আলমডাঙ্গার বধ্যভূমি পরিদর্শনে ও নেতাকর্মিদের সাথে মতবিনিময় এমপি ছেলুন  

চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন আলমডাঙ্গার বধ্যভূমি পরিদর্শন ও নেতাকর্মিদের সাথে মত বিনিময় করেছেন।

তিনি গতকাল সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বধ্যভূমিতে এসে বধ্যভূমি পরিদর্শন শেষে মত বিনিময় করেন। মত বিনিময়কালে এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার বলেন,আওয়ামীলীগ হলো মাটি ও মানুষের সংগঠন।

এ সংগঠনের তৃণমূলের কর্মিরা হলো অত্যন্ত নিবেদিত। তাদের তেমন কোন চাওয়া পাওয়া নেই। তারা আওয়ামীলীগকে হৃদয়ে ধারণ করে। যার প্রমাণ তারা বার বার দিয়েছে। এবারের নির্বাচনেও তারা আওয়ামী লীগকে ভালোবেসে, শেখ হাসিনার প্রতি আস্তা রেখে নৌকায় ভোট দিয়ে আমাকে আবারও নির্বাচিত করেছে। তাদের এই ভালোবাসার ঋণ শোধ হবার নয়। তৃণমূলের নেতাকর্মিদের নৌকার প্রতি যে আস্তা তার প্রতিদান আমাদের দিতে হবে।

তিনি বলেন,বঙ্গবন্ধু এই দেশকে সোনার বাংলা গড়ে তোলার যে স্বপ্ন দেখতেন তাঁর সেই স্বপ্ন আজ বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদেরকেও মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে। দুঃখি মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।উল্লেখ্য জননেতা সোলায়মান হক জোয়ার্দার সম্প্রতি বিদেশে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেই তার নিজ এলাকা চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গায় ফিরে আসেন।

মতবিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু মুছা, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগাঠনিক সম্পাদক মাসুদুজ্জামান লিটু বিশ্বাস,বন ও পরিবেশ বিষয়ক সমরপাদক সহিদুল ইসলাম, সাবেক সদস্য সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহসভাপতি লিয়াকত আলী লিপু মোল্লা, পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সাইফুর রহমান পিন্টু ,সাবেক উপপ্রচার সম্পাদক মাসুদ রানা তুহিন,ইউপি চেয়ারম্যান আসিকুর রহমান ওল্টু,সোহানুর রহমান সোহান,শেখ আসাদুল হক মিকা,প্রেসক্লাবের সভাপতি খন্দকার শাহ আলম মন্টু,সম্পাদক হামিদুল ইসলাম আজম,জেলা মৎসজীবিলীগের সভাপতি শাহাবুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী ঠাণ্ডু রহমানউৎপলনহক, আব্দুল মালেক, কালিদাসপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি, জয়নাল আবেদীন, পৌর কাউন্সিলর ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আলাল উদ্দিন, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য মিজানুর ররহমান,যুবলীগের উপজেলা যুগ্ম আহবায়ক ডিটু, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আশরাফুল হক, ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল হোসাইন বাদশা, পাপন রহমান, গোলাম সারোয়ার শামিম, লাভলু, শরিফুল মেম্বার প্রমুখ।

এর আগে এমপি ছেলুন আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাসের সাথে দাপ্তরিক কাজের বিষয়ে আলোচনা করেন। পরবর্তিতে এমপি ছেলুন শিক্ষাঙ্গের বেহাল দশার কথা তুলে ধরেন।এখন থেকে আমাদের সকলকে প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলিতে তদারকি বাড়াতে হবে। ভবিষৎ প্রজন্মকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে হলে অভিভাবকদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। এরপর বধ্যভুমি পার্কের নকসা দেখেন এবং অচিরেই বধ্যভুমি শিশু পার্কের কারার সংকল্প ব্যাক্ত করেন।




আলমডাঙ্গা আঞ্চলিক সড়কে হেলেপড়া গাছ পথচারীর মরণফাঁদ

আলমডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়কের দু’পাশে শতাধিক গাছ ও গাছের ডালপালা কাটা হয়নি। সড়ক জুড়ে রয়েছে কিছু হেলে পড়া গাছ। সারি সারি গাছের ফাঁকে ফাঁকে রয়েছে মরা গাছও। এসব গাছ পথচারীর জন্য মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এ অবস্থায়ই সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলছে হাজারো গাড়ি। যে কোনো মুহূর্তে মরা গাছের ডাল ভেঙে পড়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

স্থানীয়রা জানান, আলমডাঙ্গা উপজেলার সদর হতে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদর পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার ও কুষ্টিয়া সদর অভিমুখে ৭ কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়ক রয়েছে। এছাড়া পৌর এলাকা থেকে উপজেলার বেলগাছি বোর্ড বাজার পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার সড়কের দুই পাশে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ হেলে গেছে। এছাড়া এসব গাছের ডাল শুকিয়ে প্রায়ই ভেঙে পড়ছে সড়কের ওপর। গাছের ডালপালা সড়কের দিকে হেলে থাকায় ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। কয়েক বছর ধরে এসব গাছ মরে থাকলেও কাটার উদ্যোগ নেয়নি চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ বিভাগ। ঝড়-বৃষ্টির সময় মরা গাছের ডাল ভেঙে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনা এড়াতে এসব গাছ দ্রুত অপসারণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

ট্রাক ড্রাইভার আবেদ হোসেন জানান, চুয়াডাঙ্গা টু আলমডাঙ্গা আঞ্চলিক সড়কের কিছু গাছ হেলে পড়েছে। গাছের শুখনো ডালগুলো সড়কের মধ্যে আসায় ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল করতে হয়। ঝড়-বৃষ্টির দিন সড়কে গাছ ও ডাল পড়ে যানবাহন বন্ধ হয়ে যায়।

ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক চালক মোশারফ হোসেন বলেন, পৌর শহরের সন্নিকটের সাত কপাট এলাকার আঞ্চলিক সড়কের একটি গাছ সড়কের মাঝে অর্ধেক হেলে পড়েছে। এতে যাতায়াতে আতঙ্কে থাকি, কখন গাছ ভেঙে ইজিবাইকের উপর পড়ে।

আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গণি মিয়া জানান, সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে হেলে পড়া গাছ ও ডালপালা অপসারণের জন্য তাদের অবগত করেছি। তবে পুলিশের প্রশাসনিক কার্যক্রমের বাইরে থাকায় জড়াল ভূমিকা নিতে পারছি না।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাস জানান, আঞ্চলিক সড়কটি সওজের হলেও সড়কের দুই পাশের গাছগুলো জেলা পরিষদের। তারাই গাছগুলো দেখাশোনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করে। এ বিষয়ে জেলা পরিষদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো ইতিমধ্যে মার্কিং করেছেন। টেন্ডার পক্রিয়াধীন রয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সদস্য মজনুর রহমান জান্টু বলেন, সড়কের দুই পাশে গাছ ও ডালপালা হেলে পড়া গুলো চিন্হিত করে মার্কিং করা হচ্ছে। যাচাই বাছাই করে সেগুলো টেন্ডারের মাধ্যমে কেটে ফেলা হবে। তিনি আরো বলেন- সাত কপাট নামক সড়কের রাস্তার উপরে হেলে পড়া একটি গাছ অর্ধাংশ দ্রুত কেটে সড়ক উন্মুক্ত করা হবে।




আলমডাঙ্গার ফরিদপুরে রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানে ইট ব্যবহারের অভিযোগ

আলমডাঙ্গা উপজেলার ফরিদপুর গ্রামে দেড় কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণকাজে নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল রবিবার সরেজমিন ঘুরে নিম্নমানের ইট ভাঙা কাজে শ্রমিকদের ব্যস্ততার ছবি উঠেছে এসেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ থাকলেও মানহীন ইট অপসারণের ব্যবস্থা নিচ্ছে না স্থানীয় প্রকৌশলী বিভাগ এলজিইডি।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, অত্যন্ত নিম্নমানের ইট ঠুনকো আঘাতেই গুরো হয়ে যাচ্ছে। দেড় কোটি টাকার সড়কে নিম্নমানের ইট ব্যবহারের ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ইট থেকে শুরু করে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে দায়সারাভাবে কাজ শুরু করলে এলাকাবাসী বাধা দেয়। তবে ঠিকাদার আপত্তি উপেক্ষা করলে এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানান।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তায় যেসব ইট ব্যবহার করা হচ্ছে তা নিম্নমানের। এতে রাস্তা টেকসই নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। সেই সঙ্গে সরকারের কোটি টাকা ব্যয়ে গ্রামের মানুষের দুঃখ দুর্দশা লাঘব করে সোনার বাংলা বিনির্মাণের উদ্দেশ্যে বাস্তবায়ন হচ্ছে না।

এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার মেসার্স মন্ডল ফিড কর্ণার মোতালেব হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেনি।

আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রকৌশলী এলজিইডি তাহিদ আহম্মেদ জানান, অভিযোগ পেয়েছি, সরেজমিনে পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদি সত্যতা পাই তাহলে মানহীন ইট অপসারণ করে কাজ করা হবে।




দর্শনার সুলতানপুরে খামার দিবস পালিত

দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী সুলতানপুর গ্রামে আজ সোমবার বেলা ১১টার সময় খামার দিবস পালিত হয়েছে।

সমন্বিত কৃষি ইউনিটভুক্ত প্রাণীসম্পদ খাতের আওতায় বাউ মুরগী পালনে সফল খামারীদের নিয়ে এ খামার দিবস অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এহতেশামুল হক। এছাড়াও উপস্থি ছিলেন সহকারী প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা হাসান রেজা, ব্যবসায়ী ও কৃষক রকিবুল ইসলাম ও নাসির উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম প্রমূখ।

পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) অর্থায়নে এবং ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সহায়তায় খামার দিবসে ৮০ জন খামারী উপস্থিত ছিলেন।




ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ মেহেরপুর জেলা শাখার কমিটি গঠন

ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ মেহেরপুর জেলা শাখার ২০২৪ সেশনের নব্য গঠিত আহ্বায়ক কমিটি গঠন ও জেলা সম্মেলন অনুষ্টিত হয়েছে।

আজ সোমবার (১১ই মাচ) দুপুর ২ টার সময় আশারায়ে মোবাশ্বারা মাদরাসায় জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত জেলা সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের অর্থ ও কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক হোসাইন ইবনে সোরোয়ার।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ মেহেরপুর জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মাওঃ আরিফুল ইসলাম মেহেরপুরী। উক্ত সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন ২০২৩ সেশনের সাবেক সভাপতি ইমরান ইবনে খাদেম।

সম্মেলনের শেষ কেন্দ্রীয় মেহমান হোসাইন ইবনে সোরোয়ার বলেন, দিন দিন বাংলাদেশের কোনাই কোনাই ইসলামী ছাত্র আন্দোলন এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ছাত্ররা বুঝতে পারছে ইসলামি ছাত্র আন্দোলন প্রতিটা ছাত্র দুনিয়া ও আখেরাতের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আলহামদুলিল্লাহ! সেই তাগিদে মেহেরপুর জেলার মেধাবী ছাত্ররাও সম্পৃক্ত হচ্ছে ইসলামি ছাত্র আন্দোলনের সাথে।

পরে ইমরান ইবনে খাদেম কে সভাপতি, আতিকুর রহমান কে সহ-সভাপতি ও ইব্রাহিম খলিল আবির কে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে মেহেরপুর জেলা নব্য গঠিত আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেন। কমিটি গঠন শেষে দোয়ার মাধ্যমে সম্মেলন শেষ করেন।




মেহেরপুরে খাদ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

খাদ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় খাদ্য তালিকা নির্দেশিকা ২০২০ এর উপর প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে।

আজ সোমবার সকালে মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসক মো: শামীম হাসানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের (অ্যাড. সেক্রেটারি) ফুড প্ল্যানিং অ্যান্ড মনিটরিং ইউনিটের (এফপিএমইউ) মহাপরিচালক মোঃ শহিদুল আলম এনডিসি।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলার পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হক বিপিএম বার পিপিএম, মেহেরপুর জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ মহী উদ্দীন আহমেদ, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের গবেষণা পরিচালক মোস্তফা ফারুক, গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক সহ বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

খাদ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় খাদ্য তালিকা নির্দেশিকা ২০২০ এর উপর প্রশিক্ষণের সঞ্চালনা করেন সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (জে এম শাখা, ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখা ) মোছা: রনী খাতুন।




খেজুর ভালো কি না বুঝবেন যেভাবে

রোজাদারদের ইফতারের প্রধান অনুষঙ্গ খেজুর। তাই রমজানে খেজুরের চাহিদা বাড়ে। ক্রেতাদের এই চাহিদাকে মাথায় রেখে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বাজারে বিক্রি করে ভেজাল ও মেয়াদ উত্তীর্ণ খেজুর।

তবে ইফতারের খেজুর না খেলেই নয়। তাই বাজার থেকে খেজুর কেনার সময় অবশ্যই দেখে কিনতে হবে। কারণ পচা ও মেয়াদ উত্তীর্ণ খেজুর খেলে পরিবারের সবাই অসুস্থ হয়ে পড়বে।

বাজারে অনেক ধরনের খেজুর আছে। বেশিরভাগ ক্রেতারা রমজানের এ সময় খেজুর কেনেন। নিয়মিত খেজুর না কেনায় আসল পণ্য চিনতে চেনা যায় না। ফলে কিছু দোকানি নিম্নমানের খেজুরকে ভালোমানের বলে বিক্রি করেন। এছাড়া মেয়াদ উত্তীর্ণ ও নিম্নমানের খেজুর তো বাজারে রয়েছেই।

বাজারে অনেক ধরনের খেজুর রয়েছে। ভালো খেজুর চেনার কিছু উপায় রয়েছে। প্যাক করা খেজুর কেনা সবচেয়ে ভালো। এই খেজুরগুলোর প্যাকেটে সাধারণত মেয়াদ লেখা থাকে। এছাড়া খোলা খেজুর কিনতে হলে খেয়াল রাখতে হবে খেজুরে যেন পচা গন্ধ, পোকা ধরা, বেশি কালছে, বেশি শুকিয়ে যাওয়া না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

খেজুর সাধারণত দেড় বছর পর্যন্ত ভালো থাকে। তবে খেজুর ভালো রাখার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে আমাদের ফ্রিজের নরমালে রাখা। ফ্রিজের নরমাল তাপমাত্রা খেজুর ভালো রাখে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাছি, পিঁপড়া বা পোকা থাকা খেজুর কেনা যাবে না। এগুলো থাকলে বুঝতে হবে কৃত্রিম মিষ্টি মেশানো হয়েছে অথবা খেজুরটি মেয়াদোত্তীর্ণ। ভালো খেজুরের চামড়া হয় কোঁচকানো। কোঁচকানো চামড়া দেখে খেজুর কিনতে হবে। ভালো খেজুরের চামড়া খুব বেশি মসৃণ ও টানটান হবে না। খেজুর খুব বেশি মিষ্টি হলে বুঝতে হবে কৃত্রিম মিষ্টি মেশানো হয়েছে।

খেজুর যত পুরোনো হবে, ভেতরটা তত বেশি লালচে হবে। ভেতরটা সাদা হলে বুঝতে হবে খেজুরটা ভালো। খেজুরের গা তেলতেলে হলে বা পাউডার জাতীয় কিছু থাকলে ধরে নিতে হবে কিছু মেশানো হয়েছে। সেগুলো না কেনাই ভালো।

খেজুরের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে বলা হয় চারটি বা ৩০ গ্রাম পরিমাণ খেজুরে আছে ৯০ ক্যালোরি, এক গ্রাম প্রোটিন, ১৩ মি.লি. গ্রাম ক্যালসিয়াম, ২.৮ গ্রাম ফাইবার এবং আরও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান। খেজুর হচ্ছে শক্তির অন্যতম একটি ভালো উৎস।

সূত্র: ইত্তেফাক




শাকিবের নায়িকা হওয়ায় এক্সসাইটেড ২ অভিনেত্রী

ঢাকাই সিনেমা ‘তুফান’-এ সুপারস্টার শাকিব খানের সঙ্গে কোন নায়িকাকে দেখা যাবে তা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই চলেছে জল্পনা-কল্পনা। গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানান সময় অনেক নায়িকার নামই এসেছে।

দুই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আলফা আই ও চরকির সঙ্গে ছবিটি প্রযোজনা করবে কলকাতার এসভিএফ। সেই কারণে ধারণা করা হচ্ছিল, এতে একজন টালিউডের নায়িকা থাকবেন। সম্প্রতি চরকির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ ছবিতে অভিনয় করবেন টালিউডের মিমি চক্রবর্তী এবং বাংলাদেশের অভিনেত্রী নাবিলা। শাকিব খানের সঙ্গে কাজ করার বিষয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত এপার-ওপার বাংলার দুই অভিনেত্রী।

মিমি চক্রবর্তী বলেন, ‘বাংলাদেশে আমার প্রায়ই যাওয়া হয়। কখনো কাজে কখনোবা ঘুরতে। সেখানে কাজ করাটা আমার জন্য সব সময় আনন্দের। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের সুপারস্টার শাকিব খানের সঙ্গে এটাই আমার প্রথম সিনেমা হতে যাচ্ছে। দুই দেশের তিনটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এক হয়েছে এ সিনেমার মধ্যে দিয়ে। সব মিলিয়ে আমি দারুণ এক্সসাইটেড। দর্শকও দুর্দান্ত কিছু পেতে যাচ্ছেন।’

‘আয়নাবাজি’ সিনেমা দিয়ে দর্শকের মনে দাগ কেটেছিলেন নাবিলা। এ সিনেমার পর আর তেমন কোনো সিনেমায় তাকে দেখা না গেলেও দীর্ঘ বিরতি ভেঙে এবার ফিরছেন ‘তুফান’ দিয়ে।

নাবিলা বলেন, ‘এক রকমের আনন্দ তো কাজ করছেই। সেই সঙ্গে এত দিন পর বড়পর্দায় ফেরার একটা উত্তেজনাও আছে। এখন শুটিং শেষ করে দর্শক পর্যন্ত পৌঁছানোর প্রক্রিয়া ভালোভাবে শেষ হলে তবেই আমরা সার্থক।

সূত্র: ইত্তেফাক




ঝিনাইদহে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস পালিত

“দুর্যোগ প্রস্তুতিতে লড়বো, স্মার্ট সোনার বাংলা গড়বো” এ শ্লোগানে ঝিনাইদহে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস পালিত হয়েছে গতকাল শহরের ওয়াজির আলী স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসক এস. এম. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক রথীন্দ্র নাথ রায়, সহকারী কমিশনার তারেক আজিজ, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিউটন বাইন, জেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাঃ আব্দুল সালাম সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।

পরে জেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় মহড়া প্রদর্শন করা হয়।




পশ্চিমবঙ্গের দুই শিল্পীর সুরে মুগ্ধ ঝিনাইদাহের সংগীতানুরাগীরা

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত দুই শিল্পীর ধ্রুপদি সংগীত সন্ধ্যায় মুগ্ধ করলো ঝিনাইদহের সংগীতানুরাগীদের। রবিবার (১১মার্চ) রাতে বাংলাদেশ গণশিল্পী সংস্থা ঝিনাইদহের আঞ্চলিক শাখার আয়োজনে ঝিনাইদহ শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে শাস্ত্রীয় সংগীত সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়।

তবলা লহড়া, খেয়াল, ঠুমরী ও বিভিন্ন ঘরনার ধ্রুপদি সংগীত পরিবেশন করেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শাস্ত্রীয় সংগীত শিল্পী পন্ডিত শুভ্রাংশু চক্রবর্তী ও পন্ডিত শ্যামসুন্দর গোস্বামী।

এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ কেশব চন্দ্র কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. বিএম রেজাউল করিম, একই কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অশোক কুমার মৌলিক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রথীন্দ্র নাথ রায় ও সংগীতজ্ঞ অজয় দাসসহ অন্যান্যরা।

সংগীত সন্ধ্যার সঞ্চালনায় ছিলেন ঝিনাইদহ গণশিল্পী সংস্থার সভাপতি উপাধ্যক্ষ আব্দুস সালাম। অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংগীত শিল্পীরাও তাদের সংগীত পরিবেশন করেণ।