দর্শনা কেরুজ চিনিকলের ৫২ কার্য দিবসে আখ মাড়াই মৌসুম সম্পন্ন

৮৬ বছর বয়সী বুড়ো কেরুজ চিনিকলটি এবারের আখ মাড়াই মৌসুমে চমক সৃষ্টি করলো। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য বয়সের ভারে ন্যুয়ে পড়ে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলা মিলটি চলতি আখ মাড়াই মৌসুমে ছোট খাটো যান্ত্রিক ত্রুটির কবলে পড়লেও।

অন্যান্য মাড়াই মৌসুমের তুলনায় এবারের মৌসুমে আখ মাড়াইয়ের গড়হারও তুলনামূলক বেশী। চিনি আহরণের গড়হার বৃদ্ধি না পেলেও চিনির গুনগত মান এবার বেশ ভালো।

মিলের ব্যবস্থাপনা পরিষদের দক্ষতা, শ্রমিক-কর্মচারীদের আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের ফসল বলেই মন্তব্য সুধী মহলের। ২০২৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর কেরুজ চিনিকলের ২০২৩-২৪ আখ মাড়াই মৌসুমের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন থেকে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সাড়ে ৬৫ হাজার মেট্রিকটন আখ মাড়াই করে ৬.২০ মেট্রিকটন চিনি উৎপাদন করবে কেরুজ চিনিকল।

কেরু চিনিকল সুত্রে জানা গেছে, এ মৌসুমে ৫২ কার্য দিবসে ৬ দশমিক ২০ শতাংশ চিনি আহরনের হার ধরে সাড়ে ৬৫ হাজার মেঃ টন আখ মাড়াই করে ৪ হাজার ৩০ মেঃ টন চিনি উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। যার বিপরীতে মিলজোন এলাকায় ৩ হাজার ৮ শ ২ একর জমিতে আখ করেছে।

এ বিষয়ে কেরু এন্ড কোম্পানীর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন মেহেরপুর প্রতিদিনকে বলেন, আজ রাত ১২ টার দিকে মিলটি বন্ধ হচ্ছে। তবে আগামীতে মিলটি আরও বেশিদিন চলবে বলে তিনি জানান।




গাংনীর গাড়াবাড়ীয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে নবীন বরণ অনুষ্ঠান

গাংনী উপজেলার গাড়াবাড়ীয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ রবিবার ( ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টার সময় গাড়াবাড়ীয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে এ নবীন বরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে মোঃ আশরাফ আলীর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মোঃ মুস্তাকিম রহমান।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ ইমদাদুল হক, ইয়ারুল ইসলাম, এখলাছ উদ্দিন, জিয়াউর রহমান, নিজান উদ্দিন আব্দুস সালাম, ফাত্তাহুল আলম, মানছুরা খাতুন হুরে জান্নাত, রেজিনা খাতুন, তামান্না কারী সহ আরো অনেকে।

পরে প্রধান শিক্ষক মুস্তাকিম রহমান নতুন বছরে নতুন শিক্ষার্থীদের হাতে ফুল দিয়ে বরন করে নেন ও স্কুলের নিয়ম কানন সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের অবগত করেন।




দর্শনায় মাসুদ সংগঠনের দোয়া ও আলোচনা সভা

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় কেরু এ্যান্ড কোম্পানির শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের ৯ম বারের সাধারন সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ সংগঠন কার্যালয়ে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়েছে।

আজ রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টায় মাসুদ সংগঠনের নিজস্ব কার্যালয়ে সি ডি এ সাহেব আলী শিকদারের সভাপতিত্বে এ আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়।

এ আলোচনা ও কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথী হিসাবে বক্তব্য রাখেন,কেরু শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের ৯ম বারের সফল সাধারন সম্পাদক ও বাংলাদেশ চিনিকল ফেডারেশনের দুবারের সভাপতি মাসুদুর রহমান মাসুদ বলেন, আগামী ২৫ সালের নির্বাচনে আমার উত্তরসূরি সৌমিক হাসান রুপমকে দায়িক্তভার অর্পন করছি। আমার শ্রমিকদের অসমাপ্ত কাজগুলো সে করবে। তাই আগমী ২৫ সালের নির্বাচনে সবাই কাধেঁ কাধ মিলিয়ে রুপমকে নির্বাচিত করতে হবে। শ্রমিতদের স্বার্থে যে কোন কাজ সাথে থেকে শ্রমিকদের স্বার্থ হাসিল করবো। তাই আসুন আমরা দীর্ঘদিনের সংগঠন টিকিয়ে রাখতে মাসুদ সংগঠনকে শক্তিশালী করে রুপমকে আগামী নির্বাচনে জয়লাভ করাতে পারি সে আশা ব্যাক্ত করেন তিনি।

দোয়া ও আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, শ্রমিক ইউনিয়নের সহ সম্পাদক, মোস্তাফিজুর রহমান, সাংগঠিনক সম্পাদক ইকবাল হোসেন, এ এস এম কবির, সাবেক সহ সম্পাদক খবির উদ্দিন, কেরুর সাবেক সি ডি এ, মাওলা বক্স, সিডিএ এনায়েতুল্লাহ, আব্দুল মান্নান জামাত আলী, শহিদুল ইসলাম, সহ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন,কেরুর শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সদস্য শরিফুল ইসলাম, সদস্য আমিনুল, সদস্য মজিবর, ইদ্রিস, আজাদুল ইসলাম দপ্তর সম্পাদক সালাউদ্দিন সনেট, আতিয়ার হেড ক্যাশিয়ার রেজানুর রাজিব,হিসাব সহকারী বুলু আমিন, হিসাব সহকারী মনির উদ্দিন ভৃইয়া, সাজেদুর রহমান তুফান,আরিফুল ইসলাম আরুক, ড্রাইভার আলামিন শেখ, হেলফার আমজাদ আলী, ডলার, শান্ত, রকি, সিডিএ আব্দুল কাদের মাঈন উদ্দিন, আকবার বাবু, মশিউর রহমান, মাহবুবুর রহমান, সিডিএ এস এম জাহাঙ্গীর, সি আইসি আসাদুজ্জামান, সি আই সি কাজল চন্দ্রদাস, ক্যাশিয়ার মতিউল, লিটন,আতিয়ার, সাজু সবুজ,সদস্য মহায়মানুল হাসান রকি, মতিয়ার বড় বাবু ,সাকি মাহমুদ,সুইট সাইদ ড্রাইভার, জিন্টু ড্রাইভার, লিটন বয়লার ফিরোজ আহম্মেদ টিটু, জিল্লু, শাহিন ইমরান, কবির প্রমুখ।

সদস্য আমিনুল, সদস্য মজিবর, ইদ্রিস, আজাদুল ইসলাম দপ্তর সম্পাদক সালাউদ্দিন সনেট, আতিয়ার হেড ক্যাশিয়ার রেজানুর রাজিব, হিসাব সহকারী বুলু আমিন, হিসাব সহকারী মনির উদ্দিন ভৃইয়া, সাজেদুর রহমান তুফান, আরিফুল ইসলাম আরুক, ড্রাইভার আলামিন শেখ, হেলফার আমজাদ আলী, ডলার, শান্ত, রকি, সিডিএ আব্দুল কাদের মাঈন উদ্দিন, আকবার বাবু, মশিউর রহমান, মাহবুবুর রহমান, সিডিএ এস এম জাহাঙ্গীর, সি আইসি আসাদুজ্জামান, সি আই সি কাজল চন্দ্রদাস, ক্যাশিয়ার মতিউল, লিটন, আতিয়ার, সাজু সবুজ, সদস্য মহায়মানুল হাসান রকি।

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন, কেরু এ্যান্ড কোম্পানির শ্রমিক ওয়েপি খন্দকার কায়েস আব্দুল্লা। এ সমাবেশে প্রায় ৭শ শ্রমিক কর্মচারী অংশ নেয়। অনুষ্ঠান শেষে শ্রমিকদের মাঝে কাঙ্গালী ভোজ অনুষ্টিত হয়।




শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যবসায়ীকে বেতনের টাকা তুলে দিলেন–এসিল্যান্ড

অসহায় প্রতিবন্ধী পেয়ারা ব্যবসায়ী পিন্টু মিয়া তার ব্যবসার মুলধন চুরি হওয়ায় যখন দিশেহারা, তখন নিজের বেতনের টাকা তুলে দিয়ে মানবিকতার এক বিশুদ্ধ উদাহরণ সৃষ্টি করলেন মেহেরপুর সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাজহারুল ইসলাম। শুধু এই অসহায় ব্যবসায়ীর পাশে দাঁড়ানোই নয়, চোরকে ধরতে সব ধরনের প্রচেষ্টা করারও আশ্বাস দেন তিনি।

মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার গোপালনগর গ্রামের রাস্তাপাড়া এলাকার তগাই মিয়ার ছেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী পিন্টু মিয়া। ভিক্ষার ঝুলি নয়, জীবিকা নির্বাহ করেন ছোট্ট ব্যবসা করে। গ্রাম এলাকা থেকে পেয়ারা সংগ্রহ করে প্রায় ২৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ভ্যানযোগে বিক্রি করতে যান মেহেরপুর জেলা শহরে।

জেলা জজকোর্ট এলাকায় প্রতিদিন পেয়ারা বিক্রি করেই তার পাঁচ সদস্যের পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করতে হয়।

গত শুক্রবার পিন্টু মিয়ার সারাদিনের পেয়ার বিক্রির পাঁচ হাজার টাকা কৌশলে চুরি করে নেই চোর। এতে দিশাহারা হয়ে পড়েন পিন্টু মিয়া। প্রতিবন্ধী ব্যবসায়ী পিন্টু মিয়ার টাকা চুরির ঘটনায় অনেকে আফসোস করলেও কেউ এগিয়ে আসেননি তার সহযোগিতায়।

আজ রবিবার বিকালে অফিস শেষে ফিরার সময় অফিসের এক সহকারীর মুখে ঘটনা শুনে ছুটে যান সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাজহারুল ইসলাম।

ঘটনা শুনে নিজের বেতনের টাকা প্রতিবন্ধী পিন্টু মিয়ার হাতে তুলে দেন তিনি। পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে চোরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনারও আশ্বাস দেন সরকারের এই কর্মকর্তা।

অসহায় প্রতিবন্ধী পিন্টু মিয়া জানান, আমি আমার স্ত্রী এবং তিন ছেলে নিয়ে পাঁচ জনের সংসার চলে এই ছোট্ট ব্যবসার উপর। এলাকার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে পেয়ারা কিনে নিজেই ভ্যান চালিয়ে শহরে বিক্রি করতে আসি। গত শুক্রবার সারাদিনের বিক্রি করা ৫ হাজার টাকা চুরি করে নেই চোর। ব্যবসার মুলধন চুরি হওয়ায় আমি দিশেহারা হয়ে পড়েছি। গত দুইদিন এলাকা থেকে পেয়ারা বাকিতে কিনে এনে বিক্রি করছিলাম। পেট তো থেমে থাকেনা। আমার আয়ের উপর পাঁচটি মুখ চেয়ে থাকে। এসিল্যান্ডের টাকা পেয়ে খুশি পিন্টু মিয়া। এই টাকা দিয়ে আবারও ভালো করে ব্যবসা করতে পারবেন বলে জানান তিনি।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, আমার অফিসের এক সহকারীর মুখে থেকে ঘটনা শুনে তার কাছে আসি। সব শুনে তার ব্যবসার জন্য বেতনের কিছু টাকা দিয়ে তার পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। তিনি আরও বলেন, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সাথে কথা বলে চোর সনাক্ত ও আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করবো।

মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ কনি মিয়া বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। চোরকে সনাক্ত করে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

উল্লেখ্য, সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাজহারুল ইসলাম এসিল্যান্ড হিসেবে যোগদানের পর সরকারি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা বাড়ানোর কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে মেহেরপুর শহরের পৌরসভার সামনে ওভারলোডেট লাটাহাম্বার চাকায় স্পৃষ্ট হয়ে একজন নিহত হওয়ার পরপরই স্ব উদ্যোগে শহরে এসব অবৈধ গাড়ি নিয়ন্ত্রণে অভিযান ও রাস্তার পাশে অবৈধভাবে বালির স্তুপ রেখে জনভোগান্তি সৃষ্টির জন্য অভিযান শুরু করেছেন। কিছুদিনের মধ্যেই মেহেরপুর শহরের পরিস্কার করবেন বলে জানান তিনি।




গাংনীর রামকৃষ্ণপুরে ৬ গ্রাম হেরোইনসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

গাংনীর রামকৃষ্ণপুরে ৬ গ্রাম হেরোইনসহ মাদক ব্যবসায়ীকে আটকে আটক করেছে ধলা পুলিশ ক্যাম্প।

আজ রবিবার বিকেলে রামকৃষ্ণপুরে ধলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (এসআই) সাহেব আলীর নেতৃত্বে, এ এস আই আবুল কালাম আজাদ, ও এ এস আই শামসুর রহমান, এ এস আই শ্রী অমল চন্দ্র , সঙ্গিও ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।

আটককৃত হলেন মোঃ রিয়জ উদ্দিন(২৪) মোঃ মজির উদ্দিনের ছেলে।

পুলিশ জানায়, প্রকাশ্যে হেরোইন বিক্রি করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয় মজির উদ্দিনের বাড়ির পাশে। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টাকালে তাকে আটক করা ও তার দেহ তল্লাশি করে ৬ গ্রাম হেরোইনসহ আটক করা হয়। এছাড়াও মোঃ রিয়জ উদ্দিন একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ধলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (এসআই) সাহেব আলী জানান, মাদক বিক্রির সময় হাতে নাতে তাকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে গাংনী থানাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণ করা হবে।




তানভীর আলাদিনের ব্যতিক্রম প্রেমের উপন্যাস ‘মাথিয়ারার মেয়ে’

অহেতুক ভয় পাওয়া সমস্যার নাম ‘মনোফোবিয়া’। এটিকে আমলে না নেয়া এক জটিল সমস্যা। এই সমস্যার কারনে অনেক যোগ্য ও মেধাবী তার গন্তব্যে পৌছাতে গিয়ে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েন। মনোফোবিয়াকেও জয় করা যায়, যদি সঙ্গী হিসেবে ‘নেহা কাজি’র মতো সাহসী কেউ পাশে থাকেন…।

বাসসের সাংবাদিক তানভীর আলাদিনের নতুন উপন্যাস ‘মাথিয়ারার মেয়ে’র অন্যতম একটি চরিত্র হচ্ছে নেহা কাজি।তিনি মনোফোবিয়া সমস্যা দূর করার লড়াইয়ে সংশপ্তক এক যোদ্ধা।

নেহা কাজি মনে করেন- মনোফোবিয়া দূর করতে হলে প্রথমে চাই ভালোবাসা বুকে নিয়ে যুদ্ধজয়ের প্রত্যয়ী মানসিকতা। সেইসঙ্গে ভাঙতে হবে সোস্যাল ট্যাবু। সচেতনভাবে এগিয়ে আসতে হবে পরিবার ও সমাজের প্রত্যেক স্তর থেকে। অভয়ের গান শুনিয়ে দূর করতে হবে `অহেতুক ভয়, করতে হবেই মনোফোবিয়া জয়’।

অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০২৪ এ সাহিত্যদেশ প্রকাশনী থেকে আসছে ‘মাথিয়ারার মেয়ে’ উপন্যাসটি (স্টল # ৩৪০ ও ৩৪১)। প্রচ্ছদ শিল্পী ফাহাদ হাসান কাজমী। উপন্যাসটির গায়ের দাম-৩০০/-টাকা।

উপন্যাসিক তানভীর আলাদিন বলেন, এক কথায় যদি বলি তাহলে বলবো- ‘মাথিয়ারার মেয়ে’ শতভাগ প্রেমের উপন্যাস। তবে গতানুগতিকতা থেকে অনেকটা ব্যাতিক্রম। আমি ঠিক জানি না, আমাদের দেশে ‘মাথিয়ারার মেয়ে’ উপন্যাসটির আগে মনোফোবিয়া সমস্যা নিয়ে কোনো উপন্যাস লেখা হয়েছে কী-না। মনোফোবিয়া নিয়ে আরো বেশি লেখা-লেখির প্রয়োজন আছে। সমস্যাটা সমাজ-সংসারে বিদ্যমান, যা একটু-একটু ভালোবাসার পরিচর্যা দিয়ে সারিয়ে তোলা সম্ভব। তিনি স্বপ্ন দেখেন- মনোফেবিয়া জয়ে ‘মাথিয়ারার মেয়ে’ নেহা কাজির মতো ভালোবাসার পরিচর্যাকারীর সংক্রমণে আক্রান্ত হোক তাবৎ বিশ্ব।

সাহিত্যদেশ’র প্রকাশনীর সত্বাধিকারী শফিক সাইফুল বলেন- ‘মাথিয়ারার মেয়ে’ একটি অসাধারণ প্রকাশনা হতে যাচ্ছে। নতুনত্ব আর গল্পগুচ্ছে সাজানো এই উপন্যাসটি পড়ে মুগ্ধতার পাশাপাশি পাঠকগণ মনে হয় সংরক্ষণেও রাখতে চাইবেন অনেকদিন।




ফেসবুক ভেরিফায়েড করবেন যেভাবে

ফেসবুক বিশ্বের জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মধ্যে অন্যতম। ফেসবুক ব্যবহারে তেমন কঠোর কোন নিয়ম নীতি নেই। অর্থাৎ যে কেউ চাইলেই যে কারও নামে বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বা পেজ খুলে ফেলতে পারেন।

যেহেতু অ্যাকাউন্ট খুলতে কোনো কাগজের দরকার হয় না, তাই যে কেউ কাজটি করতে পারেন। তবে এসবের কারণে প্রতারণা অনেক বেড়েছে। ফেসবুকে অনেকের অ্যাকাউন্টের পাশে নীল একটি টিক চিহ্ন দেখা যায়। এটিই ব্লু ব্যাজ। বিশেষ করে বিশিষ্ট কোনো ব্যক্তি, কোনো ব্যাবসায়িক পেজ বা কোম্পানির অ্যাকাউন্টে। তারকাখ্যাতি-সম্পন্ন ব্যক্তি, সেলিব্রিটি, সাংবাদিক, সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান ও ব্র্যান্ডের অ্যাকাউন্ট বা পেজেও এটি খেয়াল করবেন।

খুব বেশি ঝামেলা ছাড়াই আপনার অ্যাকাউন্টটি ভেরিফায়েড করতে পারেন। এজন্য প্রথমে অ্যাকাউন্টটির নাম এবং প্রোফাইল পিকচার সঠিক হওয়া এবং সক্রিয় হতে হবে।

অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠানটি কোনো নামি এবং স্বীকৃত কোম্পানি হতে হবে। অ্যাকাউন্টের একটি বৈধ নথি থাকতে হবে, যা তার পরিচয় এবং ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠানের বৈধতা প্রকাশ করবে। ব্লু টিকের জন্য আবেদন করতে, অ্যাকাউন্টের মালিককে ফেসবুকে একটি ফর্ম পূরণ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য আপলোড করতে হবে।

যেভাবে কাজটি করবেন
প্রথমে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে যান এবং সেটিংসে যান। সেখান থেকে অ্যাবাউটে যান। সেখান থেকে অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশনে যান। এবার রিকোয়েস্ট ভেরিফিকেশন অপশনটি দেখতে পাবেন, তাতে ক্লিক করুন। এবার আপনাকে একটি ফর্ম পূরণ করতে হবে, যাতে আপনার নাম, ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠানের নাম, ওয়েবসাইট, যোগাযোগের তথ্য এবং অন্যান্য বিশদ দিতে হবে। আপনাকে অবশ্যই একটি বৈধ নথি আপলোড করতে হবে, যা আপনার পরিচয় এবং আপনার ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠানের প্রমাণপত্র। ফেসবুক আপনার আবেদন পর্যালোচনা করবে এবং আপনি যোগ্য হলে আপনাকে একটি ব্লু টিক দেওয়া হবে।

সূত্র: ইত্তেফাক




ঝিনাইদহের বাজারে ভেজাল খেজুর গুড়ে সয়লাব

শীতের মৌসুমে খেজুর রসের গুড়, পাটালি দিয়ে পিঠা পায়েস খাওয়া ভোজনরসিক বাঙালির অভ্যাস বহু পুরাতন।

এছাড়া শীত মৌসুমে কাঁচা খেজুর রসের মজাই আলাদ, আর তা দিয়ে তৈরি হয় পায়েস, ভিজানো পিঠাসহ বিভিন্ন প্রকার সুস্বাদু খাবার। আর সেই সুযোগেই কিছু অসাধু গুড় ব্যাবসায়ীরা ঝিনাইদহ জুড়ে শুরু করেছে চিনি, রং, সোডা আর ক্ষতিকর কেমিক্যাল মিশিয়ে গুড়, পাটালি তৈরির কাজ। ঝিনাইদহ জুড়ে এখন এ সব ভেজাল গুড়,পালটালির ছড়াছড়ি।

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কেমিক্যাল দিয়ে গুড় তৈরি করে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে শহর ও গ্রামীণ হাটবাজারে। অনুসন্ধানে জানাযায়, শীত মৌসুম টার্গেট করে রাজশাহী জেলা থেকে আসা একটি চক্র ঝিনাইদহ জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে খেজুর গাছ কেঁটে রস সংগ্রহ করার জন্য। অধিক লাভের আশায় মূলত তাঁরা রস জ্বালিয়ে গুড়ের পরিমাণ বৃদ্ধির জন্য চিনি ও রং দিয়ে তৈরি করে এসব খেজুরের গুড়।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শৈলকূপা উপজেলার সাপখোলা, রইড়া, আশুরহাট, সদর উপজেলার নরহরিদ্রাবাজার গোপালপুর, কোঁটচাদপুর উপজেলার ছাবদালপুর, বুলহর এলাকায় একাধিক ভেজাল গুড়ের কারখানা গড়ে উঠেছে। সেখানে হরহামেশাই গুড়ের মধ্যে মেশানো হচ্ছে এসব কেমিক্যাল যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

ভেজাল গুড়ের বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের সুপার ডাঃ সৈয়দ রেজাউল ইসলাম জানান, কেমিক্যাল মেশানো সকল খাবারই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আর খেজুর গুড়ের মধ্যে রং মেশালে সেই গুড় খেলে স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে, নানা রোগের জীবাণু এমনকি ক্যান্সারও হতে পারে।

ভেজাল গুড়ের ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক নিশাদ মেহের জানান, খাবারে ভেজাল দিলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। আর খেজুর গুড়ের ভেজালের কথা আমরা কমবেশি শুনতে পায় খোঁজখবর নিয়ে দ্রুতই অভিযান পরিচালনা করা হবে।




যে ৪ খাবার ডিপ ফ্রিজে রাখলে বিষাক্ত হয়

খাবার সংরক্ষণের উদ্দেশে গৃহিনীরা ফ্রিজে রাখেন।এতে স্বাদ কমলেও খাবার নষ্ট হয় না।দীর্ঘদিন এভাবে রেখে খাবার খাওয়া যায়।

ডিপ ফ্রিজে দীর্ঘদিন খাবার রাখলে স্বাদ নষ্ট হয়।আবার চার ধরনের খাবার আছে যা ফ্রিজে রাখলে বিষাক্ত হয়। এসব বিষয়ে সবাইকে সকর্ত থাকতে হবে।

ফ্রিজে রাখলে বিষাক্ত হয়ে যায়, এমন চারটি খাবারের তথ্য নিচে তুলে ধরা হলো—

পেঁয়াজ
পেঁয়াজ অনেকে কেটে ফ্রিজে রেখে দেন। পেঁয়াজ পরিবেশে থাকা ব্যাকটেরিয়া গ্রাস করে। রোগীর ঘরের এক কোনায় থেকেও পেঁয়াজের একটি টুকরা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া আকর্ষণ করতে পারে। তাই পেঁয়াজের ওপর ছত্রাক দেখা না গেলেও ফ্রিজে থাকা সব ব্যাকটেরিয়া এতে বাসা বাঁধতে পারে।

বিভিন্ন জরিপ থেকে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা বছরে মাত্র এক থেকে দুবার ফ্রিজ পরিষ্কার করেন। নিয়মিত পরিষ্কার না করার কারণে ফ্রিজে ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধতে পারে। আর এগুলোই খাবারের সঙ্গে মিশে যায়। তাই কাটা পেঁয়াজ ফ্রিজে রাখা মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। রান্নার কিছুক্ষণ আগে পেঁয়াজ কেটে ব্যবহার করতে হবে।

যেসব কারণে নাক দিয়ে রক্ত পড়ে

রসুন
রসুন কেটে ব্লান্ডারে বেটে গৃহিনীরা ফ্রিজিং করে রাখেন। রসুনের খোসা ছাড়িয়ে ফ্রিজে রাখলে তা বিষাক্ত হয়ে যেতে পারে। কারণ, এটি ফ্রিজের আর্দ্র বাতাস থেকে জলীয় বাষ্প শুষে নেয় এবং এতে তাড়াতাড়ি ছত্রাক (খাবারে ছাতা পড়ে) জন্ম নেয়। রসুনের এই ছত্রাক দেহের ক্যানসারের সঙ্গেও সম্পর্কিত।

তাই সব সময় সতেজ রসুন কিনতে হবে এবং শুধু ব্যবহারের আগেই খোসা ছাড়ানো উচিত। রসুন সব সময় শুষ্ক স্থানে সংরক্ষণ করা উচিত। খোসা ছাড়ানো রসুন একটি কাচের বয়ামে ভালো করে ঢাকনা লাগিয়ে রাখতে পারেন। এ ছাড়া খোসা ছাড়ানো রসুন ভিনেগারে চুবিয়ে ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যায়।

ভাত
অনেকে রান্না করা ভাত ডিপ ফ্রিজে রেখে দেন। এটি ঠিক নয়। খাবারের মধ্যে ভাতে দ্রুত ছত্রাক জন্মে। আর ভাত যদি ফ্রিজে রাখতেই হয়, তাহলে ২৪ ঘণ্টার বেশি রাখা যাবে না।

আদা
আদা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এটি ঠান্ডা-কাশি প্রশমনে সাহায্য করে। তবে একে ভুলভাবে সংরক্ষণ করলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। ফ্রিজের ঠান্ডা ও আর্দ্রতার সংস্পর্শে আদায় ছত্রাক জন্মে। এসব ছত্রাকযুক্ত আদা বিষাক্ত। এগুলো খেলে কিডনির ক্ষতি হতে পারে। এমনকি এই ছত্রাক কিডনি বিকল করে দিতেও ভূমিকা রাখতে পারে।

সূত্র: যুগান্তর




আমঝুপিতে কমিউনিটি এডুকেশন ওয়াচ ওরিয়েন্টেশন সভা অনুষ্ঠিত

‘‘সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা, ঝরেপড়া রোধ ও বাল্যবিবাহ রোধে ইয়ুথ ফোরাম নানা ভাবে কর্মসূচী গ্রহন ও বাস্তবায়ন করছে”।

তার ধারাবাহিকতায় আজ রবিবার সকাল ১০টার দিকে মানব উন্নয়ন কেন্দ্র (মউক) এর হলরুমে ইয়ুথ ফোরাম এর দায়-দায়িত্ব বিষয়ক প্লানিং ও ওরিয়েন্টেশন সভার আয়োজন করা হয় ।

গনসাক্ষরতা অভিযানের সহায়তায় মানব উন্নয়ন কেন্দ্র মউক এ কর্মসূচী বাস্তবায়ন করছে।

মানব উন্নয়ন কেন্দ্র (মউক) কের নির্বাহী প্রধান আশাদুজজ্জামান সেলিমের সভাপতিত্বে মেহেরপুর জেলার সার্বিক শিক্ষার সুযোগ, শিক্ষার বাস্তবতা, ঝরেপড়া রোধ, শিশুদের বিদ্যালয়ে আনন্দঘন পরিবেশে পাঠদান, বিদ্যালয়ে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সুশাসন নিশ্চিত করতে এবং বাল্যবিবাহ রোধে ইয়ুথদের ভূমিকা বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

এসময় মানব উন্নয়ন কেন্দ্র মউকের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোছাঃ কাজল রেখা, প্রকল্পের সহকারী প্রোগ্রাম অফিসার আশিক বিল্লাহ ও চাঁদতারা সূর্য, গণমাধ্যমকর্মী সহ মেহেরপুর সদর উপজেলার আমদহ, আমঝুপি ও বারাদী ইউনিয়নের যুব প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।