রক্তস্বল্পতার সমাধান যেসব খাবারে

প্রতিদিনের খাবারে আয়রন, ভিটামিন বি১২, ফলিক অ্যাসিডের মতো গুরুত্বপূর্ণ কিছু পুষ্টি উপাদানের অভাবে রক্তস্বল্পতার সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া দীর্ঘমেয়াদি কিছু রোগের কারণেও রক্তস্বল্পতার সমস্যা হতে পারে।

আমাদের দেশে শিশু ও নারীদের মধ্যে আয়রনজনিত রক্তস্বল্পতা বেশি দেখা যায়। যাদের শরীরে রক্তস্বল্পতা রয়েছে তাদের খাবারের তালিকা দিকে নজর দিতে হবে। ভালো পুষ্টিকর খাবার রক্তস্বল্পতাকে দ্রুত সমাধান করতে সাহায্য করতে পারে।

এমন কিছু খাবার খেতে চেষ্টা করুন যেগুলো খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বেড়ে যায়। চলুন জেনে নেই শরীরে রক্তস্বল্পতা দূর করতে কোন খাবারগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

খেজুর
স্বাস্থ্যের জন্য অন্যতম উপকারি খাবার খেজুর। এতে রয়েছে ভরপুর আয়রন। তাই রক্তস্বল্পতার সমস্যা দ্রুত সমাধান করতে খাদ্যতালিকায় খেজুর রাখতে চেষ্টা করুন।

শাক সবজি
পাতাযুক্ত সবুজ শাক ননহেম আয়রনের সেরা উত্সগুলোর মধ্যে একটি। কিছু পাতাযুক্ত সবুজ শাক যেমন সুইস চার্ড এবং কলার্ড সবুজে ফোলেট থাকে। যেসব খাবারে ফোলেট কম, সেগুলো খেলে ফোলেটের অভাবে দেহে রক্তস্বল্পতা দেখা দিতে পারে। সাইট্রাস ফল, মটরশুঁটি ও পুরো শস্য ফোলেটের ভালো উত্স। তাই এসব খাবার শরীরের রক্তস্বল্পতা দূর করে। এছাড়া, বিট হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। টমেটো, কুমড়া, ব্রকোলি বা পালং শাকেও প্রচুর আয়রন থেকে। নিয়ম করে যদি এই সবজিগুলো খেতে পারেন, তা হলে রক্তস্বল্পতার সমস্যা কমতে পারে।

কলিজা
অনেকে লাল মাংস খেতে পারেন না বা খান না। তাদের জন্য অন্যতম উপকারী খাবার হতে পারে কলিজা। কলিজায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও ভিটামিন বি আছে। পাশাপাশি কলিজায় আছে ফোলেট। তাই রক্তস্বল্পতা দূর করতে নিয়মিত কলিজা খেতে পারেন। রক্তস্বল্পতা রোগের প্রধান কারণ দেহে আয়রনের ঘাটতি। তাই যারা রক্তশূন্যতায় ভুগছেন তাদের নিয়মিত খাবার তালিকায় সম্ভব হলে কলিজা রাখা উচিত। তবে খাসি বা গরুর কলিজায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন।

বাদাম ও বীজ
কুমড়ো বীজ, কাজু বাদাম, পেস্তা, শণ বীজ, পাইন বাদাম, সূর্যমুখী বীজ ইত্যাদি রক্তস্বল্পতা দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। বর্তমানে অনলাইনে কাঁচা কুমড়ার বীজ, কাঁচা কাজু এবং কাঁচা পাইন বাদাম পাওয়া যায়। যদিও কাঁচা এবং ভাজা বাদামে একই পরিমাণে আয়রন থাকে। তাই শরীরের রক্তস্বল্পতা দূর করতে বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবার খান।

সূত্র: ইত্তেফাক




ঝিনাইদহে কিশোরীদের স্বাস্থ্য সচেতনতামুলক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে স্কুল পড়ুয়া কিশোরীদের সচেতনতামুলক প্রশিক্ষণ প্রদাণ, স্বাস্থ্য সহায়ক উপকরণ বিতরণ ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল সকালে উপজেলার শেরখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড’র পল্লী কর্মসংস্থান সহায়তা প্রকল্প দ্বিতীয় পর্যায়।

কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উছেন মে’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলাম। এছাড়াও সহকারি পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, সহকারি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ইরেসপো ) আল-আমিন হোসেন, ইরেসপো’র মাঠ সংগঠক রোকসানা ইসলামসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে কিশোরীদের সঞ্চয়ে উৎসাহিতকরণ এবং সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এছাড়াও তাদের সংগঠিত করে বাল্য বিবাহ, নারী নির্যাতন, যৌতুক বিরোধী, নেতৃত্ব বিকাশ ও ইভটিজিং প্রতিরোধসহ কিশোরীদের বয়ঃসন্ধি সম্পর্কে সচেতনতা শেষে কিশোরীদের স্বাস্থ্য সহায়ক নানা উপকরণ বিতরণ করা হয়।




জেলে থাকা প্রেমিক জ্যাকলিনকে হুমকি দিচ্ছেন

বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। তার প্রেমিক সুকেশ চন্দ্রশেখর বর্তমানে জালিয়াতির মামলার জেরে তিহার জেলে আছেন। সেখান থেকে জ্যাকলিনকে হুমকি দিচ্ছেন সুকেশ। সম্প্রতি পুলিশ কমিশনারের কাছে সুকেশের বিরুদ্ধে এমন একটি অভিযোগ করেছেন জ্যাকলিন।

হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুকেশ চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে জেলের ভিতর থেকে তাকে হেনস্থা ও হুমকি দেয়ার অভিযোগ দায়ের করেছেন জ্যাকলিন। দিল্লির পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় অরোরার কাছে মামলা দায়ের করেছেন তিনি। স্পেশাল কমিশনার অফ পুলিশ (ক্রাইম ব্রাঞ্চ)-কেও চিঠি পাঠিয়েছেন জ্যাকলিন।

পুলিশ কমিশনারকে লেখা চিঠিতে জ্যাকলিন বলেন, ‘আমি দায়িত্বশীল নাগরিক, অজান্তেই এমন একটি মামলায় জড়িয়ে পড়েছি। তবে যার আইনের শাসন ও আমাদের বিচার ব্যবস্থার পবিত্রতার ওপর আমার সুদূরপ্রসারী বিশ্বাস রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্পেশাল সেল কর্তৃক নিবন্ধিত একটি মামলার প্রসিকিউশনের সাক্ষী হিসেবে তাকে চাপ দেয়া হচ্ছে এবং ভয় দেখানো হচ্ছে। সুকেশ তাকে প্রকাশ্যে ভয় দেখিয়ে হুমকি দিচ্ছেন।’

গত বছর ডিসেম্বর মাসে সুকেশকে চিঠি, মেসেজ বা বিবৃতি পাঠানো থেকে বিরত রাখার জন্য দিল্লি আদালতে গিয়েছিলেন জ্যাকলিন। সুকেশের সঙ্গে যুক্ত ২০০ কোটি টাকার আর্থিক মামলায় অর্থনৈতিক অপরাধ শাখা (ইওডব্লিউ) যে এফআইআরের তদন্ত করছে, তার সাক্ষী জ্যাকলিন।

এর আগে সুকেশের সঙ্গে তাকে জড়িয়ে জারি হওয়া এফআইআরটি বাতিলের দাবি জানাতে আদালতে গিয়েছিলেন জ্যাকলিন। অভিনেত্রীর আইনজীবী ইডির হলফনামার জবাব দেয়ার জন্য সময় চেয়েছেন।

সূত্র: ইত্তেফাক




ঝিনাইদহে দিনব্যাপী পিঠা উৎসব

বর্তমান প্রজন্মকে গ্রামবাংলার মানুষের চিরায়ত ঐতিহ্য নানা স্বাদের পিঠার পরিচয় করিয়ে দিতে ঝিনাইদহে হয়ে গেল জমজমাট পিঠা উৎসব।

বসন্ত বরণ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে শহরের মনিংবেল চিলড্রেন একাডেমী চত্বরে এ পিঠা মেলার আয়োজন করা হয়।

দিনব্যাপী এ পিঠা উৎসবে বাহারি নামের স্টলে দুধপুলি, জামাইপিঠা, ভাপা, পাকান, সেমাই পিঠা, পাটিসাপটাসহ হরেক রকমের বাহারি ও রসালো পিঠার প্রর্দশণ করে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। শহুরে জীবনের ব্যস্ততা কাটিয়ে অনেককে পিঠা উৎসবে এসে স্টল ঘুরে ঘুরে পিঠা খেতে দেখা গেছে।

এ উপলক্ষে আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সেখানে বাসন্তিসহ নানান সাজে সেজে শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষ অংশ নেয়। সৃষ্টি হয় উৎসবের আমেজ।

অনুষ্ঠানের আয়োজক মর্নিংবেল চিলড্রেন একাডেমীর পরিচালক শাহীনুর আলম লিটন বলেন, গ্রাম বাংলা ঐতিহ্যবাহী আয়োজনগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। এই প্রজন্মকে তাদের শেকড়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য এই আয়োজন। বাচ্চারা যেন এখন থেকেই পিঠা পরিচিত হতে পারে, বানাতে পারে ও চিনতে পারে। ছোট্টবেলার গ্রামে পিঠা উৎসব হতো এটা যেন হারিয়ে না যায়, এই প্রত্যাশা রেখে এই উৎসব। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত করার সুযোগ পাচ্ছে।




ঝিনাইদহে মানবজমিন প্রত্রিকার ২৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

ঝিনাইদহে দৈনিক মানবজমিন প্রত্রিকার ২৬বছর পেরিয়ে ২৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে র‌্যালি আলোচনা সভা ও কেক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রয়ারী) দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও কেক কাটা হয়। এর আগে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।

প্রেসক্লাবের সভাপতি এম রায়হানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল, এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহীন উদ্দিন, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বিমল শাহা, আমিনুল ইসলাম টুকু, সাইফুল মাবুদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিজাম জোর্য়ারদার বাবলু প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান টিপু। বক্তব্যের শুরুতে স্বাগত শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন মানবজমিনের জেলা প্রতিনিধি আমিনুল ইসলাম লিটন। আলোচনা শেষে কেক কাটার মধ্যদিয়ে অনুষ্টানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।




ফোনের চার্জিং পরিষ্কারে নিয়ম

দিনের বেশিরভাগ সময় কাটে আমাদের মোবাইলফোন ব্যবহার করে। কর্মক্ষেত্রে হোক বা অবসর কাটাতে, ফোনই এখন অনেকের সঙ্গী। তবে ফোন ব্যবহার করার পাশাপাশি এটি পরিষ্কার রাখাটাও জরুরি। দীর্ঘদিন ধরে পরিষ্কার না করলে ফোনের নানা জায়গায় ময়লা জমতে থাকে। যেমন- চার্জিং পোর্টেও ময়লা জমে।

আর এই অংশে ময়লা জমলে চার্জ করার সময় সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে ফোনের এই অংশ পরিষ্কারের সঠিক নিয়ম অনেকেরই জানা নেই। অথচ এক্ষেত্রে সামান্য ভুল হলেই বড় ক্ষতি হতে পারে ফোনের। কীভাবে ফোন নিরাপদ রেখে দ্রুত এই ময়লা পরিষ্কার করবেন জেনে নিন:

.প্রথমেই ফোনটি বন্ধ করে নিন। এতে ফোনের ভেতর ইলেকট্রিক পরিবহন বন্ধ হয়ে যাবে। কোনো কারণে কিছু সমস্যা হলেও ফোনের ততটা ক্ষতি হবে না।
.এরপর ব্লোয়ার ব্যবহার করতে হবে। এটি দিয়ে খুব সতর্কভাবে চার্জিং পোর্টের ভেতর বায়ু ব্লো করতে হবে। এতে জমে থাকা ধুলোবালি ও ময়লা পরিষ্কার হয়ে যাবে অনেকটাই।
.এবার একটি কটনবার দিয়ে খুব ধীরে ধীরে চার্জিং পোর্টের ভেতরের ময়লা পরিষ্কার করে নিন।
.অনেকেই পরামর্শ দেন ফোনের চার্জিং পোর্ট পরিষ্কার করতে আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল ব্যবহার করা উচিত। এতে আরও ভালো পরিষ্কার হয়। কটন সোয়াবের মাথায় এটি কয়েক ফোঁটা নিয়ে নিতে পারেন।
.আবার ব্লোয়ার দিয়ে চার্জিং পোর্টের ভিতর বায়ু ব্লো করে শুকনো কটনবার দিয়ে আরও একবার ভিতরে পরিষ্কার করতে হবে।
.এরপর ফোন সুইচ অন করে নিন। করে চার্জিং পোর্ট কাজ করছে কি না দেখে নিতে হবে।
এক্ষেত্রে কিছু ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে

.মুখ দিয়ে অনেকে ফুঁ দিয়ে পরিষ্কার করলে ফুঁ এর সঙ্গে লালাও চলে যায় অনেকসময়। তাতে কিন্তু ফোনের ক্ষতি হতে পারে।
.ভেজা কিছু ব্যবহার করা যাবে না। এতে ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
.ধাতব জিনিস দিয়ে পরিষ্কার না করাই ভালো। কারণ এতে ইলেকট্রিক ব্যবস্থা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

সূত্র: এবিপি লাইভ




নিয়োগ পরীক্ষার সময়সূচির আংশিক পরিবর্তন

মেহেরপুরসহ ক‌য়েক‌টি জেলার পু‌লিশ কন‌ষ্টেবল রিক্রুট (টিআরসি) পরীক্ষার সময়সূচী আং‌শিক প‌রিবর্তন করা হয়েছে। সংশোধিত সময়সূচি অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ লাইনস মাঠে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,সংশোধিত সময়সূচি অনুযায়ী ঢাকা,রাজবাড়ী,ফেনী,লক্ষ্মীপুর, চুয়াডাঙ্গা,বগুড়া দিনাজপুর, সিলেট, কালকাঠি,পটুয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ,মুন্সিগঞ্জ,কক্সবাজার,মেহেরপুর, নাটোর, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, শেরপুর, ভোলা, বরগুন,ময়মনসিংহ,গাজীপুর,শরীয়তপুর জেলায় তিন পরীক্ষার সময়সূচিতেই পরিবর্তন আনা হয়েছে।

সংশোধিত সময়সূচি অনুযায়ী এসব জেলায় শারীরিক মাপ, কাগজপত্র যাছাই ও ফিজিক্যাল এনডিউরেন্স টেস্ট হবে ২০-২৩ ফ্রেব্রুয়ারি সকাল ৮টায়। লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১৬ মার্চ সকাল ১০টায়। মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষা হবে ২৩ মার্চ সকাল ১০টায়।

পূর্বঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী এসব জেলায় শারীরিক মাপ ও ফিজিক্যাল এনডিউরেন্স টেস্ট হওয়ার কথা ছিল ২২-২৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টায়।




এমবাপ্পের অনন্য কীর্তিতে জিতল পিএসজি

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় অপ্রত্যাশিত হার দেখেছে বায়ার্ন মিউনিখ। প্রথম লেগে লাৎসিওর কাছে ১-০ গোলে হেরে পিছিয়ে পড়েছে তারা।

পুরো ম্যাচ জুড়েই জার্মান জায়ান্টদের এমন অবস্থা ছিল, যা নিকট অতীতে দেখা যায়নি। এক পর্যায়ে তো ১০ জনের দল নিয়ে তাদের খেলতে হয়েছে।

৬৯ মিনিটে লাৎসিওর গোলটি আসে পেনাল্টির কল্যাণে। ৬৭ মিনিটে বায়ার্নের ডিফেন্ডার দায়োত উপামেকানো গুস্তাভ ইসাকেনের ওপর বাজে চ্যালেঞ্জ করলে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন ফরাসি তারকা। তাতে স্পট কিক থেকে জাল কাঁপাতে কোনো ভুল হয়নি সিরো ইম্মোবিলের।

পুরো ম্যাচেই নখতদন্তহীন ছিল বায়ার্ন। তারা এতই কোণঠাসা ছিল যে, ২০১৯ সালের পর এই প্রথম কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে লক্ষ্যে রাখতে পারেনি কোনো শট। অথচ এই ম্যাচের স্পষ্ট ফেভারিট ছিল বায়ার্ন। বুন্দেসলিগায় লেভারকুসেনের কাছে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার পর ভাবা হচ্ছিল এই ম্যাচে তারা ঘুরে দাঁড়াবে। কিন্তু টানা দ্বিতীয় হারে চাপটা আরও বেড়ে গেছে। দুই ম্যাচেই তারা গোল করতে পারেনি।

বায়ার্নের ব্যর্থতার দিনে অবশ্য কোয়ার্টার ফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছে প্যারিস সেন্ত জার্মেই (পিএসজি)। শেষ ষোলোর প্রথম লেগে তারা রিয়াল সোসিয়েদাদকে ২-০ গোলে হারিয়েছে। যদিও স্কোর লাইন দেখে বোঝার উপায় নেই যে, জয়টা ছিল কষ্টার্জিত।

পার্ক দ্যু প্রিন্সেসে অপরাজিত থেকে মাঠে নেমেছিল সোসিয়েদাদ। ডি গ্রুপের শীর্ষ দল ছিল তারা। ৫৮ মিনিটে এমবাপ্পের প্রথম গোলের আগ পর্যন্ত তারাই ছিল সেরা দল। তার পর তো ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় স্বাগতিক দল।

মার্কুইনহোসের কর্ণার থেকে প্রথম গোলের পর অনন্য কীর্তিও গড়েছেন এমবাপ্পে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ঘরের মাঠে টানা দশ গোল করা প্রথম খেলোয়াড় তিনি। তার পর ৭০ মিনিটে স্কোর হয় ২-০। ব্যবধান বাড়িয়ে নেন বার্কোলা

সূত্র: যুগান্তর




আজ দর্শনা থেকে ভারতের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে মেদিনীপুরের বিশেষ ট্রেন

আজ বৃহস্পতিবার রাত ১ টায় পৌছাবে রাজবাড়ী থেকে ছেড়ে আসা মেদিনীপুর বিশেষ ট্রেনটি।সকাল সাড়ে ৮ টায় দর্শনা ইমিগ্রেশনে কাগজপত্র চেকিং করে সকাল ৯ টায় ছেড়ে যাবে এ বিশেষ ট্রেনটি। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ মেদিনীপুরের জোড়া মসজিদে বার্ষিক ওরশ শরীফ উপলক্ষে এবারও রাজবাড়ী থেকে দেশটিতে যাচ্ছে বিশেষ ট্রেন। ১২৩ তম এ ওরশ শরীফে বাংলাদেশ থেকে যাচ্ছেন দুই হাজার ২৫১ জন ভক্ত। এদের মধ্যে ১৩১৮ জন পুরুষ ৯৩৩ জন মহিলা ওরশ শরীফে যাবে বলে জানা গেছে।

ভারত থেকে আসা ২৪ বগির বিশেষ একটি ট্রেন যাত্রীদের নিয়ে বুধবার রাত ১০টায় মেদিনীপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে বলে জানান রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার তন্ময় কুমার দত্ত।রাজবাড়ী আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়ার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ কাদেরী বলেন, ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে মেদিনীপুর জোড়া মসজিদে হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রা.) এর বংশধর হযরত আল বাগদাদী আল মেদিনীপুরী (আ.) মশহুর নাম ‘মওলাপাক’ এর পবিত্র ওরশ অনুষ্ঠিত হবে।

শত বছরেরও বেশি সময় ধরে এই ওরশ উৎসবকে নিয়ে আন্তর্জাতিক বিশেষ এই ট্রেনটি দুটি দেশের সেতুবন্ধন এবং সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আসছে। বাংলাদেশ ও ভারত সরকার যৌথভাবে ১৯০২ সাল থেকে এই ওরশকে ঘিরে এ ট্রেনটি চলাচলের ব্যবস্থা করে আসছে।

তিনি বলেন, বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানীর বংশধরদের নৈকট্য লাভ, তাদের এক নজর দেখতে ও পূণ্য লাভের আশায় প্রতিবছর এই দিনে মেদিনীপুরে যান ভক্তরা। ওই ওরশের সঙ্গে মিল রেখে একইদিন রাজবাড়ীর বড় মসজিদ খানকা শরীফে নানা আনুষ্ঠানিকতা হয়। পীরের ভক্তরা এতে যোগ দেন।

ওরশে যোগদানের জন্য ভারত সরকারের সুপারিশ ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ভারতীয় দূতাবাস বিশেষভাবে ভিসা দিয়ে থাকেন বলে জানান আজিজ কাদেরী।

স্টেশন মাস্টার তন্ময় কুমার দত্ত বিডিনিউজ বলেন, দুপুরে ভারত থেকে ২৪ বগির ট্রেনটি রাজবাড়ী এসে পৌঁছায়। যাত্রীরা যাতে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে এজন্য রেল কর্তৃপক্ষ সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে।

ট্রেনের ভেতরে যেন কোনো বিঘ্ন না ঘটে সে জন্য গার্ড, ইলেকট্রিশিয়ান, অ্যাটেনটেন্ড নিয়োগ দেওয়া হয়েছে; ওরশ শেষে ১৯ ফেব্রুয়ারি একই ট্রেনে যাত্রীরা ফিরবেন বলে জানান তিনি।এ বিষয়ে দর্শনা আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন ইনচার্জ আতিক হাসান জানান যাত্রীদের জন্য কড়া নিরাপত্তা ব্যাবস্থা করা হয়েছে। এবং বাড়তি ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।এবং প্রত্যক যাত্রীর বৈধ পাসপোর্ট আছে কিনা সব চেকিং করে ছাড়া হবে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় এ বিশেষ ট্রেনটি ভারতের উদ্দেশ্যে ছাড়া হবে।




দর্শনায় পিন্সিপালের ভুলে মাদরাসার ছাত্রের দাখিল পরিক্ষা অনিশ্চিত

আজ বৃহস্পতিবার অনুষ্টিত হচ্ছে এসএসসি সমমানের পরিক্ষা। কিন্তু দর্শনা দারুসসুন্নাত সিদ্দিকিয়া ফাযিল (ডিগ্রি) মাদরাসার প্রিন্সিপালের ভুলের কারনে পরিক্ষা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের দাখিল পরিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান বাপ্পির। দর্শনা দারুসসুন্নাত সিদ্দিকিয়া ফাযিল (ডিগ্রি) মাদরাসার দাখিল পরীক্ষার যাবতীয় ফি জমা দিলেও মাদরাসা প্রিন্সিপালের ভুলে ফরম ফিলাপ হয়নি ওই ছাত্রের।

ঘটনাটি ঘটেছে দর্শনা দারুসসুন্নাত সিদ্দিকিয়া ফাযিল (ডিগ্রি) মাদরাসায়। দাখিল পরিক্ষার্থী হলো দর্শনা থানার পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে। জানা যায় তিন মাস আগে পরিক্ষা ফিলাপের জন্য ৩ হাজার টাকা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র মাদরাসা প্রিন্সিপাল শফিউদ্দীনের কাছে জমা দেয় মাহফুজুর রহমান বাপ্পি নামের ওই ছাত্র।

সে হিসাবে আজ বৃহস্পতিবার পরিক্ষার সবপ্রস্ততি নেয় সে। গতকাল বুধবার মাদরাসায় রেজিষ্ট্রেশন কার্ড নিতে গিয়ে জানতে পারে তার ফরম ফিলাপই হয়নি। মাহফুজুর রহমান বাপ্পি গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে কান্না জড়িত কন্ঠে বলে এজন্য আমাকে ১ বছর অপেক্ষা করতে হবে।

এ বিষয়ে মাদরাসার প্রিন্সিপাল শফিউদ্দিনের সাথে মুঠোফোন কথা বললে তিনি বলেন, পরিক্ষার্থী আরেকজনের মাধ্যমে টাকা জমা দিয়েছে। তুমি ফরম ফিলাম করছো তার রশিদটা নিয়ে এসো।সে ছাত্র রশিদ দেখাতে পারিনি। তিনি আরও বলেন সরকারী সিদ্ধান্ত হয়েছে তিনটায় ফেল করলে পরিক্ষা দেওয়া যাবে না। তিনি আরও বলেন ওই পরিক্ষার্থী ৫ টায় ফেল করেছে। কিন্তু দুইজন ফেল করলেও তাদেরকে পরিক্ষায় অংশ নিয়েছে সেজন্য ওকে ফরম ফিলাম করতে বলা হয়েছে। এখন কি কারনে টাকাটা জমা হয়নি বুঝতে পারছিনা।

এ ঘটনায় মাদরাসা জুড়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। এবং মাদরাসার পিন্সিপালের শাস্তির দাবি করেছে অভিভাবক মহল।