দর্শনা প্রতিবন্ধী স্কুল পরিদর্শন করলেন সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় প্রতিবন্ধী স্কুল পরিদর্শন করলেন সমাজ সেবা অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গা এর উপ-পরিচালক সিদ্দিকা সোহেলী রশীদ। আজ সোমবার দুপুরে তিনি দর্শনা পৌরসভার বিশেষ শিক্ষা প্রতিবন্ধীদের বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন।

দর্শনা পৌর এলাকার রামনগরে অবস্থিত প্রতিবন্ধী স্কুল পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয় বরং তারা দেশের সম্পদ। তারা বেড়ে ওঠার সকল সুযোগ সুবিধা পেলে প্রতিবন্ধী শিশুরাও দেশ ও সমাজের সম্পদে পরিণত হতে পারবে। তিনি আরও বলেন, প্রতিবন্ধীদের শিক্ষিত ও প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুযায়ী দক্ষ করে গড়ে তুললে তারাও জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।

২০১৪ সালে একযোগে সারাদেশে প্রতিবন্ধীদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে সমাজসেবা অধিদপ্তর দ্বারা পরিচালিত বিশেষ শিক্ষা (প্রতিবন্ধী) বিদ্যালয় সারা দেশে প্রতিষ্ঠিত হয়। তারই অংশ হিসাবে দর্শনায় প্রতিষ্ঠিত বিশেষ শিক্ষা (প্রতিবন্ধী) বিদ্যালয়ে অগ্রগতি, কার্যক্রম দেখতে পরিদর্শনে আসেন।

অতিথিদের আগমনে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রীরা ফুল দিয়ে তাকে বরণ করে নেন। এরপর অতিথিদয় ক্লাসরুমের কার্যক্রম ঘুরে ঘুরে দেখেন এবং ছাত্র ছাত্রীদের সাথে কথা বলে সন্তোষ প্রকাশ করেন। পরে তিনি শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা করেন। বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অগ্রগতি, সুফল ও সমস্যার কথা শোনেন এবং বিদ্যালয়ের সমস্যা গুলো অতিসত্বর সমাধানের আশ্বাস দেন। সেই সাথে খুব দ্রুত প্রতিষ্ঠানটি এমপিও ভুক্ত’র আওতায় আসবে বলে আশ্বস্ত করেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিবন্ধী সাহায্য সেবা কেন্দ্র’র কর্মকর্তা আনোয়ার ইসলাম। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিবন্ধী সাহায্য সেবা কেন্দ্র’র কনসালট্যান্ট ডাঃ মোঃ নুর আলম আকাশ।

শিক্ষা শিক্ষা শিক্ষা চাই, শিক্ষার কোন বয়স নাই, শিক্ষা ছাড়া গতি নাই” এই স্লোগানকে সামনে রেখে স্বপ্ন ছোঁয়া পলাশ সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার পরিচালনায় এই বিদ্যালয়টি হাঁটি হাঁটি পা পা করে সমাজের পিছিয়ে পড়া প্রতিবন্ধীদের নিয়ে এগিয়ে চলেছে সুদৃঢ় পথ। এই প্রতিষ্ঠানের একঝাঁক নবীন-প্রবীন শিক্ষক এবং শিক্ষিকার অক্লান্ত পরিশ্রমে এগিয়ে চলেছে দুর্বার।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, দর্শনা পৌর বিশেষ শিক্ষা প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শিরিনা আখতার, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আঃ কাদের, সিনিয়র শিক্ষিকা শাহিনুর আক্তার, সহকারী শিক্ষক- মৌসুমী আক্তার, হাফিজুর রহমান, নাসরিন নাহার, হাবিবুর রহমান, শিলা খাতুন, রেমী খাতুন, সিমা পারভীন, আশরাফিয়া, শারমিন সুলতান, সারা খাতুন, আকলিমা খাতুন, শিক্ষা সহায়ক- নাজমা জামান, রুপালি খাতুন, শিউলি খাতুন, ইকলাচ উদ্দিন, নৈশ প্রহরী শ্রী সুফল বিশ্বাস সহ অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রী বৃন্দ।




ভারতের মেদিনীপুরে ৫দিন ওরশ শেষে দেশে ফিরলো বাংলাদেশের বিশেষ ট্রেন

দর্শনা, ভারতের মেদিনীপুরের হুজুর পাকের রওজা মোবারকে ৫দিন ওরশ শেষে বিশেষ স্পেশাল ট্রেনটি বাংলাদেশে ফিরছে।

আজ সোমবার (১৯ ফেব্রয়ারি) দুপুরে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলপথ দিয়ে ফিরে এসেছে।

দর্শনা আন্তর্জাতিক রেল স্টেশন ম্যানেজার কামরুল ইসলাম ও দর্শনা চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ইনচার্জ আতিক হাসান জানান, প্রতি বছরের মতো এবারো স্পেশাল ট্রেনটি ২৪টি বগিতে ২২৬৩ জন যাত্রী নিয়ে গত বুধবার ভারতের পশ্চিম বঙ্গের মেদিনীপুর জোড়া মসজিদে হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রা.) এর বংশধর হযরত আল বাগদাদী আল মেদিনীপুরী (আ.) মশহুর নাম ‘মওলাপাক’ এর পবিত্র ওরশ শরীফের ১২৩ তম ওরশ অনুষ্ঠিত হয়।

এদের মধ্যে পুরুষ যাত্রী ১৩২৫,মহিলা ৮৫৪,শিশু ৮৪ জন মোট ২২৬৩ জন ওরশ শরীফে যোগ দেয়।

১৮ ফেব্রয়ারি রবিবার ওরশের বয়ানের পর ভোরে বিশেষ দোয়া শেষে রওনা হয়। সোমবার (১৯ ফেব্রয়ারি) সন্ধা সাড়ে ৬ টার দিকে স্পেশাল ট্রেনটি দর্শন দর্শনা রেল স্টেশনে পৌছায়। উলেখ্য গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০ টার দিকে এ বিশেষ ট্রেনটি ভারতের উদ্দ্যেশে রওনা দেয়।

বাংলাদেশ ও ভারত সরকার যৌথভাবে ১৯০২ সাল থেকে এই ওরশকে ঘিরে এ ট্রেনটি চলাচলের ব্যবস্থা করে আসছে।

তিনি বলেন, বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানীর বংশধরদের নৈকট্য লাভ, তাদের এক নজর দেখতে ও পূণ্য লাভের আশায় প্রতিবছর এই দিনে মেদিনীপুরে যান ভক্তরা। ওই ওরশের সঙ্গে মিল রেখে একইদিন রাজবাড়ীর বড় মসজিদ খানকা শরীফে নানা আনুষ্ঠানিকতা হয়। পীরের ভক্তরা এতে যোগ দেন।

ওরশে যোগদানের জন্য ভারত সরকারের সুপারিশ ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ভারতীয় দূতাবাস বিশেষভাবে ভিসা দিয়ে থাকেন বলে জানান আজিজ কাদেরী।




দামুড়হুদায় প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দেশের সম্পদ লুটপাট

দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা টু মুজিবনগর মহাসড়কের পাশে থাকা সরকারি গাছের ডাল এবং গাছ কেটে দিনে দুপুরে পাঁচার হয়ে যাচ্ছে যেন দেখার কেউ নেই। প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দেশের সম্পদ লুটপাট করে খাচ্ছে।

হাউলী ইউনিয়নের রুদ্রনগর গ্রামের মজিদের ছেলে মোঃ বিল্লাল হোসেন (৪০) নামের এই তরতাজা যুবক দেশের সম্পদ জনগণের সম্পদ লুটপাট করে খাচ্ছে। সে এবং তার কিছু সঙ্গ পাঙ্গ।

সরজমিনে খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় সে পেশায় একজন দেশের সম্পদ জনগণের সম্পদ আত্মসাৎ কারী। যেখানে সরকারি মালামাল আছে সেখানে তার লুটপাট আছে। আর তাঁর পাশাপাশি লোক দেখানো পাখিভ্যান চালিয়ে মানুষকে দেখায় আমি সৎ উপার্জন করি। আসলে তিনি সৎ উপার্জন করেন না, তিনি অসৎ কাজে লিপ্ত থাকে এমনকি দুষ্টু পানি, কোমলপানিসহ, নানা ধরনের মাদকদ্রব্যে আসক্ত গ্রামের লোকজনের সাথে ভালো সম্পর্ক নাই এমনকি যাবতীয় দুষ্ট পানি পান করে গ্রামের লোকজনের সাথে দাঙ্গামা হাঙ্গামা করে, তাঁর ভয়ে গ্রামের কেউ কথা বলার সাহস পায় না ।

তিনাকে গ্রামের লোকজন বাঁধা দিতে গেলে তিনি বলেন আমি কাউকে তোয়াক্কা করি না, আমার ভাই অমক আমার ভাই তমুক আমার পিছনে বড় বড় লোকের হাত আছে। এমনকি আমি প্রশাসন কেউও তোয়াক্কা করি না। আমি জেল জরিমানার ও ভয় করি না, জেলখানা আমার শশুর বাড়ির মতো, সকালে গেলে বিকালে বাড়ি চলে আসবো ইত্যাদি ইত্যাদি ।

বিষয়টি দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা কে বিশেষ ভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ জানাচ্ছি দেশদ্রোহী বিশ্বাসঘাতকদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসীসহ সচেতন মহল।




ভেড়ামারায় অবৈধ প্রক্রিয়ায় গুড় তৈরী: দুইটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় অবৈধ প্রক্রিয়ায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গুড় প্রক্রিয়াকরণ, সংরক্ষণ এবং বাজারজাত করায় দুইটি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে উপজেলার জুনিয়াদহ বাজার ও মালিপাড়া এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুষ্টিয়ার সহকারী পরিচালক সুচন্দন মন্ডল।

তিনি জানান, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গুড় সংরক্ষণ, অবৈধ প্রক্রিয়ায় আখের গুড় তৈরির অপরাধে ভেড়ামারা উপজেলার জুনিয়াদহ বাজার ও মালিপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে রানা গুড় আড়ৎ এর মালিক আব্দুল গনিকে ৩০ হাজার টাকা এবং আরব আলী গুড়ের কারখানা মালিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। একইসাথে প্রক্রিয়াজাত করা গুড় ধ্বংস করা হয়।

তিনি আরও বলেন, অবৈধ প্রক্রিয়ায় পণ্য উৎপাদন বা প্রক্রিয়াকরণ মানুষের জীবন বা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি হয় এমন কোনো প্রক্রিয়া- যা আইন বা বিধির অধীন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিম্নমানের গুড় তৈরি যারা করেন তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে বলেও জানান তিনি।

এসময় জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মোঃ আরাফাত আলী এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।




দামুড়হুদায় ৪৬ বোতল ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

দামুড়হুদায় মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান চা‌লিয়ে ৪৬ বোতল ফেনসিডিলসহ একটি পিকআপ আটক করেছে পুলিশ। এ সময় মেহেরপুর জেলার মু‌জিবনগর উপজেলার জয়পুর গ্রামের নোয়াজ্জেস মিয়ার ছেলে মাসুদ রানাকে (৪৫) আটক ক‌রা হয়।গতকাল রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে এ অভিযান চালায় পু‌লিশ।

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আরএম ফয়জুর রহমান এক প্রেস‌বিজ্ঞ‌প্তি‌তে জানান, গতকাল রোববার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি আলমগীর কবিরের নেতৃত্বে কার্পাসডাঙ্গা ক্যাম্পের একদল পু‌লিশ মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় রাত সাড়ে ১১টার দিকে কানাইডাঙ্গা গ্রামের কবরস্থান মোড়ে সুবলপুরগামী পাকা রাস্তার ওপর হতে ৪৫ বোতল ফেনসিডিল ও একটি পিকআপসহ মাসুদ রানাকে আটক করা হয়।

দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি আলমগীর কবির জানান, আটককৃত আসামির বিরুদ্ধে দামুড়হুদা মডেল থানায় মাদক আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।




আলমডাঙ্গায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে স্ত্রী নিহত, স্বামী-ছেলে আহত

আলমডাঙ্গায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে আনজিরা খাতুন (৩৫) নামের এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। এতে তার স্বামী ভ্যান চালক হামিদুল ইসলাম (৪১) ও ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৮) গুরুতর আহত হয়েছেন।

আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলা সদরের কালিদাসপুর ব্রিজ মোড় এলাকার সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ও আহতরা মিরপুর থানাধীন আমবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। এছাড়া দুর্ঘটনাস্থল থেকে এলাকাবাসী ট্রাক ও চালককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। ট্রাক চালক আক্তারুজ্জামান দর্শনা থানাধীন পুরাতন বাজার এলাকার বাসিন্দা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে উপজেলার কালিদাসপুর ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়া এলাকায় ব্যাটারিচালিত ভ্যান যোগে স্বামী,স্ত্রী ও ছেলে নিয়ে এক বাড়িতে দুধ বিক্রি করতে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে আলমডাঙ্গা-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক সড়কে উঠতেই বালু বোঝাই ট্রাকের ধাক্কা লাগে। এসময় ছিটকে ট্রাকের চাকার নিচে পড়ে গৃহবধূ আনজিরা। ঘটনাস্থলে পিষ্ট হয়ে ওই নারীর মৃত্যু হয়। এতে গুরুত্বর আহত হয়েছে স্বামী হামিদুল ও ছেলে আশরাফুল। পরে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আলমডাঙ্গা থানাপুলিশ ও ফায়ারসার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা নিহত গৃহবধূর লাশের সুরতহাল রিপোর্ট সংগ্রহ করে।

ফায়ারসার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের অপারেশন অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, খবর পেয়ে দ্রুত দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ঘটনাস্থলে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। লাশের ছিন্নভিন্ন অংশগুলো সংগ্রহ করে পুলিশ হেফাজতে দেবার প্রস্তুতি চলছে।

আলমডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিকাশ কুমার জানান, ট্রাকের চাকায় এক গৃহবধূ নিহত হয়েছে। তার স্বামী ও ছেলেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক ও চালককে আটক করা হয়েছে।




কুষ্টিয়ায় ঘাসের জমি থেকে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার

কুষ্টিয়ার মিরপুরে ঘাসের জমির ভিতর থেকে উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের পয়ারী গ্রামের মৃত আরশেদ আলীর ছেলে আজিবার (৫৬) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার আমলা ইউপির অঞ্জনগাছী গ্রামের জোয়াদ্দারপাড়ার ঘাসের জমির ভেতর থেকে লাশটি উদ্ধার করে মিরপুর থানা পুলিশ। এ সময় তার নিকট হতে দুটি লোহার খন্ড উদ্ধার করে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরে কৃষকরা মাঠে ঘাস কাটতে গেলে লাশ দেখে পুলিশে খবর দেন। পরের স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের উপস্থিতিতে সাধারণ মানুষ জন ব্যক্তিটিকে সনাক্ত করে। নিহত আজিবর রহমান এর শ্বশুর বাড়ি অঞ্জন গাছি এলাকায়। তবে তিনি দীর্ঘদিন ধরে মেহেরপুর জেলার গাংনী নিশিপুর এলাকায় নতুন বিয়ে করে বসবাস করে আসছিলেন। তাকে দীর্ঘদিন এলাকায় দেখা যায় না বলেও জানান স্থানীয়রা।

আমলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একলিমুর রেজা বলেন, নিহত ব্যক্তি ‘আজিবর চোর’ নামে পরিচিত ছিল । তিনি আগে ও এখনো বিভিন্ন জায়গায় চুরির কাজে যুক্ত ছিলেন বলে জানান তিনি।

ঘটনার ব্যাপারে মিরপুর থানার ওসি মোস্তফা হাবিবুল্লাহ বলেন, সংবাদ পেয়ে আমরা লাশ টি উদ্ধার করেছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।




বিছানায় বসে খাবার খাওয়া ঠিক নয়

অনেকেই আলসেমির বশে বিছানায় বসে খাওয়া-দাওয়া করেন। এখন আগের মতো সবাই একসঙ্গে বসে খাওয়ার সুযোগ হয় না। সবার ব্যস্ততা থাকে। বিছানায় খাওয়া-দাওয়া করার সংকটও এখানেই, কারণ সবাই খানিকটা অলস হয়ে পড়েন৷ আলস্যের কারণে হজম ও বিপাক ক্রিয়ার সমস্যা হয়। বিছানায় খাওয়া-দাওয়ার কিছু স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে জেনে নিন।

বদহজম
বিছানায় বসে অলসভাবে খেলে বদহজম হতে পারে। একদিন-দুদিনের হিসেব আলাদা। শরীরের প্রস্তুতিও লাগে৷ তাই অলসভাবে খেলে বদহজম, অ্যাসিডিটি হতে পারে।

নিয়ন্ত্রিত খাদ্যগ্রহণে ব্যাঘাত
বিছানায় এলিয়ে খেলে খাবারে মনোযোগ দরকার হয় না। হয় আপনি টিভি দেখছেন বা মোবাইল চালাচ্ছেন। এভাবে অনেক সময় ভালোভাবে খাবার চিবুনো হয় না। আবার অনেকে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খেয়ে ফেলতে পারেন। এগুলো স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের শঙ্কা
বিছানায় খাবার খেলে বিছানায় খাবার লেগে যেতে পারে৷ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ আলসেমিরই ফল। তাতে অ্যালার্জির সমস্যা হওয়া অস্বাভাবিক নয়।

সূত্র: ইত্তেফাক




ঝিনাইদহে ভর্তুকি মুল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রয়ের উদ্বোধন

ঝিনাইদহে ফেব্রুয়ারি মাসের ভর্তুকি মূল্যে খাদ্যপণ্য বিক্রি শুরু করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ট্রেডিং করপোরেশন অব-বাংলাদেশ (টিসিবি)।

আজ সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে শহরের শিশু একাডেমিতে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলাম। সেসময় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া আক্তার চৌধুরী, টিসিবি’র সহকারী পরিচালক আতিকুর রহমান, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মান্নান আলীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, এবারও জেলার ৬ উপজেলায় ১০৫ জন ডিলারের মাধ্যমে ১ লাখ ২০ হাজার ১’শ ৩৩ জন ফ্যামিলি কার্ডধারী নিন্ম আয়ের পরিবারের মাঝে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। প্রতিটি ফ্যামিলি কার্ডে ৫’শ ২৫ টাকায় ২ কেজি মসুরের ডাল, ২ লিটার সয়াবিন তেল , ১ কেজি ছোলা ও ৫ কেজি চাউল মিলবে। তবে এবার রমজান উপলক্ষে ১ কেজি ছোলা অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে।




মোস্তাফিজের সর্বশেষ অবস্থা

নেটে অনুশীলনের সময় মাথায় বলের আঘাত পান কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। পরীক্ষানিরীক্ষার পর জানা যায় শঙ্কামুক্ত তিনি। তবে পর্যবেক্ষণে ছিলেন এই পেসার। মোস্তাফিজের সর্বশেষ অবস্থা জানিয়েছেন কুমিল্লার অধিনায়ক লিটন দাস।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে টস হেরে বোলিং করছে কুমিল্লা। টসের সময় ধারাভাষ্যকার আতাহার আলি লিটনের কাছে মোস্তাফিজের অবস্থা সম্পর্কে জানতে চান। লিটন বলেন, ‘সে ভালো আছে। এখনো হাসপাতালে আছে। আশা করছি রাতে হোটেলে দলে যুক্ত হবে।’

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুশীলন করছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। মোস্তাফিজ নেটে বল করার সময় ঘটে এমন অনাকাক্ষিত ঘটনা। বিদেশি সতীর্থ ম্যাথু ফোর্ড যখন ব্যাট করছিলেন, তখন বোলিং সাইডে ছিলেন মোস্তাফিজ। হঠাৎই বল উড়ে এই পেসারের মাথায় আঘাত করে। সঙ্গে সঙ্গেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন মোস্তাফিজ। বলের আঘাতে মাথা ফেটে যায় তার। রক্তাক্ত অবস্থায় স্ট্রেচারে অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হয় তাকে।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, মোস্তাফিজের সিটি স্ক্যান রিপোর্ট ভালো। কোনো ইন্টারনাল ইনজুরি নেই। এক্সটারনাল ইনজুরি আছে। সেলাই লেগেছে পাঁচটার মতো। কিন্তু যেহেতু মাথার চোট, সে ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে থাকবে।’

সূত্র: ইত্তেফাক