেনের এক হাতের কব্জি বিছিন্ন হয়ে গেছে ও এক পা ভেঙ্গে গুড়িয়ে গেছে।

জানাগেছে গতকাল বুধবার  রাত ১০ টার দিকে দর্শনা মুজিবনগর সড়কের কেরুজ মিল গেটের সামনে এ দৃর্ঘটনা ঘটে। আহত পায়েল হাসান দামুড়হুদা উপজেলার মুন্সিপুর কুতুবপুর গ্রামের নায়েব আলীর ছেলে। মোটরসাইকেলে থাকা চুয়াডাঙ্গার গাইদঘাট গ্রামের সদর আলীর ছেলে রাকিব হোসেন গুরতর আহত হয়েছে।

এদেরকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে আশংকা অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষসুত্রে জানাযায় দ্রুতগতির একটি মোটরসাইকেল হোন্ডা ১৫০ সিসির যার নং চুয়াডাঙ্গা ল-১১-০৭৯১ দর্শনা শহরের দিক থেকে দর্শনা বাসস্ট্যান্ডের দিকে যাচ্ছিল। এসময় পাখিভ্যান দর্শনা কেরুজ ১নং মিল গেট দিয়ে মহাসড়কে উঠছিলো দ্রতগতির মোটরসাইকেলটি সরাসরি পাখিভ্যানের ধাক্কা দেয়। ধাক্কা দিলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।

এ ঘটনায় দর্শনা থানার ওসি তদন্ত নিরব হোসেন বলেন, মটরসাইকেল ও পাখিভ্যান দুইটি উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। তবে আহত দুজনকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপতালে ভর্তি করা হয়েছে।




চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান, ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা

চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য বিভাগ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের যৌথ অভিযান চলিয়েছে। এসময় ২টি ক্লিনিক ও ১ টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জানান, গতকাল বুধবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে এলাকায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তদারকিকালে গ্রীণ লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মেয়াদোত্তীর্ণ টেস্ট কীট, অপিরষ্কার অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও টেকনোলজিস্টের সার্টিফিকেট না থাকায় ৩০ হাজার টাকা ও মদিনা ক্লিনিকে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ থাকার কারনে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।

এসময় ১০ দিনের জন্য ক্লিনিক বন্ধ ঘোষণার কথা বলা হয়লেও স্থানীয়দের অনুরোধে তা মওফুক করা হয়। এদিকে অভিযানের খবর পেয়ে আমারুল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মডার্ণ প্যাথলজী ও আব্দুল্লাহ ডায়গনষ্ঠিক সেন্টার বন্ধ করে পালিয়ে যায়। তিনি আর জানান যারা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে পালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এছাড়াও অভিযানের সময় কোন প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ১০ টি নির্দেশনার মধ্যে কোন নির্দেশনা মানতে দেখেছেন কিনা এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে পারেনি সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা: সাজিদ হাসান।




গাংনীর কাজিপুর সীমান্তে ১৪০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার

গাংনী উপজেলার সীমান্তবর্তী কাজিপুর গ্রামে পাখিভ্যানে করে বিশেষ ব্যবস্থায় ফেনসিডিল পাচারের সময় ১৪০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে বিজিবি।

৪৭ বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ বিজিবি’র কাজিপুর বিওপি ক্যাম্পের কমান্ডার সুবেদার মাহবুবের নেতৃত্বে বিজিবির একটি টিম আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ১৪৬ এর বাংলাদেশ অভ্যন্তরের ভিতরে অভিযান চালিয়ে ফেনসিডিলগুলো উদ্ধার করা হয়। এসময় ইঞ্জিনচালিত পাখি ভ্যানটিও জব্দ করা হয়েছে।

কাজিপুর বিওপি ক্যাম্পের কমান্ডার সুবেদার মাহবুব জানান, পাখিভ্যানের বসার চরাটের ভিতর বিশেষ কায়দায় ফেনসিডিল পাচার হচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান চালানো হয়। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পাখিভ্যানটি ফেলে পালিয়ে যায়। পরে পাখিভ্যানের বসার চরাট কেটে পলিথিন মোড়ানো ব্যাগের মধ্যে থেকে ১৪০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।

ফেনসিডিল উদ্ধারের ঘটনায় কাজিপুর মধ্যে পাড়া এলাকার সোনাতন মিয়ার ছেলে শিপন আলী ও মোঃ সুমন আলীকে আসামি করে মাদক আইনে গাংনী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।




গাংনী থানায় ভুক্তভোগীদের মানবপাচার মামলা

অবশেষে আদম পাচারকারীর দালালদের গোপন ক্যাম্প থেকে ১০৪ যুবককে উদ্ধার করেছে মালেশিয়ান ইমিগ্রেশন পুলিশ। মালেশিয়ার সালাক সালাতন নামের একটি ক্যাম্প থেকে তাদের আটক করেন পুলিশ।

আটক যুবকদের পরিবারের লোকজন ও মালেশিয়ার সালাক সালাতন ক্যাম্পে বন্দী গাংনী উপজেলার সাহেবনগর গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে আব্দুর রহমান, আব্দুল মজিদের ছেলে আব্দুস সালাম মোবাইল ফোনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে সাহেবনগর গ্রামের মোফাজ্জল হোসেন, ব্রজপুর গ্রামের আনারুল ইসলাম, কল্যাণপুর গ্রামের ওবায়দুল্লাহ, আব্দুল মজিদ, রফিকুল ইসলাম, আসাদুল ইসলাম ও আতিয়ার রহমান বাদী হয়ে গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। সহ কয়েকজন বাদী হয়ে গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

মুছা ইন্টারন্যাশল নামের আদম ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মালিক সাহেবনগর গ্রামের মৃত ইছাহাক আলীর ছেলে ইঞ্জিনিয়ার মুসা কলিমকে প্রধান আসামি ও একই গ্রামের আব্দুল হাদি ওরফে সুরজের ছেলে আব্দুল আওয়াল, আব্দুল হাদি, রঞ্জিত মন্ডলের ছেলে আমিরুল ইসলাম, নুর ইসলামের ছেলে হাসানুজ্জামান, নুর মোহাম্মদের ছেলে আরিফুল ইসলামকে মামলার আসামি করা হয়েছে।

২০১২ সালের মানব পাচার আইনের ৬(২)/ ৭/৯/১০ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়। গাংনী থানার মামলার নং ৩২ তাং ২৮/০২/২৪ ইং।

গাংনী থানার তদন্ত অফিসার মনোজিত কুমার নন্দী মামলার এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, সংঘবদ্ধ মানবপাচারের সদস্য অর্থের বিনিময়ে লোক পাঠিয়ে প্রতারণা ও জবরদস্তি মুলক শ্রমে বাধ্য করার অপরাধে মামলাটি এফআইআরভুক্ত করা হয়েছে।

মামলার একজন বাদি সাহেবনগর গ্রামের গ্রামের আব্দুল মজিদ। তিনি বলেন, আমার ছেলে আব্দুস সালামকে ভাল কাজ দেবে বলে বলে মুসা কলিম ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা নেন। প্রায় ৪ মাস আগে সে মালেশিয়াতে নিয়ে একটি ক্যাম্পে আটকে রেখেছে। ছেলে আমাকে গত সোমবার বিকালে (বাংলাদেশ সময়) মোবাইল ফোনে জানান, আমাদের সালাক সালাতন ক্যাম্পে পুলিশের অভিযান শুরু হয়েছে। অর্ধ শত যুবকদের উদ্ধার করেছে পুলিশ। আর কথা হবেনা। চিন্তা করবেন না।

সাহেবনগর গ্রামের সাগরিকা খাতুন বলেন, সংসার সুখের জন্য ভিটে মাটি ও ধার দেনা করে ৫ লাখ টাকা দিয়েছিলাম আদম ব্যপারির দাল সাহবনগর গ্রামের সুরজ আলীর হাতে। আমার ছেলে শাহীন আলমকে মালেশিয়া নিয়ে একটি ক্যাম্পে প্রায় সাড়ে ৪ মাস আটকে রেখেছে। সোমবার সেখানকার ইমিগ্রেশন পুলিশ আমার ছেলেসহ প্রায় শতাধিক যুবককে উদ্ধার করেছে। এখন আর তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারছিনা। তিনি বলেন, হাড়াভাঙ্গা, সাহেবনগর, সহড়াতলা, কাজিপুর এলাকার প্রায় তিন শতাধিক যুবকের পরিবারে শুধু হতাশা আর কান্নার রোল।

এদিকে আদম পাচারকারী সাহেবনগর গ্রামের প্রধান আদম ব্যবসায়ী মুছা ইন্টারন্যাশনালের মালিক ইঞ্জিনয়ার মুসা কলিম, সুরজ আলী, রাজু আহমেদ, তোফাজ্জেল মাষ্টারসহ তাদের লোকজন বাড়িঘর ছেলে পলাতক রয়েছেন।

মালয়েশিয়ায় আটকে থাকা ভুক্তভোগীদের কয়েকজন জানান, স্থানীয় গাংনী উপজেলার সাহেবনগর গ্রামের কেএনএসএইচ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিয়ান শিক্ষক মাজেদ মাস্টার, কাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলাম ওরফে ন্যাড়া, বালিয়াঘাট গ্রামের আনিসুল হক মাস্টারের ছেলে শোভন, সাহেবনগর গ্রামের সুরজ ও তার ভাই আওয়াল এবং ইঞ্জিনিয়ার মুসা কলিমের মাধ্যমে ঢাকায় নাভিরা ও মুসাকলি এন্টারপ্রাইজ এজেন্সির মাধ্যমে টাকা দিয়ে ভালো কাজের আশ্বাসে তারা মালয়েশিয়ায় আসেন।

ক্যাম্পে আটকে থাকা যুবকরা ভিডিও বার্তার মাধ্যমে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ৪/৫ মাস আগে এখানে এসেছি। আমাদেরও এই ক্যাম্পে আটক রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে আজকে শতাধিক যুবককে উদ্ধার করে নিয়ে গেছে মালেশিয়ান ইমিগ্রেশন পুলিশ।