ঝিনাইদহে ইয়াবাসহ ৬ মাদক ব্যবসায়ী আটক

ঝিনাইদহে ইয়াবাসহ ৬ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ। গতকাল শনিবার রাতে ঝিনাইদহ শহরের মডার্ন মোড় এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহীন উদ্দিন জানান, শহরের মর্ডান মোড় এলাকায় মাদক ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সদর থানা পুলিশ অভিযান চালায়। সেসময় সাজ্জাদ হোসেন টিপু, জীবন হোসেন, রাসেল মিয়া, ইয়ারুল ইসলাম, আনিচ হোসেন ও শামীম হোসেনকে আটক করা হয়। পরে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ১০০ পিচ ইয়াবা। আটকৃকতদের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।

এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা করা হয়েছে। পরে আটকৃকতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।




মেহেরপুরে জাগো মেহেরপুর সংগঠনের উদ্যোগে চাদর বিতরণ

মেহেরপুরের জাগো মেহেরপুর সংগঠনের  উদ্যোগে অসহায়, দরিদ্র এবং রিকশা চালোকদের মাঝে চাদর বিতরণের আয়োজন করা হয়।

আজ রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মেহেরপুর পাবলিক লাইব্রেরীর হল রুমে চাদর বিতরণের আয়োজন করা হয়।

জাগো মেহেরপুর সংগঠনের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী নাজিব হাসান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন মেহেরপুর জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট পল্লব ভট্টাচার্য, জাগো মেহেরপুর সংগঠনের মুখপাত্র শোয়েব রহমান সহ জাগো মেহেরপুর সংগঠনের বিভিন্ন কর্মীবৃন্দ।

জাগো মেহেরপুর সংগঠনের উদ্যোগে চাদর বিতরণ অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন জাগো মেহেরপুর সংগঠনের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল আলিম।

উল্লেখ্য,জাগো মেহেরপুর সংগঠনের উদ্যোগে মেহেরপুর শহর ও গাংনী পৌর এলাকার ৭০০ ভ্যান চালকদের মাঝে চাদর বিতরণ করা হয়েছে।




কুষ্টিয়ায় প্রথমবারের মতো সুপারফুড ‘চিয়া বীজ’ চাষ

প্রথমবারের মতো কুষ্টিয়া কুমারখালীতে চাষ হচ্ছে সুপারফুড চিয়া বীজ। উপজেলার জগন্নাথপুর মাঠে ১০ শতাংশ জমিতে চিয়া বীজ চাষ করেছেন মহিউদ্দিন নামে এক কৃষক। আশানুরূপ ফলনের প্রত্যাশা করছেন তিনি।

জগন্নাথপুর মাঠে বিস্তীর্ণ জমিতে গাঢ় সবুজ রঙের গাছ দুলছে। প্রতিটি গাছ লম্বায় প্রায় তিন ফুট। গাছে বেগুনি রঙের ফুল এসেছে। এসেছে গুটি গুটি ফলও। এর নাম ‘চিয়া বীজ’।

চিয়া সিড পুষ্টিকর খাবার। এতে আছে দুধের চেয়ে ৫ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম, কমলার চেয়ে ৭ গুণ বেশি ভিটামিন সি, পালং শাকের চেয়ে ৩ গুণ বেশি আয়রন, কলার চেয়ে দ্বিগুণ পটাশিয়াম, মুরগির ডিম থেকে ৩ গুণ বেশি প্রোটিন, স্যামন মাছের চেয়ে ৮ গুণ বেশি ওমেগা-৩। পুষ্টিকর এই খাবারটি সপ্তাহের সাত দিনই খাওয়া যায়। তবে ৩-৪ দিন খেলেও শরীরে উপকারে আসে।

উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের কৃষক মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, কৃষি বিভাগের পরামর্শে তিনি এই নতুন ফসল ১০ শতাংশ জমিতে চাষ করেছেন। কৃষি বিভাগ বীজ সরবরাহ করেছে এবং চাষ পদ্ধতি শিখিয়ে দিয়েছে।

কৃষক রা’ বলেন, এর আগে এই ফসল কোনোদিন দেখিনি। কৃষি বিভাগ থেকে জেনেছি, এই ফসল মানব শরীরের জন্য খুবই উপকারী। বাজারে এই ফসলের মূল্য অনেক বেশি। ভালো ফলন ও বাজার সুবিধা পেলে আগামীতে আরও বেশি জমিতে এই ফসল চাষ করবে বলেন স্থানীয় কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চিয়া বীজ মধ্য আমেরিকার একটি উদ্ভিদ। পুদিনার একটি প্রজাতি। বিভিন্ন পোষক পদার্থের উপস্থিতির জন্য এটিকে সুপারফুড বলা হয়। প্রতি বিঘা জমিতে চিয়া বীজ উৎপাদন করতে খরচ হয় ১২-১৫ হাজার টাকা। বীজ উৎপাদন হয় ৭০-৮০ কেজি। প্রতি কেজি বীজ বিক্রি হয় ৭০০-১০০০ টাকা দরে। নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে চিয়া বীজ বপন করতে হয়। ফলন ঘরে তোলা যায় মার্চের শেষ থেকে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে। চিয়া বীজ উৎপাদনে জৈবসারের ব্যবহার বেশি করতে হয়।

বিভিন্ন গবেষণার সূত্র উল্লেখ করে কৃষি বিভাগ জানায়, শর্করা, ফাইবার, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাসসহ একাধিক খনিজ পদার্থ রয়েছে চিয়া বীজে। এ ছাড়া, একাধিক ভিটামিন ও প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট রয়েছে চিয়া বীজে। রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডও। ফলে শরীরে পাচনতন্ত্র ও মেটাবলিজমের জন্য অত্যন্ত উপকারী চিয়া বীজ। চিয়া বীজে ফাইবারের পরিমাণ থাকে অনেক। প্রয়োজনীয় ফাইবার পাওয়া যায় এই বীজ থেকে। ফাইবারের প্রাধান্যের কারণে হজম প্রক্রিয়া ভালো থাকে।

চিয়া বীজ পাচন প্রক্রিয়া ঠিক রাখায় কমতে পারে ওজনও। এ ছাড়াও, শরীরে অতিরিক্ত চর্বি কমাতেও সহায়ক। চিয়া বীজ খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের সমস্যা কমে। রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এই বীজ।

ফল বা দইয়ের মতো বিভিন্ন ধরনের খাবারের সঙ্গে খেতে হয় এই বীজ। পানিতে ভিজিয়ে রেখেও খাওয়া যায়। শরবতে ব্যবহার করা যায়। লেবুর রসের সঙ্গে বা দুগ্ধজাত পদার্থের সঙ্গে মিশিয়েও খাওয়া যায়।

কৃষক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতাম যে, চিয়া বীজ অনেক পুষ্টিকর খাদ্য। পরীক্ষামূলক ভাবে ১০ শতাংশ জমিতে এবার চিয়া বীজ চাষ করছি । প্রথমে যশোর কৃষি গবেষণা কেন্দ্র থেকে চিয়া বীজ পেয়ে এই চাষ শুরু করি । আশানুরূপ ফলন পেলে অবশ্যই আরো বেশি জমিতে চাষ করবো। চিয়া চাষ অত্যন্ত লাভজনক হওয়ায় এই চাষে দিন দিন কৃষকরা আগ্রহ হবে বলে মনে করেন তিনি।

উপজেলা উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন, কুমারখালীতে এই প্রথম চিয়া বীজ এর চাষ হচ্ছে উপজেলার জগন্নাথপুর মাঠে। এই চাষটি খুব লাভজনক হওয়ায় আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি যাতে তারা চাষটি বৃদ্ধি করে।

কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ দেবাশীষ কুমার দাস বলেন, ‘চিয়া বীজ খেলে মানবদেহের শক্তি ও কর্মক্ষমতা বাড়ে। এ বীজ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করে। সেই সঙ্গে ওজন কমানো, সুগার স্বাভাবিক রাখা, হাড়ের ক্ষয়রোধ করে। এ ছাড়া প্রচুর পরিমাণ ফাইবারসমৃদ্ধ চিয়া পেট পরিষ্কার রাখে ফলে কোলন ক্যানসারের ঝুঁকিও কমায়। উপজেলা কৃষি অফিস সব সময় কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। এই চাষ আরো বাড়বে বলে আশা করেন তিনি। সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করে যাচ্ছে কৃষি অফিস।




গাংনীতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও মহান শহীদ দিবসের প্রস্তুতি সভা

মেহেরপুরের গাংনীতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও মহান শহীদ দিবস-২০২৪ যথাযোগ্য মর্যাদায় উৎযাপন উপলক্ষে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গাংনী উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আজ রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকাল চারটার সময় উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে এই প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতিমুলক সভায় উপস্থিত ছিলেন, দেশ বরণ্য কথা সাহিত্যিক রফিকুর রশীদ, গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাদির হোসেন শামীম, গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম, গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার আদিলা আজহার, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুনতাজ আলী, গাংনী ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি ইনামুল হক, গাংনী উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আমিরুল ইসলাম অল্ডাম, সাংস্কৃতিক সংগঠক আজিজুল হক রানু।

এসময় বিভিন্ন স্কুল কলেজের প্রধান, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সরকারি দফতরের কর্মকর্তা, সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




স্নাতক পাসে নিয়োগ দেবে ব্র্যাক ব্যাংক

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটিতে রিলেশনশিপ অফিসার পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম

রিলেশনশিপ অফিসার, ব্রাঞ্চ মার্কেটিং।

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা

প্রার্থীকে ভালো ফলাফলসহ স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেকোনো বিষয়ে চার বছর মেয়াদি স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। ডিপোজিটভিত্তিক সেলসে অন্তত দুই বছর অথবা কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অন্তত চার বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। যোগাযোগে দক্ষ হতে হবে। গ্রাহককেন্দ্রিক মানসিকতা থাকতে হবে। এমএস অফিস অ্যাপ্লিকেশনসহ ব্যাংকিং/ফিন্যান্সিয়াল সফটওয়্যারের কাজ জানতে হবে।

কর্মস্থল

যেকোনো স্থান।

বেতন

আলোচনা সাপেক্ষে।

আবেদন প্রক্রিয়া

আগ্রহীরা প্রার্থীরা বিডিজবস এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ তারিখ

১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪।

সূত্র : বিডিজবস




গাংনীতে ৪৮ ইটভাটার সব অবৈধ, পুড়ছে কাঠ

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে প্রায় অর্ধশত অবৈধ ইটভাটা। উপজেলা প্রশাসনের তালিকা অনুযায়ী বর্তমান চলমান ইটভাটার সংখ্যা ৪৮টি। এসকল ইটভাটার কোনটাতেই নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। ইটভাটা মালিকরা নানা কৌশলে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করছেন। বছরে কয়েকবার পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে অভিযান চালিয়ে শুধুমাত্র রাস্তার পাশে অবস্থিত কয়েকটি ভাটা মালিকের জরিমানা করলেও অনেকেই থেকে যান অধরা। এছাড়াও যে কয়েকটি ভাটায় জরিমানা করা হয় সে জরিমানার টাকা সমস্ত ইট ভাটা মালিকরা সমভাবে ভাগ করে দেন সমিতির মাধ্যমে। পরিবেশ অধিদপ্তর ও ইটভাটা মালিকদের অদৃশ্য সমঝোতায় ভাটা পরিচালনা করা হচ্ছে বলেও জনশ্রুতি রয়েছে।

উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে জনবসতি এলাকায় ইটভাটা স্থাপন করা হয়েছে। জনবসতি এলাকার ইটভাটাগুলি থাকে ধরা ছোয়ার বাইরে। অনেক ইটভাটায় কয়লার বদলে পুড়ানো হচ্ছে কাঠ। কাঠ পুড়ানোর জন্য মিলেই স্থাপন করা হয়েছে মিনি করাত কল। আইন থাকলেও প্রয়োগ না থাকায় জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন ।

প্রাপ্ত তথ্যমতে গাংনী উপজেলায় কয়েক বছরে মোট ৫৮ টি ইটভাটা গড়ে উঠেছিল। বেশীরভাগ ইটভাটায় পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে বৈধতার কোন কাগজ পত্র নাই। গত বছরে বেশ কয়েকটি ইটভাটা বন্ধ হওয়ায় বর্তমানে ৪৮টি ইটভাটা চালু রযেছে। যা গাংনী পৌরসভাসহ উপজেলার অন্যান্য অঞ্চলে অবস্থতি রয়েছে। প্রভাবশালী রাজনীতিকরা প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে ক্ষমতার জোরে ইটভাটা তৈরী করছে। ভাটার চিমনি তৈরীতে সরকারী নির্দেশনা থাকলেও ইটভাটা মালিকরা ১২০ ফুটের পরির্বতে কোন কোন জায়গায় ৮৫ ফুট,৬০ফুট ৪০ফুট চিমনি ব্যবহার করছে। ইটভাটায় কাঠ জ¦ালানী নিষিদ্ধ থাকলেও ইটভাটা মালিকরা আইনের তোয়াক্কা না করে ভাটার পাশেই করাত কল স্থাপন করে গাছ ফাড়াই করে জ¦ালানী হিসেবে ব্যবহার করছেন দেদারছে।

সরকারী নির্দেশ ইট পোড়ানো নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৮৯ ও ২০০১ সনের ১৭নং অনুচ্ছেদের ৪ ও ৫ ধারায় উল্লেখ রয়েছে যে,আবাদি জমিতে কোন ইটভাটা তৈরী করা যাবেনা। ১২০ফুট উচুঁ চিমনি ব্যবহার করতে হবে এমন নির্দেশনা থাকলেও তা মানা হয়নি গাংনী উপজেলার কোন ইটভাটাতে।

সরকারী নির্দেশনা উপেক্ষা করে ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি এনামুল হকসহ গাংনী পৌর এলাকার মালসাদহ গ্রামের আবাদি সবজি জমিতে ইটভাটা নির্মান করে অবৈধ ভাবে কয়লার বদলে পোড়াচ্ছে কাঠ। ইটভাটা স্থপান করার ফলে রাস্তার পার্শের অনেক গাছ গাছালি মারা গেছে।
গাংনী থানা হয়ে ধানখোলা রোডে রাস্তার পার্শ্বে রাস্তা দখল করে গড়ে তুলেছে ইটভাটা। ফলে যেকোন মুহুর্তে ঘটতে পরে দুর্ঘটনা। ইটভাটায় চালিত ইট বহনকারি ট্রলিগুলির চালকরা হচ্ছেন বেশিরভাগই অপ্রাপ্ত বয়স্কো। এসকল ইট বহনকারি ট্রলি বিভিন্ন সড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ইট বহনারি ট্রলির চাপায় শিশুসহ অনেকেই নিহত হওয়ায় ঘটনাও অনেক বেশি।

আর এ সকল ইটভাটায় প্রতিদিন জ্বালানী কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। আর এসব কাঠের উৎস সংরক্ষিত বা গৃহস্থালীর বাগান। ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। ছড়াচ্ছে বিভিন্ন রোগবালাই। এতে পরিবেশ যেমন নষ্ট হচ্ছে,তেমনি নষ্ট হচ্ছে আবাদী জমি, উজাড় হচ্ছে গাছ পালা, ভারসাম্য হারাচ্ছে প্রকৃতি। ইটভাটার আশপাশের আবাদি জমির মালিকরা ফসল ফলাতে পারছেন না তাদের জমিতে।

সচেতন মহলের অভিযোগ, যেখানে সেখানে ইটভাটা তৈরী হওয়ায় আবাদী জমিগুলো নষ্ট হচ্ছে। একটি ইটভাটা তৈরী করতে কমপক্ষে ৭/৮ একর জমির প্রয়োজন হয়। অনেক সময় মাটির প্রয়োজন হলে এলাকার লোকজনের কাছ থেকে আবাদি জমির উপরের এক থেকে দেড়ফুট মাটি কেটে ইট তৈরী করে।এতে ফসলী জমির উর্বরা শক্তি নষ্ট হয়। শুধু তাই নয়, ইটভাটার নির্গত কালো ধোঁয়ায় এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে ও আবাদি জমির ফসল নষ্ট হচ্ছে।কোন ইটভাটায় অনুমতিপত্রের শর্তানুযায়ী এক টুকরা কয়লা ব্যবহার করা হয় না। ব্যবহার করা হয় কাঠ। বিশেষ করে ফলজ ও বনজ বৃক্ষ ছাড়াও বাঁশের মোথা ব্যবহারের ফলে বাঁশঝাড় উজাড় হচ্ছে।

সরকারী নির্দেশনা উপেক্ষা করে এসকল ইটভাটায় কয়লার বদলে কাঠ ব্যবহার করা হচ্ছে। মাঝে মধ্যে প্রশাসনের লোকজন জরিমানা আদায় করলেও ইটভাটা বন্ধ করেনা। ফলে প্রভাবশালীরা প্রতি বছর নতুন নতুন ইটভাটা তৈরী করছে।

গাংনী উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি এনামুল হক জানান, সরকারী ভাবে কাঠ পোড়ানো নিষেধ রয়েছে তার পরেও আমরা কাঠ জ্বালানী হিসাবে ব্যবহার করছি। পার্শ্ববর্তী কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন ইটভাটায় কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন মিলে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। বাংলাদেশে সবজায়গায় অনিয়মের মাধ্যমে কাজ চলছে ।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সু-প্রভা রানী জানান, ইটভাটায় নির্গত কালো ধোঁয়ায় মানুষের শ্বাসকষ্ট, হাপানি, ক্যান্সারসহ নানা রোগের সৃষ্টি হয়। তাছাড়া অতিরিক্ত কার্বণ-ডাই অক্সাইডের কারণে ফসল ও এলাকার পরিবেশ নষ্ট হয়। অনতি বিলম্বে পরিবেশ রক্ষায় প্রশাসনিক পদক্ষেপ জরুরী।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা বলেন, ইটভাটায় করাত কল স্থাপন করা হয়েছে এমন তথ্য আমার কাছে নেই। তাছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তর কয়েকদিন আগে মেহেরপুর সদরে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করেছে। গাংনীতেও পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান হবে।




এই ভালোবাসা দিবসে ভালোবাসা হোক অকৃপণ

ভালোবাসা প্রকাশের কোন নির্দিষ্ট দিনের প্রয়োজন নেই। যেকোন সময়ই সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে প্রতিটি মানুষের মনেই প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা থাকা এবং তা প্রকাশ করা উদারতার পরিচয় বহন করে।

তবে ভালোবাসার মৌসুম এলে যেন প্রতিটি দিনই মানুষের জন্য ভালোবাসা প্রকাশের দিন। যদিও মানুষকে ভালো রাখার চেষ্টা সবসময়ই থাকে তবু ফেব্রুয়ারি মাস অর্থাৎ ভালোবাসার এ মৌসুমে প্রিয় মানুষের জন্য ভালোবাসা প্রকাশ করার উচ্ছ্বাস কিছুটা ভিন্ন হলে দোষের কী?

ভালোবাসা হলো পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্লভ আর আকাঙ্ক্ষিত একটি চাওয়া, যা কখনো জোড় করে পাওয়া যায় না। অন্যভাবে বলতে গেলে ভালোবাসা এক অজানা অদেখা অনুভূতি। এর অনুভব কেবল সেই করতে পারে যার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ পায়। প্রকৃতির সব প্রাণীর মাঝেই ভালবাসা পরিলক্ষিত হলেও মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা যেন আলাদা এক নজির। যা পৃথিবীর অন্যকোন প্রাণীর মধ্যে দেখা যায় না।

সৃষ্টিজগৎকে না ভালোবাসলে স্রষ্টাকেও ভালোবাসা যায় না। মানুষ প্রকৃতিপ্রেমে নিমগ্ন হয়, অনেকে আপনজনহীন হয়েও একদল অনাত্মীয়ের ভিড়ে সারা জীবন কাটিয়ে দিতে পারে। কেউ অসহায় কোনো মানুষ, শিশু বা জীবজন্তুকেও নিঃস্বার্থভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়।

মানুষ স্বভাবতই নিজেকে ভালোবাসে। আর নিজেকে ভালোবাসলে অবশ্যই তার প্রিয় মানুষের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে। ভালোবাসার বিনিময়ে প্রিয় মানুষের মুখের হাসি সবারই সুখের কারণ। আর ভালোবাসার মাস এলে তো তার আয়োজন কিছুটা বেড়ে যেতেই পারে। ১৪ ফেব্রোয়ারী বিশ্ব ভালোবাসা দিবস পালিত হয়। এই দিনটিতে ভালোবাসার সার্বজনীন উৎসব হিসেবে পালন করা হয়।

যদিও অনেকে এই দিবসটির সমালোচনা করেন। তবু থেমে নেই এই ভালোবাসা দিবসে ভালবাসার মানুষকে ফুল দেওয়া, গ্রিটিংস কার্ড দেওয়া, চকলেট দেওয়া, অলংকারসহ নানা উপহার দেয়া।

ভালোবাসাহীন পৃথিবীতে বেঁচে থাকা দায়। কঠিন এই পৃথিবীতে ভালোবাসার মত মধুর অনুভূতি না থাকলে কষ্টের অতল গহীনে তলিয়ে মরতে হবে। তাই সারা বছরতো বটেই ভালোবাসার এ মৌসুমে কৃপণতা না করে প্রিয় মানুষের প্রতি ভালোবাসার প্রকাশটুকু হওয়া উচিত উদারচিত্তে।

সূত্র: ইত্তেফাক




বঙ্গবন্ধু কৃষক, শ্রমিক খেটে খাওয়া মানুষকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন- এমপি সাগর

মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ডাক্তার এএসএম নাজমুল হক সাগর বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের কৃষক, শ্রমিক খেটে খাওয়া মানুষকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। আপনারা সেই সমাজের মানুষ। বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরী হিসেবে আমরাও সেই সম্মান রাখতে চাই।

আজ রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গাংনী উপজেলা অডিটরিয়ামে ভ্যান চালকদের মাঝে চাদর বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

জাগো মেহেরপুরের আয়োজনে স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আশ্রয় নারী উন্নয়ন সংস্থা, বিশ্বাস পরিবার ও সচিন্দ্র বিশ্বাস ফাউন্ডেশন এই শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাগো মেহেরপুরের আহবায়ক, বিশ্বাস পরিবারের মুখপত্র ও বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক সংগঠক সিরাজুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, গাংনী পৌরসভার মেয়র আহম্মেদ আলী, গাংনী সরকারি ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মনিরুল ইসলাম, গাংনী বাজার কমিটির সভাপতি সালাহউদ্দিন শাওন, জাগো মেহেরপুরের মুখপাত্র শোয়েব রহমান।

জাগো মেহেরপুরের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল আলীমের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আশ্রয় নারী উন্নয়ন সংস্থার পরিচালক আজিজুল হক রানু, সচিন্দ্রনাথ বিশ্বাস ফাউন্ডেশনের পরিচালক অশোক চন্দ্র বিশ্বাস প্রমুখ।

জাগো মেহেরপুরের আহবায়ক ও বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক সংগঠক সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শীতবস্ত্র (চাদর) বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক্তার এএসএম নাজমুল হক সাগর বলেন শেখ হাসিনা সরকারের বিগত তিনবারের উন্নয়ন দেখে দেশবাসী আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছেন। উন্নয়নের সেই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার উন্নয়ন অব্যাহত রাখবে। আর যে জাতি যত সুশৃঙ্খল, সেই জাতিই উন্নতি করবে। বিগত দিনে গাংনীর মানুষ সেটা দেখিয়েছেন। গাংনী উপজেলার প্রতিটি শ্রেনী পেশার মানুষ এখন সুশৃংখল ও দায়িত্ব শীল।

গাংনীর মানুষের চিকিৎসা ক্ষেত্রে সব সময় পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে প্রধান অতিথি আরও বলেন, গাংনীর মানুষের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেে পুর্ণাঙ্গ সেবাদানের জন্য তৈরী করা হবে। আপদে বিপদে একে অপরের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতা করার আহবান জানান প্রধান অতিথি।

উল্লেখ্য,জাগো মেহেরপুরের উদ্যোগে মেহেরপুর শহর ও গাংনী পৌর এলাকার ৭০০ ভ্যান চালকদের মাঝে শীতবস্ত্র (চাদর) বিতরণ করা হয়েছে।




গুগলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এখন জেমিনি

গুগল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে গুগল বার্ড আর এখন থেকে নেই। গুগল সম্প্রতি তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে জেমিনি নামকরণ করেছে। জেমিনির জন্য আলাদা একটি অ্যাপও রিলিজ করা হয়েছে।

গুগল জানিয়েছে, জেমিনি আল্ট্রা ১.০ নামে লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। প্লেস্টোর থেকে জেমিনি অ্যাপ ইনস্টল করলে প্রধান অ্যাসিস্ট্যান্টের বদলে জেমিনি এখন মোবাইল অ্যাসিস্ট্যান্ট হয়ে উঠবে।

সূত্র: দ্য ভার্জ




মুজিবনগরে কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

মুজিবনগরে গ্রামের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে সহযোগিতার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে প্রতিষ্ঠিত করার প্রত্যয়ে। ২০১৭ সালে মুজিবনগর উপজেলার সোনাপুর গ্রামে গড়ে ওঠে মুজিবনগর কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন। গ্রামের সাধারণ জনগোষ্ঠীর নিজেদের টাকার সঞ্চয় দিয়ে তিল তিল করে গড়ে ওঠে মুজিবনগর কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন। এই ক্রেডিট ইউনিয়ন স্বচ্ছতার মাধ্যমে বিভিন্ন স্কিম এর আওতায় তাদের ৯৮৬ জন সদস্যদেরকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে।

সেই ক্রেডিট ইউনিয়ন মুজিবনগর কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিঃ এর ৭ তম বার্ষিক সাধারণ সভা -২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে নয় টার সময় মুজিবনগর কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন এর অফিস প্রাঙ্গনে এই সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মুজিবনগর কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের সদস্য ওমর ফারুকের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুজিবনগর উপজেলা সমবায় অফিসার জহুরুল ইসলাম।

প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, মুজিবনগর কো অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রকিবুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ,বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ড সদস্য সোহরাব হোসেন, মুজিবনগর কো অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের সহ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, জেনারেল ম্যানেজার মতিয়ার রহমান, সদস্য শাহজাহান গাজী।

এসময় মুজিবনগর কো- অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং মুজিবনগর কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের ৯৮৬ জন সদস্য ও সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।