মেয়েকে বাঁচাতে ৫লাখ টাকার প্রয়োজন,বাবা-মায়ের করুণ আকুতি

১৬ বছর আগেও এ কান্না ছিল আনন্দ-সুখের। তবে সেই সুখ বেশিদিন কপালে জোটেনি সাকেন-মালেয়া দম্পতির। হঠাৎ আসা ঝড়ে হাসিমাখা সেই মুখে ভয়ংকর কালো মেঘের ঘনঘটা দেখা গেছে। ভেঙ্গে চুরমার হয়েছে স্বপ্নের সংসার।

পালিত মেয়ে সাবিনা খাতুনকে নিয়ে যে স্বপ্ন তারা দেখেছিলেন তা যেন চোখের সামনেই শেষ হতে যাচ্ছে। সাবিনার বয়স যখন দেড় বছর,তখন দূরের একটি গ্রাম থেকে তাকে নিয়ে আসেন সাকেন-মালেয়া দম্পতি। আদর-যত্নে বড় করে তুলতে থাকেন, স্বপ্ন বুনতে থাকেন সাবিনাকে নিয়ে। কিন্তু সেই স্বপ্ন যেন স্বপ্নই থেকে গেল।

সাবিনার বয়স যখন ৭বছর তখন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে ধরা পড়ে এক কঠিন অসুখ। নাম তার থ্যালাসেমিয়া।

ডাক্তার জানায়, তার পেটের প্লীহা ও লিভার বড় হয়ে গেছে। শরীরে রক্ত শুণ্যতা দেখা দিয়েছে। প্রতিমাসেই একাধিক ব্যাগ রকÍ দিতে হবে তার শরীরে। সেই থেকে ধার-দেনা করে চিকিৎসা খরচ মেটাচ্ছিলেন সাবিনার বাবা সাকেন। ঘোড়ার গাড়ি চালক সাকেনের পক্ষে চিকিৎসা ব্যয় বহণ করা যেন ‘বামুন হয়ে চাদে হাত’ দেয়ার মত। তবুও কোনমতে চিকিৎসা খরচ চলছিল। এরমধ্যেই সাবিনার বিয়েও দেন।

বছরখানেক পর কণ্যা শিশুর জন্ম দেন সাবিনা। রোগের কথা জেনে সাবিনাকে ডিভোর্স দেন তার স্বামী। পরে ঢাকায় গিয়ে গার্মেন্টসে চাকরি করে চিকিৎসা চালাচ্ছিলেন সাবিনা। কিন্তু কে জানতো তার শরীরে আরো একটি কঠিন রোগ বাসা বেধেছে। হঠাৎ-ই পেটের ব্যাথায় অস্থীর হয়ে উঠতো সাবিনা। পরে চিকিৎসকের শরনাপন্ন হলে জানা যায়, তার পেজে দু’টি পাথর হয়েছে। দ্রুত অপারেশন করতে হবে। তাতে খরচ হবে প্রায় ৫ লাখ টাকা। এবার যেন সাবিনাকে বাঁচানোর আশা ছেড়েই দিয়েছেন সাকেন-মালেয়া দম্পতি। কারণ ৫ লাখ টাকা জোগাড় করার মত সামর্থ্য তাদের নেই।

করুণ এ ঘটনাটি ঝিনাইদহের শৈলকুপার বন্দেখালী গ্রামের। ওই গ্রামের মেঠোপথ ধরে কিছুদূর এগিয়ে গেলেই মিলবে সাকেন জোয়ার্দারের বাড়ি। বাড়িতে ঢুকেই চোখ পড়বে অসুস্থ সাবিনার দিকে।

বিছানায় শুয়ে আছেন সাবিনা। উঠে দাঁড়ানোর শক্তিটুকুও যেন নেই। মায়ের অসুস্থতায় পাশে বসে মাথায় হাত বোলাচ্ছেন সাবিনার ৪ বছর বয়সী মেয়ে আশা। যা দেখে কাঁদছেন সাবিনার বাবা মা, কাঁদছেন উপস্থিত প্রতিবেশিরাও।

কিন্তু ছোট্ট শিশু আশার যেন সেদিকে কোন খেয়ালই নেই। আপন মনে মায়ের মাথায় হাত বোলাচ্ছেন, আর সবার মুখের দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। সাবিনা খাতুন আজ জীবনের শেষপ্রান্তে দাঁড়িয়ে। তার দু’চোখে মুঠো মুঠো স্বপ্নের বদলে শুধুই মৃত্যুর বিভীষিকা। চোখ বুজে অবসন্ন শরীর নিয়ে জীবনকে মহাকালের কাছে সোপর্দ করার দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছেন সাবিনা। কিছু বলতে গিয়েও বলতে পারছেন না।

সাবিনার মা মালেয়া বেগম বলেন, সাবিনাকে বাঁচানোর জন্য অনেক চেষ্টা করছি.তবে অপারেশন করতে প্রায় ৫লাখ টাকা লাগবে। যা জোগাড় করা আমাদের পক্ষে সম্ভব না। মেয়েকে বাঁচাতে সবার কাছে সাহায্য চাচ্ছি।

সাবিনার বাবা সাকেন জোয়ার্দার বলেন,প্রতিমাসে ২ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। এখন আর টাকা পয়সা কিছুই নেই। মানুষের সাহায্যে দিয়েই এতদিন চিকিৎসা করিয়েছি,কিন্তু এবার প্রায় ৫লাখ টাকা লাগবে। যা জোগাড় করা আমার পক্ষে সম্ভব না। তাই সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

সাহায্য পাঠাতে যোগাযোগ: ০১৮২৩-০৩৬০৩৫ সাবিনার পিতা সাকেন জোয়ার্দার। বিকাশ/নগদ:০১৮২৫-২৯৯৮৫২।




ভারপ্রাপ্ত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন ভাইস চেয়ারম্যান লতা

মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান লতিফুন্নেছা লতা ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি)  সকালের দিকে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের ভোটে ভাইস চেয়ারম্যান লতিফন নেছা লতা ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

এসময় সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হাশেমও সমর্থন জানান।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসান, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল ইসলাম, পিরোজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, আমঝুপি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন আহমেদ চুন্নু, বুড়িপোতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ জামাল, বারাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম, কুতুবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম রেজা, আমদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রওশন আলী টোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মেহেরপুর-১ আসনে অংশ গ্রহণের জন্য সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম পদত্যাগ করার পর ২০২৩ সালের ২১ নভেম্বর উপজেলা চেয়ারম্যান পদ শুন্য ঘোষণা করা হয়।




মেসেঞ্জারে পিন করা বার্তার আদ্যোপান্ত

মেসেঞ্জার যোগাযোগের একটি অন্যতম মাধ্যম। মেসেঞ্জারে যোগাযোগ হয় দ্রুত ও ‘পিনড মেসেজ’ ফিচার এ যোগাযোগকে আরও বেশি সহজ করেছে।

অনেক সময় মেসেঞ্জারে প্রয়োজনীয় আগের বার্তা খুঁজে পেতে সার্চ অপশনে গিয়ে খুঁজে বের করতে হতো যার জন্য অনেক সময় লেগে যেত।

কিন্তু চ্যাট বক্সের ওপরে পিন করা বার্তাগুলো দেখা যাওয়ায় প্রয়োজনের সময়ে খুব সহজে তা খুঁজে পাওয়া যায়। মেসেঞ্জারের এই ফিচার ব্যক্তিগত বা গ্রুপ চ্যাটে তাৎক্ষণিক বার্তাবাহক হিসেবে কাজ করে।

স্মার্টফোন কেনার সময় ক্যামেরার যেসব দিকে খেয়াল রাখবেনস্মার্টফোন কেনার সময় ক্যামেরার যেসব দিকে খেয়াল রাখবেন

ম্যাসেঞ্জারে লিঙ্ক ও ফটোসহ পৃথকভাবে সকল বার্তা আপনি পিন করতে পারবেন। পিন করা বার্তা চ্যাটে উপস্থিত প্রত্যেকের জন্য পিন করা যায়। এর জন্য প্রথমে মেসেঞ্জার অ্যাপে প্রবেশ করুন। মেসেঞ্জারে ব্যক্তিগত বা গ্রুপ চ্যাটে একটি বার্তা যেটি আপনি পিন করতে চান তাতে ট্যাপ করে ধরে রেখে ‘পিন’ অপশন আসলে তাতে ট্যাপ করুন।

পরবর্তীতে একটি চ্যাটে এই সমস্ত পিন করা বার্তা দেখতে, চ্যাটের শীর্ষে চ্যাটের নামের ওপর ট্যাপ করুন। এরপর নিচের দিকে স্ক্রল করে ‘ভিউ পিনড মেসেজ’ অপশনে ট্যাপ করলেই পরবর্তীতে তারিখ অনুযায়ী পিন করা সব বার্তা দেখা যাবে এবং পিন করা বার্তার আগে বা পরের বার্তা দেখতে পিনড বার্তার ডান দিকে থাকা অ্যারো চিহ্নতে ট্যাপ করতে হবে।

বার্ড এখন জেমিনিবার্ড এখন জেমিনি
আপনি যদি কোনো পিন বার্তা আনপিন করতে চান তাহলে পিন করা বার্তায় ট্যাপ করে ধরে রাখলে আনপিন অপশন আসবে সেখানে ক্লিক করুন। একটি চ্যাটে ৫০টি পর্যন্ত পিন করা বার্তা থাকতে পারে৷ যখন একটি চ্যাটে ৫০টি পিন করা বার্তা থাকে, তখন একটি নতুন পিন করার জন্য আপনাকে একটি বার্তা আনপিন করতে হবে।

মেসেঞ্জারে পিনড মেসেজের এই ফিচার প্রয়োজনীয় সকল বার্তা খুব কম সময়ে দেখিয়ে দেয় যা সময় ও পরিশ্রম দুটোই কমিয়ে দেয়।

সূত্র: ইত্তেফাক




গাংনীতে আশ্রয় নারী উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে শীতার্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ

“ভাল থাকা ও ভালো রাখা” শ্লোগান নিয়ে গাংনীতে “আশ্রয় নারী কল্যাণ সংস্থা”র উদ্যোগে অসহায় শীতার্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গাংনী উপজেলার হিজলবাড়িয়া গ্রামে সংস্থার কার্যালয়ে সাহারবাটি ইউনিয়নের শতাধিক অসহায় দরিদ্র নারী পুরুষের মাঝে এই শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।

আশ্রয় নারী উন্নয়ন সংস্থা’ র সহসভাপতি ঝুমুর আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা।

বিশেষ অতিথি ছিলেন গাংনী সরকারি ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মনিরুল ইসলাম, গাংনী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার (পিআইও) নিরাঞ্জন চক্রবর্তী, গাংনী উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার নাছিমা খাতুন, উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার আরশাদ আলী।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আজিজুল হক রানু।

আশ্রয় নারী উন্নয়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক রাহিয়া রাহির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাহারবাটি ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বর) রিপন হোসেন, গাংনী উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আমিরুল ইসলাম অল্ডাম প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা বলেন, নিজ নিজ যায়গা থেকে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর উচিৎ। শুধু সরকারি সাহায্য সহযোগীতা নয়, অসহায় দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়াতে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে হবে। টাকার দিক দিয়ে নয়, যারা মনের দিক থেকে বড় তাদেরকেই বড় হিসেবে দেখতে হবে।

প্রধান অতিথি প্রীতম সাহা আরও বলেন, আমাদের সন্তানদের লেখাপড়া শেখাতে হবে। তারাও যেনো বড় হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে। নিজ নিজ সন্তানকে মাদক, ইভিটিজিং, সন্ত্রাস ও বাল্য বিবাহমুক্ত রাখার অনুরোধ করেন তিনি এবং সবাই মিলে গাংনীকে বাসযোগ্য, মানবিক ও সুন্দর উপজেলা গড়ে তুলতে হবে বলে জানান।

উল্লেখ, আশ্রয় নারী উন্নয়ন সংস্থা ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সাহারবাটি ইউনিয়নের শতাধিক অসহায় দরিদ্র নারী পুরুষের মাঝে এই শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।




ভুল খানকে বিয়ে করেছ, কারিনাকে সালমান

বলিউডে কারিনা কাপুর ও সালমান খান অভিনীত ছবি ‘বজরঙ্গী ভাইজান’ ২০১৫ সালে মুক্তি পায়। ব্যবসায়িক সাফল্যর নিরিখে হিন্দি সিনেমার ইতিহাসে নজির গড়েছিল সেই ছবি। প্রায় ৩০০ কোটি টাকার ব্যবসা করে ছবিটি।

এর আগে সালমানের ‘দবং ২’ ছবিতে একটি আইটেম ডান্স করেছিলেন কারিনা। শুধু তাই নয়, সালমান-কারিনা জুটির ‘বডিগার্ড’ ছবিটিও বক্স অফিসে হিট্। নিজের ক্যারিয়ারের মধ্যখানে থাকাকালীন হঠাৎই ২০১২ সালে সাইফ আলি খানকে বিয়ে করেন বলিউডের বেবো। কারিনাকে সাইফকে বিয়ে করতেই কি রুষ্ট হন সালমান?

দুজনেই বলিউডের অভিজাত পরিবারের সন্তান। যদিও তারা একে অপরের আলোয় আলোকিত নন। নিজ গুণে আলাদা শিল্পীসত্তা তৈরি করেছেন কারিনা কাপুর খান ও সাইফ আলি খান। ২০১২ সালে বিয়ে করেন তারা। দাম্পত্যের বয়স প্রায় ১২ বছর। এতগুলো বছর সংসার করছেন দুই সন্তানের মা-বাবা সাইফ-কারিনা।

কিন্তু সাইফের সঙ্গে বিয়ের পরই সালমান অভিনেত্রীকে বলেন, ভুল খানকে বিয়ে করে ফেলেছ। পর্দায় সালমান-কারিনা জুটি হিট। ব্যক্তিগত জীবনেও সালমানের সঙ্গে হৃদ্যতার সম্পর্ক কারিনার। শুধু সালমান নন, আমির খান ও শাহরুখ খানের সঙ্গেও একাধিক হিট ছবি দিয়েছেন কারিনা। বিয়ের বছরেই সাইফের সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘এজেন্ট বিনোদ’ ছবিতে কাজ করেন কারিনা। বাকি তিন খানের সঙ্গে তার ছবি হিট হলেও সাইফের সঙ্গে তার ছবি একেবারে ফ্লপ।

সাইফকে বিয়ের পরের বছর ২০১৩ সালে ‘বিগ বস্ ৬’-এ সালমানের রিয়্যালিটি শোয়ে ‘দবং ২’ ছবির ‘ফেভিকল সে’ গানটির প্রচারে এসে সালমানের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় হয় কারিনাকে। সালমান অভিনেত্রীকে বলেন তিনি এই মঞ্চ থেক সাইফাকে কিছু বলতে চান কি না! সলজ্জ হেসে কারিনা বলেন, হাই সাইফ।

কারিনার স্বল্প উত্তর শুনে হতাশ হয়ে সালমান বলেন, তুমি ভুল খানকে বিয়ে করেছ। এমনিতেই রসিকতা করা সালমানের স্বভাব। মজা করেই কারিনাকে এ কথা বলেছিলেন অভিনেতা।

সূত্র: যুগান্তর




মেয়েদেরকে অল্পবয়সে বিয়ে দেয়া আর আগুনে ফেলা সমান কথা– জেলা প্রশাসক

আপনারা নিজেদের স্বার্থে মেয়েদেরকে অল্প বয়সে বিয়ে দিবেন না। অল্প বয়সে বিয়ে দেয়া মানে, ওই মেয়েকে আগুনে ফেলে দেবার সমান। আপনারা নিজেরা চেস্টায় আয় করে মেয়েদের লেখা-পড়া করান।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে কোটচাঁদপুরের শেরখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে কিশোরীদের সচেতনতা মূলক প্রশিক্ষন, প্রশিক্ষন সামগ্রী বিতরণ ও অভিভাবক সমাবেশে অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে এ কথা বলেন, ঝিনাইদহের জেলা প্রাশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস এম রফিকুল ইসলাম।

উপজেলার দরিদ্র মহিলাদের জন্য সম্বিত পল্লী কর্মসংস্থান সহায়তা প্রকল্প (ইরেসপ্র) এর সহায়তায় ও কোটচাঁদপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঝিনাইদহের বিআরডিপির উপপরিচালক মুক্তার হোসেন, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা সেলিম রেজা, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রবিউল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক আক্কাস আলী।

এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন, সহকারি পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা (ইরেসপো) আল-আমিন।  পরে জেলা প্রশাসক প্রশিক্ষাণার্থীদের হাতে প্রশিক্ষন সামগ্রী তুলে দেন।

এরপর তিনি উপজেলা অফিসার্স ক্লাবের এক মতবিনিময় সভায় যোগ দেন। আলোচনা করেন,বাল্যবিবাহ,আত্মহত্যা,জঙ্গিবাদ,আইনশৃংঙ্গা বিষয় নিয়ে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বীরমুক্তিযোদ্ধা,মসজিদের ঈমাম,জনপ্রতিনিধিরা।




বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে একাধিক পদে চাকরির সুযোগ

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন শূন্য পদে ২৬ জনকে নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে আবেদন নেওয়া শুরু হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়

পদসংখ্যা: ০৪টি

লোকবল নিয়োগ: ২৬ জন
পদের নাম: সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম-কম্পিউটার অপারেটর

পদসংখ্যা: ০৯টি

বেতন: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা (গ্রেড-১৩)

শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমান ডিগ্রি
পদের নাম: কম্পিউটার অপারেটর

পদসংখ্যা: ১টি

বেতন: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা (গ্রেড-১৩)

শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিজ্ঞানে বিভাগে স্নাতক বা বা সমমান ডিগ্রি
পদের নাম: অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক

পদসংখ্যা: ৪টি

বেতন: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ
পদের নাম: অফিস সহায়ক

পদসংখ্যা: ১২টি

বেতন: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ
চাকরির ধরন: সরকারি

প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ (উভয়)

আবেদন ফি: ১ থেকে ৩ নং পদের জন্য টেলিটক সার্ভিস চার্জসহ ২২৩ টাকা এবং ৪ নং পদের জন্য ১১২ টাকা জমা দিতে হবে।

আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে https://moef.gov.bd/ ভিজিট করুন।

আবেদনের শেষ সময়: ০৬ মার্চ ২০২৪




খাওয়ার সময় মোবাইল ব্যবহারের ঝুঁকি

মোবাইল ডিভাইস দৈনন্দিন জীবনে একটি অপরিহার্য হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। আজকাল মোবাইল আমাদের জীবনের এতটাই দখল করে নিয়েছে যে খাওয়া-দাওয়া, ওঠা-বসা সব সময়ই আমাদের মনোযোগ ফোনের দিকে থাকে। এমনকি শিশুদের মধ্যেও এই অভ্যাস দেখা যায়।

ফোনের অত্যধিক ব্যবহার শারীরিক অসুস্থতা ও মানসিক অস্থিরতার কারণে হার্টের রোগ, ডায়াবেটিস রোগ বৃদ্ধির ঝুঁকি বাড়াতে পারে। সঙ্গে সঙ্গে ফোনে খাওয়ার সময় স্মার্টফোনের একাধিক ব্যবহার মাথায় ব্যথা, চোখের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। খাওয়ার সময় মোবাইল ব্যবহারে কিছু ক্ষতি হতে পারে:

অতিরিক্ত খাওয়া ও স্থূলতার কারণ
ভেজা খাবার খেতে এমনিতেই একটু সময় লাগে। এর মধ্যে মোবাইল হাতে নিয়ে খেলে মনোযোগ বিভ্রান্ত করে একটা দীর্ঘ সময় লেগে যায়। ফলে আপনি খাওয়ার পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত রাখতে পারেন না।। অতিরিক্ত খাওয়া শেষ পর্যন্ত স্থূলতার দিকে পরিচালিত করবে। যা শারীরিক অবস্থার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
মোবাইল হাতে খাবার খেলে মস্তিষ্ক বিক্ষিপ্ত হয়। যার ফলে শরীরে ভুল সংকেত পাঠায় এবং স্বাদ বা তৃপ্তিতে খাবার খাওয়ার উপলব্ধি ব্যহত করতে পারে। যা এটি একটি অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসে পরিণত করে।

মানসিক অসন্তুষ্টি
যখন আপনার মনকে একবারে দুটি বিষয়ে মনোনিবেশ করতে হয়, তখন সে দুটির কোনোটিই সঠিকভাবে উপভোগ করতে পারে না। এটি মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়ে এবং খাওয়া-দাওয়ার প্রতিটি অবস্থায় ফোনের ব্যবহার বন্ধের মাধ্যমে এই ঝুঁকি কমতে পারে।

সামাজিক সংযোগ ব্যহত
খাওয়ার সময় মোবাইল ব্যবহার করা আপনার আশেপাশের সামাজিক বন্ধন এবং পরিবেশের সাথে খাপ-খাওয়াতে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। এমনকি পরিবার থেকেও দূরে ঠেলে দিতে পারে।

এই কারণে, খাওয়ার সময়ে মোবাইল ব্যবহারে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। মোবাইল ব্যবহার কমাতে প্রতিদিন নির্ধারিত সময় এর ব্যবহার করা এবং এ অভ্যাস থেকে নিজেকে মুক্ত করতে মানুষের সাথে মেশা, কথা বলা সহজ উপায়।
সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে বাঁধন কার্যক্রমের ১ বছর পূর্তি ও নতুন অফিস কক্ষের উদ্বোধন

মেহেরপুর সরকারি কলেজ বাঁধন (স্বেচ্ছায় রক্তদাতা সংগঠন) কার্যক্রমের ১ বছর পূর্তি ও নতুন অফিস কক্ষ উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মেহেরপুর সরকারি কলেজের হল রুমে বাঁধন (স্বেচ্ছায় রক্তদাতা সংগঠন) কার্যক্রমের ১ বছর পূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা শেষে  নতুন অফিস কক্ষের উদ্বোধন করা হয়।

মেহেরপুর সরকারি কলেজ বাঁধনের (স্বেচ্ছায় রক্তদাতা সংগঠন) আহবায়ক সবুজ আলীর সভাপতিত্বে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সরকারি অধ্যাপক বশির আহমেদের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. এ. কে. এম. নজরুল কবীর।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর সরকারি কলেজ রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল আমিন ধুমকেতু, অর্থ অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হাবিবুর রহমান, রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল লতিফ, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে প্রভাষক তৌফিকুল ইসলাম সহ বাঁধন (স্বেচ্ছায় রক্তদাতা সংগঠন) এর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।




কেন্দ্রীয় চুক্তিতে হৃদয়, বাদ তামিম, আফিফ, এবাদত ও সৈকত

অনুষ্ঠিত হয়েছে বহুল প্রতীক্ষিত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভা। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত সভায় কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ২১ জন ক্রিকেটার নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। আর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৮৫ জনের নাম রাখা হয়েছে।

গত বছর কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা তামিম ইকবাল, আফিফ হোসেন ধ্রুব, এবাদত হোসেন চৌধুরী ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে এ বছর রাখা হয়নি। তাদের বদলে নতুন মুখ হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন তানজিম সাকিব, তাওহীদ হৃদয়, নাঈম হাসান ও মাহমুদুল হাসান জয়। চুক্তিতে তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটের জন্য রাখা হয়েছে পাঁচ জনকে। তারা হলেন-নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ, লিটন কুমার দাস ও শরীফুল ইসলাম। টি-টোয়েন্টি বাদে টেস্ট ও ওয়ানডের জন্য রাখা হয়েছে মুশফিকুর রহিমকে।

টেস্টের জন্য চুক্তিতে রয়েছেন-মুমিনুল হক সৌরভ, তাইজুল ইসলাম, জাকির হাসান, মাহমুদুল হাসান জয়, সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও নাঈম হাসান। ওয়ানডের জন্য-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তানজিম হাসান সাকিব। টি-টোয়েন্টির চুক্তিতে রয়েছেন-নাসুম আহমেদ, শেখ মাহেদী হাসান ও নুরুল হাসান সোহান।

ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির জন্য রাখা হয়েছে-তাসকিন আহমেদ, তাওহীদ হৃদয়, মুস্তাফিজুর রহমান ও হাসান মাহমুদকে। এ দিকে এবার থেকে ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি এবং পারফরম্যান্স বোনাস বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বোর্ড মিটিংয়ে।

সূত্র: ইত্তেফাক