দামুড়হুদায় আইসিভিজিডি প্রকল্পের প্রশিক্ষণ পরিদর্শন করলেন উপজেলা চেয়ারম্যান 

দামুড়হুদা উপজেলার সদর ইউনিয়নে আইসিভিজিডি প্রকল্পের ব্যবসা ভিত্তিক ৬ দিনের চলমান প্রশিক্ষণ পরিদর্শন করেন দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আলী মুনছুর বাবু।

গতকাল রবিবার বেলা ২ টার দিকে সদর ইউনিয়ন পরিষদে সরজমিনে পরিদর্শন করেন। এ প্রকল্পের আওতায় ২৩ জন নারীকে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

এসময় দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আলী মুনছুর বাবু বলেন, বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তৃণমূলের জনগণকে এগিয়ে নিতে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে নারীদেরকে স্বাবলম্বী করে তোলার লক্ষ্যে এ ধরনের ব্যবসায়িক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। যাতে করে সকল নারীরা নিজেরা স্বাবলম্বী হয়ে নিজের পায়ে নিজে দাঁড়াতে পারে, সংসারের হাল ধরতে পারে এবং দেশ ও জনগণকে এগিয়ে নিতে সরকার নিরোলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী, ইউপি সচিব শামীম রেজা, ফিল্ড ট্রেইনার মোঃ মিনারুল ইসলাম ও এল এফ রেশমা খাতুন সহ ইউপি সদস্যবৃন্দ ও গ্রাম পুলিশগন এবং প্রশিক্ষণার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।




গাংনীতে তামাক ক্ষেত কর্তণ, তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

গাংনী উপজেলার সাহারবাটি ইউনিয়নের চোখতোলা মাঠে দুই কৃষকের প্রায় দুই বিঘা জমির উঠতি তামাক ক্ষেত কর্তণ করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে দুই কৃষকের প্রায় চার লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন দুই কৃষক।

গতকাল শনিবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় একই উপজেলার সাহারবাটি ইউনিয়নের চোখতোলা মাঠে এই তামাক কর্তণের ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, ধর্মচাকি গ্রামের কৃষক ফজলুল হকের দেড় বিঘা ও রিপন আলীর ১৪ কাঠা জমির উঠতি তামাক ক্ষেত কর্তন করেছে দুর্বৃত্তরা।
এতে ফজলুল হক ও রিপন আলীর প্রায় ৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তারা।

এঘটনায় ধর্মচাকি গ্রামের তিন জনকে বিবাদী করে গাংনী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ফজলুল হক। গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আসামিরা হলেন, ওই গ্রামের মৃত হারুন অর রশিদের ছেলে আব্দুল কাদের, মৃত ফাকের আলীর ছেলে আব্দুল কুদ্দস ও মৃত ইয়াছিন আলীর ছেলে মঙ্গল আলী।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, মানুষের সাথে মানুষের শত্রুতা থাকতে পারে। এজন্য ফসলের ক্ষেত বিনষ্ট করতে হবে। এটা খুবই দু:খজনক। মাঠে ঘটনাগুলো ঘটছে, যেখানে পুলিশের ডিউটি সম্ভব নয়। এছাড়া কৃষকরাও পাহারা দিতে পারেনা। ইতোপূর্বে ফসল কর্তণের ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে। সে মামলা তদন্ত চলছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন।




আলমারিতে তোলার আগে শীত পোশাকের যত্ন

শীত আসে মোটে মাস দুয়েকের জন্য। শীত গেলেই আর গরম কাপড় ব্যবহার করা হয় না। দীর্ঘদিন ব্যবহার করা হয় না বলেই শীতবস্ত্র সংরক্ষণ করা জরুরি হয়ে পড়ে আলমারিতে শীতবস্ত্র এমনভাবে সংরক্ষণ করতে হবে যাতে তা নষ্ট না হয়। খারাপ হওয়ার শঙ্কা দূর করার জন্য এখনই কিছু প্রস্তুতি আর প্রয়োজন শনাক্ত করে নিতে হয়। সেগুলো জানাতেই আজকের এই আয়োজন-

না ধুয়ে রাখবেন না
শীতের কাপড় ধোয়া একটা যন্ত্রণা। তবে না ধুয়ে শীতের কাপড় ভুলেও আলমারিতে ঢোকাবেন না। শীতের সময় ঘাম হয় কম। তবে শরীর তো ময়লা হয়। ময়লা বা শরীর থেকে নির্গত তৈলাক্ত পদার্থ খালি চোখে দেখা যাবে না। দেখা না গেলেও দীর্ঘমেয়াদে এগুলোর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে আমাদের জামায়। শীতবস্ত্রে ময়লা বা ঘাম কাপড়ে বাজে গন্ধ ছড়ায়। একই সঙ্গে পোকামাকড় ও ছত্রাক ডেকে আনে। তাই শীতবস্ত্র ধুয়ে নিন। যেগুলো ধোয়া যায় না সেগুলো ড্রাই ওয়াশ করে নিন। আপনারই তাতে লাভ।

কটু গন্ধ এড়াতে
আলমারিতে তোলার সময় কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার তেল দিয়ে দিতে পারলে ভালো হয়। আবার সঙ্গে ন্যাপথালিন রাখতে পারেন। সুগন্ধী দিলে কাপড়ে কটু গন্ধ হবে না।

আলমারি প্রস্তুত করুন
শুধু জামা রেখে দিলেই কি আর হবে? আলমারি প্রস্তুতও করতে হবে। আর্দ্র ও স্যাঁতসেঁতে জায়গায় শীতবস্ত্র রাখা যাবে না। প্রথমে বস্ত্রের মাঝে টিস্যু পেপার দিয়ে দিন। মনে রাখতে হবে আর্দ্রতাই শীতবস্ত্রের মূল শত্রু। মাঝে টিস্যু পেপার থাকলে তা অতিরিক্ত আর্দ্রতা শোষণ করে নিতে পারে।

ভাজ করুন, ঝুলিয়ে রাখা নয়
শীতের পোশাক ভাঁজ করে রাখাই উত্তম। ঝুলিয়ে রাখলে উল নষ্ট হওয়ার শঙ্কা থাকে অনেক। কিন্তু একসঙ্গে অনেক সোয়েটার জমা করে রাখবেন না। এ তো গেলো শীতবস্ত্রের কথা। কাঁথা বা কম্বলের কি হবে? কম্বল বায়ুশূন্য ব্যাগে ভরে রাখতে পারলে সবচেয়ে ভালো। এতে আর্দ্রতা ও ধুলোবালি কিছুই ঢুকতে পারবে না। আলাদাভাবে প্লাস্টিক ব্যাগেও ভরে রাখতে পারেন।

পোকামাকড়ের উপদ্রব কমানোর জন্য
আলমারিতে শীতবস্ত্রগুলো সঠিকভাবে সাজিয়ে রাখুন। দীর্ঘদিন আর দেখা হবে না এই পোশাক। পোকামাকড় তাই যেকোনো সময় আক্রমণ করতে পারে। এ সমস্যা এড়াতে পোশাকের ভাঁজে ভাঁজে ও আলমারির কোনায় কোনায় ন্যাপথলিন ও নিমপাতা রাখুন।

কাজ শেষ হয়নি
শীতবস্ত্র সাজিয়ে রাখলেই যে আপনার কাজ শেষ এমনটা কিন্তু নয়। ভালোভাবে সংরক্ষণের জন্য আর পোকামাকড় মুক্ত রাখতে মাঝে মাঝে অবশ্যই এই শীতের পোশাক বা কম্বলগুলো রোদে একটু গরম করে নেবেন। এভাবে আপনি দাগও এড়াতে পারবেন। একেবারে আলমারিতে রেখে দিলেই যে নিরাপত্তা নিশ্চিত এমনটি ভাবার কারণ নেই। মাঝেমধ্যে কাপড় বের করে আলমারিও পরিষ্কার করে নিতে হবে। তবেই ভালো থাকবে শীতবস্ত্র।

সূত্র: ইত্তেফাক




শাকিব খানকে ধরিয়ে দিলেই লাখ টাকা পুরস্কার!

ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খানের ছবির আরও একটি ‘পোস্টার’ প্রকাশ পেয়েছে। যেখানে আঁকা হয়েছে শাকিব খানের প্রতিচ্ছবি। নিচে নাম লেখা হয়েছে ‘দুলু’। যাকে জীবিত বা মৃত ধরিয়ে দিতে পারলে দেয়া হবে লাখ টাকা পুরস্কার।

এর আগে গত বছরের শেষে প্যান ইন্ডিয়ান সিনেমা ‘দরদ’-এর শুটিং শেষ করেছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের শীর্ষ নায়ক শাকিব খান। চলতি মাসেই মুক্তি পেয়েছে এই সিনেমার ফার্স্ট লুক। যেখানে বিধ্বংসী শাকিবের দেখা মিলেছে।

বোঝাই যাচ্ছে, ‘দরদ’ সিনেমারই কোনো একটি গল্পের অংশ এই পোস্টার। যেখানে শাকিব খানকে ধরিয়ে দেয়ার মতো কোনো ঘটনারই গল্প পর্দায় দেখা যাবে।

যার ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, আগে কোনো বাংলাদেশি নায়ক-নায়িকা, গায়ক-গায়িকা, অডিয়েন্স, পরিচালক, প্রযোজক ভাবেও নাই যে বাংলা সিনেমার কোনো প্রমো এই বিখ্যাত বুর্জ খলিফায় দেখানো যেতে পারে। এটা স্বপ্ন ছিল সবার কাছে। আর শাকিব খানকে দিয়েই বাস্তবে পরিণত হচ্ছে। তিন মিনিটের জন্য বুর্জ খলিফা হবে দরদের জন্য। দেখানো হবে পাঁচ ভাষার প্রোমো! এটা দিয়ে শুরু মধ্যপ্রাচ্যে বাংলা সিনেমার নতুন করে ব্যবসায়িক যাত্রা।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় ‘দরদ’ শাকিব খানের প্রথম প্যান ইন্ডিয়ান সিনেমা। এখানে শাকিবের বিপরীতে অভিনয় করেছেন বলিউডের সোনাল চৌহান।

সূত্র: যুগান্তর




কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক

স্বাস্থ্য খাতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাতীয় পুরস্কার ২০২৪’ দিচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তারই ধারাবাহিকতায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘জাতীয় পুরস্কার” প্রদানের অংশ হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস শাখার অধীনে হেলথ সিসটেম স্ট্রেন্থথেনিং কার্যক্রমের আওতায় নির্বাচিত স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের সার্বিক অবস্থার উপর ফিজিক্যাল এসেসমেন্ট পরিদর্শন করা হয়।

রবিবার সকালে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শাহাদত হোসেনের নেতৃত্বে পরিদর্শক টিমদের সাথে নিয়ে পরিদর্শন করেছেন।

হাসপাতালের সকল বিভাগের কাজ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ সকল কক্ষ ঘুরে দেখেন। পরিদর্শক দলটি, হাসপাতালের সামগ্রিক পরিচ্ছন্নতা ব্যাপারে সন্তোষ প্রকাশ করেন ও বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন।

পরিদর্শনকালে সাথে ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সিনিয়র সহকারী সচিব ডা: মোঃ রফিকুল ইসলাম, সহকারি পরিচালক ডাঃ মোঃ নাসির উদ্দিন এবং কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা: তাপস কুমার সরকারসহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সকল কনসালটেন্টগণ, সকল মেডিকেল অফিসার এবং সকল কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা: তাপস কুমার সরকার জানান, রবিবার সকাল স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘জাতীয় পুরস্কার” প্রদানের জন্য মাননীয় বিভাগীয় পরিচালক মহোদয়ের নেতৃত্বে একটি পরিদর্শক টিম স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের সার্বিক অবস্থার উপর ফিজিক্যাল এসেসমেন্ট পরিদর্শন করেছেন।

কুষ্টিয়ার স্বাস্থ্য খাতে জনগণের দৌড়গোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছি। মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মহোদয়ের পুরুস্কারের স্বীকৃতি পেলে পেলে আমাদের কাজের উৎসাহ আরো বেড়ে যাবে।

হাসপাতালের সকলকে সাথে নিয়ে আন্তরিকতা ও সৌহাদ্যপূর্ণ মনোভাবে কাজ করে যাচ্ছি। ইতিমধ্যেই আমরা খুলনা বিভাগের মধ্যে সেরা অবস্থানে রয়েছি এবং সারাদেশে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা: আকুল উদ্দিন জানান, সম্মানিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শাহাদত হোসেন অত্র হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।

তিনি হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে গমন করেন এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সংগে মতবিনিময় করেন এবং হাসপাতালের সেবামানের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।




কুষ্টিয়ায় ফলের দোকানে যৌন উত্তেজক ওষুধ,জরিমানা আদায়

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ফলের দোকানে যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী ‘ হিট জেনসিন প্লাস ‘ রাখার অপরাধে রিমন হোসেন (২৪) নামে এক ব্যবসায়ীকে দুই হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কুমারখালী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন গোলচত্বর এলাকার লামিয়া কনফেকশনারী এন্ড ফল ভান্ডারের মালিক রিমন হোসেন (২৪) কে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী জরিমানা করা হয়। এছাড়াও ৩০ বোতল নিষিদ্ধ ওষুধ ধ্বংস করা হয়।

আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিরুল আরাফাত। এসময় ভূমি কার্যালয়ের স্টাফরা উপস্থিত ছিলেন।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিরুল আরাফাত জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লামিয়া কনফেকশনারী এন্ড ফল ভান্ডারের অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ফলের দোকানে নিষিদ্ধ যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী ‘ হিট জিনসিন প্লাস ‘ রাখার অপরাধে ফল ব্যবসায়ীকে ২ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা এবং জব্দকৃত ৩০ বোতল নিষিদ্ধ ওষুধ ধ্বংস করা হয়েছে। জনস্বার্থে উপজেলা প্রশাসনের এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।




নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করলো অস্ট্রেলিয়া

তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছিল অজিরা। এবার সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে বৃষ্টি আইনে নিউজিল্যান্ডকে ২৭ রানে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ করলো অস্ট্রেলিয়া।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) অকল্যান্ডে টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় নিউজিল্যান্ড। প্রথমে ব্যাট করে ১০ ওভার ৪ বলে ৪ উইকেট হারিয়ে ১১৮ রান সংগ্রহ করে অজিরা। ট্রাভিস হেড ৩০ বলে ৩৩ ও ম্যাথু শর্ট করেন ১১ বলে ২৭ রান।

এরপর বৃষ্টির কারণে বন্ধ হয়ে যায় খেলা। বৃষ্টি আইনে নিউজিল্যান্ডের জয়ের জন্য টার্গেট দাঁড়ায় ১০ ওভারে ১২৬ রান। এই রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় নিউজিল্যান্ড। দলীয় ২৯ রানে জোড়া উইকেট হারায় তারা।

এরপর গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন ফিন অ্যালান। তবে দলীয় ৫১ রানে ৯ বলে ১৩ রান করে আউট হন অ্যালান।

এরপর ক্রিজে আসা মার্ক চ্যাপম্যানকে সঙ্গে নিয়ে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন ফিলিপস। তবে বলে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে ব্যর্থ হয় তারা।

শেষ পর্যন্ত ১০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৯৮ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। চ্যাপম্যান ১৫ বলে ১৭ ও ফিলিপস ২৪ বলে ৪০ রানে অপরাজিত থাকেন।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুর সরকারি কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

মেহেরপুর সরকারি কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।

রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে মেহেরপুর সরকারি কলেজের খেলার মাঠে এ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

বার্ষিক ক্রীড়া উপ-কমিটির আহবায়ক মোঃ খেদমত আলী মালিথার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ক্রিয়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন মেহেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড.এ.কে.এম নজরুল কবীর।

এছাড়াও এসময় শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল আমিন, প্রফেসর খুরশিদ আলম,ফুয়াদ খান,মেহেরুন ডলি,আলমগীর হোসেন,এ.এইচ.এম রাশিদুল হকসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মেহেরপুর সরকারি কলেজে মোট ১১ টি ক্রিয়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।এর মধ্যে ১০০ মিটার দৌড়,২০০ মিটার দৌড়, ১৫০০ মিটার দৌড়, লৌহ গোলক নিক্ষেপ, বর্ষা নিক্ষেপ, দীর্ঘ লম্ফ, পিলো পাসিং,ও যেমন খুশি তেমন সাজো।

এর আগে জাতীয় পতাকা,কলেজ পতাকা ও ক্রিয়া পতাকা উত্তোলন করে করা হয়। এবং শপথ গ্রহণ,কবুতর অবমুক্তকরণ ও প্রজ্বলিত মশাল নিয়ে মাঠ প্রদক্ষিণ করে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়।




মুজিবনগরে অস্ত্র ও গুলিসহ ৫ জন আটক

একটি বিদেশী পিস্তল, ১ রাউন্ড গুলি ও পিস্তলের ম্যাগজিনসহ ৫ সন্ত্রাসী ও জুয়াড়ি আটক করেছে মুজিবনগর থানা পুলিশ।

গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে চারটার সময় মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামের শামীম হোসেন ওরফে বিজয় শেখের বাড়ির সিঁড়ি ঘরের পায়খানার ট্রাংকীর ভিতর থেকে মুজিবনগর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে পিস্তুল, গুলি ও ম্যাগজিন উদ্ধার করেন।

আটকরা হলেন, শিবপুর গ্রামের মৃত শাহাজুল শেখের ছেলে ওই বাড়ির মালিক শামীম হোসেন ওরফে বিজয় শেখ (২২), তার অপর ৪ সঙ্গী একই উপজেলার কোমরপুর গ্রামের বিল্লাল শেখের ছেলে প্রিন্স শেখ (৩৪), সিরাজুল ইসলামের ছেলে শাহিন রেজা (২৪) যশোর কোতোয়ালী উপজেলার ঝুমঝুমপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে রাজন হাসান (২৯) ও শফিকুল ইসলামের ছেলে আলামিন (৩১)।

মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জ্বল দত্ত এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, শিবপুর গ্রামের শামীম রেজা ওরফে শেখ বিজয়ের বাড়িতে কিছু অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শিবপুর গ্রামে অনলাইন জুয়ার মাস্টার মাইন্ড শেখ বিজয়ের বাড়িতে মুজিবনগর থানার ওসি উজ্বল দত্তের নেতুত্বে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৫ যুবক কে আটক করে। এসময় বাড়ির নির্মাণাধীন ট্যাংকির ভিতর থেকে একটি বিদেশী নাইন এমএম পিস্তল, ১টি ম্যাগজিন ও এক রাউন্ড গুলি, ৫টি মোবাইল উদ্ধার এবং একটি প্রাইভেটকার আটক করে।পরে তাদের আটক করে মুজিনগর থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

মেহেরপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহসান খান সাংবাদিকদের বলেন, শেখ বিজয় অনলাইন জুয়ার মাস্টার মাইন্ড হিসেবে এর আগে কয়েকবার পুলিশের হাতে আটক হয়। পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে শেখ বিজয়ের বাড়িতে কিছু অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে যশোর জেলার দুই যুবক সহ ৫ জনকে আটক করে। এসময় তাদের স্বীকারক্তি অনুযায়ী ১টি পিস্তল, ১টি ম্যাগজিন, ১ রাউন্ড গুলি, একটি প্রাইভেটকার ও ৫টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় একজন পালিয়ে যায় তাকে ধরতে পুলিশ সহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক টিম মাঠে কাজ শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করার লক্ষ্যে তাদের অবস্থান হতে পারে।

আটককৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও সাইবার ক্রাইম আইনে মুজিবনগর থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।




মেহেরপুরে ১৭ বিঘা জমির কলা গাছ কেটে তসরুপ, ক্ষতি প্রায় ২০ লাখ টাকা

মেহেরপুরের রাতের আঁধারে এক কৃষকের ১৭ বিঘা কলা গাছ কেটে তসরুপ করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে কৃষকের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২০ লাখ টাকা। ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরও কোন ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। আর পুলিশ বলছে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গেল এক মাস আগে রাতের আঁধারে পাঁচ বিঘা কলা গাছ কেটে দিয়েছিল দুর্বৃত্তরা। সেই রেস কাটেতে না কাটতেই আবারো বারো বিঘা জমির কলা গাছ কেটে তসরুপ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বালিয়াঘাট গ্রামের মধ্যপাড়ার মাঠে এই ঘটনা ঘটে। কলা খেতে মালিক রহিদুল ইসলামের দাবি এতে তার ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২০ লাখ টাকা।

কলা চাষি রহিদুল ইসলাম জানান,অন্যের জমির প্রতি বিঘা ২০ হাজার টাকা দিয়ে লিজ নিয়ে ১৭ বিঘা জমিতে তিনি কলা চাষ শুরু করেন। লিজ খরচ বাদ দিয়ে প্রতি বিঘাতে ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়। আসন্ন রমজান উপলক্ষে এই কলা খেত থেকে আমি প্রায় ২০ লাখ টাকার কলা বিক্রি করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিলাম। আমার নিজ কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পার গোয়াল গ্রামে কলা চাষ হয় না তাই। আমি পার্শ্ববর্তী জেলায় কলা চাষ করতে এসেছিলাম। আমার কারো সাথে শত্রুতা না থাকার পরেও আমার এত বড় ক্ষতি করেছে যা আমার পক্ষে পুষিয়ে নেয়া অসম্ভব।

রহিদুল ইসলামের নিকট আত্মীয়রা জানান, গত এক মাস আগে যখন আমার ভাইয়ের ৬ বিঘা জমির কলা গাছ কেটে দিয়ে দুর্বৃত্তরা তখন এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করার পরও এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ, তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

এলাকাবাসি জানান, যারা রাতের আঁধারে কৃষকের ফসল নষ্ট করেছে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান,লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।