ঝিনাইদহে বিএনপির কালো পতাকা মিছিল ও সমাবেশ

দ্রব্যমুল্যের উর্দ্ধগতির প্রতিবাদ, বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও সংসদ বাতিলের দাবীতে ঝিনাইদহে কালো পতাকা মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিএনপি।

আজ শুক্রবার সকালে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সামনে থেকে জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে মর্ডান মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এতে জেলা বিএনপি, উপজেলা বিএনপিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেয়। পরে মর্ডান মোড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সেসময় জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. এম এ মজিদ, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. কামাল আজাদ পান্নুসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা, বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে সকল মামলা প্রত্যাহার, বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বর্তমান সংসদ বাতিল করার দাবী জানান।




নিয়োগ দেবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স

জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। প্রতিষ্ঠানটিতে এইচআর এবং অ্যাডমিন বিভাগ ম্যানেজার পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম

ম্যানেজার

বিভাগ

এইচআর এবং অ্যাডমিন

পদসংখ্যা

দুইটি

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা

মাস্টার অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এমবিএ)। অভিজ্ঞতা ৬ থেকে ৮ বছর হতে হবে। বয়স ৪০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে হতে হবে। সংশ্লিষ্ট কাজের দক্ষতা থাকতে হবে। শুধু পুরুষ প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

কর্মস্থল

ঢাকা।

বেতন

আলোচনা সাপেক্ষে।

অন্যান্য সুবিধা

প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী।

আবেদনের শেষ তারিখ

০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪।

আবেদন প্রক্রিয়া

আগ্রহী প্রার্থীরা বিডিজবস অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

সূত্র : বিডিজবস।




ঝিনাইদহে শেষ হলো আমেনা খাতুন কলেজের পিঠা উৎসব

‘সবাই মিলে পিঠা খায়, আনন্দ উৎসবে মন রাঙায়’’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আমেনা খাতুন কলেজে দিনব্যাপী বার্ষিক পিঠা উৎসব পালিত হয়েছে।

গতকাল নাচ-গান, পিঠা খাওয়া, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দিনব্যাপী পিঠা উৎসবের। দিনব্যাপী মেলা প্রাঙ্গণ ছিল লোকে লোকারণ্য। বাহারি রঙ্গের শাড়ি পড়ে শিক্ষার্থী ও ক্রেতা-দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে আমেনা খাতুন কলেজ প্রাঙ্গণ। ঐতিহ্য ধরে রাখা আর হারিয়ে যাওয়া দেশীয় সংস্কৃতি পুনরুজ্জীবিত করতে এই উৎসবের আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটি। মেলাই ২২ টি স্টলের মধ্যে ৩টি স্টলকে সেরা নির্বাচিত করা হয়।

কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মহিদুজ্জামানের সার্বিক তত্তাবধানে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কলেজ পরিচালনা পরিষদের সদস্য ও স্থানীয় ঘোড়শাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পারভেজ মাসুদ লিল্টন এই পিঠা মেলার উদ্বোধন করেন। পরে বিকালে পিঠা মেলা উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সেসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমেনা খাতুন কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আবু শাহরিয়ার জাহেদী পিপুল।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আমিনুর রহমান টুকু প্রমুখ। বক্তব্য শেষে মেলাই অংশ গ্রহণ করা বিজয়ীসহ সকলের মাঝে পুরষ্কার প্রদান করেন অতিথিবৃন্দ। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে এলাকার সকল শ্রেণী পেশার মানুষের মাঝে উৎসবের আমেজ দেখা দেয়।




পদ্মসম্মানে ভূষিত হলেন রতন কাহার

ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মশ্রীতে ভূষিত হলেন ‘বড়লোকের বেটি লো’ খ্যাত লোকশিল্পী রতন কাহার। তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বীরভূম জেলার সিউড়ির বাসিন্দা।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) পদ্ম-সম্মানের তিন ক্যাটাগরি পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ ও পদ্মশ্রী খেতাব প্রাপকদের তালিকা প্রকাশ করে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।

‘বড়লোকের বেটি লো, লম্বা লম্বা চুল’ গানটি শোনেন নি—বাংলায় এমন মানুষ পাওয়া যাবে না বললেই চলে। কিন্তু অনেকেই জানেন না—এই গানের নেপথ্যে রয়েছেন কে? মূলত, শিল্পী স্বপ্না চক্রবর্তীর কণ্ঠেই জনপ্রিয় হয় এই গান। পরে ২০২০ সালে জনপ্রিয় র‍্যাপার বাদশা এ গানের কিছু অংশ গাইলে পুনরায় আলোচনায় আসে। তবে এই গানের মূল স্রষ্টা রতন কাহার সবসময়ই প্রচারের আলোর বাইরে ছিলেন। এমন কী, এই গানের হাজার রিমেক বা রিমিক্স হলেও স্রষ্টাকে কেউ মনে রাখেনি। অবশেষে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেলেন রতন কাহার। ভূষিত হলেন ‘পদ্মশ্রী’ সম্মানে।

ভাদু গান গেয়েই পথ চলা শুরু রতন কাহারের। ১৯৭২ সালে তার গান প্রথম রেকর্ড হয় রেডিওতে। জানা যায়, পারিশ্রমিক হিসেবে পেয়েছিলেন ৭৭ টাকা। টুসু, ঝুমুর এবং আলকাব গানে সিদ্ধহস্থ রতন কাহার এ পর্যন্ত ২৫০ গানটি লিখেছেন। প্রায় সব গানই শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছে। তবে তার লেখা অন্যতম জনপ্রিয় গান ‘বড়লোকের বেটি লো’।

‘বড়লোকের বেটি লো’র স্রষ্টা রতন কাহার গানটির নেপথ্যের গল্প বলতে গিয়ে জানান, চাঁদপনা ছোট্ট মেয়েটার লম্বা চুলে লাল ফিতে দিয়ে খোঁপা বাঁধতে বাঁধতে নিজের ট্র্যাজিক জীবনের কাহিনি শোনাচ্ছিলেন এক কুমারী মা (পতিতা)। পিতৃপরিচয়হীন নিজের একরত্তি মেয়েটা সম্পর্কে কথায় কথায় বলেছিলেন, ‘এই যে এত্ত চাঁদ রূপ মেয়ের, হবে না কেনে? ই বড়লোকের বিটি আছে বটেক।’ এই গল্প থেকেই এরপর জন্ম নেয় ‘বড়লোকের বিটি লো’ গানটি। ১৯৭২ সালের সেই তরুণ শিল্পী রতন কাহার এখন অশীতিপর।

‘বড়লোকের বিটি লো’ গানটির প্রচার-প্রসার নিয়ে রতন কাহার আরও বলেন, ‘যতদূর মনে পড়ে বড়লোকের বিটি লো গানটি আমি প্রসার ভারতীতে গেয়েছিলাম। পরে আমি গানটি আনন গোষ্ঠীর রাজকুমার সাহাকে দিয়েছিলাম। তারা সমবেতভাবে গানটি গাইতেন, সেখান থেকেই গানটি ছড়িয়ে পড়ে। পরে স্বপ্না চক্রবর্তী আমার খাতা থেকে গানটি লিখে নিয়ে যান। ১৯৭৬ সালে তিনি গানটি রেকর্ডও করেন। তবে সেখানেও আমার লেখা গান ও সুরের কথা স্বীকার করা হয়নি। কোনও কৃতিত্ব দেওয়া হয়নি।’

এ নিয়ে রতন কাহার অভিমানের সুরে বলেন, ‘অনেকেই আমার লেখা ও সুর করা গান নিয়ে নিজের নামে লিখেছেন। আমি গরিব, অসহায়। লোকে বেইমানি করলে আমি কী করবো! আমরা মাটির গান লিখি, তবে অনেকেই আমাদের সম্মান দেন না।’

পদ্মসম্মান পাওয়ার খবরে খানিকটা আবেগতাড়িত শিল্পী। গণমাধ্যমকর্মীরা অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার খুব ভালো লাগছে। সবাই আমায় এত ফোন করছে, খুব ভালো লাগছে। এর মতো ভালো আর কী হতে পারে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার কিছু না দিলেও, ভারত সরকার আমায় এভাবে সম্মানিত করেছে—এর জন্য আমি খুবই গর্বিত। আমার জীবন ধন্য।’

সূত্র: ইত্তেফাক




কোটচাঁদপুরে ২০ পিচ ইয়াবাসহ লক্ষ্মণ দেবনাথ আটক

কোটচাঁদপুরে ২০ পিচ ইয়াবাসহ লক্ষ্মণ দেবনাথ (৩১)কে আটক করেছেন কোটচাঁদপুর থানা পুলিশ। আজ শুক্রবার স্থানীয় মেইনবাসস্ট্যান্ড থেকে তাঁকে আটক করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজিবুল হক।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদ পেয়ে কোটচাঁদপুর থানার পুলিশ স্থানীয় মেইনবাসস্ট্যান্ডে অভিযান চালান। আটক করেন লক্ষ্মণ দেবনাথকে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ২০ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করেন পুলিশ। এ ব্যাপারে তাঁর বিরুদ্ধে কোটচাঁদপুর থানায় মাদক আইনে মামলা হয়েছে। লক্ষণ দেবনাথ কালিগঞ্জের বলরামপুর গ্রামের রহিত দেবনাথের ছেলে।

এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজিবুল হক বলেন, কোটচাঁদপুর মেইন বাসস্ট্যান্ডে থেকে লক্ষন দেবনাথকে আটক করা হয়। এ সময় তাঁর জ্যাকেটের পকেট থেকে ২০ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। লক্ষণের নামে কোটচাঁদপুর থানায় মাদক আইনে মামলা হয়েছে।




আরিফুলের সেঞ্চুরিতে যুক্তরাষ্ট্রকে ২৯২ রানের টার্গেট

আশিকুর রহমান শিবলি, আদিল সিদ্দিরা ভালো শুরু এনে দিতে না পারলেও মাঝের সময়টায় দাপট দেখিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। সুপার সিক্সে যাওয়ার লড়াইয়ে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন আরিফুল ইসলাম। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন চৌধুরি মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং আহরার আমিন। শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ২৯১ রানের পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ।

আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে নিজেদের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ মুখোমুখি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। ব্লুমফন্টেইনে আগে ব্যাট করতে নেমে ২৯১ রানের পাহাড়সম পুঁজি জড়ো করেছে মাহফুজুর রহমান রাব্বির নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। গত বিশ্বকাপে জোড়া সেঞ্চুরি হাঁকানো আরিফুল পেলেন এবারের আসরে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা তেমন ভালো ছিল না। ধীর গতির রান আর আদিল বিন সিদ্দিকের বিদায়ে পাওয়ারপ্লে পার করে টাইগাররা। আশিকুর রহমান শিবলি ২৭ ও চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ৩৫ রান করে বিদায় নিলে শঙ্কার মেঘ আরও ঘনীভূত হয়।

৪ নম্বরে নামা আরিফুল ইসলাম অবশ্য দলকে পথ হারাতে দেননি। দৃঢ় মানসিকতা দেখিয়ে পূর্ণ করেন সেঞ্চুরি। বিদায় নেওয়ার আগে ১০৩ বলে করেন ১০৩ রান, হাঁকান ৯টি চার। চতুর্থ উইকেটে আহরার আমিনকে নিয়ে গড়া তার ১২২ রানের জুটিতে শক্ত অবস্থানে পৌঁছে বাংলাদেশ।

আহরার ৪৯ বলে ৪৪ রান করে ফেরেন সাজঘরে। ফর্মের তুঙ্গে থাকা শিহাব জেমস ১৭ বলে ৩১ রানের ক্যামিও খেলে দলকে নিয়ে যান বড় সংগ্রহের দিকে। শেষদিকে সেখ পারভেজ জীবন ৭ বলে ১৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৯১ রান দাঁড়ায় বাংলাদেশের সংগ্রহ। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে আরিয়া গার্গ তিনটি ও আরিন নাদকার্নি দুটি উইকেট শিকার করেন।

সূত্র: ইত্তেফাক




কোটচাঁদপুর পল্লীতে পানের ক্ষেতে থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার সময় বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন গৃহবধূ সালমা খাতুন (২৭) আর শুক্রবার সকালে কোটচাঁদপুরে পল্লীর বাড়ির পাশের পানের ক্ষেতে খোঁজ মিললো গৃহ বধূর মৃত দেহ। খবর পেয়ে শুক্রবার দুপুরে কোটচাঁদপুর থানা পুলিশ গৃহবধুর মৃত দেহ উদ্ধার করেছেন।

জানা যায়,গেল ২০ বছর আগে তরিকুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে হয় আমার বোন সালমা খাতুনের। দুই ছেলে মেয়ের জনক তারা। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ৭ টা বাজে। এ সময় আমার বোন সালমার মেয়ে মোবাইল করে বলেন, তোমাদের বোন কার সঙ্গে চলে গেছে। সে সময় থেকে আমরা চিন্তিত ছিলাম। রাতে ভাল করে ঘুমও হয়নি আমাদের। শুক্রবার সকালে জানতে পারি সালমার মৃত্যুর খবর।

কমলা অভিযোগ তুলে বলেন,আমার বোনাই তরিকুল ইসলাম তাকে মেরে ফেলেছেন। বিয়ের পর থেকে বোনাই বোনকে অত্যাচার করেন। কয়েক দিন আগে ও বোন কে মারার জন্য সারা পাড়া দৌড় করিয়েছেন। আমরা তাঁর বিচার চায়। সালমা খাতুন ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডের খলসি গ্রামের মৃত হায়দার আলীর মেয়ে।

স্বামী তরিকুল ইসলাম বলেন,বিকেলে ছেলেকে নিয়ে বাজারে গিয়ে ছিলাম। এরপর রাত ৮ টার দিকে বাজার থেকে বাড়ি এসে জানতে পারলাম সে বাড়ি নাই। সে সময় আশে পাশে খোজ করি। কিন্তু না পেয়ে বাসায় ফিরে আসি।

তিনি বলেন,আমার সন্দেহ ছিল সালমা কারোর সঙ্গে চলে গেছে। কারন আমি জানতাম সে বারবাজারের একজনের সঙ্গে কথা বলেন। সে মোতাবেক শুক্রবার সকাল তাকে খোঁজ করতে বের হই বাড়ি থেকে । পরে বেলা ১১ টার সময় মোবালের মাধ্যমে জানতে পারি তাঁর মৃত্যুর সংবাদ।

বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর সার্কেলের (অতিরিক্ত) পুলিশ সুপার মুন্না মিয়া বলেন,দেখে তেমন কিছু বোঝা যাচ্ছে না। আসলে এটা কি হত্যা না আত্মহত্যা। তবে কিসে যেন তাঁর নাক ও কান খেয়ে গেছে। তদন্ত শুরু হয়েছে, তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে। পুলিশ তাঁর মৃত দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে জন্য কোটচাঁদপুর থানায় নিয়ে এসেছেন।

এ দিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী তরিকুল ইসলাম কে থানায় আনা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কোটচাঁদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) সৈয়দ আল- মামন।




চুয়াডাঙ্গায় ইউএনও’র নিরাপত্তা কর্মী আনসার সদস্যের মরদেহ উদ্ধার

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ইউএনও অফিস ও সদর উপজেলার আনসার ব্যারাকের শৌচাগার থেকে জামাল উদ্দিন(৫৫) নামে অচেতন অবস্থায় এক আনসার সদস্যকে উদ্ধার করে হয়। উদ্ধার পরবর্তীতে রাত সাতটার দিকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

জামাল উদ্দিন কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের ঠাকুরবাড়িয়া গ্রামের গঞ্জের আলীর ছেলে। তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমা-তুজ-জোহরার নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিলেন।

উদ্ধারকারী আনসার সদস্য সাইদুর রহমান বলেন, জামাল উদ্দিনসহ আমরা কয়েকজন সদস্য ডিউটিতে ছিলাম। এর মধ্যে যে কোনো এক সময় জামাল উদ্দিন আনসার ব্যাকারের শৌচাগারে যান। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলে আমরা খোঁজাখুঁজি করতে থাকি। পরে আনসার ব্যারাকের শৌচাগার মধ্যে জামাল উদ্দিনকে পড়ে থাকতে দেখি। দ্রুত জামাল উদ্দিনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আফরিনা ইসলাম বলেন পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর জামাল উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তিনি স্ট্রোক করেছিলেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলি বলেন, সদর উপজেলার আনসার ব্যাকারের শৌচাগার থেকে এক আনসার সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে তিনি স্ট্রোক করেছেন। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।




চুয়াডাঙ্গায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান, প্রায় ৯ লাখ টাকা জরিমানা

চুয়াডাঙ্গায় পাঁচটি ইটভাটায় অভিযান চালিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনার অভিযোগে এসব ভাটাকে ৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গার সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত এই অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় পরিবেশ অধিদপ্তরের কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ের সিনিয়র কেমিস্ট মোঃ হাবিবুল বাসার, সহকারী বায়োকেমিস্ট (প্রসিকিউটর) নরেশ চন্দ্র বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান চলাকালে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গহেরপুর মাঠ এলাকার সুপার ব্রিকস মালিক আফতাব হোসেনকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, একই এলাকার জেবিএম ব্রিকসের মালিক মুকুল হোসেনকে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা, আলমডাঙ্গা উপজেলার কুমারী ইউনিয়নের বন্ডবিল এলাকার এমএসবি ব্রিকসের মালিক আনিছ খনিকে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা, জামজামি ইউনিয়নের ঘোষবিলা গ্রামের (ভিভিবি) ব্রিকসের মালিক ছাবদুল হোসেনকে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা ও জে ব্রিকসের মালিক শহিদুল ইসলামকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং তাৎক্ষণিক জরিমানার টাকা আদায় করা হয়।

পরিবেশ অধিদপ্তরের কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ের সিনিয়র কেমিস্ট মোঃ হাবিবুল বাসার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা এসব ইটভাটায় ইট পোড়ানো হচ্ছিল। এসব ইটভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নাই এবং জেলা প্রশাসনের কোনো অনুমতি নেই। এ সুযোগে অবৈধভাবে বনজ কাঠ পুড়িয়ে পরিবেশ নষ্ট করছে।  আর এই অভিযান অব্যাহত থাকবে জানান তিনি।




চুয়াডাঙ্গার গড়াইটুপিতে এসএসসি পরিক্ষার্থীর আত্ন*হত্যা

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গড়াইটুপি ইউনিয়নের তেঘরি গ্রামে মা বাবার উপর অভিমান করে সুজয় বিশ্বাস (১৬) ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

সে খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী। সুজয় বিশ্বাস দর্শনা থানার গড়াইটুপি ইউনিয়নের তেঘরি গ্রামের কার্তিক মাঝির ছেলে।

জানা যায়,গতকাল বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রাত ১০ টার দিকে মা বাবা পড়াশুনার জন্য গালিগালাজ করলে সবার অজান্তে নিজ শয়ন কক্ষে সুতার রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যা করে।

আজ বৃহস্পতিবার ভোরে বাড়ির লোকজন টের পেয়ে ডাকাডাকি করলে কোন শব্দ না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে দেখে আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দিয়েছে। বাড়ির লোকজন চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে সুজয় বিশ্বাসের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় দর্শনা থানার ওসি তদন্ত নিরব হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,মা বাবার কোন অভিযোগ না থাকায় ময়না তদন্ত ছাড়ায় মা বাবার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।