কুষ্টিয়ায় সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন মেহেরুন্নেসা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে প্রার্থী হতে দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বাংলাদেশ মহিলা শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ও কুষ্টিয়া জেলা মহিলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেরুন্নেসা বিউটি।

আজ শনিবার বেলা ১২ টায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।

দলীয় মনোনয়ন নিয়ে মেহেরুন্নেসা বিউটি সাংবাদিকদের বলেন, আমার রাজনৈতিক জীবনে প্রতিটি আন্দোলনে আমি প্রত্যক্ষভাবে অংশ নিয়েছি। সেই সুবাদে আমি মনোনয়ন নিয়ে আশাবাদী। মূলত যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, প্রত্যেককেই যোগ্য বলে মনে করি। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ নেত্রীর হাতে। নেত্রী আমাকে যোগ্য মনে করলে আমি মনোনয়ন পাবো।

তিনি আরও বলেন, আমি সবসময় মানুষের উপকার করার চেষ্টায় থাকি। কুষ্টিয়াবাসীর জন্য ভালো কাজ করার জন্য আমি সদা প্রস্তুত। এবার সংরক্ষিত আসনের এমপি হলে ইনশাল্লাহ আরও ভালোভাবে কুষ্টিয়াবাসীর জন্য কাজ করবো।

উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য ৬ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) সকাল ১০টা থেকে মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু করে আওয়ামী লীগ। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪ টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়।




দর্শনা সাহিত্য পরিষদের আহ্বায়ক কমিটি গঠন

দর্শনা সাহিত্য পরিষদের কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। সংগঠনের কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে সাহিত্য পরিষদের সদস্য কবি সাহিত্যিকদের সম্মতিক্রমে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙ্গে দেওয়া হয়।

আহ্বায়ক কমিটি গঠনের লক্ষ্যে আজ শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সাহিত্য পরিষদের কার্যালয়ে বিকাল ৩টা থেকে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়, সাহিত্য পরিষদের সদস্য কবি সাহিত্যিকদের সম্মতিক্রমে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙ্গে ৭ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির সদস্যগণ হলেন- আহ্বায়ক কবি মুরশিদ আলম, সদস্য, আব্দুল ওয়াদুদ শাহা কলেজের প্রভাষত মিজাানুর রহমান মণ্ডল, ডাক্তার খালেদা খানম, মোঃ নজরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষকা আফসানা মেহজাবিন শাপলা, মোঃ জামাত আলী, বোরহান উদ্দিন টিটু। সভায় আগামী তিন মাসের মধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

কমিটিগঠন করার পরে স্বরচিত কবিতা পাঠের আসর অনুষ্ঠিত হয়, উক্ত অনুষ্ঠানে স্বরচিত লেখা পাঠ করে কবি খালেদা খানম, সাজিবুল ইসলাম, ইমান আলী এরেং, মোঃ আব্দুর রশিদ, আফসানা মেহজাবিন শাপলা, এমদাদুল হক, মোঃ বোরহান উদ্দিন, মিজানুর রহমান মণ্ডল , মোঃ নজরুল ইসলাম, জামাত আলি, মোঃ আসাদ প্রসেনজিৎ মন্ডল প্রমুখ, স্বরচিত কবিতা পাঠের অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কবি ফয়সাল আহমেদ।




দামুড়হুদা মডেল থানার অভিযানে সাজাপ্রাপ্ত ২ আসামী গ্রেফতার

দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৩ মাসের সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।  গতকাল শুক্রবার রাত ১টার দিকে ও সকাল ১১টার দিকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আলমগীর কবিরের নেতৃত্বে এসআই হারুন অর রশিদ ও এএসআই মহানন্দ সঙ্গীয় ফোর্সসহ দামুড়হুদা থানাধীন মুন্সিপুর ও ছোট দুধপাতিলা গ্রামে অভিযান চালায়। অভিযানে মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি মুন্সিপুর গ্রামের মৃত মোস্তাকিনের ছেলে মোঃ আসাদুল হক ও ছোট দুধপাতিলা গ্রামের কাউছার আলীর ছেলে মোঃ মস্তাফিজুর রহমান কে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা দীর্ঘ দিন পালাতক ছিল। অবশেষে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আলমগীর কবীর জানান, ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত সাজা পরোয়ানাভুক্ত দুই পলাতক আসামিদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকালই আসামিদেরকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।




ঝিনাইদহে সামাজিক বিরোধের জেরে পিটিয়ে জখম, থানায় মামলা

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সুরাট ইউনিয়নের সামাজিক বিরোধের জেরে ঝিনাইদহ শহরে একা পেয়ে মোঃ শাকিল হোসেন (২৩) কে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা।

এ ব্যাপারে আহতের ভাই বাদি হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৭/৮ জন অজ্ঞাত নামাকে আসামী করে ঝিনাইদহ সদর থানায় এজাহার দায়ে করেছেন।

আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শহরের প্রিন্স হাসপাতালে পশ্চিম পার্শ্বে পাকা রাস্তার উপর এই ঘটনা ঘটে।

এ ব্যাপারে ভিকটিমের ভাই সদর উপজেলার লাউদিয়া গ্রামের আবু জাফর লস্করের ছেলে গোলাম কিবরিয়া লস্কর বাদি হয়ে সুরাট ইউনিয়নের পূর্ব কৃষ্ণপুর গ্রামের মো: আশরাফ হোসেন (৪৪), পিতা- লোকমান মন্ডল ও কল্যানপুর গ্রামের এনামূল (৩৮), পিতা-ইব্রাহিম, নাজমুল (২৮), পিতা- শহিদুল ইসলাম, আশিক (৩০), পিতা-মকলেছসহ অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দায়ের করেণ। গোলাম কিবরিয়া লস্কর এজাহারে উল্লেখ করেন ১০ ফেব্রুয়ারী সকালে আমার আপন ভাই মোঃ শাকিল হোসেন (২৩) ও বাকের আলী (৪২) ও সাইফুল (৩২), পিতা-শহিদুল ইসলাম ঝিনাইদহ শহর হতে বাজার সওদা করে জনৈক মিলন হোসেন এর ভ্যান যোগে বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা করে সকাল অনুমান সাড়ে ১১ সময় ঝিনাইদহ হামদহ প্রিন্স হাসপাতালের পশ্চিম পার্শ্বে পাকা রাস্তার উপর পৌছানো মাত্রই সামাজিক বিরোধের কারনে পূর্ব থেকে রাস্তার পার্শ্বে ওৎ পেতে থাকা উল্লেখিত আসামীগন সহ অজ্ঞাতনামা আসামী পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে হাতে দেশীয় তৈরী মারাত্নক অস্ত্র-শস্ত্র সহকারে আমার ভাই ও তার সঙ্গে থাকা বারেক আলী এবং সাইফুলকে গতিরোধ করে।

তখন অবস্থার বেগতিক দেখে আমার ভাই শাকিল ভ্যানের উপর থেকে নেমে দৌড় দিলে আসামীরা পিছন ধাওয়া করে পুলিশ লাইনপাড়স্থ জনৈক হাফিজ উকিল এর বাড়ীর সামনে পাকা রাস্তার উপর আমার ভাই শাকিলকে ধরে ফেলে ১নং আসামী আশরাফ হোসেন খুন করার হুকুম দিয়ে সে নিজে তার হাতে থাকা থাকা ধারালো রাম-দা দিয়ে খুনের উদ্দেশ্যে আমার ভাই সাকিল এর মাথা লক্ষ্য করে সজোরে কোপ মারে। মাথা নিচু করে ডান দিয়ে সরিয়ে নিলে কোপটি আমার ভাই শাকিলের বাম কাধের উপর লেগে গুরুতর জখম হয়। এভাবে সকল আসামী ধারালো চাপাতী, লাঠি ও লোহার রড দিয়ে খুনের উদ্দেশ্যে মাথার উপরে এলোপাথাড়ী কোপ মেরে কাটা রক্তাক্ত জখম করে। এভাবে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করে। তখন তার সঙ্গে থাকা, বাকের আলীম সাইফুল ও ভ্যান চালক মিলন হোসেন ঠেকাতে গেলে আসামীরা তাদেরকেও মারপিট করে জখম করে। এছাড়াও এজাহারে আরও উল্লেক করেন, আসামী এনামূল তার জখমী ভাইয়ের গলা থেকে ৮ আনা ওজনের একটি স্বর্নের চেইন ও কিছু নগদ টাকা নিয়ে নেয়। আহতদের ডাক চিৎকারে অনেকেই ছুটে এলে আসামীরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আহত শাকিল কে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। এই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

এ ঘটনায় সুরাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফ হোসেন বলেন আমি এই ঘটনার কিছুই জানিনা, এসব আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। এবিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহীন উদ্দিন জানান এব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি, আমারা তদন্দ করে ব্যবস্থা নিবো।




আলমডাঙ্গা কলেজিয়েট স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা 

আলমডাঙ্গা কলেজিয়েট স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার সকাল ৯টার দিকে কলেজিয়েট হাইস্কুল প্রাঙ্গণে জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ জামশিদুল হক মুনি।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাস।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্নিদ্ধা দাস বলেন, আমি বিশ্বাস করি সকলেই ভাল লেখাপড়া করবে, ক্রীড়া ক্ষেত্রে ভালো অপদান রাখবে, তারপরও বলবো সময় নষ্ট না করে বইয়ের সাথে সম্পর্ক রাখবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেনথানা অফিসার ইনচার্জ শেখ গনি মিয়া, ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি ও আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি খন্দকার শাহ আলম মন্টু,আলমডাঙ্গা পৌর প্যানেল মেয়র জহুরুল ইসলাম স্বপন, পৌর কাউন্সিলর আব্দুল গাফফার, বণিক সমিতির সভাপতি আরেফিন মিয়া মিলন, কোষাধ্যক্ষ আলাউদ্দিন মিয়া, সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক শেখ শফিউজ্জামান।

কলেজিয়েট স্কুলের উপাধাক্ষ শামীম রেজার উপস্থাপনায় আরো বক্তব্য রাখেন ডাক্তার আব্দুল্লাহ আল মামুন, প্রভাষক সিমা খাতুন, সাংবাদিক ছাজেদুল হক মুনি। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী অর্পিতা। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক সাংবাদিক জাফর জুয়েল ও শিক্ষক বৃন্দ। সব শেষে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রথম থেকে তৃতীয় স্থান অধিকারীদের পুরস্কার এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।




আলমডাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে বিদায় ও নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

আলমডাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকার বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা ও নতুন ছাত্রীদের নবীন বরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার সকাল ১১ টার দিকে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হওয়া নবাগত শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ এবং পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধ দাস।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিদ্যালয়ের সভাপতি স্নিগ্ধা দাস বলেন, মনে রেখ শুধু পুথিগত শিক্ষায় শিক্ষিত হলে চলবে না,ভাল মানুষ হতে হবে। ভালো মানুষ হতে পাঠ্য পুস্তক ছাড়াও অন্যান্য বই পড়তে হবে। বিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষক সহ সকলেই প্রতিষ্টানকে সুষ্ট ভাবে পরিচালনা করছেন। তোমরা জানো ফেব্রুয়ারী মাস ভাষার মাস,এই মাসে আমাদের শপথ নিতে হবে দেশকে এগিয়ে নিতে সকলে একত্রে কাজ করবো এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অক্ষুন্ন রাখব।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সোহেল রানা শাহিন, মেহেদী হাসান, নাসরিন খাতুন।বিদ্যালয়ের ছাত্রী নিশাত, রিয়া ও শিক্ষক আশরাফুল ইসলামের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন শিক্ষক মিজানুর রহমান, রাম সাহা, সমীর সাহা, অন্নপূর্ণা, শামীমা ইয়াসমিন, কাবেরী সুলতানা ও পারুলা খাতুন।




আলমডাঙ্গায় মহিলা ভাইসচেয়ারম্যানের ‘প্রক্সি’ পরীক্ষা দিতে এসে যুবতীর কারাদণ্ড

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সমাজতন্ত্র পরীক্ষায় ‘প্রক্সি’ দিতে এসে ধরা পড়েছে সালমা খাতুন নামের এক যুবতী। শনিবার দুপুর ২টার দিকে আলমডাঙ্গা মহিলা কলেজ কেন্দ্র থেকে ওই ‘প্রক্সি’ পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়। পরে সালমা খাতুনকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ। এছাড়া মূল পরীক্ষার্থী কাজী মারজাহান নিতুকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

আটক ‘প্রক্সি’ পরীক্ষার্থী সালমা খাতুন (২৪)। তিনি আলমডাঙ্গা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুপাড়া এলাকার জজহুরুল ইসলামের মেয়ে। এছাড়া বহিষ্কৃত মূল পরিক্ষার্থী মৃত বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজী কামালে মেয়ে ও তিনি আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান।

আলমডাঙ্গা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আনুরা খাতুন বলেন, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে শনিবার বিএ/বিএসসি চতুর্থ বর্ষে সমাজতন্ত্র-৩ পত্রের পরিক্ষা চলছিল। কলেজের শিক্ষার্থী কাজী মারজাহান নিতু মূল পরীক্ষার্থী। নিতুর আসনে বসে সালমা খাতুন পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। দুপুর দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্রের সঙ্গে চেহারা মিলিয়ে স্বাক্ষর নেওয়া হচ্ছিল। জেসিয়ার আসনে বসা পরীক্ষার্থী বোরকা পরে ছিলেন। কিন্তু তিনি বোরকার নিকাব খুলে চেহারা দেখাতে চাইছিলেন না। তাঁর কথাবার্তাও অসংলগ্ন ছিল। পরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি স্বীকার করেন, নিতুর হয়ে তিনি ‘প্রক্সি’ পরীক্ষা দিতে আসেন। পরে ওই ভুয়া পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়। পরে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ তাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। এছাড়া মূল পরিক্ষার্থীকে নিতুকেও বহিস্কার করেন।

আলমডাঙ্গা উপজেলা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ বলেন, দুপুরে খবর পেয়ে তিনি ওই কলেজে যান। কলেজ কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ওই ‘প্রক্সি’ পরীক্ষার্থী সালমাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া মূল পরিক্ষার্থী কাজী মারজাহান নিতুকে বহিস্কার করা হয়েছে।




আলমডাঙ্গায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তার অবৈধ ক্লিনিক বন্ধ

আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার অনুমোদন বিহীন একটি ক্লিনিকে অভিযান চালিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। অভিযানে ক্লিনিক পরিচালনার নিবন্ধন না থাকায় ক্লিনিক ও অপারেশন থিয়েটার বিভাগটি বন্ধ করা হয়েছে। তবে চালু রয়েছে ডায়গনস্টিক কার্যক্রম।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী এ অভিযান পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. আওলিয়ার রহমান।

উপজেলা শহরের ডক্টরস্ কেয়ার এন্ড স্পেলাইজড হসপিটালটি পরিচালনা করতেন আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হাদী জিয়াউদ্দীন আহমেদ। অভিযোগ পাওয়া যায়, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নিজেই অবৈধভাবে বেসরকারি ক্লিনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এরপর সেখানে অভিযান চালায় স্বাস্থ্য বিভাগ।

অভিযান শেষে ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. আওলিয়ার রহমান বলেন, প্রতিষ্ঠানটিতে ডায়গনস্টিক সেন্টারের অনুমোদন আছে। কিন্তু সেখানে ক্লিনিক বা অপারেশন থিয়াটারের নিবন্ধন না থাকলেও সে কার্যক্রম চালানো হচ্ছিল। অভিযানে এর সত্যতা পাওয়া যায় এবং ক্লিনিক ও অপারেশন থিয়েটার বিভাগ বন্ধ করা হয়েছে।

এছাড়া বর্তমানে ওই ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রোগীদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থানন্তরের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।




পাওয়ার ব্যাঙ্ক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, বুঝার উপায়

সাধারণত স্মার্টফোন চার্জ দিতেই নিয়মিত পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহার করেন। শুধু স্মার্টফোন না, ল্যাপটপ ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক গ্যাজেট চার্জ করতে পাওয়ার ব্যাংকটিকে ব্যবহার করেন। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে পাওয়ার ব্যাংকটি ঠিক আছে কি না সে বিষয়ে আমরা খেয়াল করি না। একটি খারাপ পাওয়ার ব্যাংক আপনার জন্য বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই পাওয়ার ব্যাংক পুরনো হয়ে গেলে তার দিকে নজর রাখতে চেষ্টা করুন।

পাওয়ার ব্যাংকে কিছু লক্ষণ দেখা গেলে, সঙ্গে সঙ্গে তা ঠিক করার চেষ্টা করুন। নাহলে ঠিক যে সময় আপনি আপনার ফোনটিকে পাওয়ার ব্যাংকের সাহায্যে চার্জ করছেন, যে কোন সময় সেটা ফেটে যেতে পারে। ফলে পাওয়ার ব্যাংক তো যাবেই, সঙ্গে ফোনটাও নষ্ট হয়ে যাবে। কয়েকটি লক্ষণেই বুঝে নিতে পারবেন আপনার পাওয়ার ব্যাংকটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে-

অতিরিক্ত গরম হওয়া
যদি পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহার বা চার্জে দেওয়ার সময় অতিরিক্ত গরম হয়, তাহলে তা সঙ্গে সঙ্গে চার্জ থেকে খুলে রাখুন। আর কিছুক্ষণের জন্য ওভাবেই রাখুন। বালিশ বা বিছানার উপর রাখবেন না। এতে আরও বেশি গরম হয়ে যেতে পারে। যে কোনো টেবিলের উপর রাখুন। ১৫ মিনিট পরেও যদি দেখেন যে, কোনোভাবেই ঠাণ্ডা হচ্ছে না। তাহলে তা আর ব্যবহার না করাই ভাল।

কম চার্জিং
যদি পাওয়ার ব্যাংক আগের থেকে কম চার্জ হয়, তাহলে পাওয়ার ব্যাকআপ পারফরমেন্স ভাল হয় না। খারাপ পোর্ট বা ক্যাবল ইত্যাদির কারণেও চার্জিং সমস্যা হতে পারে। এটি ঘটলে এটি ব্যবহার করবেন না।

লিকেজ/লিকিং
যদি পাওয়ার ব্যাংক লিক হয় বা কিছু লিক হয়, তাহলে সমস্যা হতে পারে। পাওয়ার ব্যাংকের জন্য এটাও একটা বড় বিপদ। এমন অবস্থায় বৈদ্যুতিক শক লাগতে পারে বা অন্য কোনো ক্ষতি হতে পারে।

বাজে গন্ধ
যদি পাওয়ার ব্যাংক থেকে প্লাস্টিকের পোড়া বা গলে যাওয়ার মতো গন্ধ হয়, তবে এটি ত্রুটির লক্ষণ। এমন অবস্থায় পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহার করবেন না, কারণ এতে আগুন লাগার আশঙ্কা থাকবে।

পাওয়ার ব্যাংক ফুলে যাওয়া
যদি পাওয়ার ব্যাংকটিকে ফোলা দেখায়, তাহলে তা আর ব্যবহার করবেন না। আর ভুল করেও চার্জে বসাবেন না। তাতে যখন তখন আগুন লেগে যেতে পারে।

সূত্র: ইত্তেফাক




দামুড়হুদায় ভিক্ষা করে নিজ হাতে গড়লেন দোতলা বাড়ি

পাকা ঘরে ঘুমানোর স্বপ্ন সবারই থাকে। হোক ধনী কিংবা গরিব। তবে ইচ্ছা থাকলেও দালান গড়তে পারেন না অনেক অসহায় মানুষ। কিন্তু নিজে ভিক্ষা করে স্বপ্ন পূরণ করেছেন ৫৫ বছর বয়সী রহিম বক্স ওরফে নমে পাগল। ভিক্ষা করেই সরকারি জমির ওপর ২০ বছর ধরে নিজ হাতে তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন দোতলা বাড়ি।

ভিক্ষুক রহিম বক্সের বাড়ি চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ডুগডুগী গ্রামে। তার বাবার নাম মৃত কিয়ামুদ্দিন। দীর্ঘদিন আগে রহিম বক্সের স্ত্রী চলে গেছেন। রয়েছে এক ছেলে। বাবাকে নিজের কাছে রাখতে চান দিনমজুর সন্তান। কিন্তু ছেলের কাছে থাকতে নারাজ ভিক্ষুক বাবা।

দিন শেষে রাতটুকু নিশ্চিন্তে থাকতে ভিক্ষাবৃত্তির টাকা দিয়ে প্রতিদিন বিকেলে নিজে ঘর মেরামতের কাজ করে যেতেন রহিম বক্স। এভাবেই একটি দোতলা ঘরের পেছনে কাটিয়েছেন ২০ বছর।

প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক রহিম বক্স জানান, তিনি ৩০ বছর ধরে চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর মহাসড়কের দামুড়হুদা উপজেলার ডুগডুগী গ্রামে সড়ক বিভাগের জমির ওপর একটি ঝুপড়ি ঘর করে থাকতেন। ঝড়-বৃষ্টিতে বিভিন্ন সময় তাকে সমস্যায় পড়তে হতো। এমন অবস্থায় ২০০০ সালে তিনি সেখানে নিজ হাতে ইটের গাঁথুনি দিয়ে থাকার মতো ছোট একটি পাকা ঘর তৈরি করেন। তখন থেকেই তার পরিকল্পনা, ওই ঘরের ওপরে আরো একটি ঘর বানানোর।

সেই সময় থেকে সারাদিনের ভিক্ষাবৃত্তির টাকা দিয়ে কিছু কিছু ইট, সিমেন্ট ও বালু কিনতেন। আর প্রতিদিন বিকেলে একটু একটু করে গাঁথুনির কাজ করতেন। ২০ বছর পর এখন সেখানে নিচতলায় দুটি রুম ও ওপরে এক রুম বানিয়েছেন। নিচে দুটি ঘরের মধ্যে একটিতে নিজে থাকেন। থাকার ঘরে মেঝে ও দেয়ালে টাইলস বসানো। বেশ পরিপাটি।

রহিম বক্স আরো জানান, তার দোতলা ঘরে থাকার স্বপ্ন ছিল। সে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। বিভিন্ন সময় সড়ক বিভাগ উচ্ছেদ অভিযান চালালে বসতঘরের ওপর উঠে বসে থাকতেন তিনি। তাকে নামানো যেতো না। এছাড়া এলাকাবাসীর অনুরোধে উচ্ছেদ থেকে তিনি রক্ষা পান।

হাউলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) নিজাম উদ্দীন বলেন, ভিক্ষুক রহিম বক্স ওরফে নমে পাগল প্রায় ৩০ বছর আগে এখানে একটি ঝুপড়ি ঘর বানিয়ে থাকা শুরু করেন। ২০০০ সালের দিকে তিনি কাদামাটি ও ইট দিয়ে একটি পাকা ঘর বানান। এরপর ধীরে ধীরে একইভাবে ইট কুড়িয়ে, সামান্য কিছু সিমেন্ট কিনে নিজ হাতে দোতলার কাজ শুরু করেন।প্রায় ২০ বছর ধরে তিলে তিলে সম্প্রতি সিঁড়িসহ দোতলার কাজ শেষ করে এখানে থাকছেন। সড়ক বিভাগ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করলে তিনি দোতলায় উঠে বসে থাকতেন। তাকে কোনোভাবেই নামানো যেতো না। এছাড়া ভিক্ষুক হিসেবে সবাই ঘরটি না ভাঙার অনুরোধে অভিযান থেকে রক্ষা পান। বর্তমানে তিনি স্বপ্ন পূরণের তৃপ্তি নিয়ে এখানে থাকছেন।