আবারও বিশ্বকাপ আসছে বাংলাদেশে

সেই ২০১৪ সালে বাংলাদেশ সবশেষ কোনো বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল। এরপর গেল বছর নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশে। তবে শেষ মুহূর্তে তা সরে যায় রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে।

তবে সে আক্ষেপটা শিগগিরই ঘুচে যাচ্ছে বিসিবির। অ-১৯ নারী বিশ্বকাপের আয়োজক স্বত্ব পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

২০২৭ সালে হবে এই বিশ্বকাপের লড়াই। এটি হতে যাচ্ছে টুর্নামেন্টের তৃতীয় আসর। প্রথমটি হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। দ্বিতীয় আসর হয়েছে মালয়েশিয়ায়। দুটো আসরেই জিতেছে ভারত।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ইতোমধ্যেই এই টুর্নামেন্টের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। যদিও তা শুধু দলকে নিয়েই। প্রথম বিভাগের ক্লাব ও বয়সভিত্তিক পর্যায়ের কোচদের সমন্বয়ে প্রতিভা খুঁজে বের করা আর তাদের পরিচর্যার দিকে নজর দিয়েছে বিসিবি।

সারা দেশেই এই প্রক্রিয়া শুরু করছে বিসিবি। ক্লাব ও কোচেরা মিলে খেলোয়াড়দের নিয়ে আসবে পাইপলাইনে, যা ঘরের মাঠে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপে শক্তিশালী দল হিসেবে মাঠে নামতে সাহায্য করবে বাংলাদেশকে, আশা বিসিবির। বোর্ডের বিশ্বাস, নারী ক্রিকেটের এ বৈশ্বিক আসর বাংলাদেশে হলে তা শুধু নারী ক্রিকেটকেই নয়, একটা নতুন প্রজন্মকেও ক্রিকেটে আসার জন্য অনুপ্রাণিত করবে।

সূত্র: যুগান্তর




চিকিৎসকসহ নানা সঙ্কটে চলছে চিকিৎসা সেবা

চিকিৎসক, শয্যা, ঔষধসহ অন্যান্য জনবল সংকটে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল। জেলার প্রায় ৮ লাখ জনবলের চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানটি নিজেই যেনো অসুস্থ। প্রতিদিনই ভীড় করছে রোগীর সংখ্যা।

তিল ধারণের ঠাই নেই এই হাসপাতালটিতে। অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার থাকলেও চিকিৎসকের অভাবে বন্ধ প্রায় সকল ধরনের অপারেশন। গর্ভবতী মায়েদের সিজার করাতে হলেও যেতে হচ্ছে বিভিন্ন ক্লিনিকে। এতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন রোগীরা। দ্রত সিজারিয়ার অপারেশন চালু করার দাবী ভুক্তভেগীদের।

এদিকে হাসপাতালে স্বেচ্ছা সেবক হিসেবে কর্মরতদের বিরুদ্ধে রয়েছে রোগীদের জিম্মি করে টাকা আদায়ের অভিযোগ। আয়াদের টাকা না দিলে দেয়া হয়না ছাড়পত্র। রান্না ঘরেও রয়েছে ময়লার গন্ধ আর মাছির উপদ্রব। রোগীদের বেডের পাশেই ময়লার স্তুুপ। ময়লার স্তুপ থেকে মশা মাছি বসছে রোগীদের শরীরে আসন সংকটে বারান্দা বা মেঝেতেই চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের। জন্ডিস আক্রান্ত নবজাতক শিশূদের মশারি, কিংবা কাচের ঘরে আলাদা চিকিৎসা দেয়ার নিয়ম থাকলেও সাধারণ রোগীদের পাশেই দেয়া হচ্ছে চিকিৎসা।

একদিনের সরেজমিনে দেখা গেছে এসব চিত্র। এতে শিশূদের স্বাস্থ্যঝুকি বাড়ছে বলে মনে করছেন অনেকেই। তবে সকল সমস্যা সমাধান করে হাসপাতালটিতে সর্ব সাধারনের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করবেন এমন প্রত্যাশা মেহেরপুরবাসীর। কর্তৃপক্ষ বলছেন, জনবল সংকটে চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশীম খাচ্ছেন তারা।

২০১৩ সালে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালটি ১০০ শয্য থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নিত করা হলেও বাড়ানো হয়নি জনবল। প্রায় এক দশকেও বাড়েনি এই হাসপাতালটির কোনো সুযোগ সুবিধা। ২০১৯ সালে ৭২ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যায়ে পাশেই ৬ তলা একটি ভবন তৈরীর কাজ শুরু হয়। পরে ভবনটি আরও ২ তালা বৃদ্ধি করা হয়। ভবনটি পুরো ৮ তলা প্রস্তুত হলেও এখন রয়েছে হস্তান্তর জটিলতা। অথচ, ২০২৩ সালের ১২ নভেম্বর হাসপাতালের ৮ তলা বিশিষ্ট নতুন ভবনটির উদ্বোধন করা হয়েছে। পুরাতন ভবনেই জায়গা সংকটে রোগীদের মেঝে কিম্বা বারন্দায় নিতে হচ্ছে চিকিৎসা সেবা।

এতে সুস্থ হওয়ার পরিবর্তে অবস্থার অবনতি হচ্ছে অনেকের। হাসপাতালটিতে আছে জনবল সংকট। হাসপালটিতে সার্জারি, এনেসথেটিস্ট, চিকিৎসক, নার্সসহ অন্যান্য মোট পদ রয়েছে ২৯৩ টি। এর মধ্যে শুন্য রয়েছে ৭৮ টি পদ। হাসপাতালটির সিনিয়র কনসালটেন্ট মেডিসিন, শিশু, সার্জারি, কার্ডিওলজি, জুনিয়র কনসালটেন্ট গাইনি, প্যাথলজি, চর্ম ও যৌণ চিকিৎসক, ডেন্টাল সার্জন, ৩ জন এনেসথেটিষ্ট, নার্সিং সুপারিনটেন্ডেন্ট, ২ জন হেলথ এডুকেটর, ২ জন অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক, ২ জন ওয়ার্ড মাস্টার, ১ জন মেডিকেল স্টোর কিপার, পদগুলি শুণ্য রয়েছে দীর্ঘদিন যাবৎ। এছাড়া হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ৭ মেডিকেল অফিসারের মধ্যে ৬ জন, ১১ জন মেডিকেল অফিসারের মধ্যে ১ জন, ২ জন আরএমও’র মধ্যে একজন, ২ জন জুনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসারের মধ্যে ১ জন, ১১ জন স্টাফ নার্সের মধ্যে ৪ জন, ১ জন মেডিকেল রেকর্ড কিপার, ৫ জন সহকারি নার্সের মধ্যে ৪জন, ৩ জন গাড়ি চালকের মধ্যে ২ জন, ২৬ জন অফিস সহায়কের মধ্যে ২২ জন, ৪ জন ওয়ার্ড বয় এর মধ্যে ৩ জন, ৬ জন কুক এর মধ্যে ৫ জন, ৪ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মীর মধ্যে ১ জন ও ২ টি মালির পদ দীর্ঘদিন যাবৎ শুণ্য।

এদিকে হাসপাতালটিতে পর্যাপ্ত শয্যা সংখ্যা না থাকায় রোগীদের ঠাই মিলেছে বারান্দা। কেউ কেউ মেঝেতে বা শিঁড়ির নিছেই নিচ্ছেন চিকিৎসা। নিম্নমানের খাবারসহ ঔষধ না পাওয়ারও অভিযোগ রোগীদের। প্রায় ৪ মাস যাবৎ হাসপাতালটিতে বন্ধ রয়েছে নরমাল বা সিজারিয়ান ডেলিভারি। হাসপাতালটির অভ্যন্তওে রয়েছে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার অভাব। দুর্ঘন্ধময় থাকে পরিবেশ আর মশা মাছির সাথেই পড়ে থাকতে হয় রোগীদের। সেই সাথে রয়েছে হাসপাতালের আয়া নামক যন্ত্রণা। রোগীদের হাতের ক্যানোলা খুলতে ও ছাড়পত্র নেওয়ার সময় জোর করে ২ থেকে ৩ শ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রোগীদের। তাদের দাবীকৃত টাকা না দিতে পারলেও দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রাখা বা অসাদাচারণ করা নিত্যনৈমত্যিক ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে।

মেহেরপুর ২৫০ শয্য বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল সার্জন মোঃ ফজলুর রহমান বলেন, চিকিৎসক সঙ্কট, জনবল সঙ্কটসহ নানা সমস্যায় চলছে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল। যে কয়েকজন চিকিৎসক রয়েছে তা দিয়ে কোন রকমে চিকিৎসা দেযা হচ্ছে। সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ থাকায় গর্ভবতী মায়েদের সিজার করা বন্ধ রয়েছে।

ফলে ওই সকল গর্ভববী মায়েরা বিভিন্ন ক্লিনিকে গিয়ে অতিরিক্ত টাকা খরচ কওে অপারেশন করাচ্ছেন। তবে চিকিসক ও জনবল চেয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করা হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্ত।




কৃষি ব্যাংকের ডিএমডি হলেন মেহেরপুরের কৃতি সন্তান খালেদুজ্জামান জুয়েল

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মহাব্যস্থাপক থেকে উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) পদে পদোন্নতি পেয়েছেন মেহেরপুরের কৃতি সন্তান মোহাঃ খালেদুজ্জামান জুয়েল।

গত ১০ এপ্রিল অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাঁকে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়।

মোহাঃ খালেদুজ্জামান বাংলাদেশ ব্যাংক রিক্রুয়েটমেন্ট কমিটি (বিআরসি) কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে ২০০১ সালে বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন-এ উর্ধ্বতন কর্মকর্তা পদে যোগদান করেন। তিনি হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন-এ দিনাজপুর ও ফরিদপুর রিজিয়নের রিজিওয়ানাল ম্যানেজার এবং ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের জোনাল ম্যানেজার (বিভাগীয় প্রধান) হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও, সদর দপ্তরের অডিট ও আদায় বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। ২০২১ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন পদে হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন-এ নিষ্ঠা ও দক্ষতার সহিত দায়িত্ব পালন করেন।

পরবর্তীতে ২২.০৩.২০২১ তারিখে মহাব্যবস্থাপক হিসাবে পদোন্নতি পেয়ে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক-এ যোগদান করেন। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ফরিদপুর ও ঢাকা বিভাগের মহাব্যবস্থাপক এবং বিকেবি স্টাফ কলেজের অধ্যক্ষ হিসাবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন।

 প্রধান কার্যালয়ে মহাব্যবস্থাপক (পরিকল্পনা ও পরিচালন) এবং মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) হিসাবে দায়িত্ব পালন কালীন বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের অপারেশন ও প্রশাসনের বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

জনাব মোহাঃ খালেদুজ্জামান যথাক্রমে ১৯৮৭ ও ১৯৮৯ সালে গাংনী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কুষ্টিয়া সরকারী কলেজ হতে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় ১ম বিভাগ পেয়ে উত্তীর্ণ হন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগ হতে ১৯৯২ সালে বিএসসি (সম্মান) ও ১৯৯৩ সালে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। পববর্তীতে তিনি ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং এ এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন।

এছাড়াও, তিনি পেশাগত আন্তর্জাতিক ডিগ্রি Certified Information Systems Auditor (CISA) অর্জন করেন। মোবাইল ব্যাংকিং, ব্যাংকিং সেক্টরে সুসাশন, আর্থিক সেক্টরে ব্যাংকিং বিনিয়োগ, ব্যাংকিং সেক্টরে জাল-জালিয়াতি রোধে ফরেনসিক একাউন্টিং, বাংলাদেশের উদিয়মান অর্থনীতে ব্যাংকিং বিনিয়োগের ভূমিকা ইত্যাদি বিষয়ে তাঁর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে উল্লেখ যোগ্য সংখ্যক প্রকাশনা রয়েছে। তিনি দেশ-বিদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।

মোহাঃ খালেদুজ্জামান ১৯৭১ সালে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার সাহারবাটী গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন সৎ, নিষ্ঠাবান, দক্ষ, কর্মঠ ও আন্তরিক ব্যক্তিত্ব। তিনি মেহেরপুর জেলার গর্বিত ও কৃতী সন্তান। তিনি পারিবারিক জীবনে দুই সন্তানের জনক।




মেহেরপুরের আমদহ ইউনিয়নের ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সম্মেলন

মেহেরপুর সদর উপজেলার আমদহ ইউনিয়নের ৮ও ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শুক্রবার বিকেল পাঁচটার দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলা আমদহ ইউনিয়ন বিএনপি’র আয়োজনে ইসলামপুর ব্রিজের পাশে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলন অনুষ্ঠানে মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আলমগীর খান সাতুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক জাভেদ মাসুদ মিল্টন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান, যুগ্ম আহবায়ক ফয়েজ মোহাম্মদ।
সম্মেলন অনুষ্ঠানে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মশিউর রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আজমুল হোসেন মিন্টু, জেলা জাসাসের সদস্য সচিব বাকা বিল্লা, জেলা বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহিম, লিটন মাস্টার, আব্দুল লতিফ, বখতিয়ার, ইলিয়াস হোসেন, সৌরভ সহ আমদহ ইউনিয়ন বিএনপি’র নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সম্মেলন অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মেহেরপুর সদর উপজেলার সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রিপন। মেহেরপুর সদর উপজেলা আমদহ ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র নতুন কমিটির সভাপতি মনিরুজ্জামান মিন্টু, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ও ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি হারুনুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক হামিদুল নির্বাচিত হন।




ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে মেহেরপুরে ইমাম সমিতির বিক্ষোভ মিছিল

ফিলিস্তিনে চলমান গণহত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি মেহেরপুর জেলা শাখার উদ্যোগে এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শুক্রবার বিকেল ৫ টায় শহীদ ড.শামসুজ্জোহা পার্ক থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে মেহেরপুর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তারা ইসরায়েলের অব্যাহত আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে এই বর্বরতা বন্ধের আহ্বান জানান। তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ফিলিস্তিনে যে গণহত্যা চালানো হচ্ছে তা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ।

বিক্ষোভ ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি হাফেজ মাওলানা রোকনুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সিরাজ উদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আব্দুল ওহাব, দপ্তর সম্পাদক মাওলানা জামাল উদ্দীন, সহ-দপ্তর সম্পাদক মাওলানা ইদ্রিত আলী, সদস্য মাওলানা সাইফুল ইসলাম, হাফেজ মাওলানা শাহজালাল, নাসির উদ্দিন, জামাল উদ্দিন, আব্দুর রহমানসহ বিভিন্ন স্তরের মুসল্লিরা।

এই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে মুসল্লিরা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বিভিন্ন স্লোগান দেন এবং ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।




মেহেরপুরের সিংহাটিতে ওয়ার্ড বিএনপি’র কমিটি গঠন

মেহেরপুর সদর উপজেলার বারাদি ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড (পূর্ব সিংহাটি ও পুরাতন দরবেশপুর) বিএনপি’র ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার বিকেলে সিংহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট ওয়ার্ড বিএনপি’র কমিটি গঠন করা হয়। মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ওমর ফারুক লিটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমান হাফি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ক্যাপ্টেন গনিউল আজম। এসময় উপস্থিত নেতৃবৃন্দের সমর্থনে ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করা হয়। সভাপতি পদে জিনারুল ইসলাম, আবুল কাশেম, ফজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক পদে জিহাদুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

এ সময় উপস্থিত নেতৃবৃন্দের হাত উত্তোলনের মাধ্যমে জিনারুল ইসলাম সভাপতি ও জিহাদুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়। পরে সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহবুব মল্লিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাদশা মিয়া ও আব্দুর রাজ্জাককে সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত করা হয়। এ সময় ইউনিয়ন বিএনপি’র বিভিন্ন অংশ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে নির্বাচিত প্রার্থীদেরকে ফুলের মালা পরিয়ে অভিনন্দন জানানো হয়।




মেহেরপুর জেলা পুলিশের উদ্যোগে আভিযানিক কার্যক্রম পরিচালিত

মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কর্তৃক পরিচালিত এ অভিযানের অংশ হিসেবে গত ২৪ ঘন্টায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ০৫(পাঁচ) জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেনঃ-
মোঃ শিপন মিয়া (৪০) পিতা- মোঃ আবু তালেব, মাতা- বেলাজান, সাং- গাড়াবাড়ীয়া, থানা-গাংনী, জেলা-মেহেরপুর (সভাপতি, তাঁতীলীগ, কাথুলী ইউপি) (গাংনী থানার মামলা নং ১১(৮)২৪ মুলে গ্রেফতার)। মোঃ হাফিজুর রহমান (৫৬) পিতা- মৃত হাসেম, মাতা- মৃত হালিমা খাতুন, সাং- পীরতলা বিলপাড়া, থানা-গাংনী, জেলা-মেহেরপুর (সেক্রেটারী, কৃষকলীগ, কাজীপুর ইউপি) (গাংনী থানার মামলা নং ১১(৮)২৪ মুলে গ্রেফতার)। মোঃ সোহরাব হোসেন, পিতা- মৃত সৈয়দ আলী, সাং- বামন্দী, থানা- গাংনী, জেলা- মেহেরপুর (সি আর ৯০/২৫ গ্রেফতারী পরোয়ানা মূলে গ্রেফতার)। আকলিমা খাতুন, স্বামী- মোঃ শফিকুল ইসলাম, সাং- ধানখোলা উত্তরপাড়া, থানা- গাংনী, জেলা- মেহেরপুর। ( সি আর ৯৪২/২৪ পরোয়ানা মূলে গ্রেফতার)। মোঃ লাল্টু বিশ্বাস (৪৩) পিতা- মৃত আক্কাছ আলী, সাং- লক্ষীনারায়নপুর (ধলা), থানা- গাংনী, জেলা- মেহেরপুর। (গাংনী থানার মামলা নং ১১(৪)২৫ মুলে গ্রেফতার)

গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং বিভিন্ন অপরাধের অপরাধীদের গ্রেফতার করতে বিশেষ অভিযান চলমান থাকবে।




মুজিবনগরে গোপালনগর কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের বার্ষিক সাধারণ সভা

মুজিবনগরে গোপালনগর কোঅপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিমিটেডের ২৮ তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার ১১ এপ্রিল সকাল দশটায় গোপালনগর কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের অফিস প্রাঙ্গনে এই সাধারণ সভা  অনুষ্ঠিত হয়।

গোপালনগর কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে এবং কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের লিমিটেড এর সাবেক ম্যানেজার মাহফুজ আলমের সঞ্চালনায়,

সাধারণ সভার প্রধান অতিথি ছিলেন, মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ মন্ডল, প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা সমবায় এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনামুল হক।

বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন, মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মিজানুর রহমান, মুজিবনগর উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মাহবুবুল হক মন্টু , গোপালনগর কো-অপারেটিভ ইউনিয়নের সহ-সভাপতি সাফায়েত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ আবু নাঈম ডালিম, সদস্য ইনসান আলী ও আনিদুল ইসলাম সহ গোপালনগর অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং গোপালনগর কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিমিটেড এর ৩৮১৭ জন সদস্যা ও সদস্যবিন্দু।

গ্রামের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে সহযোগিতার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে প্রতিষ্ঠিত করার প্রত্যয়ে গড়ে ওঠে। । এই ক্রেডিট ইউনিয়ন স্বচ্ছতার মাধ্যমে বিভিন্ন স্কিম এর আওতায় তাদের ৩৭৭০ জন সদস্যদেরকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে।




মেহেরপুরে কাল বৈশাখি ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি

মেহেরপুর জেলার  কয়েকটি গ্রামের উপর কালবৈশাখী ঝড়সহ শিলা বৃষ্টি হয়েছে। এতে আম,লিচু ভুট্টাসহ উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত ৯ টার দিকে ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। এতে আম,লিচু ঝরে পড়ে । এছাড়াও মাঠের ফসল ভুট্রা,কলা ক্ষেত,লাউয়ের মাচা ও সবজিসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার জানান, শিলাবৃষ্টিতে ভুট্টা, আম, লিচু, টমেটোসহ বিভিন্ন প্রকার সব্জির ক্ষেত ভেঙ্গে গেছে।
মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে প্রায় ২ হাজার ২ হেক্টর ফসলের ক্ষতি হয়েছে বলে জেলা কৃষি বিভাগ নিশ্চিত করেছেন।



মেহেরপুরে বিদেশি অস্ত্র ও গুলিসহ সন্ত্রাসী আটক

মেহেরপুরের গাংনী থেকে বিদেশি পিস্তল, ২টি ম্যাগাজিন ও ৩ রাউন্ড তাজা গুলিসহ লাল্টু বিশ্বাস (৪০) নামে একজনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী।

আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে গাংনীর লক্ষীনারায়নপুর ধলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। তিনি ওই গ্রামের মৃত আক্কাস আলীর ছেলে।

যৌথ বাহিনীর অভিযান সূত্রে জানা যায়, লাল্টু বিশ্বাস নিজ বাড়িতে অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করছেন, এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথ বাহিনীর একটি দল অভিযান চালায়। অভিযানে ৭.৬৫ মিমি সাইজের একটি বিদেশি পিস্তল (Made in USA), দুটি ম্যাগাজিন এবং তিন রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়। লাল্টু বিশ্বাসের এক ভাই ডাকাতির চেষ্টাকালে জনতার হাতে মারা গেছেন এবং আরও এক ভাই পদ্মবিল দখল নিয়ে সংঘর্ষে মারা গেছে। তার বিরুদ্ধে এলাকায় চাঁদাবাজি, দখলদারিত্বসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

অভিযানটি পরিচালনা করেন ২৭ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারির ক্যাপ্টেন রওশন ও লেফটেন্যান্ট মিনহাজ এবং গাংনী থানা পুলিশের একটি টিম। লাল্টু বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আটককৃত লালটুকে গাংনী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।