এবার ভয়েস মেসেজ লিখে দেবে হোয়াটসঅ্যাপ

হাতে সময় কম। ধরে ধরে হোয়াটসঅ্যাপে সব কথা টাইপ করতে পারছেন না। ভয়েস রেকর্ড করে পাঠিয়ে দেওয়ার অপশন রয়েছে। কিন্তু এমন কিছু ‘অফিশিয়াল’ বিষয় তো থাকে, যা লিখিত রূপে পাঠানোই ভালো। আবার ধরুন, হোয়াটসঅ্যাপে এমন একটি ভয়েস মেসেজ এসেছে যে, সেটি এখনই শুনতে হবে। অথচ, হাতের কাছে হেডফোন নেই। স্পিকারের আওয়াজ খুব কমিয়ে দিলে শোনা যায় না, আবার একটু যে বাড়িয়ে দেবেন, সে উপায়ও নেই। কিন্তু বার্তা লিখেই দিতে হবে। কিন্তু কীভাবে তা সম্ভব?

মেটা-র মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ এবার সেই সুবিধা প্রদান করতে শুরু করেছে। বিশেষ এই ফিচারটির নাম ‘ভয়েস মেসেজ ট্রান্সক্রিপশন’।

এই ফিচারটির কাজ কী?

হোয়াটসঅ্যাপের ভয়েস মেসেজ ‘ট্রান্সক্রিপশন’ ফিচারটি অন করা থাকলে রেকর্ড করা বার্তার লিখিত প্রতিরূপ প্রাপকের কাছে পৌঁছে যাবে। জনসমক্ষে রেকর্ড করা বার্তা শুনতে হবে না। যিনি বার্তাপ্রেরক, তাকে কষ্ট করে লিখতেও হবে না। ভয়েস রেকর্ড করার পদ্ধতিতেই পুরো বিষয়টি হবে, অথচ তা মিলবে লিখিতভাবে।

নিরাপত্তার কী হবে?

মেটার ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে, এই ধরনের কথা চালাচালির প্রমাণ শুধুমাত্র সেই যন্ত্র বা মোবাইলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। এমনকি হোয়াটসঅ্যাপ সংস্থার কাছেও তার বিন্দুবিসর্গ এসে পৌঁছোবে না। এছাড়া এই সুবিধা নেওয়া বা না নেওয়ার পুরোটাই নির্ভর করছে ব্যবহারকারীর ওপর। চাইলে সেটিংস অপশন থেকে তা বন্ধও করে দেওয়া যাবে। গত নভেম্বরে এই সুবিধা প্রদান করার কথা ঘোষণা করেছিল মেটা। সে সময়ে একসঙ্গে অ্যান্ড্রয়েডের সব ভার্সনে এই সুবিধা চালু করা সম্ভব হয়নি। অ্যাপলের আইফোন ব্যবহারকারীরা কিন্তু এখনো এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত।

এই সুবিধা পেতে গেলে কী করতে হবে?

২. প্রথমে ফোন থেকে হোয়াট্সঅ্যাপের ‘সেটিংস’ অপশনে যান।

৩. সেখান থেকে ‘চ্যাটস’ অপশনে ক্লিক করুন।

৪. নীচের দিকে ‘ভয়েস মেসেজ ট্রান্সক্রিপশন’ অপশন দেখতে পাবেন। তার পাশে ‘অন’ বোতামে ক্লিক করুন।

৫. ‘অন’ বোতামে ক্লিক করলে পছন্দের ভাষা বেছে নেওয়ার নানা বিকল্প আসবে।

৬. যদিও এই মুহূর্তে খুব বেশি বিকল্প পাওয়া যাবে না। আপাতত ইংরেজি, স্প্যানিশ, পর্তুগিজ এবং রাশিয়ান এই চারটি ভাষায় প্রতিলিপি পেতে পারেন ব্যবহারকারীরা। আঞ্চলিক ভাষার বিকল্প নিয়ে কাজ চলছে।

৭. পছন্দের ভাষা বেছে নেওয়ার পরেই আরও দু’টি অপশন আসবে।

৮. ‘সেট আপ নাও’ এবং ‘ওয়েট ফর ওয়াই-ফাই’ যে কোনো একটি অপশনে ক্লিক করলেই বিশেষ এই সুবিধাটি দেওয়ার জন্য ফোন প্রস্তুত হয়ে যাবে।

‘ভয়েস মেসেজ’ কী ভাবে ‘ট্রান্সক্রাইব’ হবে?

হোয়াটসঅ্যাপে যেখানে ভয়েস রেকর্ড করার অপশন রয়েছে, সেই বোতামটি দীর্ঘক্ষণ চেপে ধরে রাখলে ভয়েস রেকর্ডার অন হয়ে যাবে। কথা রেকর্ড হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পর্দায় ফুটে উঠবে ‘ট্রান্সক্রিপশন’ করার বিকল্প। সেখানে ক্লিক করলেই বার্তাটির লিখিত রূপ দেখতে পাওয়া যাবে।

সূত্র: যুগান্তর




ঝিনাইদহে অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী

ঝিনাইদহে ক্রীড়া পরিদপ্তরের বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি ২০২৪-২৫ এর আওতায় জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া অফিসের আয়োজনে অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার বিকালে জেলা শহরের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্টেডিয়ামে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও পৌরসভার প্রশাসক রথীন্দ্র নাথ রায় এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ সহ অন্যান্যরা। উল্লেখ্য, ঝিনাইদহ জেলার ৬টি উপজেলার অ্যাথলেটিকস দল উক্ত টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেন।




আকর্ষণীয় বেতনে কেয়ার বাংলাদেশে চাকরির সুযোগ, আবেদন করুন আজই

বেসরকারি সংস্থা কেয়ার বাংলাদেশ জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি কক্সবাজারে গ্রিন স্কিলস ডেভেলপমেন্ট ইন রিফিউজি ক্যাম্পস প্রকল্পে টেকনিক্যাল ম্যানেজার পদে কর্মকর্তা নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

পদের নাম: টেকনিক্যাল ম্যানেজার

পদসংখ্যা: ১

যোগ্যতা: অ্যাগ্রিকালচারাল সায়েন্স, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ, সমাজবিজ্ঞান বা এ ধরনের বিষয়ে স্নাতক/স্নাতকোত্তর ডিগ্রিসহ লাইভলিহুড ডেভেলপমেন্টে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। উল্লিখিত বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকলে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। লাইভলিহুড প্রোগ্রামে টেকনিক্যাল সাপোর্ট ও ব্যবস্থাপনায় অন্তত পাঁচ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। জাতীয় বা আন্তর্জাতিক কোনো সংস্থার গ্রিন স্কিলস, ক্লাইমেট-স্মার্ট অ্যাগ্রিকালচার, মার্কেটসংক্রান্ত ভোকেশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট, ইয়ুথ এমপ্লয়মেন্টে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অন্তত তিন বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ইংরেজি ভাষায় যোগাযোগে সাবলীল হতে হবে। স্থানীয় ভাষা জানা থাকলে বাড়তি যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হবে। অ্যানালিটিক্যাল দক্ষতা থাকতে হবে। উইন্ডোজ, এমএস অফিস, ই-মেইলসহ সংশ্লিষ্ট ডেটাবেজের কাজ জানতে হবে। ফিল্ড ভিজিটের মানসিকতা থাকতে হবে।

কর্মস্থল: উখিয়া ফিল্ড অফিস, কক্সবাজার

চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক

বেতন: মাসিক বেতন ১,৫৮,৪৪৫ টাকা (আলোচনা সাপেক্ষে)।

আবেদন যেভাবে

আগ্রহী প্রার্থীদের এই লিংক থেকে নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জেনে Apply Online বাটনে ক্লিক করে আবেদন করতে হবে।

আবেদনের শেষ সময়: ৫ মার্চ ২০২৫।

সূত্র: যুগান্তর




ঝিনাইদহে রমজানে নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে লিফলেট বিতরণ

আসন্ন রমজানে অতি মুনাফা, কৃত্রিম সংকট তৈরি না করাসহ নিত্যপণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে ঝিনাইদহে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টার দিকে জেলা দোকান মালিক সমিতি, পরিবেশক সমিতি ও চেম্বার অব কর্মাসের পক্ষ থেকে লিফলেট বিতরণ করা হয়।

সকালে শহরের নতুন হাটখোলা, পুরানো হাটখোলা, ট বাজার, আরাপপুর, হামদহসহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যবসায়ীদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন ব্যবসায়ী নেতারা। এছাড়াও মূল্য তালিকা প্রদর্শণ, অতিরিক্ত মুনাফা না করতেও ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান তারা। ব্যবসায়ীরা এ নির্দেশনা না মানলে ভ্রাম্যমাণ আদালত কোনো আইনগত ব্যবস্থা নিলে ব্যবসায়ী সংগঠন তার দায়ভার নেবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।

কর্মসূচিতে চেম্বার অব কর্মাসের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন, দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম বাদশা, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান খান মিঠু, পরিবেশক সমিতির সভাপতি আহসান হাবীব রনক, সাধারণ সম্পাদক সুশীল সরকারসহ ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।




অত্যধিক টিভি দেখলে যে ক্ষতি হয় শিশুদের

টিভি দেখা আপনার শিশুসন্তানের জন্য একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। একাধিক গবেষণায় এমনটাই দাবি করেছেন গবেষকরা । অনেক মা-বাবাই বলবেন যে, খুদে টিভি চালিয়ে কার্টুন দেখে বা ছোটদের কোনো অনুষ্ঠান দেখে। কিন্তু গবেষণা বলছে, ১৮ মাস বয়স থেকে ৫ বছর অবধি শিশু যদি ঘণ্টার পর ঘণ্টা টিভি দেখতে থাকে, তাহলে তার বুদ্ধির বিকাশ থমকে যাবে। সমস্যা আসবে ভাষাতেও।

এ দেশে ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ’-এর জার্নালে এ নিয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। সেখানে গবেষকরা জানিয়েছেন, ৮৭২ শিশুকে নিয়ে একটি সমীক্ষা করে দেখা হয়েছে ৬ মাস, ১ বছর ও ২ বছর বয়সি শিশুরা যদি দিনে ৩ ঘণ্টারও বেশি টিভি দেখে, তাহলে তাদের মধ্যে নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়। এই যেমন শিশুরা খেলাধুলা ছেড়ে ঘরকুনো হয়ে পড়ে। অন্যের সঙ্গে কথোপকথনে সমস্যা হয়। এমন কিছু ভাষা শেখে, যা তাদের বয়সোচিত নয় এবং তাদের বুদ্ধি, ভাবনাচিন্তা ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাও বেশ দুর্বল হয়ে পড়ে।

টিভি দেখলে মনোসংযোগ ও ধৈর্য দুই-ই নষ্ট হয়। গবেষকরা আরও বলেছেন, যে শিশু বেশি টিভি দেখে তার পড়াশোনায় মনোযোগ কমে যায় এবং সৃজনশীল ভাবনাও বাধাপ্রাপ্ত হয়।

এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা বেশিক্ষণ টিভি দেখে, তাদের ঘুমের সমস্যাও বেশি হয়। টিভি থেকে বেরোনো আলো মেলাটোনিন নামক হরমোন ক্ষরণে বাধা দেয়। এই হরমোনের তারতম্য হলে ঘুম কমে যায়, অনিদ্রার সমস্যা দেখা দেয়— এমনকি ব্যবহারেও বদল আসতে পারে। উদ্বেগ ও অস্থিরতা প্রচণ্ড রকম বেড়ে যেতে পারে।

কোন বয়সের শিশু কত ঘণ্টা টিভি দেখলে কী ক্ষতি হয়, তারও একটা হিসাব রয়েছে। এ নিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছে ‘আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব পেডিয়াট্রিকস’। সেখানকার গবেষকরা জানিয়েছেন

শিশুর বয়স ১৮ মাস কিংবা তার কম হলে টিভি দেখাই উচিত নয়। ভিডিওকলে শিশু মা, বাবা বা পরিবারের কাউকে দেখতে পারে। তবে আর অন্য কোনো বৈদ্যুতিক ডিভাইস তার সামনে রাখা যাবে না।

১৮ মাস থেকে ২ বছর অবধি দিনে আধ ঘণ্টা টিভি দেখতে পারে শিশু, এর বেশি নয়। এর বেশিক্ষণ টিভির পর্দায় চোখ রাখলে শিশুর বুদ্ধির সার্বিক বিকাশ ব্যাহত হবে।

২ থেকে ৫ বছর অবধি দিনে ১ ঘণ্টা টিভি দেখা যেতে পারে। তবে তা শিক্ষামূলক কোনো অনুষ্ঠান হতে হবে। শিশু টিভি দেখার সময়ে পাশে অভিভাবককে থাকতে হবে।

শিশুর টিভি দেখার নেশা ছাড়াতে হলে অভিভাবকদেরই উদ্যোগ নিতে হবে। নিজের টিভি দেখার নেশা থাকলে সেটাও ঝটপট কমিয়ে ফেলুন। আপনার প্রিয় কোনো অনুষ্ঠান দেখতে হলে মোবাইল ও ট্যাবে দেখুন। টিভি দেখার সময়টুকু খেলাধুলা বা পছন্দের সৃজনশীল বিষয় শিখতে ভর্তি করে দিন অথবা আপনারাই শিশুকে সঙ্গ দিন। তাতেও অনেকটা কাজ হবে।

সূত্র: যুগান্তর




কুষ্টিয়ায় ইউএনওর বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিবি করিমুন্নেছার দ্রুত ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় মিরপুর উপজেলা শহরের ঈগল চত্বরে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে সমাবেশে ইউএনওর বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের কাজে উদাসীনতা ও আওয়ামী লীগর পুনর্বাসন করার মতো বিভিন্ন অভিযোগ তোলা হয়।

এ ছাড়া দ্রুত দায়িত্ব হস্তান্তর না করলে রোববার (২ মার্চ) ইউএনওকে নিজ কার্যালয়ে তালাবদ্ধ করে রাখা হবে বলেও ঘোষণা দেওয়া হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ইউএনও বিবি করিমুন্নেছা মিরপুরে যোগদানের পর থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আসছেন। সম্প্রতি আওয়ামী লীগের পদধারীদের নিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে আইনশৃঙ্খলা মিটিং করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার চেষ্টা করছেন। তাকে মিরপুর থেকে বদলি করা হয়েছে। তবুও এখন পর্যন্ত ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি। বক্তারা এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

উল্লেখ্য, বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জণপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মাঠ প্রশাসন-২ শাখার উপসচিব আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বিবি করিমুন্নেছাকে পদায়নের মাধ্যমে বদলি করা হয়ে। তাকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের অধীনে ন্যাস্ত করা হয়। সেখানে তিনি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

এর আগে ইউএনও বিবি করিমুন্নেছার বিরুদ্ধে উপজেলা পরিষদের দুটি প্রবেশদ্বার বন্ধ রাখা, উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ বন্ধ ও আওয়ামী লীগ পদধারী চেয়ারম্যানদের নিয়ে আইনশৃঙ্খলা সভা করায় অভিযোগ ওঠে।

তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইউএনও বিবি করিমুন্নেছা। তিনি জানান, আমি সব সময় নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করেছি। কোনো অনৈতিক কাজকে সমর্থন করিনি, কাউকে সুবিধাও দেয়নি। এতে কেউ কেউ ক্ষুব্ধ হতে পারেন। তাতে আমার কোনো যায় আসে না। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে উপজেলাবাসীর কল্যাণে কাজ করার চেষ্টা করেছি।




আমাদের ভিতটা ‘পুরাতন’ বলে টিকে গেছি: ঋতুপর্ণা

দ্রুতই মুক্তি পাচ্ছে টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের নতুন সিনেমা ‘পুরাতন’। এর আগে একটি গণমাধ্যমে তার সিনেমা, জীবন ও নানা বিষয়ে নিয়ে কথা বলেছেন অভিনেত্রী।

‘পুরাতন’ এর গল্পটা কেন ভালো লেগেছিল? এমন প্রশ্নের উত্তরে ঋতুপর্ণা বলেন, এই সিনেমার গল্পটা পুরাতন আর নতুনের মেলবন্ধন। আমার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর। ওর মতো একজন প্রথিতযশা শিল্পী, যিনি পুরোনো সময়টা দারুণভাবে যাপন করেছেন, আজ অবধি উনি রেলিভেন্ট থেকেছেন, তাকে নিয়ে সিনেমা করলে স্ক্রিপ্টটা তো একটু বিশেষ হতেই হবে। উনি আমাকে বলেছিলেন চিত্রনাট্য পছন্দ হলে তবেই সিনেমাটা করবে। আমরাও চেষ্টা করেছি ওকে দারুণ একটা চরিত্র দিতে, যাতে এত বছর পর ওর অভিনয় করাটা জাস্টিফিকেশন থাকে।

তিনি বলেন, ‘পুরাতন’–এ আমার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন শর্মিলাজি। আমি সুমনকে বলেছিলাম (পরিচালক সুমন ঘোষ) মা আর মেয়ের গল্প নিয়ে একটা ফিল্ম করতে চাই। তখন ও এই গল্পটা শোনায়। মায়েদের পুরাতন, সনাতন চিন্তাভাবনা থাকে। তার সঙ্গে আমাদের যে নতুন ধারণার মেলবন্ধনকে খুব ভালো একটা স্টোরি লাইনে বাঁধা যেতে পারে বলে মনে হয়েছিল। সেই থেকেই ‘পুরাতন’।

এক বছর আগে আপনি মা–কে হারিয়েছেন। এই গল্পটা কি সেই জন্যে বিশেষ? ঋতুপর্ণা বলেন, অবশ্যই। মাকে হারানোর পর সিনেমাটা যেন আরও বেশি করে বুকের মধ্যে বাজছে। মাকে ফিল্মটা দেখাতে পারলাম না বলে খুব কষ্ট হচ্ছে। তিনি বলেন, মায়ের সঙ্গে সময় কাটানো, মায়ের কাছাকাছি থাকা, এটার যে একটা আলাদা মর্ম আছে, সেটা বুঝতাম। কিন্তু তবু আমাদের ব্যস্ততার জন্য কখনো-কখনো সেই সময়টা হারিয়ে ফেলি আমরা। কিছু সময় মা অসুস্থ ছিলেন। শর্মিলা ঠাকুরের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন। কিন্তু হারিয়ে ফেলা সময়টার যে দুঃখ, সেটা তো চিরদিনই বইব। এই সিনেমার মধ্যেও মা–মেয়ের অদ্ভুত কিছু মুহূর্ত আছে। সেই মুহূর্তগুলো এখন আরও বেশি মূর্ত হয়ে উঠেছে। মাকে হারানোটা বিরাট বড় একটা ভ্যাকিউম তৈরি করেছে। এই ফিল্মটা দেখলে দর্শকরা ভালোলাগার রেশ বয়ে নিয়ে চলবেন বলেই আমার মনে হয়।

এতটা সময় কাটানো, একসঙ্গে অভিনয় করার পর, মানুষ হিসেবে শর্মিলা ঠাকুরকে কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন?—এমন প্রশ্নের উত্তরে অভিনেত্রী বলেন, শর্মিলাজির সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাটা দারুণ। বন্ধন, স্বতঃস্ফূর্ততা, ডিগনিটি, এলিগেন্স —বলে বোঝানো যাবে না। উনি একজন সফল মানুষ। কাজের দিক থেকে সফল, স্ত্রী হিসাবে, মা হিসাবে এবং দিদা–ঠাকুমা হিসাবে সফল। তিনি বলেন, আমি দেখেছি ফিল্মের সেটে বাচ্চাদের সঙ্গে কথা বলতে, ছেলেমেয়ের সঙ্গে কথা বলতে। কখনো সাইফ আবার কখনো সোহা–সাবা (আলি খান) ফোন করতেন। কোনো এক নাতি বা নাতনির জন্মদিন ছিল। উনি বললেন, ‘আমি এই বলটা কিনব ওর জন্য’। এই যে আদর, এখন দেখে মনে হয়, এটাই জীবনের শ্রেষ্ঠ পাওয়া। ঋতুপর্ণা বলেন, এই সংক্রান্তিতেই আমি ভাবছিলাম, আমার মা নেই, ঠাকুমাও নেই, পিঠে–পুলি বানানোর আর কেউ নেই। অনেকেই নিয়ে এসেছেন। কিন্তু মা–ঠাকুমার আদরটা নেই।

শিল্পীরা আবেগপ্রবণ মানুষ হন, আর প্রযোজককে হিসাবি হতে হয়। এই দুই সত্তাকে সামলান কীভাবে? ঋতুপর্ণা বলেন, একটা গল্প বলি—একদিন আমি শর্মিষ্ঠাকে (মুখোপাধ্যায়) বললাম, কী রে আমার শট নিলি না? ও বলল, ‘আজ তোমার শট নেওয়া যাবে না। ওই অ্যারেঞ্জমেন্টে অন্য শটগুলো নিতে হবে। না হলে খরচ বাড়বে।’ আমি তখন বললাম, আমার ডেটটা তো তা হলে নষ্ট হলো। শর্মিষ্ঠা বলেন, ‘ভুলে যেও না এটার প্রযোজকও তুমি।’ আমার অভিনেত্রী সত্তাটাই সবচেয়ে বেশি ডমিনেটিং। আগে থেকেই বলে দিই কতটা পারব আর কোনটা পারব না। সেটে আমি শুধুই অভিনেত্রী। আমার সংস্থার নাম হলেই খুশি।

ওটিটি–তে কাজ করার ইচ্ছা আছে? অভিনেত্রী বলেন, অবশ্যই। এটা আমার বহুদিনের আশা। আমি অপেক্ষা করে আছি, দারুণ একটা চরিত্রর জন্য, যা অভিনেত্রী হিসেবে আমাকে ভাবাবে। যে চরিত্রটা আমাকে দিয়ে দারুণ এক্সাইটিং কিছু করিয়ে নেবে।

সামাজিক মাধ্যম ছাড়া সুপারস্টার হওয়ার কাজটা কতটা কঠিন বলে মনে করেন? এ প্রসঙ্গে ঋতুপর্ণা বলেন, আমি সোশ্যাল মিডিয়ার সমালোচনা করতে চাই না। তবে আমি যে সময়ে কাজ শুরু করেছিলাম, পরিচালককে অবলম্বন করেই এগিয়েছি। তখন এত মিডিয়া ছিল না। ভ্যানিটি ভ্যান ছিল না। যখন যে রকম পরিস্থিতি, সেখানেই মেকআপ, ড্রেস চেঞ্জ করে নিতাম। আমাদের ভিতটা পুরাতন। তাই এত বছর টিকে গেছি।

সূত্র: যুগান্তর




ঝিনাইদহে বইয়ের দাবিতে লাল পতাকা মিছিল

ঝিনাইদহে শিক্ষার্থীদের বইয়ের দাবিতে লাল পতাকা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) শহরের সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এ মিছিলের আয়োজন করে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট।

মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পায়রা চত্ত্বরে এসে শেষ করে। পরে সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় জেলা বাসদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ, জেলা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আহ্বায়ক শারমীন সুলতানা, সরকারি কেসি কলেজ শাখার আহ্বায়ক নুসরাত জাহান সাথী বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা বলেন, শিক্ষাবর্ষের দুইমাস পেরিয়ে গেলেও সারাদেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষাথীরা এখনো বই পায়নি। এখন দেখা যাচ্ছে বাজারে ওইসব বই বিক্রি করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা শিক্ষার্থীদের বই দিতে নানা রকম তালবাহনা করছে। এর মধ্যে আবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে হঠাৎ করে দীর্ঘ দিনের ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই শিক্ষা নিয়ে এসব তালবাহনা বন্ধ করে অনতিবিলম্বে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

মিছিলে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুই শতাধিক শিক্ষার্থীরা ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে তোলে ঝিনাইদহ শহর।




আজ হারলেও যত টাকা নিয়ে ফিরবেন শান্তরা

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ট্রফির মিশন শুরুতেই থেমেছে বাংলাদেশের। টানা দুই হারে ছিটকে পড়া টাইগাররা এখন সান্ত্বনার জয়ের খোঁজে। টুর্নামেন্টে ব্যাটিং-বোলিংয়ে হতশ্রী থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত ব্রিগেড যদিও মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে ফিরবে দেশে। আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটিতে হারলেও আসবে প্রায় তিন কোটি টাকা।

আইসিসি এবার প্রাইজমানি বাড়িয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরুর আগে ঘোষণা জানানো হয়েছে, রানার্স আপ দল পাবে ১.১২ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ১৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকার অর্থ পুরস্কার। চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ২.২৪ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ১৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা। বাদ যাবে না অংশগ্রহন করা কোন দল।

প্রাইজমানি অনুযায়ী, সপ্তম ও অষ্টম দল পাবে ১ লাখ ৪০ হাজার ডলার (প্রায় ১ কোটি ৬৯ লাখ ১৫ হাজার ৪০১ টাকা) করে। এ ছাড়া প্রতিটি দল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের জন্য পাবে ১ লাখ ২৫ হাজার ডলার (প্রায় ১ কোটি ৫১ লাখ ৩ হাজার ৩৭ টাকা)। যার অর্থ বাংলাদেশ দলের ভাণ্ডারে ইতোমধ্যে তিন কোটি টাকা চলে এসেছে।

টাইগারদের ট্রফির মিশন মোটাদাগে ব্যর্থ হয়েছে। দুটি ম্যাচ খেলে দুটিতেই হেরেছে। নূন্যতম লড়াইও জমাতে পারেনি। তবে শেষটি অর্থাৎ আজ পিন্ডিতে যদি পাকিস্তানের পিন্ডি চটকাতে পারেন শান্তরা, তবে টাকার পরিমাণ বাড়বে। তাও প্রায় অর্ধকোটি টাকার মতো।

গ্রুপ পর্বে প্রতিটি জয়ের জন্য প্রাইজমানি রাখা হয়েছে ৩৪ হাজার ডলার (৪১ লাখ ৮ হাজার ২৬ টাকা)। পাকিস্তান বধ করা গেলে শান্তদের ৩ কোটি টাকার সঙ্গে যোগ হবে আরও ৪১ লাখ টাকা। পারফর্মে বেহাল দশা হলেও মোটাঅঙ্কের অর্থ নিয়ে ফিরছে শান্ত ব্রিগেড।

সূত্র: যুগান্তর




ঝিনাইদহ হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের অ্যাম্বলুন্সে চালক বকুল মিয়ার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ দায়ের করেছেন রোগী ও স্বজনের।

জানা গেছে, বকুল মিয়া ২০০৮ সালে সদর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালক হিসেবে যোগদান করেন। এর পর কয়েক দফায় তাকে বদলি করা হয়। সম্প্রতি ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে তিনি আবারো সদর হাসপাতালে যোগদান করেন। এরপর থেকে নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন তিনি।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বকুল মিয়া নিজে অ্যাম্বুলেন্স না চালিয়ে অধিকাংশ সময় তার ছেলের দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স চালান। কোনো সংকটাপন্ন রোগীকে দূরে রের্ফাড করলে তিনি ওই রোগীর স্বজনদের সঙ্গে মোটা অংকের ভাড়া চুক্তি করে অন্য অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দেন। নিজের তিনটি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে তার। যা নিয়ম বর্হিভূত। এছাড়াও হাসপাতাল এলাকায় প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স চালকদের নিয়ে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। যাদের দ্বারা প্রতিনিয়িত হয়রানির শিকার হচ্ছেন রোগ ও স্বজনেরা।

আরাফাত হোসেন নামের এক রোগীর স্বজন বলেন,‘আমার বোন সদর হাসপাতালে ভর্তি ছিল। তার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় চিকিৎসকেরা তাকে ঢাকায় রের্ফাড করে। পরে আমারা সদর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় যাওয়ার জন্য সাড়ে আট হাজার টাাকায় ভাড়া করি। হাসপাতাল থেকে কিছু পথ যাওয়ার পর দেখি অ্যাম্বুলেন্স চালক বুকুল মিয়া গাড়ী বন্ধ করে বসে আছে। আধা ঘন্টা পর ঢাকার একটি হাসপাতালের আ্যাম্বুলেন্সে আমাদের তুলে দেয়। পওে জানতে পারি ওই অ্যাম্বুলেন্স চালককে তিন হাজার টাকা দিয়েছেন বকুল মিয়া।’

অভিযোগের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালক বকুল মিয়া।

এ ব্যাপারে সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ এসেছে। আমরা ঊর্ধতন কতৃপক্ষের সঙ্গে এ নিয়ে আলাপ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’