চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের মানসিক অবরোধ পর্যালোচনা ও সাম্প্রতিক বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশ পুলিশের অ্যাডিশনাল আইজি (ক্রাইম এন্ড অপস্) সভাপতিত্বে রবিবার সকাল এগারোটার সময় আইজিপি মিনি কনফারেন্স রুমে ফ্রেব্রুয়ারি মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের আয়োজনে পুলিশ সুপারের কার্যালয় সম্মেলনকক্ষ থেকে উক্ত ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত ছিলেন পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান, পিপিএম-সেবা। ভার্চুয়ালি মিটিংয়ে ফেব্রুয়ারি মাসের অপরাধ বিষয়ক পর্যালোচনা, সাজাপ্রাপ্ত গ্রেফতারি পরোয়ানা, মামলা তদন্ত বিচারের ফলাফল ও সাজার হার এবং সাম্প্রতিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাসমূহ ও বিবিধ বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়।

উক্ত কনফারেন্সে আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) নাজিম উদ্দীন আল আজাদ- পিপিএম সেবা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান, সহকারি পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা, আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান, ডিআইও-১, ডিএসবি সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণসহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার অফিসারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




চুয়াডাঙ্গায় জেলা গোয়েন্দা শাখার মাদকবিরোধী অভিযানে আটক ২

চুয়াডাঙ্গায় ১৫০ অ্য্যম্পুল নেশার ইঞ্জেকশনসহ দুই মাদক কারবারিকে আটক করা হয়েছে। আজ রবিবার চুয়াডাঙ্গা সদরের দৌলাৎদিয়াড় চুনুরিপাড়ায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) শাখা মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে আটক করে।

জানাগেছে, বর্তমানে পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানের অংশহিসেবে জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদ এর নেতৃত্বে এসআই ওহিদুল ইসলাম বিপিএম, এএসআই আবু আল-ইমরানসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে দৌলতদিয়াড় চুনরিপাড়ায় নিজ বাড়ি থেকে খোকনকে (৫০) আচক করা হয়।

খোকন দৌলাৎদিয়ার চুনুরিপাড়ার মৃত বদর উদ্দিনের ছেলে।

পরে সদরের তালতলা প্রাইমারি স্কুল পাড়া শহিদুল ইসলামকে (৪০) আটক করা হয়। শহিদুল ইসলাম ওই গ্রামের মৃত আব্দুল বারেক আলীর ছেলে। সেসময় তার হেফজত থেকে ১৫০ পিস অ্যাম্পুল ইঞ্জেকশন উদ্ধার করা হয়। আটককৃত আসামীদের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।




কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় এক দিনব্যাপী লালন স্মরণোৎসবের উদ্বোধন

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, লালন ছিলেন নির্ভেজাল একজন ধার্মিক মানুষ।

লালন শাহের চিন্তা, চেতনা ও উন্নত দর্শন ছিলো মানবতার জন্য, সমাজের জন্য এবং দেশের জন্য। লালন শাহ ছিলেন মানবতাবাদী, সুফি সাধক। তিনি অসাধারণ, অসাম্প্রদায়িক মানুষ ছিলেন।

আজ রবিবার (২৪ মার্চ) বিকেলে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার ছেঁউড়িয়ায় আধ্যাত্মিক সাধক ফকির লালন শাহের একাডেমি মিলনায়তনে এক দিনব্যাপী লালন স্মরণোৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, একসময় যে সমাজে সাম্প্রদায়িকতা ছিলো, ধর্মের গোড়ামি ছিলো আমরা তা থেকে বেরিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু আবারো আমরা সেই সমাজের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। যে সমাজের বিরুদ্ধে জাতির পিতা লড়াই করেছিলেন।

তিনি ধর্মনিরপেক্ষতা সম্পর্কে বলেছিলেন, ধর্ম যার যার, আমরা মানুষ হবো সবার। সেই কথাগুলো লালনও বলেছিলেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দর্শনের সঙ্গে লালনের দর্শনের অদ্ভুত মিল আমরা খুঁজে পাই। লালনের বাণী ও দর্শন সমাজের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। লালনের দর্শন ধারণ করে আমাদের সোনার মানুষ হতে হবে, সুন্দর সমাজ গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, আজকে আমাদের সমাজে চরম নৈতিকতার অবক্ষয়। মানুষের মধ্যে শ্রদ্ধাবোধ, আস্থা নেই। মানুষের নীতি-নৈতিকতা ও সততা আস্তে আস্তে শেষ প্রান্তে চলে এসেছে।

হানিফ বলেন, লালন শাহের যার মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা তেমন ছিলো না কিন্তু অথচ সেই মানুষটি মানুষের বিবেক জাগ্রত করার জন্য অসংখ্য বাণী দিয়ে গেছেন। প্রতি বছর লালন স্মরণোৎসব ও তিরোধান দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। লালন শাহের জীবন ও বাণী নিয়ে অনেক আলোচনা হয়, লালনের গান-বাজনা হয়। বাস্তবে আমরা কতটুকু ধারণ করতে পারছি?

তিনি বলেন, বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ সকল ধর্মের সীমাবদ্ধতা ছাড়িয়ে সদা সত্য পথে চলতে মানুষকে মানবতাবাদীর পথে ডাক দিয়েছিলেন। তিনি অহিংস মানবতার ব্রত নিয়ে দেহতত্ব, ভাবতত্ব, গুরুতত্বসহ অসংখ্য গান সৃষ্টি করে গেছেন। তাঁর এই অমর সৃষ্টি সঙ্গীত কোন ধর্মের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না।

হানিফ আরও বলেন, হানাহানির এই পৃথিবীতে যে অশান্তি চলছে। অসম প্রতিযোগীতার এই সময়ে বাউল লালন শাহ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের, সুফীবাদ ও বাউলতত্বকে বোঝার চেষ্টা করি তাহলে মনে হবে আমরা সহজভাবে আমাদের জীবনযাপন করতে পারবো। আর তাই বিশ্বময় এই হানাহানির যুগে লালনের অসাম্প্রদায়িক চিন্তা চেতনাকে ধারণ করে শান্তিময় এক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।

এসময় তিনি লালনের এই মতদার্শ ও ভাববাদ মানুষকে সহজ সরল পথে চলতে লালনের অমীয় বাণী সমাজের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার আহবান জানান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লালন একাডেমির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো: এহেতেশাম রেজা।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এবং লালন একাডেমির আয়োজনে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক এ্যাড. লালিম হক।

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) আসনের সংসদ সদস্য আব্দুর রউফ, কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই অতিথিদের ফুল দিয়ে এবং উত্তরীয় পরিয়ে দেওয়া হয় এবং একতারা উপহার দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, পবিত্র মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষার্থে এবারের লালন স্বরণোৎসব-২০২৪ রমজান মাসে হওয়ার কারণে শুধুমাত্র একদিন আলোচনার মধ্যে (বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত) সীমাবদ্ধ ছিল। এছাড়াও লালন স্বরণোৎসব উপলক্ষে গ্রামীণ মেলা বন্ধ রয়েছে। তবে বাউল সাধু ও অনুসারীরা তাদের গুরুকার্য চালিয়ে যাবে।

উল্লেখ্য, বাউল সম্রাট লালন শাহ তার জীবদ্দশায় ছেঁউড়িয়ার এই আখড়াবাড়িতে প্রতি বছর চৈত্রের দোল পূর্ণিমা রাতে বাউলদের নিয়ে সাধু সঙ্গ উৎসব করতেন। ১২৯৭ বঙ্গাব্দের পহেলা কার্তিক তার মৃত্যুর পরও এ উৎসব চালিয়ে আসছে তার অনুসারীরা।




সম্পদের জবরদখল ও নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ এনে মেহেরপুরে সংবাদ সম্মেলন

নিরাপত্তাহীনতা দূরীকরণ ও উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত জমির দখল পেতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মেহেরপুরে একটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ রবিবার (২৪ মার্চ) দুপুর পৌনে তিনটার সময় মেহেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সন্নিকটে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী সাহিদা খাতুন এবং তার পুত্র মোঃ এসকেব আলী লিখিত বক্তব্য পাঠ করে পুলিশ ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

লিখিত বক্তব্যে মোঃ এসকেন আলী বলেন, ‘আমি মোঃ এসকেন আলী। আমার মাতা সহিদা খাতুন, স্বামী- মৃত খায়রুল বাসার, সাং- দিঘিরপাড়া, ০৫নং ওয়ার্ড, মেহেরপুর পৌরসভা, থানা ও জেলা- মেহেরপুর।

আমার মাতা সহিদা খাতুনের দ্বিতীয় স্বামী মৃত খায়রুল বাসার-এর নামীয় সম্পত্তি থেকে আমার মা সহিদা খাতুন তাহার অংশমত ৬৪.৯৯ একর সম্পত্তি পান এবং সহিদা খাতুন নিজ নামে খারিজ করেন এবং খাজনা পরিশোধ করিতেছেন। আমার মাতা তাহার মৃত স্বামী খায়রুল বাসার -এর নিকট থেকে প্রাপ্ত সম্পত্তির মধ্যে আমাকে কিছু সম্পত্তি দান মূলে আমাকে রেজিস্ট্রি করিয়া দেয়। আমি দানসূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি নিজ নামে খারিজ করিয়া যথারীতি খাজনা পরিশোধ করিতেছি। উক্ত সম্পত্তিতে থাকা ফসলাদি, পুকুরের মাছ বা লীজের টাকা বা জমির উপর অবস্থিত গোডাউনের ভাড়া আমাদের অংশমত আমাদের দেয় না।

কিন্তু উল্লেখিত সম্পত্তি আমরা ভোগ দখল করিতে গেলে মৃত খায়রুল বাসার-এর দুই ভাই ১. মোঃ খলিলুর রহমান ও ২. মোঃ খোরশেদ আলম স্থানীয় সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকজন দ্বারা আমাদের বাধা সৃষ্টি করিতেছে এবং আমাদের বিভিন্ন ভাবে খুন জখমের হুমকী দিতেছে। এতে আমি এবং আমার মা ও বোন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিতেছি এবং আমাদের বৈধ সম্পত্তি হইতে বঞ্চিত হইতেছি।

উল্লেখিত সম্পত্তির বিষয় নিয়ে উক্ত মোঃ খলিলুর রহমান সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এবং যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতে মামলা দায়ের করে। যাহা বিজ্ঞ আদালত গত ২০২৩ সালের ২৪ জুলাই তারিখে খারিজ করিয়া দিয়াছেন। মামলাটি খারিজ হওয়ার ১ বৎসর পার হইয়া গেলেও উল্লেখিত ১. মোঃ খলিলুর রহমান ও ২. মোঃ খোরশেদ আলম আমাদের উক্ত সম্পত্তির দখল ছাড়িয়া দিতেছে না এবং আমাদের খুন জখমের হুমকী প্রদান করিতেছে। আমরা নিরূপায় হইয়া আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি জানাচ্ছি এবং এ বিষয়ে নিরাপত্তা চেয়ে আইনের কাছে নিরাপত্তা নিশ্চিতের এবং উক্ত জমি উদ্ধারের দাবী জানাচ্ছি।’




ঝিনাইদহ মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের সংস্কার কাজে অনিয়মের অভিযোগ

ঝিনাইদহ স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলীর যোগসাজশে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের বিরুদ্ধে।

ঝিনাইদহ স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের পুরাতন ভবন সংস্কার, পেইন্টিং, টাইলস, সেনেটারি, বাথরুম ফিটিংস, সুইজ স্থাপন, ইলেকট্রিক ওয়ারিং, বাউন্ডারি ওয়ালের রংয়ের কাজ, ফ্লোর টাইলস, বেসিন, মুল ভবনের দরজা, জানালা সংস্কারসহ বিভিন্ন কাজের জন্য ১১ লাখ ৩৯ হাজার টাকার দরপত্র আহবান করা হয়। টেন্ডারের মাধ্যমে কাজটি পায় মধুবন কনস্ট্রাকশন।

অভিযোগ রয়েছে, দরপত্রের কার্যাদেশ অনুযায়ী এ গ্রেডের টাইলস, সেম-টু সিমেন্ট ও ১.২ এফ.এম বালু ব্যবহার করার কথা থাকলেও কার্যাদেশ উপেক্ষা করে সংস্কার কাজে ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের সামগ্রী। বালু ও সিমেন্টের সংমিশ্রণ সঠিক মাত্রায় না করে ফ্লোরে সিমেন্টের পরিমাণ কম দিয়ে বালুর পরিমাণ বেশি দিয়ে টাইলস বসানো হয়েছে। এছাড়া শিরিষ কাগজ দিয়ে পুরনো ভবনের দেয়াল থেকে রং না ছাড়িয়েই ময়লা ও মরিচার উপর রং করে চকচকে ঝকঝকে করে তোলা হয়েছে। এতে করে সামান্য হাতের স্পর্শে নতুন দেয়ালের রং খসে খসে পড়ছে।

সরেজমিনে পরিদর্শনে যেয়ে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের এক স্টাফ কে দেখা গেলেও কাজের সাইডে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল কাউকে পাওয়া যায়নি। এমনকি তদারকির দায়িত্বে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেউ সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। যে কারণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের এসব সামগ্রী ব্যবহার করে শ্রমিক দিয়ে ইচ্ছেমতো সংস্কার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পরিবার পরিকল্পনা অফিসের সাবেক এক কর্মকর্তা জানান, জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের সহকারী পরিচালক প্রবীর কুমার মন্ডল স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলীকে কৌশলে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে বসার জন্য চেয়ার, টেবিল সহ একটি রুম সাজিয়ে দিতে বলেছে এই শর্তে যে তিনি সংস্কার কাজের জন্য বরাদ্দ আসা কাজের ব্যাপারে কোন তদারকি করবেননা। অথচ তার নাকি জেলা অফিস থেকে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে বসার কোন নিয়মই নেই।

এ সকল অভিযোগের ব্যাপারে ঠিকাদার উজ্জ্বল বলেন, সিডিউল অনুযায়ী কাজ হচ্ছে। তবে সিডিউলে কি কি কাজের উল্লেখ আছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ার এর সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন।

এদিকে কাজের তদারকি কর্মকর্তা ঝিনাইদহ স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী এস.এম শামীম হোসাইন সংস্কার কাজে অনিয়মের বিষয়টি স্বীকার করতে নারাজ। তিনি জানান, জিওবি প্রকল্পের আওতায় স্বাস্থ্য বিভাগের হেলথ ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। সংস্কার কাজে বিভিন্ন অনিয়ম ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে, তিনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সাফাই গাইতে শুরু করেন। তার দাবি, কোন অনিয়ম ছাড়াই ইস্টিমেট অনুযায়ী কাজ হচ্ছে। অপারেশন থিয়েটারে টাইলস লাগানোর প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে তিনি তার স্বপক্ষে যুক্তি দেন।




ঝিনাইদহে পিবিআই’র প্রেস রিলিজ গাইড লাইনস ও ভিডিও এডিটিং’ বিষয়ক কর্মশালা

ঝিনাইদহে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-এ প্রেস রিলিজ গাইড লাইনস ও ভিডিও এডিটিং বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঝিনাইদহ পিবিআই কার্যালয়ে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ঝিনাইদহ পিবিআই’র পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মাহাবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি এম রায়হান।

এছাড়া আলোচক হিসেবে ছিলেন সময় টিভির রিপোর্টার লোটাস রহমান সোহাগ। অনুষ্ঠানে ঝিনাইদহে কর্মরত ২০ জন ওসি, এস আই ও এএসআই অংশ নেয়। কর্মসূচীতে পিবিআই’র নানা অভিযান, সফল তদন্ত’র প্রেস রিলিজ তৈরী ও ভিডিও ধারণসহ এডিটিং বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদাণ করা হয়। এতে মামলার তদন্তে পিবিআই’র সাফল্যগাথা গণমাধ্যমে প্রচারের মাধ্যমে অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে। সেই সাথে গণমাধ্যমের সঙ্গে পিবিআইয়ের সম্পর্কের উন্নতি হবে বলেও আশা করেন আয়োজকরা।




মা হারালেন পূজা

ঢালিউড অভিনেত্রী পূজা চেরির মা ঝর্ণা রায় মারা গেছেন। রোববার (২৪ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে মিরপুরের নিজ বাসায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

পূজার মায়ের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন প্রযোজনা সংস্থা জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজ।

আজিজ বলেন, ‘ঝর্ণা আন্টি দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থতায় ভুগছিলেন। তিনি ডায়াবেটিসের রোগী ছিলেন। বাসাতেই তার চিকিৎসা চলছিলো। আজ হুট করেই সবাইকে ছেড়ে চলে গেলেন তিনি।’

২০১২ সালে ‘ভালোবাসার রঙ’-এ শিশুশিল্পী হিসেবে সিনেমায় আত্মপ্রকাশ করেন পূজা। ২০১৮ সালে ‘নূর জাহান’-এর মাধ্যমে বড় পর্দায় নায়িকা চরিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন। একই বছর তিনি ‘পোড়ামন ২’ (২০১৮) সিনেমায় পরী চরিত্রে অভিনয় করে দারুণ জনপ্রিয়তা পান।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে অনুমোদনহীন হাসপাতাল প্যাথলজির ছড়াছড়ি

মেহেরপুরের সিভিল সার্জন অফিস থেকে ঢিল ছোড়া দুরত্বে ‘আল-আকসা নার্সিং হোম অ্যান্ড ল্যাব ও গাংনীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে হাসিনা ডায়াগনিস্ট সেন্টার’সহ অনেক ল্যাব ও বেসরকারি হাসপাতাল সিভিল সার্জন অফিসের তালিকাতে নেই।

তালিকাভূক্ত ল্যাব ও হাসপাতালের খবর স্বাস্থ্য বিভাগের কেউ তেমন একটা খবর রাখে না। জেলাজুড়ে অনুমোদন ছাড়া জমজমাট অবস্থা হাসপাতাল ও প্যাথলজি ব্যবসায়। অধিকাংশ বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের ব্যবসার নিয়ন্ত্রক চিকিৎসক ও জনপ্রতিনিধিরা। দিন দিন জমজমাট হয়ে উঠছে মেহেরপুরে স্বাস্থ্যখাতের এই ব্যবসা। জেলার ৮০ ভাগ ক্লিনিকই বৈধ লাইসেন্সসহ শর্তাবলি পূরণ না করেই ব্যবসা পরিচালনা করছেন।

এসব ক্লিনিকের নেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসক, নার্সসহ আসবাবপত্র। মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের দক্ষিণ পাশে নির্মিত হচ্ছে নার্সিং ইন্সটিটিউট। পূর্ব, পশ্চিম ও উত্তর দিকে বেসরকারি ক্লিনিকের ছড়াছড়ি। হাসপাতালের উত্তর দিকের অংশের নাম ছিল ওয়াবদাপাড়া। এখন ‘ক্লিনিক পাড়া’ নামে খ্যাতি অর্জন করেছে। এই ক্লিনিক পাড়ায় প্রায় কুড়িটি ক্লিনিক অবাধে ব্যবসা করে যাচ্ছে। এসব ক্লিনিকের পোষ্য দালালদের দৌরাত্মে সরকারি হাসপাতালে কোনো রোগী যাওয়ার উপায় নেই বলে জানালেন ভুক্তভোগীরা। আবার ক্লিনিকগুলো প্রভাবশালী ব্যক্তি ও চিকিৎসকদের। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না বলে এন্তার অভিযোগ। সরকারি হাসপাতালের চেয়ে অনেক টাকা খরচ জেনেও রোগীরা ক্লিনিকমুখী হওয়ার অন্যতম কারণ সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা ক্লিনিকগুলোর সঙ্গে জড়িত। সরকারি হাসপাতালের কোন কোন চিকিৎসক ও সেবিকারা বাধ্য করছে রোগীদের ক্লিনিকমুখী হতে।

জেলা সিভিল সার্জন অফিসের হিসাবে জেলায় বেসরকারি হাসপাতাল ও প্যাথলজি ল্যাব রয়েছে ১০৫টি। এরমধ্যে ৬৯টি বেসরকারি হাসপাতাল আছে। তালিকার বাইরে ছোট-বড়সহ আরও ডজন দুই হাসপাতাল আছে। তালিকাভূক্ত প্যাথলজি ল্যাব রয়েছে ৩৬টি। সিভিল সার্জন অফিসের তালিকাভুক্ত ৬৯টি হাসপাতালের মধ্যে ৫৮টি হাসপাতালের লাইসেন্স নাই।

১০ বেডের আবেদন নিয়ে হাসপাতাল ব্যবসা শুরু করলেও অনেক হাসপাতালের বেড সংখ্যা বেড়ে ৫০ ছাড়িয়ে গেছে। তাদের বর্ধিত বেড অনুপাতে জনবল নেই। স্বাস্থ্য বিভাগের ও লো প্রশাসনের বিভিন্ন সভায় অনুমোদনহীন হাসপাতাল প্যাথলজি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আলোচনা হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রীর দেয়া ১০ নির্দেশনা চরমভাবে উপেক্ষিত হচ্ছে। অথচ এই নির্দেশনার আগে গাংনীর রাজা ক্লিনিকে অপারেশনের কুড়ি বছর পর বাচেনা খাতুন নামের এক রোগির পেট থেকে সার্জারি কাঁচি বের করা হয়েছে। ঘটনায় মামলা হলে ক্লিনিক মালিক ডা. পারভিয়াস হোসেন রাজার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। বর্তমানে তিনি জামিনে আছেন।

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের অবসরপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. আব্দস সালামের জেলা শহরের মেহেরপুর দারুস সালাম ক্লিনিকে অপারেশন টেবিলে এক রোগির মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় মামলা হলে আদালত থেকে জামিনে আছেন ডা. সালাম। গত জানুয়ারি মাসে শহরের মল্লিক পাড়ায় হাসপাতালের আরেক অবসরপ্রাপ্ত আরএমও ডা. রমেশ ক্লিনিকে রোগির মৃত্যুতে ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। আবার ওই ক্লিনিকের নিজস্ব সেবিকা স্বর্ণালীর এপেন্ডিসাইটিস অপারেশনকালে মৃত্যু হলে ২০ লাখ টাকায় রফা হয়েছে। গত ১৮ মার্চ গাংনীতে গাংনী উপজেলায় হাসিনা হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় রোগির মৃত্য হলে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে হাসপাতালটি সিলগালা ও হাসপাতালের মালিক হাফিজুর রহমানকে এক বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড, এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে। বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে স্বাস্থ্য মন্ত্রীর ১০ দফা নির্দেশনা চরমভাবে লংঘিত হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার হাসপাতালে চিকিৎসক এক রোগির অনেকগুলো টেস্ট দিলে দালালের খপ্পরে পড়ে অক্ষরজ্ঞানহীন ওই রোগি মো. ইসাহক আলী। দালাল পাশের এক প্যাথলজিতে পরিক্ষা নিরীক্ষা করে বিল ধরিয়ে দেয় ১৭শ টাকা। আর্থিক অসঙ্গতি জানিয়ে রোগি কেঁদে কেটে একাকার হলে শেষতক এক হাজার টাকা বেরিয়ে আসার সময় ক্ষিস্তি খেউড় শুরু করেন ইসাহক আলী।

মেহেরপুরের সিভিল সার্জন মহী উদ্দিন আহমেদ জানান- প্রতিটি বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিক, প্যাথলজি পরিদর্শন করা হয়েছে। পরিদর্শন প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।




আবহাওয়া বদলাচ্ছে শিশুর বাড়তি যত্ন নিন

সময়টা গরমের। একই সঙ্গে বৃষ্টিও আসছে মাঝেমধ্যে। ফলে যেকোনো সময় ঠান্ডা-সর্দি-গম্যি লেগে বাজে অবস্থা হতেই পারে। মশার উপদ্রবও গরম আসার পর বেড়েছে অনেকাংশে। সবাই এসব সমস্যায় নানাভাবে জর্জরিত। তবে শিশু ও প্রবীণরা এই সময়ে কষ্টস্বীকার করেন বেশি। তবে শিশুদের অবস্থা থাকে নাজুক। এ ক্ষেত্রে কি করণীয়? রইলো নবজাতক ও শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. দেলোয়ার হোসেনের পরামর্শ।

অ্যালার্জির প্রকোপ
গরমের প্রাথমিক পর্যায়ে শিশুর শরীরে চুলকানি ও র‍্যাশের মতো বিভিন্ন সমস্যাও দেখা দেয়। এসব পরবর্তীতে মারাত্মক ফুসকুড়িতে পরিণত হয়। অনেক ক্ষেত্রেই অ্যালার্জি বেড়ে গিয়ে র‍্যাশ, ফুসকুড়ি বা চুলকানি হয়। এজন্য যেসব শিশুর অ্যালার্জি আছে, তাদের ফুল থেকে দূরে রাখুন। বাইরে বের হওয়ার আগে অবশ্যই শিশুকে মাস্ক পরিয়ে নিন। ছোটদের ত্বক অনেক কোমল ও সংবেদশীল হয়ে থাকে। তাই এ সময় জেনে-বুঝে শিশুর ত্বকের যত্ন নিন।

বাইরে বেরুলে
আবহাওয়ার ওঠা-নামার এ সময় সহজেই শিশুরা ঠাণ্ডা-জ্বর-কাশিতে আক্রান্ত হয়। তাই শিশুকে এ সময় সঠিক পরিচর্যার মধ্যে রাখতে হবে। বাইরে থেকে ফিরেই সাবান দিয়ে নিয়মিত হাত ধুয়ে নিতে হবে। পাশাপাশি শিশুকে নিয়মিত গোসল ও পরিষ্কার জামা-কাপড় পরাতে হবে।

ভাইরাস জ্বরের প্রকোপ থেকে বাঁচান
হাওয়া বদলের মৌসুমে শিশুর ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা থাকে অনেক। এমনটি হলে প্রচুর পানি ও ফলের রস খাওয়াতে হবে শিশুকে। জ্বরের মাত্রা ১০০ ডিগ্রীর বেশি হলে অবশ্যই শিশুকে হাসপাতালে নিতে হবে।

পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রে
আবহাওয়া যেমনই হোক না কেন শিশুকে নিয়মিত গোসল করাতে হবে। শিশুর শরীর জীবাণুমুক্ত রাখতে গোসলের পানিতে অ্যান্টিসেপটিক লিকুইড বা নিমের পাতা মিশিয়ে গোসল করাতে পারেন।

শিশু থাকুক শুষ্ক
দিনের বেলায় হালকা গরম থাকার কারণে শিশুর শরীর অনেক সময় ঘামে ভিজে যেতে পারে। এজন্য শিশুর বগল বা কুচকিতে ফাঙ্গাল ইনফেকশন যাতে না হয় এজন্য নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন এবং টেলকম পাউডার ব্যবহার করুন।

শিশুর আরাম বিধানে
শীত কম থাকলেও রাতের শেষের দিকে আবহাওয়া বেশ ঠাণ্ডা থাকে। হয়তো ঘুমের মধ্যে শিশু শরীর থেকে লেপ বা কম্বলটি সরিয়ে ফেলে। এজন্য শেষ রাতের দিকে শিশুকে গরম কাপড়ে ঢেকে রাখুন। শিশুকে একেবারেই পাতলা কাপড় পরিয়ে রাখবেন না। আবার বেশি ভারী কাপড় পরিয়ে রাখলেও শিশুর ঘাম হতে পারে। এতেও শিশুর ঠাণ্ডা লাগতে পারে। তাই দিন ও রাতের তাপমাত্রা বুঝে শিশুকে পোশাক পরান।

শিশুর শরীর ঘামছে বলে জোরে ফ্যান চালাবেন না। যদি ফ্যান চালাতেই হয়, তবে হালকা করে ছেড়ে রাখুন। রাতে ফ্যান না চালানোই উচিত। অনেক সময় শুধু ফ্যানের বাতাসের কারণেও শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে।

সূত্র: ইত্তেফাক




চার ম্যাচ পর জয়ের দেখা পেলো ব্রাজিল

চার ম্যাচ পর জয়ের দেখা পেয়েছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। ওয়েম্বলিতে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে সেলেসাওরা। বিস্ময় বালক এন্ড্রিকের একমাত্র গোলে ইংল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল। সেই সঙ্গে ব্রাজিলের কোচ হিসেবে জয় দিয়ে যাত্রা শুরু করলো দারিভাল জুনিয়র।

ম্যাচের প্রথমার্ধে বেশ হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেছে ব্রাজিল-ইংল্যান্ড। বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করেছিল সেলেসাওরা। তবে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের আক্রমণ আটকে গেছে ইংল্যান্ড ডিফেন্সে। শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য সমতায় থেকে বিরতিতে যায় দু’দল।

বিরতি থেকে ফিরেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চালিয়ে যায় দু’দল। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে খেলতে থাকে তারা। ম্যাচের ৭১ মিনিটে বদলি হিসেবে মাঠে নামেন আগামী জুলাইতে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিতে যাওয়া ১৭ বছর বয়সী এড্রিক।

মাঠে নামার ৯ মিনিটের মধ্যে ইংল্যান্ডের জালে বল জড়ান এই বিস্ময় বালক। তার গোলে ম্যাচে লিড নেয় সেলেসাওরা। এরপর গোল শোধে মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে ইংল্যান্ড। তবে শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল না হলে ১-০ গোলের জয়ে নিয়ে মাঠ ছাড়ে পাঁচবারে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।

সূত্র: ইত্তেফাক