বেঞ্চের ফুটবলারদের সঙ্গেও পারল না ভুটান

সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের গত আসরের ফাইনালে ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়ে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এবারও সেই বাংলাদেশ-ভারত ফাইনালে। আগামীকাল ফাইনাল, কমলাপুর স্টেডিয়ামে।

ভুটানের বিপক্ষে হারানোর কিছু ছিল না বাংলাদেশের। এক ম্যাচ হাতে রেখেই ফাইনাল নিশ্চিত করায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দলের কোচ সাইফুল বারী টিটু কাল ভুটানের বিপক্ষে সাইড বেঞ্চে থেকে ৯ জন ফুটবলার নামিয়ে দিয়েছেন, যাদের অনেকেরই অভিষেক হয়েছে কাল। বিশ্রামে ছিলেন অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার প্রান্তি, জয়নব বিবি, সুরমা জান্নাত, মুনকি আক্তার, স্বপ্না রাণী, ৩ গোল করা সাগরিকা, পূজা, ইতি।

৯ জন নেই, তাতেই ভুটান কুপোকাত। ভুটান আসরটিতে তাদের ৩ ম্যাচের সবকয়টি হারল। গতকাল নিয়ম রক্ষার শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে ৪-০ গোলে হেরে সাফ শেষ করল তারা। এর আগে ভারতের কাছে ১০-০, নেপালের কাছে ১-০ গোলে হেরেছিল। ভুটানের ফুটবলাররা বেশ শক্তিশালী, সুঠাম দেহ, কিন্তু স্কিল কম। ম্যাচের তৃষ্ণা রানী বক্সের ভেতরে বল রিসিভ করতে গিয়ে গোল হয়ে গেল। এই হলো ভুটানের রক্ষণভাগ এবং গোলরক্ষক। প্রধমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ।

নুসরাত জাহান মিতু এবং ঐশী গোল করেন। সেই দুটি গোলও যে খুব কঠিন চেষ্টায় হয়েছিল তাও না। গোলের কৃতিত্ব যতটুকু তার চেয়ে ভুটানের দুর্বলতা বেশিই ছিল। ম্যাচের চতুর্থ গোলটিও গোলরক্ষক এবং রক্ষণভাগের ভুল বুঝাবুঝিতে বল বেরিয়ে গেলে আবার সেই ঐশী গোল করেন, ৪-০। ঐশী দুই গোল করেছেন, গোল করিয়েছেন দুটি। ম্যাচ জেতার আনন্দে মেতে উঠলেন স্বর্ণা, রুমা, ঐশী, নুসরাত জাহান মিতু, নাদিয়া, তৃষ্ণা রানী, কানন রানী, লুত্ফরা আক্তার, উমেহ্লা, রিতু, সুলতানা, রিতুরা।

ভারত ৪ গোলে জয়ী

ফাইনালে কাকে পাবে সেই অপেক্ষায় ছিল বাংলাদেশ। লড়াইয়ে ছিল ভারত ও নেপাল। ড্র হলেই ভারত ফাইনালে, নেপালকে জিততেই হবে। এই সমীকরণ নিয়ে খেলতে নেমে ভারত ৪-০ গোলে নেপালকে উড়িয়ে দিয়েছে। চার দেশের সাফ। নেপাল প্রথম খেলায় বাংলাদেশের কাছে ৩-১ গোলে হেরে দ্বিতীয় খেলায় ভুটানকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল।

নেপালকে হারিয়ে ভারতের নারী কোচ শুক্লা দত্ত জানালেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল নেপালকে হারিয়ে ফাইনালে যেতে হবে। স্কোর করতে হবে। আমরা হ্যাপি।’ ম্যাচের প্রথমার্ধে যতটা ভালো খেলেছে, দ্বিতীয়ার্ধে দলটার গতি কমে গিয়েছিল। শুক্লা দত্ত বললেন, ‘একটা ম্যাচের পর ৪৮ ঘণ্টা বিশ্রাম দরকার। সেটা তো হচ্ছে না। ক্লান্তি আসবেই।’ বাংলাদেশের বিপক্ষে ফাইনালে ১-০ গোলে হারের কথা মনে করিয়ে দিলে শুক্লা দত্ত বললেন,‘কে কী খেলেছে, কে কবে জিতেছে সেটা ম্যাটার করে না। এখন কী করব সেটাই বলুন। বাংলাদেশ ভালো, আমি পজিটিভ দেখছি।’




কুষ্টিয়ায় মেধা’র রজতজয়ন্তী উপলক্ষে রচনা প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ

কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শিশির কুমার রায় বলেছেন, কুষ্টিয়ার ‘মেধা’ জেলার শিক্ষা বিস্তারে ব্যাপক ভুমিকা রেখে যাচ্ছে।

শুধু তাই নয়, ‘মেধা’ সংগঠনটি জেলার সেবামূলক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের একটি প্রতিকৃতি হয়ে উঠেছে।

আজ মঙ্গলবার সকালে শহরের কারামায় চাইনিজ রেস্তোরায় মেডিক্যাল, এডুকেশন এন্ড হেলথ্ ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন (মেধা)’র রজত জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মেধা একটি কল্যাণকামী প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, কুষ্টিয়ার মেধা একটি বাস্তবমুখি সামাজিক সংগঠন। এ সংগঠনের মাধ্যমে যে সব কর্মকান্ড পরিচালিত হয়ে আসছে তা জেলার শিক্ষা বিস্তারে ব্যাপক ভুমিকা রেখে যাচ্ছে। মেধার মাধ্যমে এ অঞ্চলের বিপুল সংখ্যক মেধাবী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে উপকৃত হয়ে আসছে যা আমাদের দেশের জন্য অনুকরনীয় হয়ে থাকবে।

তিনি আরও বলেন, মহৎ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে নিষ্ঠার সাথে কোন কাজ করলে যে একদিন সাফল্য আসবেই ‘মেধা’ তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। আজ অনেকেই মেধা’র কর্মকান্ডে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত হয়ে সহযোগীতার হাত সম্প্রসারিত করছেন। আমি প্রত্যাশা করি ‘মেধা’ তার মানবকল্যাণকর কর্মকান্ড নিয়ে সুনামের সাথে এগিয়ে চলুক।

মেধা’র নির্বাহী পরিষদের সহ-সভাপতি মোঃ শাহ নেওয়াজ আনসারী মঞ্জুর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব শামীম আহমেদের সার্বিক তত্বাবধায়নে অন্যানের মধ্যে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহা. মুরাদ হোসেন, জে.এস. এন্টারপ্রাইজ, কুষ্টিয়ার স্বত্তাধিকারী মোঃ জহিরুল ইসলাম, মেধার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ড. নবীনূর রহমান খান, প্রফেসর অজয় কুমার মৈত্র, এসএম কাদেরী শাকিল, রফিকুল ইসলাম রফিক, আব্দুল মান্নান বিদ্যুৎ, আইয়ুব হোসেন, মোকাররম হোসেন মোয়াজ্জেম প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে মেধা’র নির্বাহী পরিষদের মেধা’র নির্বাহি পরিষদের সহ-সভাপতি মোঃ শাহ নেওয়াজ আনসারী মঞ্জু বলেন, ১৯৯৯ সালে কুষ্টিয়ার কয়েকজন উদ্যোমী মানুষ মিলে সমাজের পিছিয়ে পড়া অসচ্ছল পরিবারের মেধাবী সন্তানদের কল্যাণের স্বার্থে কুষ্টিয়ায় মানবকল্যাণমুখী শিক্ষা সহায়তামুলক এই ‘মেধা’ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। যদিওবা এটি প্রতিষ্ঠার কয়েকবছর পর আমি মেধার সাথে সম্পৃক্ত হয়েছি।

এর মাধ্যমে শিক্ষা-সহায়তা, বিনামুল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রদান, গুনীজন সম্মাননা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতা, শীতবস্ত্র বিতরণ, হুইলচেয়ার বিতরণ, সেলাই মেশিন প্রদানসহ নানান সামাজিক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছি।

সভায় বক্তারা বলেন, কুষ্টিয়ায় বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ব্যাক্তিদের সমন্বয়ে পরিচালিত মেধা শিক্ষা বিস্তার ও উন্নয়নে কুষ্টিয়ায় সাধারণ ও কারিগরি সকল অঙ্গনে স্বার্থক ভূমিকা রেখে চলেছে। শিক্ষা সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে মেধাবী দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার সুযোগ করে দিয়ে তাদেরকে নতুনভাবে বড় হওয়ার যে স্বপ্ন দেখাচ্ছে। তা অভাবনীয় এবং প্রসংশার দাবীদার।

বক্তারা আরও বলেন, দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা-সামগ্রী প্রদান, শিক্ষাবৃত্তি প্রদান, বিনামুুল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষন প্রদানসহ নানান মহৎ কর্মসূচি মেধাবীদের লালনে সচেষ্ট থেকে জেলার দরিদ্র অথচ মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ গঠনে অনুপ্রেরণামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে চলেছে এজন্য তারা প্রশংসা পাবার যোগ্য।

পরে বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে সনদপত্র ও পুরষ্কার তুলে দেন অতিথিরা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মেধার সাংস্কৃতিক সম্পাদক আলমগীর আশরাফ।

অনুষ্ঠানে মেধার নির্বাহী পরিষদ ও সাধারন সদস্যরা ছাড়াও শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।




মিরপুরে তিনটি ইটভাটায় অভিযান: ৬ লাখ টাকা জরিমানা

কুষ্টিয়ার মিরপুরে অনুমোদনহীন অবৈধভাবে ৩টি ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়েছেন। এসময় ইটভাটা মালিকদের ৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মিরপুর উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠা অবৈধ এসব ইটভাটাগুলিতে অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন ও কুষ্টিয়া পরিবেশ অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন মিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. হারুন অর রশিদ।

এসময় তিনি বলেন, নিয়ম বহির্ভূত ইটভাটা পরিচালনা, জ্বালানি কাঠ ব্যবহারসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে পরিবেশ অধিদফতরের সহযোগিতায় এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে মিরপুর উপজেলার হাউসপুরে অবস্থিত আরএইচআরবি ব্রীকস, এমএএসবি ব্রীকস এবং এমএএস ব্রীকস নামের ৩টি ইটভাটাকে ৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

পরিবেশ অধিদপ্তর, জেলা কার্যালয় কুষ্টিয়ার সহকারী বায়োকেমিস্ট (প্রসিকিউটর) নরেশ চন্দ্র বিশ্বাসসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

পরিবেশ অধিদপ্তর, জেলা কার্যালয় কুষ্টিয়ার সহকারী বায়োকেমিস্ট (প্রসিকিউটর) নরেশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, এসব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে। পর্যায়ক্রমে সব ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করা হবে।




চুয়াডাঙ্গায় ওয়েভ ফাউন্ডেশনের গো গ্রীন সেন্টারের শুভ উদ্বোধন

চুয়াডাঙ্গায় ওয়েভ ফাউন্ডেশনের গো গ্রীন সেন্টার এর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় চুয়াডাঙ্গা কোষাঘাটার গো গ্রীন সেন্টারের মাঠ প্রাঙ্গনে এই গো গ্রীন সেন্টার নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মহসীন আলী। পল্লি কর্মসহায়ক

ফাউন্ডেশনের সহযোগীতায় আয়োজন করেন ওয়েভ ফাউন্ডেশন। এ সময় গো গ্রীন সেন্টার শুভ উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পল্লি কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ড. নমিতা হালদার।

গো গ্রীন সেন্টারের সকল কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করা হয়। আলোচনার শুরুতে গো গ্রীন কাজ থাকবে মাঠ পর্যায়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা, কৃষি পণ্যভিত্তিক ক্লাস্টার এবং কৃষি উদ্দ্যোক্তা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এই গো গ্রীন ভুমিকা রাখবে। গো গ্রীন সেন্টারের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল ব্রিডিং খামার পরিচালনা কৃষি, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদে অগ্রগতি বাড়ানো পরিবেশের জন্য সুরক্ষা সচেতনতা নিশ্চিত বিষয়ে গো গ্রীন সেন্টার ভুমিকা রাখবে। জলবায়ু অভিঘাত মোকাবেলায় অভিযোজনে কাজ করবে গো গ্রীন সেন্টার। পরিবেশ সম্মত ও নিরাপদ বিষয়ে গো গ্রীন সেন্টার কাজ করবে। জলবায়ু কার্যক্রম ও নিরাপদ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি চর্চা করবে গো গ্রীন সেন্টার। এছাড়া গো গ্রীন সেন্টার আরো অন্যান্য বিষয় নিয়ে গো গ্রীন সেন্টার তার ভুমিকা রাখবে। যুবকদের দক্ষতা বৃদ্ধি নিয়েও গো গ্রীন সেন্টার কাজ করবে বলে জানা গেছে।

গো গ্রীন সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ওয়েভ ফাউন্ডেশন নির্বাহী পরিচালক মহসীন আলী, উপ-নির্বাহী পরিচালক নাসিফা আলী, ওয়েভ ফাউন্ডেশনের মানবসম্পদ ও প্রশাসন বিভাগের পরিচালক ইফতেকার হোসেন, সহকারী পরিচালক নির্মল দাস, উপ-পরিচালক জহির রায়হান সোহাগ, সিনিয়র সমন্নয়কারি আনিসুর রহমান, সহকারী পরিচালক কিতাব আলী, সহ-সমন্বয়কারি শরিফুল ইসলাম লিটন, সিনিয়র সমন্নয়কারি কামুরুজ্জামান যুদ্ধ, ওয়েভ ফাউন্ডেশনের এডভাইজার আব্দুস শুকুর ও এরিয়া ম্যানাজার মামুন মিয়া, প্রোগ্রাম অফিসার কানিজ সুলতানা, ফরাদ হোসেন, আশরাফুল ইসলাম ও ওয়েভ ফাউন্ডেশনের অন্যান্য কর্মকতাগণ।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, জেলা লোকমোর্চার সহ-সভাপতি তানজিলা মিনি, সাধারণ সম্পাদক, শাহ আলম সনি, সদর উপজেলা লোকমোর্চার সাধারণ সম্পাদক পারভিন লাইলা, সদস্য, শিরিনা আক্তার ডলি, ইলিয়াস হোসেন, জামান আক্তার, শেখ লিটন, ইয়ুথ।

অ্যাসেম্বলির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সংগ্রাম, মিথুন, সাকিব সহ ওয়েভ ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারী বৃন্দ।




আলমডাঙ্গায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান ১৫ হাজার টাকা জরিমানা

আলমডাঙ্গায় ভ্রাম্যমাণ আদালত সার ও গো-খাদ্য একসাথে রাখার দায়ে উত্তরা ট্রেডার্সে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট স্নিগ্ধা দাস ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

জানাগেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অবৈধ ভাবে চাউল মজুদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন গোডাউন পরিদর্শন করা হচ্ছিল। এসময় আলমডাঙ্গা পুরাতন বাজার এলাকার গীরিধারী লাল মোদীর উত্তরা ট্রেডার্সের গোডাউনে গিয়ে গো-খাদ্য ও সার পাশাপাশি রাখার দায়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৫৩ ধারায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এ সময় উত্তরা ট্রেডার্মের ম্যানেজার সমীর সাহা জরিমানার টাকা পরিষদ করেন। এদিকে দীর্ঘদিন ধান মজুদ রাখায় ১০ দিনের মধ্যে তা বিক্রি করে দেওয়ার নির্দেশ ও গোডাউন সিলগালা করে দেওয়া হয়।

অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার ভূমি রেজওয়ানা নাহিদ, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল মালেক,থানার এসআই আমিনুল ইসলামসহ থানার একদল ফোর্স।




বইমেলায় বরকতের তিন বই

এবারের একুশে বইমেলায় তিনটি বই প্রকাশ পাচ্ছে মেহেরপুরের শিশুতোষ গল্পকার তরুণ লেখক বরকত আলীর। বই তিনটি হচ্ছে- ‘পিঁপিঁঁ ও কুড়িয়ে পাওয়া ডিম’, ‘গল্পের গরু গাছে’ ও ‘পেটমোটা শিয়াল’। এদের মধ্যে দুইটি শিশুতোষ ও একটি লোকগল্পের।

এর মধ্যে ‘পিঁপিঁ ও কুড়িয়ে পাওয়া ডিম’ বইটির প্রচ্ছদ করেছেন শাহীনুর আলম শাহীন, কিডজ কারাভান প্রকাশনী থেকে প্রকাশ করা হয়েছে। পাওয়া যাচ্ছে ৬২৫ নম্বর স্টলে। ‘গল্পের গরু গাছে’ বইটির প্রচ্ছদ করেছেন অংকন তুর্য পাতা প্রকাশনী থেকে প্রকাশ করা হয়েছে। বইটি পাওয়া যাচ্ছে ৫৬৮ নম্বর স্টলে।

ইতোমধ্যে বইদুটি বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে ‘পেটমোটা শিয়াল’ নামের একটি লোকগল্পের বই প্রকাশিত হবে। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন কাওসার মাহমুদ, খুশবু প্রকাশন থেকে প্রকাশ করা হয়েছে। বইটি পাওয়া যাচ্ছে ৭৩০ নম্বর স্টলে।




কোটচাঁদপুর কপোতাক্ষ নদে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান

কোটচাঁদপুরে কপোতাক্ষ নদে উপজেলা প্রশাসনের অভিযানে অবৈধভাবে নিষিদ্ধ চাইনা দুয়াড়ি পেতে মাছ ধরার অপরাধে দুয়াড়ি জব্দ করে আগুন ধরিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে ।

মঙ্গলবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের বলাবাড়িয় বাগডঙ্গা এলাকায় এ অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন। নিষিদ্ধ চাইনা দুয়াড়ি পেতে মাছ শিকার করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে  উপজেলা নির্বাহী অফিসার উছেন মে কপোতাক্ষ নদে অভিযান চালান। এ সময় তিনি ১৪ টি চায়না নিশিদ্ধ দুয়াড়ি জব্দ করেন। পরে তা ওই নদের তীরেই আগুন দিয়ে ধ্বংস করা হয়।

দুয়াড়ি ধ্বংসের সময় উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার সঞ্জয় কুমার,কোটচাঁদপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক নাজিবুল হক সহ থানা পুলিশের একটি চৌকস দল অভিযানে অংশ গ্রহণ করেন।




আমঝুপি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে বিদায় ও বরণ

মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ও তিন জন শিক্ষকের বিদায়ী সংবর্ধণা ও নবিন বরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও আমঝুপি ইউপি চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন চুন্নুর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মনিরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমঝুপি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান।

স্বাগত বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সহকারী প্রধান শিক্ষক হাফিজুজ্জামান, সহকারী শিক্ষক আবুল হাসান, রাফিউল ইসলাম, বশির আহমেদ, ফারাহ হোসেন লিটন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহকারী শিক্ষক হাবিবুর রহমান ও রকিবুল ইসলাম। শিক্ষকদের মধ্যে আলহাজ হোসেন ও আফরোজা পারভিন অবসর গ্রহণ করায় এবং সহকারী শিক্ষক শরিফ উদ্দিন অন্যত্র চাকরি হওয়ায় তাদের এবং এসএসসি পরীক্ষার্থীদের শুভ কামনা জানিয়ে বিদায় সংবর্ধণা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ষষ্ঠ শ্রেণেিত ভর্তি হওয়া নবিন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হয়।




শাহীদ-রণবীর ঢাকায় আসবেন!

আগামী সেপ্টেম্বরে এক মেগা ইভেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে গান বাংলা টেলিভিশন। যেখানে বলিউডের বড় বড় সব তারকাদের আগমন ঘটবে। তারই শুরুর চমক হিসেবে দুটি নাম উন্মুক্ত করলেন চ্যানেলটির কর্ণধার কৌশিক হোসেন তাপস।

এই আয়োজনে কারা উপস্থিত হবেন তা নির্বাচনের কিছু সুযোগ থাকছে ভক্তদের জন্যও। এ উদ্দেশে ফেসবুকে পোলের মাধ্যমে ভোট আহ্বান করেন তাপস।

শাহীদ কাপুর না রণবীর সিং? বলিউডের এই দুই সুপারস্টার এর মধ্যে ঢাকার মঞ্চে কার পারফর্মেন্স দেখতে চান দর্শক? এমন প্রশ্নই ছুঁড়ে দিয়েছেন তাপস। তাতে পছন্দের তারকাকে ভোট দিচ্ছেন ভক্তরা।

যদিও ভোটে রণবীরের চেয়ে শাহিদ কাপুরকে অনেক ব্যবধানে এগিয়ে থাকতে দেখা গেছে তবে রণবীর ভক্তদের জন্য এখনো সময় পেরিয়ে যায়নি।

টিএম তথা কৌশিক হোসেন তাপস ও ফারজানা মুন্নী প্রতিষ্ঠিত দেশের অন্যতম সর্ববৃহৎ ইভেন্ট প্রতিষ্ঠান ওয়ান মোর জিরো কমিউনিকেশন্স। প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বিনোদন জগতে চমক জাগানিয়া নানা বর্ণিল ইভেন্ট আয়োজন করে ইভেন্ট সেক্টরে নতুন ধারা সৃষ্টির পাশাপাশি ও আন্তর্জাতিক মান অর্জন করেছেন।

সূত্র: ইত্তেফাক




কোটচাঁদপুরে রঙ্গিন ফুল কপির চাষ করে লাভবান কলেজ ছাত্র

যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মুস্তাক হোসেন (২৫) । তিনি পড়াশোনা পাশাপাশি একজন সফল কৃষকও। রবি মৌসুম এলেই তিনি চিন্তা করেন বিরল জাতীয় কিছু চাষাবাদ করার। এ বছর নিজের জমিতে ২ হাজার রঙ্গিন ফুল কপি চাষ করে এলাকায় তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। তার জমিতে হলুদ, বেগুনি ও সবুজ রংয়ের ফুলকপি দেখতে প্রতিদিনই মানুষ আসছেন। তাদের কেউ ফুলকপি কিনছেন, কেউ চাষের বিষয়ে পরামর্শ নিচ্ছেন।

রং বেরংয়ের ফুল কপি চাষ করে অনেক টাকা লাভবান হবেন বলে আশাবাদী কলেজ পড়ুয়া ছাত্র মুস্তাক হোসেন। রঙ্গিন কপি ভ্যালেনটিনা ও ক্যারোটিনা চাষাবাদে লাভবান হওয়ায় আগ্রহী হয়ে উঠছেন এখানকার কৃষকরা। রঙিন ফুলকপি চাষ এটা যশোর অঞ্চলের টেকসই কৃষি সম্পসারন প্রকল্প ও নিরাপদ উচ্চমূল্য সজীব উৎপাদন উপজেলা কৃষি অফিসের প্রদর্শনী বলছেন কৃষি সম্পসারন অফিসার হুমায়ূন কবির।

কোটচাঁদপুর উপজেলার দোড়া ইউনিয়নের শীবনগর গ্রামের মৃত আব্দুস সেলিম হোসেনের ছোট ছেলে মুস্তাক হোসেন তার ২০ শতক জমিতে এই প্রথম আবাদ করেছেন হলুদ, বেগুনী ও সবুজ রংয়ের ফুলকপি। ফলন আসা পর্যন্ত খরচ হয়েছে তার মাত্র ১৫ হাজার টাকা। চারা রোপনের ৮০ দিনের মাথায় বিক্রির উপযোগী হয়ে উঠেছে রঙ্গিন এ ফুলকপি। এ কৃষক এখন পর্যন্ত প্রায় ২৫ হাজার টাকার ফুলকপি বিক্রি করেছেন। যে পরিমান ফুলকপি জমিতে রয়েছে সেগুলো বিক্রি করতে পারবে প্রায় ৭০-৮০ হাজার টাকার মত। সমস্ত খরচ বাদ দিয়ে তার আয় হবে ৬৫ হাজার টাকা। এই কপি চাষে রাসায়নিক সার ও ক্ষতিকর কীটনাশক ব্যবহার না করায় এটা সম্পূর্ণ নিরাপদ। এলাকাতে নতুন ফসল হওয়ায় স্বাভাবিক কারণেই এটার চাহিদা অনেক বেশি। এলাকার মানুষ আগ্রহী হয়ে ভালো দাম দিয়ে খেত থেকেই এই ফুলকপি কিনে নিচ্ছেন। বাজারে নেওয়া মাত্রই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে এসব রঙিন ফুলকপি। একেকটি ফুলকপি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগামীতে এখানকার অনেক কৃষক অন্যান্য সবজির পাশাপাশি বাহারী রংয়ের ফুলকপি চাষ করবেন বলে ইচ্ছা পোষন করছেন। রঙ্গিন ফুল কপির বীজ পাওয়াটা সহজলভ্য হলে আগামীতে এর চাষাবাদা আরো বৃদ্ধি পাবে।

উপজেলা কৃষি সম্পসারন অফিসার হুমায়ূন কবির বলেন, মুস্তাক হোসেন একজন ছাত্র হয়েও তার নিজের জমিতে সব সময় উন্নত জাতের কিছু একটা সবজি চাষ করে থাকেন। গত বছর এ জমিতেই বিভিন্ন সজীব চাষ করে লাভবান হয়েছেন। এ বছরও তিনি প্রথম বারের মত আবাদ করেছেন হলুদ আর বেগুনী ও সবুজ রংয়ের ফুল কপি। ফুল কপির চারা,সার,কীটনাশক সহ বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করেছে কৃষি অফিস। অন্যান্য ফুল কপির তুলনায় এগুলো কালার ফুল হওয়াতে মানুষের কাছে এটা খুব আকর্ষনী এবং বাজারে এর চাহিদাও খুব বেশি। এ ফুলকপি পুষ্টিগুন মানসম্মত হওয়ায় এখানকার কৃষকরা ফুলকপি চাষাবাদে খুবই আগ্রহী হয়ে উঠছে। আমরা আশা করছি আগামী রবি মৌশুমে এর আবাদ আরো বৃদ্ধি পাবে। হলুদ,সবুজ ও বেগুনী রংয়ের এ ফুলকপিতে ভিটামিন আর ফলিগ এসিড থাকার কারণে এন্টি অক্সিজেনেরও কাজ করে শরীরে এবং এটা খুব পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ। যার কারণে এর চাহিদা বেশি। সকল প্রকার চাষিদের সার,বীজ সহ বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে নিয়মিত সহায়তা করছে কৃষি অফিস।