ঝিনাইদহে ফসলি জমির মাটি কেঁটে বিক্রয়ের অপরাধে জরিমানা

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে ফসলি জমির মাটি কেঁটে অবৈধভাবে বিক্রি করার অপরাধে বসির উদ্দীন নামে এক মাটি ব্যবসায়ীকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে উপজেলার সাতব্রীজ বাজার এলাকার মাঠে অভিযান পরিচালনা করে এ জরিমানা আদায় করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

হরিণাকুন্ডু উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিরুপমা রায় এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত ফসলি জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করে বিক্রি করার সত্যতা পান। সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা ২০১০ সংশোধিত আইন ২০২৩ এর ১৫(১) ধারায় মাটি বিক্রেতা বসির উদ্দিনকে ১লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিরুপমা রায় বলেন, অবৈধভাবে ফসলি জমি থেকে মাটি কাঁটা, উত্তোলন ও বিক্রির অপরাধে ১ লাখ টাকা অর্থদন্ড করা হয়েছে। কৃষি জমি রক্ষায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।




আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের বিচারক হবার আমন্ত্রণ পেলেন বাঁধন

জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন ইতোমধ্যেই নিজের অভিনয় দক্ষতায় দেশের গণ্ডি পেরিয়ে জায়গা করে নিয়েছেন বলিউডেও। ভারতের সরকারি প্রতিষ্ঠান কর্ণাটক চলচ্চিত্র একাডেমি আয়োজিত ১৫তম বেঙ্গালুরু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের অফিশিয়াল জুরি হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ পেয়েছেন বাঁধন।

বিচারক হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ পাওয়ার খবরটি জানিয়ে গণমাধ্যমকে বাঁধন বলেন, এ আমন্ত্রণ আমার জন্য অনেক সম্মানের। প্রথমে একটু অবাক হলেও, এখন ভীষণ সম্মানিত বোধ করছি। আমার জন্য নতুন একটি অভিজ্ঞতা।

রেহানা মরিয়ম নূর নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে ঘুরেছি, উৎসবে কাজ নিয়ে ঘোরার মধ্যে একটা আনন্দ আছে। এবার বিচারকের দায়িত্বে যাচ্ছি, রোমাঞ্চ কাজ করছে।

আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবটি আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে চলবে ৭ মার্চ পর্যন্ত। উৎসবটির ১৫টি বিভাগে দেখানো হবে পঞ্চাশটির বেশি দেশের দুই শতাধিক সিনেমা। প্রতিযোগিতা বিভাগে থাকা চলচ্চিত্রগুলো থেকে সেরা কাজ বাছাই করতেই মূলত প্রধান বিচারকের দায়িত্ব পালন করবেন বাঁধন।

বাঁধনের সঙ্গে জুরি হিসেবে আরও থাকবেন রাশিয়ার নিনা কোচলেইভা, স্পেনের রোজানা আলোনসো, যুক্তরাজ্যের ক্যারি শনেই ও ভারতের সীতারাম। উৎসবের এশিয়ান সিনেমা কম্পিটিশন সেকশনে থাকা সিনেমাগুলো দেখে সেরা কাজ বাছাই করবেন বাঁধন ও তার জুরিবোর্ড।

এই বিভাগটি ছাড়াও উৎসবে ভারতীয় ও কান্নাড়া চলচ্চিত্রের জন্যও প্রতিযোগিতা বিভাগ রয়েছে। এই উৎসবে অফিশিয়াল জুরিদের পাশাপাশি চলচ্চিত্র সমালোচকদের আন্তর্জাতিক সংগঠন ফিপ্রেসি ও এশিয়া ভিত্তিক সংগঠন নেটপ্যাক জুরিরাও থাকবেন।

এর আগে গত বছর ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ‘আই এম টুমোরো ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে’ও জুরি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশের গুণী অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন।

সূত্র: ইত্তেফাক




ঝিনাইদহে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে

নামপত্তনসহ বৈধ কাগজপত্র থাকার পরও ফুফুর জমি জবরদখল করে চাষাবাদ করার অভিযোগ উঠেছে স্কুল শিক্ষক জুয়েল রানার বিরুদ্ধে। ফুপাতো বোন উম্মে হাবিবা নামে এক নারী তার মামাতো ভাই স্কুল শিক্ষক জুয়েল রানা পেশী শক্তি খাটিয়ে এই জমি দখল করে চাষাবাদ করছেন বলে অভিযোগে উল্লখ করা হয়।

এ নিয়ে তারা চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক ও আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে ন্যায় বিচারের জন্য অভিযোগ করেছে। জুয়েল রানা আলমডাঙ্গা উপজেলার মাজু গ্রামের গোলাম সোবহানের ছেলে ও স্থানীয় বকশিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।

ঝিনাইদহ শহরের মডার্ণপাড়ার বসবাসরত শহিদুল ইসলামের স্ত্রী লাভলী ইয়াসমিন ও তার খালাতো বোন উম্মে হাবিবা ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, তাদের মা ও খালারা আলমডাঙ্গা উপজেলার মাধবপুর ও মাজু মৌজায় নানির ওয়ারেশ হিসেবে ৮ বিঘা জমি পাবেন। এই জমি দীর্ঘদিন ধরে তাদের মামাতো ভাই স্কুল শিক্ষক জুয়েল রানা জবর দখল করে খাচ্ছেন। ইতিমধ্যে তারা ওই জমি নাম খারিজও করেছেন। এখন জমি দখল করতে গেলে জুয়েল রানা জমির উপর যেতে দিচ্ছে না। অভিযোগকারীসহ তার মা ও খালারা গুরুতর অসুস্থ। জমি বিক্রি ছাড়া তাদের চিকিৎসা করার আর্থিক সঙ্গতি নেই।

উম্মে হাবিবা বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে এসে জানান, বিবাদী মোঃ জুয়েল রানা সরকারী চাকরী করলেও তিনি একজন প্রতারক। জমি দখলের জন্য জুয়েল কিছু জমির জাল দলিলও করেছেন। তার মা মৃত নাজমুন নাহার. খালা মোছাঃ শামছুন নাহার ও মেজো খালা আঞ্জুয়ারা বেগমের আট বিঘা জমি দখল করিতে গেলে বা অন্য কোথাও বিক্রি করতে গেলে বাধা সৃষ্টি করছেন। বিষয়টি স্থানীয় ও প্রশাসনিক ভাবে অনেকবার সমাধানের চেষ্টা করার পরও স্কুল শিক্ষক জুয়েল রানা কারো পাত্তা দিচ্ছেন না। এমনকি আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে শালিসের জন্য ডাকা হলেও তিনি চরম ঔদ্ধত্য দেখিয়েছেন। পরে আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিসার শামছুজ্জোহার ধমক খেয়ে গত ৩০ জানুয়ারি ইউএনওর দপ্তরে হাজির হয়ে ক্ষমা চেয়ে ও বাদীদের সহায়তা করার আশ^াস দিয়ে চলে যান। কিন্তু পরের দিন জুয়েল রানা ওই সব জমি দখল করে ধান লাগিয়ে দেন। বিবাদী জুয়েল রানা অভিযোগকারীদের শাসিয়ে এও বলেন, জমি যদি কেউ দখল করতে বা বিক্রি করতে আসে, তাবে তাকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে।

এ বিষয়ে জুয়েল রানা তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কারো জমি দখল করেনি বরং তাদের সহায়তা করেছি। তারপরও সরকারী বিভিন্ন দপ্তরে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে, কারণ আমি সরকারী চাকরী করি। তিনি বলেন অভিযোগকারীরা মাজু ও মাধবপুর মৌজার ৫১ দাগে ৫৫ শতক জমির নামপত্তন করেছেন। সেই জমি তারা বিক্রি করতে চাইলে বেশি দাম চাচ্ছে। তিনি বলেন, আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিসার শামছুজ্জোহা স্যার আমার চাকরীর অভিভাবক। তিনি যে বিচার করবেন তাই আমি মাথা পেতে নেব।

এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিসার শামছুজ্জোহা জানান, বিষয়টি আমার নলেজে আছে। আমি ওই অসহায় নারীদের জমির নামপত্তনে সহায়তাও করেছি। দেখি কি ভাবে বিষয়টি সমাধান করা যায়।




ঝিনাইদহে উইকেয়ার প্রকল্পের রাস্তায় আবাদি জমির মাটি কেঁটে নেওয়ার অভিযোগ

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে উই কেয়ার প্রকল্পের আওতায় ২৯ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ ও একটি মডেল বাজার নির্মাণের কাজ করছে যশোরের মাইনুদ্দিন বাশি লিমিটেড নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

সম্প্রতি সড়ক ও জনপথ বিভাগের ১৭ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পে প্রতারণায় অভিযুক্ত এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি এবার ঝিনাইদহের কৃষকদের সর্বনাশ করতে মাঠে নেমেছেন। প্রকল্পের ৯২ কোটি টাকার বরাদ্দে প্রতিষ্ঠানের পক্ষে হরিণাকুণ্ডুতে এই কাজ করছে ঝিনাইদহের রেজাউল নামের এক সাব ঠিকাদার। তিনি কাজের শুরুতেই সর্বনাশ করেছেন শত শত কৃষকের।

কৃষকদের বোঝানো হয়েছে সরকারের নির্দেশে তারা আবাদি জমি থেকে মাটি কেঁটে নিচ্ছে। এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সরকারের প্রতি ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবাদি জমি রক্ষায় সকল ধরণের কাজ করছেন। কৃষকদের কথা চিন্তা করে প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিচ্ছেন। কৃষিতে আগ্রহী করতে প্রণোদনা দিচ্ছেন। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা কার কাছে অভিযোগ দেবে সেই জায়গাও খুঁজে পাচ্ছে না।

প্রকল্পে হরিণাকুণ্ডু-সাধুহাটি ১০.৫ কিলোমিটার সড়ক, হরিণাকুণ্ডু জিসি পায়রাডাঙ্গা ৬.৫ কিলোমিটার সড়ক, হরিণাকুণ্ডু-নারায়ণকান্দি ১০ কিলোমিটার সড়ক, ভবানীপুর-ভেড়াখালি ১.৭৫ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ ও ভবানীপুর বাজারে একটি মডেল মার্কেট নির্মাণ করা হবে। মোট ২৯ কিলোমিটার সড়কের ৫.৫ মিটার কার্পেটিং ও ১.৮২ মিটার সোল্ডারিংসহ মোট ৭.৩২ মিটার বা ২৪ ফিট চওড়া হবে। হরিণাকুণ্ডু জিসি পায়রাডাঙ্গা ৬.৫ কিলোমিটার সড়কের সোল্ডারিংয়ের কাজ ইতোমধ্যে শেষ করেছেন ঠিকাদার। এই কাজ করতে এই সড়কের দুপাশ দিয়ে কয়েকশত কৃষকের সর্বনাশ করেছেন তারা।

সরজমিনে যেয়ে দেখা যায়, এই মাঠে কৃষকরা বোরো ধানের আবাদ করেছেন। আবাদি জমি থেকেই মাটি কেটে নিয়ে সোল্ডারিং করেছেন ঠিকাদার। রাস্তার দুপাশ দিয়ে সাড়ে ৪ফিট গভীর খাল খনন হয়েছে এই মাটির চাহিদা মেটাতে। অনেক কৃষক বাধ্য হয়ে জমির অন্য অংশ থেকে মাটি কেটে জমি সমান করে আবারও ধানের চারা রোপন করেছে। অনেকেই বাধ্য হয়ে খনন করা খালে ছেড়েছেন মাছ।

হরিণাকুণ্ডু গ্রামের ওমর আলীর ছেলে তাহাজদ্দির ১৫ কাঠা জমির ৩ কাঠা খালে পরিণত হয়েছে, ফতেহ আলীর ছেলে মতলেবের ১ বিঘা জমির ৪ কাঠা খালে পরিণত, পাশাপাশি আজাহার মন্ডলের ছেলে পটলা, আনিস, রহিম হাজি, শমসের মন্ডলের ছেলে মওলা আলী, একই গ্রামের হাকিম, ভবানীপুর গ্রামের শাহ আলম, হরিণাকুণ্ডু গ্রামের মৃত এবাদত মন্ডলের ছেলে আব্দুল মজিদ, ইশারত মন্ডলের ছেলে হারুন অর রশিদসহ এই সাড়ে ৬ কিলোমিটার সড়কের ধার দিয়ে কৃষকের আবাদি জমি থেকে মাটি কেটে সোল্ডারিং করা হয়েছে। অনেকের জমির টপসয়েল কেটে নেয়ার কারণে বোরো মৌসুমের ধানের আবাদই করতে পারেনি।

হরিণাকুণ্ডু গ্রামের মৃত এবাদত মন্ডলের ছেলে আব্দুল মজিদ বলেন, রাস্তার পাশে আমার ১৩ কাঠা জমি। ধান লাগানোর পরে প্রায় আড়াই কাঠা জমিতে সাড়ে ৪ ফুট গভীর খাল খনন করে রাস্তায় মাটি দিয়েছে। আমার আড়াই কাঠা জমি নষ্ঠ হয়েছে। বাধ্য হয়ে এখন খালে তেলাপিয়া মাছের পোনা ছেড়েছি।

এই গ্রামের ওমর আলীর ছেলে তাহাজদ্দিন বলেন, আমার ১৫ কাঠা জমিতে ধান লাগানো ছিলো। ভেকু মেশিন দিয়ে কাউকে কিছু না বলেই ৩ কাঠার বেশি জমিতে খাল খনন করে রাস্তায় মাটি দিয়েছে। মাটি কাটার খবর পেয়ে এসে জিজ্ঞাসা করলে ভেকু ড্রাইভার বলে সরকারি রাস্তার মাটি লাগবে দিতেই হবে। ইশারত মণ্ডলের ছেলে হারুন অর রশিদ বলেন, আমার প্রায় ৭ কাঠা জমিতে মাটি কেটে বড় গর্ত করে ফেলেছিল। পরে আমি আবার ভেকু ভাড়া করে নিয়ে এসে আমার পার্শ্ববর্তী জমি থেকে মাটি কেটে সমান করে ধানের চারা রোপন করেছি। আমাদের কোন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়ণি।

মাঠে উপস্থিত কৃষকরা জানালেন, এই মাঠে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শিলুর জমি রয়েছে কয়েক দাগ। তার একটি জমি থেকে মাটি কাটলেও সে এসে ঠিকাদারের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ নিয়ে অন্য জায়গা থেকে মাটি কেটে জমি সমান করেছে। সে প্রভাবশালী হওয়াই তার অন্য জমি থেকে মাঠি কাটেইনি। যেকারণে পার্শ্ববর্তীর জমির মালিকরা আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এই বিষয়ে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, সিডিউলে স্থানীয় সোর্স থেকে মাটি কাটার কথা বলা আছে তবে সেটা ঠিকাদরকে সমঝোতা করে নেওয়ার কথা বলা আছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক মাইনুদ্দীন বাশীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। বলা হয় সাব ঠিকাদার রেজাউলের সাথে যোগাযোগ করতে। রেজাউল ইসলামের কাছে কৃষকের আবাদি জমি থেকে মাটি কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইঞ্জিনিয়ারের সাথে কথা বলতে। ইঞ্জিনিয়ার সব জানেন। এই দিকে এই সড়কের পাশে জমি থাকা কয়েক গ্রামের মানুষ ও কৃষক এই ঘটনায় চরম নাখোশ হয়েছে। তারা আবাদি জমির ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। তারা দাবি করেছেন সরজমিন তদন্ত করার।

হরিণাকুণ্ডু উপজেলা প্রকৌশলীর অফিস কাজের বিষয়ে জানান, ২৯ কিলোমিটার সড়কের ১.৮২ মিটার সোল্ডারিংয়ের জন্য অবশ্যই স্টিমেটে একটা বড় অংকের খরচ ধরা হয়েছে। কিন্তু কিন্তু ঠিকাদার যদি কৃষকের আবাদি জমি ক্ষতি করে সেটা দুঃখজনক। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের এক কর্মচারী নাম গোপন রাখার শর্তে বলেন, রাস্তার পাশ থেকেই মাটি কেটে নেওয়াই মাত্র ৪/৫ লাখ টাকার ভেকু ভাড়া দিয়েই সোল্ডারিংয়ের কাজ করা হয়েছে সাড়ে ৬ কিলোমিটার রাস্তায়।

এই বিষয়ে ঝিনাইদহ জেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অদিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মনোয়ার উদ্দিন বলেন, এই প্রকল্প নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ পাচ্ছি। যদি কোন কৃষকের ক্ষতি করে থাকে তাহলে কাজ বন্ধ করে দেবো। আবাদি জমি থেকে মাটি কাটার কোন সুযোগ নেই। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক ও কৃষি বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করে পাশে দাঁড়ানোর দাবি করেছেন। তারা বলেছেন প্রয়োজনে তাদের দাবি নিয়ে মানবন্ধন করবেন।




ঝিনাইদহে বিনামূল্যে মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্টিত

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার আড়মুখী জে.জে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিনামূল্যে মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্টিত হয়েছে। আড়মুখী জে. জে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রদের উদ্যোগে এবং ডাঃ শফিউল আলম সোহাগের সার্বিক সহযোগীতায় এ মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্টিত হয়।

এতে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সমন্বয়ে গাইনী, অর্থোপেডিক, নাক-কান-গলা সহ ৩০ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ১ হাজার ৫’শত রোগীকে বিনামূল্যে এই সেবা প্রদান করেন । বিনামূল্যে সেবা পেয়ে সবাই খুব খুশি ।

আড়মুখী গ্রামের গর্বিত সন্তান মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ শফিউল আলম সোহাগ বলন , চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত এলাকার মানুষের কথা চিন্তা করে আমি প্রতি বছর বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সমন্বয়ে মেডিকেল ক্যাম্প করে থাকি ।

সেসময় উপস্থিত ছিলেন গাজী টেলিভিশন ও দৈনিক সারাবাংলার জেলা প্রতিনিধি ওলিয়ার রহমান, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি শিমুল বিশ্বাস , প্রধান শিক্ষক মমিনুর রহমান সহ এলাকার সুধিজন ।




অ্যাডোব অ্যাক্রোবেটের এআই ফিচার

এডোব বেটা সংস্করণে একাধিক বড় পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। তারা একের পর এক নতুন জেনারেটিভ ফিচার যুক্ত করেই চলেছে। এবার যুক্ত হয়েছে এডোব অ্যাক্রোবেটেও। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিচালিত নতুন ফিচারে দীর্ঘ ডকুমেন্টের সামারি এখন পাওয়া যাবে। এই সামারি ইমেইল, প্রেজেন্টেশন কিংবা রিপোর্টের ক্ষেত্রে নানাভাবে সহায়তা করতে পারে।

প্রতিষ্ঠানটির মতে, গোটা বিশ্বে তিন ট্রিলিয়ন পিডিএফের তথ্যের সারসংক্ষেপ ও প্রতিবেদন এখন সহজে পাওয়া যাবে।

অ্যাডোবের নতুন এই এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট মূলত অ্যাডোব লিকুইড মোডের মতোই। আর এই মডেলের আদলে হওয়ায় নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ফিচার সহজেই ডকুমেন্টের ভেতরকার তথ্য উপস্থাপন করে দিতে পারবে। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জানান, ‘পেশাদার ডকুমেন্ট গড়ার ক্ষেত্রে এখন আরও সুবিধা যুক্ত হচ্ছে। অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে পাঠকের কাছে এর আলাদা আবেদন থাকবে।’

নতুন সংস্করণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সহযোগী তো রয়েছেই সঙ্গে নেভিগেশন বা অ্যাপ পরিচালনাও হচ্ছে সহজতর। অভিজ্ঞতাও হবে সমৃদ্ধ। বিশেষত দীর্ঘ ডকুমেন্টের ক্ষেত্রে শর্ট জেনারেটিভ সামারিও বেশ কার্যকর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অ্যাসিস্ট্যান্ট কোনো কিছু রেফার করলে বা উত্তর দিলে তার প্রামাণিকতা যাচাই করাও সহজ হবে। আর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আউটপুট আরও ফরম্যাট করে দেওয়া হবে।

সূত্র: ইনডিয়ান এক্সপ্রেস




দর্শনা সড়কের ৭৯ টি গাছ কাটার অপরাধে ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

দর্শনা পরানপুর মোড় থেকে লোকনাথপুর পর্যন্ত সড়ক নিমার্ন কাজ চলাকালীন অবস্থায় ৭৯টি গাছ কাটার অপরাধে মকুল শাহসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় মামলা হয়েছে।

সড়কের পাশে জমির কৃষকরা তাদের জমির সামনের গাছ বিভিন্ন প্রজাতির ৭৯টি গাছ কেটে নেয়। এ খবর পেয়ে গত ২০/০২/২০২৪ তারিখ বিকাল ৫টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান, দামুড়হুদা উপজেলা নিবার্হী অফিসার রোকসানা মিতা জেলা পরিষদের নিবার্হী প্রধান মিজানুর রহমান ও সহকারী নিবার্হী ইসরাইল হোসেনসহ বেশ কয়েকজন কর্মকতার্ ঘটনা পরিদর্শন করেন।

এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে পরানপুর গ্রামের হাজী গোলজার মিয়ার ছেলে আনোরুল অজিম (৪৫), বাবর আলীর ছেলে খোকন (৪০,সানোয়ার মন্ডলের ছেলে বাবু (৪২), মাসুদ (৪৫) পিতা অজ্ঞাত, নবাব আলীর ছেলে মহসিন আলী, লোকনাথপুর মৃত ওয়াদুদ শাহের ছেলে গ্রামের মুকুল শাহ (৪৫), ইদ্রিস আলী (৪০) পিতা অজ্ঞাত, লোকনাথপুর গ্রামের সদু মিয়ার ছেলে রমজান আলী (৪০), হাবিবুর রহমানের ছেলে গটু (৪৫)সহ আরো ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে আসামী করে দর্শনা থানায় একটি মামলা হয়েছে।

এ সব জমির মালিকদের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে জমির মালিকরা বলেন, আমাদের জমির সামনে সড়কের পাশে আমাদের নিজেদের লাগানো  এই গাছগুলো। আমাদের গাছ কাটার কোন প্রয়োজন ছিলো না। পরানপুর গ্রামের সার ও কীটনাশক বিক্রেতা বলেন কয়েকদিন আগে সড়ক নিমার্নের সাথে সংশ্লিষ্ট সেলিম উদ্দিন নামে একজন সরকারি পরিচয় দিয়ে বলেন, সড়কের কাজ চলছে আপনাদের যার যার জমির পাশের সড়কের গাছ আছে সেগুলো কেটে নেন। এ কথা শুনার পর আমরা আমাদের জমির সামনের সড়কের পাশের গাছ কেটে নিয়।

এ ছাড়াও কৃষকরা আরো বলেন, আমাদের লাগানো গাছ গুলো কেটে নিয়েছি। আর এঘটনায় এখন আমাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আমাদের কি অপরাধ। বিষয়টি সঠিক তদন্ত করে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যহারের দাবী করছি।

এ বিষয়ে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি বিপ্লব কুমার শাহা বলেন,দর্শনা পরানপুর – লোকনাথপুর সড়কের গাছ কাটার অপরাধে ২১ফেব্রুয়ারি বুধবার ৮ জনের নাম উল্লেক করে অজ্ঞাত ১৫-২০ জনের নামে মামলা হয়েছে যার মামলা নং১৫।




রোনালদোর গোলে কোয়ার্টার ফাইনালে আল নাসর

দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছেন পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। একের পর এক গোল করেই চলছেন তিনি। সেই সঙ্গে একের পর এক জয় পাচ্ছে আল নাসর। এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর ফিরতি লেগের ম্যাচে রোনালদোর গোল জয় পেয়েছে আল নাসর।

বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ঘরের মাঠে আল ফাইহাকে ২-০ গোলে হারিয়েছে আল নাসর। এই জয়ে এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে সৌদি ক্লাবটি।

ম্যাচের শুরু থেকে আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে আল নাসর। ম্যাচের ১৭ মিনিটেই এগিয়ে যায় তারা। ওটাভিওর গোলে এগিয়ে যায় আল নাসর। এরপরও একের পর এক আক্রমণ করে তারা। আর কোনো গোল না হলে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় আল নাসর।

বিরতি থেকে ফিরেও আক্রমণাত্নক ফুটবল খেলতে থাকে আল নাসর। ম্যাচের ৮৬ মিনিটে দ্বিতীয় গোলের দেখা পায় তারা। এবার গোল করে দলের লিড দ্বিগুণ করেন রোনালদো। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা।

সূত্র: ইত্তেফাক




আজ রাজধানী টিভির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

বস্তুনিষ্ঠ খবর পরিবেশনের অঙ্গীকার নিয়ে শুভ উদ্বোধন হতে যাচ্ছে রাজধানী টিভির। এ উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকার শাহবাগস্থ ঢাকা ক্লাবে আয়োজন করা হয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নৈশভোজ।

এছাড়াও বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত বেসরকারি টিভি চ্যানেল (আইপি) রাজধানী টেলিভিশনের প্রতিনিধি সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ডঃ কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।

রাজধানী টেলিভিশনের চেয়ারম্যান এম এ এস ইমন বিশিষ্ট রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষকে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

রাজধানী টেলিভিশন আনিশা গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান। গ্রুপের জনপ্রিয় আরেকটি প্রতিষ্ঠান দৈনিক মেহেরপুর প্রতিদিন। যা ইতোমধ্যে মেহেরপুর সহ আশেপাশের জেলাগুলো ব্যপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।




দর্শনায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

চুয়াডঙ্গার দর্শনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় ও শ্রদ্ধার মধ্যে দিয়ে ২১ শে ফেরু্রয়ারী আন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে।

দর্শনা পৌরসভার আয়োজনে আজ বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১মিনিটে দর্শনা সরকারি কলেজ চত্বরে অবস্থিত শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

প্রথমে পুষ্পস্তবক অর্পণ দিয়ে ভাষা শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন, চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের মাননীয় সাংসদ হাজী মোঃ আলী আজগার টগর, দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলী মুনছুর বাবু, দর্শনা পৌর মেয়র মোঃ আতিয়ার রহমান হাবু।

বিগত বছরের ন্যায় এ বছরও উপজেলার দর্শনা পৌরসভার আয়োজনে সকল এনজিও, রাজনৈতিক দলমত, নাট্য সংগঠন, সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকতার্-কর্মচারী ও স্কুল কলেজের ছাত্র/ছাত্রী দর্শনা কেরু চিনিকলের মাঠে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের ব্যানার নিয়ে একত্রীত্ব হয়।

এসব অংশগ্রহনকারী সংগঠনের মধ্যে ছিলো দর্শনা অনিবার্ণ থিয়েটার, দর্শনা পৌর আওয়ামীলীগ, দর্শনা গণ-উন্নয়ন গ্রন্থাগার, ওয়েভ ফাউন্ডেশন, ঈশ্বরচন্দ্রপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, আল হেরা-ইসলামী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দক্ষিন চাঁাদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দর্শনা ডি এস ফাজিল মাদ্রাসা, দক্ষিন চাঁাদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দর্শনা লিটিল এনজেলাস স্কুল, উদ্দিপন সংস্থা,মৌচাক সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা, দর্শনা সি এন্ডএফ , দর্শনা ফারিয়া, অংকুর আর্দশ বিদ্যালয়, দর্শনা আইডিয়াল স্কুল এ্যান্ড কলেজ, পূর্বরামনগর সরকারী প্রা্থমিক বিদ্যালয়, শ্যামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দর্শনা হিন্দোল সংগীত পরিষদ, পরাণপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দর্শনা বালিকা বিদ্যালয়, দর্শনা পৌরসভা, মেমনগর বিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দর্শনা উদ্ভিদ সংগনিরোধ, দর্শনা শেখ রাসেল স্কুল এ্যান্ড কলেজ, দর্শনা ইলেকট্রনিশিয়ান এ্যাসোসিয়েশন, ও দর্শনা শান্তিনগর সরকারী প্রাথমিক।

এরপর জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগর জাতীয় পতাকা ও পৌর মেয়র আতিয়ার রহমান হাবু কালো পতাকা উত্তোল করেন। দর্শনা সরকারী কলেজের সহকারী অধ্যক্ষ ড. মফিজুর রহমান উপস্থিত ৩৫টি বিভিন্ন সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৮ হাজার মানুষদের শপত বাক্য পাঠ করান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু,কেরু চিনিকলের শ্রমিক নেতা সাবেক সভাপতি তৈয়ব আলী, সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ও শ্রমিক নেতা জয়নাল আবেদীন নফর। এরপর প্রতিটি প্রতিষ্ঠান একে একে নিজ নিজ ব্যানার নিয়ে দর্শনা বাজার মাঠ থেকে দর্শনা সরকারী কলেজ চত্বরে দর্শনা প্রধান শহিদ মিনারে পুস্পমাল্য দান করেন। এছাড়া দর্শনা পৌর আওয়ামীলগী, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ,জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ, বাংলাদেশ কমিউনিষ্ট পার্টি বাংলাদেশ জাসদ একে একে শহীদ বেদিতে পুস্পমাল্য অর্পন করেন। শুধুমাত্র ২১ শে ফেরু্রয়ারী নয়, জতীয় দিবস যেমন ১৬ ডিসেম্বর ও স্বাধীনতা দিবস দর্শনা পৌর সভার আয়োজনে পালিত হয়ে থাকে।

পুস্পমাল্য অর্পন শেষে দর্শনা অর্নিবাণ থিয়েটার ও হিন্দেল সংগীত পরিষদের আয়োজনে সকাল ১০টায় শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা এবং সন্ধায় অনিবার্ণ থিয়েটারের আয়োজনে মুনির চৌধুরীর রচনায় এবং কবিরুল হক লিপুর নিদের্শনায় কবর নাটক পরিবেশিত হয়। এছাড়া দামুড়হুদা উপজেলায় ভিন্ন ভিন্ন স্থানে ২১ শে ফেরু্রয়ারীর বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

কেরু চিনিকলের মাঠে সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর ও মেয়র আতিয়ার রহমান হাবু জাতীয় ও কালো পতাকা উত্তোলন করছেন।অপরদিকে কেরু এ্যান্ড কোম্পানীর আয়োজনে শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।পরে জাতীয় ও কালো পতাকা উত্তোলন করে।পরে কেরু উচ্চ বিদ্যালয়ের আয়োজনে র‍্যালি বের করে।র‍্যালিটি শহরের বিভিন্ন প্রদিক্ষন শেষে কেরু উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে শেষ হয়।প্রথমে পুষ্পস্তবক অর্পণ দিয়ে ভাষা শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন,কেরু এ্যান্ড কোম্পানীর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন,ফ্যাক্টরি ম্যানেজার সুমন কুমার শাহা, জি এম অর্থ আব্দুস ছাত্তার, জি এম কৃষি আশরাফুল আলম ভৃইয়া, মহাব্যাবস্থাপক প্রশাসন এডি এম ইউসুফ আলী,কেরু উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম।