র‍্যাবের অভিযানে গাংনীতে মাদক সহ আটক-১

মাদক বিরোধী এক অভিযানে মাদক ও মাদক বিক্রির টাকাসহ মোঃ সিদ্দিক আলী (৬০) নামের এক মাদক ব্যাবসায়ীকে আটক করেছে র‍্যাব। আটককৃত মোঃ সিদ্দিক আলী (৬০) গাংনী উপজেলার খাসমহল গ্রামের মৃত আনছার আলীর ছেলে। আজ সোমবার এক প্রেস রিলিজের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব সিপিসি ১২ গাংনী ক্যাম্পের কমান্ডার মোঃ মনিরুজ্জামান।

প্রেস রিলিজে জানানো হয়েছে, ১৪ জানুয়ারী রাত সাড়ে ৬ টার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় সিপিসি-মেহেরপুর ক্যাম্পের একটি দল মেহেরপুর জেলার গাংনী থানাধীন ১ নম্বর কাথুলি ইউনিয়নের খাসমহলে মোঃ সিদ্দিক আলী এর চায়ের দোকানের সামনে ৩ গ্রাম হেরোইনসহ সিদ্দিক আলীকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার কাছ থেকে মাদক বিক্রয়ের নগদ ১৬ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।

মো: মনিরুজ্জামান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোঃ সিদ্দিক আলী মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ নেশাজাতীয় মাদকদ্রব্য বিক্রয়ের কথা স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে পরবর্তী আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য গাংনী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।




কোটচাঁদপুরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চুরি করতে গিয়ে হাতে-নাতে ধরা ২

কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চুরি করতে গিয়ে হাতে- নাতে ধরা পড়েছেন,নানী- নাতনী। আজ রবিবার সকালে ধরা পড়ার তাদেরকে পুলিশে সৌপর্দ করেছেন,স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কতৃপক্ষ।

জানা যায়, রবিবার সকালে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসেন সখিনা বেগম (৪২) আর সোনিয়া খাতুন (২০)। সম্পর্কে নানী- নাতনী টিকিট কেটে লাইনেও দাড়ান তারা। এরপর সুযোগ বুঝে লাইনে দাড়ানো চিকিৎসা নিতে আসা রজিনার ব্যাগে হাত দেন টাকা চুরি করতে। এ সময় হাতে- নাতে ধরে ফেলেন নাতিন সোনিয়াকে। পরে তাঁর কথা মত আটকানো হয় নানী সখিনা বেগমকেও।

পরে খবর দেয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ এসে তাদেরকে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর থানায় নিয়ে যান।

আটকৃত হলেন,যশোর রুপদিয়া এলাকার শহীদ মুন্সীর স্ত্রী সখিনা বেগম (৪২),ও ফরিদপুর বদুরপুরের জিয়ারুলের স্ত্রী সোনিয়া খাতুন (২০)। তারা সম্পর্কে নানী- নাতনী বলে জানা গেছে সংশ্লিষ্ট সুত্রে।

বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুর রশিদ বলেন,যার মালামাল খোয়া গেছে, সে বাদী হবে। এর আগেও চুরি হয়েছে, আমরা তো জিডি করছি।

তিনি বলেন আমরা কতগুলো চুরির বাদি হব। এটা তো প্রতিনিয়ত ৩৬৫ দিনই চুরি হচ্ছে। আমরা সবগুলোর বাদি হয়ে সারা মাস ধরে আদালতে হাজিরা দিয়ে বেড়াই আর কি। তিনি আরো বলেন, এটার বাদি তো পুলিশই হতে পারে।

কোটচাঁদপুর থানার ডিউটি উপপরিদর্শক( এসআই) নাজিবুল হক বলেন,খবর পেয়ে পুলিশ কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে এসেছেন। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।




চুয়াডাঙ্গা জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে আজ রবিবার সকাল দশটার সময় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমার সভাপতিত্বে জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মাসিক সভায় মানব পাচার প্রতিরোধ, চোরাচালান নিরোধ, চোরাচালান মামলা সমূহ নিস্পত্তি ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে মনিটরিং সেলের সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত সভায় সম্পত্তি সংক্রান্ত অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, সন্ত্রাস ও নাশকতামূলক কার্যক্রম পর্যালোচনা, মাদকদ্রব্য ও চোরাচালান নিরোধ, অনিষ্পন্ন চোরাচালান মামলার নিষ্পত্তি ত্বরান্বিতকরণ, সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ, মানব পাচার প্রতিরোধ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা, সড়কের শৃঙ্খলা, ফুটপাত দখলমুক্ত, দ্রব্যমূল্য সহনশীল, দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারসহ সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার উপর বিস্তারিত আলোচনা হয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে জেলার আইন-শৃঙ্খলা ও সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় জেলা প্রশাসন জেলা পুলিশের প্রতিটি সদস্যকে ধন্যবাদ জানান।

উক্ত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান পিপিএম-সেবা, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু, চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রিয়াজুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) নাজিম উদ্দীন আল আজাদ, চুয়াডাঙ্গা জেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার সহ চার উপজেলার নির্বাহী অফিসার বৃন্দ সহ চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ, জনপ্রতিনিধিবৃন্দ, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ এবং মিডিয়া ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।




আলমডাঙ্গায় শীতবস্ত্র বিতরণ

আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় ও আলাউদ্দিন আহমেদ পাঠাগারের উদ্যোগে দুস্থ শীতার্থ মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। আজ রোববার বিকেলে আলাউদ্দিন আহমেদ পাঠাগারের শাখা কার্যালয়ে এ শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়।

অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাস।

আলাউদ্দিন আহমেদ পাঠাগারের পরিচালক কবি গোলাম রহমান চৌধুরির সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাষ্টার,উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা এনামুল হক,আলমডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সভাপতি ওমর আলী মাষ্টার,সাধারণ সম্পাদক কবি,সাহিত্যিক নাট্যকার হামিদুল ইসলাম,গাঙচিল সাহিত্য সাংস্কৃতিক পরিষদের সম্পাদক কবি হাবিবুর রহমান মজুমদার,লিটন চানাচুর ফ্যাক্টরির মালিক হাজী লিটন মিয়া,কবি আব্দুল খালেক,কবি জোয়াদ আলী মন্ডল,বিশারত মন্ডল,বিশিষ্ট ব্যবসায়ি আবুল কালাম আজাদ,সানবিম ক্যাডেট একাডেমীর শিক্ষক বাবু,আমজাদ হোসেন প্রমুখ।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলাউদ্দিন আহমেদ পাঠাগারে এসে পৌছালে তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। পরে শীতার্থ মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করেন প্রধান অতিথি স্নিগ্ধা দাস।এ সময় প্রধান বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলায় সর্বনিম্ম তাপ মাত্রা চলছে।

গরীব দুঃস্থ মানুষ শীতে কষ্ট পাচ্ছে।আমরা প্রশাসনের মাধ্যমে যতটুকু সম্ভব দিয়ে যাচ্ছি।সমাজের বিত্তবানরা যদি এগিয়ে আসেন তাহলে প্রচন্ড শীতে যারা কষ্ট পাচ্ছেন তাদের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হবে।

এখানে কবি গোলাম রহামন প্রতিবছর এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন বলে জানতে পারলাম,তাই তার শীত বস্ত্রের সাথে সরকারি ত্রাণের কম্বল বিতরণ করা হল।




দামুড়হুদায় আলমারী ভেঙ্গে প্রায় ৫ লাখ টাকা চুরির অভিযোগ

দামুড়হুদার পুড়াপাড়ার তাম্মী পোল্ট্রি ফার্মের আলমারী ভেঙ্গে ব্যবসায়ীর ৪ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা চুরির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় হাবিবুর রহমান হাবীব ও তার সহযোগী জহির কে স্থানীয়দের সহযোগিতায় হেফাজতে নেয় দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ।

গতকাল শনিবার রাত ১১ টার দিকে তাদেরকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। এরা হলো দামুড়হুদা উপজেলা সদরের দশমী পাড়ার বকুল হোসেনের ছেলে হাবিবুর রহমান হাবীব ও একই পাড়ার মৃত আবুল কালামের ছেলে জহির হোসেন। এবিষয়ে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী শমশের আলী বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় ৩ জনকে আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, দামুড়হুদা উপজেলার পুড়াপাড়া গ্রামের খোদা বক্স শেখের ছেলে শমশের আলী দামুড়হুদা পুড়াপাড়ায় অবস্থিত তাম্মী পোল্ট্রি ফার্মে ভূষি মালের আড়ত করে দীর্ঘদিন যাবত ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন।

অভিযুক্তদের সাথে সখ্যতা থাকার কারনে তারা প্রায় দিন আড়তে আসা যাওয়া করতো। এরই এক পর্যায়ে শনিবার বিকেল ৪টার দিকে অভিযুক্তরা শমশের আলী’র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাই। আছরের আজান হলে তাদেরকে অফিসে রেখে শমসের আলী নামাজ পরতে যাই। এসে দেখে কেউ নেই। অফিসের আলমারির তালা ভাঙ্গা ও ড্রয়ার মেঝেতে পরে আছে। ওই ড্রয়ারে নগদ ৪ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা রাখা ছিলো। যা চুরি হয়ে যায়। এসময় শমশের আলীর ডাক চিৎকারে ফার্মের কর্মরত শ্রমিকরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসে।

শ্রমিকরা জানায় দামুড়হুদা দশমীপাড়ার বকুল হোসেনের ছেলে হাবিবুর রহমান হাবীব একই পাড়ার মৃত আবুল কালামের ছেলে জহির হোসেন ও দামুড়হুদা গার্লস স্কুল পাড়ার খোকন হোসেনের ছেলে কাশেম আলী ঘরে ঢুকেছিল। এরপর হাবিবুর রহমান ও জহির হোসেন ঘটনাস্থলে আসলে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা ঘটনা অস্বীকার করে। উপস্থিত জনতা উত্তেজিত হয়ে তাদেরকে উত্তম মাধ্যম দিয়ে তাদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ ২ জনকে হেফাজতে নেয়। পরে বাদী ও বিবাদীদ্বয় এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত হয়ে নিজেরায় ২ লক্ষ টাকায় আপোষ মিমাংসা করে এবং থানা থেকে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিলে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া ২ জনকে ছেড়ে দেয়।

উল্লেখ্য হাবিবুর রহমান হাবীব দামুড়হুদা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক। এ ঘটনায় দামুড়হুদা উপজেলা প্রেসক্লাবের এক জরুরী সভার আহবান করা হয়। সভায় দামুড়হুদা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবীব এর বিরুদ্ধে টাকা চুরির অভিযোগ উঠলে তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা করা হয়। টাকা চুরির দায়ে সে দামুড়হুদা মডেল থানা হেফাজতে আছে। তার বিরুদ্ধে টাকা চুরির বিষয়ে পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যার কারনে তার দ্বারা প্রেসক্লাব সহ সাংবাদিকদের সম্মানহানি হয়েছে। যারফলে উপস্থিত সকলের সর্বসম্মতিক্রমে দামুড়হুদা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে মোঃ হাবিবুর রহমান হাবীব কে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয় এবং সাধারণ সভায় তদন্ত সাপেক্ষে স্থায়ীভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

এবিষয়ে ব্যবসায়ী ও দৈনিক আকাশ খবর পত্রিকার দামুড়হুদা প্রতিনিধি সাংবাদিক শমসের আলী বলেন, আমি হাবীব কে নিজের ছোট ভাই এর মতো ভালোবাসতাম। সে আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। সে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ৪ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা আলমারি ভেঙ্গে চুরি করেছে। আমি থানায় লিখত অভিযোগ দিয়েছিলাম। পরে স্থানীয় ভাবে আপোষ মিমাংসা হলে থানা থেকে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়।

এবিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আলমগীর কবির বলেন, কারো কোন অভিযোগ না থাকায় তাদেরকে পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়।




মেহেরপুরে বিএনপির ও অঙ্গ -সংগঠনের লিফলেট বিতরণ

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে মেহেরপুরে গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। রবিবার (১৪ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দলটির নেতাকর্মীরা এ কর্মসূচি পালন করেন।

রবিবার সকাল ৯ টার সময় বড়বাজার কাঁচাবাজার এলাকায় জেলা বিএনপি ও সহযোগী অংক সংগঠনের নেতাকর্মীরা এবং সকাল ১১ টার দিকে শহরের কোর্টমোড় এলাকায় জেলা জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে সড়কে থাকা সাধারণ মানুষ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লিফলেট বিতরণ করা হয়।




গাংনীতে স্মার্ট জাতের টমেটো চাষে কৃষকের বাজিমাত

প্রতি বছরই আগাম জাতের সবজি চাষে বেশি মুনাফা অর্জন করলেও এবার আগাম ও উন্নত জাতের স্মার্ট-১২১৭ জাতের টমেটো চাষে বাজিমাত করেছেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের কৃষক সজিব রহমান।

ইতোমধ্যে দেড় লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করেছেন। আরও লক্ষাধিক টাকার টমেটো বিক্রি করবেন বলে তিনি আশাবাদি। উন্নত জাত ও সঠিক পরিচর্যা ও কৃষি বিভাগের প্রয়োজনীয় পরামর্শ পেলে সবজি চাষিদের ভাগ্যবদলাতে পারে এমন প্রত্যাশা তার। নতুন ও উন্নত জাতের ফসল চাষে মাঠ দিবসের মাধ্যমে স্থানীয় কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে এমন দাবী কৃষি অফিসের।

মেহেরপুর জেলায় এই প্রথম স্মার্ট-১২১৭ জাতের টমেটো আবাদ করেছেন ভাটপাড়া গ্রামের আকবর আলীর ছেলে কৃষক সজিব রহমান। তিনি জানান, এক বীজ কোম্পানীর মাঠ দিবসে অংশ গ্রহন করে স্মার্ট-১৭ জাতের হাইব্রীড টমেটোর বিষয়ে জানতে পারেন তিনি। পরে পরীক্ষামুলক এক বিঘা জমিতে স্মার্ট-১২১৭ জাতের টমেটোর চারা রোপন করেন। তিনমাস যেতে না যেতেই গাছে আসে ফুল ও ফল। প্রতিটি গাছের পাতার নিচে থোকায় থোকায় ঝুলতে দেখা যায় টমেটো। গাছ ঠেকাতে গাছের সাথে বেঁধে দিতে হয় বাঁশের খুঁটি। ইতোমধ্যে তিনি দেড় লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করেছেন। এখনও জমিতে লক্ষাধিক টাকার টমেটো রয়েছে। সঠিক সময়ে কৃষি অফিসের সহায়তা ও নতুন নতুন উন্নত জাত কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারলে আরও লাভবান হওয়া সম্ভব।

কৃষক সজিব রহমানের টমেটো চাষে বাজিমাতের খবরে অনেকেই আসছেন তার কাছে পরামর্শ নিতে। সবজি চাষি শাহীন জানান, তিনি জানান, অন্যান্য জাতের টমেটো চাষে লাভ হয় তবে স্মার্ট জাতের টমেটো চাষে প্রায় তিনগুন লাভ সম্ভব। এবার দুই বিঘা জমিতে এ নতুন জাতের টমেটো আবাদ করবেন বলে জানান তিনি। একই কথা জানালেন রাইপুর গ্রামের সবজি চাষি মিনাজ উদ্দীন।

সবজি চাষি কাবিরুল ইসলাম জানান, শুধু স্মার্ট-১২১৭ জাতের টমেটো নয়, অনেক উন্নত জাত আছে যা চাষিরা জানে না। স্থানীয় কৃষি অফিস যদি ওইসব আবাদ সম্পর্কে ধারনা দেয় তাহলে এই অঞ্চলে সব আবাদেই চাষিরা লাভবান হতে পারে। বিভিন্ন বীজ কোম্পানীর উদ্যোগে চাষিরা আবাদ সম্পর্কে যে টুকু ধারনা পেয়ে থাকে শুধুমাত্র সেটুকুতেই সীমাবদ্ধ। স্থানীয় কৃষি অফিসার ও উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা যদি চাষিদেরকে উন্নত জাত নির্বাচনে সহায়তা করে তাহলে নতুন নতুন আবাদের খোঁজ পাবেন চাষিরা। চাষি সজিবের মতো তিনিও এবার উন্নত ও আগাম জাতের টমেটো আবাদ করবেন এবং সে ব্যাপারে পরামর্শ নিচ্ছেন তিনি।

কৃষি অফিসের হিসেব মতে, এ অঞ্চলে বেশ কয়েকটি আগাম জাতের টমেটো চাষ হয়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বারি টমেটো-৪, বারি টমেটো-৫, রোমা ভিএফএম রোমারিও, টিপু সুলতান, গ্রেট পেলে, ডেল্টা এফ-১, নিউ রুপালী এফ। এগুলো ভরা মৌসুমী জাত। শীতকালে স্বাভাবিক ভাবেই এসব জাতের টমেটো আবাদ হয়ে থাকে। সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে বীজ বপনের পর অক্টোবর – নভেম্বরে এসব জাতের টমেটোর চারা রোপন করা হয়ে থাকে। এসব জাতের টমেটো গাছে ফুল ও ফল আসতে একটু দেরি করে তাই ফলন নিয়েও হতাশায় থাকেন চাষিরা।

গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. ইমরান হোসেন জানান, চলতি বছরে ৬৫ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের টমেটো আবাদ হয়েছে। এতে ১৫০০ মে. টন টমেটো উৎপাদন হবে। যা জেলার চাহিদা পুরুনের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করে চাষিরা লাভবান হবে।

তিনি আরও জানান, এ অঞ্চলের জেলার মাটিতে সব ধরনের ফসল উৎপাদন হয়। যা দেশের অন্যান্য এলাকার চেয়ে এখানকার উৎপাদিত টমেটো ও সবজির সু-স্বাদু হওয়ায় চাহিদা ও দাম ভাল। সে কারনে কৃষক সজিব রহমানের মত কৃষকদের পাশে থেকে মাঠ দিবসের মাধ্যমে বিভিন্ন ফসলের জাত সম্পর্কিত নানা পরামর্শ দিয়ে আসছে কৃষি বিভাগ।




চুয়াডাঙ্গায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিক নিহত

চুয়াডাঙ্গায় নির্মাণাধীন একটি সাততলা ভবন থেকে পড়ে ইয়াসিন আলি (২৬) নামের এক নির্মাণ শ্রমিক নিহত হয়েছে। এঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুই শ্রমিক। রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে শহরের মুক্তিপাড়ায় নির্মাণকাজ করার সময় এঘটনা ঘটে।

নিহত ইয়াসিন আলি চাপাইনবাবগঞ্জ সদর থানা এলাকার কুরবান আলীর ছেলে। আহতরা হলেন, নওগাঁ জেলার পানিহারা গ্রামের বিপদ রবি দাসের ছেলে উত্তম কুমার দাস (২৭) ও চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সুমুরদিয়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে আশিক (২৪)। আহত দুজনের মধ্যে উত্তম কুমারকে চিকিৎসা শেষে ভর্তি করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলি বলেন, ছাদ থেকে পড়ে একজন শ্রমিক নিহত হয়েছে আমরা খবর পেয়েছি এবং সঙ্গে সঙ্গে আমাদের টিম সেখানে কাজ করা শুরু করেছে ইতিমধ্যে। এখনো পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা সদর থানার কোন মামলা বা অভিযোগ আসেনি।




শীতে শিশুর সুস্থতার জন্য বাড়তি যত্ন

সারা দেশেই হঠাৎ করে শীত জেঁকে বসেছে। শীতে আবহাওয়া শুষ্ক ও ধুলাবালি থাকার কারণেই মূলত শিশুরা নানা রোগে আক্রান্ত হয়। তাই এ সময়টা অভিভাবকদের একটু বেশি সচেতন থাকতে হয়। তবে এ সময়টাতে শিশুদের বিশেষ পরিচর্যা নিলে শীতেও শিশুরা সুস্থ থাকবে।

হালকা গরম পানি
শিশুদের ক্ষেত্রে হালকা কুসুম গরম পানি পান করানো উচিত। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর দাঁত ব্রাশ করা, হাত-মুখ ধোঁয়া, খাওয়াসহ শিশুদের নানা কাজে হালকা কুসুম গরম পানি ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে শিশুরা ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্ত থাকবে। শীতে শিশুকে গোসলের সময় শরীরের কাছাকাছি তাপমাত্রার হালকা গরম পানি ব্যবহার করতে পারেন। তবে নবজাতক কিংবা ঠাণ্ডার সমস্যা আছে এমন শিশুর ক্ষেত্রে গরম পানিতে কাপড় ভিজিয়ে পুরো শরীর মুছে দেওয়া যেতে পারে।

উষ্ণ পোশাক
শিশুদের উলের পোশাক পরিয়ে রাখা উচিত। তবে চিকিৎসকের মতে, শিশুদের সরাসরি উলের পোশাক পরানো ঠিক নয়। সুতি কাপড় পরিয়ে তার ওপর উলের পোশাক পরানো উচিত। এতে উলের ক্ষুদ্র লোমে শিশুদের অ্যালার্জি হতে পারে। সুতি কাপড় পরিয়ে তার ওপর উলের পোশাক পরানো উচিত এবং পোশাকটি যেন নরম কাপড়ের হয়। শিশুদের রাতে ঘুমানোর আগে হালকা ফুল হাতা গেঞ্জি পরিয়ে রাখুন এবং সকালে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে ও বিকালের দিকটাতে হালকা শীতের পোশাক পরিয়ে রাখতে পারেন।

খাবার
শীতে শিশুদের খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। ঘন ঘন পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হবে। যেমন ডিমের কুসুম, সবজির স্যুপ এবং ফলের রস, বিশেষ করে গাজর, বিট, টমেটো শিশুদের জন্য বেশ উপকারী। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের শীতের সবজি দিয়ে খিচুড়ি রান্না করে খাওয়াতে পারেন। শিশুরা এ সময় যেন কোনো ধরনের ঠাণ্ডা খাবার না খায় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

ত্বকের যত্ন
শিশুদের ত্বক বড়দের থেকে অনেক বেশি সেনসিটিভ। তাই তাদের ত্বক অনেক বেশি রুক্ষ হয়ে যায়। শিশুর মুখে ও সারা শরীরে বেবি লোশন, বেবি অয়েল, গ্লিসারিন ইত্যাদি ব্যবহার করুন।

সূত্র: ইত্তেফাক




হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনে মিথ্যাচার

গত বছরের অক্টোবরে ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তি করায় এক যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে রংপুর সাইবার ট্রাইব্যুনালে। মামলাটি করেছে গাইবান্ধা পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি শেখ রোহিত হাসান রিন্টু। রংপুর সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক ড. আব্দুল মজিদ মামলাটি আমলে নিয়ে গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত আসামী গ্রেফতার হয়নি।

সম্প্রতি কুড়িগ্রামে জাতীয় পার্টির প্রার্থী পনির উদ্দিন আহমেদ এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে কটুক্তিমুলক বক্তব্য দেন। তবে সেক্ষেত্রে কোন মামলা হয়নি। এমন বক্তব্যের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে কুড়িগ্রাম জেলা যুবলীগ।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রীকে কটুক্তি করেছেন পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সদস্য ও বাংলাদেশ আ’লীগ নৌকা মার্কার প্রার্থীর উপজেলা শাখার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য মাইনুল ইসলাম রনো। তার প্রতিবাদে গত ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় আ’লীগের শ্রম উপকমিটির সদস্য কামরান শহীদ প্রিন্স মহব্বত তার নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন। এক্ষেত্রেও কোন মামলা হয়নি।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তাদের ২০২৪ সালের বৈশ্বিক প্রতিবেদনে বলেছে, বাংলাদেশ সরকার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে সরকারের সমালোচনা করার জন্য মানুষকে গ্রেপ্তার করে ভিন্নমত দমন করেছে এবং সাধারণ নির্বাচনের আগে বিরোধী দলীয় সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যাপক দমন-পীড়ন ও সহিংসতার মাধ্যমে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটের অঙ্গীকারকে ক্ষুন্ন করেছে। সরকার বরাবরই বাক স্বাধীনতাকে সমর্থন করেছে। কারো বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত মামলা করেনি। মামলা হয়েছে ব্যক্তিপর্যায়ে। দেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮-এর ২৫ ধারা অনুযায়ী কোন ব্যক্তি যদি কোন ওয়েবসাইট কিংবা ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ণু করে বা বিভ্রান্তি ছড়ায় কিংবা একই উদ্দেশ্যে অপপ্রচার বা মিথ্যা জানা থাকা সত্ত্বেও কোনো তথ্য সম্পূর্ণ বা আংশিক বিকৃত আকারে প্রকাশ বা প্রচার করেন বা করতে সহায়তা করেন তাহলে সেটি অপরাধ। দেশের আইন অনুযায়ী যে কেউ মামলা করতে পারে। এখানে সরকারের হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর শেখ হাসিনা সরকার টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় ফিরে আসে। এই নির্বাচনের ওপরে অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট প্রক্রিয়ায় আস্থা না থাকার কারণে প্রধান বিরোধী দলগুলো নির্বাচন বর্জন করেছিল। অথচ বিএনপি এবং তাদের সহযোগী কয়েকটি দল নির্বাচন বর্জন করেছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করার দাবিতে। বাংলাদেশের সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের কোন সুযোগ নেই। সেটি পুনরায় ফিরিয়ে আনতে সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন আছে। এটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া আর তাতে একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা থাকায় সংবিধান লঙ্ঘন করা হতো। এছাড়া পশ্চিমা কয়েকটি দেশ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুললেও নতুন সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে। নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আসা আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক এবং বিভিন্ন দেশ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু বলেছে। তাই হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এই দাবিও মিথ্যা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে , মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ১০ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নির্বিচারে গ্রেপ্তার, নির্যাতন, চাঁদাবাজি, এবং নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা ভয় ভীতি দেখানো হচ্ছে। যা একেবারেই বানোয়াট। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অপরাধের মাত্রা দিন দিন বাড়ছে। আর সেটি রোহিঙ্গা নাগরিকদের নিজেদের মধ্যেই। অনেক গণমাধ্যমে এই বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন এসেছে। অনেক আন্তর্জাতিক গনমাধ্যমেও বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের সরবরাহ করার জন্য অস্ত্রের কারখানাও ওই এলাকায় গড়ে তোলা হয়। স্থানীয় নাগরিকরা বরং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কারণে ওই এলাকায় আতংকে আছে।

কক্সবাজারের উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবীর চৌধুরী জানান, আমরাই এখন আতঙ্কে থাকি। রোহিঙ্গারা আসার পর এলাকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি হয়েছে। রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা চুরি, ডাকাতি, খুন, অপহরণ, মাদকসহ নানা ধরনের অপরাধে যুক্ত। এলাকার অনেক মানুষকে তারা অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করেছে। আমরা সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলে বিষয়টি জানিয়েছি। আপাতত রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য আমরা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছি।

আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জানান, ২০১৭ সালের আগেও ক্যাম্পের আশেপাশের এলাকায় মাদকের এত বিস্তার ছিল না। রোহিঙ্গারা আসার পর মাদকের বিস্তার বেড়েছে। আর এই মাদকের কারণে অস্ত্রের ব্যবহারও বাড়ছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো সীমান্তের এত কাছে যে, অপরাধীরা কোনোভাবে সীমান্ত পার হলেই এদের ক্যাম্পে চলে আসে। আর কোন সন্ত্রাসী যদি ওই ক্যাম্পে একবার ঢুকে পড়ে তাহলে তাকে ধরা বেশ কঠিন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার নির্বাচনের আগে বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর ৮ হাজারেরও বেশি নেতা ও সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে, যেন তাদেরকে প্রতিযোগিতায় অক্ষম করা যায় এবং বিরোধী নেতাদের অংশগ্রহণের অযোগ্য ঘোষণা করা যায়- সে চেষ্টা করা হয়। এটি আরেকটি মিথ্যাচার হিউম্যান রাইটস ওয়াচের। শুধুমাত্র সুনির্দিষ্ট মামলার প্রেক্ষিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যেও অনেকেই জামিনে বাইরে আছেন।

বাংলাদেশী মানবাধিকার পর্যবেক্ষকদের মতে, নিরাপত্তাবাহিনী ২০০৯ সাল থেকে ৬০০ টিরও বেশি জোরপূর্বক গুমের ঘটনা ঘটিয়েছে এবং প্রায় ১০০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। মানবাধিকার পর্যবেক্ষকরা হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগের উদ্বেগজনক বৃদ্ধিও লক্ষ্য করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র সরকার র্যা পিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন নামক একটি সশস্ত্র আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় নিয়ে আসার পর জোরপূর্বক গুম হওয়ার ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। এটি আরেকটি মিথ্যাচার। বাংলাদেশে ‘জোর করে গুমের’ শিকার ৭৬ ব্যক্তির তালিকা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। কিন্তু এই তালিকা প্রশ্নবিদ্ধ করছে আন্তর্জাতিক সংস্থাটির গ্রহণযোগ্যতাকে। তালিকায় থাকা ৭৬ জনের মধ্যে অনেকে বাংলাদেশে বসবাস করছে যার প্রমাণ মিলেছে। আবার অনেক তালিকাভুক্ত পলাতক আসামির নাম রয়েছে এখানে। যার কারণে যেই এনজিওগুলোর ওপর নির্ভর করে জাতিসংঘের প্রতিবেদন তৈরি হয়েছে, সেই এনজিওসহ প্রশ্ন উঠছে খোদ জাতিসংঘের তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতি নিয়ে। এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশ্ন তুলেছেন জাতিসংঘের তালিকা নিয়ে। তিনি বলেছেন, জাতিসংঘ তাহলে তদন্ত করে না কেন? ভয়েজ অব আমেরিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা বলেছেন, এ রকম অভিযোগ অনেকে অনেক কিছু দেয় কিন্তু তার কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি। কোনো নাম দিতে পারে না, কোনো কিছুই দিতে পারে না।

‘অনেক সময় দেখা যায়, বলা হচ্ছে অমুক লোক নাই কিন্তু তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। সে ঠিকই জীবিত আছে। আবার কেউ অনেক সময় নিজেরাই পালায়। অনেক সময় ধার-কর্য করে নিজেরাই লুকিয়ে পড়ে; সে ধরনের ঘটনাও আছে। প্রত্যেকটা কিন্তু খোঁজ করে বের করা হচ্ছে,’ বলেন শেখ হাসিনা।

তিনি আরও বলেন, ‘যেখানে এতগুলো নাম দেওয়া হলো, তার মধ্যে কয়েকটা ঘটনাই পাওয়া গেছে সত্য। সেগুলোর সম্পর্কে ঠিকই রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। আর রিপোর্ট দেওয়া হলো না কেন নিজেরা তারা তদন্ত করে দেখুক। নিজেরা তদন্ত করে না কেন, সেটাই তো আমার প্রশ্ন। সেটা করুক।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মানবাধিকার কর্মীদের হয়রানি, নজরদারি এবং আটক করা হচ্ছে। অথচ শুধুমাত্র মিথ্যা তথ্য প্রচার করার জন্য মানবাধিকার কর্মী আদিলুর এবং নাসিরউদ্দিন এলানকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আদালতেও প্রমান হয়েছে। আর তাতে আদালত দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। যদিও রায়ের বিরুদ্ধে আপীল করে এখন জামিনে বাইরে আছেন আদিলুর এবং এলান।