৮ মে অনুষ্ঠিত হবে সদর ও মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম পর্যায়ে মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ২০১৩ এর বিধি ১৩ অনুসারে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) নির্বাচনের এই তফসিল ঘোষণা করেছেন।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের লক্ষ্যে এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে সময়সূচী ঘোষণা করেন।

ঘোষিত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সরাসরি রিটার্নিং অফিসার অথবা রিটার্নিং অফিসারের অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ আগামী ১৫ এপ্রিল। রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। ১৮-২০ এপ্রিল মনোনয়নপত্র বাছায়ে রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের, ২১ এপ্রিল আপিলের নিষ্পত্তি, ২২ এপ্রিল প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ। ২৩ এপ্রিল প্রতীক বরাদ্দ এবং ৮ মে সকাল আটটা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

জেলা নির্বাচন অফিসার রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করাসহ নির্বাচন পরিচালনার জন্য রিটার্নিং অফিসারকে সহায়তার জন্য সদর ও মুজিবনগর উপজেলা নির্বাচন অফিসারকে সহকারী রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম ও মুজিবনগর উপজেলা পরিষদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিয়াউদ্দিন বিশ্বাস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন মেহেরপুর-১ (সদর ও মুজিবনগর) আসনে প্রার্থী হতে অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম পদত্যাগ করেন। তবে খুব অল্প সময় থাকায় নির্বাচন কমিশন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদটি শুণ্য ঘোষণা না করে মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান লতিফুন্নেছা লতাকে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেন।

এদিকে মেহেরপুর জেলার দুটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই শুরু হয়েছে নির্বাচনী হাওয়া। এবার এই দুটি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে কারা কারা প্রার্থী হচ্ছেন এনিয়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। তবে, প্রার্থী যারাই হবেন জেলার জনপ্রশাসন মন্ত্রীর আশির্বাদপুষ্টরাই ভাল অবস্থানে থাকতে পারে বলে মতামত ব্যাক্ত করেছেন এ দুটি উপজেলার ভোট বিশ্লেষকরা।




সেপ্টেম্বরের মধ্যে এআই নিয়ে দেশে নতুন আইন

মানুষের অধিকার সংরক্ষণ ও সুবিধার জন্য এআই ব্যবহার করবে বাংলাদেশ। তাই এআই এর গতিপ্রকৃতি অবজারভ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চায় সরকার। তাই এখনই এআই আইন নয় বলে জানিয়েছেন আইন মন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, অন্যান্য দেশে এই আইনে ব্যবহার পরীক্ষা করে দেখতে আমরা এই সময়টুকু নিচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি এরপরই আমরা যথা সময়ের মধ্যেই আইনটি তৈরি করতে পারবো। সেপ্টেম্বরের মধ্যে এআই আইনের খসড়া তৈরি হবে।

অপরদিকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ২০৪১ সালের উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ এবং স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সমাজব্যবস্থা, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সরকারব্যবস্থা গড়তে হলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইকে বাইপাস করে কিছু করা সম্ভব নয়। তাই এখন আমাদের চ্যালেঞ্জ বা আলোচনার বিষয় হচ্ছে আমরা কতটুকু উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করবো এবং কতটুকু অপপ্রয়োগকে নিয়ন্ত্রণ করবো।

গত ২১ মার্চ দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) আইন প্রণয়ন সংক্রান্ত পরামর্শ ও মতবিনিময় সভা শেষে এসব কথা বলেন দুই মন্ত্রী। এসময় বিবাহ ও তালাক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (বন্ধন) বিষয়েও আলোচনা হয়। বৈঠকে আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার এবং আইসিটি সচিব মো. সামশুল আরেফিন উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকের আলোচনা বিষয়ে জানতে চাইলে আইন মন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেছেন, আমরা মনে করি আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই যেভাবে পৃথিবী বদলে দিচ্ছে, সেটার ব্যাপারে একটা আইন যেরকম সারা পৃথিবীতে চিন্তা করা হচ্ছে বাংলাদেশেও চিন্তা করা উচিত। সেই চিন্তা করার জন্যই আমরা আজকে প্রাথমিকভাবে বসেছিলাম। আজকে আইনের একটা আউটলাইন আমরা করলাম। এ বিষয়টা এত ব্যাপক এক দিনের আলোচনায় শেষ হবে না। এ আইনের মধ্যে যে জিনিসগুলো থাকা উচিত, মনুষ্যত্বের দিক থেকে যে বিষয়গুলো রক্ষা করা উচিত- সেগুলোর বিষয়ে আলোচনা করেছি। সেই আলোচনা শুরু হলো এবং আলোচনা চলবে।

আউটলাইনে কি কি থাকছে- জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে সেটা আমরা বলতে চাই না। কারণ এটাও পরিবর্তনশীল। বিষয়টা পর্যবেক্ষণ করার জন্য এবং অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য, অন্যান্য জায়গায় কি আইন হচ্ছে সেটা একটু পরীক্ষা করার জন্য এই সময়টুকু নিয়েছি। আমি বিশ্বাস করি এই সময়ের মধ্যে আমরা এই আইনটা তৈরি করতে পারব।

এই আইনের ফলে কি হবে জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, এটি আমাদের কাছেও জিজ্ঞাস্য। এর কারণ হচ্ছে আমরা কতটুকু নিয়ন্ত্রণ করবো। এই জিনিসটুকু আমি বলতে পারি- মানুষের অধিকার সংরক্ষণের জন্য, সর্বক্ষেত্রে সেটা সংরক্ষণের জন্য, মানুষের সুবিধার জন্য এআইকে যাতে ব্যবহার করা যায় সেই চেষ্টাই আমরা করব।

এরপর ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, অত্যন্ত সময়োপযোগী একটি সিদ্ধান্ত আইনমন্ত্রী মহোদয় গ্রহণ করেছেন। গত ফেব্রুয়ারিতে তিনি আমাকে নির্দেশনা দেন যে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে আমরা কি ভাবছি ও আইন প্রণয়নের ব্যাপারে আমরা কতটা প্রস্তুত। উনার নির্দেশনা পাওয়ার পর আমরা তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা মহোদয়ের সঙ্গে আলোচনা করি এবং যারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে পড়াশোনা করেছেন তাদের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা এ সিদ্ধান্তে উপনীত হই যে, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট গভর্নেন্স, স্মার্ট অর্থনীতি করতে হলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে বাইপাস করে কিছু করতে পারবো না।

তিনি বলেন, এখন বড় একটা চ্যালেঞ্জ ও বড় একটা বিতর্ক হচ্ছে, আমরা কতটুকু উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করবো কতটুকু অপপ্রয়োগে নিয়ন্ত্রণ করবো। এ বিষয় নিয়ে আজকে আমরা আইনমন্ত্রী মহোদয়ের কাছে এসেছিলাম। আইনমন্ত্রী মহোদয়ও বললেন একটা আউটলাইন আমরা দাঁড় করিয়েছি। আগামী দিনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পরিবর্তনটা কত দ্রুত হচ্ছে, এর ব্যবহারটা কতটুকু আমরা আমাদের অর্থনীতির সমৃদ্ধি আনার জন্য, কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য করতে পারি। বিদেশি বিনিয়োগ পাওয়ার জন্য রপ্তানি আয় বৃদ্ধির জন্য এটার কি কি ব্যবহার হতে পারে যেটা উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করবে, উদ্যোক্তাদের নতুন নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে দেবে।

সূত্র: ইত্তেফাক




আমরা মূলত প্রান্তিক কৃষকদের মনে ভরসা জাগাতে চাই– তাহমিদুজ্জামান

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি)র অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কোম্পানি সেক্রেটারি এটিএম তাহমিদুজ্জামান বলেছেন, আমরা মূলত প্রান্তিক কৃষকদের মনে ভরসা জাগাতে চাই। কৃষকদের পাশে দঁড়াতে চাই।

তিনি বলেন, বাণিজ্যিক কৃষির বিকাশ ও দেশের খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে আমরা প্রান্তিক কৃষকদের দোরগোড়ায় হাজির হয়েছি।

আজ শনিবার সকালে কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলার ৬টি উপজেলার প্রায় ২৫০জন নির্বাচিত কৃষিউদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষণ প্রদানকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, কৃষক যাতে সহজ শর্তে ঋণ গ্রহণ করে তাদের কাঙক্ষিত ফসল উৎপাদন ও বাজারজাত করতে পারেন, সেই উদ্দেশ্যেই আমরা প্রতিটি জেলায় কৃষি উদ্যোক্তাদের নিয়ে প্রশিক্ষণের আয়োজন করছি। আমরা আমাদের প্রকল্পের নাম দিয়েছি ‘ভরসার নতুন জানালা’। আমরা মূলত প্রান্তিক কৃষকদের মনে ভরসা জাগাতে চাই। কৃষকদের পাশে দঁড়াতে চাই।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের মাটি ও মানুষ অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ও কৃষিতথ্য বিশ্লেষক রেজাউল করিম সিদ্দিক, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মো: টিপু সুলতান, জেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডা. কিশোর কুমার কুন্ডু, সদর উপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: শরীফ হাসান সোহাগ, ইউসিবির এমএমই ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান মো মোহসিনুর রহমান, বিভাগীয় প্রধান মো. মোল্লা মাসুদ পারভেজ প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য দেন ইউসিবির শাখা ব্যবস্থাপক মো. শরিফ হোসেন।

বাংলাদেশ টেলিভিশনের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘মাটি ও মানুষ’ অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ও কৃষিতথ্য বিশ্লেষক রেজাউল করিম সিদ্দিক বলেন, দেশকে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে নিতে চাইলে কৃষি উদ্যোক্তা তৈরির বিকল্প নেই। কোন ফসল কখন লাগাতে হবে, কোন জাতের বীজ বপণ করতে হবে, কখন তার ভালো দাম পাওয়া যাবে, কীভাবে বাজারজাতকরণ করতে হবে-এই জ্ঞান না থাকলে কৃষিতে সফল হওয়া যাবে না। নিজের উন্নতির জন্য কৃষকদের উদ্যোক্তা হতে হবে, উদ্যোক্তা হিসেবে ব্যবসায়িক জ্ঞান, কারিগরি জ্ঞান, দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়াতে হবে। ইউসিবি সেই কাজটিই করার চেষ্টা করছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ইউসিবি সামাজিক দায়িত্বের অংশ হিসেবে কৃষিখাতে সহায়তা প্রদানের জন্য ‘ভরসার নতুন জানালা’ নামে একটি বিশেষ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এই প্রকল্পের আওতায় দেশের ৬৪ জেলায় প্রতিটি উপজেলা থেকে নির্বাচিত কৃষি উদ্যোক্তাদের নিয়ে প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৪৫ জেলায় এই প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এসব প্রশিক্ষণে উদ্যোক্তা হিসেবে বিকাশের জন্য করণীয়, ব্যবসায়িক পরিকল্পনা, তথ্যপ্রাপ্তি, মূলধন, বাজারজাতকরণ, সরকারি কৃষি প্রণোদনা সহায়তা পাবার পথ-পদ্ধতি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে কৃষি-উদ্যোক্তাদের ধারণা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠান শেষে ইউসিবির পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের উপহার হিসেবে উন্নত মানের সবজি বীজ, সারসহ বিভিন্ন উপকরণ প্রদান করা হয়।




আলমডাঙ্গা বণিক সমিতির কার্যালয়ে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা

আলমডাঙ্গা বণিক সমিতির কার্যালয়ে আসন্ন ঈদুল ফিতর ও পবিত্র মাহে রমজানকে সামনে রেখে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে এ মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত হয়।

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন আলমডাঙ্গা বণিক সমিতির সভাপতি আরেফিন মিয়া মিলন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ গনি মিয়া।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ গনি মিয়া বলেন, মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচাইতে বড় ধর্মীয় উৎসব হলো ঈদুল ফিতর ও মাহে রমজান। এই উৎসবকে সামনে রেখে এক শ্রেণীর চোর চক্র ব্যবসায়িদের নানা ভাবে হয়রানি করে,তারা আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।আপনারা আমাদের সহায়তা করলে তাদের ধরতে আমরা বদ্ধ পরিকর।তবে সিসি ক্যামেরা গুলি সচল করে দিতে হবে,কারণ সিসি ক্যামেরা সচল থাকলে অপরাধীদের চিহ্নিত করতে সহায়ক হয়।

অনুষ্ঠানে অন্য বক্তাগণ বলেন, মাদক সেবীদের অত্যাচারে সমাজ অতিষ্ট হয়ে পড়েছে।মাদকের কারণে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নাজুক হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।তাই মাদক বন্ধে ওসি সাহেবকে কার্যকর ভুমিকা রাখতে অনুরোধ করেন ব্যবসায়ীরা ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসবে উপস্থিত ছিলেন বণিক সমিতির সাবেক সভাপতি হাজী রফিক মিয়া, মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন। বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুনের উপস্থাপনায় আরও বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস, হোটেল মালিক সমিতি সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সভাপতি গার্মেন্টস মালিক সমিতি বাবলু মিয়া, সম্পাদক রিপণ মিয়া, মটর সাইকেল মেকানিক সমিতির সভাপতি রুহুল উদ্দিন, কাঠব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি আসাদুল হক ডিটো, সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, কাঁচা বাজার মালিক সমিতি সভাপতি ইমরুল কায়েস। বণিক সমিতির সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আহমেদ, সাংগাঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বাবলু, সদস্য হামিদুল ইসলাম, জয়নাল ক্যাপ, তোতা মিয়া, রতন জমিদার, জসিম উদ্দিন, সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।




কুষ্টিয়ার মিরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বহলবাড়ীয়া এলাকায় শ্যালো ইঞ্জিন চালিত লাটাহাম্বার ধাক্কায় নাজমুল ইসলাম (২৯) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।

আজ শনিবার বিকেলের দিকে কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী সড়কের বহলবাড়ীয়া ইউনিয়নের খাদিমপুর আটমাইল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত নাজমুল ইসলাম হলেন- নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার বৃকাছুটিয়া এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে।

জানা গেছে, বিকেলের দিকে কুষ্টিয়ার নাটোর থেকে কুষ্টিয়া আসার পথে খাদিমপুর আটমাইল নামকস্থানে পৌঁছালে মোটরসাইকেল থেকে রাস্তার উপর ছিটকে পড়েন। এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা শ্যালো ইঞ্জিন চালিত লাটাহাম্বারের চাকায় পিষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয়। এসময় আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাজমুল ইসলামের মৃত্যু হয়।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া চৌড়হাস হাইওয়ে থানার উপ পরিদর্শক জয়ন্ত কুমার দাশ।




মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির মৃত্যু

মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফজলুল হক ফজল (৭৪) মারা গেছেন। (ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না এলাহি রাজিউন)।

আজ শনিবার দুপুর সাড়ে তিনটার সময় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
মৃত্যুকালে তার তিন ছেলে এক মেয়ে, স্ত্রী, বন্ধু, বান্ধব, রাজনৈতিক সহকর্মীসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রয়েছেন।
প্রবীণ এই আওয়ামী লীগ নেতা গাংনী উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি, জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

ফজলুল হকের ভাস্তে আজিজুল হক রানু এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বর্তমানে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও গাংনী মার্কেট মালিক সিমিতি কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

আজ শনিবার রাত ১০ টার সময় গাংনী হাইস্কুল ময়দানে নামাজে জানাযাশেষে কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

এদিকে প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ফজলুল হকের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি, মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ডাক্তার এএসএম নাজমুল হক সাগর, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ খালেক, গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাংস্কৃতিক সংগঠক সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।




বাড়ি মেহেরপুর ফেসবুক গ্রুপের পক্ষ থেকে ইফতার মাহফিল

বাড়ি মেহেরপুর ফেসবুক গ্রুপের পক্ষ থেকে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

আজ শনিবার (২৩শে মার্চ) পুরাতন বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন পোস্ট অফিস রোডে ফেসবুক ভিত্তিক সামাজিক গ্রুপ বাড়ি মেহেরপুরের প্রধান কার্যালয়ে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা।

বাড়ি মেহেরপুর গ্রুপের প্রধান এডমিন আমেরিকান প্রবাসী এম এম নুরুজ্জামানের সহযোগিতায় ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাড়ি মেহেরপুরের এডমিন মোহাম্মদ রিনু, এডমিন আসাদুজ্জামান খান রাজ, মডারেটর মোঃ মাবুদ সহ বাড়ি মেহেরপুর ফেসবুক গ্রুপের বিভিন্ন সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।




টালিউড অভিনেতা পার্থসারথি দেব ‍মারা গেছেন

টালিউড অভিনেতা পার্থসারথি দেব ‍মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর।

আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুক্রবার (২২ মার্চ) কলকাতার বাঙুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান পার্থসারথি দেব।

দীর্ঘদিন ধরে সিওপিডির সমস্যায় ভুগছিলেন পার্থসারথি। ফুসফুসে সংক্রমণ ছিল তার। পাশাপাশি নিউমোনিয়াও ধরা পড়েছিল। অভিনেতার বুকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল। গত ৪৩ দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

‘পশ্চিমবঙ্গ মোশন পিকচার্স আর্টিস্ট ফোরাম’-এর পক্ষ থেকে শুক্রবার রাতে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অভিনেতার মৃত্যুসংবাদ জানানো রয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে লেখা হয়েছে, ‘আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, প্রখ্যাত অভিনেতা এবং আমাদের ফোরামের অন্যতম সহ-সভাপতি পার্থসারথি দেব ২২ মার্চ রাত ১১টা ৫০ মিনিটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন।’

দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। তার মৃত্যুতে টালিউডে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

‘কাকাবাবু হেরে গেলেন’, ‘লাঠি’, ‘প্রেম আমার’-সহ একাধিক জনপ্রিয় বাংলা ছবিতে অভিনয় করেছেন পার্থসারথি। ছোট পর্দার জন্য ‘সত্যজিতের গপ্পো’ সিরিজেও অভিনয় করেছিলেন তিনি। গত বছর ‘বগলা মামা যুগ যুগ জিও’ এবং ‘রক্তবীজ’ ছবিতে দেখা গেছে তাকে।




দর্শনায় ১৯৫ বোতল ফেনসিডিলসহ বাবা-ছেলে গ্রেফতার

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামে মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ১৯৫ বোতল ফেনসিডিলসহ রিপন মিয়া (২৯), রকিম মিয়াকে (৫০) গ্রেফতার করছে দর্শনা থানা পুলিশ।

জানাগেছে গতকাল শুক্রবার (২২ মার্চ) রাত সাড়ে ১২ টার দিকে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি বিপ্লব কুমার সাহার নেতৃত্বে, অভিযান চালায় রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামের উত্তর পাড়ায়। এ সময় দর্শনা থানার এস আই সোহেল রানা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালায় রকিব মিয়ার বাড়িতে। এ সময় পুলিশ রকিব মিয়ার নিজ শুয়ার কক্ষে খাটের নিচ থেকে ১৫০ বোতল ও রিপনের ঘর থেকে ৪৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে। এ ফেনসিডিলের বাজার মূল্য অনুমান ৩ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা।

এ ঘটনায় এস আই সোহেল বাদি মাদক আইনে বাপ ও ছেলের বিরুদ্ধে দায়ের করেছে মামলা।




বাংলাদেশকে হারিয়ে ঢাকায় ফিলিস্তিন

কুয়েতের জাবের আল আহমাদ স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ এবং এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে ফিলিস্তিন ৫-০ গোলে বাংলাদেশকে হারিয়ে আজ সকালে ঢাকায় আসছে ফিলিস্তিন। এর আগেই ঢাকায় ফেরার পথে ছিল বাংলাদেশ ফুটবল দল। তারা আজ ভোরেই হোটেলে উঠার কথা। বাংলাদেশ-ফিলিস্তিন ফিরতি ম্যাচ ঢাকায়, ২৬ মার্চ।

ফিলিস্তিন শক্তিশালী দল। তাদের বিপক্ষে পারবে না বাংলাদেশ, বড় ব্যবধানে হারবে, সেটা আগেই অনুমিত ছিল। তারপরও কুয়েতের মাঠে হওয়া খেলা যারা দেখেছেন তাদের চোখে আশা জাগিয়েছিল বাংলাদেশ। প্রথম ৪২ মিনিট পর্যন্ত অন্তত তিন বার বাংলাদেশের গোলরক্ষক মিতুল মারমাকে একা পেয়েও বাইরে মেরে সুযোগ নষ্ট করে ফিলিস্তিন। এরই ফাঁকে বাংলাদেশ অন্তত দুই বার গোলের সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ হয়েছে।

ফাহিম, সোহেল রানা, রাকিবরা আক্রমনভাগে অপ্রত্যাশিত সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছেন। ফিলিস্তিনি ফুটবলাররা উচ্চতায় সাড়ে ৬ ফুট। তাদের বিপক্ষে বাংলাদেশ এরিয়েলে না খেলে গ্রাউন্ড বলে খেলছিল। এতে সুযোগও হচ্ছিল। কিন্তু প্রথমার্ধের শেষ দিকে রক্ষণের ব্যর্থতায় বাংলাদেশ টপাটপ গোল হজম করে। ফিলিস্তিনি জানে তারা ছয় দিনের ব্যবধানে দুটি ম্যাচ খেলবে। ঢাকার মাঠে পুরো বিপরীত পরিবেশে খেলতে হবে। হয়তো সে কারণে প্রথম ম্যাচে নিজেদের

শক্তিটাকে পুরোপুরি ঢেলে দেয়নি। সেই সুযোগটা পেয়েও লুফে নিতে পারেনি জামাল ভূঁইয়ারা। ৫টা গোলই হয়েছে রক্ষণের ফুটবলারদের কারণে। হ্যাটট্রিক করেছেন ফিলিস্তিন দলের একমাত্র ইউরোপে খেলা ফুটবলার ওদে দাবাগ। বেলজিয়ামে খেলেন তিনি। ৪২ মিনিট পর্যন্ত গোল পোস্ট আগলে রেখে গোল হজম করে। দুই ডিফেন্ডার দু- দুটি ভুল করেন, ২-০ তে এগিয়ে যায় ফিলিস্তিন। ৪৩ মিনিটে ওদে দাবাগ গোল করলেন সাদ উদ্দিনের ভুলে। ৪৫ মিনিটে শিহাব কামবর গোল করলেন সোহেল রানার ভুলে। এই সোহেল রানা সবচেয়ে রানা নিজেদের বক্সে এমনভাবে বল রিসিভ করলেন, সোহেল রানার পায়ের বল ফিলিস্তিনি ফুটবলার শিহাবের পায়ে গেলে গোল করেন তিনি।

ওদে দাবাগ, শিহাব, ওয়ারদা বাংলাদেশের রক্ষণে যতটা তচনচ করেছেন, তার চেয়েও বেশি ভুল খেলে সুযোগ করে দিয়েছেন বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা। ভাগ্য ভালো গোলরক্ষক মিতুল মারমা এদের মধ্যে ভালো খেলে পোস্ট আগলে রেখেছিলেন। প্রথম দুই গোলেই শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধে নেমে বাংলাদেশ যেন আরো বিপদে পড়ে যায়। ফিলিস্তিনি ফুটবল দল বাংলাদেশকে গলা চেপে ধরে। ৪৯ মিনিটে আবার শিহাব গোল করেন, ৩-০। ৫৩ মিনিটে ওদে দাবাগ গোল করেন, ৪-০। ততক্ষণে বাংলাদেশের সব সর্বনাশ হয়ে গেছে, ৭৭ মিনিটে হ্যাটট্রিক করেন ওদে দাবাগ ৫-০।

সূত্র: ইত্তেফাক